Dataset Viewer
id
stringlengths 3
7
| url
stringlengths 39
43
| title
stringlengths 1
93
| content
stringlengths 3
166k
|
---|---|---|---|
1049722
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049722
|
সাইপ্রাসে ইসলাম
|
সাইপ্রাসে ইসলাম
১৫৭১ সালে সাইপ্রাস দ্বীপটি উসমানীয় বিজয়ীদের হাতে আসলে তখন সাইপ্রাসের সাথে ইসলামের পরিচয় ঘটে। এর আগে, ভ্রমণপথ হিসাবে দ্বীপটিতে মুসলমানদের উপস্থিতি ছিল। উসমানীয় ভুট্টা পদ্ধতি দ্বারা নির্ধারিত কর হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে করের স্থিতির জন্য গ্রীক অর্থোডক্স জনসংখ্যার একটি ছোট অংশের সাথে দ্বীপের বেশিরভাগ ক্যাথলিক লাতিন জনগোষ্ঠীর লোক ইসলাম গ্রহণ করে, কিন্তু তা বাধ্যতামূলক ছিল না। এই কর ব্যবস্থার জন্য একটি সামান্য অর্থ প্রদানের প্রয়োজন ছিল এবং এর বিনিময়ে নাগরিকরা রাজ্য থেকে সুরক্ষা এবং অন্যান্য সুবিধাও পেত।
১৯৭৪ সালে সাইপ্রাসে তুর্কি আক্রমণের আগে তুর্কি সাইপ্রিয়রা (সাইপ্রাসের মুসলিম সম্প্রদায়) দ্বীপটির জনসংখ্যার ১৮% ছিল এবং পুরো দ্বীপ জুড়ে বসবাস করত। বর্তমানে, আনুমানিক ২৬৪,১৭২ জন মুসলমানের বেশিরভাগই দ্বীপটির উত্তরে অবস্থান করছে। তুর্কি সাইপ্রিয় সমাজ অন্তত আনুষ্ঠানিকভাবে হলেও, ধর্মনিরপেক্ষ; বিশ্বাসটির অনুগামীরা বেশিরভাগ সুন্নি সম্প্রদায়ের সাথে সম্মত, এর সাথে সাথে সুফিবাদের একটি প্রভাবশালী প্রবাহের সাথেও তাদের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য এবং বিকাশ অন্তর্ভুক্ত থাকে। নকশবন্দী-হাক্কানী তরিকার নেতা নাজিম আল-কুবরুসী লার্নাকা থেকে এসেছিলেন এবং লেফকার বাসিন্দা ছিলেন। তুর্কি সাইপ্রিয় মুসলমানদের মধ্যে আরেকটি শাখা হ'ল আলেভিজম। দেশটিতে কিছু আহমদীয়া মুসলমান রয়েছেন।
আরব বিজয়ের শুরুতেই ইসলাম সাইপ্রাসে এসেছিল যদিও স্থায়ী উপস্থিতি কেবল ১৫৭১ সালের উসমানীয় বিজয়ের পর দেখা গিয়েছিল ।
১৯৭৪ সালে সাইপ্রাসে তুর্কি আক্রমণ এর পর থেকে দ্বীপটির উত্তরে তুরস্ক থেকে আগত বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়িয়ে যায়, যারা প্রায় সবাই শুধু সুন্নি মুসলমান। রাজ্যের জনমিতি তৈরির কাঠামোগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে অন্যান্য রাজ্যগুলির দ্বারা আন্তঃ-সীমান্ত স্থানান্তর করে জনগণকে পাঠানোর বিষয়ে জেনেভা কনভেনশনের অধীনে এই বসতি স্থাপনকারীদের অবস্থান আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এবং বিশেষত নিষেধাজ্ঞার বিরোধী।
সাইপ্রিয় তুর্কি ও গ্রীকদের বিচ্ছিন্নতা প্রমাণ করেছে যে, অঞ্চলটির বেশিরভাগ মুসলমান সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণাধীন যারা আরব অভিবাসী এবং শরণার্থী, ঐতিহাসিকভাবে এই অঞ্চলে বসবাসকারী তুর্কিদের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়।
দ্বীপে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী মাজার এবং স্থাপনা বিদ্যমান রয়েছে:
|
1049725
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049725
|
শাহ জালাল দাখিনী
|
শাহ জালাল দাখিনী
শাহ জালাল দাখিনী () ছিলেন পনেরো শতকের একজন বাংলাদেশের সুফি দরবেশ। পূর্ব ভারতে অসংখ্য সুফীদের মধ্যে দাখিনি ছিলেন অন্যতম। তিনি সুলতান ইউসুফ শাহের (১৪৭৪-৮১) শাসনকালে গুজরাত থেকে কয়েকজন অনুসারি সহ পূর্ববঙ্গে আসেন। দাক্ষিণাত্য থেকে আসা লোকদেরকে দাখিনী বলে। তিনি ছিলেন শেখ পিয়ারার অনুসারী।
শাহ জালাল দাখিনী ঢাকার মতিঝিলে খানকাহ প্রতিষ্ঠা করে এবং সেখান থেকে তিনি ধর্ম প্রচার শুরু করেন। সৎ ও স্পষ্টভাষী হিসেবে তিনি খ্যাতিমান ছিলেন। তার সততার জন্যই তিনি একজন সুলতানের মতো জনগণের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। ৮৮১ হিজরিতে (১৪৭৬ খ্রিঃ) তাকে সহ তার কয়েকজন অনুসারীদের হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গভবনের চৌহদ্দির অভ্যন্তরে একটি এক গম্বুজবিশিষ্ট সৌধে তাকে সমাহিত করা হয়।
তৎকালীন জমিদার খাজা আহসানউল্লাহ পরবর্তীতে রাজউক শাহ জালাল দাখিনীর সমাধিটি বছরের নিয়মিত ভাবে সংস্কার করেছেন। মোগল আমলে বঙ্গভবনের পাশেই দাখিনীর নামে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি এখন রাজউক সংস্কার করেছে এবং এই মসজিদের নামকরণ করেছেন দিলকুশা জামে মসজিদ।
|
1049726
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049726
|
গুরুপ্রসাদ সেন
|
গুরুপ্রসাদ সেন
গুরুপ্রসাদ সেন () (২০ মার্চ, ১৮৪২ - ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯০০) ছিলেন বিখ্যাত বাঙালি আইনজীবী, প্রাবন্ধিক ও বিহারের প্রথম ইংরেজি পত্রিকা "বিহার হেরল্ড"এর প্রতিষ্ঠাতা।
গুরুপ্রসাদ সেনের জন্ম ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দের ২০ শে মার্চ (৮ই চৈত্র, ১২৪৯ বঙ্গাব্দ) বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (অধুনা বাংলাদেশের) ময়মনসিংহ পরগনার ঢাকার ডোমসারে (বর্তমান শরীয়তপুর)। পিতা কাশীচন্দ্র সেন ও মাতা সারদাসুন্দরী দেবী। তার অতি অল্প বয়সে পিতৃবিয়োগ হলে মাতা সারদাসুন্দরী তাঁকে নিয়ে চলে আসেন তার ভ্রাতা রাধানাথ সেনের আশ্রয়ে বিক্রমপুরের কাঁচাদিয়া গ্রামে এবং সেখানে তিনি মাতুল কর্তৃক প্রতিপালিত হন। সেসময় বিক্রমপুরে ইংরাজী মাধ্যমের স্কুল না থাকায় তার মাতুলই ইংরাজী শেখাতেন। পরে ভর্তি হন ঢাকা পোপোজ স্কুলে। গুরুপ্রসাদ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সেখান থেকে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে বৃত্তিসমেত প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ঢাকা কলেজ থেকে ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে এফ.এ.পরীক্ষায় প্রথম হন।কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৮৬২ খ্রিষ্টাব্দে বি.এ. এবং ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ. পাশ করেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশের) প্রথম এম.এ.।
এম. এ পাশের পর প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে বি.এল পরীক্ষা পাশ করে ডেপুটি ম্যাজিসেট্রট পদে প্রথমে কৃষ্ণনগর ও পরে বাঁকিপুরে কাজ করতে থাকেন। কিন্তু সেখানে ইংরেজ ম্যাজিসেট্রটের সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় সরকারি পদ ত্যাগ করে বাঁকিপুরেই স্বাধীনভাবে ওকালতি শুরু করেন। এই বাঁকিপুর তার ত্রিশ বৎসর কর্মজীবনের মূল কর্মক্ষেত্র হয়েছিল এবং বহু জনহিতকর কাজে লিপ্ত ছিলেন। বিহারের প্রধান প্রধান জমিদারগণের আইনি-উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল, নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীলচাষিদের পক্ষ অবলম্বন করা এবং তাদের সংগ্রামে সামিল হওয়া। প্রকৃতপক্ষে তার চেষ্টায় বিহারের নীলচাষীরা ইংরেজ নীলকর সাহেবদের অত্যাচার মুক্ত হন। ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিহারে প্রথম ইংরাজী সাপ্তাহিক পত্রিকা "বিহার হেরল্ড" প্রকাশ করেন। এই পত্রিকার সাহায্যে তিনি জনসাধারণের সপক্ষে সংগ্রাম করে তাদের প্রকৃত বন্ধু হয়ে ওঠেন। দরিদ্র ছাত্রদের জন্য হোস্টেল এবং বাঁকিপুরে ও ঢাকায় দুটি স্কুল স্থাপন করেন। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে বিহার ল্যান্ড-হোল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা তার চেষ্টায় সম্ভব হয়েছিল এবং তিনি এর আজীবন সম্পাদক ছিলেন। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য হন এবং পরের বৎসর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো হন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সেকালের বিখ্যাত পত্রিকা ‘সোম প্রকাশ’ পত্রিকায় তিনি অনেক প্রবন্ধ লিখতেন। জুরির বিচারব্যবস্থা ওঠানোর চেষ্টা হলে তার রচিত ইংরাজী পুস্তিকা বিলাতে প্রশংসিত হয়েছিল। ইংরেজি ভাষায় তিনি কয়েকখানি পুস্তক রচনা করেছিলেন -
বাঁকিপুরে অবস্থানকালে বিধানচন্দ্র রায়ের পিতা প্রকাশ চন্দ্র রায় ও মাতা অঘোরকামিনী দেবীর সাথে তার পরিচয় ছিল। তাঁদের মতো তিনিও এক সময় ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। পরে তার ধর্মবিশ্বাসে উদারপন্থী মনোভাব লক্ষিত হয়েছিল। বিধবাবিবাহের উৎসাহী সমর্থক ছিলেন তিনি। বিপথগামী মেয়েদের বিবাহ ও পুনর্বাসনের পক্ষে নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সূচনা থেকেই তার সমর্থক ছিলেন এবং বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন।
গুরুপ্রসাদ সেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে সেপ্টেম্বর (১৩০৭ বঙ্গাব্দের ২৮শে আশ্বিন) প্রয়াত হন।
|
1049727
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049727
|
হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজ
|
হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজ
হাজী এম এ কালাম ডিগ্রি কলেজ বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৯৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049729
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049729
|
মাদানি গার্লস স্কুল
|
মাদানি গার্লস স্কুল
মাদানি গার্লস স্কুল ইংল্যান্ডের পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেট্সের হোয়াইটচ্যাপেলে অবস্থিত একটি ইসলামি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক স্কুল।
এটি একটি কলেজ এবং আলিমাহ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বরে স্কুলটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
প্রধান (দক্ষিণ) স্কুল ভবনটি মূলত"মাইর্ডল স্ট্রিট সেন্ট্রাল স্কুল" কে অধিগ্রহণ করে। ১৯০৫ সালে লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিলের শিক্ষা বিভাগের স্থপতি টমাস জেররাম বেইলি স্কুল ভবনের নকশা করা করেন। মাইর্ডল স্ট্রিট লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিলের "কেন্দ্রীয় স্কুলগুলির" মধ্যে প্রথম ছিল যা প্রাথমিক শিক্ষার চেয়ে মাধ্যমিক শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেয়। ভবনটি লন্ডন ইস্টের জন্য পেভসনার আর্কিটেকচারাল গাইডে একটি "অনন্য, অসাধারণ নকশা" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যেখানে তামার গম্বুজ সহ দুটি অর্ধবৃত্তাকার সিঁড়ি রয়েছে। এটি ১৯৭৩ সালে দ্বিতীয় গ্রেডের তালিকাভুক্ত ভবনে অন্তর্ভুক্ত হয়।
মায়ার্ডল স্ট্রিট সেন্ট্রাল স্কুলের উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে হান্না বিলিগ ছিলেন একজন ব্রিটিশ-ইহুদি ডাক্তার, যিনি লন্ডন ব্লিটজ-এর সময় পূর্ব প্রান্তে কাজ করেছিলেন যখন তিনি "দ্য অ্যাঞ্জেল অফ ক্যাবল স্ট্রিট" হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। মরিস হ্যারল্ড ডেভিস, সিনাগোগগুলি ফেডারেশনের সভাপতি (১৯২৮-১৯৪৪) এবং লেবার পার্টির রাজনীতিবিদ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, এটি একটি বিশেষ স্কুল হয়ে ওঠে যার নামকরণ করা হয় "গ্রেনফেল স্পেশাল স্কুল"। যা অবশেষে ১৯৯৯ সালের ৩১ জুলাই বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৭ সালে স্কুলটি সন্ধ্যা ভাষার ক্লাস সহ স্থানীয় বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের সামাজিক কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।
|
1049730
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049730
|
লালমাই ডিগ্রি কলেজ
|
লালমাই ডিগ্রি কলেজ
লালমাই ডিগ্রি কলেজ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৭০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৮৬ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ২০১৩ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049732
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049732
|
রুমা সাঙ্গু সরকারি কলেজ
|
রুমা সাঙ্গু সরকারি কলেজ
রুমা সাঙ্গু সরকারি কলেজ বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠা সাল ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১ জানুয়ারি ২০১৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
|
1049736
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049736
|
সরকারি মাতামুহুরী কলেজ
|
সরকারি মাতামুহুরী কলেজ
সরকারি মাতামুহুরী কলেজ, লামা বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৮৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ২০০৭ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ১৯৯৬ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049737
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049737
|
বান্দরবান সরকারি কলেজ
|
বান্দরবান সরকারি কলেজ
বান্দরবান সরকারি কলেজ বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাকৃতিক পরিবেশ কলেজটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পাহাড়ের পাদদেশে প্রাকৃতিক পরিবেশে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনগুলো তৈরি করা হয়েছে।
বান্দরবান কলেজ বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার নোয়াপাড়া রোডের পাশে অবস্থিত।
১৯৭৫ সালে বান্দরবান কলেজ প্রতিষ্ঠত হয়। সাবেক এমএলএ বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজা (ত্রিপুরা ) কলেজটির উন্নয়নের জন্য ২০ লাখ টাকা সরকার হতে অনুদান এনে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালের মার্চে কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভের পর পরবর্তীতে স্নাতক (কলা), ১৯৯৬ সালে স্নাতক (ব্যবসায় শিক্ষা) এবং ১৯৯৮ সালে স্নাতক (বিজ্ঞান) কোর্স চালু করা হয়। এর ফলে কলেজটি পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রী কলেজের মর্যাদা পায়। একাডেমিক শিক্ষার সম্প্রসারণে এখানে ২০০১ সালে ৩টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয় এবং ২০১৩-১৪ সালে আরও ২টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর অনুমোদন লাভ করে। বর্তমানে অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি ও ইতিহাস বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে।
কলেজ পরিচালনার জন্য একটি গভর্নিং বডি রয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল আবছার চৌধুরী এবং উপাধ্যক্ষ সনজীব কুমার চৌধুরী। এছাড়াও আরও শিক্ষক - শিক্ষিকা কর্মরত আছেন।
কলেজটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞানভবন ও ছাত্রাবাস, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, অডিটরিয়াম ও খেলার মাঠ রয়েছে। এছাড়াও কলেজে একটি কম্পিউটার ল্যাব আছে। শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ এবং বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।
কলেজে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার পাশাপাশি, অনার্স এবং ডিগ্রি পর্যায়েও পাঠদান করা হয়ে থাকে।
কলেজের বর্তমান পাশের হার ৫৪%। শিক্ষার ক্ষেত্রে বান্দরবান সরকারি কলেজের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে কলেজটি জেলা পর্যায়ে একাধিকবার শ্রেষ্ঠ কলেজের গৌরব লাভ করে।
|
1049738
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049738
|
বড় আগা মাদ্রাসা
|
বড় আগা মাদ্রাসা
বড় আগা মাদ্রাসা বা কাপি আগা মাদ্রাসা তুরস্কের আমাসিয়ায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি ১৫ শতকে নির্মিত হয়। উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় বায়েজিদের রাজত্বকালে মাদ্রাসাটি "কাপি আগাসি" (হেরেমে কাজ করা নপুংসকদের প্রধান) হুসেইন আগার আদেশে ১৪৮৮ সালে নির্মিত হয়।
মাদ্রাসাটি ভবনটি একটি অনন্য অষ্টভুজাকৃতির। অষ্টভুজ আকৃতির উঠোনের চারপাশে শিক্ষার্থীদের কক্ষগুলি রয়েছে যাদের প্রত্যেকটি একটি ছোট গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত। বৃহত্তম গম্বুজযুক্ত ঘরটি মূল বক্তৃতা কক্ষ হিসাবে ব্যবহৃত হত এবং এখন স্থানীয় যুবকদের"হাফেজ" হওয়ার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্যবহৃত হচ্ছে।
|
1049740
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049740
|
সরকারি রাঙ্গামাটি মহিলা কলেজ
|
সরকারি রাঙ্গামাটি মহিলা কলেজ
সরকারি রাঙ্গামাটি মহিলা কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৯৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ২০১৩ সালে বি.এ(পাস) কোর্স খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049741
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049741
|
রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ
|
রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ
রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৬৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৭৬ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ২০০৬ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়।
|
1049743
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049743
|
রাজস্থলী সরকারি কলেজ
|
রাজস্থলী সরকারি কলেজ
রাজস্থলী সরকারি কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৯৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৮ সালে এটি জতীয় করনের মাধ্যমে সরকারি কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
|
1049747
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049747
|
বাঙ্গাল হালিয়া কলেজ
|
বাঙ্গাল হালিয়া কলেজ
বাঙ্গাল হালিয়া কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৯৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
|
1049748
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049748
|
যাদাদ্রি ভুবনগিরি জেলা
|
যাদাদ্রি ভুবনগিরি জেলা
যদাদ্রি ভুবনগিরি জেলা ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের একটি জেলা । প্রশাসনিক সদর দফতর ভোঙ্গিরে অবস্থিত। জেলা সূর্যাপেট, নলগোন্ডা, ঝাঁওগাঁ, সিদ্দীপেট, মেডচাল, রঙ্গারেড্ডি জেলাগুলির সাথে সীমানা ভাগ করে নেয়।
জেলাটির আয়তন ।
২০১১র ভারতের জনগণনার অনুসারে,জেলাটির জনসংখ্যা ৭২৬,৪৬৫ জন
জেলাতে ভোঙ্গির ও চৌতুপ্পাল নামে দুটি রাজস্ব বিভাগ আছে। এগুলি আবার ১৬ টি মন্ডলে উপ-বিভক্ত। অনিতা রামচন্দ্রন জেলার বর্তমান জেলাশাসক।
|
1049749
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049749
|
বনমৃত্যু
|
বনমৃত্যু
বনমৃত্যু বা অরণ্যমৃত্যু (জার্মান ভাষায় "ভাল্ডষ্টের্বেন" নামে পরিচিত) গাছ বা কাষ্ঠময় উদ্ভিদের এমন একটি অবস্থা যেখানে গাছের বাইরের অংশগুলি রোগজীবাণু, পরজীবী, অম্ল বৃষ্টি, খরা, এবং আরও অনেক কিছু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এই অবস্থাগুলির পরিণতি বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস, গুরুত্বপূর্ণ মিথোজীবী সম্পর্ক এবং সূত্রপাতগুলি অদৃশ্য হওয়ার মতো বিপর্যয়কর হতে পারে। পরবর্তী শতাব্দীর জলবায়ু পরিবর্তনের পূর্বাভাসের জন্য কিছু সঙ্কট বিন্দু (Tipping point) সরাসরি বনমৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত। এটা জলবায়ু পরিবর্তন জন্য হুমকিস্বরূপ
বনমৃত্যু বলতে এমন একটি অবস্থা বোঝায় যেখানে কোন স্পষ্ট কারণ ছাড়াই গাছগুলির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এবং মারা যায়। এটি সাধারণত নির্দিষ্ট প্রজাতির গাছকে প্রভাবিত করে তবে একাধিক প্রজাতিকেও এটি প্রভাবিত করতে পারে। বনমৃত্যু একটি অনিয়মিত ঘটনা এবং এটি বিভিন্ন অবস্থান ও আকার ধারণ করতে পারে। এটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পরিধির মাঝে থাকতে পারে আবার বনের বাস্তুতন্ত্রের সর্বত্র ছড়িয়েও যেতে পারে
বনমৃত্যু বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশ পায়। এগুলো হলো পাতা এবং সূচির পতন, পাতা এবং সূচির বিবর্ণতা, গাছের মুকুট পাতলা হওয়া, একটি নির্দিষ্ট বয়সের গাছের মৃত্যু এবং গাছের শিকড়ের পরিবর্তন। এর অনেকগুলি গতিশীল রূপ রয়েছে। গাছের একটি স্ট্যান্ড হালকা লক্ষণ, চরম লক্ষণ, এমনকি মৃত্যুও প্রদর্শন করতে পারে। বনমৃত্যুকে বনাঞ্চলে একাধিক প্রজাতির ক্রমাগত, বিস্তৃত এবং মারাত্মক মৃত্যুর ফল হিসাবে দেখা যেতে পারে। বর্তমান বনের পতনকে নির্দিষ্ট গাছের দ্রুত বিকাশ, বিভিন্ন ধরনের বনের সংঘটন, দীর্ঘ সময়কালের (১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে) সংঘটন এবং আক্রান্ত প্রজাতির প্রাকৃতিক পরিসীমা জুড়ে ছড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে।
১৯৮০-র দশকে জার্মানি এবং উত্তর-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মারাত্মক বনমৃত্যুর ঘটনা ঘটার সময় অনেক গবেষণা হয়েছিল। পূর্ববর্তী বনমৃত্যুগুলি আঞ্চলিকভাবে সীমাবদ্ধ ছিল, তবে ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে, মধ্য ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার কিছু অংশে বনমৃত্যু ঘটেছিল। তবে জার্মানিতে বনমৃত্যু তীব্র হওয়ায় সৃষ্ট ক্ষতি অন্যরকম ছিল ।বিভিন্ন উদ্ভিদের প্রজাতিতে এই ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। আক্রান্ত গাছের শতাংশ ১৯৮২ সালে ৮৮% থেকে বেড়ে ১৯৮৪ সালে ৫০% এ দাঁড়িয়েছিলো এবং ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ৫০% এই ছিল। এই বনমৃত্যুর জন্য অনেক প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে, "নীচে দেখুন।"
বিংশ শতাব্দীতে, উত্তর আমেরিকা পাঁচটি উল্লেখযোগ্য হার্ডউড বনমৃত্যুু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। এগুলি বনের পূর্ণতা প্রাপ্তির পরে ঘটেছিল এবং প্রতিটি পর্ব প্রায় এগারো বছর ধরে চলেছিল। সর্বাধিক তীব্র নাতিশীতোষ্ণ বনের বনমৃত্যু সাদা বার্চ এবং হলুদ বার্চ গাছকে লক্ষ্য করে হয়েছিলো। তাদের অভিজ্ঞতা লব্ধ এই পর্বটি ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৭ সালের মধ্যে শুরু হয়েছিল এবং ১৯৫৩ এবং ১৯৫৪ সালের মধ্যে শেষ হয়েছিল। এটি একটি তরঙ্গ রীতি অনুসরণ করে, যা প্রথম দক্ষিণাঞ্চলে দেখা গিয়েছিল এবং পরবর্তীতে উত্তর অঞ্চলে চলে গিয়েছিল, যেখানে ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে উত্তর কিউবেকে একটি দ্বিতীয় তরঙ্গ দেখা গিয়েছিল।
বনমৃত্যু এ্যাশ, ওক এবং ম্যাপেলের মতো অন্যান্য প্রজাতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।১৯৬০ এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে সুগার ম্যাপেল বনমৃত্যুর একটি তরঙ্গ অনুভূত হয় । ১৯৮০ এর দশকে প্রাথমিকভাবে কানাডায় দ্বিতীয় তরঙ্গ দেখা দিয়েছিল,যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল। এই বনমৃত্যুগুলি প্রাকৃতিক গাছের মরণশীলতা কমানোর জন্য সংখ্যাগতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। এটি অনুমান করা হয় যে একটি পরিণত বন চরম পরিবেশগত চাপের জন্য বেশি সংবেদনশীল।
বনাঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের উপাদানগুলি জটিল। বনমৃত্যু এবং পরিবেশের মধ্যে নির্দিষ্ট কারণ-প্রভাব সম্পর্কগুলি চিহ্নিত করাও একটি কঠিন প্রক্রিয়া। বছরের পর বছর ধরে, এ সম্পর্কে প্রচুর গবেষণা পরিচালিত হয়েছে এবং কিছু প্রকল্প নেয়া হয়েছে।যেমন:
অন্যান্য কিছু অনুমান বনমৃত্যুর কারণ এবং প্রভাবগুলি ব্যাখ্যা করতে পারে।১৯৮৮ সালে জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈজ্ঞানিক বিনিময়গুলির মধ্যে সম্মতি অনুযায়ী :
বনমৃত্যু অনেকগুলি ঘটনার কারণে ঘটতে পারে। তবে এটি একবার ঘটে গেলে তার ফলে কিছু নির্দিষ্ট পরিণতি হতে পারে।
বনমৃত্যুতে প্রধান অবদানকারী ঘটনা হলো গড় বার্ষিক তাপমাত্রা পরিবর্তন এবং খরা। বিশেষত অ্যামাজন এবং বোরিয়াল বনাঞ্চলে মৃত গাছ থেকে অধিক কার্বন নিঃসৃত হওয়ায় বায়ুমণ্ডলে আরও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়। গ্রীনহাউস গ্যাসের বর্ধিত মাত্রা বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। বনমৃত্যুর প্রভাব বিভিন্ন রকম হতে পারে, তবে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি কেবল বনমৃত্যুর হার বাড়িয়ে তুলবে।
|
1049750
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049750
|
কর্ণফুলী সরকারি কলেজ
|
কর্ণফুলী সরকারি কলেজ
কর্ণফুলী কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেটও ডিগ্রি পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৭৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ও ১৯৯১ সালে বি.এ(পাস) কোর্স খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049751
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049751
|
কাউখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজ
|
কাউখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজ
কাউখালী ডিগ্রি কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা, রাঙ্গামাটি অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও ডিগ্রি পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৯৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ও ২০১৩ সালে বি.এ(পাস) কোর্স খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049752
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049752
|
শক্তি ঠাকুর
|
শক্তি ঠাকুর
শক্তি ঠাকুর (১৯৪৭ - ৫ অক্টোবর ২০২০) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা, কৌতুক অভিনেতা এবং নেপথ্য সঙ্গীত শিল্পী। তিনি বহু বাংলা সিনেমার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হিন্দি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন এবং ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছেন। "তার কিছু ছবি —" "ইয়ে দেশ" (১৯৮৪), "আগুন" (১৯৮৮), "সজনী গো সজনী" (১৯৯৪) ইত্যাদি।
প্রথম জীবনে শক্তি ঠাকুর স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি নেপথ্য সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে তপন সিনহার "হারমোনিয়াম" চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। তারপর তিনি দাদার কীর্তি (১৯৮০) ও "ভালোবাসা ভালোবাসা" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং সফলতা পান। বেশিরভাগ ছবিতে তাকে কৌতুক অভিনেতা হিসাবেই দেখা গেছে।
শক্তি ঠাকুর ছিলেন প্রশিক্ষিত সঙ্গীত শিল্পী। তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, অজয় দাশ এবং আরডি বর্মণ প্রভৃতি সুরকারদের সুরারোপিত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে বিশিষ্ট সুরকার আরডি বর্মণ তাঁকে কুমার সানু, উদিত নারায়ণ এবং শৈলেন্দ্র সিংয়ের সাথে মিলিত ভাবে হিন্দি ছবি "ইয়ে দেশ" এ গান গাওয়ার সুযোগ দেন এবং এতেই তিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। কুমার সানুও প্রথম এই সংগীতেই আত্মপ্রকাশের সুযোগ পান। এর পরে, তিনি বহু বাংলা এবং হিন্দি চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাংলা ছবি "আগুন" এ দ্বৈত কণ্ঠে প্রবীণ সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমারের সাথে "খালি পেটে করলে ভোজন" গেয়েছিলেন।
শক্তি ঠাকুরের দুই কন্যা মেহুলি এবং মোনালি। জ্যেষ্ঠা কন্যা মেহুলি ঠাকুর রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী এবং কনিষ্ঠা মোনালি ঠাকুর এক জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেত্রী।
তিনি রাসায়ন বিজ্ঞান, অংক ও স্পোর্টস নিয়ে নেতাজি নগর বিদ্যামন্দিরে শিক্ষকতা করতেন!
২০২০ খ্রিস্টাব্দের ৫ অক্টোবর শক্তি ঠাকুর কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৩ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন।
|
1049753
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049753
|
কাচালং সরকারি ডিগ্রি কলেজ
|
কাচালং সরকারি ডিগ্রি কলেজ
কাচালং সরকারি ডিগ্রি কলেজ বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট ও ডিগ্রি পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৮২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ও ১৯৯৩ সালে বি.এ(পাস) কোর্স খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049754
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049754
|
কবিরহাট সরকারি কলেজ
|
কবিরহাট সরকারি কলেজ
কবিরহাট সরকারি কলেজ বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৬৯ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ২০১৭ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়।
|
1049759
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049759
|
সৈকত সরকারি কলেজ
|
সৈকত সরকারি কলেজ
সৈকত সরকারি কলেজ বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৯৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৯৭ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ২০১৩ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
|
1049761
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049761
|
আবদুল মোনেম লিমিটেড
|
আবদুল মোনেম লিমিটেড
আবদুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) একটি বাংলাদেশী অন্যতম বৃহত্তম শিল্প সংস্থা। এই সংস্থার শিল্পের মধ্যে রয়েছে পানীয়, চিনি পরিশোধন, ভোগ্য পণ্য, আবাসন, নির্মাণ সামগ্রী ইত্যাদি।
এএমএল প্রতিষ্ঠা করেন আবদুল মোনেম, যিনি বাংলাদেশের বেসরকারী খাতের একজন অগ্রগামী শিল্প নেতা ছিলেন। প্রবীণ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মোনেম ১৯৫৬ সালে এই শিল্প গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেন। এই গ্রুপটিতে বর্তমানে ২০ টিরও বেশি আলাদা সংস্থা সংযুক্ত রয়েছে। সংস্থাটি বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে। এটি বাংলাদেশে কোকাকোলার অফিসিয়াল বাজারজাত করে।
চিনির শোধনাগার
পানীয়
খাদ্য
আবাসন
আর্থিক প্রতিষ্ঠান
ফার্মাসিউটিক্যালস
বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল
নির্মাণ
|
1049764
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049764
|
থানা থেকে আসছি
|
থানা থেকে আসছি
থানা থেকে আসছি হল একটি জনপ্রিয় বাংলা রহস্য, রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন হীরেন নাগ। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৬৫ সালে ইউনাইটেড সিনে প্রোডিউসার ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি সংগীত পরিচালনা করেছিলেন তিমিরবরণ ভট্টাচার্য। এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার, মাধবী মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়, কমল মিত্র।
|
1049773
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049773
|
শরহে মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়াহ
|
শরহে মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়াহ
শারহুল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ বা শরহে মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়াহ বা সংক্ষেপে শরহে মাওয়াহিব হল ইসলামি পণ্ডিত মুহাম্মদ আল-জুরকানি রচিত একটি আট খন্ডের ভাষ্য গ্রন্থ , যা শিহাবুদ্দীন আল কাস্তালানী-এর লেখা আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াহ গ্রন্থের ভাষ্য।
|
1049780
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049780
|
সূর্যতপা
|
সূর্যতপা
সূর্যতপা হল একটি জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন অগ্রদূত। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৬৫ সালে এইচ. জি. প্রোডাকশান ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি সংগীত পরিচালনা করেছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার, সন্ধ্যা রায়, জহর রায়, পাহাড়ী সান্যাল।
|
1049782
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049782
|
গীতা জুতশি
|
গীতা জুতশি
গীতা জুতশি (জন্ম ২রা ডিসেম্বর ১৯৫৬) একজন প্রাক্তন ভারতীয় ট্র্যাক এবং ফিল্ড অ্যাথলেট। তিনি ৮০০ মিটার এবং ১৫০০ মিটার ইভেন্টে বেশ কয়েকটি জাতীয় এবং এশিয়ান রেকর্ড স্থাপন করেছিলেন।
১৯৮২ সালে মহিলাদের ৮০০ মিটার এবং ১৯৭৮ এবং ১৯৮২ -দুবারেই মহিলাদের ১৫০০ মিটার দূরপাল্লার দৌড়ে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন জুত্সি নয়াদিল্লিতে ১৯৮২ সালের এশিয়ান গেমসে শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিট হিসাবে তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের পক্ষে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। তার কৃতিত্বের জন্য তিনি অর্জুন পুরস্কার এবং পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি অন্যান্য ভারতীয় মহিলা অ্যাথলেটদের কাছে অনুপ্রেরণা স্বরূপ। যেমন সফলভাবে মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণকারী প্রথম ভারতীয় মহিলা বাচেন্দ্রী পাল তাকে রোল মডেল রূপে স্বীকার করেন। তিনি বলেন শৈশবেই প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে জুটশির একটি সংবাদপত্রের ছবি দেখে জাতীয় খ্যাতির আকাঙ্ক্ষা শুরু করেছিলেন।
গীতার প্রশিক্ষক ছিলেন মোহাম্মদ ইলিয়াস বাবর। যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ বছর থাকার পরে, তিনি ২০০২ সালের জুলাই মাসে ভারতে ফিরে এসে ভারতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স দলের (৮০০ মিটার এবং ১৫০০ মিটার) কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
|
1049790
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049790
|
রাজদ্রোহী (১৯৬৬-এর চলচ্চিত্র)
|
রাজদ্রোহী (১৯৬৬-এর চলচ্চিত্র)
রাজদ্রোহী হল একটি জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন নীরেন লাহিড়ী। এই চলচ্চিত্রটি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিখ্যাত উপন্যাস রাজদ্রোহী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল। এই চলচ্চিত্রটি ২৫ মার্চ ১৯৬৬ সালে বি. কে. প্রোডাকশান ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি সংগীত পরিচালনা করেছিলেন আলি আকবর খান। এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার, বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, রতন বন্দ্যোপাধ্যায়, অঞ্জনা ভৌমিক।
|
1049792
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049792
|
চেম্বরমবক্কম
|
চেম্বরমবক্কম
চেম্বরমবক্কম দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুভেলুর জেলার পুন্তমল্লী তালুকের অন্তর্গত একটি বৃহৎ গ্রাম। এটি ভৌগোলিকভাবে চেম্বরমবক্কম হ্রদের চারিদিকে এই জনবসতি অবস্থিত। এই গ্রামের উত্তর বরাবর রয়েছে চেন্নাই-বেঙ্গালুরু মহাসড়ক ও দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত রয়েছে কুন্দ্রতুর-শ্রীপেরুম্বুদুর সড়ক।
অনুন্নত নিকাশি ব্যবস্থার কারণে প্রতিবছর চেন্নাই শহরের দক্ষিণ পশ্চিম দিকের লোকালয়ে জলমগ্নতা দেখা যায়। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে বৃহত্তর চেন্নাই পৌরনিগমের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরও এই সমস্যার বিশেষ সমাধান হয় না। ২০২০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে স্থানীয়রা এই সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের দাবি পেশ করে। সরকারি আধিকারিকদের মতামত অনুসারে চেম্বরমবক্কম হ্রদ থেকে দক্ষিণে তাম্বরম পর্যন্ত একটি ১৩ কিলোমিটার পাইপলাইন তৈরীর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
চেম্বরমবক্কম হ্রদ পুলিয়ুর কোট্টম নামেও পরিচিত৷ চোল রাজাদের সময়কালে কাঞ্চী ছিল তণ্ডাইমণ্ডলমের রাজধানী৷ সেই সময়ে রাজ্য জুড়ে মোট চব্বিশটি এরকম উপযোগী বৃহদাকৃতি হ্রদ খনন করা হয়, যা কোট্টম নামে পরিচিত৷ হ্রদটি রাজরাজ চোলের পুত্র রাজেন্দ্র চোলের শাসনকালে খোদিত৷
দ্রুত অধঃক্ষেপনের ফলে হ্রদের সর্বোচ্চ জলধারণ ক্ষমতা বর্তমানে ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে৷ কন্নি কোয়িল নামে একটি প্রাচীন শিব মন্দির রয়েছে৷ ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে চেন্নাইতে জলসঙ্কটের সময়ে এই হ্রদটি শুকিয়ে যায়৷
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে চেম্বরমবক্কমের জনসংখ্যা হয় ৫,৭০৯ জন, যেখানে পুরুষ ২,৮৭৭ জন ও নারী ২,৮৩২ জন অর্থাৎ প্রতি হাজার পুরুষে ৯৮৪ জন নারী বাস, যা রাষ্ট্রীয় গড়ের তুলনায় অধিক। মোট শিশু সংখ্যা ৭৮২ জন যেখানে শিশুপুত্র সংখ্যা ৩৯০ জন এবং শিশুকন্যা সংখ্যা ৩৯২ জন। জনসংখ্যা অনুপাতে শিশু ১৩.৭০ শতাংশ। লোকালয়ের সাক্ষরতার হার ছিল ৮৩.৮৬ শতাংশ যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯০.২৭ শতাংশ ও নারী সাক্ষরতার হার ৭৭.৩৪ শতাংশ। এখানে মোট পরিবার সংখ্যা ১,৫০৩ টি। মোট তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি যথাক্রমে ১,৫৬৪ ও ৭০ জন। মোট শ্রমজীবী ২,১৩৩ জন।
|
1049797
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049797
|
দক্ষিণ ওশেতিয়ায় ইসলাম
|
দক্ষিণ ওশেতিয়ায় ইসলাম
দক্ষিণ ওশেতিয়ায় ইসলাম একটি সংখ্যালঘু ধর্ম। উত্তর ওশেটিয়া আলানিয়ার মতোই স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীরা লোকেরা মুসলিম ছিল না; কিন্তু সেখানে আগমনকারী অভিবাসী ও প্রবাসীরা ইসলামের প্রচার করেছে।
ইসলাম চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতকে ওশেটিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। কিছু সূত্রমতে বেশিরভাগ ওশেটীয় সমাজের উচ্চবিত্ত পরিবারগুলি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। তবে কৃষকরা খ্রিস্টধর্মীয় বিশ্বাসে থেকে গিয়েছিল।
সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকে দিগোরের (কাবার্ডের প্রভাবের) ওশেটীয়দের কিছু অংশ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল।
যদিও কোনো সরকারী আদমশুমারি সেখানে করা হয়নি, তবে একটি অনুমান অনুসারে দক্ষিণ ওশেটিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ০.৫% মুসলমান। সরকারী কর্মকর্তারা সন্দেহ করেন যে, রাশিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপের ফলে এই শতাংশ সম্ভবত বৃদ্ধি পেয়ে থাকবে।
|
1049799
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049799
|
তৌহিদুল ইসলাম গার্লস হাই স্কুল
|
তৌহিদুল ইসলাম গার্লস হাই স্কুল
তৌহিদুল ইসলাম গার্লস হাই স্কুল এবং সিক্সথ ফর্ম কলেজ (টিআইএইচএস) ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টির ব্ল্যাকবার্নের বেয়ার্ডউড অবস্থিত মেয়েদের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এটি দাতব্য সংস্থা তৌহিদুল ইসলাম ফেইথ, এডুকেশন অ্যান্ড কমিউনিটি ট্রাস্ট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল (বর্তমানে স্টার একাডেমি নামে পরিচিত)। এটি দাতব্য সংস্থার প্রধান স্কুল।
১৯৮৪ সালের সেপ্টেম্বরে ছয় জন শিক্ষক এবং ৯৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুলটি একটি স্বতন্ত্র বিদ্যালয় হিসাবে চালু হয়েছিল। বিদ্যালয়টি জানিয়েছিল যে তখন এর প্রথম ভবনটি "খুব পুরানো" ছিল।
২০০৫ সাল স্কুলটি উত্তর পশ্চিমের প্রথম মুসলিম রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছিল। এটি আগে একটি স্বতন্ত্র স্কুল ছিল। স্কুলটি লীগ টেবিলে একটি সাফল্য পেয়েছে। ২০০৭ সালে ৮২% শিক্ষার্থী পাঁচ বা তার বেশি জিসিএসই অর্জন করেছে যেখানে জাতীয় গড় ছিল ৪৬.৭%।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে স্কুলটি বিয়ারডউড অঞ্চলে একটি নতুন ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে একাডেমির স্কুলটি একাডেমির মর্যাদায় রূপান্তরিত হয়।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুলের সিক্সথ ফর্মের ১০% শিক্ষার্থী নিকাব পড়েন। একই মাসে "সানডে টাইমস" একটি শিরোনাম প্রকাশ করেছিল যে, স্কুলটি শিক্ষার্থীদের স্কুলের বাইরে হিজাব পরতে বাধ্য করে। এর উত্তরে অধ্যক্ষ মুফতি হামিদ প্যাটেল বলেছিলেন যে "এটা বলা সম্পূর্ণ ভুল যে শিক্ষার্থীদের স্কুলের বাইরে হিজাব পরতে 'বাধ্য' করা হয়।"
২০১৪ সালের অগাস্টে সানডে টাইমস 'তৌহিদুল ইসলাম গার্লস স্কুলে লক্ষণীয় রূপান্তর' বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং স্কুলটি কতগুলি পরিবর্তন করেছে তা তালিকাভুক্ত করে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: বাহ্যিক বক্তাদের জন্য কঠোর পরীক্ষণ নীতি, মেয়েদের আর হিজাব পরার প্রয়োজন নেই (যদি তারা না চায়) এবং সমস্ত ধর্মের একাধিক বক্তাকে শিক্ষার্থীদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ফলস্বরূপ এবং ২০১৪ সালের জুলাইয়ের অফস্টেড পরিদর্শনের নোটিশ বলে, স্কুলটি এখন শিক্ষা বিভাগের দ্বারা অন্যান্য ধর্মীয় বিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে, স্কুলটি ব্রিটিশ মুসলিম পুরস্কারে শিক্ষা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।
|
1049802
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049802
|
গুয়ামে ইসলাম
|
গুয়ামে ইসলাম
গুয়ামে ইসলামের উপস্থিতি সামান্য। এটির অবস্থান মঙ্গিলাওতে অবস্থিত দ্বীপটির একমাত্র মসজিদ, মসজিদ আল-নূরকে কেন্দ্র করে। গুয়ামে বিভিন্ন ধরনের পটভূমিতে মুসলমানদের উদ্ভব, ঐতিহ্যগতভাবে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো একইসাথে চামোরো ধর্মান্তরিত এবং মূল ভূখণ্ডের আমেরিকান উভয় থেকে।
|
1049820
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049820
|
আকিতা ফুটবল ক্লাব কাম্বিয়ারে
|
আকিতা ফুটবল ক্লাব কাম্বিয়ারে
আকিতা ফুটবল ক্লাব কাম্বিয়ারে (, ; সাধারণত এএফসি কাম্বিয়ারে অথবা কাম্বিয়ারে নামে পরিচিত) হচ্ছে আকিতা ভিত্তিক একটি জাপানি পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে জাপানের ষষ্ঠ স্তরের ফুটবল লীগ তোহোকু সকার লীগে প্রতিযোগিতা করে। এই ক্লাবটি ১৯৭৩ সালে আশিকাগা কোমুতেন কাওয়াবে ফুটবল ক্লাব নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কাম্বিয়ারে তাদের সকল হোম ম্যাচ আকিতার সোইয়ু স্টেডিয়ামে আয়োজন করে থাকে; যার ধারণক্ষমতা হচ্ছে ২০,১২৫। বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন হিরোইয়ুকি কিকুচি এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইকুও হোরি।
ঘরোয়া ফুটবলে, কাম্বিয়ারে এপর্যন্ত ৬টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ১টি তোহোকু সকার লীগ এবং ৪টি তোহোকু সকার লীগ (ডি২ উত্তর) শিরোপা রয়েছে। কাজুনারি সুগাওয়ারা, হিরোইয়ুকি কিকুচি, গো তোগাশি, জুম্পেই কুদো এবং তাকুইয়া ওনুমার মতো খেলোয়াড়গণ কাম্বিয়ারের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
|
1049823
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049823
|
উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস
|
উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস
উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস (, ; সাধারণত উরাওয়া রেডস নামে পরিচিত) হচ্ছে সাইতামা ভিত্তিক একটি জাপানি পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে জাপানের শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ জে১ লিগে প্রতিযোগিতা করে। এই ক্লাবটি ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উরাওয়া রেডস তাদের সকল হোম ম্যাচ সাইতামার সাইতামা স্টেডিয়াম ২০০২-এ আয়োজন করে থাকে; যার ধারণক্ষমতা হচ্ছে ৬৩,৭০০। বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন স্পেনীয় সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় রিকার্দো রদ্রিগেস সুয়ারেস এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কেইজো ফুচিতা। জাপানি মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ইয়ুকি আবে এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘরোয়া ফুটবলে, উরাওয়া রেডস এপর্যন্ত ২৩টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ৪টি জাপান সকার লিগ, ৪টি এম্পেরর'স কাপ এবং ১টি জাপানি সুপার কাপ শিরোপা রয়েছে। অন্যদিকে এশীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, এপর্যন্ত ৩টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ২টি এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ১টি সুরুগা ব্যাংক চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা রয়েছে। নোবিহিসা ইয়ামাদা, কেইতা সুজুকি, ইয়ুকি আবে, শিনজো কোরোকি এবং মাসাহিরো ফুকুদার মতো খেলোয়াড়গণ উরাওয়া রেডসের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
|
1049826
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049826
|
গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচ
|
গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচ
গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচ ( GAW ) বিশ্বব্যাপী একটি সিস্টেম যা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি জাতিসংঘ সংস্থা যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এর প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করে। এটি ১৯৬০ এর দশকে বায়ুমণ্ডলের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।
গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচের মিশনটি বেশ সোজা। এটি গঠিত হয়েছে তিনটি সংক্ষিপ্ত পয়েন্ট এর সমন্বয়ে:
GAW প্রোগ্রামটি ৮ টি কৌশলগত লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত:
অধিকন্তু, প্রোগ্রামটি কেবলমাত্র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পরিবর্তনগুলিই বোঝার চেষ্টা করে না। এটি এগুলির পূর্বাভাসও দেয় এবং সম্ভবত তাদের মানবিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণও করে।
ট্রেস রাসায়নিকের জন্য বায়ুমণ্ডল পরীক্ষা করার মূল কারণটি ছিল কেবল বৈজ্ঞানিক আগ্রহ, তবে অবশ্যই, অনেক বিজ্ঞানী অবাক হয়েছিলেন এটা দেখে যে এই ট্রেস রাসায়নিকগুলি বায়ুমণ্ডল এবং জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে।
GAW এর জেনেসিস ১৯৫০ এর দশকের মধ্যে শুরু হয়েছিল যখন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ট্রেস রাসায়নিকগুলির জন্য বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণের একটি প্রোগ্রাম শুরু করে এবং আবহাওয়া সম্পর্কিত দৃষ্টিকোণ থেকে বায়ু দূষণ নিয়ে গবেষণা করে।
তারা আন্তর্জাতিক জিওফিজিকাল ইয়ার এ, ১৯৫৭ সালে, গ্লোবাল ওজোন পর্যবেক্ষণ সিস্টেম (জিওএসওএস) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ওজোন নিরীক্ষণ করেছিল।
১৯৬৮ সালে, জাতিসংঘ দ্রুত শিল্পায়ন দ্বারা সৃষ্ট বিশ্ব পরিবেশগত সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ডাক দেয়। প্রায় এই সময়ে, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ব্যাকগ্রাউন্ড এয়ার পলিউশন মনিটরিং নেটওয়ার্ক নামের আরেকটি পরিবেশ গবেষণা সংস্থা স্থাপন করে। সম্মেলনটি ১৯৭২ সালে স্টকহোম এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং পরিবেশগত উদ্বেগের বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছিল। যথা:
প্রকৃতপক্ষে, এটি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার পাঠ এবং পর্যবেক্ষণ যা এই সম্মেলনে বিশিষ্টভাবে অঙ্কিত হয়েছিল। তাদের কাছে দেয়ার মতো সামান্যই সুসংবাদ ছিল।
GAW নিজেই শেষ পর্যন্ত ১৯৮৩ সালে GO3OS এবং ব্যাকগ্রাউন্ড এয়ার পলিউশন মনিটরিং নেটওয়ার্ককে একত্রিত করে নিজেকে তৈরি করেছিল। GAW পর্যবেক্ষণ স্টেশন এবং সমর্থনকারী সুবিধাদির একটি বিশ্বব্যাপী সিস্টেম নিয়ে গঠিত। এটি বায়ুমণ্ডলীয় মূল্যায়নের জন্য ডেটা সরবরাহ করে এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রাসায়নিক বা শারীরিক পরিবর্তন (যা পরিবেশ উদ্বেগের কারণ হতে পারে) এর জন্য প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণকারী হিসাবে কাজ করে। এই জাতীয় পরিবর্তন ওজোন স্তর ও তারপরে অতিবেগুনী স্তর, গ্রিনহাউস গ্যাসের স্তর বা বৃষ্টিপাতের রসায়ন যা বিশ্বের অ্যাসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী ইত্যাদির পরিবর্তনে জড়িত থাকতে পারে।
GAW বিভিন্ন উপাদানগুলির সমন্বিত সিস্টেম নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
৬৫ টিরও বেশি দেশ বর্তমানে GAW এর বৈশ্বিক বা আঞ্চলিক পরিমাপ স্টেশনগুলি হোস্ট করে এবং পরিচালনা করে। এছাড়াও "অবদানকারী স্টেশন" রয়েছে যা অতিরিক্ত তথ্য সরবরাহ করে। ইদানীং, উপগ্রহ প্রোগ্রামগুলিও GAW এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এরা স্থল পরিমাপের পরিপূরক বায়ুমণ্ডলীয় তথ্য সরবরাহ করে।
এরা সিস্টেমের দ্বারা উৎপাদিত সমস্ত ডেটা আন্তর্জাতিক মান পর্যন্ত পরিমাপ করার কাজ নিশ্চিত করে।
এটি অর্জন করা হয় বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা গোষ্ঠী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মানগুলির কঠোর অনুসরণ এবং বিশ্ব ক্যালিব্রেশন মানগুলির কঠোর প্রয়োগের আশ্বাসের মাধ্যমে। GAW প্রোগ্রামের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম যেমন শিক্ষা, কর্মশালা, ক্যালিব্রেশন স্টেশন পরিদর্শন ইত্যাদি। আরো অনেক কিছু সরবরাহ করা হয় এই প্রোগ্রামগুলির মাধ্যমে। এগুলো করা হয়ে থাকে GAW এর মানব উপাদানগুলির কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কারণ বেশিরভাগ স্টেশন এখন উন্নয়নশীল দেশ এ পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অঞ্চল্গুলিতে উচ্চতর শিক্ষা প্রায়শই একটি বিলাসিতা মাত্র যা শুধুমাত্র একটি ছোট অভিজাত মানবগোষ্ঠী উপভোগ করে থাকেন।
গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচ এ বর্তমানে ছয়টি ওয়ার্ল্ড ডেটা সেন্টার রয়েছে। প্রত্যেকে তার আয়োজক দেশ দ্বারা পরিচালিত। প্রত্যেক সেন্টার বিশ্বব্যাপী পরিমাপ স্টেশনগুলি থেকে বায়ুমণ্ডলীয় তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য এবং এটি বিজ্ঞানীদের কাছে বিভিন্ন আকারে বিনামূল্যে সহজলভ্য করার কাজ করে থাকে।
ছয়টি ডেটা সেন্টার হল:
বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা গোষ্ঠীগুলি (এসএজি) GAW প্রোগ্রাম পরিচালনা ও বাস্তবায়নের কাজ করে।
এর মধ্যে রয়েছে গুণগত ডেটা ও মানসম্মত অপারেটিং পদ্ধতি স্থাপন এবং এই জিনিসগুলি অর্জনের জন্য গাইডলাইন ও সুপারিশ প্রদান। পরিমাপের পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়াগুলি এসএজি-এর ডোমেনের মধ্যেও পড়ে। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে টুইনিং এবং প্রশিক্ষণের প্রচার করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও আনা হয়।
|
1049832
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1049832
|
বীরেশ্বর সরকার
|
বীরেশ্বর সরকার
বীরেশ্বর সরকার ব্রিটিশ ভারতে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন। পারিবারিক ব্যবসা কলকাতা শহরে সোনা-জহরতের। কিন্তু সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ আর চলচ্চিত্রের প্রতি ছিল অগাধ ভালোবাসা। তবে তাঁর মধ্যে ছিল বড় একগুঁয়েমি ভাব। তিনি নিজের প্রযোজিত ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবিতে কাজ করবেন না। আর হাজার অনুরোধ সত্বেও কাজ করেননিও। বীরেশ্বর সরকারের সোনা দোকানের উপরে থাকতেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে বীরেশ্বরের গভীর বন্ধুত্ব ছিল। তাঁর অনুরোধেও তিনি অন্যের ছবিতে সুর না দেওয়ার প্রতিজ্ঞা থেকে সরে আসেন নি। দ্বিজেন ছাড়াও সুরকার সুধীন দাশগুপ্ত ও রতু মুখোপাধ্যায়ের সাথেও ছিল তাঁর দারুণ বন্ধুত্ব। বীরেশ্বরের এক গুয়েমির কারণে তার বেশি অবদান তেমন নেই বললেই চলে। তবে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, কিশোর কুমার, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, প্রমুখ স্বনামধন্য গায়ক গায়িকা তাঁর সুরে কণ্ঠ দিয়েছেন। আর তাতেই সৃষ্টি হয়েছিল 'কে জানে ক' ঘণ্টা', 'বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি এ কোন অপরূপ সৃষ্টি', 'আমার নাম এন্টনি', 'হতাম যদি তোতাপাখি', 'আহা কি দারুণ দেখতে', বা 'এক যে ছিল রাজকন্যে' মতো কালজয়ী গান, যা আজো সমানভাবে জনপ্রিয়। ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য রচনাও তিনিই করতেন। যে তিনটি ছবি তিনি প্রযোজনা করেন সেগুলি হল -
নিম্নের চলচ্চিত্র অনুযায়ী সমস্ত গানগুলির সুরকার ছিলেন তিনি -
প্রতিভাবান সুরকার বীরেশ্বর সরকার ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন।
|
1050058
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050058
|
২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারত
|
২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারত
টোকিওর ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারত অংশ গ্রহণ করেছে। মূলত ২০২০র ২৪শে জুলাই থেকে ২০শে আগস্ট এর মধ্যে অলিম্পিকের আয়োজনকাল নির্ধারিত হওয়ার পরে, কোভিড-১৯ মহামারীজনিত কারণে ক্রীড়াটি ২০২১ য়ের ২৩শে জুলাই থেকে ৮ই আগস্ট পুনর্নির্ধারিত করা হয়েছে। প্যারিসে আয়োজিত ১৯০০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে প্রথমবার অংশগ্রহণ করে ভারতীয় দল এবং ১৯২০ থেকে ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের প্রতিটি সংস্করণে অংশ নিয়েছেন।
টোকিও অলিম্পিক ২০২০ এর জন্য কোটা স্থান অর্জনকারী প্রতিযোগীদের তালিকা নিচে দেওয়া হয়েছে। ৪ঠা জুলাই, ২০২১-য়ের হিসেবে ১১৭ জন ক্রীড়াবিদ সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
তিনজন ভারতীয় পুরুষ তীরন্দাজ নেদারল্যান্ডসের 'স-হার্টোজেনবোস্কে ২০১৮ সালের বিশ্ব তীরন্দাজি চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে পুরুষদের ইভেন্টের জন্য যোগ্যতা বা কোটা অর্জন করেছিলেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৯ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ডে আরও একজন ভারতীয় মহিলা তীরন্দাজ শ্যুট অফ জয় অর্জন করে কোটা জয় করেন।
২০২১ সালের ৮ ই মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণ তীরন্দাজ দল ঘোষণা করা হয়েছিল, অভিজ্ঞ তরুনদীপ রাই এবং বিশ্ব-নয় নম্বর সিড দীপিকা কুমারী তাদের তৃতীয় অলিম্পিকে শ্যুটিংয়ের লড়াইয়ে নামবেন।
ভারতীয় অ্যাথলিটরা নিম্নলিখিত ট্র্যাক এবং মাঠের ইভেন্টগুলিতে যোগ্যতার সাথে বা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে প্রবেশের মানগুলি আরও অর্জন করেছেন (প্রতিটি ইভেন্টে সর্বোচ্চ ৩ জন অ্যাথলিট):
ভারত দুই দশকে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক অশ্বারোহণ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কোটা অর্জন করেছে; গ্রুপ জি (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়া) এর পৃথক এফআইআই অলিম্পিক র্যাঙ্কইং্যে শীর্ষ দুটি গ্রুপে শেষ করে।
ভারত প্রথমবারের মতো অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় ফেন্সিংএ সরাসরি অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এফআইই অ্যাডজাস্টেড অফিসিয়াল র্যাঙ্কিংয়ে এশিয়া ও ওশেনিয়া থেকে দু'জন সর্বোচ্চ তালিকাভুক্ত ফেন্সারের মধ্যে সিএ ভবানী দেবী একজন। তাই ভবানী দেবী সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ অর্জন করেছেন
মহিলাদের শৈল্পিক জিমন্যাস্টিক
মহিলাদের জুডো
ভারতীয় শুটাররা ২০১৯ সালের আইএসএসএফ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১৮ আইএসএসএফ বিশ্বকাপ সিরিজ এবং ২০১৯ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তাদের সেরা ফাইনাল অর্জনের কারণে নিম্নলিখিত ইভেন্টের জন্য কোটা স্থান অর্জন করেছে
সজন প্রকাশ প্রথম ভারতীয় রূপে 'এ' টাইম অর্জন করে পুরুষদের ২০০ মিটার বাটারফ্লাইতে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। ইতালির রোমে আয়োজিত সেত্তে কোলি ট্রফিতে ১:৫৬:৩৮ সেকেন্ডে সাঁতার শেষ করে তিনি সরাসরি অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার সুযোগ অর্জন করেছেন। শ্রীহরি নটরাজও 'এ' টাইম অর্জন করে সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে মানা প্যাটেল অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্যে ভারতের একজন মাত্র ভারোত্তোলক সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
ভারত পুরুষদের লাইটওয়েট দ্বৈত স্কালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাপানের টোকিওতে আয়োজিত ২০২১ ফিসা এশিয়া ওশেনিয়া কোয়ালিফিকেশন রিগাট্টাতে রৌপ্য পদক জিতে এবং তিনটি বার্থের প্রথমটি অর্জন করে একটি নৌকোর কোটাস্থান অর্জন করেছে।
২০২১ সালের ১১ই মে প্রকাশিত বিডাব্লুএফ রেস টু টোকিও র্যাঙ্কিংয়ের উপর ভিত্তি করে অলিম্পিক টুর্নামেন্টে ভারত নিম্নলিখিত ইভেন্টগুলির জন্য চারজন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের দল পাঠাতে চলেছে।
|
1050080
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050080
|
সীমা বিসলা
|
সীমা বিসলা
সীমা বিসলা একজন ভারতীয় মহিলা কুস্তিগির। তিনি ২০২১-য়ের এশীয় রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৫০ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ পদকপ্রাপ্ত। ২০২১ সালের মে মাসে বুলগেরিয়ার সোফিয়াতে বিশ্ব অলিম্পিক যোগ্যতা অর্জন টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তিনি জাপানের টোকিওতে ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছেন।
হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত ২০১৮ বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে মহিলাদের ৫৫ কেজি ইভেন্টে তার প্রথম ম্যাচে তিনি হেরে গিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান। তিনি কাজাখস্তানের নুর-সুলতানে অনুষ্ঠিত ২০১৯ বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে মহিলাদের ৫০ কেজি ইভেন্টেও অংশ নিয়েছিলেন।
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে, তিনি জাপানের টোকিওতে ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতার প্রত্যাশায় কাজাখস্তানের আলমাতিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান অলিম্পিক যোগ্যতা টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি এই টুর্নামেন্টে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন নি তবে কয়েক দিন পরে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত ২০২১ সালের এশীয় কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে মহিলাদের ৫০ কেজি ইভেন্টে তিনি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। ২০২১ সালের মে মাসে, তিনি ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশ নিতে বুলগেরিয়ার সোফিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব অলিম্পিক যোগ্যতা টুর্নামেন্টে যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।
|
1050084
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050084
|
২০২১ ভারত ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর
|
২০২১ ভারত ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর
ভারত ক্রিকেট দল তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং তিনটি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক খেলার জন্য শ্রীলঙ্কা সফর করে, যা জুলাই ২০২১-এ অনুষ্ঠিত হয়।
|
1050096
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050096
|
ফিল্ড মার্শাল (পাকিস্তান)
|
ফিল্ড মার্শাল (পাকিস্তান)
ফিল্ড মার্শাল ( ; বা ক্ষেত্র-মার্শাল, সংক্ষেপে এফ এম বা FMoP) হলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি পাঁচ তারকা ও সর্বোচ্চ পদমর্যাদা যা পাকিস্তান সরকার থেকে সেনাবাহিনী প্রধানকে বিশেষ স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়। এটি পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ পদ এবং জেনারেল, পাকিস্তান বিমান বাহিনী এয়ার চিফ ও পাকিস্তান নৌবাহিনীর অ্যাডমিরালের চেয়েও ঊর্ধ্বে এবং কারোর অধীন নয়। যদিও এটি একটি বর্তমান ও অনুমোদিত পদ যার বেতন গ্রেড “অ্যাপেক্স স্কেল”-এ পড়ে, তবে এটি ইতিহাসে একবারই শুধু ব্যবহার হয়েছে। আইয়ুব খান, যিনি ১৯৬৫ সালে এই পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এটি কোনও অতিরিক্ত ক্ষমতা এবং বেতন গ্রেডের সাথে আসে না, তবে ন্যাটো'র সমমানের র্যাঙ্ক কোড অফ -১০ সহ একটি সম্মানজনক পদমর্যাদায় আসে। এটি বহর অ্যাডমিরালের সমতুল্য, এবং যদিও এটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সাধারণভাবে সিনিয়র পদমর্যাদার, অন্য সেনা ইনজিনিয়াস থেকে আলাদা করার জন্য এটি পাঁচতারা সাধারণ "স্ট্যান্ডার্ড র্যাঙ্ক স্কেল" হিসাবে উল্লেখ করা যেতে পারে।
যদিও পাঁচতারা মাঠের মার্শাল কোনও অতিরিক্ত ক্ষমতা অনুমান করে না, তবে অসাংবিধানিক রাজনৈতিক আন্দোলন এবং সামরিক একনায়ক, বিশেষত একটি ফিল্ড মার্শাল দ্বারা অগ্রহণযোগ্য ক্ষমতা ব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াই করা সরকারের পক্ষে কঠিন কাজ হতে পারে।
যেহেতু পাকিস্তান একটি সার্বভৌম রাজ্যে পরিণত হয়েছিল, পাঁচ তারকা মাঠের মার্শাল পদটি কেবল দুইবার দেওয়া হয়েছিল। প্রথমবার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জেনারেল আইয়ুব খানকে দেওয়া হয়েছিল যিনি ১৯৬৫ সালে তিনি যখন দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তখন নিজেকে ফিল্ড মার্শাল হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন।
২০১৬ সালে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাহিল শরীফকে পাঁচ তারকা ফিল্ড মার্শাল র্যাঙ্ক প্রদান করার প্রস্তাব করেছিলেন, তবে পরে প্রস্তাবটি অজানা বিষয় নিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন।
২০২৫ সালে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল র্যাঙ্কে পদন্নোতি দেওয়া হয়। অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস-এ নেতৃত্ব প্রদানের জন্য তাকে এটি দেওয়া হয়
পাঁচ-তারকা মাঠের মার্শাল নিয়োগের বিষয়টি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দ্বারা রাষ্ট্রপতি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাথে যৌথ প্রয়াসে সুপ্রিম কোর্ট বা উচ্চ আদালতে সংবিধানের আদেশের জন্য কিছু বিধি ও বিধি মোতাবেক যৌথ প্রয়াসে পর্যালোচনা অনুরোধের জন্য জমা দেওয়া আপিলের মাধ্যমে করা হয়েছে, যদিও রাষ্ট্রপতি কমান্ডার-ইন-চিফের ক্ষমতা প্রয়োগ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদকে শাসন করেন।
যদিও পাঁচতারা মাঠের মার্শাল র্যাঙ্কটি কেবল একবার দেওয়া হয়েছিল, এমন কোনও প্রমাণ নেই যা কোনও ফিল্ড মার্শালের বিধিবদ্ধ সীমা স্থাপন করতে পারে। তবে, পাকিস্তানের আইন কোনও ফিল্ড মার্শাল বা জেনারেল দ্বারা অগ্রহণযোগ্য ক্ষমতার ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে এবং একটি নির্দিষ্ট সাংবিধানিক সংশোধনীতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
|
1050101
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050101
|
শিবপাল সিং
|
শিবপাল সিং
শিবপাল সিং (জন্ম: ৬ই জুলাই ১৯৯৫) একটি ভারতীয় বর্শা নিক্ষেপকারী ।
তিনি ২০১৮ এশিয়ান গেমসে অষ্টম স্থান অর্জন করেছিলেন এবং ২০১৯ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য পদক জিতেছেন।
তাঁর ব্যক্তিগত সেরা থ্রোটি ৮৬.২৩ মিটার যা দোহার ২০১৯ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অর্জন।
২০১৬ সালে, শিবপাল সিং হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট ওপেন অ্যাথলেটিকসে পুরুষদের বর্শা নিক্ষেপ বিভাগে জিতেছিলেন। ২০১৫ সালে, তিনি জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নির্বাচিত হয়েছিলেন তবে চোটের কারণে তাকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
|
1050112
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050112
|
ফৌয়াদ মির্জা
|
ফৌয়াদ মির্জা
ফৌয়াদ মির্জা (জন্ম- ৬ই মার্চ ১৯৯২) একজন ভারতীয় অশ্বারোহী যিনি ২০১৮ এশিয়ান গেমসে একক ইভেন্ট এবং দল দুটিতেই রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। তিনি ১৯৮২ সালের পর এশিয়ান গেমসে খেলাধুলার একটি একক ইভেন্টে পদকজয়ী প্রথম ভারতীয় ।
২০১৯-য়ের অক্টোবরে, তিনি পোল্যান্ডের স্ট্রজেগমে অনুষ্ঠিত সিসিআই 3 * -এস ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন।
২০২০ সালের ৭ই জানুয়ারী, মির্জা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, ওশেনিয়া গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জনের পরে অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন। গত দুই দশকে ভারত অশ্বারোহণে প্রথম কোন কোটা অর্জন করল।
|
1050121
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050121
|
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ
|
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ হ'ল দক্ষিণ মহাসাগরের সমুদ্রের বরফ। এটি শীতে সুদূর উত্তর থেকে প্রসারিত এবং প্রতি গ্রীষ্মে প্রায় উপকূলরেখায় ফিরে আসে এবং সমুদ্রের বরফ গলে যাওয়ার কারণে প্রতি বছর উপকূলরেখার কাছাকাছি পৌঁছায়। সমুদ্রের বরফ হলো হিমায়িত সমুদ্রের জল, যা সাধারণত কয়েক মিটারের চেয়ে কম পুরু হয়। এটি বরফের স্তরের বিপরীত, যা হিমবাহ দ্বারা গঠিত হয়, যা সমুদ্রে ভেসে বেড়ায় এবং প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হয়। সমুদ্রের বরফের দুটি উপ-বিভাগ রয়েছে: দ্রুত বরফ, যা জমির সাথে সংযুক্ত; এবং ভাসমান তুষারস্তর, যা নয়।
দক্ষিণ মহাসাগর থেকে আসা সমুদ্রের বরফটি আর্টিকের বরফের মতো পৃষ্ঠের পরিবর্তে নীচ থেকে গলে যায়, কারণ এটি উপরে তুষারে ঢাকা থাকে। ফলস্বরূপ, গলিত পুকুর খুব কমই দেখা যায়। গড়ে অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ আর্কটিক সমুদ্রের বরফের চেয়ে কম বয়স্ক, পাতলা, উষ্ণ, লবণাক্ত এবং বেশি সচল। যেহেতু আর্কটিকের বরফের তুলনায় সমুদ্রের বরফ খুব ভালভাবে অধ্যয়ন করা হয় না, এটি কম সুলভ।
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের আবরণ অত্যন্ত মৌসুমী, অস্ট্রেলীয় গ্রীষ্মে খুব সামান্য বরফ থাকে, যা শীতকালে অ্যান্টার্কটিকার সমান অঞ্চলে প্রসারিত হয়। সেপ্টেম্বরের সময় এর শীর্ষ হয় (~ ১৮ × ১০^৬ কিমি^২) যা অস্ট্রেলিয়ান শীতের শেষ চিহ্নিত করে এবং সর্বনিম্ন (~ ৩ × ১০^৬ কিলোমিটার^২) হয় ফেব্রুয়ারিতে। ফলস্বরূপ, বেশিরভাগ অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ প্রথম বর্ষের বরফ, কয়েক মিটার ঘন, তবে এর সঠিক পুরুত্বটি জানা যায়নি। বরফের ১৮ মিলিয়ন কিলোমিটার^2 এর ক্ষেত্রফল ১৮ ট্রিলিয়ন বর্গমিটার, সুতরাং প্রতিটি মিটার পুরুত্বের জন্য, বরফের ঘনত্ব প্রায় ০.৮৮ টেরেটোনস/মিলিয়ন কিমি ^ ৩, শীতের শেষের দিকে অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের শীর্ষ মিটারের ভর হ'ল প্রায় ১৬ টেরেটোনস (ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন)।
যেহেতু অ্যান্টার্কটিক উপকূলের সমুদ্র সাধারণত তার উপরের বাতাসের চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ থাকে, তাই সমুদ্রের বরফের পরিমাণটি মূলত বায়ু এবং স্রোত দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যা এটিকে উত্তর দিকে ঠেলে দেয়। যদি একে দ্রুত ঠেলে দেওয়া হয় তবে বরফ গলে যাওয়ার আগে আরও অনেক উত্তরে যেতে পারে। উত্তর-দিকে চলমান বরফটি খোলা জলের অঞ্চল (উপকূলীয় সুপ্ততাপ পলিনিয়াস) ছেড়ে দেয় বলে বেশিরভাগ বরফ উপকূল অঞ্চলে তৈরি হয়, যা দ্রুত শীতল হয়ে যায়।
যেহেতু অ্যান্টার্কটিক বরফটি মূলত প্রথম বর্ষের বরফ, যা বহু বছরের বরফের মতো ঘন নয়, এটি সাধারণত কয়েক মিটারের চেয়ে কম পুরু হয়। তুষারপাত এবং বরফ বন্যা একে যথেষ্ট ঘন করতে পারে এবং অ্যান্টার্কটিক বরফের স্তর কাঠামো প্রায়শই জটিল হয়।
অ্যান্টার্কটিকার আশেপাশে বহিরাগত ঘূর্ণিঝড় এবং প্রতীপ ঘূর্ণিঝড়গুলির সংখ্যা আঞ্চলিক পরিবর্তনের সাথে সংযুক্ত যা বাতাসের ধরনে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো কিছু অঞ্চলে সমুদ্রের বরফকে আরও উত্তরে সজ্জিত করেছে এবং অন্যদের তুলনায় উত্তরে নয় (চিত্র দেখুন)। নিট পরিবর্তন হলো অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের সামান্য বৃদ্ধি (আর্কটিক মহাসাগরের মতো নয় যা সমুদ্রের বরফের অঞ্চলে অনেক বেশি পরিমাণ হ্রাস দেখাচ্ছে)। দক্ষিণ মহাসাগর উষ্ণতর হওয়ায় সমুদ্রের বরফের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এটা বোঝায় না যে দক্ষিণ মহাসাগর শীতল হচ্ছে।
আইপিসিসি এআর৫ রিপোর্টে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে "এটি "খুব সম্ভবত" " যে ১৯৭৯ সাল থেকে ২০১২ সালে বার্ষিক গড় অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের পরিমাণ প্রতি দশকে ১.২ থেকে ১.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ০.১৩ থেকে ০.২০ হয় মিলিয়ন কিমি হয়। আইপিসিসি এআর৫ এছাড়াও এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে সমুদ্রের বরফের মোট আয়তন বা ভরগুলির প্রবণতা নির্ধারণের জন্য তথ্যের অভাব রয়েছে। সমুদ্রের বরফের অঞ্চল বৃদ্ধির সম্ভবত বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এগুলি দক্ষিণ গোলার্ধী পশ্চিমা বাতাসের পরিবর্তনের সাথে একত্র, যা প্রাকৃতিক পরিবর্তনশীলতার সাথে এবং গ্রিনহাউস গ্যাস এবং ওজোন গর্ত থেকে জোর করে পরিবর্তনের সংমিশ্রণ। আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হ'ল বরফের স্তরগুলি গলানো, যা সমুদ্রে মিঠা পানির পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে; এটি দুর্বল স্তরযুক্ত সমুদ্রের পৃষ্ঠের স্তরকে বৃদ্ধি করে এবং তাই উষ্ণ পৃষ্ঠতলের পৃষ্ঠে পৌঁছানোর ক্ষমতা হ্রাস করে। ২০১৫ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে জলবায়ু মডেলগুলিতে এই প্রভাব ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তনের অনুকরণে চালিত হয়, ফলে শীতের মাসগুলিতে সমুদ্রের বরফের বৃদ্ধি ঘটে।
বায়ুমণ্ডলীয় এবং মহাসাগরীয় চালকরা সম্ভবত অ্যান্টার্কটিক সমুদ্র-বরফের পরিমাণে অঞ্চলগতভাবে বিভিন্ন প্রবণতা গঠনে অবদান রেখেছেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৭৯-২০০৪ সময়কালে বায়ুমণ্ডল এবং দক্ষিণ মহাসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, দুর্বল স্তরযুক্ত মহাসাগরের কারণে সমুদ্রের বরফ গলে যাওয়ার চেয়ে দ্রুত তৈরী হয়। সুতরাং, এই মহাসাগরীয় প্রক্রিয়াটি, অন্যদের মধ্যে, নেট বরফের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে, সম্ভবত আরও বেশি সমুদ্রের বরফ তৈরি করে। যদিও পুরুত্ব পর্যবেক্ষণগুলি সীমিত, মডেলিং থেকে জানা যায় যে উপকূলীয় অঞ্চলগুলির দিকে লক্ষ্য করা বরফ-প্রবাহ শরৎ এবং শীতের সময় গতিময় সমুদ্র-বরফ ঘন হওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অবদান রাখে। এক্সট্রাট্রপিকাল ঘূর্ণিঝড়, প্রতীপ ঘূর্ণিঝড় এবং ব্লকগুলির সংখ্যায় শরৎকাল এবং বসন্তের প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করে, যা একটি শক্তিশালী তাপবিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করে এবং বরফ-প্রবাহের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী গতিশীল নিয়ন্ত্রণ থাকে। ফলস্বরূপ, আবহাওয়া ব্যবস্থার আশেপাশে সজ্জিত কাছাকাছি পৃষ্ঠের বাতাস অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্র-বরফের প্রবণতাগুলির বৃহৎ অংশগুলো ব্যাখ্যা করতে পারে বলে মনে করা হয়।
উপরে উল্লেখিত হিসাবে সমুদ্রের বরফে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ার পরে, দক্ষিণ গোলার্ধের বসন্তে (যেমন- সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং নভেম্বর) ২০১৬ সালে অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের পরিমাণ দ্রুত হ্রাস পেয়েছে।
সমুদ্রের বরফের পরিবর্তনগুলি পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি এখানে বাস করা মনোবিজ্ঞানগুলিকে প্রভাবিত করে।
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের পরিবর্তনগুলি বায়ুমণ্ডলীয় এবং মহাসাগরীয় সঞ্চালনের জন্য জড়িত থাকার কারণেও গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রের বরফ তৈরি হয়ে গেলে, এটি লবণকে প্রত্যাখ্যান করে (সমুদ্রের জল লবণাক্ত তবে সমুদ্রের বরফটি মূলত সতেজ) ঘন নোনা জল তৈরি করে, যা ডুবে যায় এবং অ্যান্টার্কটিক নিচে জলের গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
বরফের চলন শক্তি বিবেচনাযোগ্য; এটি বরফে আটকে পড়া জাহাজগুলিকে চূর্ণ করতে পারে এবং গ্রীষ্মে এমনকি জাহাজগুলি যে স্থলে পৌঁছতে পারে সেগুলি কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করে। আইসব্রেকার, আইসপোর্ট এবং আইস জেটিগুলি জমি সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয়।
|
1050134
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050134
|
ফিল্ড মার্শাল (ভারত)
|
ফিল্ড মার্শাল (ভারত)
ফিল্ড মার্শাল (সংক্ষেপে এফএম) হচ্ছে ভারতের পাঁচ-তারকা জেনারেল অফিসার পদ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অর্জনযোগ্য সর্বোচ্চ পদমর্যাদা। ফিল্ড মার্শালকে জেনারেলের ঠিক উপরে স্থান দেওয়া হয়, তবে নিয়মিত সেনা কাঠামোতে এটি ব্যবহৃত হয় না। এটি মূলত একটি আনুষ্ঠানিক বা যুদ্ধকালীন পদমর্যাদা তথা র্যাঙ্ক। ভারতে কেবল দুজন সেনা কর্মকর্তাকে এই পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ফিল্ড মার্শালের পদমর্যাদাচিহ্নের প্রশস্ত দিকে একটি পদ্ম ফুলের পুষ্পস্তবক বেষ্টিত আড়াআড়ি ছেদ করা লাঠি ও বাঁকা তলোয়ার এবং এর উপরে ভারতের জাতীয় প্রতীক তথা অশোকের সিংহস্তম্ভ রয়েছে।
শ্যাম মানেকশ’ হচ্ছেন ভারতের প্রথম ফিল্ড মার্শাল। ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারিতে তিনি এই পদকে ভূষিত হন। দ্বিতীয় জন হচ্ছেন কোদানদেরা মদপ্পা কারিয়াপ্পা। ১৯৮৬ সালের ১৫ জানুয়ারিতে তিনি এই পদমর্যাদা অর্জন করেন।
ফিল্ড মার্শাল ভারতীয় নৌবাহিনীতে অ্যাডমিরাল অফ দ্য ফ্লিট এবং বিমানবাহিনীতে "মার্শাল অফ দ্য (ইন্ডিয়ান) এয়ার ফোর্সের" সমতুল্য। এখন পর্যন্ত নৌবাহিনীতে কাউকেই অ্যাডমিরাল অফ দ্য ফ্লিট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি, তবে বিমানবাহিনীতে অর্জন সিংহকে মার্শাল অফ দ্য এয়ার ফোর্স পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল।
এখন পর্যন্ত কেবল দুইজন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাকে এই পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে দায়িত্ব ও নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে শ্যাম মানেকশ’কে এই পদে ভূষিত করা হয়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মানেকশ’কে ফিল্ড মার্শালে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেন এবং একইসময়ে তাকে চিফ অফ দ্য ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) পদে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সরকারি আমলা এবং নৌ ও বিমান বাহিনীর কমান্ডারদের একাধিক আপত্তির পরে এই নিয়োগ বাতিল করা হয়। ১৯৭৩ সালের ৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান (চিফ অফ আর্মি স্টাফ) হিসাবে দায়িত্ব সমাপ্তির পর মানেকশ’কে ফিল্ড মার্শাল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এটি প্রথম নিয়োগ হওয়ায় প্রতীক ও ফিতাসহ পদমর্যাদার বেশ কয়েকটি মাপকাঠি তখনও তৈরি করা হয়নি। মানেকশ’র নিয়োগের কয়েক সপ্তাহ আগে দিল্লি সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর কর্মশালায় ফিল্ড মার্শালের পদমর্যাদার প্রতীক তৈরি করা হয়। তারা ব্রিটিশ ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদাচিহ্ন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।
এই পদে ভূষিত হওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছেন কোদানদেরা মদপ্পা কারিয়াপ্পা। তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান (কমান্ডার-ইন-চিফ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। শ্যাম মানেকশ’ অবসর গ্রহণের ঠিক আগে এই পদমর্যাদায় ভূষিত হলেও কারিয়াপ্পা নিয়োগের পূর্বেই ১৯৫৩ সালে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। একজন ফিল্ড মার্শাল যেহেতু কখনোই অবসর নেন না, তাই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই পদমর্যাদা দেওয়া যায় না। জাতির প্রতি তার আদর্শিক সেবার কৃতজ্ঞতার প্রতীক হিসেবে ভারত সরকার এই পদবি প্রদানের পূর্ব-প্রতিষ্ঠিত যোগ্যতার শর্তসমূহ বাতিল করে। প্রথা ভেঙ্গে পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অবসর প্রাপ্ত কারিয়াপ্পাকে ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদা প্রদান করে।
ফিল্ড মার্শাল হচ্ছে পাঁচ-তারকা পদ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অর্জনযোগ্য সর্বোচ্চ পদ। পদটিকে জেনারেলের উপরে স্থান দেওয়া হলেও নিয়মিত সেনা কাঠামোতে এটি ব্যবহার হয় না। এটি মূলত একটি আনুষ্ঠানিক বা যুদ্ধকালীন পদমর্যাদা, যা শুধু দুইজনকে প্রদান করা হয়েছে।
একজন ফিল্ড মার্শাল চার-তারকা জেনারেলের পুরো বেতন পান এবং তাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একজন সার্ভিসিং অফিসার হিসাবে বিবেচিত হন। তারা সবধরণের আনুষ্ঠানিক পরিবেশে পূর্ণ সামরিক পোশাক পরেন। এছাড়াও তারা একটি সচিবালয় নিয়ে সেনা সদর দপ্তরে একটি কার্যালয় পরিচালনা করেন।
ফিল্ড মার্শালের পদমর্যাদাচিহ্নের (ইনসিগনিয়া) প্রশস্ত দিকে একটি পদ্ম ফুলের পুষ্পস্তবক বেষ্টিত আড়াআড়ি ছেদ করা লাঠি ও বাঁকা তলোয়ার এবং এর উপরে ভারতের জাতীয় প্রতীক তথা অশোকের সিংহস্তম্ভ রয়েছে।
নিয়োগের সময় ফিল্ড মার্শালকে অগ্রভাগ স্বর্ণে মোড়ানো একটি লাঠি দেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিক পরিবেশে তারা এটি বহন করে থাকেন। এই পদের তারকা পদমর্যাদাচিহ্ন লাল পটির উপরে পাঁচটি সোনালি তারা নিয়ে গঠিত। এটি গাড়ির সামনে লাগানো ছোট পতাকা, পদমর্যাদা পতাকা এবং সামরিক পোশাকের কলারে ব্যবহৃত হয়।
শ্যাম মানেকশ’, এমসি (১৯১৪–২০০৮), হচ্ছেন প্রথম ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা যিনি ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি "শ্যাম বাহাদুর" ("শ্যাম দ্য ব্রেভ") নামেও পরিচিত ছিলেন। ১৯৩৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সেনা একাডেমির মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তবে দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট হিসেবে তার সেনা নথিতে তা লিখা হয়েছিলো ১৯৩৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। তার বিশিষ্ট সামরিক কর্মজীবন চার দশক ও পাঁচটি যুদ্ধ জুড়ে বিস্তৃত ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে তার যুদ্ধ জীবনের সূচনা হয়। তিনি প্রথমে রয়্যাল স্কটসের ২য় ব্যাটালিয়নের সাথে সংযুক্ত হন, এবং পরে দ্বাদশ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টের ৪র্থ ব্যাটালিয়নে নিযুক্ত হন, যা সাধারণত ৫৪তম শিখ নামে পরিচিত। দেশভাগের পর তাকে ষোড়শ পাঞ্জাব রেজিমেন্টে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়।
১৯৬৯ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৮ম সেনাপ্রধান (সিওএএস) হিসেবে উন্নীত হন এবং তার নেতৃত্বে ভারতীয় বাহিনী ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করে। যুদ্ধটি ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ দিন ধরে চলে। এটি ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম যুদ্ধগুলোর মধ্যে একটি। একই সাথে এর সমান্তরালে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে চলমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ফলে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব সহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী ঢাকায় আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। সেদিন ৯৩ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে, যা ইতিহাসের বৃহত্তম আত্মসমর্পণের মধ্যে একটি হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। যদিও পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান আত্মসমর্পণের পক্ষে ছিলেন না, কিন্তু তার সৈন্যদের জীবন রক্ষার্থে তাকে রাজি হতে হয়েছিল। এই যুদ্ধে মানেকশ’র চৌকস সামরিক নেতৃত্বে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিষ্পত্তিমূলক ফলাফল জাতির মধ্যে নতুন আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে। তাই তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালের জানুয়ারিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি তাকে ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ভারতীয় জাতির প্রতি তার সেবার জন্য তাকে যথাক্রমে ভারতের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণ ও পদ্মভূষণ পুরস্কারও প্রদান করা হয়।
যদিও শ্যাম মানেকশ’কে ১৯৭৩ সালে ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদায় ভূষিত করা হয়। কিন্তু জানা যায়, ফিল্ড মার্শাল হিসেবে তিনি যে সম্পূর্ণ ভাতা পাওয়ার অধিকারী ছিলেন, তা তাকে কখনোই দেওয়া হয়নি। ওয়েলিংটনে মানেকশ'র সাথে সাক্ষাতের সময় ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম উদ্যোগ গ্রহণ করে তাকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে তার ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের বকেয়া বেতন হিসেবে ₹১.৩ কোটি ভারতীয় টাকার চেক প্রদান করার ব্যবস্থা করেন। আরও আশ্চর্যের বিষয়, মানেকশ’র অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সামরিক-বেসামরিক বা রাজনৈতিক শীর্ষ-ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন না।
স্যার কোদানদেরা মদপ্পা কারিয়াপ্পা, ওবিই (১৮৯৯-১৯৯৩), প্রথম ভারতীয় হিসাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান (কমান্ডার-ইন-চিফ) নিযুক্ত হন। তার বিশিষ্ট সামরিক ক্যারিয়ার প্রায় তিন দশক ধরে বিস্তৃত। কারিয়াপ্পা ১৯১৯ সালের ১ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২/৩৮ কার্ন্যাটিক পদাতিকে অস্থায়ী দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট হিসাবে কমিশন লাভ করেন। পরে তাকে ২২/১২৫ নেপিয়ার রাইফেলস বদলি করা হয়। এরপর ১৯২২ সালের জুন মাসে ৭ম প্রিন্স অফ ওয়েলস ওন ডোগরা রেজিমেন্টে এবং সবশেষে ১/৭ রাজপুত রেজিমেন্টে বদলি করা হয়, যা তার মূল রেজিমেন্টে পরিণত হয়।
তিনিই কোয়েটারের স্টাফ কলেজের কোর্সে অংশ নেওয়া এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীতে একটি ব্যাটালিয়ন কমান্ড করা প্রথম ভারতীয় কর্মকর্তা। এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যের ক্যামবার্লির ইম্পেরিয়াল ডিফেন্স কলেজে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত প্রথম দুই ভারতীয়ের মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি বিভিন্ন ইউনিট এবং কমান্ড সদর দপ্তরে (এইচকিউ) এবং নয়াদিল্লির জেনারেল সদর দপ্তরে বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তিনি কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর নেতৃত্ব দেন। তিনি সশস্ত্রবাহিনী পুনর্গঠন কমিটির সেনা উপ কমিটির সদস্য ছিলেন, যা ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পরে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে বিভক্ত করে। ১৯৫৩ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতির প্রতি তার দৃষ্টান্তমূলক সেবার প্রতি কৃতজ্ঞতা হিসেবে ভারত সরকার ১৯৮৬ সালের ১৪ জানুয়ারিতে ৮৭ বছর বয়সে কারিয়াপ্পাকে ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদা প্রদান করে।
|
End of preview. Expand
in Data Studio
📚 Bangla Wikipedia Dump
This dataset contains a cleaned and processed version of the Bangla Wikipedia dump, structured for easy use in Natural Language Processing tasks such as language modeling, text classification, and content generation.
Getting Started
To download full datasets:
from datasets import load_dataset
dataset = load_dataset("sagorsarker/bangla-wikipedia")
To download a subset or specific version:
from datasets import load_dataset
dataset = load_dataset("sagorsarker/bangla-wikipedia", data_dir="<subset_name>")
# example
# dataset = load_dataset("sagorsarker/bangla-wikipedia", data_dir="20250620")
📄 Dataset Details
- Language: Bangla (Bengali)
- Source: Official Wikipedia Bangla dump
- License: MIT
- Split:
train
only - Total Examples: 171,674
- Total Size: ~995 MB (unzipped)
- Wikipedia Version: 20 June 2025
Each sample in the dataset contains:
id
: Unique article IDurl
: Source Wikipedia URLtitle
: Article titlecontent
: Cleaned article body text
📦 Configs
configs:
- config_name: '20250620'
data_files:
- split: train
path: 20250620/train-*
💡 Use Cases
This dataset is well-suited for:
- Pretraining/fine-tuning language models for Bangla
- Information retrieval or summarization tasks
- Next-word or masked-word prediction models
- Bangla text classification, QA, or conversational agents
🤝 Contribution
This is a philanthropic open-source contribution to support the growth of the Bangla NLP community. Contributions and feedback are warmly welcome!
- Downloads last month
- 48