_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
5.1k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
11.1k
20231101.bn_1386932_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%9F%E0%A6%BE
ত্রিজটা
পরবর্তী সাহিত্যে, ত্রিজটা সেই ভূমিকা পালন করেন যা মূল রামায়ণে কলা, সরমা এবং মন্দোদরী পালন করেছিলেন। তিনি রামায়ণের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংস্করণে আরও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে পরিণত হয়েছেন, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ান পুনঃকথন কাকাউইন রামায়ণ-এ।
0.5
43.394141
20231101.bn_1386932_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%9F%E0%A6%BE
ত্রিজটা
রামোপাখ্যানে (মহাভারত মহাকাব্যে রামের আখ্যান), সীতা হনুমানকে জানান যে ত্রিজটা অবিন্ধ্য থেকে রামের মঙ্গল সম্পর্কিত একটি বার্তা তাঁর কাছে নিয়ে এসেছিলেন এবং বলেছিলেন রাম ও লক্ষ্মণ শীঘ্রই তাঁকে লঙ্কা থেকে উদ্ধার করতে আসবেন। এইভাবে মূল রামায়ণে কলাকে অর্পিত ভূমিকাটি ত্রিজটা গ্রহণ করেছিলে। রঘুবংশ, সেতুবন্ধ, বলরামদাস রামায়ণ, কাকাউইন রামায়ণ এবং সেরি রাম এই সব সংস্করণেই পূর্বের সরমাকে অর্পিত ভূমিকায় ত্রিজটাকে রাখা হয়েছে, যেখানে রামের মায়াময় ছিন্ন মুণ্ডের সত্যতা সীতার কাছে প্রকাশিত হয়। প্রসন্নরাঘব-এ দেখা যায় সরমার পরিবর্তে ত্রিজটা সীতাকে লঙ্কা পোড়ানোর কথা জানান। বলরামদাস রামায়ণ অনুযায়ী, রাবণকে অশোক বাটিকায় সীতাকে হত্যা করতে বাধা দিয়ে ত্রিজটা সীতার ত্রাণকর্তা হয়ে ওঠেন; এই ভূমিকাটি মূলত মন্দোদরীকে দেওয়া হয়েছিল। যখন রাবণের পুত্র ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর প্রতিহিংসাপরায়ণ রাবণ তাঁর বন্দীকে বধ করতে ছুটে এসেছিলেন, তখন ত্রিজটা আবার সীতার জীবন রক্ষা করেন। রামায়ণে, রাবণের একজন মন্ত্রী সুপার্শ্ব তাঁকে থামিয়ে দেন, অন্যান্য সংস্করণগুলিতে এই কাজটি করানো হয়েছিল বিভিন্নভাবে অবিন্ধ্য বা মন্দোদরীকে দিয়ে।
0.5
43.394141
20231101.bn_1386932_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%9F%E0%A6%BE
ত্রিজটা
মূল মহাকাব্যে যে কাজ গুলি অন্যদের করতে দেখা গেছে, পরবর্তী সাহিত্যে ত্রিজটাকে কৃতিত্ব দেওয়ার পাশাপাশি কিছু নতুন উপাদান যুক্ত করে ত্রিজটাকে একটি বড় ভূমিকা দেওয়া হয়েছে। রামায়ণে, হনুমানের সাথে সাক্ষাতের ঠিক আগে, আত্মহত্যার চিন্তা সীতার মনে আসে, কিন্তু তিনি সে চেষ্টা করেন নি। প্রসন্নরাঘব-এ, রাবণ সীতার সাথে দেখা করতে আসার আগে ত্রিজটা এবং সীতা একটি "বন্ধুত্বপূর্ণ কথোপকথনে" নিযুক্ত হন। রাবণের প্রস্থানের পর, সীতা ত্রিজটাকে নিজের আত্মহত্যার অভিপ্রায়ের কথা বলেন এবং ত্রিজটাকে একটি কাঠের চিতা তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেন। ত্রিজটা অবশ্য অস্বীকার করে বলেন, পর্যাপ্ত জ্বালানি কাঠ নেই। কাকাউইন রামায়ণ আরও বর্ণনা করে যে, সীতা যখন রাম ও লক্ষ্মণের অলীক ছিন্ন মস্তক দেখেন, তখন তিনি একটি চিতা প্রস্তুত করেন। ত্রিজটা সীতার সাথে মৃত্যু বরণ করতে প্রস্তুত হন, কিন্তু প্রথমে তিনি পিতা বিভীষণকে এ সংবাদ জানাতে যান। রামের সুস্থতার খবর নিয়ে তিনি ফিরে আসেন। পরে, রাম এবং লক্ষ্মণকে ইন্দ্রজিতের নাগপাশ দ্বারা আবদ্ধ দেখে, সীতা ত্রিজটাকে আবার একটি চিতা তৈরি করার নির্দেশ দেন, কিন্তু ত্রিজটা নিজের পিতার কাছ থেকে সত্য নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা স্থগিত রাখেন এবং অবশেষে রামের জীবিত থাকার খবর নিয়ে ফিরে আসেন।
0.5
43.394141
20231101.bn_491652_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8B
চারো
সপ্তদশ শতকে প্রথমবারের মতো চারো শব্দটি লিখিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। এর সমার্থক শব্দ হচ্ছে স্থির ব্যক্তি (বাস্তো), কর্কশভাষী ব্যক্তি (তস্কো), মাটির মানুষ (আলদিয়ানো), মন্দ অভিজ্ঞতা গ্রহণকারী ব্যক্তি। বাস্কু ভাষা জার থেকে এর উৎপত্তি ঘটেছে; যার অর্থ হচ্ছে মন্দ। রিয়াল একাদেমিয়া একই সংজ্ঞা এবং উৎপত্তি বজায় রাখে।
0.5
43.034117
20231101.bn_491652_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8B
চারো
নতুন স্পেনের সুবেদার স্থানীয় অধিবাসীদেরকে অশ্বচালনা বা নিজেদের ব্যক্তিগত ঘোড়া রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কেবলমাত্র তাক্সকালটেক অভিজাত সম্প্রদায় ও অন্যান্য মিত্র প্রধান এবং তাঁদের বংশোদ্ভূতদেরকে এ আইনের বাইরে রাখা হয়। যাইহোক, গবাদি পশু বৃদ্ধির জন্যও ঘোড়া ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ছিল। এরফলে কৃষকদেরকে রাখাল রাখার আবশ্যকতা দেখা দেয়। তাঁরা এরজন্যে মেস্তিজো ও ইন্ডিয়ানদেরকে অগ্রাধিকার দেয়। কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে, কেউ বাগানের কাজে ব্যবহৃত হতে থাকে। তবে, তাঁদের গদি সামরিকবাহিনীর কাজে ব্যবহৃত ভিন্নতর ছিল। চামড়া দিয়ে তৈরি গদি থেকে কুইরুদো (একদা চামড়ার) পরিভাষাটি এসেছে।
0.5
43.034117
20231101.bn_491652_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8B
চারো
সময়ের সাথে সাথে ভূস্বামী ও তাদের কর্মচারীরা মেক্সিকান মালভূমিতে বসবাস করতে শুরু করে। অন্যদেশে থেকে আসা বাদ-বাকি রাখালেরা মেক্সিকান ভূখণ্ড এবং তাপমাত্রা মানানসই কাউবয় ধরনের উপযোগী পোশাক গ্রহণ করে যা গবাদিপশু বৃদ্ধিকল্পে স্পেনীয় ধরন থেকে ভিন্নতর। মেক্সিকোর স্বাধীনতা যুদ্ধের পর অশ্বারোহন অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করে। অনেক লোক ভাড়াটে, বার্তাবাহক ও শ্রমিকরূপে বাগানে কাজ করতে শুরু করে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফল মিশ্র গোত্রের লোকেরা। তাঁরা পাতলা চামড়ার অধিকারী স্পেনীয় ও কালো চামড়ার আদিবাসীদের তুলনায় অধিক সফলতা লাভ করে। চিনাকোজ নামে পরিচিত এ সকল ব্যক্তিদেরকে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন খুব সহজেই চিহ্নিত করা যেতো। পরবর্তীতে তাঁরা ভাকুরোজ নামে পরিচিতি পান।
0.5
43.034117
20231101.bn_491652_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8B
চারো
সমৃদ্ধ বাগান মালিকেরা প্রায়শঃই পোশাক প্রদান করতেন ও তাঁদের ঘোড়াগুলোকে পোশাক দিয়ে মোড়ানো হতো যাতে তাঁদের সামাজিক মর্যাদা ফুটিয়ে তোলা হতো। দরিদ্ররাও তাদের ঘোড়াগুলোকে চামোইস চামড়া দিয়ে অল্প মুড়িয়ে রাখতে সচেষ্ট হতেন।
0.5
43.034117
20231101.bn_491652_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8B
চারো
১৮৬১ সালে জেনারেল ইগনাসিও জারাগোজা বেনিতো জুয়ারেজ এলাকার নির্বাচনকালীন প্রথমবারের মতো রুরাল কর্পস পদ সৃষ্টি করেন। এটি মেক্সিকান সেনাবাহিনীর সহায়ক শাখা হিসেবে কাজ করে এবং গ্রাম্য ভূমিতে দস্যু ও চোরদের দিকে লক্ষ্য রাখায় সচেষ্ট ছিল। পরফিরিও ডায়াজের শাসনামলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্ত থাকলেও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্যও পরিচিতি পায়। প্রশিক্ষিত ও দক্ষ আরোহণকারী হিসেবে তারা ধূসর চারো পোশাক ও সমব্রেরো পরিধান করতো। তাঁরা বারুদসহ অস্ত্র, বল্লম সুসজ্জিত মুখোশধারী থাকো।
1
43.034117
20231101.bn_491652_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8B
চারো
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মেক্সিকান আরোহণকারীরা পুণঃগঠনের যুদ্ধের মুখোমুখি হয়। অ্যাবোলেঞ্জোর আরোহণকারীরা ভিনদেশী রাজকুমার মেক্সিকোর প্রথম ম্যাক্সিমিলানের সাথে মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়। গড়পড়তা মেক্সিকান হিসেবে গড়ে তোলার স্বার্থে নিজ দেশের সংস্কৃতির বেষ্টনিতে জড়িয়ে ফেলেন। চারোর আধুনিক প্যান্ট তাঁর নিজের ব্যক্তিগত নকশার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, ধনী ও উদার বাগানের মালিকদের আরোহণকারীরা নিজেদের প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে মিত্রতার বন্ধন গড়ে। এ সময় থেকেই কার্লোস রিঙ্কন গালারাদো চারেরিয়ার জনক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং আধুনিক চারোজসহ অনেক পোলো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে প্রশংসিত হন।
0.5
43.034117
20231101.bn_491652_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8B
চারো
তবে, চারেরিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হচ্ছেন জেনারেল এমিলিয়ানো জাপাতা। বিপ্লবের পূর্বে তাঁকে বিষ্ময়কর ঘোড়াচালক এবং ঘোড়া নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পান।
0.5
43.034117
20231101.bn_491652_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8B
চারো
বলা হয়ে থাকে যে, জালিস্কো রাজ্য ও মেক্সিকো রাজ্য থেকে চারোজ এসেছে। কিন্তু, ১৯৩০-এর দশকের পূর্ব পর্যন্ত চারেরিয়া খেলার কোন নিয়ম-কানুন ছিল না। গ্রাম্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে এটি শহর দিকে ধাবিত করলে নিয়ম-কানুনের প্রচলন ঘটানো হয়। একই সময়ে চারোজদের ঘিরে অঙ্কিত চিত্রকর্মও জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
0.5
43.034117
20231101.bn_491652_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8B
চারো
ঐতিহ্যগত মেক্সিকান চারো বর্ণাঢ্যময় রঙিন পোশাকের জন্য পরিচিত এবং কোলিদেরো ওয়াই চারেদা এলাকায় অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট ধরনের মেক্সিকান রোদেও ব্যবহার করছে। চারেদা মেক্সিকোর জাতীয় খেলা হিসেবে রয়েছে। ফেদারেশিওন মেক্সিকানা দ্য চারেরিয়া কর্তৃক এটি নিয়ন্ত্রিত হয়।
0.5
43.034117
20231101.bn_1119669_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE
অ্যাঙ্গুইলা
১৯৫২ সালে অ্যাঙ্গুইলায় সকল প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকার শুরু হয়। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য (১৯৫৮-৬২) ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংঘের অংশ হওয়ার পরে, সংযুক্ত রাষ্ট্র সেইন্ট কিটস-নেভিস-অ্যাঙ্গুইলার সাথে অ্যাঙ্গুউলা অংশ হয়ে ১৯৬৭ সালে সম্পূর্ণ আভ্যন্তরীণ স্বায়ত্তশাসন শুরু করে। যাইহোক, বেশিরভাগ অ্যাঙ্গুলিয়ানদের উক্ত সংঘের অংশ হওয়ার ইচ্ছা ছিলো না, এবং সেইন্ট কিটসের আধিপত্য নিয়ে তাঁরা বিরক্তই ছিলো। ১৯৬৭ সালের ৩০ মে, দ্বীপ হতে সেইন্ট কিটসের পুলিশ সেনাদের জোরকরে বের করে দেয়। এবং একটি গণভোটের মাধ্যমে সেইন্ট কিটস হতে নিজেদের আলাদা করার ঘোষণা দেয়। অটলিন হ্যারিংগার ও রোনাল্ড ওয়েবস্টার অন্যদের সাথে এই ঘটনা পরিচালনা করে, যা অ্যাঙ্গুলিয়ান বিপ্লব নামে পরিচিতি পায়। স্বাধীনতা অর্জন অবশ্য এর লক্ষ্য ছিলো না, বরং উদ্দেশ্য ছিলো সেইন্ট কিটস ও নেভিস হতে মুক্তি এবং বির্টিশ উপনিবেশে প্রত্যাবর্তন করা।
0.5
42.907261
20231101.bn_1119669_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE
অ্যাঙ্গুইলা
পরবর্তীতে অচলাবস্থা কাটাতে আয়োজিত আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় দ্বিতীয় গণভোট হয়। তাতে অ্যাঙ্গুলিয়ানরা সেইন্ট কিটস হতে আলাদা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ অব্যাহত রাখে। এবং প্রজাতন্ত্র অ্যাঙ্গুইলায় রোনাল্ড ওয়েবস্টারকে একতরফাভাবে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। ব্রিটিশ দূত উইলিয়াম হুয়িটলক সেখানে অচলাবস্থা কাটাতে চেষ্টা চালায় এবং ব্যর্থ হয়। পরবর্তীকালে ১৯৬৯ এর মার্চে ৩০০ সৈন্য পাঠানো হয়। সেখানে ব্রিটিশ কর্তৃত্ব পুনপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭১ সালের জুলাইয়ে অ্যাঙ্গুইলা কার্যাদেশ অনুসারে নিশ্চিত হয়। ১৯৮০ সালে অ্যাঙ্গুইলা চূড়ান্তভাবে সেইন্ট কিটস ও নেভিস হতে পৃথক হয় এবং পৃথক একটি ব্রিটিশ ক্রাউন উপনিবেশ হয় (বর্তমানে ব্রিটিশ বৈদেশিক অঞ্চল)। তখন থেকে, অ্যাঙ্গুইলা রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল আছে এবং পর্যটনে ও সমুদ্র উপকূল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটা বড় সম্ভাবনা দেখছে।
0.5
42.907261
20231101.bn_1119669_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE
অ্যাঙ্গুইলা
অ্যাঙ্গুইলা হলো সমতল ভূমি, ক্যারিবিয়ান সাগরের মাঝে প্রবাল ও চুনাপাথরে ভরা নিন্মতলীয় দ্বীপ, যেটি ১৬ মাইল (২৬ কি.মি.) লম্বা এবং ৩.৫ মাইল (৬ কি.মি. চওড়া। এটি পুয়ের্তো রিকো ও ভার্জিন আইল্যান্ডের পূর্বে এবং সেইন্ট মার্টিনের সোজা পূর্বে যা অ্যাঙ্গুইলা চ্যানেলের মাধ্যমে আলাদা হয়ে আছে। দ্বীপটির মাটি সাধারণত পাতলা ও দুর্বল ধরনের, ঝোপঝাড়, উষ্ণমন্ডলীয় গাছ ও শাকসবজির জন্য উপযুক্ত। বিস্তৃত ভূখন্ড স্বাভাবিকভাবে নিন্মভূমি, এছাড়া উচ্চভূমি রয়েছে উপত্যকার কাছাকাছি এলাকায়; ক্রোকাস পাহাড়, অ্যাঙ্গুলিয়ার সর্বোচ্চ চূড়া, যার উচ্চতা ২৪০ ফুট (৭৩ মিটার), এটি শহরের পশ্চিমাংশে অবস্থিত।
0.5
42.907261
20231101.bn_1119669_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE
অ্যাঙ্গুইলা
অ্যাঙ্গুইলা মূল দ্বীপ হতে খানিক দূরের অঞ্চলে আরো কিছু সংখ্যক ছোট ছোট দ্বীপ ও প্রবালদ্বীপ রয়েছে, যার বেশিরভাগই সরু আকারের ও বসবাসের উপযোগী নয়:
0.5
42.907261
20231101.bn_1119669_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE
অ্যাঙ্গুইলা
উত্তর পশ্চিমের আয়নবায়ু ক্রান্তীয় এ দ্বীপটিকে ঠান্ডা ও শুকনো রাখে। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ৮০° ফারেনহাইট (২৭° সেলসিয়াস)। জুলাই-অক্টোবর হলো সবচেয়ে গরমের সময় এবং ডিসেম্বর-অক্টোবর হলো সবচেয়ে ঠান্ডা সময়।
1
42.907261
20231101.bn_1119669_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE
অ্যাঙ্গুইলা
বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৩৫ ইঞ্চি (৮৯০ মিমি), যদিও এক ঋতু হতে অন্য ঋতুতে বা এক বছর হতে অন্য বছরে ভিন্ন হতে পারে। দ্বীপটিতে আকস্মিক ক্রান্তীয় ঝড় ও হারিকেন ঝড় হয়ে থাকে, যা সাধারণত জুলাই-নভেম্বর সময়কালে ঘটে থাকে। ১৯৯৫ সালে হারিকেন লুইস হলে দ্বীপটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় এবং হারিকেন লেনি হলে, দ্বীপটিতে ৫ হতে ২০ ফুট (১.৫ হতে ৬ মিটার) উচু ভয়ঙ্কর বন্যার সম্মুখীন হয়।
0.5
42.907261
20231101.bn_1119669_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE
অ্যাঙ্গুইলা
অ্যাঙ্গুইলা হল যুক্তরাজ্যের একটি অভ্যন্তরীণ স্ব-শাসিত সাগরীয় অঞ্চল। দ্বীপটির রাজনীতি সংগঠিত হয সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক নির্ভরতার কাঠামোতে, যার দ্বারা প্রধানমন্ত্রীই হচ্ছেন সরকার ও বিভিন্ন ধরনের বহুদলীয় পদ্ধতির প্রধান।
0.5
42.907261
20231101.bn_1119669_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE
অ্যাঙ্গুইলা
দ্যা ইউনাইটেড নেশনশ কমিটি অন ডিকলোনাজেশন অ্যাঙ্গুইলাকে ইউনাইটেড নেশনশ তালিকায় অস্বশাসিত এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এ অঞ্চলের সংবিধান হলো ১ এপ্রিল ১৯৮৩ সালের অ্যাঙ্গুইলার সাংবিধানিক আইন (গৃহীত হয় ১৯৯০ সালে)। সরকার ও বিধানসভা কর্তৃক ন্যস্ত বিধানিক ক্ষমতা অনুযায়ী সরকার নির্বাহী ক্ষমতা চালনা করে। কার্যনির্বাহী ও আইনসভা হতে বিচার বিভাগ স্বাধীন।
0.5
42.907261
20231101.bn_1119669_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE
অ্যাঙ্গুইলা
ব্রিটিশ সাগরীয় অঞ্চল হওয়াতে অ্যাঙ্গুইলার সামরিক প্রতিরক্ষায় যুক্তরাজ্য দায়ী থাকে, যদিও বর্তমানে সেখানে কোন সক্রিয় সৈন্য সরবরাহ বা সশস্ত্র বাহিনী উপস্থিত নেই। অ্যাঙ্গুইলায় অল্পসংখ্যক উপকূলীয় পুলিশ দল রয়েছে, যা প্রায় ৩২ জন কর্মী নিয়ে গঠিত। তারা ভিটি হেলম্যাটিক এম১৬০-ক্লাস ৫২-ফুট দ্রুতগামী পেট্রোল-চালিত নৌকা চালনা করে। পুলিশি কাজের জন্য সমস্ত দ্বীপে রয়্যাল অ্যাঙ্গুইলা পুলিশ ফোর্স দায়িত্ব পালন করে।
0.5
42.907261
20231101.bn_325048_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B
স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো
স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর জন্মের সময় সম্বন্ধে নিশ্চিত জানা যায় না। তিব্বতীদের মতে তার জন্ম ষাঁড়ের নামে চিহ্নিত বছরে লাসার উত্তরপূর্বে মালদ্রো অঞ্চলের গ্যামাতে জন্মগ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী তার জন্ম ৫৫৭, ৫৬৯, ৫৮১, ৫৮৩, ৬০৫ বা ৬১৭ এর মধ্যে যে কোন একটি খ্রিষ্টাব্দে হয়েছে বলে মনে হয়। তার পিতা গ্নাম-রি-স্রোং-ব্ত্সন‎ তিব্বতের প্রথম সম্রাট।
0.5
42.635327
20231101.bn_325048_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B
স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো
৬১৮ খ্রিষ্টাব্দে (?) গ্নাম-রি-স্রোং-ব্ত্সন‎কে বিষপ্রয়োগের মাধ্যমে হত্যা করা হলে স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো নাবালক অবস্থায় সিংহাসনে আরোহণ করেন। জিউ ট্যাংশু () গ্রন্থেও তার নাবালক অবস্থায় সিংহাসনে আরোহণের উল্লেখ আছে। ঐতিহাসিকদের মতে তখন তার বয়স তেরো বছর। সেই অনুযায়ী তার জন্ম ষাঁড়ের নামে চিহ্নিত ৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে হয়েছিল।
0.5
42.635327
20231101.bn_325048_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B
স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো
৬২৭ খ্রিষ্টাব্দে পুরাতন তিব্বতী বর্ষানুক্রমিক ইতিবৃত্ত অনুসারে স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর মন্ত্রী ম্যাং-মাং-পো-র্জে ঝাংঝুং রাজ্যের সাহায্যে উত্তর পূর্ব তিব্বতে বসবাসকারী সুমপা জাতিকে পরাজিত করেন। ছয় বছর পরে ম্যাং-মাং-পো-র্জেকে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় এবং তার স্থানে ম্গর-স্রোং-র্ত্সনকে মন্ত্রী করা হয়।
0.5
42.635327
20231101.bn_325048_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B
স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো
তিব্বত সম্রাট স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো বা খ্রি-স্রোং-ল্দে-ব্ত্সান এর মধ্যে কে ঝাংঝুং আক্রমণ করেছিলেন, সে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যদিও রল্ফ আলফ্রেড স্টেইনের মতে এই আক্রমণ ৬৪৫ খ্রিষ্টাব্দে হয়েছিল কিন্তু জিউ ট্যাংশু গ্রন্থে বলা হয়েছে যে ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ইয়াংটং বা ঝাংঝুং ও অন্যান্য চিয়াং জাতি তিব্বতের অধীনস্থ হয়। এরপর সম্রাট ঝাংঝুং রাজ্য ও নিজের রাজ্যকে মিলিত করে তুয়ুহুন রাজ্যকে পরাজিত করেন।
0.5
42.635327
20231101.bn_325048_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B
স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো
ঝাংঝুং আক্রমণের ইতিহাস সম্বন্ধে পুরাতন তিব্বতী গ্রন্থে বলা হয় যে, রাজনৈতিক সন্ধির উদ্দেশ্যে তিব্বত সম্রাট স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো এবং ইয়াংটংয়ের রাজা লিগ-ম্যি-র্হ্যা পরস্পরের বোনকে বিবাহ করেন। কিন্তু লিগ-ম্যি-র্হ্যার তিব্বতী স্ত্রী ও স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর বোন সদ-মর-কর তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ করলে দুই রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে এবং রাজা লিগ-ম্যি-র্হ্যা নিহত হন। এরফলে এই দুই সাম্রাজ্যকে মিলিত করে বোদ র্গ্যাল-খব নাম রাখা হয়।
1
42.635327
20231101.bn_325048_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B
স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো
৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো ট্যাং সম্রাটের নিকট দূত মারফৎ সোনা ও রেশম পাঠিয়ে চীনের যে কোন একজন রাজকুমারীকে বিবাহ করার প্রার্থনা করেন। কিন্তু এতে ট্যাং সম্রাট ট্যাং তাইজং আপত্তি করলে তিনি তুয়ুহুন রাজ্য ও সোংঝৌ নামক ট্যাং সাম্রাজ্যের সীমান্ত প্রদেশ আক্রমণ করেন। ট্যাংদের লেখা রচনাতে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধে স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো পরাজিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে ট্যাং সম্রাট ট্যাং তাইজং তার বিবাহের প্রার্থনা স্বীকার করেন। কিন্তু তিব্বত থেকে প্রাপ্ত রচনা থেকে যায় যে তিব্বতী সেনা চীনাদের পরাজিত করলে ট্যাং তাইজং তার ভ্রাতুষ্পুত্রী ওয়েংচেন গোংঝুকে তার হাতে দিতে বাধ্য হন।
0.5
42.635327
20231101.bn_325048_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B
স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো
জিউ ট্যাংশু গ্রন্থ অনুযায়ী 泥婆羅 (নিপোলুয়ো) বা নেপালে লিচ্ছবি রাজকুমার নরেন্দ্রদেবের পিতার মৃত্যু হলে নরেন্দ্রদেবের জৈষ্ঠ্যতাত বিষ্ণুগুপ্ত সিংহাসন দখল করে নেন। নরেন্দ্রদেবকে তিব্বত সম্রাট আশ্রয় দেন ও ৬৪১ খ্রিষ্টাব্দে তকে নেপালে নিজের রাজ্য দখলে সহায়তা করেন। স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর সঙ্গে ভৃকুটী দেবী নামে এক লিচ্ছবি রাজকুমারীর বিবাহ হয়।
0.5
42.635327
20231101.bn_325048_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B
স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো
স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর কনিষ্ঠ ভ্রাতা ব্ত্জন-স্রোং এবং ভগিনী সদ-মর-করের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হলে শাস্তিস্বরূপ ব্ত্জন-স্রোংকে ইয়ার্লুং উপত্যকার দক্ষিণ পশ্চিমে ৫,০৯০ মিটার উচ্চ ইয়ার্তো গিরিবর্ত্ম পেরিয়ে গ্ন্যাল প্রদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আবার কোন কন ঐতিহাসিকদের মতে তাকে ম্খাস স্রেগ্স নামে এক মন্ত্রী ৬৩৯ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাটের নির্দেশে পুড়িয়ে মারেন। স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর ভগিনী সাদ-মার-কারের সঙ্গে ঝাংঝুংয়ের রাজা লিগ-ম্যি-র্হ্যার বিবাহ হয়।
0.5
42.635327
20231101.bn_325048_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B
স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো
স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর প্রধান দুই রাণী ছিলেন রাজকুমারী ওয়েংচেন গোংঝু এবং লিচ্ছবি রাজকুমারী ভৃকুটী দেবী। এছাড়াও তিনি ইয়াংটংয়ের রাজা লিগ-ম্যি-র্হ্যার ভগিনী এবং লাসার পশ্চিমে অবস্থিত স্তোদ-লুং উপত্যকার মাং গোষ্ঠীর রাজকুমারী মাং-ব্জা খ্রি-মো-ম্ন্যেন-ল্দোং-স্তেংকে বিবাহ করেন। মাং-ব্জা খ্রি-মো-ম্ন্যেন-ল্দোং-স্তেংয়ের পুত্র গুং-স্রোং-গুং-ব্ত্সন ছিলেন তিব্বত সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী। গুং-স্রোং-গুং-ব্ত্সন তেরো বছর বয়সে আঝা মাং-মো-র্জেকে বিবাহ করেন এবং তাদের খ্রি-মাং-স্লোন-র্ত্সান নামে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
0.5
42.635327
20231101.bn_706609_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97
গোথেনবার্গ
১৬২১ সালে কিং গুস্তাভুস আদল্ফুস গোথেনবার্গ প্রতিষ্ঠা করেন। এর সমুদ্রতীরে অবস্থিত পোর্ট অব গোথেনবার্গ বর্তমানে নোরডিক কাউন্টির সবথেকে বড় সমুদ্র বন্দর।
0.5
42.570789
20231101.bn_706609_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97
গোথেনবার্গ
এ শহরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং চালমারস ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি। তাছাড়া বিখ্যাত কোম্পানি ভোলভো ১৯২৭ সালে গোথেনবার্গে প্রতিষ্ঠিত হয়।
0.5
42.570789
20231101.bn_706609_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97
গোথেনবার্গ
গোথেনবার্গের শহর থেকে ৩০ কি.মি. দক্ষিণে গোটেবরগ ল্যান্ডভেত্তের এয়ারপোর্ট অবস্থিত। এর ছোট বিমানবন্দর শহর থেকে ১৫ কি.মি. দূরে অবস্থিত।
0.5
42.570789
20231101.bn_706609_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97
গোথেনবার্গ
১৬২১ সালে এই শহরটির স্থানীয় নাম গোটবার্গ এবং একযোগে জার্মান এবং ইংরেজি নাম গোথেনবার্গ দেওয়া হয়। এর পূর্বে এর সুইডিশ নাম "গোটা আল্ব" এবং ইংরেজি নাম গোটা রিবার ছিলো।
0.5
42.570789
20231101.bn_706609_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97
গোথেনবার্গ
সুইডিশ এবং জার্মান/ইংরেজি উভয় ভাষাই ১৬২১ সালের পূর্বে একই নাম ছিলো। যার প্রচলন ১৬০৪ সালে যখন প্রথম এই শহর তৈরি হয় তখন থেকে ঘটে এবং ১৬১১ সাল পর্যন্ত প্রচলিত ছিলো। ১৬১১ সালে শহরটি নষ্ট হয়ে যায় এবং ১৬২১ সালে একে নতুনভাবে পুনঃনির্মাণ করা হয়।
1
42.570789
20231101.bn_706609_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97
গোথেনবার্গ
১৬৪১ সালে কাউন্সিল চার সুইডিশ, তিন ডাচ, তিন জার্মান এবং দুই স্কটিশ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হয়। ডাচ, স্কটস, ইংরেজ এবং জার্মান সকল ভাষার লম্বা ইতিহাস রয়েছে এবং জার্মানরা প্রথমে গোথেনবার্গ শব্দটি ব্যবহার করা শুরু করেন। ভাষা রুপান্তরে জার্মান এবং ইংরেজ উভয়েই একই উচ্চারণ শুরু করেন ১৬২১ সালে এবং এটি এদের দাপ্তরিক কাজেও ব্যবহৃত হওয়া শুরু করেন। তাছাড়া ফ্রেঞ্চ ভাষায় শহরটির নাম "গোথেম্বোর্গ", কিন্তু ফ্রেঞ্চ ভাষার উচ্চারণে সুইডিশ এ এর নাম দেখায় "গোটেবোর্গ"। স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজ উচ্চারণে এর নাম হয় গোটেম্বুর্গ। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে সুইডেনে এর দাপ্তরিকভাবে এর নাম গোথেনবার্গ করা হয় এবং ঐতিহ্যবাহী "গোটবোরগস ইউনিভার্সিটি" এর নাম বদলিয়ে "ইউনিভার্সিটি অব গোথেনবার্গ" রেখে নামের প্রতি তাদের সমর্থন জানান দেন। এমনকি গোথেনবার্গ মুন্সিপালিটিও আন্তর্জাতিকভাবে ইংরেজি নাম ব্যবহার শুরু করে।
0.5
42.570789
20231101.bn_706609_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97
গোথেনবার্গ
২০০৯ সালে সিটি কাউন্সিল তাদের পূর্বের "গোটবার্গ" সমন্বিত লোগো বাদ দেন এবং গোথেনবার্গ সমন্বিত লোগো চালু করেন। এতে তারা নিজেদেরকে আরো আন্তর্জাতিক হিসেবে পরিচিত করেন।
0.5
42.570789
20231101.bn_706609_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97
গোথেনবার্গ
১৬২১ সালের প্রাথমিক আধুনিক সময়ে দক্ষিণ সমুদ্র এবং আটলান্টিক মহাসাগর এর তীরে সফলভাবে গোথেনবার্গ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৬২১ সালে রাজা গোয়াএস্টাবাস এডোল্ফুস গোথেনবার্গ প্রতিষ্ঠা করেন।
0.5
42.570789
20231101.bn_706609_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97
গোথেনবার্গ
গোথেনবার্গ এ প্রথম ১৬০৩ সালে চার্চ প্রতিষ্ঠা করা হলেও ১৬১১ সালে তা ভেঙ্গে ফেলা হয়। শহর প্রতিষ্ঠার পর প্রচুর ডাচ, জার্মান এবং স্কট লোকজন বসবাস শুরু করে এবং ডাচ পরিকল্পনাকারী এবং ইঞ্জিনিয়াররা শহরের কন্সট্রাকশন এর কাজ করার চুক্তি করতে থাকেন। যার পরিপেক্ষিতে গোথেনবার্গ অনেকটাই বিভিন্ন ডাচ শহরের মতো দেখতে লাগে। শহরটির রাস্তাগাট এবং ক্যানেল অনেকটাই ডাচ শহর জাকার্তা এর মতো দেখতে, যা প্রায় গোথেনবার্গ এর থেকে কিছুদিন পূর্বে বা সমসাময়িক সময়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। কোনো ডাচম্যান শেষ গোথেনবার্গ এর সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বে ১৬৫২ সালে। ডাচ সমত্ম্যে শহরটিতে ডাচ নিয়মের প্রচলন ছিলো এবং এর দাপ্তরিক ভাষাও ডাচ ছিলো। ১৭শ শতকে ড়োবাস্ট শহর দেয়াল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০৭ সালে বেশিরভাগ দেয়ালগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়।
0.5
42.570789
20231101.bn_752836_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8B
ফ্লামেনকো
পালোস (পূর্বে ক্যান্ট (cantes) হিসাবে পরিচিত) ফ্ল্যামেনকোর একটি শৈলী, যা ছন্দময় নমুনা বা প্যাটার্ন, মোড, কর্ড প্রোগ্রেশন, কবিতার স্তবক গঠন এবং ভৌগোলিক উৎপত্তি হিসাবে মানদণ্ড দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ। ৫০ টিরও বেশি আলাদা আলাদা পালোস রয়েছে, কোনো কোনোটি অপ্রতিরোধ্যভাবে গাওয়া হয় এবং যেখানে অন্যটিতে গিটার বা সহ-সঙ্গী থাকে। কিছু গঠনে নাচা হয় যখন বাকি পরিবেশনকারীরা বিরত থাকে। কিছু গঠন পুরুষের জন্য এবং বাকিগুলি নারীদের জন্য সংরক্ষিত, যেখানে কিছু কিছু অন্যদের দ্বারাও সঞ্চালিত হতে পারে, যদিও এই ঐতিহ্যগত পার্থক্য ভেঙ্গে যাচ্ছে: ফারুকা (Farruca), উদাহরণস্বরূপ, একসময় পুরুষদের নাচ ছিলো, যা এখন সাধারণত মহিলাদের দ্বারাও পরিবেশিত হয়।
0.5
42.453006
20231101.bn_752836_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8B
ফ্লামেনকো
পালোস শ্রেণীকরণ করার অনেক উপায় রয়েছে কিন্তু ঐতিহ্যগতভাবে তারা তিনটি শ্রেণীতে পড়ে: সবচেয়ে গুরুতরটি ক্যান্ট জন্ডো (বা ক্যান্ট গ্র্যান্ডে) নামে পরিচিত, এবং হালকা, অসার গঠনকে ক্যান্ট চিকো বলা হয়। যে গঠনগুলি কোন বিভাগে মাপসই হয় না সেগুলো ক্যান্ট ইন্টারমিডিও হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।
0.5
42.453006
20231101.bn_752836_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8B
ফ্লামেনকো
প্রচলিত ফ্ল্যামেনকো সাধারণত কন্ঠ এবং গিটার সঙ্গীতের সমন্বয়ে আবৃত্তি করা হয, তবে বিভিন্ন ধরনের পালোতে আংশগুলির ধারাবাহিক (অবিকল "গান" নয়) রয়েছে। প্রতিটি গান কয়েকটি স্তবককের সমষ্টি (যেগুলোকে শ্লোক (copla), টের্সিও (tercio), বা অক্ষর (letras) বলা হয়), যা সাধারণত গিটারের সংস্পর্শে স্বরাঘাত করা হয় যাকে ফালসেটা বলে। গিটারবাদক এছাড়াও একটি সংক্ষিপ্ত ভূমিকা প্রদান করে যা স্বনতা, ক্যান্টের কম্পাস (compás) এবং লয় (tempo)-এর সমষ্টি। কিছু পালোর মধ্যে, এই ফালসেটা এছাড়াও নির্দিষ্ট কাঠামোব সঙ্গে অভিনয় করা হয়; উদাহরণস্বরূপ, সাধারণত সিভিলানাস একটি ককখ (AAB) প্যাটার্নে বাজানো হয়, যেখানে ফালসেটে শেষের দিকে সামান্য পার্থক্য ছাড়া ক (A) এবং খ (B) একই হয়ে থাকে।
0.5
42.453006
20231101.bn_752836_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8B
ফ্লামেনকো
ফ্ল্যামেনকো গিটার অনেকটা ধ্রুপদী গিটারের অনুরূপ গিটার, তবে এ ধরনের গিটার তুলনামূলক সরু চূড়া এবং কম অভ্যন্তরীণ সম্বন্ধ হয়। ফ্ল্যামেনকো শিল্পের টোক বা গিটার বাজানোর অংশে এ ধরনের গিটার ব্যবহার করা হয়।
0.5
42.453006
20231101.bn_752836_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8B
ফ্লামেনকো
Álvarez Caballero, Ángel: El cante flamenco, Alianza Editorial, Madrid, Second edition, 1998. (First edition: 1994)
1
42.453006
20231101.bn_752836_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8B
ফ্লামেনকো
Arredondo Pérez, Herminia y García Gallardo, Francisco J.: "Música flamenca. Nuevos artistas, antiguas tradiciones" In Andalucía en la música. Expresión de comunidad, construcción de identidad, edited by Francisco J. García y Herminia Arredondo. Sevilla: Centro de Estudios Andaluces, 2014, pp. 225–242.
0.5
42.453006
20231101.bn_752836_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8B
ফ্লামেনকো
Banzi, Julia Lynn (Ph.D.): "Flamenco Guitar Innovation and the Circumscription of Tradition" 2007, 382 pages; AAT 328581, DAI-A 68/10, University of California, Santa Barbara.
0.5
42.453006
20231101.bn_752836_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8B
ফ্লামেনকো
Coelho, Víctor Anand (Editor): "Flamenco Guitar: History, Style, and Context", in The Cambridge Companion to the Guitar, Cambridge University Press, 2003, pp. 13–32.
0.5
42.453006
20231101.bn_752836_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8B
ফ্লামেনকো
Mairena, Antonio & Molina, Ricardo: Mundo y formas del cante flamenco, Librería Al-Ándalus, Third Edition, 1979 (First Edition: Revista de Occidente, 1963)
0.5
42.453006
20231101.bn_30760_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B8
বোরাসসাস
এই বড় তালগুলি পর্যন্ত বাড়তে পারে উচ্চ এবং পৃথক পাতা দাগযুক্ত শক্তিশালী কাণ্ড আছে; কিছু প্রজাতিতে ট্রাঙ্কটি মুকুটটির ঠিক নীচে পৃথক ফোলা বিকাশ করে, যদিও অজানা কারণে।
0.5
41.94218
20231101.bn_30760_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B8
বোরাসসাস
পাতার পাখা আকৃতির, ২-৩মিটার দীর্ঘ এবং বরাবর কাঁটা সঙ্গে আছে বৃন্তের মার্জিন। পাতাগুলি এর গোড়ায় একটি পৃথক ফাটল রয়েছে, যার মাধ্যমে ফুলগুলি প্রদর্শিত হয়; পুরানো পাতাগুলি কাণ্ডের উপরে ধরে রাখা হয়, তবে সময়ের সাথে সাথে পড়ে যায়।
0.5
41.94218
20231101.bn_30760_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B8
বোরাসসাস
সকল Borassus বাঁশজাতীয় হয় dioecious পৃথক উদ্ভিদের ওপর পুরুষ এবং মহিলা ফুল দিয়ে; পুরুষ ফুল হয় কম ১ সেন্টিমিটার লম্বা ও অর্ধবৃত্তাকার ক্লাস্টার, চামড়ার মধ্যে sandwiched মধ্যে মঞ্জুর- লম্বমান মধ্যে catkins ; স্ত্রী ফুলগুলি ৩-৫ সেমি প্রশস্ত, গ্লোব আকৃতির এবং নির্জন, ফলের অক্ষের পৃষ্ঠে সরাসরি বসে।
0.5
41.94218
20231101.bn_30760_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B8
বোরাসসাস
ফলগুলি ১৫-২৫ সেমি প্রশস্ত, মোটামুটি গোলাকার এবং প্রতিটিতে ১-৩ টি বীজ থাকে। প্রজাতির উপর নির্ভর করে, ফলের রঙ কালো থেকে বাদামী, হলুদ বা কমলাতে পরিবর্তিত হয়; তন্তুযুক্ত সজ্জা সুগন্ধযুক্ত এবং স্বাদে মিষ্টি। প্রতিটি বীজ একটি কাঠের এন্ডোকার্পে আবদ্ধ থাকে, যা ফলটি হাতি, বানর এবং অন্যান্য ফ্রুজিভোর দ্বারা গ্রাস করা হলে এটি রক্ষা করে। অঙ্কুরোদগম হওয়ার সময়, তরুণ চারা মাটির নীচে প্রসারিত হয় এবং কেবল কয়েকটি পাতা মাটির উপরে দৃশ্যমান হয়; এটি তার সাভনা আবাসে ঘন ঘন আগুনের বিরুদ্ধে কিছু সুরক্ষা সরবরাহ করে; অনির্দিষ্ট সংখ্যক বছরের পরে (প্রতিষ্ঠা পর্ব), চারা একটি কাণ্ড গঠন করে এবং দ্রুত সাভনা গাছের উপরে উঠে যায়, যেখানে এটি তখন আগুনের ঝুঁকিতে কম থাকে।
0.5
41.94218
20231101.bn_30760_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B8
বোরাসসাস
বোরাসাস এথিয়োপাম - আফ্রিকান পল্মির পাম, রনিয়ার (এবং অন্যান্য নাম) (গ্রীষ্মমন্ডলীয় আফ্রিকা এবং মাদাগাস্কার)
1
41.94218
20231101.bn_30760_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B8
বোরাসসাস
পালমিরা পামগুলি বিশেষত দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর এবং ব্যাপকভাবে চাষ হয়। পাম্মির খেজুর দীর্ঘকাল ধরে কম্বোডিয়া এবং ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গাছ, যেখানে এটির ৮০০ টিরও বেশি ব্যবহার রয়েছে। পাতাগুলি খোঁচা, মাদুর, ঝুড়ি, পাখা, টুপি, ছাতা এবং লেখার উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
0.5
41.94218
20231101.bn_30760_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B8
বোরাসসাস
শ্রীলঙ্কায়, এটি দেশের উত্তরাঞ্চলে বেশি দেখা যায়, যেখানে শরবত থেকে গুড় উৎপাদন সহ এর অনেক ব্যবহার রয়েছে ।
0.5
41.94218
20231101.bn_30760_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B8
বোরাসসাস
কম্বোডিয়ায়, গাছটি একটি জাতীয় ফুলের প্রতীক যা অ্যাঙ্কর ওয়াটের চারপাশে বেড়ে উঠতে দেখা যায়। পালমিরার খেজুরগুলি ১০০ বছরেরও বেশি সময় বাঁচতে পারে।
0.5
41.94218
20231101.bn_30760_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B8
বোরাসসাস
প্রাচীন ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ায়, পলমির পাতা লিখিত কাগজ হিসাবে ব্যবহৃত হত, তাদের সমান্তরাল শিরাগুলি কার্যকর নিয়ম সরবরাহ করে। ভারতে, উপযুক্ত আকার, আকৃতি এবং জমিনের পরিপক্ব পাতাগুলি হলুদ গুঁড়ো দিয়ে নুনের জলে সেদ্ধ করে বেছে বেছে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। একবার শুষ্ক যথেষ্ট, গাছের পাতা পৃষ্ঠতল সঙ্গে পালিশ করা হয়েছে ঝামাপাথর সঠিক মাপ, কাটা এবং একটি গর্ত এক কোণে কাটা হয়। প্রতিটি পাতায় চারটি পৃষ্ঠা রয়েছে এবং লেখার জন্য একটি স্টাইলাস ব্যবহার করা হয়; শৈলীটি ক্রাইভ এবং আন্তঃসংযুক্ত। সম্পূর্ণ পাতাগুলি শেভ হিসাবে বেঁধে দেওয়া হয়।
0.5
41.94218
20231101.bn_795316_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF
রুদাকি
আবু আব্দুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মদ আল রুদাকি (Persian: ابو عبدالله جعفر بن محمد رودکی‎; ) একজন পারস্য দেশী কবি। তাকে আধুনিক ফারসী ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি রুদাকি নামেই সমধিক পরিচিত। ‘এডাম অব পোয়েট’ অর্থাৎ ‘কবিতার জনক’ বলেও তাকে ডাকা হয়।
0.5
41.589959
20231101.bn_795316_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF
রুদাকি
রুদাকি প্রথম আধুনিক ফারসী বর্ণমালায় কবিতা রচনা করেছিলেন এবং একারণেই শাস্ত্রীয় ফারসী সাহিত্যের জনক বলা হয়। তার কবিতায় কোয়ারেন সহ পার্সিয়ান কবিতার প্রাচীনতম ঘরানার অনেকগুলি উপস্থিত রয়েছে তার কাব্য সম্ভারের খুব অল্প অংশই এখন পাওয়া যায়। তবে ধারণা করা হয় নবম শতাব্দিতে রুদাকির মধ্যে কবিতা, গান, আবৃত্তি এবং কবি লেখক সত্তার যে সংমিশ্রণ ঘটেছিলো সেটা তার পূর্বে আর কারো মধ্যে এভাবে পাওয়া যায়নি।
0.5
41.589959
20231101.bn_795316_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF
রুদাকি
রুদাকি ৮৫৯ সালে ইরানের খোরাসান শহরের রুদক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রুদক গ্রাম তখন সামানি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো যা বর্তমানে তাজিকিস্থানের অন্তর্গত। জীবনীকারদের অনেকেই বলেছেন তিনি পুরোপুরি অন্ধ ছিলেন, তবে তার কবিতায় রংয়ের যে বিবরণ পাওয়া যায় তাতে অনেকেই এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কারো কারো ধারণা হয়তো জীবনের কোন এক পর্যায়ে অন্ধ হয়ে থাকতে পারেন।
0.5
41.589959
20231101.bn_795316_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF
রুদাকি
প্রথম জীবনেই তার প্রতিভার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে এবং খোরাসান এবং ট্রান্সঅক্সিয়ানার শাসক সামানি সম্রাট দ্বিতীয় নসর ইবনে আহমদের কাছে তার সুনাম পৌছে যায়। তিনি রুদাকিকে তার রাজসভায় আমন্ত্রন জানান। রুদাকি তার নিত্য সহচরে পরিণত হন। অর্থবিত্ত এবং সম্মানের অধিকারী হন। ফার্সি সাহিত্যের জনক হিসেবে তাকে সম্মান দেয়া হয় যদিও তার পূর্বে আরো অনেকেই এই সম্মান পাবার জন্য উৎসুক ছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম মহাকাব্য, গীত, এবং তাত্ত্বিক কবিতায় এর বিচিত্র ধরন এবং এর স্বতন্ত্র চরিত্রকে প্রভাবিত করেছিলেন। আরও বলা হয় যে তিনি দিওয়ানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, যা কম বেশি বর্ণানুক্রমিকভাবে একটি কবির গীতিকারক রচনার সম্পূর্ণ সংগ্রহের আদর্শ রূপ যা আজও সমস্ত পার্সিয়ান লেখকই ব্যবহার করেন। তিনি চ্যাং (বীণা) -এর খুব পারদর্শী গায়ক এবং বাদকও ছিলেন।
0.5
41.589959
20231101.bn_795316_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF
রুদাকি
রুদাকির শেষ জীবন খুব সুখকর হয়নি। সামানি শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে এবং দ্বিতীয় নসর ইবনে আহমদের পতন ঘটে। একই সাথে ভাগ্য বিড়ম্বনায় পড়ে যান রুদাকি। প্রতিপক্ষের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য নিজ গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানেই ৯৪০ মতান্তরে ৯৪১ সালে মারা যান। মারা যাবার পূর্বে বেশ অর্থকষ্টে নিপতিত হন। তার শেষ জীবনের কবিতার মধ্যে এই বেদনাক্লিস্ট ভাব বেশ ফুটে ওঠে।
1
41.589959
20231101.bn_795316_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF
রুদাকি
রুদাকি খুবই সাধারণ ধাঁচের কবিতা লিখতেন কিন্তু আশা এবং আনন্দের সংমিশ্রণে সেগুলোই অভাবনীয় ব্যঞ্জনা তৈরী করতো। শেষ জীবনে কবিতায় ঠিক বিপরীত ধারা চলে আসে। হৃদয়স্পর্শী বেদনার গল্প স্থান পায় কবিতা জুড়ে।
0.5
41.589959
20231101.bn_795316_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF
রুদাকি
মেঘের দিকে তাকাও, দেখো শোকের স্তুতি,বজ্রনিনাদ যেন প্রেমিকের আর্তনাদ।মেঘের আড়াল ভেদে রবির প্রস্ততি।যেভাবে বন্দি খোঁজে মুক্তির স্বাদ
0.5
41.589959
20231101.bn_795316_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF
রুদাকি
রুদাকির কবিতাগুলিতে জাতিগত সমতা; ইরানীদের স্বাধীনতা; কিংবদন্তি, পৌরাণিক এবং জাতীয় বীরদের সহ সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক ও সামাজিক পটভূমি উঠে এসেছে। সমসাময়িক আরবরা যে বিষয়ের অভাব বোধ করছিল, প্রাক-ইসলামী যুগের উৎসব ও অনুষ্ঠানগুলির উদ্দেশ্যমূলক পুনর্জাগরণ, বিজ্ঞানবাদ, যুক্তিবাদ এবং মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার উপর জোর দেওয়া, এর সমস্ত কিছুই তার কবিতায় স্থান পায়।
0.5
41.589959
20231101.bn_795316_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF
রুদাকি
তাঁর সৃস্ট ১,৩০০,০০০ শ্লোকের মধ্যে মাত্র ৫২ টি কাসিদা, গজল এবং রুবাই অক্ষত ছিল। স্থানীয় অভিধানের কিছু লুপ্তপ্রায় লাইনের বাইরে তাঁর মহাকাব্যগুলোর কিছুই আর নেই বলা যায়। তবে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে আবদুল্লাহ ইবনে আল-মুকফার প্রাচীন রূপকথা গ্রন্থ কালীলা ও ডিমনার (পঞ্চতন্ত্র) আরবি সংস্করণ অনুবাদ যা তাঁর রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকের অনুরোধে তিনি পারস্যের শ্লোকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তবে বেশ কিছু টুকরো টুকরো অংশ আসাদি তুসি (লুঘাট আল-ফার্স, এড। পি। হর্ন, গ্যাটিংজেন, 1897) এর পার্সিয়ান অভিধানে সংরক্ষিত রয়েছে।
0.5
41.589959
20231101.bn_1346667_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0
তাকফির
যেহেতু ইসলামী আইনের ( শরিয়া ) ঐতিহ্যগত ব্যাখ্যা অনুসারে ধর্মত্যাগের শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড এবং এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের (উম্মাহ) মধ্যে বিবাদ ও সহিংসতা সৃষ্টির সম্ভাব্য কারণ, তাই একটি অপ্রমাণিত অথবা ধারণামূলক তাকফিরের অভিযোগ ইসলামি আইনে একটি প্রধান নিষিদ্ধ কাজ (হারাম)। একটি হাদিসে ঘোষণা করা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি একজন মুসলিমকে কাফের ঘোষণা করবে, নিঃসন্দেহে তাদের যেকোনো একজনের প্রতি সেই কুফরি আপতিত হবে। তার কথা বাস্তব অথবা প্রমাণিত না হলে সে কুফরি তার উপরই বর্তাবে।
0.5
41.525421
20231101.bn_1346667_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0
তাকফির
ইসলামের ইতিহাসে ৭ম শতাব্দীর দিকে উদ্ভূত একটি সম্প্রদায়–যারা খারিজি নামে পরিচিত–সুন্নি ও শিয়া উভয় মুসলমানদের বিরুদ্ধেই তাকফির চালায় এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটিই খিলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রধান উৎস হয়ে ওঠে। ঐতিহ্যগতভাবে অপর কোন মুসলিমকে কাফির ঘোষণা করার জন্যে অনুমোদিত একমাত্র দল হলো আলেমগণ, যারা এই ক্ষেত্রে সমস্ত ধর্মীয় ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সামনে রেখে সকল আইনগত সতর্কতা অবলম্বন করে কোনো মুসলিমের ক্ষেত্রে তাকফির করার যোগ্যতা রাখেন।
0.5
41.525421
20231101.bn_1346667_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0
তাকফির
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে মুসলিম বিশ্বের কিছু মুসলিম ও সংগঠন কেবমাত্র বিপথগামী মুসলিমদের বিরুদ্ধেই তাকফিরের প্রয়োগ করে ক্ষান্ত হননি; বরং মুসলিম দেশগুলোর সরকার ও সমাজের বিরুদ্ধেও তাকফিরের প্রয়োগ শুরু করেন। মিশরীয় ইসলামপন্থী সাইয়্যেদ কুতুব ব্যাপকভাবে প্রভাবশালী তার বই ইসলামী সমাজ বিপ্লবের ধারা'য় উল্লেখ করেন যে, সমস্ত মুসলিম বিশ্ব শরিয়া আইনের ব্যবহার পরিত্যাগ করে কয়েক শতাব্দী আগে পুনরায় জাহিলিয়ার ( প্রাক-ইসলামী যুগের একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা) দিকে ফিরে গিয়েছে। কুতুব নিশ্চিত করেন যে, যেহেতু মুসলিম দেশগুলোর নেতারা ( নিষ্ঠুর এবং মন্দ হওয়ার পাশাপাশি ) আসলে মুসলমানই ছিল না; বরং ইসলামের পুনরুজ্জীবন রোধকারী ধর্মত্যাগী ছিল, তাই তাদের অপসারণ করার জন্য শারীরিক শক্তি ব্যবহার করা উচিত এবং এ পন্থা ব্যতীত রাষ্ট্রীয় পরিসরে ইসলামের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। কারণ এ শাসকেরা শরিয়া কায়েম করবে না এবং ইসলামের পুনর্জীবন মেনেও নিবে না। তার এ কট্টরপন্থী ইসলামি মতাদর্শ– যাকে "তাকফিরি মতবাদও" বলা হয়–বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং ২১ শতকের প্রথম দিকে বিভিন্ন মাত্রায় অসংখ্য ইসলামপন্থি ও জিহাদি সংগঠন দ্বারা ব্যাপকভাবে ধারণ ও প্রয়োগ করা হয়।
0.5
41.525421
20231101.bn_1346667_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0
তাকফির
বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধ থেকে "তাকফিরকে" মুসলিম বিশ্বের সেকুলার বা পশ্চিমা-ঘেঁষা শাসকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অনুমোদন করার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়, যারা (শাসক) শরিয়া প্রয়োগ করেন না বা মুসলিম দেশগুলিতে পশ্চিমা সংস্কৃতি প্রচারে অগগ্রামী হন। তাকফিরের এই প্রয়োগ বিদ্রোহী ওয়াহহাবি–সালাফি জিহাদি মতাদর্শী জিহাদি গোষ্ঠীগুলির একটি "কেন্দ্রীয় আদর্শ" হয়ে উঠেছে এবং বিশেষ করে আল-কায়েদা ইসলামিক স্টেট এই কঠোরভাবে এই আদর্শে বিশ্বাসী, যারা ইসলামি পন্ডিত ইবনে তাইমিয়া, ইবনে কাথির ও আধুনিক ইসলামপন্থী মতাদর্শী সাইয়্যেদ কুতুব এবং আবুল আ'লা মওদুদীর ধারণার উপর নিজেদের আদর্শ আঁকেন। তাকফিরের এই লাগামহীন অনুশীলনকে ইসলামের মূলধারার শাখা এবং হাসান আল-হুদায়বি (মৃ. ১৯৭৭) ও ইউসুফ আল-কারদাভির মতো মূলধারার মুসলিম পণ্ডিতদের দ্বারা বিচ্যুত বলে নিন্দা করা হয়েছে।
0.5
41.525421
20231101.bn_1346667_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0
তাকফির
আরবি শব্দ কুফর (অবিশ্বাস), কাফের ( অবিশ্বাসী) ও তাকফির একই ত্রিভাষিক মূল [كفر] থেকে উদ্ভূত হয়। কুফর ও কাফির শব্দের সরাসরি ব্যবহার কুরআন ও হাদিসে পাওয়া যায়। তাকফির শব্দটি হাদিসে ব্যবহৃত কাফফারা ( كفر: কাউকে কাফের ঘোষণা করা ) শব্দ থেকে পরিভাষা হিসেবে চয়ন করা হয়েছে।
1
41.525421
20231101.bn_1346667_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0
তাকফির
তাকফির শব্দের অর্থ হলো কোনো আহলে কিবলাকে ( মুসলিম ) শরয়ি দলিলের ভিত্তিতে ইসলাম–বহির্ভূত হিসেবে ঘোষণা করা। অর্থাৎ কোনো মুসলিম ব্যক্তিকে কুফরি কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য দায়ী করা। এর অর্থ হলো, যে ব্যক্তি কুরআন ও হাদিসে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, তা অস্বীকার করে, (কেবল অলসতার বশীভূত হয়ে তা পালন না-করা নয়) তাকে কাফের বলাই হলো তাকফির। এটি খুবই জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। ইমাম তাহাবী বলেন, আমরা আমাদের কিবলার মুসলিমদের বিশ্বাসী বলি, যতক্ষণ তারা স্বীকার করে যা নবিজি সা. নিয়ে এসেছেন এবং বিশ্বাস করেছেন।
0.5
41.525421
20231101.bn_1346667_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0
তাকফির
ইসলাম ধর্মে এমন একজন মুসলিমকে তাকফির করা নিষিদ্ধ, যে শাহাদাহ স্বীকার করে এবং ধর্মের কোনো প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু (জরুরিয়াতে দীন) অস্বীকার না করে; যদিও সে তা পালন না করে। কেননা কুরানে এই বিষয়ে চরম নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আল্লাহ বলেছেন:
0.5
41.525421
20231101.bn_1346667_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0
তাকফির
তাকফির একটি পুরানো বিষয়, যা চরমপন্থী খারিজি সম্প্রদায়ের উত্থানের সূচনা থেকে শুরু হয়, যখন এই গোষ্ঠীটি সিফফিনের যুদ্ধে আলীর সেনাবাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারা মুয়াবিয়ার সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে খলিফা হিসেবে আলির মতামত প্রত্যাখ্যান করে। কারণ আলি সালিসের সিদ্ধান্তে যান এবং এই কারণে তারা আলি বিন আবি তালিব ও তার সঙ্গীদের কাফের ঘোষণা করে। এরপর আব্দুল্লাহ বিন আব্বাসকে তাদের বোঝানোর জন্য পাঠানো করা হয়। তিনি তাদের বলেন: তোমরা বিশ্বস্ত সেনাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কর কেন? তারা বলে: তিনি মুমিনদের একজন নেতা ছিলেন এবং এখন (বিরোধীপক্ষের সাথে সালিস করার কারণে) তিনি আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে শাসন করার কারণে ঈমান ত্যাগ করেছেন। তিনি তাঁর কুফরী স্বীকারের পর অনুতপ্ত হোন, আমরা তার কাছে ফিরে যাব।
0.5
41.525421
20231101.bn_1346667_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0
তাকফির
ইবনে আব্বাস বলেন, যে মুমিনের ঈমান সন্দেহ দ্বারা কলঙ্কিত হয়নি, তার জন্য নিজের কুফরী স্বীকার করা উপযুক্ত নয়। তারা বলল, এটা (আপনার কথা) একটা রায়। তিনি বললেন, একজন শিকারীকে হত্যার ক্ষেত্রে আল্লাহ সালিশের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন: তোমাদের মধ্যে যারা ন্যায়পরায়ণ তারা এর ফায়সালা করবে। তারা হজরত আব্বাসের নসিহত উপেক্ষা করে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে এবং ইসলামের ইতিহাসে এই গোষ্ঠীটিই প্রথম তাকফিরি দল হিসেবে পরিচিতি পায়।
0.5
41.525421
20231101.bn_452401_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE
বরুনপাখা
বরুনপাখা (বৈজ্ঞানিক নাম: Papilio polymnestor (Cramer)) এক বড় আকারের প্রজাপতি, যার মূল শরীরটা কালো বর্ণের এবং ডানায় চওড়া নীলাভ আকাশি রঙের আঁচল দেখা যায়। এরা ‘প্যাপিলিওনিডি’ পরিবারের এবং 'প্যাপিলিওনিনি' উপগোত্রর সদস্য। এই প্রজাপতিটিকে মহারাষ্ট্রর রাজ্যের প্রজাপতি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
0.5
41.472176
20231101.bn_452401_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE
বরুনপাখা
এই প্রজাপতি ভারতের মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, সিকিম, বিহার এছাড়া পূর্ব হিমালয়, ভারতীয় উপদ্বীপেও দেখা যায়। মায়ানমার এবং শ্রীলংকায় বরুনপাখা লক্ষ্য করা যায়।
0.5
41.472176
20231101.bn_452401_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE
বরুনপাখা
বরুনপাখার পিছনের ডানার ওপর পিঠে এবং গোড়ার দিকের এক-তৃতীয়াংশ বাদ দিয়ে প্রায় পুরোটাই আকাশি নীল বর্ণের হয়। এদের বার আঁচলে দু সারি কালো টিপ থাকে। সামনের ডানার ওপর-পিঠ কালো বর্ণের, মাঝ আঁচল থেকে একটি আকাশি রেখার সরু পটি নেমে এসে পিছনের ডানার আকাশি অঞ্চলে এসে মিশেছে। স্ত্রী এবং পুরুষ বরুনপাখার নিচের ডানার গোড়ার অংশ লাল বর্ণের হয়, তবে স্ত্রী বরুনপাখার ক্ষেত্রে সামনের ডানার ওপর পিঠের গোড়াতেও লাল ছোপ দেখা যায়। এরা ওড়ে বেশ দ্রুত গতিতে, আট থেকে বারো-চোদ্দো ফুট উচ্চতায় সাধারণত এরা ওড়ে।
0.5
41.472176
20231101.bn_452401_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE
বরুনপাখা
ডানা ছড়ানো ম্ররত বরুনপাখার দেহ মাটিতে বা পাতাতে ছড়িয়ে রাখলে ওন্য বরুনপাখা তার কাছাকাছি উড়তে দেখা যায়। এমনকি একটি আকাশী রঙের কাগজের টুকরো পড়ে থাকলেও একই ঘটনা লক্ষ্য করা যায়।
0.5
41.472176
20231101.bn_452401_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE
বরুনপাখা
এদের উড়ান অত্যন্ত বলিষ্ঠ প্রকৃতির এবং একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় এরা উড়ে বেড়ায়। জাছের গায়ে অথবা পাতার উপর বসে অনেক্ষন ধরে রৌদ্র পোহাতে দেখা যায়।
1
41.472176
20231101.bn_452401_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE
বরুনপাখা
বরুনপাখার ডিম গোলাকার এবং হালকা সবুজ বর্নের হয়। ডিম পাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ডিমের রঙ পরিবত্তন হয়ে কমলা হলুদ রঙের হয়। এরা মাটি থেকে ১০-১২ ফুট উঁচুতে এবং একটু ছায়ার আড়ালে থাকা পাতার ওপর পিঠে একটি করে ডিম পাড়ে।
0.5
41.472176
20231101.bn_452401_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE
বরুনপাখা
শূককীট গুলি লম্বাটে এবং উজ্জবল ঘন সবুজ বর্নের হয়। এরা প্রথম দিকে খয়েরি-ঘেঁষা সবুজ রঙের থাকে। মাথার পর থেকে চতুর্থ এবং পঞ্চম খন্ড পর্যন্ত শরীরটা দ্রুত চওড়া হয়েছে, তারপর থেকে শরীরের শেষ প্রান্ত অবধি ধীর ঢাল বজায় রেখে আবার সরু হয়ে এসেছে। দেহের পাশ বরাবর, অষ্টম এবং নবম খণ্ডে সাদার ওপর খয়েরি বর্নের ছিটযুক্ত একটা চওড়া পটি দেখা যায়। শেষ দেহ খণ্ডের আগের খণ্ডে পিঠের দুপাশে দুটো ছোট ছোট মাংসল গুটি থাকে।
0.5
41.472176
20231101.bn_452401_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE
বরুনপাখা
এই শূককীট লেবু জাতীয় উদ্ভিদ, যেমন- পাতিলেবু Citrus medica, বাতাবি লেবু Citrus decumana, জাম্বুরা Citrus maxima এছাড়া আশশেওড়া Glycosmis pentaphylla, Atalantia racemosa, Atalantia wightii,Paramigyna monophylla গাছের পাতার রসালো অংশ আহার করে। এদের ওসমেটেরিয়াম Osmeterium গাঢ় লাল বর্নের হয়।
0.5
41.472176
20231101.bn_452401_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE
বরুনপাখা
বরুনপাখার মূককীট সবুজ বর্নের হয় এবং পিঠের দিকে পাতার জালিকাবিন্যাসের মতো দাগ দেখা যায়। অনেক সময়, কাছাকাছি সবুজ পাতা না থাকলে মূককীটের রঙ ফিকে খয়েরী রঙের হয়।
0.5
41.472176
20231101.bn_1081980_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মহাপ্রসাদ
মহাপ্রসাদ বা প্রসাদ () হিন্দুধর্মে ধর্মীয় উৎসর্গ। প্রসাদ, হিন্দুধর্মে মহাপ্রসাদ ও শিখধর্মে ল্যাঙ্গার হিসেবে বিবেচিত। প্রায়শই প্রসাদ নিরামিষ খাবার যা পূজার পরে উপাসকরা খায়। দেবতাদের উদ্দেশ্য দেওয়া ভোগই মূলত পরবর্তীকালে প্রসাদ।
0.5
41.3147
20231101.bn_1081980_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মহাপ্রসাদ
হিন্দু মন্দিরে দেবতাকে দেওয়া পবিত্র খাবার যা পরে জনসাধারণ দ্বারা বৈষম্য ছাড়াই ভাগ করে খাওয়া হয়। মহাপ্রসাদ বিখ্যাত ছাপ্পান ভোগ নামেও ব্যাপকভাবে পরিচিত।
0.5
41.3147
20231101.bn_1081980_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মহাপ্রসাদ
প্রসাদ শব্দটি দুটি পদ 'প্র' (পূর্বে, সামনে) ও 'সাদ' (বসতে, বাস করা) এর সমন্বয়ে গঠিত। প্রসাদ ক্রিয়াপদ প্রসিদতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এবং যার অর্থ বাস করে, সভাপতিত্ব করে, খুশি করে বা অনুগ্রহ করে।
0.5
41.3147
20231101.bn_1081980_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মহাপ্রসাদ
এটি যেকোনো কিছু, বিশেষত খাদ্যকে নির্দেশ করে, যা প্রথমে কোন দেবতা বা সাধুকে দেওয়া হয় এবং তারপর শুভ প্রতীক হিসাবে তার অনুসারীদের বা অন্যদের কাছে তার নামে বিতরণ করা হয়।
0.5
41.3147
20231101.bn_1081980_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মহাপ্রসাদ
বস্তুগত অর্থে, প্রসাদ একজন মানব ভক্ত ও দেবতার মধ্যে দেওয়া ও গ্রহণের একটি প্রক্রিয়া দ্বারা তৈরি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন ভক্ত কোনো বস্তু যেমন ফুল, ফল বা মিষ্টির নৈবেদ্য দেয়। দেবতা তখন 'উপভোগ করেন' বা নৈবেদ্যের কিছুটা স্বাদ পান।
1
41.3147
20231101.bn_1081980_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মহাপ্রসাদ
এই-ঐশ্বরিকভাবে বিনিয়োগ করা পদার্থকে প্রসাদ বলা হয় এবং ভক্ত দ্বারা গ্রহণ, পরিধান ইত্যাদি গ্রহণ করা হয়। এটি একই উপাদান হতে পারে যা মূলত দেওয়া হয়েছিল বা অন্যদের দ্বারা দেওয়া হয়েছিল এবং তারপর অন্যান্য ভক্তদের কাছে পুনরায় বিতরণ করা হয়েছিল। অনেক মন্দিরে, ভক্তদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রসাদ (যেমন, বাদাম, মিষ্টি) বিতরণ করা হয়।
0.5
41.3147
20231101.bn_1081980_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মহাপ্রসাদ
খাদ্য প্রদান এবং পরবর্তীতে প্রসাদ গ্রহণ পুজোর অনুশীলনের কেন্দ্রীয় বিষয়। যে কোন খাবার যা শারীরিকভাবে দেবতার প্রতিমূর্তির জন্য দেওয়া হয় অথবা নীরবে প্রার্থনায় হয় তা প্রসাদ বলে বিবেচিত হয়।
0.5
41.3147
20231101.bn_1081980_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মহাপ্রসাদ
শিখধর্মে, প্রার্থনা এবং ধর্মগ্রন্থ পাঠের পর মণ্ডলীতে কারা পারশাদ পরিবেশন করা হয়। পারশাদ ল্যাঙ্গারের মতোই মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করে যেখানে এটি নির্বিচারে পরিবেশন করা হয়।
0.5
41.3147
20231101.bn_1081980_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মহাপ্রসাদ
কুরুক্ষেত্র প্রসাদম (চন্না লাড্ডু) কুরুক্ষেত্রের ৪৮ কোড পরিক্রমায়' এবং ব্রজ পরিক্রমে মথুরা পেডা হল ভূ-বিশেষ প্রসাদ।
0.5
41.3147
20231101.bn_945117_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE
আতুম
মনে করা হয় যে, আতুমের নামটি উদ্ভূত হয়েছে tm ক্রিয়াপদটি থেকে, যার অর্থ হল 'সমাপ্ত করা'। এই কারণে তাঁকে ব্যাখ্যা করা হয় "সম্পূর্ণ সত্ত্বা" হিসেবে এবং পৃথিবী-সম্পূর্ণকারী হিসেবেও। প্রাচীন মিশরীয়রা মনে করত সৃষ্টিচক্রের শেষে জলময় বিশৃঙ্খলা থেকে তিনি পৃথিবীকে ফিরিয়ে দেন। সৃষ্টিকর্তা হিসেবে তাঁকে দেখা হত জগতের আদিপুরুষ হিসেবে। দেবদেবীরা এবং ব্রহ্মাণ্ড তাঁর জীবনদায়ী শোক্তি বা কা প্রাপ্ত হতেন।
0.5
41.249033
20231101.bn_945117_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE
আতুম
আতুম হলেন একেবারে প্রথম যুগ থেকে একজন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়শই উল্লিখিত দেবতা। এর প্রমাণ পাওয়া যায় পিরামিড লিপিগুলিতে তাঁর প্রাধান্যের মধ্যে দিয়ে, যেখানে মন্ত্রাবলির সংকলনের মধ্যে তাঁকে একাধারে এক সৃষ্টিকর্তা এবং রাজার পিতা রূপে প্রদর্শিত হয়েছে। আতুম কীভাবে অস্তিত্বমান হয়েছিলেন তা নিয়ে লিপিগুলির মধ্যে বিভিন্ন পাঠান্তর দৃষ্ট হয়। হেলিওপোলিসীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, আতুম আদিতে আদ্যকালীন জলের মধ্যে স্থিত তাঁর অণ্ডের মধ্যে বিরাজমান ছিলেন, তারপর আদ্যকালীন বন্যার সময় তাঁর জন্ম হয় এবং তাঁর আদলে সৃষ্ট সকল বস্তুর উৎসে পরিণত হন। অপর দিকে মেমফিসীয়রা (মেমফিসের পুরোহিতবর্গ) মনে করতেন যে, প্তাহ আতুমকে এক অধিকতর বৌদ্ধিক পদ্ধতিতে সৃষ্টি করেন নিজের বাক্য ও চিন্তা দ্বারা। শাবাকা প্রস্তরে এমন বর্ণনাই পাওয়া যায়।
0.5
41.249033
20231101.bn_945117_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE
আতুম
হেলিওপোলিসীয় সৃষ্টিতত্ত্বে আতুমকে প্রথম দেবতার মর্যাদা দিয়ে তাঁকে স্বয়ম্ভূ বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি আদ্যকালীন জল (নু থেকে উদ্ভূত একটি স্তুপের (বেনবেন) উপর বসে ছিলেন (অথবা তাঁকেই সেই স্তুপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে)। আদিকালীন অতিকথাগুলিতে বলা হয়েছে যে, আতুম নিজের মুখ থেকে থুতু ফেলে দেবতা শু ও দেবী তেফনুতকে সৃষ্টি করেছিলেন। অন্য একটি লিপিতে এমন বিতর্ক পাওয়া যায় যায় যে শু ও তেফনুতকে আতুম নিজের মুখের লালা বা বীর্য ছিটিয়ে সৃষ্টি করেননি, বরং তাঁরা সৃষ্টি হয়েছিলেন আতুমের ওষ্ঠ থেকে। আরেকটি লিপিতে বর্ণিত হয়েছে যে, এই দুই দেবদেবীর জন্ম আতুমের হাত থেকে। সেই লিপিটিতেই আতুমের হাতটিকে হেলিওপোলিসীয় সৃষ্টিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেবতার পত্নীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। অন্য অতিকথাগুলিতে বলা হয়েছে যে, আতুম হস্তমৈথুন করে সৃষ্টিকার্য করেছিলেন; এখানে তাঁর ব্যবহৃত হাতটিতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে তাঁর অন্তর্নিহিত নারীসত্ত্বা রূপে এবং চিহ্নিত করা হয়েছে হাথোর বা ইউসাসেতের মতো দেবীদের সঙ্গে। আবার অন্যান্য ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, তিনি নিজের ছায়ার সঙ্গে মিলিত হয়ে সৃষ্টিকার্য চালিয়েছিলেন।
0.5
41.249033
20231101.bn_945117_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE
আতুম
পুরনো রাজ্যের আমলে মিশরীয়রা বিশ্বাস করত যে, আতুম মৃত রাজার আত্মাকে তাঁর পিরামিড থেকে তুলে নিয়ে যান নক্ষত্রময় স্বর্গলোকে। তিনি ছিলেন একজন সৌরদেবতাও; তাঁকে যুক্ত করা হত প্রাথমিক সূর্যদেব রা-এর সঙ্গে। আতুম বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন সন্ধ্যাকালীন সূর্যের সঙ্গে, যেখানে রা বা ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত দেবতা খেপরি যুক্ত ছিলেন প্রভাতী ও মধ্যাহ্নকালীন সূর্যের সঙ্গে।
0.5
41.249033
20231101.bn_945117_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE
আতুম
শবাধার লিপিগুলিতে আতুমের সঙ্গে ওসাইরিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন পাওয়া যায়। এই কথোপকথন থেকে জানা যায়, মিশরীয় পুরাণ মতে ব্রহ্মাণ্ডের সমাপ্তিকালে যখন সবকিছুর অস্তিত্ব লোপ পাবে তখন শুধু আদ্যকালীন জলের উপাদানগুলিই থেকে যাবে এবং আতুম ও ওসাইরিস তারপরেও লক্ষ লক্ষ বছর সাপ হিসেবে বিরাজমান থাকবেন। আতুম দাবি করেছিলেন যে, তিনি তাঁর সৃষ্ট সব কিছু ধ্বংস করে আদ্যকালীন জল নু-কে ফিরিয়ে আনবেন। আদ্যকালীন জলের বাইরে দেবদেবীদের অস্তিত্ব একদিন লোপ পাবে, এই বিশ্বাসটিকে এইভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে।
1
41.249033
20231101.bn_945117_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE
আতুম
মৃতের বই-তে (যা গ্রিকো-রোমান যুগেও ব্যবহৃত হত) বলা হয়েছে যে, সৌরদেবতা আতুম বিশৃঙ্খলার জল থেকে উত্থিত হয়েছিলেন সাপের আকারে; কারণ সাপ হল এমন এক প্রাণী যা প্রতি সকালে নবীনতা লাভ করে।
0.5
41.249033
20231101.bn_945117_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE
আতুম
আতুম হলেন প্রাক্-অস্তিত্ব ও অস্তিত্ব-পরবর্তী অবস্থার দেবতা। যুগ্ম সৌর চক্রে উভচর-রূপী আতেনের বিপরীতে থাকেন গুবরে পোকার মস্তকবিশিষ্ট দেবতা খেপরি—তরুণ সূর্যদেবতা, যাঁর নামটি মিশরীয় উৎসারিত হয়েছে মিশরীয় ḫpr, অর্থাৎ "অস্তিত্বমান হয়েছেন" এই অর্থ থেকে। খেপরি-আতুম সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তকে ঘিরে রাখেন, এইভাবেই প্রভাত ও সন্ধ্যার সমগ্র চক্রটি প্রতিফলিত হয়।
0.5
41.249033