_id
stringlengths 17
22
| url
stringlengths 42
314
| title
stringlengths 2
36
| text
stringlengths 100
5.1k
| score
float64 0.5
1
| views
float64 23
11.1k
|
---|---|---|---|---|---|
20231101.bn_35310_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AD%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F
|
আর্যভট্ট
|
আর্যভট্টের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ গাণিতিক অবদান হচ্ছে আধুনিক ত্রিকোণমিতির সূত্রপাত করা। ত্রিকোণমিতির ব্যবহারে আর্যভট্ট সাইন, ভারসাইন (Versine = ১ - Cosine), বিপরীত সাইনের ব্যবহার করেন। সূর্য সিদ্ধান্তে এ সংক্রান্ত কিছু কাজ থাকলেও আর্যভট্টের কাজে তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ মেলে। সাইন ফাংশনের জন্য যুগ্ম ও অর্ধ কোণের সূত্রগুলো তিনি জানতেন বলে ধারণা করা হয়। আর্যভট্টের ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ ত্রিকোণমিতিক সম্পর্কগুলোর একটি হল- sin (n+১)x কে sin x এবং sin (n-১)x এর সাহায্যে প্রকাশ করা। আর্যভট্ট একটি সাইন টেবিল তৈরি করেছিলেন, যেটিতে ৩ ডিগ্রি ৪৫ মিনিট পার্থক্যে ৯০ ডিগ্রি পর্যন্ত সাইন এবং ভারসাইনের মান উল্লেখ করা ছিল। তার ব্যবহার করা এই সূত্রটি দিয়ে খুব সহজেই এই সাইন টেবিলটি recursively তৈরি করে ফেলা সম্ভব। সেই সূত্রটি হল-
| 0.5 | 2,551.037769 |
20231101.bn_35310_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AD%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F
|
আর্যভট্ট
|
আর্যভট্টের তৈরি করা সাইন টেবিলটি এখানে উল্লেখ করা হল। বলে রাখা যেতে পারে আর্যভট্ট তার সাইন টেবিলে সরাসরি sinθ এর বদলে Rsinθ ব্যবহার করেছেন। এখানে R দ্বারা একটি নির্দিষ্ট বৃত্তের ব্যাসার্ধ বোঝানো হচ্ছে। আর্যভট্ট এই ব্যাসার্ধের মান ব্যবহার করেছিলেন ৩৪৩৮, এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যে আর্যভট্ট এক মিনিট পরিমাণ কোণের জন্য একক ব্যাসার্ধের বৃত্তে বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্যকে এক একক হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন। একটি বৃত্তের সম্পূর্ণ পরিধি তার কেন্দ্রে (৩৬০ × ৬০) = ২১৬০০ মিনিট কোণ ধারণ করে। সে হিসেবে বৃত্তের পরিধি হল ২১৬০০ একক এবং ঐ বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে ২১৬০০/২π, আর্যভট্টের হিসেবে পাওয়া π = ৩.১৪১৬ ব্যবহার করলে ব্যাসার্ধের মান প্রায় ৩৪৩৮ হয়।
| 0.5 | 2,551.037769 |
20231101.bn_1247_0
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8
|
মন
|
মন দর্শনশাস্ত্রের একটি অন্যতম কেন্দ্রীয় ধারণা। মন বলতে সাধারণভাবে বোঝায় যে, বুদ্ধি এবং বিবেকবোধের এক সমষ্টিগত রূপ যা চিন্তা, অনুভূতি, আবেগ, ইচ্ছা এবং কল্পনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মন কি এবং কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে অনেক রকম তত্ত্ব প্রচলিত আছে। এসব তত্ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে মূলতঃ প্লেটো, অ্যারিস্টটল এবং অন্যান্য প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকদের সময়কাল থেকে।
| 0.5 | 2,546.810517 |
20231101.bn_1247_1
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8
|
মন
|
জড়বাদী দার্শনিকগণ মনে করেন যে, মানুষের মনের প্রবৃত্তির কোন কিছুই শরীর থেকে ভিন্ন নয়। বরং মানুষের মস্তিষ্ক থেকে উদ্ভূত শারীরবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মন গড়ে উঠে।
| 0.5 | 2,546.810517 |
20231101.bn_1247_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8
|
মন
|
মন এর সঠিক সংজ্ঞা সম্ভব নয়। তবে এই ভাবে বলা যেতে পারে, মন হলো এমন কিছু যা নিজের অবস্থা এবং ক্রিয়াগুলি সম্পর্কে সচেতন। মনের সরুপ লক্ষণ হলো চেতনা যার থেকে মনকে জড়ো থেকে আলাদা করা হয়।
| 0.5 | 2,546.810517 |
20231101.bn_1247_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8
|
মন
|
মন চেতনা উপলব্ধি চিন্তা রায় ভাষা এবং মেমরি সহ জ্ঞানীয় অনুষদ একটি সেট। এটা সাধারণত একটি সত্তা এর চিন্তাভাবনা এবং চেতনা অনুষদ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় এটি কল্পনা স্বীকৃতি এবং অনুগ্রহের ক্ষমতা ধারণ করে, এবং মনোভাব এবং কর্মের ফলে অনুভূতি ও আবেগ প্রক্রিয়াকরণের জন্য দায়ী।
| 0.5 | 2,546.810517 |
20231101.bn_1247_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8
|
মন
|
দর্শনের ধর্ম মনোবিজ্ঞান এবং জ্ঞানের বিজ্ঞানের একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য আছে যা মনকে গঠন করে এবং তার বিশিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলি কি।
| 1 | 2,546.810517 |
20231101.bn_1247_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8
|
মন
|
মনের প্রকৃতির বিষয়ে একটি খোলা প্রশ্ন হলো মস্তিষ্কের সমস্যা যা শারীরিক মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের কাছে মনের সম্পর্কের তদন্ত করে। পুরাতন দৃষ্টিভঙ্গি দ্বৈতবাদ এবং আদর্শবাদকে অন্তর্ভুক্ত করে যা মনকে কোনভাবে অ শারীরিক বলে মনে করে। আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিগুলি প্রায়ই শারীরিকতা এবং কার্যকারিতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে যা মনে করে যে মন মস্তিষ্কের সাথে প্রায় অনুরূপ এবং স্নায়ুসংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপ যেমন সংক্রমনের কার্যকলাপের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।, যদিও দ্বৈতবাদ ও আদর্শবাদে অনেক সমর্থক রয়েছে। আরেকটি প্রশ্ন উদ্বেগ যে মানুষের মধ্যে কি ধরনের মন থাকতে পারে? উদাহরণস্বরূপ, মন যে সমস্ত বাস্তবসম্মত জিনিসগুলি দ্বারা কিছু বা সমস্ত প্রাণী দ্বারা মনুষ্যদের কাছে একচেটিয়াভাবে হয়, তা সবই একটি কঠোরভাবে সুনির্দিষ্ট চরিত্রগত কিনা বা মন মনুষ্য বানানো মেশিনগুলির কিছুও হতে পারে।
| 0.5 | 2,546.810517 |
20231101.bn_1247_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8
|
মন
|
যাই হোক না কেন এর প্রকৃতি স্বাভাবিকভাবেই সম্মত হয় যে মন এমন একটি বিষয় যার ফলে ব্যক্তিবিশেষ সচেতনতা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের পরিবেশের দিকে নজর দেওয়া এবং কোনো ধরনের এজেন্সিগুলির সাথে উদ্দীপনাকে প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং চিন্তা ও অনুভূতি সহ চেতনা থাকতে পারে।
| 0.5 | 2,546.810517 |
20231101.bn_1247_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8
|
মন
|
বিভিন্ন ধারণা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের দ্বারা বিভিন্ন ধারণা থেকে বোঝা যায়। কিছু মানুষ মনুষ্যদের জন্য এক সম্পত্তি হিসাবে মনকে দেখতে পায় কিন্তু অন্যেরা প্রাণীদের এবং দেবতাদের কাছে নন জীবিত সত্তা (যেমন প্যান্সিসিজম এবং প্রাণিবিজ্ঞান) মনের বৈশিষ্ট্যগুলিকে সমর্পণ করে। মৃত্যুর পরে জীবন এবং জীববিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক আদেশের উভয় তত্ত্বের সাথে জোরারদার বুদ্ধ প্লাটো অ্যারিস্টটল এবং অন্যান্য প্রাচীন গ্রীক ভারতীয় এবং পরবর্তীতে ইসলামিক মতবাদের তত্ত্বের উদাহরণ হিসাবে মনস্তাত্ত্বিক কিছু কিছু রেকর্ডকৃত ধারণাগুলি (মনুষ্য বা আত্মার সাথে একরকমভাবে বর্ণনা করা হয়েছে) মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় দার্শনিক।
| 0.5 | 2,546.810517 |
20231101.bn_1247_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8
|
মন
|
মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিকরা প্লাতো, ডেসকার্টস, লিবিনিজ, লক, বার্কলে, হিউম, কান্ট, হিগসেল, শোপেনহেওর, সিয়ারেল, ডেনেট, ফডর, নাগেল এবং ক্লামার্স। মনস্তাত্ত্বিক যেমন ফ্রয়েড এবং জেমস এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী যেমন টুরিং এবং পুঠামের মনের প্রকৃতি সম্বন্ধে প্রভাবশালী তত্ত্বগুলি গড়ে তুলেছে। অমানবিক মানসিকতার সম্ভাবনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে উদ্ভাবিত হয় যা সাইবারনেটিক এবং তথ্য তত্ত্বের সাথে সম্পর্কযুক্ত কাজ করে যা অবহেলা মেশিনের মাধ্যমে তথ্য প্রক্রিয়াগুলি মানুষের মনের মধ্যে মানসিক চেতনার তুলনায় তুলনীয় বা ভিন্ন।
| 0.5 | 2,546.810517 |
20231101.bn_369756_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%A8
|
প্রজনন
|
অযৌন জনন: অযৌন জনন প্রক্রিয়ায় একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির কোন জীব একই প্রজাতির অপর একটি জীবের সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই প্রজনন করতে সক্ষম হয়| একটি এককোষী ব্যাকটেরিয়া বিভাজিত হয়ে দুটি নতুন ব্যাকটেরিয়া কোষ উৎপন্ন হওয়া অযৌন প্রজননের একটি উদাহরণ| তবে অযৌন প্রজনন শুধু এককোষী জীবেই সীমাবদ্ধ নয়| অধিকাংশ উদ্ভিদই অযৌন প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি করতে পারে এবং মাইকোসেপাস স্মিথি নামক প্রজাতির পিঁপড়া অযৌন প্রক্রিয়ায় পূর্ণাঙ্গ প্রজনন ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হয়। অ্যামিবার দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়া অযৌন প্রজননের একটি উদাহরণ, এছাড়া জেলীফিশ এবং কিছু পতঙ্গ নিষেক ব্যতিরেকেই অসংখ্য ডিম পাড়তে পারে যা অযৌন প্রজনন প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
| 0.5 | 2,541.248044 |
20231101.bn_369756_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%A8
|
প্রজনন
|
যৌন জনন: যৌন জননের জন্য একই প্রজাতির পরস্পর বিপরীত লিঙ্গের দু'টি জীবের সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজন হয়| এছাড়া, ক্লোনিং পদ্ধতিতেও জীবের বংশবিস্তার ঘটানো যায়| অধিকাংশ উদ্ভিদ ও প্রাণিই এ প্রক্রিয়ায় প্রজননকর্ম সম্পাদন করে। এ ক্ষেত্রে পৃথক দুটি লিঙ্গের প্রাণিদেহে প্রজননের জন্য মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় দুটি পৃথক ধরনের কোষ উৎপাদন প্রক্রিয়া ঘটে, পুংদেহে উৎপাদিত কোষকে শুক্রাণু এবং স্ত্রীদেহে উৎপাদিত কোষকে ডিম্বাণু বা ডিম্ব বলে| এই দুটি কোষ পরস্পর সম্মিলিত হয়ে নিষিক্ত হয় এবং তা থেকে জাইগোট বা গ্যামেট সৃষ্টি হয়| এই জাইগোটই পরবর্তীকালে নতুন সন্তান হিসেবে আবির্ভূত হয়| যে সকল প্রাণী একই দেহে পুং ও স্ত্রী উভয় প্রকারের জনন কোষ উৎপন্ন করে তাদের হারমাফ্রোডাইট বলে। উদ্ভিদ জগতে এটি ব্যাপকভাবে দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, অধিকাংশ প্রজাতির শামুক এবং প্রায় সকল প্রজাতির উদ্ভিদ প্রজাতি হল হারমাফ্রোডাইট।
| 0.5 | 2,541.248044 |
20231101.bn_369756_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%A8
|
প্রজনন
|
যৌন প্রজননের তুলনায় অযৌন প্রজনন অধিকতর সহজ, কিন্তু এক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধা উভয় বিদ্যমান রয়েছে:
| 0.5 | 2,541.248044 |
20231101.bn_369756_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%A8
|
প্রজনন
|
যৌন পদ্ধতিতে জন্ম নেয়া জীব জিনগতভাবে তাঁর পিতামাতা থেকে কিছুটা আলাদা হয়, তারা পিতামাতা উভয়ের কাছ থেকে জিনগত বৈশিষ্ট্য লাভ করে।
| 0.5 | 2,541.248044 |
20231101.bn_369756_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%A8
|
প্রজনন
|
Tobler, M. & Schlupp,I. (2005) Parasites in sexual and asexual mollies (Poecilia, Poeciliidae, Teleostei): a case for the Red Queen? Biol. Lett. 1 (2): 166-168.
| 1 | 2,541.248044 |
20231101.bn_369756_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%A8
|
প্রজনন
|
Zimmer, Carl. Parasite Rex: Inside the Bizarre World of Nature's Most Dangerous Creatures, New York: Touchstone, 2001.
| 0.5 | 2,541.248044 |
20231101.bn_369756_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%A8
|
প্রজনন
|
Judson, Olivia (2003) Dr.Tatiana's Sex Advice to All Creation: Definitive Guide to the Evolutionary Biology of Sex.
| 0.5 | 2,541.248044 |
20231101.bn_369756_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%A8
|
প্রজনন
|
The Evolution of Sex: An Examination of Current Ideas Richard E. Michod and Bruce E. Levin, editors (1987) Sinauer Associates Inc., Publishers, Sunderland, Massachusetts
| 0.5 | 2,541.248044 |
20231101.bn_369756_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%A8
|
প্রজনন
|
Michod, R.E. Eros and Evolution: A natural philosophy of sex (1994). Addison-Wesley Publishing Company, Reading, Massachusetts
| 0.5 | 2,541.248044 |
20231101.bn_59115_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE
|
তাপমাত্রা
|
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ফারেনহাইট স্কেল ব্যবহৃত হয়।সমুদ্রতলে প্রমাণ বায়ুমন্ডলীয় চাপে বরফের হিমাঙ্ক 32°F এবং জলের স্ফুটনাঙ্ক 212°F।
| 0.5 | 2,539.519539 |
20231101.bn_59115_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE
|
তাপমাত্রা
|
তাপগতিবিদ্যার তৃতীয় সূত্র থেকে জানা যায় যে পরম শূন্য উষ্ণতায় কোনো পদার্থ থেকে তাপশক্তি শোষণ করা যায় না।অনিশ্চয়তা নীতি অনুসারে এই উষ্ণতায় পদার্থের ম্যাক্রোস্কোপিক তাপশক্তি নেই, কোয়ান্টাম যান্ত্রিক শূন্য বিন্দু শক্তি রয়েছে। বাস্তবে কখনই পরম শূন্য উষ্ণতায় পৌঁছানো সম্ভব নয়, কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব। পরম শূন্য উষ্ণতা একটি গবেষণামূলক মান।
| 0.5 | 2,539.519539 |
20231101.bn_59115_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE
|
তাপমাত্রা
|
পরীক্ষাগারে গবেষণায় প্রাপ্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হল 100pK।তত্ত্বগতভাবে, পরম শূন্য উষ্ণতায় একটি বস্তুর মধ্যবর্তী সমস্ত কণার গতি স্তব্ধ হয়ে যায়। স্কেল অনুযায়ী পরম শূন্য উষ্ণতার মানগুলো হলো - কেলভিন স্কেল 0K, সেলসিয়াস স্কেল -273.15°C, ফারেনহাইট স্কেল -459.67°F।
| 0.5 | 2,539.519539 |
20231101.bn_59115_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE
|
তাপমাত্রা
|
বোল্টজম্যান ধ্রুবককে উল্লেখ করে ম্যাক্সওয়েল-বোল্টজম্যান ধ্রুবক এবং এনট্রপির যে পরিসংখ্যানগত যান্ত্রিক সংজ্ঞা পাওয়া যায় তা গিবসের সংজ্ঞার সঙ্গে মেলে না। অণুগুলির স্বাধীন সঞ্চারনশীলতার শক্তিকে অবজ্ঞা করে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী একটি পরম স্কেলকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। কারণ এই স্কেলের তাপীয় বস্তু ও থার্মোমিটার ব্যবহারের তত্ত্বও নির্দিষ্ট।পরম শূন্য ব্যতীত এই স্কেলের কোনো সহায়ক তাপমাত্রা নেই। এটি কেলভিন স্কেল নামেই পরিচিত। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ব্যাপকভাবে কেলভিন স্কেল ব্যবহৃত হয়। কেলভিন (এককটি ছোটো হাতের "k" দ্বারা প্রকাশ করা হয়) হল SI পদ্ধতিতে তাপমাত্রা পরিমাপের একক। তাপগতীয় ভারসাম্যের সময় একটি বস্তুর তাপমাত্রা সর্বদা পরম শূন্যের সাপেক্ষে ধনাত্মক হয়। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কেলভিন স্কেল ছাড়াও, লর্ড কেলভিন দ্বারা আবিষ্কৃত একটি তাপগতীয় তাপমাত্রা পরিমাপক স্কেল রয়েছে। যার শূন্য দাগ রয়েছে পরম শূন্যে কিন্তু সরাসরি বাইরে থেকে দৃশ্যমান বা ম্যাক্রোস্কোপিক এনট্রপি সহ সম্পূর্ণভাবে ম্যাক্রোস্কোপিক তাপগতীয় ধারণার সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও এটি বাইরে থেকে দৃশ্যমান নয় বা মাইক্রোস্কোপিকভাবেও উল্লেখযোগ্য।গিবস ক্যানোনিক্যাল অ্যাসেম্বেলের জন্য এনট্রপির পরিসংখ্যানগত বা স্ট্যাটিস্টিক্যাল যান্ত্রিক সংজ্ঞা, যা অণুমধ্যস্থ সম্ভাব্য শক্তির পাশাপাশি স্বাধীন কণাগুলোর গতিকে বিবেচনা করে। যাতে এটি পরম শূন্যের কাছাকাছি উষ্ণতার পরিমাপ করতে পারে।এই স্কেলে জলের ত্রিবিন্দুর একটি সহায়ক তাপমাত্রা রয়েছে,যার সাংখ্যমান পূর্বোক্ত আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কেলভিন স্কেলের সাহায্যেই পরিমাপের দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়।
| 0.5 | 2,539.519539 |
20231101.bn_59115_11
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE
|
তাপমাত্রা
|
বহু বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজেই কেলভিন স্কেল ব্যবহৃত হয়।যে পদার্থ বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম এটি সংজ্ঞায়িত করেছিলেন ওনার সম্মানে ওনার নাম অনুসারেই এই স্কেলের নামকরণ হয়েছে।এটি একটি পরম স্কেল। এর শূন্য বিন্দুর উষ্ণতা 0 K, এটি পরম শূন্য উষ্ণতা। 2019 সালের মে মাসে কেলভিনকে কণার গতীয় তত্ত্ব এবং পরিসংখ্যান বা স্ট্যাটিস্টিক্যাল বলবিদ্যার মাধ্যমে সংজ্ঞা নির্ধারিত হয়েছিল। SI পদ্ধতিতে কেলভিনের মাত্রা বোল্টজম্যান ধ্রুবকের সাপেক্ষে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যার নির্দিষ্ট মান আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নির্ধারিত হয়েছিল।
| 1 | 2,539.519539 |
20231101.bn_59115_12
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE
|
তাপমাত্রা
|
২০১৯ সালের মে মাস থেকে কেলভিনের মাত্রা পদার্থের অভ্যন্তরীন ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত। পরিসংখ্যানগত বলবিদ্যার ক্ষেত্রে চিহ্নিতকরণ হয়েছে।এর আগে, 1954 সাল থেকে কেলভিন কে SI পদ্ধতিতে তাপগতীয় তাপমাত্রা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল। দ্বিতীয় সহায়ক তাপমাত্রা হিসেবে জলের ত্রিবিন্দুর নির্ভরযোগ্য ও পুনরুৎপাদনযোগ্য তাপমাত্রা ব্যবহার করে, প্রথম সহায়ক বিন্দু হলো 0K বা পরম শূন্যে। ঐতিহাসিকভাবে জলের ত্রিবিন্দুর তাপমাত্রা 273.16K নির্ধারিত হয়েছিল। বর্তমানে এটি একটি পরীক্ষামূলকভাবে পরিমাপিত পরিমাণ। সমুদ্রতলে প্রমাণ বায়ুমন্ডলীয় চাপে জলের হিমাঙ্ক 273.15K (0°C)এর খুব কাছাকাছি।
| 0.5 | 2,539.519539 |
20231101.bn_59115_13
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE
|
তাপমাত্রা
|
অনেক ধরনের তাপমাত্রার স্কেল রয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতা ও তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে উপযোগী করে তোলা হয়েছে। তাপমাত্রার অভিজ্ঞতামূলক স্কেলগুলি ঐতিহাসিকভাবে পুরোনো যখন তত্ত্ব নির্ভর স্কেলগুলো উনবিংশ শতকের মধ্যভাগে উদ্ভূত হয়েছিল।
| 0.5 | 2,539.519539 |
20231101.bn_59115_14
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE
|
তাপমাত্রা
|
অভিজ্ঞতামূলক তাপমাত্রা পরিমাপের স্কেল গুলো পদার্থের ম্যাক্রোস্কোপিক (পদার্থের বাইরে থেকে দৃশ্যমান এমন) ভৌত ধর্মগুলোর পরিমাপের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। উদাহরণ স্বরূপ, পারদস্তম্ভের উচ্চতা যা একটি কাচের প্রাচীর দেওয়া কৈশিক নলের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তা মূলত তাপমাত্রা নির্ভর এবং এটি পারদ থার্মোমিটারের মূল নীতি। এই ধরনের স্কেল শুধুমাত্র তাপমাত্রার নির্দিষ্ট পরিসীমার মধ্যে বৈধ। উদাহরণ স্বরূপ, পারদের স্ফূটনাঙ্কের ওপর পারদ থার্মোমিটার ব্যবহার করা যায় না। অধিকাংশ পদার্থই তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রসারিত ড়য়, কিন্তু কিছু পদার্থ, যেমন - জল , একটি নির্দিষ্ট পরিসরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সংকুচিত হয় তখন তাপীয় বস্তু হিসেবে জলের উপযোগিতাও হ্রাস পায়। একটি পদার্থ যখন তার অবস্থা পরিবর্তনের কাছাকাছি আসে তখন সেটি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে পড়ে। উদাহরণ স্বরূপ, তাপীয় বস্তু যখন তার স্ফূটনাঙ্কের কাছাকাছি আসে তখন তার কার্যকারিতা কমে যায়।
| 0.5 | 2,539.519539 |
20231101.bn_59115_15
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE
|
তাপমাত্রা
|
এই সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সর্বাধিক ব্যবহৃত স্কেলগুলো অভিজ্ঞতামূলক প্রকারের। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, এটি ক্যালোরিমিতির জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল, যার তাপগতিবিদ্যায় অধিক অবদান রয়েছে। তবুও, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে বিচার করার সময় অভিজ্ঞতামূলক তাপীয় নীতির গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে। অভিজ্ঞতামূলক থার্মোমিটার, তাপীয় বস্তুর সাধারণ ভৌত ধর্মের সরল প্রত্যক্ষ পরিমাপ হিসেবে তাদের যুক্তির বাইরে তাত্ত্বিক ভৌতিক যুক্তি ব্যবহার করে পুনরায় ক্রমাঙ্কিত করা যেতে পারে এবং এটি তাদের ব্যবহারের পরিসর বৃদ্ধি করতে পারে।
| 0.5 | 2,539.519539 |
20231101.bn_1181_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8
|
ভুটান
|
ঐতিহাসিকভাবে বিভিন্ন সময়ে ভুটান বিভিন্ন নামে খ্যাত ছিলো। যেমন, লো মন (দক্ষিণের অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজ্য), লো সেন্দেঞ্জং (সেন্দেন সাইপ্রেস বৃক্ষমন্ডিত দক্ষিণের রাজ্য), লোমেন খাঝি (দক্ষিণের রাজ্য যাতে চারটি প্রবেশ পথ রয়েছে), ও লো মেন জং (দক্ষিণের রাজ্য যেখানে ওষধি বৃক্ষ পাওয়া যায়।
| 0.5 | 2,538.993263 |
20231101.bn_1181_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8
|
ভুটান
|
ভুটানের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে সেখানে প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনীর চেয়ে বেশি সুস্পষ্ট কিছু জানা যায় না। এখানে হয়ত খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দেও বসতি ছিল, তবে ৯ম শতকে এখানে তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের প্রচলনের পরেই এলাকাটির সম্পর্কে আরও জানা যায়। সেসময় বহু তিব্বতি বৌদ্ধ ভিক্ষু পালিয়ে ভুটানে চলে আসেন। ১২শ শতকে এখানে দ্রুকপা কাগিউপা নামের বৌদ্ধধর্মের একটি ধারা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটিই বর্তমানে ভুটানের বৌদ্ধধর্মের প্রধান রূপ। ভুটানের বৌদ্ধ মন্দির ও ধর্মশিক্ষালয় দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসের উপর সবসময় প্রভাব ফেলেছে।
| 0.5 | 2,538.993263 |
20231101.bn_1181_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8
|
ভুটান
|
১৬১৬ সালে নগাওয়ানা নামগিয়াল নামের এক তিব্বতি লামা তিনবার ভুটানের উপর তিব্বতের আক্রমণ প্রতিহত করলে ভুটান এলাকাটি একটি সংঘবদ্ধ দেশে পরিণত হতে শুরু করে। নামগিয়াল বিরোধী ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলিকে পদানত করেন, একটি ব্যাপক ও সূক্ষ্ম বিবরণসমৃদ্ধ আইন ব্যবস্থা প্রচলন করেন এবং একটি ধর্মীয় ও সিভিল প্রশাসনের উপর নিজেকে একনায়ক বা শাবদ্রুং হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তার মৃত্যুর পর অন্তর্কোন্দল ও গৃহযুদ্ধের কারণে পরবর্তী ২০০ বছর শাবদ্রুঙের ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে। ১৮৮৫ সালে উগিয়েন ওয়াংচুক শক্ত হাতে ক্ষমতা প্রয়োগে সক্ষম হন এবং ভারতের ব্রিটিশ প্রশাসনের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন।
| 0.5 | 2,538.993263 |
20231101.bn_1181_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8
|
ভুটান
|
১৯০৭ সালে উগিয়েন ওয়াংচুক ভুটানের রাজা নির্বাচিত হন এবং ঐ বছর ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ সিংহাসনে আরোহণ করেন। তার উপাধি ছিল দ্রুক গিয়ালপো বা ড্রাগন রাজা। ১৯১০ সালে রাজা উগিয়েন ও ব্রিটিশ শক্তি পুনাখার চুক্তি স্বাক্ষর করে যেখানে ব্রিটিশ ভারত ভুটানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক না গলানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। উগিয়েন ওয়াংচুক ১৯২৬ সালে মারা গেলে তার পুত্র জিগমে ওয়াংচুক পরবর্তী শাসক হন। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভের পর ভুটানকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে গণ্য করে। ১৯৪৯ সালে ভুটান ও ভারত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে যেখানে ভুটান ভারতের কাছ থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের ব্যাপারে পথনির্দেশনা নেবার ব্যাপারে সম্মত হয় এবং পরিবর্তে ভারত ভুটানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দেয়। ১৯৫২ সালে জিগমে ওয়াংচুকের ছেলে জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ক্ষমতায় আসেন। তার আমলে ভুটান পরিকল্পিত উন্নয়নের পথে এগোতে থাকে এবং ১৯৭১ সালে জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রে পরিণত হয়। তার সময়েই ভুটানে একটি জাতীয় সংসদ, নতুন আইন ব্যবস্থা, রাজকীয় ভুটানি সেনাবাহিনী এবং একটি উচ্চ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়।
| 0.5 | 2,538.993263 |
20231101.bn_1181_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8
|
ভুটান
|
১৯৭২ সালে ১৬ বছর বয়সে জিগমে সিঙিয়ে ওয়াংচুক ক্ষমতায় আসেন। তিনি আধুনিক শিক্ষা, সরকারের বিকেন্দ্রীকরণ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, পর্যটন এবং পল্লী উন্নয়নের মত ব্যাপারগুলির উপর জোর দেন। তিনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি জনগণের সামগ্রিক সুখের একজন প্রবক্তা; উন্নয়ন সম্পর্কে তার দর্শন কিছুটা ভিন্ন এবং এই ভিন্নতার কারণে তিনি আন্তর্জাতিক পরিচিত পেয়েছেন। তার আমলে ধীরে ধীরে ভুটান গণতন্ত্রায়নের পথে এগোতে থাকে। ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি রাজার পদ ছেড়ে দেন এবং তার ছেলে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ভুটানের রাজা হন। ২০০৮ সালের ১৮ই জুলাই ভুটানের সংসদ একটি নতুন সংবিধান গ্রহণ করে। এই ঐতিহাসিক দিন থেকে ভুটানে পরম রাজতন্ত্রের সমাপ্তি ঘটে এবং ভুটান একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও সংসদীয় গণতন্ত্রে পরিণত হয়।
| 1 | 2,538.993263 |
20231101.bn_1181_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8
|
ভুটান
|
ভুটান হল একটি রাজতন্ত্র বিশিষ্ট দেশ। এখানে বর্তমানে রাজতন্ত্র বিদ্যমান। ভুটানে অতীতে একটি পরম রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল। বর্তমানে এটি একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। ভুটানের রাজা, যার উপাধি ড্রাগন রাজা, হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। মন্ত্রীদের একটি কাউন্সিল রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনা করে। সরকার ও জাতীয় সংসদ উভয়ের হাতে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ন্যস্ত। এছাড়াও যে খেনপো উপাধিবিশিষ্ট দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা রাজার সবচেয়ে কাছের পরামর্শদাতার একজন। ২০০৭ সালে একটি রাজকীয় আদেশবলে রাজনৈতিক দল নির্মাণের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়। বর্তমান সংবিধানে দেশটিতে একটি দুই-দলবিশিষ্ট গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুক বর্তমানে ভুটানের রাজা।
| 0.5 | 2,538.993263 |
20231101.bn_1181_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8
|
ভুটান
|
ভুটানের আয়তন ৪৬,৫০০ বর্গকিলোমিটার। থিম্পু এর রাজধানী শহর এবং এটি দেশের মধ্য-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। অন্যান্য শহরের মধ্যে পারো, ফুন্টসলিং, পুনাখা ও বুমথং উল্লেখযোগ্য। ভুটানের ভূপ্রকৃতি পর্বতময়। উত্তরে সুউচ্চ হিমালয় পর্বতমালা, মধ্য ও দক্ষিণভাগে নিচু পাহাড় ও মালভূমি এবং দক্ষিণ প্রান্তসীমায় সামান্য কিছু সাভানা তৃণভূমি ও সমভূমি আছে। মধ্যভাগের মালভূমির মধ্যকার উপত্যকাগুলিতেই বেশির ভাগ লোকের বাস। ভুটানের জলবায়ু উত্তরে আল্পীয়, মধ্যে নাতিশীতোষ্ণ এবং দক্ষিণে উপক্রান্তীয়; জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়। স্থলবেষ্টিত দেশ ভুটানের আকার, আকৃতি ও পার্বত্য ভূ-প্রকৃতি সুইজারল্যান্ডের সদৃশ বলে দেশটিকে অনেক সময় এশিয়ার সুইজারল্যান্ড ডাকা হয়।
| 0.5 | 2,538.993263 |
20231101.bn_1181_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8
|
ভুটান
|
বহির্বিশ্ব থেকে বহুদিন বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে ভুটান প্রাণী ও উদ্ভিদের এক অভয়ারণ্য। এখানে বহু হাজার দুর্লভ প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায়। ভুটানের প্রায় ৭০% এলাকা অরণ্যাবৃত। এই অরণ্যই ভুটানের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে চলেছে যুগ যুগ ধরে।
| 0.5 | 2,538.993263 |
20231101.bn_1181_11
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8
|
ভুটান
|
ভুটানের রাষ্ট্রীয় মুদ্রা গুলট্রাম এবং এর বিনিময় হার ভারতীয় রুপীর সাথে সম্পর্কিত । ভুটানে ভারতীয় রুপীরও প্রচলন রয়েছে। ভুটানের অর্থনীতি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র অর্থনীতিগুলির একটি।
| 0.5 | 2,538.993263 |
20231101.bn_545350_15
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0
|
সার
|
প্রধান জৈবসারসমূহ হলো বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ বর্জ্য,নর্দমার বর্জ্য প্রভৃতি। তবে সবচেয়ে বেশি উদ্ভিজ্জ বর্জ্যই ব্যবহৃত হয়। সাধারণত কয়লার বৈর্জ্যের কোনো পুষ্টিমান না থাকলেও তা মাটিতে হাওয়া ও পানি সংবন্ধন করে মাটির গুণগত মান উন্নত করে। একইভাবে কোনো জবাইকৃত পশুর রক্ত, বর্জ্য, শিং এইসব সাধারণবস্তু যেগুলো উদ্ভিদকে সামান্য পুষ্টি যোগালেও আসলে তা মাটির গুনগত মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
| 0.5 | 2,534.522988 |
20231101.bn_545350_16
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0
|
সার
|
সার জমির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধি সাধনে ব্যবহৃত হয়। এর প্রয়োগের পরিমাণ নির্ভর করে জমির উর্বরতার উপর যেটা প্রায় সময়ই মাটি পরীক্ষাকরণ দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। যেমন গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ বায়ু থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ পারে। তাই সে ক্ষেত্রে নাইট্রোজেনজাতীয় সার প্রয়োগ করা হয় না।
| 0.5 | 2,534.522988 |
20231101.bn_545350_17
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0
|
সার
|
সার উদ্ভিদের উপর তরল অথবা কঠিন উভয় অবিস্থাতেই প্রয়োগ করা হয়। প্রায় ৯০% সারই কঠিন অবস্থায় প্রয়োগ করা হয়। এইসব সার কঠিন দ্বানাদার বা মিহি হয়। তরল সারসমূহ হলো এমোনিয়ার অ্যানহাইড্রাইড অথবা এমোনিয়াম নাইট্রেটের দ্রবণ অথবা ইউরিয়া। এইসব তরল সার পানিতে লঘু করেও ব্যবহার করা যায়। তরল সারের সুবিধা হলো এটি আরোও বেশি প্রভাব বিস্তার করে এবং সহজেই পুরো জমিতে ছড়িয়ে পরতে পারে।
| 0.5 | 2,534.522988 |
20231101.bn_545350_18
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0
|
সার
|
এই ধরনের সারসমূহ মার্কেটের ০.১৫%(৫৬২,০০০) অংশজুড়ে ছড়িয়ে আছে। এরা যদিও উদ্ভিদকে পুষ্টি প্রদান করে তবে এদের অতিরিক্ত ব্যবহার উদ্ভিদের জন্য বিষাক্ত। এই সার উদ্ভিদের উত্তোলনের তুলনায় ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। জীবাণু বেশিরভাগ সারেরই জারণ ঘটিয়ে ক্ষয়সাধন করে। তার উপর কিছু সার বাষ্পায়ন আর ক্ষরিত হয়ে ক্ষয় হয়। বেশিরভাগ স্লো-রিলিজ সারসমূহ ইউরিয়ার জাতভূক্ত। আইসোবিউটাইলাইডেন্ডিইউরিয়া ("আইবিডিইউ") এবং ইউরিয়া ফরমাল্ডিহাইড ধীরে ধীরে মাটিতে রূপান্তরিত হয় ইউরিয়া ত্যাগের জন্য,যা ক্রমান্বয়ে উদ্ভিদ দ্বারা শোষিত হয়। 'আইবিডিইউ' একটি একক যৌগ যার ফর্মূলা (CH3)2CHCH(NHC(O)NH2)2 অন্যদিকে ইউরিয়া-ফর্মাল্ডিহাইডগুলোতে HOCH2NHC(O)NH)nCH2 এই ফর্মূলার মিশ্রণ থাকে।
| 0.5 | 2,534.522988 |
20231101.bn_545350_19
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0
|
সার
|
তা ছাড়া পুষ্টি সরবরাহের পাশাপাশি স্লো-রিলিজ প্রযুক্তি পরিবেশদূষণ এবং জমির পাশের পানি দূষণরোধে সহায়তা করে। তাছাড়া এই প্রকৃতির সারগুলো অতিরিক্ত নাইট্রীজেনে উদ্ভিদের দহনরোধেও সহায়তা করে।
| 1 | 2,534.522988 |
20231101.bn_545350_20
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0
|
সার
|
পাতার সারসমূহ সরাসরি পাতায় প্রয়োগ করা হয়।প্রক্রিয়াটা পানিতে দ্রবণীয় নাইট্রোজেনযুক্ত সারসমূহের প্রয়োগের মতোই এবং এই জাতীয় সার শুধুমাত্র উচ্চমানের উদ্ভিদ যেমন ফলের গাছে প্রয়োগ করা হয়।
| 0.5 | 2,534.522988 |
20231101.bn_545350_21
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0
|
সার
|
সার কর্তৃক দহন তখনই ঘটে যখন কেউ অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করে। কারণ অতিরিক্ত সার উদ্ভিদের পাতা অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলে উদ্ভিদের ক্ষতি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়।
| 0.5 | 2,534.522988 |
20231101.bn_545350_22
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0
|
সার
|
নিচের ডায়াগ্রামে ইউরিপিয়ান ইউনিয়ন(ইইউ) এর দেশসমূহের সার ব্যবহারের মান হেক্টর প্রতি কিলোগ্রামে(প্রতি একরে পাউন্ড) প্রকাশ করা হয়েছে।ইউ তে ১০৫ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে সারের মোট খরচ প্রায় ১৫.৯ মিলিয়ন টন। ইউ তে এই সংখ্যা প্রতি হেক্টর আবাদী জমিতে ১৫১ কেজি সার ব্যবহারের সমান।
| 0.5 | 2,534.522988 |
20231101.bn_545350_23
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0
|
সার
|
কৃষিজনিত প্রবাহ মিঠা পানির জলাশয়সূহের ইউট্রোফিকেশনের জন্য সবচেয়ে বড় সহায়ক। উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হ্রদসমূহের প্রায় অর্ধেকই ইউট্রোফিকেট। ইউট্রোফিকেশনে সবচেয়ে বড় সহায়ক ফসফেট যেটা সাধারণত একটি দ্রুত শেষ হওয়ার মতো পুষ্টি উপাদান;উচ্চ ঘনত্বের জল শৈবাল এবং সায়ানোব্যাক্টেরিয়ার জন্মানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সহায়ক যারা পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন শোষন করে দ্রবণীয় অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে ফেলে। সায়ানোব্যাক্টেরিয়ার ব্লুমগুলো আরোও বিষাক্ত কিছু উপাদান জলে তৈরি করে যেটা জলজ প্রানীদের জন্য তো ক্ষতিকর তার উপর তা পরোক্ষভাবে মানুষেরও ক্ষতি করে।
| 0.5 | 2,534.522988 |
20231101.bn_315963_0
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC
|
হাড়
|
হাড় হল একটি কঠিন অঙ্গ, যা মেরুদণ্ডী প্রাণীর কঙ্কাল তৈরি করে। হাড়গুলি দেহের বিভিন্ন অঙ্গকে সুরক্ষা দেয়, লোহিত এবং শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করে, খনিজ পদার্থ জমা রাখে, শরীরের কাঠামো তৈরি করে, এবং চলনে সহায়তা করে। দেহের হাড় বিভিন্ন আকারের হয় এবং এর একটি জটিল অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক কাঠামো থাকে। এগুলি হালকা হলেও শক্ত হয়, এবং একাধিক কাজ সম্পন্ন করে।
| 0.5 | 2,512.04114 |
20231101.bn_315963_1
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC
|
হাড়
|
অস্থি কলা (অসেয়াস কলা) হল একটি শক্ত কলা, এক ধরনের ঘন যোজক কলা। অভ্যন্তরীণভাবে এটির একটি মৌচাকের মতো ছাঁচ রয়েছে, যা হাড়কে কাঠিন্য দেয়। অস্থি কলাগুলি বিভিন্ন ধরনের অস্থি কোষ দিয়ে গঠিত। অস্টিওব্লাস্ট এবং অস্টিওসাইট গুলি হাড়ের গঠন করে এবং হাড়ের খনিজায়ন ঘটায়; অস্টিওক্ল্যাস্ট গুলি অস্থি কলার পুনঃস্থাপনের (অস্টিওক্ল্যাস্টগুলি অস্থি কলাগুলি ভেঙে দেয় এবং খনিজগুলি মুক্ত করে, যার ফলে অস্থি কলা থেকে রক্তে ক্যালসিয়াম স্থানান্তরিত হয়) কাজ করে। সংশোধিত (চ্যাপ্টা) অস্টিওব্লাস্টগুলি হাড়ের পৃষ্ঠের প্রতিরক্ষামূলক স্তর গঠনকারী আস্তরণের কোষে পরিণত হয়। অস্থি কলার খনিজযুক্ত খাঁচায়
| 0.5 | 2,512.04114 |
20231101.bn_315963_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC
|
হাড়
|
প্রধানত কোলাজেনের (এক ধরনের প্রোটিন) একটি জৈব উপাদান রয়েছে যার নাম ওসেইন এবং বিভিন্ন লবণের সমন্বয়ে গঠিত হাড়ের খনিজর একটি অজৈব উপাদান আছে। অস্থি কলা হল দুই প্রকারের খনিজযুক্ত কলা, সেগুলি হল কর্টিকাল অস্থি এবং ক্যান্সেলাস অস্থি। হাড়ের অন্য ধরনের কলাগুলির মধ্যে রয়েছে অস্থি মজ্জা, এন্ডোস্টিয়াম, পেরিওস্টিয়াম, স্নায়ু, রক্তনালী ও তরুণাস্থি।
| 0.5 | 2,512.04114 |
20231101.bn_315963_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC
|
হাড়
|
জন্মের সময় মানবদেহে ৩০০ টিরও বেশি হাড় থাকে, তবে এইগুলির মধ্যে অনেকগুলি বিকাশের সময় একসঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়, এর ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের দেহে, অসংখ্য ছোট সিসাময়েড অস্থি বাদ দিয়ে মোট ২১২ টি পৃথক হাড় থাকে। দেহের বৃহত্তম হাড় হল ঊর্বস্থি (ফিমার) বা উরুর হাড়, এবং সবচেয়ে ছোটটি হল মধ্যকর্ণের স্টেপিস।
| 0.5 | 2,512.04114 |
20231101.bn_315963_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC
|
হাড়
|
গ্রিক ভাষায় হাড় হল (" অস্টিওন "), এটিকে উপসর্গ হিসাবে ব্যবহার করে হাড় সম্বন্ধীয় কিছু বলা হয় - যেমন অস্টিওপ্যাথি।
| 1 | 2,512.04114 |
20231101.bn_315963_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC
|
হাড়
|
হাড় সব জায়গায় একরকম কঠিন হয়না, তবে একটি নমনীয় খাঁচা (প্রায় ৩০%) এবং আবদ্ধ খনিজ (প্রায় ৭০%) নিয়ে গঠিত, যা জটিলভাবে বোনা এবং অন্তহীনভাবে বিশেষায়িত হাড়ের কোষগুলির একটি বিভাগ দ্বারা পুনঃনির্মিত হয়। তাদের অনন্য সৃষ্টি এবং নকশা, হালকা ওজন সত্ত্বেও হাড়কে তুলনামূলকভাবে কঠিন এবং শক্তিশালী করে তোলে।
| 0.5 | 2,512.04114 |
20231101.bn_315963_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC
|
হাড়
|
হাড়ের ম্যাট্রিক্সটি ৯০% থেকে ৯৫% পর্যন্ত স্থিতিস্থাপক কোলাজেন তন্তু দ্বারা গঠিত, যাদের ওসেইন বলা হয়, এবং বাকিটি গ্রাউন্ড সাবস্টেন্স। The elasticity of collagen improves fracture resistance. অজৈব খনিজ লবণ ক্যালসিয়াম ফসফেট, ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সিঅ্যাপেটাইট নামে পরিচিত রাসায়নিক ব্যবস্থায়, আবদ্ধ হবার ফলে খাঁচাটি শক্ত হয়ে যায়। এটি হল হাড়ের খনিজ যা হাড়কে শক্ত করে।
| 0.5 | 2,512.04114 |
20231101.bn_315963_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC
|
হাড়
|
অস্টিওব্লাস্টস এবং অস্টিওক্লাস্টস হিসাবে পরিচিত বিশেষ হাড়ের কোষগুলি দ্বারা দেহের হাড় সারা জীবন সক্রিয়ভাবে নির্মিত এবং পুনর্নির্মিত হয়। যে কোনও একটি হাড়ের মধ্যে, কলাগুলি দুটি প্রধান নমুনায় বোনা হয়, যাদের নাম কর্টিকাল এবং ক্যান্সেলাস হাড়। এদের প্রতিটির বিভিন্ন চেহারা এবং বৈশিষ্ট্য আছে।
| 0.5 | 2,512.04114 |
20231101.bn_315963_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC
|
হাড়
|
Educational resource materials (including animations) by the American Society for Bone and Mineral Research
| 0.5 | 2,512.04114 |
20231101.bn_34641_62
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
|
জ্যোতিষশাস্ত্র
|
পাশ্চাত্য এবং ভারতীয় জ্যোতিষের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। পাশ্চাত্য জ্যোতিষ সূর্যভিত্তিক। পাশ্চাত্য জ্যোতিষে সাধারণভাবে সূর্য্য জন্মসময়ে যে রাশিতে অবস্থান করে জাতকের সেই রাশি বলে ধরা হয়। সূর্য্যের এই অবস্থান নির্ণয়েও ভারতীয় জ্যোতিষের সঙ্গে পদ্ধতিগত পার্থক্য আছে যে বিষয় একটু পরবর্তি অনুচ্ছেদে আলোচিত হয়েছে। আলোচনার সুবিধার্থে ধরে নেওয়া যাক ২১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সূর্য্যের পাশ্চাত্যমতে মেষরাশিতে সঞ্চার হয়। তবে ২১শে মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত যাদের জন্ম তাদের রাশি পাশ্চাত্যমতে হয় মেষ। বোঝার সুবিধার্থে সুর্য্যভিত্তিক রাশিকে সূর্য্যরাশিও বলা হয়ে থাকে।
| 0.5 | 2,491.365189 |
20231101.bn_34641_63
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
|
জ্যোতিষশাস্ত্র
|
পাশ্চাত্য হিসাবে ২২শে মার্চ, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরে ভোর ৬টায় জন্ম হলে জাতকের সূর্য্যরাশি হবে মেষ, অথচ ভারতীয় মতে ঐ জাতকের সূর্য্যরাশি হবে মীন। এই পার্থক্যের রহস্য লুকিয়ে আছে অয়নাংশে। পাশ্চাত্য মতে রাশিচক্রের শুরুতে সূর্য্যের আপেক্ষিক সঞ্চার মহাবিষুব বিন্দুতে হয়। এই দিনটি ২১শে মার্চ বলে ধরা হয়। এই রাশিচক্র সায়ন রাশিচক্র বলে পরিচিত। বাস্তবে পৃথিবী নিজ অক্ষের চারিদিকে লাটিমের মত ঘোরার সময় পৃথিবীর অক্ষ শঙকুর মত ঘুরতে থাকে। এই ঘূর্ণন প্রায় ২৬০০০ বছরে একবার সম্পূর্ণ হয়। এই ঘূর্ণনের ফলে মহাবিষুব বিন্দু প্রতি বছর ৫১ সেকেন্ড পশ্চিম দিকে সরে যায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় একে অয়নচলন বলে। ভারতীয় জ্যোতিষে ব্যবহৃত নিরয়ণ রাশিচক্র শুরু হয় চিত্রা নক্ষত্রের ১৮০ অংশ (ডিগ্রি) বিপরীতে রাশিচক্রের উপর অবস্থিত স্থির বিন্দু থেকে। মহাবিষুব বিন্দু ও নিরয়ণ রশিচক্রের আরম্ভের কৌণিক দূরত্বকে অয়নাংশ বলে।
| 0.5 | 2,491.365189 |
20231101.bn_34641_64
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
|
জ্যোতিষশাস্ত্র
|
জ্যোতিষ গণনায় ভারতীয় পদ্ধতিতে চন্দ্রকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। চন্দ্র এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে অবস্থান পরিবর্তন করে আড়াই দিনে। এভাবে চন্দ্র এক মাসের মধ্যে সৌরপথের বারোটি চিহ্ন বা রাশিই অতিক্রম করে। ভারতীয় জ্যোতিষে ২৭টি নক্ষত্রপূঞ্জকেও বিবেচনা করা হয়। জ্যোতিষী কারও কোষ্ঠী নির্ণয়ে তার জন্মচিহ্ন (চন্দ্রচিহ্ন) এবং জন্মনক্ষত্র উভয়ই বিবেচনা করেন।
| 0.5 | 2,491.365189 |
20231101.bn_34641_65
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
|
জ্যোতিষশাস্ত্র
|
সাধারণভাবে, জন্মকালে পূর্বদিগন্তে যে রাশির যত অংশ উদয় হয় সেই রাশির তত অংশ জাতকের জন্মলগ্ন ধরা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরুপ, যদি জন্মকালে ধনুরাশি ৫ ডিগ্রি ২০ মিনিট উদয় হয়ে থাকে তবে জাতকের জন্মলগ্ন হবে ধনু। এই প্রকারে প্রতিদিনে জন্মসময়ের ভিত্তিতে মেষ, বৃষ, মিথুন ইত্যাদি ১২ প্রকারের লগ্ন হয়ে থাকে। জন্মলগ্নের ভিত্তিতে ১২ টি ভাবের আরম্ভ, মধ্য ও শেষ বিচার করা হয়ে থাকে। ভাগ্যফল গণনায় এই ভাবগুলিই মানুষের জীবনের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
| 0.5 | 2,491.365189 |
20231101.bn_34641_66
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
|
জ্যোতিষশাস্ত্র
|
রবি মঙ্গল শনি রাহু ও কেতু সর্বদা পাপ ফল দিয়ে থাকেন।কৃষ্ণাষ্টমী হতে শুক্লাসপ্তমী পর্যন্ত ক্ষীণ চন্দ্রও পাপ ফল প্রদান করেন।বুধ পাপ গ্রহযুক্ত হলে পাপ অন্যথায় শুভ গ্রহ বলে বিবেচিত হবে।বৃহস্পতি ও শুক্র সর্বদাই শুভফল দিয়ে থাকেন।সাধারণত পাপগ্রহ যে ঘরে বা ভাবে থাকেন সেই ভাবের অশুভ এবং শুভ গ্রহ যে ভাবে থাকেন সেই ভাবের শুভ হয়।দশমে ও একাদশে যে গ্রহই থাকুন শুভফল প্রদান করেন। ষষ্ঠস্থ অর্থাৎ শত্রুভাবস্থ শুভগ্রহ শত্রু বৃদ্ধি করেন।অনুরুপভাবে শত্রু ভাবস্থ পাপ গ্রহ ভাবের অশুভ করায় অর্থাৎ শত্রুর অশুভ করায় কার্য্যতপক্ষে জাতকেরই শুভ করেন।তৃতীয় অর্থাৎ ভাতৃভাবস্থ শুভ গ্রহ জাতকের পক্ষে অশুভ ফলপ্রদ।কিন্তু ভাতৃ পক্ষে শুভ।
| 1 | 2,491.365189 |
20231101.bn_34641_67
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
|
জ্যোতিষশাস্ত্র
|
লগ্ন চতুর্থ সপ্তম ও দশম রাশির নাম কেন্দ্র। লগ্ন নবম ও পঞ্চম রাশির নাম ত্রিকোণ।কেন্দ্রত্ব ও কোণত্ব উভয়ের বিচার ক্ষেত্রে লগ্নের কেন্দ্রত্বই প্রধান বলে বিবেচিত।কেন্দ্রস্থ শুভ গ্রহ বিশেষ শুভ ফল এবং কেন্দ্রস্থ পাপগ্রহ বিশেষ ভাবে অশুভ ফল প্রদান করেন। ষষ্ঠ অষ্টম ও দ্বাদশ স্থানের নামান্তর দুঃস্থান।দুঃস্থানে যত কম গ্রহ অবস্থান করেন ততই ভালো।
| 0.5 | 2,491.365189 |
20231101.bn_34641_68
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
|
জ্যোতিষশাস্ত্র
|
কোষ্ঠী জন্মপত্রিকা। এতে নবজাতকের জন্মসময়ে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান ও সঞ্চরণ অনুযায়ী তার সমগ্র জীবনের শুভাশুভ নির্ণয় করা হয়। এ জন্য জন্মসময়টি সঠিকভাবে নির্ণীত হওয়া প্রয়োজন, তা না হলে কোষ্ঠী গণনা সঠিক হয় না। প্রাচীনকালে বিশেষ পদ্ধতিতে এ জন্মসময় সূক্ষ্মভাবে নির্ণয় করা হতো।
| 0.5 | 2,491.365189 |
20231101.bn_34641_69
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
|
জ্যোতিষশাস্ত্র
|
কোষ্ঠী অনুযায়ী কারও ভবিষ্যৎ গণনার সময় তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা বারোটি ভাগে ভাগ করা হয়, যার নাম ‘ভাব’। বারোটি ভাব হচ্ছে তনু (শরীর), ধন, সহজ (সহোদর), বন্ধু (এবং মাতা), পুত্র (এবং বিদ্যা), রিপু (এবং রোগ), জায়া (বা স্বামী), নিধন (মৃত্যু), ধর্ম (এবং ভাগ্য), কর্ম (এবং পিতা), আয় ও ব্যয়। যে রাশিতে লগ্ন অবস্থিত সেখান থেকে তনুর বিচার শুরু হয়, তারপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ভাব গণনা করা হয়।
| 0.5 | 2,491.365189 |
20231101.bn_34641_70
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
|
জ্যোতিষশাস্ত্র
|
গ্রহ তখন খুব খুশি! ঠিক যেন আপনাকে একটা সুন্দর গাড়ি গিফট করা হোলো এবং তার সঙ্গে একজন ড্রাইভার ও দেওয়া হোলো. ভাবুন তো কি সুখ !
| 0.5 | 2,491.365189 |
20231101.bn_94697_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE
|
শিলা
|
শিলাসমূহকে কিছু বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয় যেমনঃ খনিজ ও রাসায়নিক গঠন, ভেদ্যতা, উপাদানের গঠনবিন্যাস এবং কণার আকৃতি। এই বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগুলি শিলা গঠন প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয়। শিলা চক্র নামক ভূতাত্ত্বিক একটি মডেল অনুসারে, অনেক সময় পর পর এক প্রকার শিলা অন্য প্রকার শিলাতে রূপান্তরিত হয়। এই রূপান্তরের ফলে শিলার তিনটি সাধারণ শ্রেণি দেখা দেয়ঃ আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত শিলা।
| 0.5 | 2,475.611502 |
20231101.bn_94697_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE
|
শিলা
|
এই তিনটি শ্রেণি আবার অনেক ধরনের উপশ্রেণিতে বিভক্ত। যা হোক, শিলাসমূহের রূপান্তরের পেছনে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না। তাদের মধ্যে উপস্থিত খনিজ দ্রব্যের অনুপাতের বৃদ্ধি বা হ্রাসের দ্বারা তারা এক শ্রেণি হতে অন্য শ্রেণির শিলায় ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হয়। যার ফলে হয়ত স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কোনো শিলাকে সহজেই শনাক্ত করা যায় অন্য শ্রেণির শিলার খনিজ দ্রব্যের সাথে তুলনা করে। এজন্য যে শিলার শ্রেণিগুলোর নামকরণ করা হয় সে শিলাগুলোর প্রত্যেকেই আসলে অন্য শিলাতে পরিবর্তনশীল।
| 0.5 | 2,475.611502 |
20231101.bn_94697_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE
|
শিলা
|
আগ্নেয় নামটি লাতিন শব্দ "ইগ্নিয়াস" থেকে এসেছে যার অর্থ হচ্ছে আগুন। আগ্নেয় শিলা উৎপন্ন হয় লাভা শীতল ও শক্ত হওয়ার কারণে। এই লাভা উৎপন্ন হয় পৃথিবীর গহ্বর কিংবা ক্রাস্টের আংশিক গলিত বিদ্যমান পাথরের কারণে। সাধারণত তাপমাত্রা বৃদ্ধি, চাপ হ্রাস ও গাঠনিক পরিবর্তন, এই তিনটি কারণের একটি অথবা তিনটির কারণেই পাথর গলন শুরু হয়।
| 0.5 | 2,475.611502 |
20231101.bn_94697_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE
|
শিলা
|
১. অনুপ্রবেশিত শিলাঃ এটি তখন উৎপন্ন হয় যখন লাভা শিলাটির ভেতরে অনুপ্রবেশ করে এবং এর ফলে পৃথিবী ক্রাস্টে লাভা (ম্যাগমা) শীতল ও কেলাসিত হয়। অনুপ্রবেশিত বা প্লুটোনিক শিলার একটি উদাহরণ হলো গ্রানাইট।
| 0.5 | 2,475.611502 |
20231101.bn_94697_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE
|
শিলা
|
২. অগ্নুৎপাত বা বাহ্যিক শিলাঃ আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে লাভা বা ফ্র্যাগমেন্টাল ইজেক্টা যখন পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করে তখন সেখান থেকে শিলা উৎপন্ন হয়। এটি বাহ্যিক শিলা নামের পরিচিত যার উদাহরণ হলো পিউমিস ও ব্যাসাল্ট শিলা।
| 1 | 2,475.611502 |
20231101.bn_94697_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE
|
শিলা
|
রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ ও লাভার শীতল হওয়ার হার একটি ক্রম তৈরি করে যা বোয়েনের বিক্রিয়া সিরিজ নামে পরিচিত। অধিকাংশ আগ্নেয় শিলার কেলাসিত হওয়ার ক্রম উক্ত সিরিজটিকে অনুসরণ করে।
| 0.5 | 2,475.611502 |
20231101.bn_94697_11
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE
|
শিলা
|
পৃথিবীর ক্রাস্টের আয়তনের প্রায় ৬৫% আগ্নেয় শিলা দিয়ে তৈরি, যার ফলে সর্বোচ্চ প্রাচুর্যতাপূর্ণ শ্রেণি হিসেবে বিবেচিত। এদের মধ্যে ৬৬% ব্যাসাল্ট ও গ্যাব্রো, ১৬% গ্রানাইট, ১৭% গ্র্যানোডিউরাইট এবং ডিউরাইট। শুধু ০.৬% হচ্ছে সায়নাইট ও ০.৩% হলো আল্ট্রামাফিক। সামুদ্রিক ক্রাস্টের ৯৯%ই ব্যাসাল্ট যা মূলত মাফিক (ম্যাগ্নেসিয়াম ও আয়রন সমৃদ্ধ শিলা) সমৃদ্ধ আগ্নেয় শিলা। কন্টিনেটাল ক্রাস্টের বেশিরভাগ অঞ্চল জুড়ে থাকে গ্রানাইট ও গ্রানাইট জাতীয় শিলা বা গ্রানিটোইডস দ্বারা।
| 0.5 | 2,475.611502 |
20231101.bn_94697_12
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE
|
শিলা
|
পাললিক শিলা পৃথিবী পৃষ্ঠে তৈরি হয় পাথর, খনিজ ও মৃত জীব না উদ্ভিদদেহের টুকরার সিমেন্টেশন ও জমাট প্রক্রিয়ার দরুন কিংবা পানিতে রাসায়নিক পদার্থ ও জৈব দ্রব্য পতিত এবং বৃদ্ধি হওয়ার ফলে যাকে সেডিমেন্টেশন বলা হয়। এই প্রক্রিয়ার ফলে পাথরের টুকরা তৈরি হয় কিংবা জৈব কণাগুলো একত্র হয়ে জমাট বাঁধে এবং এই প্রক্রিয়ার ফলে খনিজ দ্রব্য দ্রবণ থেকে বাষ্পীভূত হয়ে যায়। এরপরে কণাগুলো স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও চাপে সিমেন্টেশন প্রক্রিয়া অতিক্রম করে।
| 0.5 | 2,475.611502 |
20231101.bn_94697_13
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE
|
শিলা
|
পলি/পললসমূহ (সেডিমেন্ট) জমা হওয়ার পূর্বে, পলিসমূহ পাথরের ওয়েদারিং ও ভাঙ্গনের ফলে গঠিত হয় এবং পানি, বায়ু, বরফ, ও যথেষ্ট ঘনত্ববিশিষ্ট বরফ গ্ল্যাসিয়ার এর চলাচলের কারণে জমাট বাঁধার স্থানে গমন করে। আয়তনের দিক থেকে, ক্রাস্টের ৭.৯% তৈরি হয় পাললিক শিলা দ্বারা, ৮২% শতাংশ থাকে শ্লেটজাতীয় নরম শিলা এবং বাকি অংশ চুনাপাথর, বেলেপাথর ও এক প্রকার পাললিক শিলা আর্কোজ দ্বারা পূর্ণ থাকে। কিছু কিছু পাললিক শিলার ভেতরে ফসিল পাওয়া যায়। পাললিক শিলা গঠন হয় অভিকর্ষের প্রভাবে ও সাধারণত স্ট্রাটাম এর অনুভূমিক স্তরের কাছে জমাট বাঁধে। এদেরকে হয়ত এজন্যই কখনো কখনো স্ট্র্যাটিফাইড রক বলা হয়।
| 0.5 | 2,475.611502 |
20231101.bn_9216_0
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8
|
সুইডেন
|
সুইডেন ( স্ভেরিয়ে) ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম স্টকহোম৷ সুয়েডীয় সুইডেনের রাষ্ট্রভাষা৷ রাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বদিকে রয়েছে ফিনল্যান্ড, পশ্চিমদিকে নরওয়ে ও দক্ষিণ-পশ্চিমদিকে ওরেসুন্দ সেতু (Øresundsbron ও্যরেসুন্দ্স্ব্রুন্), যেটা দিয়ে ডেনমার্ক যাওয়া যায়। সুইডেন স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশেগুলোর বৃহত্তম রাষ্ট্র।
| 0.5 | 2,468.626035 |
20231101.bn_9216_1
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8
|
সুইডেন
|
সুইডেনের আয়তন ৪,৫০,২৯৫ বর্গকিলোমিটার (১৭৩,৮৬০ বর্গ মাইল)। এটি ইউরোপের তৃতীয় সর্ববৃহৎ দেশ। মাত্র ৯৫ লক্ষ জনসংখ্যা নিয়ে সুইডেন ইউরোপের অন্যতম কম জনসংখ্যার ঘনত্বপূর্ণ অঞ্চল। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ২১ জন মানুষ বসবাস করে। সুইডেনের জনসংখ্যার প্রায় ৮৫% শহরকেন্দ্রিক এবং দেশের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত শহরসমূহে বসবাস করে। সুইডেনের সর্ববৃহৎ শহর এবং রাজধানী হল স্টকহোম। ঊনবিংশ শতক থেকেই সুইডেন একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান বজায় রেখেছে এবং কোন প্রকার যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত থেকেছে।
| 0.5 | 2,468.626035 |
20231101.bn_9216_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8
|
সুইডেন
|
সুইডেন একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফ রাষ্ট্রপ্রধান। তবে বহুদিন ধরেই রাজার ক্ষমতা কেবল আনুষ্ঠানিক কাজ-কর্মেই সীমাবদ্ধ। ইকনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট তাদের গণতন্ত্র সূচকে সুইডেনকে ১৬৭টি দেশের মধ্যে সবার উপরে রেখেছে। সুইডেনের আইনসভার নাম রিক্সদাগ, যার সদস্যসংখ্যা ৩৪৯। আইনসভার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন। প্রতি চার বছর অন্তর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় রবিবারে আইনসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স ২০০৭ সালে প্রকাশিত বিশ্ব সাংবাদিক স্বাধীনতা সূচকে সুইডেনকে ১৬৯টি দেশের মধ্যে ৫ম স্থান দেয়।
| 0.5 | 2,468.626035 |
20231101.bn_9216_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8
|
সুইডেন
|
'ভেনিস অব দ্য নর্থ' বলা হয় সুইডেনের স্টকহোমকে। ইউরোপের স'মিল বলা হয় সুইডেনকে। পৃথিবীর প্রথম কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সুইডেন।
| 0.5 | 2,468.626035 |
20231101.bn_9216_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8
|
সুইডেন
|
সুইডেনের মোট জনসংখ্যা ৯,৪১৫,২৯৫ (২০১১ জনগণণা অনুসারে) এবং জনঘনত্ব ২০.৬ জন প্রতি বর্গকিলোমিটারে (অর্থাৎ ৫৩.৮ জন প্রতি বর্গমাইলে)।
| 1 | 2,468.626035 |
20231101.bn_9216_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8
|
সুইডেন
|
সুইডেনে অগাস্ট স্ট্রিন্ডবার্গ, অ্যাস্ট্রিড লিন্ডগ্রেন এবং নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সেলমা লেগারলফ এবং হ্যারি মার্টিনসন সহ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতির অনেক লেখক রয়েছে।
| 0.5 | 2,468.626035 |
20231101.bn_9216_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8
|
সুইডেন
|
সাহিত্যে মোট সাতটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছে সুইডিশরা। দেশের সবচেয়ে সুপরিচিত শিল্পী হলেন চিত্রশিল্পী যেমন কার্ল লারসন এবং অ্যান্ডার্স জর্ন এবং ভাস্কর টোবিয়াস সার্গেল এবং কার্ল মিলস।
| 0.5 | 2,468.626035 |
20231101.bn_9216_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8
|
সুইডেন
|
সুইডিশ ২০ শতকের সংস্কৃতি সিনেমার প্রথম দিকের অগ্রণী কাজের দ্বারা উল্লেখ করা হয়েছে, মরিটজ স্টিলার এবং ভিক্টর সজোস্ট্রোম। ১৯২০-১৯৮০-এর দশকে, চলচ্চিত্র নির্মাতা ইংমার বার্গম্যান এবং অভিনেতা গ্রেটা গার্বো এবং ইনগ্রিড বার্গম্যান সিনেমার মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।
| 0.5 | 2,468.626035 |
20231101.bn_9216_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8
|
সুইডেন
|
অতি সম্প্রতি, লুকাস মুডিসন, ল্যাসে হলস্ট্রোম এবং রুবেন ওস্টলন্ডের চলচ্চিত্রগুলি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।
| 0.5 | 2,468.626035 |
20231101.bn_10655_0
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8
|
ভারতরত্ন
|
ভারতরত্ন (, ; ভারতের রত্ন) হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা। ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি এই সম্মান চালু হয়। জাতি, পেশা, পদমর্যাদা বা লিঙ্গ নির্বিশেষে "সর্বোচ্চ স্তরের ব্যতিক্রমী সেবা/কার্যের স্বীকৃতি স্বরূপ" এই সম্মান প্রদান করা হয়। প্রথম দিকে এই সম্মান কেবলমাত্র শিল্পকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও জনসেবায় বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারীদেরই দেওয়া হত। কিন্তু ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারত সরকার এই সম্মান প্রাপ্তির ক্ষেত্রে "মানবিক কৃতিত্বের যে কোনো ক্ষেত্র" নামে আরো একটি শর্ত যুক্ত করে। যাকে ভারতরত্ন প্রদান করা হয় তার নাম ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করেন। বছরে সর্বোচ্চ তিন জনকে ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয়। প্রাপক ভারতের রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর-সংবলিত একটি সনদ (প্রশংসাপত্র) এবং অশ্বত্থ পাতার আকৃতি-বিশিষ্ট একটি পদক পান। এই সম্মানের সঙ্গে কোনো অর্থমূল্য দেওয়া হয় না। ভারতীয় পদমর্যাদা ক্রমে ভারতরত্ন প্রাপকদের স্থান সপ্তম। তবে এই সম্মানের নাম উপাধি হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা আছে।
| 0.5 | 2,467.309761 |
20231101.bn_10655_1
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8
|
ভারতরত্ন
|
১৯৫৪ সালে রাজনীতিবিদ চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী, দার্শনিক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন ও বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন ভারতরত্ন সম্মান পান। তারাই ছিলেন এই সম্মানের প্রথম প্রাপক। তারপর থেকে ৪৫ জন ব্যক্তি এই সম্মান পেয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জনকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের ব্যবস্থা না থাকলেও ১৯৫৫ সালের জানুয়ারি মাসে নিয়ম পরিবর্তন করা হয়। ১৯৬৬ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী প্রথম মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান পান। ২০১৩ সালে ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর ৪০ বছর বয়সে ভারতরত্ন সম্মান পান। তিনিই কনিষ্ঠতম ভারতরত্ন প্রাপক। অন্যদিকে ধোন্দো কেশব কার্ভেকে তার ১০০তম জন্মদিনে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হয়। সাধারণত ভারতীয় নাগরিকদের এই সম্মান দেওয়া হয়ে থাকে। তবে ১৯৮০ সালে বিদেশি-বংশোদ্ভূত ভারতীয় নাগরিক মাদার টেরেসা ভারতরত্ন সম্মান পান। এছাড়া দু-জন বিদেশি নাগরিককেও ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয়েছিল। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানি নাগরিক খান আবদুল গফফর খান এবং ১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা ভারতরত্ন সম্মান পান। ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভারত সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামী মদনমোহন মালব্য (মরণোত্তর) ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে এই সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
| 0.5 | 2,467.309761 |
20231101.bn_10655_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8
|
ভারতরত্ন
|
১৯৭৭ সালের জুলাই মাস থেকে ১৯৮০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারতের প্রথম অকংগ্রেসী কেন্দ্রীয় সরকার অন্যান্য ব্যক্তিগত বেসামরিক সম্মাননার সঙ্গে ভারতরত্ন সম্মানও রদ করেছিল। এরপর ১৯৯২ সালের আগস্ট থেকে ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই সম্মানের সাংবিধানিক বৈধতা-সংক্রান্ত কয়েকটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় বার এই সম্মান প্রদান বন্ধ ছিল। ১৯৯২ সালে সরকার সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করতে চাইলে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক থাকায়, এই সম্মানের সঙ্গে মরণোত্তর শব্দটি যুক্ত করায় সমালোচিত হয় এবং সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবার এই সম্মান গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। ১৯৯৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি সিদ্ধান্তের পর প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুভাষচন্দ্র বসুর সম্মাননা প্রদান বাতিল করা হয়। এই একবারই সম্মাননা ঘোষণার পর সেটি বাতিল করা হয়েছিল।
| 0.5 | 2,467.309761 |
20231101.bn_10655_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8
|
ভারতরত্ন
|
এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তির পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয় সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ও ইন্দিরা গান্ধী যথাক্রমে ১৯৫৫ এবং ১৯৭১ সালে মনোনীত হওয়ায় সমালোচিত হয়েছেন। কে কামারাজ (১৯৭৬) এবং এম জি রামচন্দ্রনের (১৯৮৮) মরণোত্তর পুরস্কার অর্জন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারণার লক্ষ্যে হয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়েছিল। বল্লভভাই পটেল (১৯৯১) ও মদনমোহন মালব্যের (২০১৫) মরণোত্তর পুরস্কার অর্জনও সমালোচিত হয়েছিল।
| 0.5 | 2,467.309761 |
20231101.bn_10655_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8
|
ভারতরত্ন
|
১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের রাষ্ট্রপতির সচিবের কার্যালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দুটি বেসামরিক সম্মাননা চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়। এই সম্মাননা দুটি ছিল সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্ন এবং ত্রিস্তরীয় পদ্মবিভূষণ ("প্রথম বর্গ", "দ্বিতীয় বর্গ" ও "তৃতীয় বর্গ" নামে শ্রেণিবদ্ধ)। উল্লেখ্য, পদ্মবিভূষণ সম্মাননার স্থান ছিল ভারতরত্নের নিচে। ১৯৫৫ সালের ১৫ জানুয়ারি পদ্মবিভূষণ সম্মাননাটিকে পুনরায় তিনটি সম্মাননায় বিভক্ত করা হয়। এগুলি হল: পদ্মবিভূষণ (তিনটি সম্মাননার মধ্যে সর্বোচ্চ), পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী।
| 1 | 2,467.309761 |
20231101.bn_10655_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8
|
ভারতরত্ন
|
ভারতরত্ন সম্মাননার প্রাপককে ভারতীয় হতেই হবে – এমন কোনো নিয়ম নেই। বিদেশি বংশোদ্ভুত ভারতীয় নাগরিক মাদার টেরেসা ১৯৮০ সালে ভারতরত্ন সম্মাননা পেয়েছিলেন। এছাড়া দু-জন বিদেশি নাগরিকও ভারতরত্ন সম্মান পান। পাকিস্তানি নাগরিক খান আবদুল গফফর খান ১৯৮৭ সালে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৯০ সালে ভারতরত্ন পেয়েছিলেন। শচীন তেন্ডুলকর ৪০ বছর বয়সে ভারতরত্ন সম্মান পান; তিনিই এই সম্মাননার কনিষ্ঠতম প্রাপক। ১৯৫৮ সালের ১৮ এপ্রিল ধোন্দো কেশব কার্ভেকে তার ১০০তম জন্মদিনে ভারতরত্ন সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোট ৪৫ জনকে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান পেয়েছেন।
| 0.5 | 2,467.309761 |
20231101.bn_10655_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8
|
ভারতরত্ন
|
ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান ইতিহাসে দু-বার রদ করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে মোরারজি দেসাই ভারতের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রথম বার ভারতরত্ন রদ করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালের ১৩ জুলাই তার সরকার সবকটি অসামরিক সম্মাননা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ১৯৮০ সালের ২৫ জানুয়ারি ইন্দিরা গান্ধী পুনরায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে এই সম্মাননা আবার চালু হয়। ১৯৯২ সালের মধ্যভাগে দুটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অসামরিক সম্মাননাগুলি আবার রদ হয়েছিল। উক্ত মামলা দুটির একটি কেরল হাইকোর্টে এবং অপরটি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলা দুটিতে সম্মাননাগুলির "সাংবিধানিক যৌক্তিকতা" নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরিসমাপ্তির পর আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আবার এই সম্মাননাগুলি চালু করা হয়।
| 0.5 | 2,467.309761 |
20231101.bn_10655_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8
|
ভারতরত্ন
|
ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয় "সর্বোচ্চ স্তরের ব্যতিক্রমী সেবা/কার্যের স্বীকৃতি স্বরূপ।" ১৯৫৪ সালের নিয়ম অনুসারে, শুধুমাত্র শিল্পকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সমাজ সেবার ক্ষেত্রেই এই সম্মান প্রদান করা হত। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে নিয়ম পরিবর্তন করে "মানবিক প্রচেষ্টার যে কোনো ক্ষেত্রে" এই সম্মান প্রদানের নিয়ম প্রবর্তিত হয়। ১৯৫৪ সালের নিয়মে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু ১৯৫৫ সালের জানুয়ারি মাসে সেই নিয়ম পরিবর্তন করে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের ব্যবস্থা চালু হয়। ১৯৬৬ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকে প্রথম মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করা হয়।
| 0.5 | 2,467.309761 |
20231101.bn_10655_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8
|
ভারতরত্ন
|
ভারতরত্ন সম্মান প্রদানের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পদ্ধতি নেই। তবে কেবল ভারতের প্রধানমন্ত্রীই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাপকের নাম সুপারিশ করতে পারেন। বছরে সর্বাধিক তিন জনের নাম সুপারিশ করা যায়। যদিও ১৯৯৯ সালে চার জনকে এই সম্মান প্রদান করা হয়েছিল। ভারতরত্ন প্রাপক রাষ্ট্রপতির সাক্ষর-সংবলিত একটি "সনদ" (শংসাপত্র) এবং একটি পদক পান। এই সম্মানের সঙ্গে কোনো অর্থমূল্য প্রদান করা হয় না। ভারতের সংবিধানের ১৮ (১) ধারা অনুসারে, যিনি ভারতরত্ন সম্মান পান, তিনি এই সম্মানটিকে উপাধির আকারে তার নামের আগে বা পরে ব্যবহার করতে পারেন না। তবে তিনি যে ভারতরত্ন সম্মান পেয়েছেন, সেটি প্রকাশ করার জন্য "রাষ্ট্রপতি-কর্তৃক ভারতরত্ন সম্মাননা প্রাপ্ত" বা "ভারতরত্ন প্রাপক" জাতীয় শব্দবন্ধ ব্যবহার করতে পারেন। ভারতীয় পদমর্যাদা ক্রমে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রাপকের স্থান ৭ম।
| 0.5 | 2,467.309761 |
20231101.bn_82827_1
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5
|
জগন্নাথ
|
জগন্নাথের মূর্তি সাধারণত কাঠে তৈরি করা হয়। 'নিম্ব বৃক্ষ' বা নিম গাছের কাঠ দ্বারা জগন্নাথদেবের প্রধান বিগ্রহগুলো (জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা) নির্মিত। এই মূর্তির চোখদুটি বড়ো বড়ো ও গোলাকার। হাত অসম্পূর্ণ। মূর্তিতে কোনো পা দেখা যায় না। বিগ্রহে অসম্পূর্ণ হাত ও পায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে নানা ধরনের মতবাদ এবং পবিত্র বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে। জগন্নাথের পূজাপদ্ধতিও অন্যান্য হিন্দু দেবতাদের পূজাপদ্ধতির চেয়ে আলাদা। ওড়িশা রাজ্যের পুরী শহরে জগন্নাথের প্রধান মন্দিরটি অবস্থিত। এই মন্দির হিন্দুধর্মের চারধামের অন্যতম।
| 0.5 | 2,461.944613 |
20231101.bn_82827_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5
|
জগন্নাথ
|
বেদে জগন্নাথের সুস্পষ্ট উল্লেখ নেই। তিনি দশাবতার অথবা বৈদিক হিন্দু দেবমণ্ডলীর সদস্যও নন। অবশ্য কোনো কোনো ওড়িয়া গ্রন্থে জগন্নাথকে বিষ্ণুর নবম অবতার রূপে বুদ্ধের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। বিষ্ণুর রূপভেদ হিসেবে জগন্নাথ এক অসাম্প্রদায়িক দেবতা। তাকে এককভাবে হিন্দুধর্মের কোনো একটি সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত করা যায় না। বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, স্মার্ত সকল শাখার অনুগামীরাই জগন্নাথকে পূজা করেন। এমনকি বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মসম্প্রদায়ের সঙ্গেও জগন্নাথের যোগ দেখানো হয়।
| 0.5 | 2,461.944613 |
20231101.bn_82827_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5
|
জগন্নাথ
|
জগন্নাথের সবচেয়ে বিখ্যাত উৎসবটি হল রথযাত্রা। এই উৎসবের সময় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি মূল মন্দিরের (বড় দেউল) গর্ভগৃহ থেকে বের করে এনে কাঠের তৈরি তিনটি বিরাট রথে করে প্রায় দূরে গুণ্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভক্তরাই এই রথগুলো টেনে নিয়ে যান। যেখানেই জগন্নাথ মন্দির আছে, সেখানেই এই ধরনের রথযাত্রা আয়োজিত হয়।
| 0.5 | 2,461.944613 |
20231101.bn_82827_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5
|
জগন্নাথ
|
"জগন্নাথ" কথাটি তৎপুরুষ সমাস। এটি "জগৎ" (যার মূল ধাতু "গম্", অর্থাৎ "[যা কিছু] চলে") এবং "নাথ" (অর্থাৎ, প্রভু বা আশ্রয়) শব্দটির সংমিশ্রণে গঠিত। অর্থাৎ, "জগন্নাথ" শব্দের অর্থ "যিনি চলমান জগতের আশ্রয় বা প্রভু"। ওড়িয়া ভাষায় "জগন্নাথ" নাম থেকে উৎপন্ন "জগা" বা "জগবন্ধু" শব্দদুটিরও প্রচলন লক্ষ করা হয়। এছাড়া জগন্নাথের মূর্তির গড়ন অনুসারে তার "কাল্য" (অর্থাৎ, "কালো দেবতা" বা "কালের দেবতা"), "দারুব্রহ্ম" (অর্থাৎ, কাষ্ঠরূপী ব্রহ্ম), "দারুদেবতা" (অর্থাৎ, কাঠের দেবতা), "চকাআঁখি", "চকাডোলা বা "চকানয়ন" (অর্থাৎ, যে দেবতার চোখ গোলাকার) নামও প্রচলিত।
| 0.5 | 2,461.944613 |
20231101.bn_82827_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5
|
জগন্নাথ
|
কোনো কোনো গবেষকের মতে, "জগন্নাথ" শব্দটি কোনো সংস্কৃতায়িত আদিবাসী শব্দ। এই গবেষকেরা জগন্নাথকে মূলত আদিবাসী দেবতা মনে করেন। ওড়িশার আদিম আদিবাসী শবর ছিল বৃক্ষ-উপাসক। তারা তাদের দেবতাকে বলত "জগনাত"। সম্ভবত, এই শব্দটি থেকে "জগন্নাথ" শব্দটি এসেছে। যদিও এই সব মতবাদ সর্বজনসম্মত নয়। কিন্তূ ওড়িয়া গ্রন্থ নীলাদ্রি মহোদয় গ্রন্থে এই সম্পর্কে অনেকটা ধারণা পাওয়া যায় । "দৈতাপতি" নামে পরিচিত একটি অব্রাহ্মণ শ্রেণীকে নীলমাধবের পরম ভক্ত বিশ্বাবসুর (শবর উপজাতির রাজা)বংশধর হিসাবে মেনে নেয়া হয় ,যার অনেক প্রমাণ আছে । তারা পুরীর মন্দিরের কয়েকটি প্রধান দায়িত্ব পালন করেন (গুন্ডিচা যাত্রা, নবকলেবর, সপ্তাভরণ, শ্রীঅঙ্গ সেবা ইত্যাদি এবং ঈশ্বরের পরিবার নামে পরিচিত হন। আর বিদ্যাপতির বংশধরেরা পতি মহাপাত্র হিসেবে পরিচিত, রথযাত্রা ও নবকলেবরে ইনাদের ও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
| 1 | 2,461.944613 |
20231101.bn_82827_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5
|
জগন্নাথ
|
হিন্দুদের কোনো কোনো সম্প্রদায় জগন্নাথকে বিষ্ণুর অবতার মনে করে। আবার কোনো কোনো সম্প্রদায়ে তাকে সকল অবতারের উৎস বিষ্ণু মনে করা হয়। মনে করা হয়, অবতারেরা সকল জাগতিক সৃষ্টির কারণ জগন্নাথের থেকে উৎসারিত। তাই রাম, কৃষ্ণ প্রমুখ অবতারের মতো জগন্নাথের কোনো জীবনবৃত্তান্ত বা লীলা নেই।
| 0.5 | 2,461.944613 |
20231101.bn_82827_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5
|
জগন্নাথ
|
"সরল দাসের মতে, বিষ্ণুর (জগন্নাথ) সকল অবতার তাঁর থেকেই উৎসারিত এবং তাঁদের লীলা অবসানের পর জগন্নাথেই বিলীন হয়ে যান। প্রতাপরুদ্র দেবের আমলে ওড়িয়া কবিরা এই ধারণা গ্রহণ করে তাঁদের বইতেই এই মতবাদ প্রচার করতেন। তাঁদের মতে, জগন্নাথ শূন্য পুরুষ, নিরাকার ও নিরঞ্জন। নীলাচলে লীলার জন্য তিনি সর্বদা উপস্থিত থাকেন;...
| 0.5 | 2,461.944613 |
20231101.bn_82827_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5
|
জগন্নাথ
|
প্রতাপরুদ্র দেবের আমলে ওড়িশার পাঁচটি বৈষ্ণব শাখা তাঁদের ধর্মগ্রন্থে জগন্নাথকে (পুরুষোত্তম) পূর্ণব্রহ্মরূপে প্রচার করেন। তাঁরাও বলেছেন, জগন্নাথের থেকেই রাম, কৃষ্ণ প্রমুখ অবতারেরা উৎসারিত হয়ে জগতে লীলা করেছেন এবং লীলার অন্তে পূর্ণব্রহ্মে লীন হয়েছেন।
| 0.5 | 2,461.944613 |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.