_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
5.1k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
11.1k
20231101.bn_5125_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8
ইরান
ইরানের অভ্যন্তরীণ মালভূমিগুলি প্রায় সম্পূর্ণরূপে পর্বতবেষ্টিত। জগ্রোস পর্বতমালা প্রধান পর্বতমালা এবং এটি দেশটির ভেতরে দিয়ে উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ১,৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্য জুড়ে বিস্তৃত। পারস্য উপসাগরের উত্তর উপকূলের খোঁজেস্তন ছাড়া পশ্চিম ইরানের প্রায় পুরোটাই জগ্রোস পর্বতমালায় গঠিত। পর্বতমালাটির মধ্য অংশ প্রস্থে প্রায় ৩৪০ কিমি চওড়া। এর অধিকাংশ চূড়া ৪,০০০ মিটারেরও অধিক উচ্চতাবিশিষ্ট। এদের মধ্যে ৪,৫৪৭ মিটার উঁচু জার্দ কুহ সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। ২,৩০০ মিটারের চেয়ে উঁচু শৃঙ্গগুলিতে অনেক পানি জমা হয় এবং এগুলি নিচের উপত্যকায় ভূ-গর্ভস্থ পানি আকারে নেমে আসে। এই উপত্যকাগুলি সমুদ্রতল থেকে ১২০০ থেকে ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত হলেও যথেষ্ট উর্বর এবং এগুলিতে বিভিন্ন ধরনের শস্যের আবাদ করা হয়।
0.5
5,357.769093
20231101.bn_5125_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8
ইরান
ইরানের উত্তর প্রান্তে একটি খাড়া, সরু পর্বতমালা কাস্পিয়ান সাগরের পুরো দক্ষিণ তীর জুড়ে অবস্থিত; এর নাম আলবোর্জ পর্বতমালা। এই পর্বতমালাটি প্রায় ৬০০ কিমি দীর্ঘ এবং এর গড় প্রস্থ প্রায় ১০০ কিমি। ইরানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দামভান্দ (৫,৬৭০ মি) এই পর্বতমালার মধ্যভাগে অবস্থিত। আলবোর্জের আরও অনেকগুলি চূড়া ৩,৬০০ মিটার ছাড়িয়ে গেছে। এই পর্বতমালার উত্তর ঢালের অরণ্যে সারা বছর ধরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। এই পর্বতমালা ও কাস্পিয়ান সাগরের অন্তর্বর্তী স্থানে গড়ে ২৪ কিমি প্রস্থবিশিষ্ট একটি উর্বর সমভূমি আছে। আলবোর্জ পর্বতমালার পূর্বে সমান্তরাল কতগুলি পর্বতমালা রয়েছে, যেগুলি ২৪০০ থেকে ২৭০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই পর্বতমালাগুলির মাঝে অনেক সরু, আবাদী উপত্যকা আছে। ইরানের পূর্ব সীমান্ত ধরে অনেকগুলি অপেক্ষাকৃত নিম্ন উচ্চতার শৈলশিরা চলে গেছে; এদেরকে একত্রে পূর্বের উঁচু অঞ্চল নামে ডাকা হয়।
0.5
5,357.769093
20231101.bn_5125_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8
ইরান
এই পর্বতমালার বেষ্টনীর মাঝের নিচু এলাকাকে একত্রে কেন্দ্রীয় মালভূমি নামে ডাকা হয়। এদের মধ্যে আছে মধ্য-উত্তর ইরানের দাশ্‌তে কাভির নামের একটি বিরাট লবণাক্ত মরুভূমি, দক্ষিণ-পূর্বের দাশ্‌তে লুত নামের নুড়ি ও বালির মরুভূমি এবং একাধিক উর্বর মরূদ্যান।
1
5,357.769093
20231101.bn_5125_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8
ইরান
ইরানের পর্বতগুলি একটি সক্রিয় ভূমিকম্প এলাকার উপর অবস্থিত, এবং প্রতি বছর এখানে বহু ছোট আকারের ভূমিকম্প হয়। বড় আকারের ভূমিকম্প কিছুদিন পর পরই ঘটে এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ১৮শ শতকে ভূমিকম্পের কারণে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহর দুইবার মাটিতে মিশে যায় এবং প্রতিবার প্রায় ৪০,০০০ করে লোক মারা যায়। ২০শ শতকের মধ্যভাগ থেকে দেশটিতে অনেকগুলি বড় আকারের ভূমিকম্প ঘটেছে যাতে হাজার হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। ১৯৯০ সালের জুনে আলবোর্জ ও জগ্রোসের মিলনস্থলে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ৩৭,০০০ লোক মারা যান। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ ইরানে এক ভূমিকম্পে প্রাচীন নগরী বামের অধিকাংশ ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রায় ৩০,০০০ লোক মারা যান। ইরানের অনেকগুলি পর্বত আগ্নেয়। এদের মধ্যে কেবল দামভান্দ পর্বত ও দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের কুহে তাফতান সক্রিয় আগ্নেয়গিরি; এদের চূড়ার কাছে কিছু সময় পর পর গ্যাস নিঃসরিত হয়।
0.5
5,357.769093
20231101.bn_5125_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8
ইরান
ইরানে অনেক নদী আছে, কিন্তু এগুলির প্রায় সবগুলিই স্বল্পদৈর্ঘ্য ও অগভীর এবং নৌপরিবহনের অযোগ্য। কারণ দেশটির একমাত্র নৌপরিবহনযোগ্য নদী এবং এটি দক্ষিণ-পশ্চিমের আহওয়াজ শহরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেশির ভাগ নদীর উৎপত্তি পার্বত্য অঞ্চলে এবং সমাপ্তি অভ্যন্তরীণ উপত্যকায়। প্রাচীনকাল থেকে ইরানের অধিবাসীরা নদীগুলিকে সেচকাজে ব্যবহার করে আসছে। ২০শ শতকে আব-এ দেজ, কারখেহ, কারুন, সেফিদ রুদ ও অন্যান্য নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করে সেচকাজের পরিধি বাড়ানো হয় এবং জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। তিনটি নদী ইরানের আন্তর্জাতিক সীমানায় প্রবাহিত হয়। আরাস নদী আর্মেনীয়া ও আজারবাইজানের সাথে সীমান্তে, শাত-আল আরাব নদী ইরাকের সাথে সীমান্তে প্রবাহিত। ইরান চারটি দেশের সাথে বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদ কাস্পিয়ান সাগরের অংশীদার। অনেক ছোট ছোট নোনাপানির হ্রদ ইরানের অভ্যন্তরে অবস্থিত, এদের মধ্যে উত্তর-পশ্চিমের ঊর্মিয়া হ্রদ সবচেয়ে বড়। উঁচু পর্বত উপত্যকা এলাকায় কিছু মিষ্টি পানির হ্রদের দেখা মেলে।
0.5
5,357.769093
20231101.bn_5125_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8
ইরান
ইরানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের প্রায় অর্ধেকই তটরেখা। এর মধ্যে আছে কাস্পিয়ান সাগরের তীরে প্রায় ৭৪০ কিমি দীর্ঘ তটরেখা এবং পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরের প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ তটরেখা। কাস্পিয়ান সাগর ও পারস্য উপসাগরে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর আছে এবং এলাকাগুলিতে পানির নিচে প্রচুর তেল ও গ্যাস রয়েছে। ইরানের বৃহত্তম পোতাশ্রয় বন্দর-এ আব্বাস হরমুজ প্রণালীতে অবস্থিত।
0.5
5,357.769093
20231101.bn_5125_22
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8
ইরান
ইরানে প্রায় ১০,০০০ প্রজাতির উদ্ভিদ শনাক্ত করা হয়েছে, তবে দেশের অধিকাংশ এলাকায় প্রাকৃতিক বনাঞ্চল উচ্ছেদ করে আবাদী জমি বা পশুচারণভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। বনাঞ্চলে বীচ, ওক ও অন্যান্য পর্ণমোচী গাছ এবং এলবুরুজ পর্বত এলাকায় পাইন, ফার-জাতীয় গাছ জন্মে। জাগরোস পর্বতমালার উঁচু এলাকায় ওক অরণ্য দেখা যায়। এলবুরুজ ও জাগরোস পর্বতমালায় বন্য ফলগাছ যেমন কাঠবাদাম, নাশপাতি, ডালিম, আখরোট জন্মে। দেশের ঊষর কেন্দ্রীয় এলাকায় বন্য পেস্তাবাদাম ও অন্যান্য খরা-সহনশীল গাছ জন্মে। দশ্‌ত-এ কবীরের প্রান্তে তামারিস্ক বা চিরহরিৎ ঝাউগাছ জন্মে।
0.5
5,357.769093
20231101.bn_1219_63
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
বিজ্ঞান
| আলোক-বিভব ক্রিয়া (১৮৩৯) || সৌর কোষ (১৮৮৩), যা থেকে বর্তমানে সৌর শক্তি, সৌর শক্তি চালিত ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, বসতবাড়ির বিদ্যুত ব্যবস্থা চালনা করা হয়।
0.5
5,331.790629
20231101.bn_1219_64
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
বিজ্ঞান
| রেডিও কম্পাঙ্ক (১৮৮৭) || রেডিও টেলিফোন ছাড়াও অসংখ্যভাবে ব্যবহৃত হয় রেডিও ও টিভি ইত্যাদিতে। অন্যান্য ব্যবহারগুলো হল জরুরি সেবা, রাডার দিয়ে দিকনির্ণয় এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস, চিকিৎসাসেবায়, জ্যোর্তিবিজ্ঞানে, তারবিহীন যোগাযোগে, ভূপদার্থ এবং নেটওয়ার্কের প্রযুক্তিতে। রেডিওকে আরো মাইক্রোওয়েভে রূপ দেয়া হয় যা বিশ্বব্যপি দৈনন্দিন কাজে যেমন খাদ্য গরম করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
0.5
5,331.790629
20231101.bn_1219_65
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
বিজ্ঞান
| ক্যান্সার চিকিৎসায় (১৮৯৬), রেডিওমেট্রিক ডেটিং (১৯০৫), নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার ধারকs (১৯৪২) এবং পারমাণবিক অস্ত্র (১৯৪৫), খনিজ অনুসন্ধান, পিইটি স্কেন (১৯৬১), এবং
0.5
5,331.790629
20231101.bn_1219_66
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
বিজ্ঞান
| অর্ধপরিবাহী যন্ত্রসমূহ (১৯০৬) যা থেকে আধুনিক কম্পিউটিং এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, মোবাইল ফোন, এলইডি ল্যাম্প এবং লেজার।
0.5
5,331.790629
20231101.bn_1219_67
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
বিজ্ঞান
প্রতিলিপি সংকট একটি চলমান পদ্ধতিগত সংকট যা প্রাথমিকভাবে সামাজিক এবং জীব বিজ্ঞানকে প্রভাবিত করে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন যে অনেক গবেষনার ফলাফলই বাস্তবক্ষেত্রে প্রতিলিপি করা বা পুনরুৎপাদন করা কঠিন তা সে একক কোন গবেষক বা যারা শুরুতে গবেষণা করেছিলেন তারাও হতে পারে। এই সমস্যার সচেতনার থেকে জানা যায় এটি অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল প্রায় ২০১০ দশকের শুরু থেকেই। প্রতিলিপি সংকট অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে প্রতিনিধিত্ব করে তা হল মেটাবিজ্ঞান (বিজ্ঞানকেই পরীক্ষার পদ্ধতি)। মেটাবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হল সমস্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণার মানোন্নয় করার পাশাপাশি কম বর্জ্য নিঃসরণ করা।
1
5,331.790629
20231101.bn_1219_68
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
বিজ্ঞান
এটি গবেষণায় বা অনুমানমূলক একটি ক্ষেত্র যা বিজ্ঞান হিসাবে বৈধতা দাবি করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তারা বিজ্ঞানের মর্যাদা অর্জন করতে সক্ষম হবে না কখনও কখনও তাদেরকে ছদ্মবিজ্ঞান, fringe বিজ্ঞান, বা জাঙ্ক বিজ্ঞান হিসাবে উল্লেখ করা হয়। পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যান "cargo cult science" শব্দটি ব্যবহার করেছেন তাদের ক্ষেত্রে যে গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে তারা বিজ্ঞানের কাজ করছেন কারণ তাদের কার্যক্রমগুলিতে বিজ্ঞানের বাহ্যিক চেহারা রয়েছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে" নির্গত সততার "অভাব রয়েছে যার ফলে তাদের ফলাফল অক্ষরে অক্ষরে মূল্যায়ন করা যায় । বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন হাইপ থেকে জালিয়াতি পর্যন্ত এই বিভাগগুলির মধ্যে পড়তে পারে ।
0.5
5,331.790629
20231101.bn_1219_69
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
বিজ্ঞান
বৈজ্ঞানিক বিতর্কে সকল পক্ষের উপর রাজনৈতিক বা মতাদর্শগত পক্ষপাতের একটি উপাদানও থাকতে পারে। কখনও কখনও গবেষণায় একে "অপবিজ্ঞান" হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে, যা গবেষণায় ভালভাবে ধারণা করা যায় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি আসলেই ভুল, অপ্রচলিত, অসম্পূর্ণ, বা বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলির সরলীকৃত ব্যাখ্যা । "বৈজ্ঞানিক অপব্যবহার" শব্দটি এমন পরিস্থিতিতে বোঝায় যখন গবেষকরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের প্রকাশিত তথ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন বা ভুলভাবে ভুল ব্যক্তির কাছে একটি আবিষ্কারের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন ।
0.5
5,331.790629
20231101.bn_1219_70
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
বিজ্ঞান
বৈজ্ঞানিক সমাজ হল সকল বিজ্ঞানীদের (নিজ নিজ ক্ষেত্র এবং প্রতিষ্ঠানে থেকেও) পারস্পরিক সহযোগীতা ও যোগাযোগের একটি দল।
0.5
5,331.790629
20231101.bn_1219_71
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
বিজ্ঞান
বিজ্ঞানীগণ হল ব্যক্তিবিশেষ বা দল বিশেষ যারা তার বা তাদের পছন্দের বিষয়ের উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করেন। ১৮৩৩ সালে বিজ্ঞানি শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন উইলিয়াম হিওয়েল। আধুনিক সময়ে অনেক পেশাদার বিজ্ঞানীকে শিক্ষাদানের আদলে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষে তারা একটি শিক্ষাগত ডিগ্রি লাভ করেন যার মধ্যে সবোর্চ্চ হল ডক্টরেট ডিগ্রি যেমন দর্শনশাস্ত্রে ডক্টরেট হল পিএইটডি। অনেক বিজ্ঞানিই তাদের ক্যারিয়ার বেছে নেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, শিল্পে, সরকারি খাতে এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে।
0.5
5,331.790629
20231101.bn_1193_23
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%A4
গণিত
| ক্যালকুলাস || ভেক্টর ক্যালকুলাস|| ব্যবকলনীয় সমীকরণ || গতিশীল সিস্টেম || বিশৃঙ্খলা তত্ত্ব || জটিল-সাংখ্যিক বিশ্লেষণ
0.5
5,305.519394
20231101.bn_1193_24
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%A4
গণিত
গাণিতিক বিশ্লেষণ • বাস্তব বিশ্লেষণ • জটিল বিশ্লেষণ • ফাংশনাল এনালিসিস • বিশেষ ফাংশন • পরিমাপন তত্ত্ব • ফুরিয়ার বিশ্লেষণ • পরিবর্তনশীল ক্যালকুলাস
0.5
5,305.519394
20231101.bn_1193_25
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%A4
গণিত
গণিতের ভিত্তি • গণিতের দর্শন • প্রাতিষ্ঠানিকতা • কনস্টাক্টিভিজম • প্রমাণ তত্ত্ব • মডেল তত্ত্ব • রিভার্স গণিত
0.5
5,305.519394
20231101.bn_1193_26
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%A4
গণিত
ফিল্ডস পদক হচ্ছে গণিতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার যেটি ১৯৩৬ সালে যাত্রা শুরু করে, বর্তমানে প্রতি চার বছর পরপর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই পুরষ্কারটিকে গণিতে নোবেল পুরষ্কারের সমতুল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তেইশটি উন্মুক্ত সমস্যার একটি বিখ্যাত তালিকা ১৯০০ সালে জার্মান গণিতবিদ ডাভিড হিলবের্ট তৈরি করেন যেটাকে বলা হয় "Hilbert's problems". এই তালিকাটি গণিতবিদদের মধ্যে অনেক বড় আলোড়ন তৈরি করে। এই সমস্যা গুলোর মধ্যে নয়টি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। সাতটি গুরুত্বর্পূণ সমস্যার একটি নতুন তালিকা "Millennium Prize Problems" নামে ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়। এর প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধানের জন্য এক মিলিয়ন ইউএস ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
0.5
5,305.519394
20231101.bn_1193_27
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%A4
গণিত
পিথাগোরাসের উপপাদ্য • ফার্মির ভাগশেষ উপপাদ্য • গোডেলের অসম্পূর্ণতার তত্ত্ব • পাটীগণিতের মৌলিক উপপাদ্য • বীজণিতের মৌলিক উপপাদ্য • ক্যালকুলাসের মৌলিক উপপাদ্য • ক্যান্টরের কর্ণ-বৃদ্ধি • চার রঙ উপপাদ্য • যোরনের লেমা • অয়লারের অভেদ • গাউস-বনেট তত্ত্ব • কোয়াড্রাটিক রিসিপ্রোসিটি • রিম্যান-রখ তত্ত্ব।
1
5,305.519394
20231101.bn_1193_28
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%A4
গণিত
গোল্ডবাখ অনুমান • দ্বৈত মৌলিক অনুমান • রিম্যান প্রকল্প • কোলাজ অনুমান • P=NP? • open হিলবার্টের সমস্যাগুচ্ছ।
0.5
5,305.519394
20231101.bn_1193_29
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%A4
গণিত
গণিতের ইতিহাস •গণিতের দর্শন• গণিতবিদ তালিকা • ফিল্ডস্ মেডাল • অ্যাবেল পুরস্কার •গণিতের ইতিহাসের তারিখ • Millennium Prize Problems (Clay Math Prize) • ইন্টারনেশনাল ম্যাথেম্যাটিক্যাল ইউনিয়ন • গণিতের প্রতিযোগিতাসমূহ • Lateral thinking • গাণিতিক শিক্ষা • গাণিতিক যোগ্যতা এবং লৈঙ্গিক ইস্যুসমূহ
0.5
5,305.519394
20231101.bn_1193_30
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%A4
গণিত
Benson, Donald C., The Moment of Proof: Mathematical Epiphanies, Oxford University Press, USA; New Ed edition (December 14, 2000). .
0.5
5,305.519394
20231101.bn_1193_31
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%A4
গণিত
Boyer, Carl B., A History of Mathematics, Wiley; 2 edition (March 6, 1991). . — A concise history of mathematics from the Concept of Number to contemporary Mathematics.
0.5
5,305.519394
20231101.bn_7593_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4
রক্ত
রক্ত একটি প্রোটিন-সমৃদ্ধ তরল দিয়ে গঠিত যা প্লাজমা বা রক্তরস নামে পরিচিত। রক্তরসে ভাসমান অবস্থায় কোষীয় উপাদানগুলো যেমন শ্বেত রক্তকণিকা, লোহিত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা থাকে। মানব দেহের মোট ওজনের ৭-৮% হলো রক্ত, লোহিত রক্তকণিকার আয়তন মোট রক্তের ৪৫, রক্তরস ৫৪.৩% ও শ্বেত কণিকা প্রায় ০.৭%। রক্তের গড় আপেক্ষিক গুরুত্ব ১০৬০ kg/m3, যা বিশুদ্ধ পানির আপেক্ষিক গুরুত্ব ১০০০ kg/m3-এর কাছাকাছি।
0.5
5,231.181259
20231101.bn_7593_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4
রক্ত
৪৭ থেকে ৬১ লাখ (পুরুষ), ৪২ থেকে ৫৪ লাখ (মহিলা) লোহিত রক্তকণিকা: লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে যা অক্সিজেন পরিবহণের কাজ করে। স্তন্যপায়ীদের ক্ষেত্রে পরিপক্ক লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস ও অঙ্গাণুসমূহ থাকে না। লোহিত রক্তকণিকাসমূহে ( অন্তর্ঝিল্লীয় বাহিকা কোষ ও অন্যান্য কোষসহ) বিশেষ ধরনের গ্লাইকোপ্রোটিন থাকে যা দ্বারা রক্তের গ্রুপ নির্ণীত হয়। রক্তের যে আনুপাতিক অংশ লোহিত রক্তকণিকা দখল করে থাকে তাকে হিমাটোক্রিট বা রক্ত বিকেন্দ্রক বলে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় এটি প্রায় ৪৫%। মানব দেহের সমস্ত লোহিত রক্তকণিকার সমন্বিত উপরিতলের ক্ষেত্রফল দেহের বাহ্যিক ক্ষেত্রফলের চেয়ে প্রায় ২০০০ গুণ বেশি হবে।লোহিত রক্তকণিকা দেখতে দ্বি-অবতল চাকতির মতো যা অস্থি মজ্জাতে তৈরি হয়।এর স্বাভাবিক গড় ব্যাস ৭.৮ মাইক্রোমিটার এবং সবচেয়ে পুরু অংশে এর পুরুত্ব ২.৫ মাইক্রোমিটার ও কেন্দ্রে ১ মাইক্রোমিটার বা এর চেয়েও কম।লোহিত রক্তকণিকার গড় আয়তন ৯০ থেকে ৯৫ ঘন মাইক্রোমিটার। স্তন্যপায়ীদের ক্ষেত্রে সংবহনতন্ত্রে প্রবেশের পূর্বেই এদের নিউক্লিয়াস বিলুপ্ত হয়ে যায়। মানবদেহের সংবহনতন্ত্রে এরা গড়ে ১২০ দিন টিকে থাকে। পুরুষের ক্ষেত্রে গড়ে প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে ৫৪ লাখ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪৮ লাখ লোহিত রক্তকণিকা থাকে। প্রতিটি লোহিত রক্তকণিকা প্রায় ২৯ পিকোগ্রাম হিমোগ্লোবিন ধারণ করে এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির রক্তে প্রায় ৯০০ গ্রাম হিমোগ্লোবিন থাকে।
0.5
5,231.181259
20231101.bn_7593_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4
রক্ত
৪,০০০–১১,০০০ শ্বেতকণিকা: এদের মধ্যে দানাদার কোষের (পলিমরফোনিউক্লিয়ার লিউকোসাইট বা বহুরূপী শ্বেতকণিকা) সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তরুণ দানাদার কোষের অশ্বখুরাকৃতির নিউক্লিয়াস রয়েছে এবং কোষগুলো বয়ঃপ্রাপ্ত হলে নিউক্লিয়াসটি বহুদলাবিশিষ্ট হয়ে যায়।এদের অধিকাংশই নিউট্রোফিলিক বা নিরাকর্ষী দানা (নিউট্রোফিল) ধারণ করে, কিন্তু কিছু কোষ এমন দানাদার পদার্থ ধারণ করে যা অম্লীয় রং দিয়ে রঞ্জিত হয় (ইওসিনোফিল), কিছু কোষে বেসোফিলিক বা ক্ষারাকর্ষী দানা বিদ্যমান (বেসোফিল)।অন্য যে দুই ধরনের কোষ স্বাভাবিকভাবে প্রান্তীয় রক্তে পাওয়া যায় তা হলো লিম্ফোসাইট, যার নিউক্লিয়াস বড়ো ও গোলাকার এবং অত্যল্প সাইটোপ্লাজম, এবং মনোসাইট, যার প্রচুর অদানাদার সাইটোপ্লাজম ও বৃক্ক-আকৃতির নিউক্লিয়াস রয়েছে। এই কোষগুলো একসাথে কাজ করে দেহকে অর্বুদ বা টিউমার ও ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী সংক্রমণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা প্রদান করে।
0.5
5,231.181259
20231101.bn_7593_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4
রক্ত
২,০০,০০০–৫,০০,০০০ অণুচক্রিকা: অণুচক্রিকা হলো ক্ষুদ্র, বর্ণহীন, দানাযুক্ত কণিকা যা রক্তবাহিকার ক্ষতস্থানে জমায়েত হয়। এদের নিউক্লিয়াস থাকে না এবং ব্যাস ২-৪ মাইক্রোমিটার ও আয়তন ৭-৮ ঘন মাইক্রোমিটার।স্বাভাবিকভাবে অণুচক্রিকা বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে, যেমন বর্তুলাকার অথবা দণ্ড-আকৃতির এবং নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ডিম্বাকৃতি বা চাকতি-আকৃতির হয়। কখনো কখনো অণুচক্রিকা ডাম-বেল আকৃতি, কমা আকৃতি, চুরুট-আকৃতি অথবা অন্য যে-কোনো অস্বাভাবিক আকৃতির হতে পারে। অণুচক্রিকার অর্ধায়ু ৮-১২ দিন। অস্থি মজ্জায় মেগাক্যারিওসাইট বা মহাকেন্দ্রক কোষ নামক দানব কোষ থেকে অণুচক্রিকার উৎপত্তি হয়ে রক্ত প্রবাহে চলে আসে। অস্থি মজ্জা থেকে বাইরে বের হয়ে আসা অণুচক্রিকার মধ্যে ৬০% থেকে ৭৫% রক্ত সংবহনতন্ত্রে থাকে এবং বাকি অংশ থাকে প্লীহাতে। এজন্য প্লীহাকর্তন করলে অণুচক্রিকার সংখ্যা বেড়ে যায়। অণুচক্রিকার অপর নাম প্লেটলেট বা থ্রম্বোসাইট, এরা রক্ত জমাট বাঁধায় অংশ নেয়।
0.5
5,231.181259
20231101.bn_7593_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4
রক্ত
প্লাজমা বা রক্তরস হলো রক্তের ফ্যাকাশে হলুদ বর্ণের স্বচ্ছ তরল অংশ। এতে ৯১% থেকে ৯২% পানি এবং ৮% থেকে ৯% কঠিন বস্তু থাকে। কঠিন বস্তুর মধ্যে জৈব ও অজৈব উভয় ধরনের পদার্থই বিদ্যমান। স্বাভাবিক রক্তরস আয়তন হলো দৈহিক ওজনের ৫%, অথবা ৭০ কেজি ওজনবিশিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রায় ৩৫০০ মি.লি.। রক্তরস স্থির অবস্থায় জমাট বেঁধে যায়, তবে অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট বা তঞ্চনরোধক যোগ করলে তরল থাকে। যদি সম্পূর্ণ রক্তকে জমাট বাঁধতে দেওয়া হয় এবং জমাট-বাঁধা অংশকে অপসারণ করা হয়, তাহলে অবশিষ্ট তরলকে রক্তাম্বু বা রক্তমস্তু বলে। রক্তাম্বুতে রক্তরসের মতো প্রায় একই ধরনের উপাদান থাকে, তবে এতে ফাইব্রিনোজেন ও তঞ্চন ফ্যাক্টর বা নিয়ামক II, V ও VIII অপসারিত হয় এবং রক্ত তঞ্চনের সময় অণুচক্রিকার ভাঙনের কারণে সেরোটোনিন নামক উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে।
1
5,231.181259
20231101.bn_7593_22
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4
রক্ত
রক্তের pH কিছুটা ক্ষারীয় এবং খুব কঠোরভাবে ৭.৩৫ থেকে ৭.৪৫ সীমার মধ্যে নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়। রক্তে বহিঃস্থ কোষীয় তরলের pH ৭.৩৫-এর নিচে হলে তা খুবই অম্লীয় এবং ৭.৪৫-এর উপরে উঠলে তা খুবই ক্ষারীয়। pH ৬.৯-এর নিচে নামলে বা ৭.৮-এর উপরে উঠলে তা সাধারণত প্রাণঘাতী। রক্তের pH, অক্সিজেনের আংশিক চাপ (pO2), কার্বন ডাই-অক্সাইডের আংশিক চাপ (pCO2) এবং বাইকার্বনেট (HCO3−) মাত্রা দেহের সাম্যাবস্থা কৌশলের মাধ্যমে খুব সতর্কতার সাথে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং দেহের অম্ল-ক্ষার সাম্যাবস্থা বজায় থাকে। দেহের শ্বসনতন্ত্র ও মূত্রতন্ত্র এক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা পালন করে।
0.5
5,231.181259
20231101.bn_7593_23
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4
রক্ত
মানুষের রক্ত প্রায় অন্যান্য স্তন্যপায়ীদের মতোই, তবে কোষের সংখ্যা, আকৃতি, প্রোটিনের গঠন প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রজাতিভেদে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। অস্তন্যপায়ী মেরুদণ্ডীদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রধান পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়:
0.5
5,231.181259
20231101.bn_7593_24
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4
রক্ত
শ্বেত রক্তকণিকার ধরন ও অনুপাতে বেশ বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়; উদাহরণস্বরূপ, মানবদেহের তুলনায় অ্যাসিডোফিল বা অম্লাকোর্ষীকোষ একটু বেশি থাকে।
0.5
5,231.181259
20231101.bn_7593_25
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4
রক্ত
প্লেইটলেট বা অণুচক্রিকা স্তন্যপায়ীদের ক্ষেত্রে অনন্য; অন্যান্য মেরুদণ্ডীদের ক্ষেত্রে থ্রম্বোসাইট নামে ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াসযুক্ত, অন্যান্য মেরুদণ্ডীদের ক্ষেত্রে থ্রম্বোসাইট নামে ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াসযুক্ত, টাকু আকৃতির কোষ রক্ত তঞ্চনের জন্য দায়ী।
0.5
5,231.181259
20231101.bn_8430_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF
ইতালি
রোমানোত্তর ইতিহাসে যদিও ইতালি অনেক রাজ্য ও নগরে বিভক্ত ছিলো - সারদিনিয়া রাজ্য, দুই সিসিলিয়া রাজ্য, ডাচি অব মিলান কিন্তু ১৮৬১ সালে একীভূত হয়,
0.5
5,218.85335
20231101.bn_8430_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF
ইতালি
ইতিহাসের এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে, যা “ইল রিসরজিমেন্ত” (পুনরুত্থান) নামে পরিচিত। ১৯ শতকের শেষের দিকে, ১ম বিশ্বযুদ্ধ থেকে ২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন ইতালি ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। এর শাসন লিবিয়া, ইরিথ্রিয়া, সোমালিয়া, ইথোপিয়া, আলবেনিয়া, ডোডেকানিস পর্যন্ত বর্ধিত করে ও চীনের তিয়াঞ্জিন শহরও এতে সম্মতি প্রদান করে। শেংগেন চুক্তি স্বাক্ষরকারী বিধায় শেঙ্গগেন ভিসা নিয়ে এ দেশে প্রবেশ করা যায়।
0.5
5,218.85335
20231101.bn_8430_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF
ইতালি
বর্তমান ইতালি একটি গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। মানব উন্নয়ন সূচকে ইতালিকে বিশ্বের ২৩তম উন্নত দেশ হিসেবে গণ্য করা হয় ও জীবনের মান নির্দেশ বিচারে বিশ্বের সেরা দশে ইহার স্থান। ইতালীয়রা খুব উন্নত জীবন-যাপনে অভ্যস্ত এবং প্রতি কাপিটাতে আছে উচ্চ নমিনাল জিডিপি । ইতালি হচ্ছে ইউরোপিয়া ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এটি ইউরোজোনেরও একটি অংশ। এছাড়াও এটির জি৮, জি২০ এবং ন্যাটোর সদস্যপদ রয়েছে। ইতালির রয়েছে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম নমিনাল জিডিপি, দশম উচ্চতর জিডিপি (পিপিপি)) এবং ষষ্ঠ বৃহত্তম সরকারি বাজেট। এটি অরগানাইজেশন ফর ইকনোমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন, কাউন্সিল অব ইউরোপ, ওয়েস্টার্ন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউনাইটেড ন্যাশন্সের সদস্য। ইতালির রয়েছে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ডিফেন্স বাজেট এবং ন্যাটো নিউক্লিয়ার সরঞ্জামের অংশীদারত্ব।
0.5
5,218.85335
20231101.bn_8430_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF
ইতালি
ইতালির ইউরোপীয় ও পৃথিবীব্যাপী সামরিক, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কে বিশাল ভূমিকা পালন করে। ইউরোপীয় রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব দেশটিকে দিয়েছে আঞ্চলিক শক্তি। দেশটির রয়েছে সরকারি উচ্চ শিক্ষা কাঠামো ও উচ্চ বিশ্বায়িত জাতি।
0.5
5,218.85335
20231101.bn_8430_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF
ইতালি
“ইতালিয়া” (Italia) নামের ব্যুৎপত্তিটির অনেক সংখ্যক পুর্বধারণা আছে এবং এর সমাধানের পথ নিয়ে ইতিহাসবিদরা ও ভাষাবিদরা বিস্তৃত ধারণা দিয়েছেন।
1
5,218.85335
20231101.bn_8430_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF
ইতালি
অনেকগুলো বর্ণনা থেকে অন্যতম ব্যাখ্যা হলো, ইতালিয়া শব্দটি ল্যাটিনঃ ইতালিয়া থেকে এসেছে,}}, যা গ্রিক শব্দ ওসকান (Oscan); Víteliú; যার অর্থ দাঁড়ায় “ছোট গবাদিপশুদের চারণভূমি” (land of young cattle) (cf. Lat vitulus "calf", Umb vitlo "calf"); থেকে ধার করা হয়েছে।. ষাঁড় ছিলো একটি দক্ষিণ ইতালীয় উপজাতির প্রতীক এবং স্বাধীন ইতালির সামনিট যুদ্ধের সময় রোমান উদ্ধত নেকড়েকে রক্তাক্ত করে বলে প্রায়ই শোনা যায়। গ্রিক ইতিহাসবিদ ডিওনিসিয়াস অব হালিকারনাসাস এর মতে, লোককাহিনীর বরাত দিয়ে তিনি ইতালিকে ইটালুস (Italus) আখ্যা দেন, এরিস্টটল ও থুসিদিদেসও (Thucydides) একই মত দেন। ইতালি নামটি প্রকৃত অর্থে বর্তমান দক্ষিণ ইতালির জন্য প্রযোজ্য যা এন্টিওচুস অব সাইরাকাস এর মতে, ব্রুত্তিউম উপদ্বীপের দক্ষিণভাগ (বর্তমান কালাব্রিয়া)। তার সময়ে ইতালি ও এনোট্রিয়া (Oenotria) সমার্থক ছিল। এটি লুকানিয়ার কিছু অঞ্চলের জন্যও ব্যবহৃত হত। যা বৃহত্তর অঞ্চলের জন্য গ্রিকরা ইতালিয়াতে ধীরে ধীরে প্রচলন করেন কিন্তু পুরো উপদ্বীপ রোমানরা জয়লাভের আগ পর্যন্ত এর ব্যাপকতা ছিল না।
0.5
5,218.85335
20231101.bn_8430_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF
ইতালি
দুই লক্ষ বছর আগের পিলিওলিথিক যুগেও (Paleolithic period) সমগ্র ইতালি জুড়ে আধুনিক সভ্য মানুষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। রোমান পূর্ববর্তী ইতালীয় জাতিসমূহ যেমন উম্ব্রিয়ান, ল্যাটিন (যারা রোমানদের কাছ থেকে আবির্ভূত হয়েছিলো), ভোস্কি, সামনিট, চেলটিক এবং লিগুইররা ছিলো ইতালির উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা, অনেকে ছিলো ইন্দো-ইউরোপীয় গোত্রের; তবে মূল ঐতিহাসিক মানুষগুলো ছিলো উত্তরাধিকার সূত্রে ইট্রুষ্কান, ইলিমিয়ান ও সিসিলীয় সিকানী এবং প্রাক-ঐতিহাসিক সার্দিনিয়ান গোত্রের।
0.5
5,218.85335
20231101.bn_8430_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF
ইতালি
খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তাদশ থেকে একাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে মাইসেনিয়ান গ্রিকরা ইতালির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম ও সপ্তম শতাব্দীতে গ্রিকরা সিসিলীয়ার উপকূলের পুরো জায়গা জুড়ে ও ইতালি উপদ্বীপের (Peninsula) দক্ষিণ অংশে মানিয়া গ্রেয়েসিয়া নামে উপনিবেশিক বসতি (Greek Colony) গড়ে তোলে। এদের সাথে ফোনেসিয়ানরাও (Phoenicians) সারদিনিয়া ও সিসিলিয় উপকূলে বসতি নিবাস স্থাপন করে।
0.5
5,218.85335
20231101.bn_8430_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF
ইতালি
আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে প্রাচীন রোমে একটি ক্ষুদ্র কৃষি গোষ্ঠী গড়ে উঠেছিলো। পুরো শতাব্দী জুড়ে মেডিটারিয়ান সাগর বেষ্টিত কলোসাল সাম্রাজ্য, যেখানে আদি গ্রিক ও রোমান সংস্কৃতির সমন্বয়ে এক নতুন সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো। এই সভ্যতার একটি অংশ বর্তমান আইন, প্রশাসন, দর্শন, এবং কলা'র মধ্যেই টিকে আছে পশ্চিমীয় সভ্যতার মূল ভিত্তি হিসেবে।
0.5
5,218.85335
20231101.bn_1096_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F
ক্রিকেট
যেসব খেলায় প্রতি দলের দু'টি ইনিংস থাকে তাদের ক্ষেত্রে যদি কোন দল প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংস মিলিয়ে বিপক্ষ দলের প্রথম ইনিংসের সমান রান করতে না পারে তবে এবং ২য় ইনিংসে সবাই আউট হয়ে যায় তবে বিপক্ষ দলকে আর ব্যাট করতে হয় না ও তারা ইনিংস ও (n) রানে জিতেছে বলা হয় (যেখানে (n) দুই দলের রানের পার্থক্য নির্দেশ করে)।
0.5
5,181.184812
20231101.bn_1096_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F
ক্রিকেট
যদি সব ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর দুই দলের রান সমান হয় তাহলে টাই হয়। প্রতি দলে দুই ইনিংসের খেলাতে টাই প্রায় দেখাই যায় না। গতানুগতিক খেলাতে যদি বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কোন দল জিততে না পারে তবে খেলাটিকে ড্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
0.5
5,181.184812
20231101.bn_1096_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F
ক্রিকেট
যেসব খেলায় একটি দল কেবল একটি ইনিংস খেলে সেসব খেলাতে সাধারণত নির্দিষ্ট সংখ্যক ওভারের বাধ্যবাধকতা দেয়া থাকে। এগুলো সীমিত ওভারের অথবা একদিনের খেলা হিসেবে পরিচিত। এতে যে দল বেশি রান করে তারাই জিতে এবং এই খেলার ফলাফলে উইকেটের কোন মূল্য নেই বলে এসব খেলায় ড্র হয় না। যদি আবহাওয়ার কারণে এই খেলায় সাময়িক বিঘ্ণ ঘটে তাহলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি নামে একটি সূত্রের মাধ্যমে খেলার জেতার লক্ষ্যমাত্রা পুনঃনির্ধারিত হয়। একদিনের খেলার ফলাফল অমীমাংসিত হতে পারে যদি কোন দলই একটি সর্বনিম্ন সংখ্যক ওভার খেলতে না পারে। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণেই সাধারণত এ ঘটনা ঘটে।
0.5
5,181.184812
20231101.bn_1096_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F
ক্রিকেট
ক্রিকেট খেলায় ৪২টি ক্রিকেট আইন আছে, যা বিভিন্ন প্রধান ক্রিকেট-খেলুড়ে দেশের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে প্রণয়ন করেছে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব। কোন বিশেষ খেলাতে দলগুলো সর্বসম্মতিক্রমে কোন আইন পরিবর্তন বা লঙ্ঘন করতে পারে। অন্যান্য আইনগুলো প্রধান আইনের সম্পূরক এবং বিভিন্ন পরিস্থিতি সামলাতে ব্যবহৃত হয়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের খেলায় পুরনো আদল থেকে বেরিয়ে ক্রিকেটকে আরো আকর্ষনীয় করতে ফিল্ডিং দলের ওপর কিছু বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হচ্ছে।
0.5
5,181.184812
20231101.bn_1096_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F
ক্রিকেট
একটি দল এগারজন খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত হয়। খেলার দক্ষতার উপর নির্ভর করে এদেরকে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান অথবা বোলার হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। যে-কোন ভারসাম্যপূর্ণ দলে সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় জন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান এবং চার থেকে পাঁচ জন বিশেষজ্ঞ বোলার থাকে। প্রতি দলেই একজন বিশেষজ্ঞ উইকেট রক্ষক থাকে। সাম্প্রতিককালে বিশেষজ্ঞ ফিল্ডারের ধারণা চালু হয়েছে এবং সমান গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রতি দলে একজন অধিনায়ক থাকেন যিনি মাঠে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।
1
5,181.184812
20231101.bn_1096_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F
ক্রিকেট
যে খেলোয়াড় বোলিং এবং ব্যাটিং উভয় ক্ষেত্রেই সমান পারদর্শী তিনি অল-রাউন্ডার হিসেবে পরিচিত। যিনি ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষণের কাজে পারদর্শী তিনি উইকেট-রক্ষক কাম ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত, যা কখনও কখনও বিশেষ ধরনের অল-রাউন্ডার হিসেবে বিবেচিত হয়। সত্যিকারের অল-রাউন্ডার দলের মূল্যবান খেলোয়াড় তবে এদের দেখা কমই মেলে। অধিকাংশ খেলোয়াড়ই হয় ব্যাটিং, না হয় বোলিংয়েই বেশি মনোযোগ দেন।
0.5
5,181.184812
20231101.bn_1096_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F
ক্রিকেট
প্রতি খেলায় মাঠে দুইজন আম্পায়ার থাকেন যারা খেলা পরিচালনা করেন। একজন আম্পায়ার (ফিল্ড আম্পায়ার) বোলার যে প্রান্ত থেকে বল করেন সেই প্রান্তে উইকেটের পিছনে অবস্থান করেন। মাঠে তিনিই অধিকাংশ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অন্য আম্পায়ার (স্কয়ার লেগ আম্পায়ার) মাঠে স্কয়ার লেগ অবস্থানে থাকেন, যাতে তিনি ব্যাটসম্যানকে পাশ থেকে দেখতে পারেন এবং তিনি যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণে ফিল্ড আম্পায়ারকে সাহায্য করেন। পেশাদার খেলায় মাঠের বাইরে একজন অতিরিক্ত আম্পায়ার থাকেন যিনি তৃতীয় আম্পায়ার বা থার্ড আম্পায়ার নামে পরিচিত। মাঠের আম্পায়ারেরা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রয়োজনবোধে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নিতে পারেন যিনি টেলিভিশনে পুণঃপ্রচার দেখে সিদ্ধান্ত নেন। আন্তর্জাতিক খেলাগুলোতে মাঠের বাইরে একজন ম্যাচ রেফারি থাকেন, যিনি খেলাটি ক্রিকেটের আইনানুযায়ী হচ্ছে কি-না তা পর্যবেক্ষণ করেন।
0.5
5,181.184812
20231101.bn_1096_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F
ক্রিকেট
সাধারণত প্রতিটি দল একজন করে দুইজন স্কোরার নিয়োগ করে থাকে। ক্রিকেটের আইন অনুসারে অফিসিয়াল স্কোরার কত রান হয়েছে, কত উইকেট পড়েছে, এবং কত ওভার খেলা হয়েছে তা লিপিবদ্ধ করে রাখে। তারা আম্পায়ারের সংকেত দেখে এবং খেলার বিরতিতে আম্পায়ারের সাথে স্কোর মিলিয়ে দেখে তা ঠিক আছে কিনা। বাস্তবে স্কোরাররা আরো অনেক ব্যাপার লিপিবদ্ধ করে, যেমনঃ বোলারের বোলিং পরিসংখ্যান, কোন দল কি হারে বোলিং করেছে এবং দলগুলোর বিভিন্ন গড় ও পরিসংখ্যান ইত্যাদি। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় গণমাধ্যমকে বিভিন্ন রেকর্ড ও পরিসংখ্যান জানতে হয়, তাই ধারাভাষ্যকার, সাংবাদিক ও সম্প্রচারের জন্য বিভিন্ন সময়ে আনঅফিসিয়াল স্কোরার রাখা হয়। অফিসিয়াল স্কোরাররা মাঝে মাঝে ভুল করে, তবে আম্পায়ারের ভুলের সাথে এটির তফাৎ হলো ঘটনার পর এটিকে সংশোধন করা যায়।
0.5
5,181.184812
20231101.bn_1096_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F
ক্রিকেট
ক্রিকেট মাঠ একটি বিশাল বিশাল বৃত্তাকার অথবা ডিম্বাকার ঘাসবহুল জমিনের উপর নির্মিত হয়। যদিও মাঠের আকারের বেলায় সুনির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই তবে এটির ব্যাস সাধারণত ৪৫০ ফুট (১৩৭ মি) থেকে ৫০০ ফুট (১৫০ মি) এর মধ্যে হয়ে থাকে। অধিকাংশ মাঠেই দড়ি দিয়ে মাঠের পরিসীমা ঘেরা দেয়া থাকে যা সীমানা নামে পরিচিত।
0.5
5,181.184812
20231101.bn_1115_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6
চাঁদ
চাঁদই একমাত্র জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু যাতে মানুষ ভ্রমণ করেছে এবং যার পৃষ্ঠতলে মানুষ অবতরণ করেছে। প্রথম যে কৃত্রিম বস্তুটি পৃথিবীর অভিকর্ষ অতিক্রম করেছিল এবং চাঁদের কাছ দিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল তা হল সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা ১। লুনা ২ প্রথবারের মত চাঁদের পৃষ্ঠতলকে প্রভাবান্বিত করেছিল। চাঁদের দূরবর্তী যে অংশটা স্বাভাবিকভাবে লুকায়িত থাকে তার প্রথম সাধারণ ছবি তুলেছিল লুনা ৩। এই তিনটি ঘটনাই সোভিয়েত ইউনিয়নের পরিচালনায় ১৯৫৯ সালে সংঘটিত হয়। ১৯৬৬ সালে লুনা ৯ প্রথমবারের মত চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে এবং লুনা ১০ প্রথমবারের মতো চাঁদের কক্ষপথ পরিক্রমণ করতে সমর্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্র এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে পাল্লা দিতে অ্যাপোলো প্রকল্প শুরু করে। পরে ১৯৬৯ সালে, অ্যাপোলো-১১ অভিযান প্রথমবারের মতো চাঁদে মনুষ্যবাহী নভোযান অবতরণ করাতে সমর্থ হয়। নিল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন ছিলেন প্রথম মানুষ যাঁরা চাঁদে হেঁটেছেন । পরে আরও ১০ মানুষ কেবল চাঁদে হেঁটেছিল। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে ছয়টি নভোযান চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে। অ্যাপোলো অভিযানের পর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা চাঁদে মানুষ পাঠানোর সকল পরিকল্পনা ত্যাগ করে। ২০০৯ সালে প্রথম দিকে ভারত, চন্দ্রযান নামে একটি মহাকাশযান চাঁদে পাঠায়। কিন্তু প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়। মহাকাশযান চাঁদে পৌঁছার পর পরেই তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু অল্প সময়ে যে তথ্য পাঠিয়েছে তা মানব জাতিকে নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছে চাঁদে জীবের অস্তিত্ব থাকার কারণ সেখানে পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে৷
0.5
5,142.314793
20231101.bn_1115_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6
চাঁদ
চাঁদের আবর্তনের পর্যায়কাল এবং তার কক্ষপথের পর্যায়কাল একই হওয়ায় আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদের একই পৃষ্ঠ সবসময় দেখতে পাই। চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে ২৭ দিন ৭ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ১১ সেকেন্ড সময় নেয়। কিন্তু সমসাময়িক আবর্তনের ফলে পৃথিবীর পর্যবেক্ষকরা প্রায় ২৯.৫ দিন হিসেবে গণনা করে। একটি ঘণ্টা আবর্তনের পর্যায়কাল অর্ধেক ডিগ্রি দূরত্ব অতিক্রম করে। চাঁদ পৃথিবীকে যে অক্ষরেখায় পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে, সে অক্ষরেখায় চাঁদ একদিন বা ২৪ ঘণ্টায় ১৩°কোণ অতিক্রম করে। সুতরাং পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের সময় লাগে ২৭ দিন ৭ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ১১ সেকেন্ড। এই জন্য আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদের একই পৃষ্ঠ দেখে থাকি। পৃথিবী থেকে আমরা চাঁদের শতকরা প্রায় ৫৯ ভাগ দেখতে পেয়ে থাকি। চাঁদ আকাশের সবসময় একটি অঞ্চল থাকে তাকে জৌডিঅ্যাক (zodiac) বলে। যা ক্রান্তিবৃত্তের প্রায় ৮ ডিগ্রি নিচে এবং গ্রহণরেখার উপরে অবস্থান করে। চাঁদ প্রতি ২ সপ্তাহে একে অতিক্রম করে ৷
0.5
5,142.314793
20231101.bn_1115_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6
চাঁদ
সূর্য ও পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে চাঁদ ও পৃথিবীর কক্ষপথ প্রায় ৫ ডিগ্রি হেলে থাকে। ফলে রাতের বেলাতেও সূর্যের আলো চাঁদে প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে আসে।
0.5
5,142.314793
20231101.bn_1115_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6
চাঁদ
বাংলায় চাঁদ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ চন্দ্র থেকে এসেছে। এছাড়াও শশধর, শশী প্রভৃতিও চাঁদের সমার্থক শব্দ। চন্দ্র পৃষ্ঠের ভূমিরূপকে পৃথিবী থেকে খালি চোখে খরগোশ বা শশকের ন্যায় লাগে। তাই শশক ধারক রূপে কল্পনা করে শশধর নামটি দেওয়া হয়েছে।
0.5
5,142.314793
20231101.bn_1115_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6
চাঁদ
ইংরেজি ভাষায় পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহটির The Moon ছাড়া অন্য কোনো নাম নেই। অবশ্য অন্যান্য গ্রহের উপগ্রহের আরও নাম থাকতে দেখা যায়। মুন শব্দটি জার্মান ভাষাগোষ্ঠীর কোনো একটি থেকে এসেছে যার সাথে সম্পর্কিত রয়েছে লাতিন শব্দ mensis। মেনসিস শব্দটি মূলত প্রাক-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার মূল me- থেকে এসেছে। এই একই মূল থেকে আবার ইংরেজি measure শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে। মিজার শব্দটিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে, কারণ এর সাথে শব্দের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিমাপের প্রকাশের সম্পর্ক রয়েছে। যেমন: Monday, month এবং menstrual। ১৬৬৫ সালের পূর্ব পর্যন্ত ইংরেজি ভাষায় মুন বলতে কেবল মাত্র চাঁদকেই বুঝাত। কিন্তু ১৬৬৫ সালে তখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্যান্য গ্রহের প্রাকৃতিক উপগ্রহের ক্ষেত্রেও এই মুন শব্দটি প্রয়োগ করা শুরু হয়। মুনা শব্দের লাতিন প্রতিশব্দ হচ্ছে Luna। অন্য গ্রহের প্রাকৃতিক উপগ্রহের সাথে পৃথিবীর প্রাকৃতিক উপগ্রহের পার্থক্য করার জন্য চাঁদকে ইংরেজিতে মুন না বলে তাই অনেক সময়েই লুনা বলা হয়ে থাকে। ইংরেজিতে চাঁদের বিশেষণ হিসেবে লুনার শব্দটি ব্যবহৃত হয়। একই সাথে চাঁদের ক্ষেত্রে বিশেষণগত উপসর্গ হিসেবে seleno- এবং অনুসর্গ হিসেবে -selene ব্যবহৃত হয়। এই উপসর্গ এবং অনুসর্গ গ্রিক ভাষার শব্দ selene থেকে এসেছে যা এখন গ্রিক দেবতার নাম।
1
5,142.314793
20231101.bn_1115_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6
চাঁদ
পৃথিবীর সাথে চাঁদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক দূরত্বের দিক থেকে চিন্তা করলে এরা একে-অপরের বেশ নিকটে অবস্থিত, আর তাই মহাকর্ষীয় আকর্ষণজনিত প্রভাবও বেশি। এই প্রভাবের প্রধানতম অবদান হচ্ছে জোয়ার-ভাটা।
0.5
5,142.314793
20231101.bn_1115_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6
চাঁদ
পৃথিবী-চন্দ্র সমাহারের অবিরত পরিবর্তন হচ্ছে। জোয়ার-ভাটার সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে। চাঁদের আকর্ষণে চাঁদের দিকে অবস্থিত সমুদ্রের জল তার নিচের মাটি অপেক্ষা বেশি জোরে আকৃষ্ট হয়। এ কারণে চাঁদের দিকে অবস্থিত জল বেশি ফুলে উঠে। আবার পৃথিবীর যে অংশে অবস্থিত জল চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে, সেদিকের সমুদ্রের নিচের মাটি তার উপরের জল অপেক্ষা চাঁদ কর্তৃক অধিক জোরে আকৃষ্ট হয়। কারণ এই মাটি জল অপেক্ষা চাঁদের বেশি নিকটবর্তী। ফলে সেখানকার জল মাটি থেকে দূরে সরে যায় অর্থাৎ ছাপিয়ে উঠে। এক্ষেত্রে ফুলে উঠার কাহিনীটিই ঘটে। পৃথিবী যে সময়ের মধ্যে নিজ অক্ষের চারদিকে একবার আবর্তন করে (এক দিনে) সে সময়ের মধ্যে পৃথিবীর যে-কোন অংশ একবার চাঁদের দিকে থাকে এবং একবার চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে। এ কারণে পৃথিবীর যে-কোন স্থানে দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা হয়।
0.5
5,142.314793
20231101.bn_1115_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6
চাঁদ
তবে জোয়ার-ভাটার জন্য সূর্যের আকর্ষণও অনেকাংশে দায়ী। তবে অনেক দূরে থাকায় সূর্যের আকর্ষণ চাঁদের আকর্ষণের থেকে কম কার্যকর। সূর্য এবং চাঁদ যখন সমসূত্রে পৃথিবীর একই দিকে বা বিপরীত দিকে অবস্থান করে তখন উভয়ের আকর্ষণে সর্বাপেক্ষা উঁচু জোয়ার হয়, জোয়ারের জল বেশি ছাপিয়ে পড়ে। এই অবস্থাকে ভরা কাটাল বা উঁচু জোয়ার বলা হয়। আর পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সূর্য এবং চাঁদের মধ্য কৌণিক দূরত্ব যখন এক সমকোণ পরিমাণ হয় তখন একের আকর্ষণ অন্যের আকর্ষণ দ্বারা প্রশমিত হয়। তাই সবচেয়ে নিচু জোয়ার হয় যাকে মরা কাটাল বলে আখ্যায়িত করা হয়। জোয়ার বলতে আমরা শুধুমাত্র সমুদ্রের জলের স্ফীতিকেই বুঝি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে চাঁদ-সূর্যের আকর্ষণে পৃথিবীর স্থলভাগেও অনুরূপ প্রভাবের সৃষ্টি হয়। তাই বলা যায়, জোয়ার -ভাটার ক্ষেত্রে
0.5
5,142.314793
20231101.bn_1115_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6
চাঁদ
চাঁদের সৃষ্টির পরপর, এর পৃষ্ঠ অনেক গরম ছিল এবং কোনো প্রকার গর্ত ছিল না। চাঁদে বিপুল পরিমাণে ধূমকেতু ও গ্রহানুর আঘাতে গর্তের সৃষ্টি হয়। এই সময়টি late heavy bombardment নামে পরিচিত।
0.5
5,142.314793
20231101.bn_4771_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9
আল্লাহ
লেখার সময় আরবীয় খ্রিষ্টানদের মধ্যে দুই ধরনের প্রচলন পাওয়া যায়, মুসলিমদের থেকে গৃহীত বিসমিল্লাহ এবং অষ্টম-শতক থেকে নিজেদের ত্রিত্ববাদই ধারণার বিসমিল্লাহ। মুসলিমদের থেকে গৃহীত বিসমিল্লাহর অর্থ করা হয়, আল্লাহর নামে, যিনি পরম দয়ালু এবং অতিশয় মেহেরবান। অপরপক্ষে, ত্রিত্ববাদই বিসমিল্লাহর অর্থ করা হয়, এক ঈশ্বরের নামে যিনি পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা। তবে সিরীয়, ল্যাটিন বা গ্রিক প্রার্থনার মধ্যে এক কথাটি যুক্ত করা হয় না। এই এক কথাটি যুক্ত করা হয় ত্রিত্ববাদের এক ঈশ্বর ধারণাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য এবং কিছুটা মুসলিমদের নিকট গ্রহণযোগ্য রূপ দেয়ার জন্য।কারো মতে, ইসলাম-পূর্ব আরব-এ কিছু কিছু আরবীয় খ্রিষ্টান সৃষ্টিকর্তা হিসেবে আল্লাহর সম্মানে কাবায় যেত, তবে তৎকালীন কাবা ছিলো মূর্তি পূজারীদের প্রার্থনাস্থল।
0.5
5,117.813846
20231101.bn_4771_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9
আল্লাহ
যেহেতু আরবি এবং হিব্রু খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত সেমিটিক ভাষা, এটি বহুল প্রচলিত মতামত যে, আল্লাহ(আরবি শব্দমূল: ইলাহ) এবং বাইবেলে বর্ণিত ইলোহিম এর আদিশব্দ একই। ইহুদি ধর্মগ্রন্থে, ইলোহিম শব্দকে ঈশ্বরের (ইহুদি মতানুযায়ী যাকে ইয়াওহে বা জেহোবা'' বলা হয়) একটি বর্ণনামূলক নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আবার একই সাথে শব্দটিকে সময়ের বিবর্তনে এক সময়ে পৌত্তলিকদের দেবতাদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়েছে।
0.5
5,117.813846
20231101.bn_4771_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9
আল্লাহ
ইংরেজি ভাষায় "আল্লাহ" শব্দের ইতিহাস সম্ভবত ঊনবিংশ শতাব্দীতে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, টমাস কার্লাইল (১৮৪০) কখনও কখনও আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করতেন, কিন্তু তিনি বুঝাননি যে আল্লাহ ঈশ্বরের থেকে আলাদা কেউ ছিলেন। তবে টর আন্দ্রে তার রচিত মুহাম্মাদের জীবনীতে (১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত) সর্বদা "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যদিও তার বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, মুহাম্মাদের বর্ণিত আল্লাহ ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বর্ণিত ঈশ্বরের থেকে ভিন্ন।
0.5
5,117.813846
20231101.bn_4771_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9
আল্লাহ
কিছু ভাষা আছে যেগুলোতে ঈশ্বরকে বুঝাতে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু কিছু প্রচলিত শব্দের মধ্যে তা পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, আন্দালুসে শতাব্দীব্যাপী মুসলিম উপস্থিতির কারণে বর্তমানে স্প্যানিশ ভাষায় "ojalá" () এবং পর্তুগীজ ভাষায় "oxalá" () শব্দগুলো পাওয়া যায়, যেগুলো মূলত আরবি "ইনশাআল্লাহ" () বাক্যাংশটি থেকে উদ্ভূত। এই আরবি বাক্যাংশের আক্ষরিক অর্থ "যদি আল্লাহ চান" (অনেকটাই "আশা করি" বুঝায়)।
0.5
5,117.813846
20231101.bn_4771_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9
আল্লাহ
জার্মান কবি সিগফ্রিড মাহলমান সর্বময় কর্তৃত্বসম্পন্ন সত্তা সম্পর্কে লেখা কবিতার শিরোনাম হিসেবে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহার করেছেন, কিন্তু তিনি কতটুকু ইসলামি চিন্তা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন তা স্পষ্ট নয়। মুসলিমরা সাধারণত ইংরেজিতে "আল্লাহ" শব্দটিকে সরাসরি ব্যবহার করে থাকেন।
1
5,117.813846
20231101.bn_4771_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9
আল্লাহ
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার খ্রিস্টানগণ মালয়েশীয় ও ইন্দোনেশীয় ভাষায় ঈশ্বরকে বোঝাতে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহার করে (ভাষা দুটি মালয় ভাষার প্রমিত রূপ)। এই দুই ভাষায় প্রচলিত বাইবেল অনুবাদগুলোতে হিব্রু "এলোহিম" শব্দের অনুবাদ হিসেবে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহৃত হয় (ইংরেজি বাইবেলে "গড" হিসেবে অনুবাদ করা হয়)। এই শব্দটি ষোড়শ শতাব্দীতে ফ্রান্সিস জেভিয়ারের প্রাথমিক অনুবাদ থেকে বিদ্যমান। ১৬৫০ সালে আলবার্ট কর্নেলিয়াস রুয়েল, জাস্টাস হিউরনিয়াস এবং ক্যাসপার উইলটেনস কর্তৃক প্রথম ওলন্দাজ-মালয় অভিধানে (১৬২৩ সংস্করণ ও ১৬৩১ ল্যাটিন সংস্করণ থেকে সংশোধিত সংস্করণ) ওলন্দাজ শব্দ "গডট" এর অনুবাদ হিসেবে "আল্লাহ" শব্দটি লিপিবদ্ধ করা হয়। রুয়েল ১৬১২ সালে মালয় ভাষায় মথির সুসমাচার অনুবাদ করেন (অ-ইউরোপীয় ভাষায় বাইবেলের প্রাথমিক অনুবাদ, রাজা জেমস সংস্করণ প্রকাশের এক বছর পরে তৈরি), যা ১৬২৯ সালে নেদারল্যান্ডে মুদ্রিত হয়। এরপর তিনি মার্কের সুসমাচার অনুবাদ করেন যা ১৬৩৮ সালে প্রকাশিত হয়।
0.5
5,117.813846
20231101.bn_4771_22
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9
আল্লাহ
২০০৭ সালে মালয়েশিয়ার সরকার মুসলিম ব্যতীত অন্য কোনো ক্ষেত্রে "আল্লাহ" শব্দটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করে, কিন্তু ২০০৯ সালে মালয়ান হাইকোর্ট আইনটি বাতিল করে এবং এটিকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেয়। চার শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মালয় ভাষায় খ্রিস্টানদের ঈশ্বরকে বুঝাতে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহৃত হলেও রোমান ক্যাথলিক সংবাদপত্র "দ্য হেরাল্ড" এই শব্দটি ব্যবহার করায় সমসাময়িক বিতর্কের সূত্রপাত হয়। সরকার আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং আপিলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট রায় বাস্তবায়ন স্থগিত করে। ২০১৩ সালে অক্টোবর মাসে আদালত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পক্ষে রায় দেয়। ২০১৪ সালের শুরুতে মালয়েশিয়ার সরকার ৩০০টিরও বেশি বাইবেল বাজেয়াপ্ত করে যেগুলোতে উপদ্বীপীয় মালয়েশিয়ায় খ্রিস্টানদের ঈশ্বরকে বুঝাতে "আল্লাহ" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিলো। তবে মালয়েশিয়ার দুই রাজ্য সাবাহ ও সারাওয়াক-এ "আল্লাহ" শব্দটির ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়। এর প্রধান কারণ শব্দটির ব্যবহার দীর্ঘকাল ধরে প্রতিষ্ঠিত এবং স্থানীয় বাইবেল পূর্ব মালয়েশিয়ায় বছরের পর বছর ধরে বিনা নিষেধাজ্ঞায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া উভয় রাজ্যেই পশ্চিম মালয়েশিয়ার মতো একই ইসলামি রাষ্ট্রীয় আইন নেই।
0.5
5,117.813846
20231101.bn_4771_23
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9
আল্লাহ
কিছু প্রচার মাধ্যমের সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় মালয়েশিয়া সরকার বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এড়াতে একটি "১০ দফা সমাধান" চালু করেছে। এই ১০ দফা সমাধান সারাওয়াক ও সাবাহের ১৮ ও ২০ দফা চুক্তির মূলনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
0.5
5,117.813846
20231101.bn_4771_24
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9
আল্লাহ
ইউনিকোডে আরবি "আল্লাহ" শব্দের জন্য একটি বিশেষ কোড, = U+FDF2, সংরক্ষিত আছে। অনেক আরবি ফন্টেও শব্দটিকে একটি অখণ্ড অক্ষর হিসেবে প্রণয়ন করা হয়েছে।
0.5
5,117.813846
20231101.bn_304235_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8
সিফিলিস
Treponema Pellidum এ রোগের জীবাণু, ইহা যৌনসংগমের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যৌনসঙ্গমের দরুন যৌন অঙ্গের চামড়ায় সামান্য ক্ষত হলে ঐ স্থানে জীবাণু কর্তৃক আক্রান্ত হতে পারে। কারো কারো বংশে থাকলে তার সন্তানের হতে পারে।শরীরের যে কোন স্থানের ক্ষত জায়গা দিয়েও এই জীবাণু ঢুকে রোগ সৃষ্টি করে। চুম্বনের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। যে সকল পতিতা বা মহিলার মধ্যে এ জীবাণু আছে তাদের সাথে মুক্তভাবে সহবাস করলে এ রোগ হয়। সেবিকা, দাই, দন্ত চিকিৎসকের হাতের আঙ্গুলের দ্বারাও এ রোগ হয়ে থাকে। রক্ত আদান প্রদানের মাধ্যমে এ রোগ হয়ে থাকে। আক্রান্ত মায়ের গর্ভের শিশুর ও এ রোগ হয়ে থাকে।
0.5
5,033.981002
20231101.bn_304235_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8
সিফিলিস
এ রোগ সাধারণত তিন অবস্থায় দেখা যায়। প্রাথমিক অবস্থা জীবাণুযুক্ত যোনিতে সহবাসের ফলে লিঙ্গের মাথায় বা উহার গায়ে ছোট ছোট ফুসকুড়ি ওঠে এবং ঘায়ের সৃষ্টি হয়। স্ত্রী লোকের বেলায় এ ঘা যোনিমুখ, লেবিয়া মাইনরা,জরায়ুমুখ এ আবির্ভূত হয়। প্রাথমিক অবস্থায় যে ক্ষতটি হয় তা শক্ত থাকে। চুম্বনের মাধ্যমে মুখে ও ঠোঁটে ঘা হয় । ক্ষত ২/৩ দিন নরম থাকে ও পুঁজ নির্গত হয়। ঘা টির তলদেশ শক্ত হয় এবং সাথে কুঁচকিতে বেদনাহীন স্ফীত গোটা (lymph node) তৈরী হয়। কখনো একাধিক ঘা দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় এ ঘা দেখা যায় না। ১০/১৫ দিন পর রোগীর বর্গীর চামড়া পাতলা হয়ে পেকে ওঠে। যেখানে যেখানে দেখা যায়ঃ- সাধারণত জননাঙ্গে দেখা যায়- লিঙ্গ মুন্ড(Gland Panis), যোনিমুখ(Vulva), জরায়ুমুখ(Cervix) ইত্যাদি। জননাঙ্গের বাইরে- ঠোঁট ও তালু, মুখ, স্তন এবং আঙ্গুল।
0.5
5,033.981002
20231101.bn_304235_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8
সিফিলিস
২য় অবস্থা, প্রাথমিক ক্ষত প্রকাশের ২/৩ বা ৪ মাসের পর ২য় অবস্থা শুরু হয়। দুর্বল রোগীর ক্ষেত্রে অল্প দিনে এবং বলবান রোগীর ক্ষেত্রে দেরীতে প্রকাশ পায়। এ অবস্থায় রোগীদের নানা রকম রোগ হয়। চর্ম শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী, চক্ষু, স্নায়ুমন্ডলী এবং দেহের অন্যান্য অংশে এ রোগের জীবাণু সঞ্চিত হয়। এ সময় রোগীর সামান্য জ্বর, গলায় ব্যথা, নিস্তেজ ভাব, হাত ও পায়ে বেদনা, রক্তসল্পতা, শিরঃপীড়া ও ওজন হ্রাস পায়। চর্মে যে সমস্ত পিড়কা হয় তাতে কোন চুলকানী হয় না। অনেক ক্ষেত্রে তা তামাটে বর্ণের হয়। মাস খানেক পর এ পিড়কা আপনা আপনি মিলে যায়। তখন এই পিড়কা হাত ও পায়ের তালুতে দেখা যায়। মুখের কিনারায়, মলদ্বারের কিনারায় এবং দেহের অন্যান্য ভিজাস্থানে আঁচলি জাতীয় দানা উৎপন্ন হয়। উহার নাম Condylomata lata। এভাবে ১½ বছর হতে ২ বছর কাল চলে। পরে আর তেমন কষ্ট হয় না। মহিলাদের ক্ষেত্রে লজ্জা বশত এ রোগ পুষে রাখলে যোনির মুখ বড় ও বিকৃত পিণ্ডাকৃতি হয়। অভ্যন্তর ভাগ হতে দুর্গন্ধময় ক্লেদ রস নির্গত হয়।
0.5
5,033.981002
20231101.bn_304235_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8
সিফিলিস
৩য় অবস্থা অত্যন্ত কষ্টকর ও সাংঘাতিক। এ অবস্থা ২য় অবস্থার সঙ্গে চলতে থাকে। কখনো ২য় অবস্থার পর শূরু হয়। এ অবস্থার চর্মে, চর্মের নিম্ন ভাগে, মাংসে, অস্থি, মস্তিষ্ক, মুখ, পাকস্থলী, অন্ত্র, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ইত্যাদি আক্রান্ত হয় এবং সিফিলিস এর গামা দেখা যায়। চামড়ায় আক্রান্ত হলে তা ক্ষত হয়ে ক্লেদ বের হয়। ক্ষত বৃদ্ধি পেতে থাকলে রোগীর মুখের তালুতে আক্রান্ত হয় । নাসারন্ধ্র ও শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। মস্তিষ্কে আক্রান্ত হলে শিরঃপীড়া, স্মৃতিলোপ, আর্ধাঙ্গিক রোগ দেখা যায়। যকৃৎ বড় হয়ে পেটে শোথ হয়। হাড়ে, অস্থি, সন্ধিতে সিফিলিস এর গামা দেখা যায়। অণ্ডকোষে গামা উৎপন্ন করে এবং উহাকে বেদনাহীন ভাবে স্ফীত করে তোলে।
0.5
5,033.981002
20231101.bn_304235_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8
সিফিলিস
আধুনিক মতে, প্রাথমিক অবস্থা জীবাণু প্রবেশের ৭-৯০ দিনের মধ্যে Chancre উৎপন্ন হয়। Chancre এর বৈশিষ্ট্য হল, অনেক বেশি লাল, ব্যথাহীন, একটি ক্ষত হবে। অনির্ধারিত তল কিনারা বিশিষ্ট জলীয় পদার্থ নির্গত হয়। সাধারণত একাকি ভাল হয় তবে সেখানে গৌণ সংক্রমণহলে ব্যথা উৎপন্ন হয়।
1
5,033.981002
20231101.bn_304235_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8
সিফিলিস
২য় অবস্থা সাধারণত প্রাথমিক Chancre এর ৬-৮ সপ্তাহ পর শুরু হয়। সেক্ষেত্রে সাধারণ রোগ সমূহ যেমন-মাথাব্যথা সঙ্গে সামান্য জ্বর থাকে এবং অসস্তি বোধ হয়। সাধারণত ৪টি মৌলিক চিহ্ন দেখা যায়- Syphilistic Rash, সমস্ত শরীর হাত ও পায়ের তালু। এটা সাধারণত ফুসকুড়ির মত হয়। অনেক সময় ফুসকুড়িতে জল হয়। Condylomata Lata, আর্দ্র জায়গায় ফুসকুড়ি ওঠে। সাধারণত মলদ্বারের পাশে। Generalized Lymphadenopathy, সাধারণত লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাবে। Mucous Patches, মুখ, গলা ও যৌনাঙ্গের শ্লেষ্মা ঝিল্লীতে জেব্রার ন্যায় দাগ হয়।
0.5
5,033.981002
20231101.bn_304235_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8
সিফিলিস
৩য় অবস্থায় উপনিত হতে মূলত ১০ বছর বা তারো অধিক সময় লাগে। সেক্ষেত্রে নিম্নের লক্ষণ প্রকাশ পায়, চামড়া ও চামড়ার নিচের টিস্যু্‌, শ্লেষ্মা ঝিল্লী, হাড়, এক ধরনের বিকৃতিকর অবস্থা পরিলক্ষিত হয়ে তাকে Gumma বলে। প্রধান অঙ্গসমূহ আক্রান্ত হয় মূলত CNS (নিউরো সিফিলিস), CVS (কার্ডিওভাসকুলার সিফিলিস)।
0.5
5,033.981002
20231101.bn_304235_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8
সিফিলিস
এ ক্ষেত্রে শিশু জন্মের সময় আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে অর্জন করে থাকে Transplacental Transmission বলে। এর লক্ষণ ও চিহ্ন হল বংশগত বিকৃতি, ঠোঁটে ক্ষত ঘা, দেহের যে কোনো অংশে রক্ত ক্ষরণ জনিত ক্ষত, চর্মের বিকৃতি, মানসিক বিকৃতি এবং বংশগত ভাবে পেরিকন্ড্রিয়াম, অস্থি ও তরুণাস্থিতে প্রদাহ।
0.5
5,033.981002
20231101.bn_304235_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8
সিফিলিস
বংশগত ফিরঙ্গের জটিলতা হচ্ছে আক্রান্ত মায়ের শিশুর অল্প ওজন হয় এবং জন্মের সাথে সাথে মৃত্যুবরণ করতে পারে এবং আক্রান্ত মায়ের অকাল প্রসব অথবা গর্ভপাত হতে পারে।
0.5
5,033.981002
20231101.bn_2672_23
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C
নামাজ
উপর্যুক্ত ৫ টি ফরজ নামাজ ছাড়াও ইশা'র নামাজের পরে বিতর নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি সুন্নত নামাজ ও মুসলিমরা আদায় করে থাকে।
0.5
4,970.758434
20231101.bn_2672_24
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C
নামাজ
"সমস্ত সালাতের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী সালাতের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।" (কুরআন– ২:২৩৮)
0.5
4,970.758434
20231101.bn_2672_25
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C
নামাজ
"আর দিনের দুই প্রান্তেই (ফজর ও মাগরিব) সালাত ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে (ইশা অথবা তাহাজ্জুদ) পূর্ণ কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক।" (কুরআন– ১১:১১৪)
0.5
4,970.758434
20231101.bn_2672_26
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C
নামাজ
"কাজেই তারা যা বলছে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং তোমার প্রতিপালকের প্রশংসা (নিয়মিত) উচ্চারণ কর সূর্যোদয়ের পূর্বে (ফজর) ও তা অস্তমিত হওয়ার পূর্বে (আসর) এবং তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাত্রিকালে (ইশা ও তাহাজ্জুদ) ও দিনের প্রান্তগুলোয় (জোহর ও মাগরিব) যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।" (কুরআন– ২০:১৩০)
0.5
4,970.758434
20231101.bn_2672_27
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C
নামাজ
"তুমি ধৈর্য ধরে তোমার প্রতিপালকের হুকুমের অপেক্ষায় থাক, কারণ তুমি আমার চোখের সামনেই আছ। আর তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশংসা ঘোষণা কর যখন তুমি উঠ (মাজলিস শেষে, অথবা বিছানা ছেড়ে কিংবা নামাযের জন্য)। আর রাত্রিকালে (ইশা) তাঁর প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা কর আর (রাতের শেষভাগে যখন) তারকারাজি অস্তমিত হয়ে যায় (তাহাজ্জুদ, পরে ফজর)।"
1
4,970.758434
20231101.bn_2672_28
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C
নামাজ
নামাজের মধ্যে মূল হলো ফরয নামাজ ৷ এই ফরজ নামাজ ছাড়াও মুসলমানগণ আরো কিছু নামাজ আদায় করে থাকেন। আবশ্যকীয়তার স্তরভেদে সেগুলোকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়ে থাকে। তবে শ্রেণিবিভাগ অনুসারে ফরয ছাড়া বাকি নামাজগুলোকে ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল এই তিনভাগে ভাগ করা যায়।
0.5
4,970.758434
20231101.bn_2672_29
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C
নামাজ
অধিকাংশ আলেমের মতে, নিয়মিত ওয়াজিব নামাজ হচ্ছে বিতর নামাজ, তবে বিতর নামাজকে সমস্ত মাযহাবে ওয়াজিব নামাজ হিসেবে গন্য করা হয় না। যেমন সালাফি আলেমগণের মতে এটি সুন্নত নামাজের অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যেকদিন এশার নামাজের পর হতে সুবহে সাদিক পর্যন্ত এই ওয়াজিব নামাজের সময় থাকে। এছাড়া কোন নফল নামাজের নিয়ত করে নামাজ শুরু করলে তা আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়। এছাড়া দুই ঈদের নামাজ আদায় করাও ওয়াজিব ।
0.5
4,970.758434
20231101.bn_2672_30
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C
নামাজ
নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) যেই নামাজগুলো আদায় করতেন, তাকে সুন্নাত নামাজ বলে। সুন্নাত নামাজ দুই প্রকার। ১. সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ২. সুন্নাতে যায়েদাহ
0.5
4,970.758434
20231101.bn_2672_31
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C
নামাজ
সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ বলতে ঐসব নামাজকে বুঝায়, যেগুলো নবী (সা:) নিয়মিত আদায় করতেন। কখনো পরিত্যাগ করতেন না ৷
0.5
4,970.758434
20231101.bn_4885_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%8B
ন্যাটো
যদিও বেলগ্রেডে চীনা দূতাবাসে বোমা হামলা সহ উচ্চ বেসামরিক হতাহতের জন্য প্রচারণার সমালোচনা করা হয়েছিল, মিলোশেভিচ অবশেষে ৩ জুন ১৯৯৯-এ কসোভো যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়ে একটি আন্তর্জাতিক শান্তি পরিকল্পনার শর্তাদি মেনে নেন। ১১ জুন, মিলোশেভিচ জাতিসংঘের প্রস্তাব ১২৪৪ কে আরও গ্রহণ করেন, যার আদেশের অধীনে ন্যাটো তখন কেএফআর শান্তিরক্ষা বাহিনী প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিল। প্রায় এক মিলিয়ন উদ্বাস্তু কসোভো থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, এবং KFOR-এর আদেশের অংশ ছিল সহিংসতা রোধ করার পাশাপাশি মানবিক মিশনগুলিকে রক্ষা করা। আগস্ট-সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে, জোটটি অপারেশন এসেনশিয়াল হারভেস্টও মাউন্ট করেছিল, একটি মিশন যা মেসিডোনিয়া প্রজাতন্ত্রে জাতিগত আলবেনিয়ান মিলিশিয়াদের নিরস্ত্রীকরণ করে। ৪,৮৮২টি KFOR সৈন্য, প্রতিনিধিত্ব ৩১ দেশগুলো, এলাকায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। [ অ-প্রাথমিক উৎস প্রয়োজন ]
0.5
4,956.574798
20231101.bn_4885_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%8B
ন্যাটো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য ন্যাটো দেশগুলি ১৯৯৯ সালে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের মতো ন্যাটো সামরিক হামলার অনুমোদনের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রয়োজনের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছিল, যখন ফ্রান্স এবং অন্য কিছু দাবি করেছিল যে জোটটির জাতিসংঘের অনুমোদন প্রয়োজন। ইউএস/ইউকে পক্ষ দাবি করেছে যে এটি জোটের কর্তৃত্বকে ক্ষুণ্ন করবে, এবং তারা উল্লেখ করেছে যে রাশিয়া এবং চীন যুগোস্লাভিয়ার উপর ধর্মঘট রোধ করতে তাদের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ব্যবহার করবে এবং ভবিষ্যতে যেখানে ন্যাটো হস্তক্ষেপের প্রয়োজন ছিল সেখানেও একই কাজ করতে পারে।, এইভাবে সংগঠনের সমগ্র ক্ষমতা এবং উদ্দেশ্য বাতিল করে দেয়। শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী সামরিক পরিবেশকে স্বীকৃতি দিয়ে, ন্যাটো ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে ওয়াশিংটন সম্মেলনের সময় জোট কৌশলগত ধারণা গ্রহণ করে যা সংঘাত প্রতিরোধ এবং সংকট ব্যবস্থাপনার উপর জোর দেয়।
0.5
4,956.574798
20231101.bn_4885_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%8B
ন্যাটো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার কারণে ন্যাটো সংগঠনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ন্যাটো সনদের ৫ অনুচ্ছেদ আহ্বান করেছিল। অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে কোনো সদস্যের ওপর আক্রমণ সবার ওপর আক্রমণ বলে বিবেচিত হবে। ৪ অক্টোবর ২০০১-এ আমন্ত্রণ নিশ্চিত করা হয়েছিল যখন ন্যাটো নির্ধারণ করেছিল যে আক্রমণগুলি উত্তর আটলান্টিক চুক্তির শর্তাবলীর অধীনে প্রকৃতপক্ষে যোগ্য ছিল। [ অ-প্রাথমিক উৎসের প্রয়োজন ] হামলার প্রতিক্রিয়ায় ন্যাটো কর্তৃক গৃহীত আটটি সরকারী পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে অপারেশন ঈগল অ্যাসিস্ট এবং অপারেশন অ্যাক্টিভ এন্ডেভার, ভূমধ্যসাগরে একটি নৌ অভিযান যা সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধি বা গণবিধ্বংসী অস্ত্র প্রতিরোধ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।, এবং সাধারণভাবে শিপিংয়ের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য, যা ৪ অক্টোবর ২০০১ এ শুরু হয়েছিল। [ অ-প্রাথমিক উত্স প্রয়োজন ]
0.5
4,956.574798
20231101.bn_4885_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%8B
ন্যাটো
জোটটি ঐক্য দেখিয়েছিল: ১৬ এপ্রিল ২০০৩-এ, ন্যাটো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনী (ISAF) এর কমান্ড নিতে সম্মত হয়েছিল, যার মধ্যে ৪২টি দেশের সৈন্য ছিল। চুক্তির সময় আইএসএএফ-এর নেতৃত্বদানকারী দুটি দেশ জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসের অনুরোধে সিদ্ধান্তটি এসেছিল এবং সমস্ত উনিশটি ন্যাটো রাষ্ট্রদূত সর্বসম্মতিক্রমে এটি অনুমোদন করেছিলেন। ১১ আগস্ট ন্যাটোর কাছে নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করা হয়েছিল এবং এটি ন্যাটোর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চিহ্নিত হয়েছিল যে এটি উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলের বাইরে একটি মিশনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল।
0.5
4,956.574798
20231101.bn_4885_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%8B
ন্যাটো
হামিদ কারজাইয়ের নেতৃত্বে আফগান ট্রানজিশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে ISAF-কে তালেবান, আল কায়েদা এবং উপদলীয় যুদ্ধবাজদের থেকে কাবুল এবং আশেপাশের এলাকাগুলিকে সুরক্ষিত করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ২০০৩ সালের অক্টোবরে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আফগানিস্তান জুড়ে আইএসএএফ মিশন সম্প্রসারণের অনুমোদন দেয়, এবং আইএসএএফ পরবর্তীতে সমগ্র দেশে চারটি প্রধান পর্যায়ে মিশনটি সম্প্রসারিত করে।
1
4,956.574798
20231101.bn_4885_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%8B
ন্যাটো
৩১ জুলাই ২০০৬-এ, ISAF এছাড়াও মার্কিন নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী জোটের কাছ থেকে আফগানিস্তানের দক্ষিণে সামরিক অভিযানের দায়িত্ব নেয়। দক্ষিণে লড়াইয়ের তীব্রতার কারণে, ২০১১ সালে ফ্রান্স মিরাজ ২০০০ ফাইটার/আক্রমণ বিমানের একটি স্কোয়াড্রনকে কান্দাহারে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়, যাতে জোটের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করা যায়। ২০১২ সালের শিকাগো সম্মেলনের সময়, ন্যাটো আফগানিস্তান যুদ্ধের সমাপ্তি এবং ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ন্যাটো-নেতৃত্বাধীন ISAF বাহিনীকে অপসারণের একটি পরিকল্পনা অনুমোদন । ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ISAF-কে অপ্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং ফলো-অন ট্রেনিং রিসোলিউট সাপোর্ট মিশন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
0.5
4,956.574798
20231101.bn_4885_22
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%8B
ন্যাটো
১৪ এপ্রিল ২০২১-এ, ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন যে জোট মে এর মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করতে সম্মত হয়েছে। ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পরপরই, তালেবানরা আফগান সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে, দ্রুত আফগান সশস্ত্র বাহিনীর পতনের সামনে অগ্রসর হয়। ২০২১ সালের ১৫ আগস্টের মধ্যে, তালেবান জঙ্গিরা আফগানিস্তানের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রাজধানী কাবুলকে ঘিরে ফেলে। ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের কিছু রাজনীতিবিদ আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা সৈন্যদের বিশৃঙ্খলভাবে প্রত্যাহার এবং আফগান সরকারের পতনকে ন্যাটো প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন।
0.5
4,956.574798
20231101.bn_4885_23
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%8B
ন্যাটো
আগস্ট ২০০৪ সালে, ইরাক যুদ্ধের সময়, ন্যাটো ন্যাটো প্রশিক্ষণ মিশন গঠন করে - ইরাক, মার্কিন নেতৃত্বাধীন MNF-I এর সাথে একত্রে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য একটি প্রশিক্ষণ মিশন। ন্যাটো ট্রেনিং মিশন-ইরাক (NTM-I) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৫৪৬ এর বিধানের অধীনে ইরাকি অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। NTM-I-এর লক্ষ্য ছিল ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী প্রশিক্ষণ কাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহায়তা করা যাতে ইরাক একটি কার্যকর এবং টেকসই সক্ষমতা তৈরি করতে পারে যা জাতির চাহিদা পূরণ করে। NTM-I একটি যুদ্ধ মিশন ছিল না কিন্তু উত্তর আটলান্টিক কাউন্সিলের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের অধীনে একটি স্বতন্ত্র মিশন। এর কর্মক্ষম জোর ছিল প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শদানের উপর। মিশনের কার্যক্রমগুলি ইরাকি কর্তৃপক্ষ এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল অ্যাডভাইজিং অ্যান্ড ট্রেনিং-এর সাথে সমন্বিত ছিল, যিনি এনটিএম-আই-এর কমান্ডার হিসাবে দ্বৈত-হ্যাটেড ছিলেন। মিশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে সমাপ্ত হয়।
0.5
4,956.574798
20231101.bn_4885_24
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%8B
ন্যাটো
ইরাক যুদ্ধের শুরুতে ২০০৩ সালে তুরস্ক প্রথম আর্টিকেল ৪ সভা আহ্বান করেছিল। ২০১২ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময়, একটি নিরস্ত্র তুর্কি এফ-৪ অনুসন্ধানী জেট ভূপাতিত করার পরে, এবং সিরিয়া থেকে তুরস্কে একটি মর্টার ছোড়ার পরে, এবং আবার ২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেটের হুমকির পরে তুরস্ক এই নিবন্ধটি ব্যবহার করেছিল। ইরাক এবং লেভান্ট এর আঞ্চলিক অখণ্ডতা।
0.5
4,956.574798
20231101.bn_7596_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%B0
মিশর
মিশরের ৯৯% অধিবাসী প্রাচীন মিশরের হামীয় জাতি এবং মধ্যযুগ থেকে অভিবাসনের মাধ্যমে আগত আরব জাতির লোকদের মধ্যে বহু প্রজন্মের আন্তঃবিবাহের ফলশ্রুতিতে উদ্ভূত এক ধরনের মিশ্র বংশধর জাতি। অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে নুবীয়, ভারতীয় বেদে বা জিপসি, আর্মেনীয় ও গ্রিক জাতির নাম প্রণিধানযোগ্য। আরবি মিশরের সরকারী ভাষা; এছাড়া ফরাসি, ইংরেজি ও বার্বার ভাষাগুলিও প্রচলিত। ইসলাম এখানকার সরকারী ধর্ম; জনগণের ৯০%ই সুন্নি মতাবলম্বী মুসলমান। তবে প্রায় ১০% মিশরীয় নাগরিক খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী; এদের সিংহভাগই রোমান আমল থেকে কপ্টীয় মূলধারার মন্ডলীর অনুসারী। বাণিজ্য ও প্রশাসনে কপ্টীয় খ্রিস্টানদের গুরত্বপূর্ণ প্রভাব আছে। এছাড়া মিশরে একটি ক্ষুদ্র ইহুদী সম্প্রদায়ও বাস করে। মিশরের সিংহভাগ জনগণ নীল নদের উপত্যকা ও ব-দ্বীপে বাস করে। অর্ধেকেরও বেশি লোক গ্রামাঞ্চলে বাস করে।
0.5
4,842.32286
20231101.bn_7596_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%B0
মিশর
মিশরের মুদ্রার নাম মিশরীয় পাউন্ড, যাকে আবার ১০০ পিয়াস্ত্রেতে ভাগ করা যায়। উন্নয়নশীল রাষ্ট্র মিশরে মূলত একটি সমাজতান্ত্রিক তবে আংশিকভাবে উন্মুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। কৃষি, খনন ও শিল্পোৎপাদন মিশরের অর্থনীতির তিন প্রধান খাত, যেখানে দেশের শ্রমশক্তির এক-তৃতীয়াংশ নিয়োজিত। দেশটি খনিজ তেল (পেট্রোলিয়াম), প্রাকৃতিক গ্যাস ও সোনা উত্তোলন করে। দেশটি মূল্যবান অপরিশোধিত তেল, তুলাজাত পণ্য, বস্ত্র, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, রাসায়নিক দ্রব্য, লোহা ও ইস্পাত উৎপাদন করে। মিশরের শ্রমশক্তির এক-চতুর্থাংশ কৃষিকাজে নিয়োজিত। মিশর তুলা ও ধান অর্থকরী শস্য হিসেবে উৎপাদন করে এবং এগুলি বিদেশে রপ্তানি করে অর্থোপার্জন করে। এছাড়া এখানে আখ, ভুট্টা, টমেটো, গম, আলু, কমলা, খেজুর ও আঙুরের চাষ হয়। সুয়েজ খাল দিয়ে গমনকারী বাৎসরিক ১৪ হাজারেরও বেশি জাহাজগুলি থেকে মাশুল আদায় করেও মিশর বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে। এর বাইরে পর্যটন খাতটিও মিশরের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর প্রায় দেড় কোটি পর্যটক গিজা শহরের কাছে অবস্থিত স্ফিংক্স, মহা পিরামিডগুলি ও অন্যান্য প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভগুলি পরিদর্শন করতে মিশরে আগমন করে। সাম্প্রতিককালে সন্ত্রাসবাদী হামলা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটন ও বৈদেশিক বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মিশরের স্থূল অভ্যন্তরীন উৎপাদনের ১০%-এরও বেশি অংশ ২০ লক্ষেরও বেশি প্রবাসী মিশরীয় শ্রমিকদের পাঠানো অর্থ থেকে আসে, ২০১৯ সালে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। বর্তমানে ক্রয়ক্ষমতার সমতা গণনা করে মিশরের স্থুল অভ্যন্তরীন উৎপাদন (জিডিপি) আফ্রিকার মহাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ এবং সারা বিশ্বের ১৯তম সর্বোচ্চ; কিন্তু মাথাপিছু আয় বিশ্বের ৯৪তম। দেশটিতে প্রতি ১ হাজার জনে ০.৭৯ জন চিকিৎসক, যা বিশ্বের মধ্যে ১২৬তম; জাতিসংঘ শিক্ষা সূচকে অবস্থান ১২৬তম, প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৭১.৮ বছর, যা বিশ্বের ১১১তম।
0.5
4,842.32286
20231101.bn_7596_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%B0
মিশর
মিশরে বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী ধারাবাহিক সভ্যতাটি অবস্থিত। আনুমানিক ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ঊর্ধ্ব ও নিম্ন মিশর অঞ্চলটি একীভূত হয়ে মিশরে জন্ম হয়। মিশরের ইতিহাসের প্রথম ২৫০০ বছরের প্রায় পুরোটা জুড়েই (২৯২৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত) স্থানীয় রাজা ও রাণীরা দেশটি শাসন করেন। মিশরের প্রাচীন ইতিহাসকে পুরাতন, মধ্য ও নতুন রাজ্য এই তিন পর্বে ভাগ করা হয়েছে এবং এগুলিকে ধারাবাহিকভাবে ৩১টি রাজবংশ শাসন করে। মিশরের পিরামিডগুলি পুরাতন রাজ্যের সাক্ষী, ওসিরিসের ধর্মীয় গোত্র ও উৎকৃষ্ট ভাস্কর্যশিল্প মধ্য রাজ্যের সাক্ষ্য বহনকারী এবং মিশরীয় সাম্রাজ্য ও ইহুদীদের দেশত্যাগের ঘটনাগুলি নতুন রাজ্যের সময়ে ঘটেছিল। ৩৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক ম্যাসিডোনিয়া রাজ্যের রাজা মহামতি আলেকজান্ডার মিশর আক্রমণ করেন। ম্যাসিডোনীয় জাতির লোকেরা এরপর প্রায় ৩০০ বছর ধরে ৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত দেশটি শাসন করে, যাকে টলেমীয় পর্ব বলা হয়। এরপরে রোমানরা দেশটি দখলে নেয় এবং ৩৯৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এটিকে শাসন করে। পরবর্তীতে এটি বাইজেন্টীয় সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। ৩১৩ সালে রোমান সম্রাট কোনস্তানতিন খ্রিস্টানদেরকে ধর্মপালনের অনুমতি দিলে মিশরে কপ্টীয় খ্রিস্টাব মন্ডলীর উদ্ভব ঘটে। এর পরে ৬৪২ খ্রিস্টাব্দে এসে আরব মুসলমানেরা মিশর বিজয় করে। এর কয়েক শতাব্দীর মধ্যেই মিশর একটি আরব রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়। মিশরের অধিবাসীরা ধীরে ধীরে খ্রিস্টধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। এসময় মিশর উমায়িদ ও আব্বাসিদ রাজবংশের অধীনে ছিল। ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে তুর্কি উসমানীয় সাম্রাজ্য মিশরের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয়। এসময় মিশরের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবনমন ঘটে। ১৭৯৮ সালে ফ্রান্সের সেনাপতি নেপোলিয়ন মিশর আক্রমণ করেন, কিন্তু উসমানীয় সাম্রাজ্য দ্রুত ক্ষমতা ফিরে পেতে সক্ষম হয়। উসমানীয় সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা মুহাম্মাদ আলিকে ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে মিশরের প্রশাসক বানানো হয়। তিনি দেশটির আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে বেশ কিছু সংস্কার সাধন করেন। আলির মৃত্যুর পরে তার পরিবারের সদস্যরা প্রায় ১০০ বছর ধরে মিশরের শাসনভার নিজেদের হাতে রেখে দেন। ১৮৫৯ থেকে ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দ সময়কালে একটি ফরাসি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে সুয়েজ খাল তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয়। ১৮৮২ সালে ব্রিটিশ সেনারা মিশর দখলে নিয়ে নেয় এবং ১৯১৪ সালে দেশটিকে যুক্তরাজ্যের উপর নির্ভরশীল একটি অঞ্চলের মর্যাদা দেয়। ১৯২২ সালে মিশর নামমাত্র স্বাধীনতা লাভ করে এবং এটিকে একটি সংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত করা হয়। কিন্তু এতে ব্রিটিশ সেনা উপস্থিতি অব্যাহত থাকে। ১৯৪০-এর দশকে দেশটি আরব লিগ নামের একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে, যাতে একাধিক আরব রাষ্ট্র সহযোগিতার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়। আরব লিগ মিশরের প্রতিবেশী অঞ্চল ফিলিস্তিনের স্থানীয় আরব জনগণ ও সম্প্রতি ইউরোপ থেকে বহিরাগত ইহুদীদের মধ্যবর্তী ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৪৮ সালে ইহুদীরা ফিলিস্তিনের একটি অংশকে ইসরায়েল রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করলে মিশর ও তার আরব মিত্ররাষ্ট্রগুলি ইসরায়েলকে আক্রমণ করে কিন্তু পরাজিত হয়। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে একটি সামরিক দল মিশরের রাজা ফারুককে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে নির্বাসনে পাঠায়, ব্রিটিশ সেনাদের দেশ থেকে উৎখাত করে এবং তাদের নেতা জামাল আবদেল নাসের প্রায় ২০০০ বছর পরে প্রথম স্থানীয় মিশরীয় হিসেবে দেশটির শাসনক্ষমতার অধিকারী হন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে মিশর একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। নাসের মিশরকে আরব বিশ্বের নেতৃস্থানীয় রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সালে মিশর ও সিরিয়া একত্রে মিলে একীভূত আরব প্রজাতন্ত্র নামের একটি রাষ্ট্র গঠন করেছিল, কিন্তু সেটি টেকেনি। নাসের আরব সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা ছিলেন। তিনি ব্রিটিশদের কাছ থেকে অনেক শিল্প কারখানা ও সুয়েজ খালের রাষ্ট্রায়ত্তকরণ সম্পন্ন করেন। তাঁর শাসনামলে মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে আরও দুইবার (১৯৫৬ ও ১৯৬৭ সালে) যুদ্ধ হয়। ১৯৭০ সালে আনওয়ার এল-সাদাত মিশরের রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৭৩ সালে মিশর ইসরায়েলের সাথে আরেকটি স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি সাদাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মেনাকেম বেগিনের সাথে বৈঠক করেন। এই বৈঠকের সূত্র ধরে ১৯৭৯ সালে মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি (ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি) সম্পাদিত হয়। মিশর গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ও ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। বেশির ভাগ আরব রাষ্ট্রই এই চুক্তির ব্যাপারে নারাজ ছিল। ১৯৮১ সালে মুসলমান চরমপন্থীরা সাদাতকে হত্যা করে। নতুন রাষ্ট্রপতি হোসনি মুবারকের নেতৃত্বে মিশরের সাথে অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। তবে মিশর ১৯৯১ সালে ইরাকের বিরুদ্ধে সম্মিলিত জোটের অংশ হিসেবে ১ম পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। "আরব বসন্ত" পর্বে এসে একটি গণঅভ্যুত্থানের বদৌলতে মুবারকের সেনা-সমর্থিত শাসনের অবসান ঘটে এবং নির্বাচনে মুসলমান ভ্রাতৃত্ব নামক ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের জয় হয়, কিন্তু তাদেরকেও কিছুদিন পরে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। বর্তমানে মিশরে ইসলামী উগ্রবাদের উত্থান ঘটেছে এবং এতে স্থানীয় মুসলমান ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে বহু শতাব্দী যাবৎ বিদ্যমান সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্কে চিড় ধরেছে। এছাড়া শিক্ষা ও অর্থনৈতিক মর্যাদার ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ হ্রাস পেয়েছে। দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার মধ্যে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষত দক্ষিণ মিশর অঞ্চলে। আধুনিক মিশর রাষ্ট্রটি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। মিশরকে উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইসলামী বিশ্বের একটি আঞ্চলিক শক্তি, এবং বিশ্বমঞ্চে একটি মধ্যম শক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। দেশটি জাতিসংঘ, আরব লিগ, জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন, আফ্রিকান ঐক্য এবং ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
0.5
4,842.32286