_id
stringlengths 17
22
| url
stringlengths 42
314
| title
stringlengths 2
36
| text
stringlengths 100
5.1k
| score
float64 0.5
1
| views
float64 23
11.1k
|
---|---|---|---|---|---|
20231101.bn_7368_17
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%81
|
পরমাণু
|
তিনি বলেন যে, নিউক্লিয়াসের চারপাশে কয়েকটি অনুমোদিত পথে ইলেকট্রন ঘুরছে এবং তিনি সর্বপ্রথম বর্ণালী সম্পর্কে ধারণা দেন।
| 0.5 | 4,423.8288 |
20231101.bn_7368_18
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%81
|
পরমাণু
|
কোন পরমাণুর নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্ট্রন ঐ পরমাণুর বিভিন্ন শক্তিস্তরের অন্তর্ভুক্ত নির্দিষ্ট উপশক্তিস্তরের বিভিন্ন অরবিটালে নির্দিষ্ট নিয়মে সজ্জিত থাকে, ইলেক্ট্রনের এই সজ্জাকে পরমাণুর ইলেক্ট্রন বিন্যাস বলে। ইলেক্ট্রন বিন্যাস পলির বর্জন নীতি, আউফবাউ নীতি ও হুন্ডের নিয়ম দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়।
| 0.5 | 4,423.8288 |
20231101.bn_7368_19
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%81
|
পরমাণু
|
একটি পরামাণুতে দুটি ইলেক্ট্রনের (সাধারণভাবে দুটি ফার্মিয়ন এর) চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনও একই হতে পারে না। অন্ততপক্ষে একটির মান দুটি ইলেক্ট্রনের বেলায় ভিন্ন হতে হয়।
| 0.5 | 4,423.8288 |
20231101.bn_7368_20
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%81
|
পরমাণু
|
পরমাণুতে ইলেক্ট্রনসমূহ বিভিন্ন শক্তিস্তর দখলের সময় প্রথমে সবচেয়ে কম শক্তিসম্পন্ন স্তরে অবস্থান গ্রহণ করবে, নিম্ন শক্তিস্তর পূর্ণ হওয়ার পর পরবর্তী অপেক্ষাকৃত উচ্চতর শক্তি সম্পন্ন স্তরে গমন করবে। কোন স্তরের শক্তির মান নির্ভর করবে (n+l) এর মানের উপর।যেখানে n হলো কক্ষপথ নম্বর এবং l হলো অরবিটালের সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা।
| 0.5 | 4,423.8288 |
20231101.bn_116885_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
|
ছোটগল্প
|
বাংলা ছোটগল্প ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোনার তরী' কাব্যের যে 'বর্ষাযাপন' কবিতাটি প্রায়শই উদ্ধৃত হয়ে থাকে তা নিম্নরূপ:
| 0.5 | 4,418.87024 |
20231101.bn_116885_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
|
ছোটগল্প
|
এই পদ্যখণ্ডে ছোটগল্পের যে সকল গুণাগুণ বর্ণনা করা হয়েছে তা বহু ছোটগল্পের ক্ষেত্রেই প্রাসঙ্গিক। কিন্তু এটিই এর সার্বিক গুণবিচারের মাপকাঠি নয়। এ সকল গুণাগুণের অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য সমন্বিত ছোটগল্প প্রায়শই লিখিত হয়ে থাকে। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে ছোটগল্প এমন হতে হবে যে "শেষ হইয়াও হইল না শেষ", অর্থাৎ গল্প শেষ হয়ে গেলেও যাতে রেশ থেকে যায়।
| 0.5 | 4,418.87024 |
20231101.bn_116885_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
|
ছোটগল্প
|
গল্পগুচ্ছ নামীয় গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে সকল ছোটগল্প সংকলিত সেগুলো বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোটগল্প হিসাবে অদ্যাবধি চিহ্নিত এবং বহুল পঠিত। বাংলা ছোটগল্পের সার্থক স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ। তার 'ঘাটের কথা' ছোটগল্পটি বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ছোটগল্পের স্বীকৃতি পেয়েছে। অতঃপর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, বনফুল, (বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়), বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়, সুবোধ ঘোষ, নরেন্দ্রনাথ মিত্র, আশাপূর্ণা দেবী, জগদীশ গুপ্ত, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী, মনোজ বসু, হুমায়ূন আহমেদ, শিবরাম চক্রবর্তী প্রমুখের রচনানৈপুণ্যে বাংলা ছোটগল্প নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে।
| 0.5 | 4,418.87024 |
20231101.bn_116885_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
|
ছোটগল্প
|
প্রেমবিষয়ক : এসব গল্পে প্রেম ও রোমান্স প্রাধান্য পায়। যেমনঃ ইভান তুর্গেনেভের The Distruct Doctor; বঙ্কিমচন্দ্রের রাধারাণী; রবীন্দ্রনাথের নষ্টনীড়, একরাত্রি; মানিকের সর্পিল শিউলিমালা [নজরুল] ইত্যাদি।
| 0.5 | 4,418.87024 |
20231101.bn_116885_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
|
ছোটগল্প
|
সামাজিক : সামাজিক প্রতিবেশ ও বিশেষ সমাজের রূপায়ণ ফুটে ওঠে এসব গল্পে। যেমনঃ রবীন্দ্রনাথের পোস্টমাস্টার, তারাশঙ্করের পিতাপুত্র প্রভৃতি।
| 1 | 4,418.87024 |
20231101.bn_116885_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
|
ছোটগল্প
|
প্রকৃতি ও মানুষ : এসব গল্পে সাধারণতঃ প্রকৃতির পটভূমিতে চরিত্রাঙ্কন করা হয়। উদাহরণস্বরূপঃ রবীন্দ্রনাথের তারাপদ, মনোজ বসুর বনমর্মর।
| 0.5 | 4,418.87024 |
20231101.bn_116885_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
|
ছোটগল্প
|
অতিপ্রাকৃত : এ ধরনের গল্পে অতিপ্রাকৃত-ভাব বা রহস্য-আচ্ছন্নতা লক্ষ করা যায়। উদাহরণঃ রবীন্দ্রনাথের নিশীথে, ক্ষুধিতপাষাণ, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মর্কট।
| 0.5 | 4,418.87024 |
20231101.bn_116885_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
|
ছোটগল্প
|
হাস্যরসাত্মক : হাস্যরস ও নিখাঁদ বিনোদনদানই এই গল্পগুলোতে প্রাধান্য পায়। যেমনঃ রবীন্দ্রনাথের অধ্যাপক, রাজশেখর বসুর খোকার কাণ্ড, বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের কায়ার কল্প, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের অন্যমনস্ক চোর।
| 0.5 | 4,418.87024 |
20231101.bn_116885_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
|
ছোটগল্প
|
উদ্ভট : এই গল্পগুলোতে অসম্ভব বা অবাস্তব কাহিনী বর্ণিত হয়। উদাহরণ: বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের নারায়ণী সেনা, কেদার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভগবতীর পলায়ন ইত্যাদি।
| 0.5 | 4,418.87024 |
20231101.bn_1143_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ইতিহাস
|
ইংরেজি "হিস্টরি" (History) শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে "ইতিহাস" শব্দটি এসেছে। ইংরেজি History শব্দটি এসেছে গ্রিক ও লাতিন শব্দ ἱστορία - Historia থেকে, যার অর্থ সত্যানুসন্ধান বা গবেষণা। ইতিহাসের জনক হিসেবে খ্যাত গ্রিসের হেরোডোটাস তাঁর গ্রিক ও পারসিকদের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষের ঘটনাসম্বলিত গ্রন্থের নামকরণ করেন Historia (যার ইংরেজি অনুবাদ করা হয়েছে "Histories")। মূলত ঘটনার অনুসন্ধান অর্থে হেরোডোটাস Historia শব্দটি ব্যবহার করেন।
| 0.5 | 4,401.028913 |
20231101.bn_1143_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ইতিহাস
|
বাংলা ভাষায় "ইতিহাস" শব্দটি এসেছে ‘ইতিহ’ শব্দমূল থেকে, যার অর্থ ঐতিহ্য। এটি হলো একটি তৎসম শব্দ, অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত। ইতিহাস শব্দটির রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়- ইতহ + √অস্ + অ – যার অর্থ হলো "এমনটিই ছিল বা এমনটিই ঘটেছিল।"
| 0.5 | 4,401.028913 |
20231101.bn_1143_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ইতিহাস
|
ইতিহাস লিখনধারার সম্পর্কিত বেশ কিছু অর্থ রয়েছে। প্রথমত, এটি দিয়ে বুঝানো হয় কীভাবে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে, যেমন- পদ্ধতি ও অনুশীলনের বিকাশের গল্প। দ্বিতীয়ত, এটি বুঝায় কী সৃষ্টি করেছে, যেমন- ইতিহাস লিখনরীতির নির্দিষ্ট বিষয়। তৃতীয়ত, এটি দিয়ে বুঝানো হয় কীভাবে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে, যেমন- ইতিহাসের দর্শন। অতীতের বর্ণনার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তৃতীয় ধারণাটি প্রথম দুটি ধারণার সাথে সম্পর্কযুক্ত করা যায়, যা মূলত বর্ণনা, ব্যাখ্যা, বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ, সাক্ষ্য বা প্রমাণের ব্যবহার, বা অন্যান্য ইতিহাসবেত্তাদের উপস্থাপন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করে। ইতিহাস কি একক বর্ণনা নাকি ধারাবাহিক বর্ণনা হিসেবে শিখানো হবে তা নিয়ে পেশাদারী ইতিহাসবেত্তাদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।
| 0.5 | 4,401.028913 |
20231101.bn_1143_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ইতিহাস
|
ইতিহাসের দর্শন হলো দর্শনের একটি শাখা যেখানে ঘটনাবলির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়, বিশেষ করে মানবীয় ইতিহাস। এছাড়া এই শাখায় এর বিকাশের সম্ভাব্য পরমকারণমূলক সমাপ্তির কথা বিবেচনা করা হয়, যেমন- মানবীয় ইতিহাসের পদ্ধতিতে কোনো নকশা, কারণ, নীতি, বা সমাপ্তি রয়েছে কিনা। ইতিহাসের দর্শনকে ইতিহাস লিখনধারার সাথে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। ইতিহাস লিখনধারায় ইতিহাসের পদ্ধতি ও অনুশীলন এবং ইতিহাসকে একটি নির্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় হিসেবে এর বিকাশের উপর জোড় দেওয়া হয়। আবার ইতিহাসের দর্শনকে দর্শনের ইতিহাসের সাথে গুলিয়ে ফেলা যাবে না, কারণ দর্শনের ইতিহাস হলো একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে দর্শনের ধারণাসমূহের বিকাশ নিয়ে অধ্যয়ন।
| 0.5 | 4,401.028913 |
20231101.bn_1143_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ইতিহাস
|
ইতিহাস এক নির্দিষ্ট সময়ে ঘটা ঘটনাবলি ও উন্নয়নকে কেন্দ্র করে লিখিত হয়। ইতিহাসবেত্তাগণ সেই সময় বা যুগকে একটি নির্দিষ্ট নাম দিয়ে চিহ্নিত করেন। ভৌগোলিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে এই নামসমূহ ভিন্ন হতে পারে, যেমন- সেই যুগের শুরুর সময় ও সমাপ্তির সময়। শতাব্দী ও দশক হলো বহুল ব্যবহৃত যুগ নির্দেশক এবং কালপঞ্জি অনুসারে এই যুগ নির্ধারিত হয়। বেশিরভাগ যুগ পূর্ববর্তী ঘটনার উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় এবং এর ফলে এতে পূর্ববর্তী সময়ে ব্যবহৃত মৌলিক ধারণা ও বিচারবুদ্ধির প্রতিফলন দেখা যায়। যে পদ্ধতিতে যুগসমূহের নাম দেওয়া হয় তা এই যুগসমূহকে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে এবং কীভাবে অধ্যয়ন করা হচ্ছে তাকে প্রভাবিত করে।
| 1 | 4,401.028913 |
20231101.bn_1143_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ইতিহাস
|
নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থান, যেমন- মহাদেশ, দেশ ও শহরও ইতিহাস অধ্যয়নের ক্ষেত্র। ঐতিহাসিক ঘটনাবলি কেন ঘটেছিল তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণ জানার জন্য ইতিহাসবেত্তাগণ ভূগোল অধ্যয়ন করে থাকেন।
| 0.5 | 4,401.028913 |
20231101.bn_1143_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ইতিহাস
|
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাস রচনা শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূলে স্থানীয় অস্ট্রেলীয়দের সাথে মাকাসারের বাণিজ্যের নথি থেকে।
| 0.5 | 4,401.028913 |
20231101.bn_1143_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ইতিহাস
|
আফ্রিকার ইতিহাস শুরু হয় এই মহাদেশে আধুনিক মানব সভ্যতার প্রথম বিকাশের মধ্য দিয়ে এবং বিভিন্ন রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়ে আধুনিক বর্তমান কাল পর্যন্ত চলতে থাকে।
| 0.5 | 4,401.028913 |
20231101.bn_1143_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ইতিহাস
|
আমেরিকার ইতিহাস হলো উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার একত্রিত ইতিহাস তথা সমগ্র আমেরিকা অঞ্চলের ইতিহাস, এছাড়া এতে মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় ইতিহাসও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
| 0.5 | 4,401.028913 |
20231101.bn_7406_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ভাইরাস
|
ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া থেকে ক্ষুদ্র। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া এদের দেখা যায়না। এদের আকার সাধারণত ১০ nm থেকে ৩০০ nm পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে কিছু ভাইরাস এর চেয়েও বড় হতে পারে।সবচেয়ে বড় ভাইরাস'ভ্যাকসিনিয়া'। সবচেয়ে ছোট ভাইরাস 'ফুট অ্যান্ড মাউথ'ভাইরাস।
| 0.5 | 4,319.728859 |
20231101.bn_7406_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ভাইরাস
|
ভাইরাস সাধারণত নিম্ন লিখিত আকৃতির হয়ে থাকে। গোলাকার, দণ্ডাকার, বর্তুলাকার, সূত্রাকার, পাউরুটি আকার, বহুভুজাক্রিতি, ব্যাঙ্গাচি আকার প্রভৃতি।
| 0.5 | 4,319.728859 |
20231101.bn_7406_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ভাইরাস
|
ভাইরাসের দেহে কোন নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম নেই; কেবল প্রোটিন এবং নিউক্লিক এসিড দিয়ে দেহ গঠিত। কেবলমাত্র উপযুক্ত পোষকদেহের অভ্যন্তরে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এদের অভ্যন্তরীণ তথ্য বহনকারী সূত্রক দুই প্রকারের হতে পারে: ডিএনএ এবং আরএনএ।
| 0.5 | 4,319.728859 |
20231101.bn_7406_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ভাইরাস
|
ভাইরাসের বাইরের প্রোটিন আবরণকে ক্যাপসিড বলা হয়। ক্যাপসিডের গঠন প্রধানত দুই প্রকার, সর্পিলাকার এবং সমবিশতলাকার।ভাইরাস অতি আণুবীক্ষণিক সত্তা। ভাইরাসের গড় ব্যাস ৮-৩০০ ন্যানোমিটার।
| 0.5 | 4,319.728859 |
20231101.bn_7406_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ভাইরাস
|
ভাইরাসের প্রজাতিভেদে বংশাণুসমগ্রের আকারও ভিন্ন হয়। এসএসডিএনএ সার্কোভাইরাসের বংশাণুসমগ্র আকারে সবচেয়ে ক্ষুদ্র। Circoviridae পরিবারের এই ভাইরাসের মাত্র দুই প্রোটিন রয়েছে ও বংশাণুসমগ্রের আকার মাত্র দুই কিলোবেস। সবচেয়ে বড় বংশাণুসমগ্রের ভাইরাস হলো প্যান্ডোরাভাইরাস। প্রায় ২৫০০ প্রোটিনের কোড সংবলিত এই ভাইরাসের বংশাণুসমগ্রের আকার প্রায় দুই মেগাবেস। ভাইরাস বংশাণুর খুব কমই ইন্ট্রোন থাকে আর সেগুলো বংশাণুসমগ্রে এমনভাবে সাজানো থাকে যেন তারা উপরিস্থাপিত বা একে অপরের উপর সুবিন্যস্ত হতে পারে। সাধারণত, আরএনএ ভাইরাসের বংশাণুসমগ্রের আকার ডিএনএ ভাইরাস অপেক্ষা ছোট হয়। কেননা এই ধরনের ভাইরাসের প্রতিলিপিকরণের সময় বেশি ভ্রান্তি হওয়ার সুযোগ থাকে।
| 1 | 4,319.728859 |
20231101.bn_7406_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ভাইরাস
|
১. লাইটিক চক্র: ভাইরাস পরজীবী হিসেবে বংশবৃদ্ধি করে তাই এদের বংশবিস্তার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করা কঠিন। যে জীবনচক্রে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে ফাযের (অণুজীব আক্রমণকারী ভাইরাস) অপত্য কোষগুলো শেষ পর্যায়ে ব্যাকটেরিয়াকে বিগলিত করে মুক্ত হয়, সে জীবনচক্রকে লাইটিক চক্র বলে। লাইটিক চক্র সম্পন্নকারী ফাজকে লাইটিক ফাজ বলে। লাইটিক চক্র সাধারণত ব্যাকটেরিওফাযের জীবনচক্রে দেখা যায়। নিচে T2 ভাইরাসের E. coli ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ক্ষেত্রে লাইটিক চক্রের ধাপগুলো বর্ণনা করা হল:
| 0.5 | 4,319.728859 |
20231101.bn_7406_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ভাইরাস
|
পৃষ্ঠলগ্ন হওয়া: এ পর্যায়ে T2 ভাইরাস পোষক E. coli ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীরে স্পর্শকতন্তু ও স্পাইক এর সাহায্যে পৃষ্টলগ্ন হয়। E. coli ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীরে ফায প্রোটিনের জন্য রিসেপ্টর সাইড থাকায় রিসেপ্টর সাইডের প্রোটিনের সাথে ফায ক্যাপসিডের স্পর্শক তন্তুর প্রোটিনের রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে ফাযটি ব্যাকটেরিয়ার প্রাচীরে সংযুক্ত হয়ে যায়।
| 0.5 | 4,319.728859 |
20231101.bn_7406_11
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ভাইরাস
|
অনুপ্রবেশ: পৃষ্টলগ্ন হওয়ার পর ভাইরাসের লেজের স্পাইক থেকে লাইসোজাইম এনজাইম নিঃসৃত হয়। এই এনজাইমের কার্যকারিতায় ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীরের স্তরকে দ্রবীভূত করে সূক্ষ্ণ নালিকার সৃষ্টি করে। এ প্রক্রিয়াকে ড্রিলিং বলে। T2 ভাইরাসের লেজের প্রোটিন আবরণটি বাইরে পড়ে থাকে।
| 0.5 | 4,319.728859 |
20231101.bn_7406_12
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8
|
ভাইরাস
|
প্রোটিন সংশ্লেষণ: ভাইরাসের DNA পোষক কোষে প্রবেশ করার পর ব্যাকটেরিয়া কোষের DNA-এর উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে ও পলিমারেজ এনজাইমের সহায়তায় mRNA উৎপাদরেন মাধ্যমে প্রোটিন তৈরি শুরু করে। এই প্রোটিন পরবর্তীতে ভাইরাসের বহিঃরাবনণ বা খোলস (মাথা ও লেজ) তৈরিতে অংশগ্রহণ করে।
| 0.5 | 4,319.728859 |
20231101.bn_10689_0
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন হল বড়ু চণ্ডীদাস রচিত একটি মধ্যযুগীয় বাংলা কাব্য। এটি আদি মধ্যযুগীয় তথা প্রাক্-চৈতন্য যুগে বাংলা ভাষায় লেখা একমাত্র আখ্যানকাব্য এবং বৌদ্ধ সহজিয়া সংগীত-সংগ্রহ চর্যাপদের পর আদি-মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষার আবিষ্কৃত দ্বিতীয় প্রাচীনতম নিদর্শন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার কাঁকিলা, গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘর থেকে এই কাব্যের খণ্ডিত পুথিটি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁরই সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে পুথিটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। তিনি এই পুথির নামকরণ "শ্রীকৃষ্ণকীর্তন" করলেও পুথির মধ্যে একটি চিরকুটে লিখিত শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামটি দৃষ্টে কোনও কোনও গবেষক পুথিটির নাম "শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ" রাখারই পক্ষপাতী ছিলেন; যদিও নামটি সংশয়াতীত নয় বলে বর্তমানে কাব্যটিকে 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' নামেই অভিহিত করা হয়।
| 0.5 | 4,288.826828 |
20231101.bn_10689_1
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মূল উপজীব্য রাধা ও কৃষ্ণের প্রণয়কাহিনি। সমগ্র কাব্যটি তেরোটি খণ্ডে বিভক্ত: জন্মখণ্ড, তাম্বুলখণ্ড, দানখণ্ড, নৌকাখণ্ড, ভারখণ্ড, ছত্রখণ্ড, বৃন্দাবনখণ্ড, কালিয়দমন খণ্ড, যমুনাখণ্ড, হারখণ্ড, বাণখণ্ড, বংশীখণ্ড ও রাধাবিরহ। রাধাবিরহ অবশ্য মূল কাব্যে প্রক্ষিপ্ত কিনা তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে।
| 0.5 | 4,288.826828 |
20231101.bn_10689_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
|
কাব্যের প্রধান তিন চরিত্র রাধা, কৃষ্ণ ও বড়ায়ি। এই বড়ায়ি চরিত্রটি সৃষ্টি করা হয়েছে প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যের "কুট্টনী" জাতীয় চরিত্রটির আদলে। এই তিনটি চরিত্র চিত্রণের দক্ষতার পরিপ্রেক্ষিতে কাব্যটিকে বড়ু চণ্ডীদাসের কবি প্রতিভার সার্থক নিদর্শন মনে করা হয়। পরবর্তীকালের বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের মাথুর ও ভাবসম্মিলন পর্যায়ের পূর্বাভাস শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের রাধাবিরহ অংশের মধ্যে নিহিত।
| 0.5 | 4,288.826828 |
20231101.bn_10689_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
|
মধ্যযুগের আদিপর্বে রচিত এই কাব্যের ভাষা আধুনিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুটা দুরূহ মনে হলেও বাংলা সাহিত্যের প্রথম যুগের ভাষা হিসেবে তা চর্যাপদের ভাষা অপেক্ষা অনেক বেশি সাবলীল, স্বাভাবিক ও স্বনির্ভর ছিল। মনে করা হয় যে, বড়ু চণ্ডীদাস সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে সুপণ্ডিত ছিলেন। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে যেমন একদিকে ভাগবত পুরাণ ও গীতগোবিন্দম্ কাব্যের বহু পংক্তির ভাবানুবাদ স্থান পেয়েছে, তেমনই উপমা, রূপক, উৎপ্রেক্ষা প্রভৃতি অলংকারের প্রয়োগেও কবি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এই কাব্যের ছন্দের বৈচিত্র্যও লক্ষণীয়। সাত প্রকারের পয়ার ও তিন প্রকারের ত্রিপদী ছন্দের প্রয়োগ দেখা যায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে। বিষয়বস্তু ও ভাবের দিক থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন জয়দেবের গীতগোবিন্দম্ ও চৈতন্যোত্তর বৈষ্ণব সাহিত্যের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটি করেছে। তাছাড়া এই কাব্যে রাধা, কৃষ্ণ ও বড়ায়ির উক্তি-প্রত্যুক্তির মাধ্যমে যে নাটকীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে নিহিত রয়েছে পরবর্তীকালের বাংলা নাট্যসাহিত্যের বীজও।
| 0.5 | 4,288.826828 |
20231101.bn_10689_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের একমাত্র আবিষ্কৃত পুথির ভিতর পাওয়া একটি চিরকুট থেকে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন যে, পুথিটি ১৬৮২ খ্রিস্টাব্দে বনবিষ্ণুপুরের রাজার "গাঁথাঘর" অর্থাৎ রাজ-গ্রন্থাগারে ছিল। রাজগুরু শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্র-বংশীয় দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় পরে পুথিটির অধিকারী হন। দেবেন্দ্রনাথ ছিলেন বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের,অধিবাসী। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ মুখোপাধ্যায় পরিবারের গোয়ালঘরের মাচায় অযত্নে রক্ষিত কয়েকটি পুথির ভিতর থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের খণ্ডিত পুথিটি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভের সম্পাদনাতেই বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে পুথিটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। পুথিটির প্রথম, মধ্য ও শেষের কয়েকটি পৃষ্ঠা পাওয়া যায়নি।
| 1 | 4,288.826828 |
20231101.bn_10689_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
|
বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ<< , আবিষ্কৃত পুথিটি ছাড়া শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের আর কোনও পুথি পাওয়া যায়নি। তুলোট কাগজে লেখা এই পুথিটির প্রারম্ভে আখ্যাপত্র, শেষের পুষ্পিকা এবং মাঝের কতকগুলি পৃষ্ঠা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পুথির মধ্যে একটি "পাত্ড়া" (টুকরো তুলোট কাগজ) পাওয়া গিয়েছে। তাতে পুরনো ছাঁদের অক্ষরে লেখা রয়েছে,, "শ্রীকৃষ্ণ সন্দর্ব্বের ৯৫ পচানই পত্র একশত দশ পত্র পর্যন্ত একুনে ১৬ শোল পত্র শ্রীকৃষ্ণপঞ্চানন শ্রীশ্রী মহারাজার হুজুরকে লইয়া গেলেন পুনশ্চ আনিয়া দিবেন",। চিরকুটটিতে তারিখ হিসেবে উল্লিখিত হয়েছে "সন ১০৮৯/ তাং ২১ অগ্রহায়ণ" (১৬৮২ খ্রিস্টাব্দ)। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমান, সেই সময় বনবিষ্ণুপুরের "গাঁথাঘর" বা রাজ-গ্রন্থাগারে পুথিটি অক্ষত অবস্থাতেই ছিল। পুথিটিতে তিনি পুরনো ধাঁচের বলে মনে করেছেন। তাঁর মতে, এটি নকল করা হয়েছিল সপ্তদশ শতাব্দীতে অথবা তারও আগে। যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা-র ১৩২৬ বঙ্গাব্দ প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত তাঁর "শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে সংশয়" প্রবন্ধে কাব্যটির প্রাচীনতা ও প্রামাণিকতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পুথির কাগজ পরীক্ষা করে দেখেছিলেন যে পুথিটিকে যতটা প্রাচীন মনে হরা হয় আসলে তা তত প্রাচীন নয়। অবশ্য অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, চিরকুটটিই প্রমাণ করে যে পুথিটি সপ্তদশ শতাব্দীর পরে নকল করা হয়নি। সুকুমার সেন এই পুথিটি সম্পর্কে লিখেছেন:
| 0.5 | 4,288.826828 |
20231101.bn_10689_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
|
ভগবান বিষ্ণুর অবতাররূপে কৃষ্ণের জন্ম, বড়াইয়ের সহযোগিতায় বৃন্দাবনে রাধার সঙ্গে তার প্রণয় এবং অন্তে বৃন্দাবন ও রাধা উভয়কে ত্যাগ করে কৃষ্ণের চিরতরে মথুরায় অভিপ্রয়াণ – এই হল ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের মূল উপজীব্য। আখ্যায়িকাটি মোট ১৩ খণ্ডে বিভক্ত। জন্মখণ্ড, তাম্বুলখণ্ড, দানখণ্ড, নৌকাখণ্ড, বৃন্দাবনখণ্ড ইত্যাদি ১২টি অংশ 'খণ্ড' নামে লেখা হলেও অন্তিম অংশটির নাম শুধুই 'রাধাবিরহ', এই অংশটির শেষের পৃষ্ঠাগুলি পাওয়া যায়নি। পুঁথিটি খণ্ডিত বলে কাব্যরচনার সন-তারিখও জানা যায় না। কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্র —রাধা,কৃষ্ণ,বড়ায়ি।
| 0.5 | 4,288.826828 |
20231101.bn_10689_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
|
তবে আলোচ্য কাব্যটি সংস্কৃত কাব্য গীতগোবিন্দম্-এর ধরনে আখ্যানধর্মী ও সংলাপের আকারে রচিত বলে এতে প্রাচীন বাংলা নাটকের ('চিত্রনাটগীতি') একটি আভাস মেলে। মনে করা হয়, পূর্বতন লোকব্যবহারে অমার্জিত স্থূল রঙ্গরসের যে ধামালী গান প্রচলিত ছিল, তা থেকেই কবি এর আখ্যানভাগ সংগ্রহ করেছিলেন। কাব্যটিতে প্রাকৃত প্রেমের আকর্ষণ-বিকর্ষণ পালাগান বা নাটের ঠাটে উপস্থাপিত। গ্রন্থটি স্থানে স্থানে আদিরসে জারিত ও গ্রাম্য অশ্লীলতাদোষে দুষ্ট হলেও আখ্যানভাগের বর্ণনানৈপুণ্য ও চরিত্রচিত্রণে মুন্সিয়ানা আধুনিক পাঠকেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
| 0.5 | 4,288.826828 |
20231101.bn_10689_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
|
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
|
চর্যাপদের পর ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ আদি-মধ্য বাংলা ভাষার প্রাচীনতম আবিষ্কৃত নিদর্শন। বাংলা ভাষাতত্ত্বের ইতিহাসে এর গুরুত্ব তাই অপরিসীম। অপরদিকে এটিই প্রথম বাংলায় রচিত কৃষ্ণকথা বিষয়ক কাব্য। মনে করা হয়, এই গ্রন্থের পথ ধরেই পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে বৈষ্ণব পদাবলির পথ সুগম হয়; তবে এই কাব্যের ভাব বৈষ্ণব-মহান্তদের নির্দেশিত কৃষ্ণলীলার ভাবব্যঞ্জনার সঙ্গে মেলে না। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার ডক্টর অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় যথার্থই লিখেছেন,
| 0.5 | 4,288.826828 |
20231101.bn_1114_0
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
|
ধর্ম
|
ধর্ম ( ধর্মো) হলো নির্দিষ্ট আচরণ ও অনুশীলন, নৈতিকতা, বিশ্বাস, বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গি, গ্রন্থ, পবিত্র স্থান, ভবিষ্যদ্বাণী, ধর্মে নীতিশাস্ত্র বা সংস্থার একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা, যা মানবতাকে অতিপ্রাকৃত, অতীন্দ্রিয় এবং আধ্যাত্মিকতা উপাদানগুলোর সাথে সম্পর্কিত করে; কিন্তু, কোনো অবিকল একটি ধর্ম গঠন করে তা নিয়ে কোনো পণ্ডিতের ঐকমত্য নেই।
| 0.5 | 4,282.777826 |
20231101.bn_1114_1
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
|
ধর্ম
|
বিভিন্ন ধর্মে ঐশ্বরিক, পবিত্র জিনিস, বিশ্বাস, একটি অতিপ্রাকৃত সত্ত্বা বা অতিপ্রাকৃত প্রাণী "এক ধরনের উল্লসিত তাড়না এবং অতিক্রম যা বাকি জীবনের জন্য নিয়ম ও ক্ষমতা সরবরাহ করে" থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপাদান থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে। ধর্মীয় রীতিনীতির মধ্যে আচার, উপদেশ, স্মরণসভা বা সঙ্গীত (দেবতা ও/অথবা সাধুদের), উৎসর্গ (উপাসনা), উৎসব, ভোজ, বিবাহপরিষেবা, ধ্যান, প্রার্থনা, সঙ্গীত, শিল্প, নৃত্য, জনসেবা বা মানব সংস্কৃতির অন্যান্য দিক অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ধর্মগুলির পবিত্র ইতিহাস এবং আখ্যান রয়েছে, যা পবিত্র শাস্ত্র এবং প্রতীক এবং পবিত্র স্থানগুলিতে সংরক্ষিত থাকতে পারে, যার লক্ষ্য বেশিরভাগই জীবনকে অর্থ প্রদান করা। ধর্মগুলিতে সাংকেতিক গল্প থাকতে পারে, যা কখনও কখনও অনুসারীরা সত্য বলে মনে হয়, যা জীবন, মহাবিশ্ব এবং অন্যান্য ঘটনার উৎপত্তি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করতে পারে। ঐতিহ্যগতভাবে, আধ্যাত্মিক বিশ্বাস, যুক্তি ছাড়াও, ধর্মীয় বিশ্বাসের উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।
| 0.5 | 4,282.777826 |
20231101.bn_1114_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
|
ধর্ম
|
বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১০,০০০ স্বতন্ত্র ধর্ম রয়েছে। বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৮৪℅ খ্রীষ্টধর্ম, ইসলাম, সনাতন ধর্ম, বৌদ্ধধর্ম বা লোকধর্মের, কোনো না কোনো ধরনের সাথে যুক্ত। ধর্মীয়ভাবে অসম্পৃক্ত জনসংখ্যার মধ্যে রয়েছে যারা কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম, নাস্তিক এবং অজ্ঞেয়বাদীদের সাথে সনাক্ত করে না। যদিও ধর্মীয়ভাবে অসম্পৃক্তরা বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু ধর্মীয়ভাবে অসম্পৃক্তদের অনেকেরই এখনও বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে।
| 0.5 | 4,282.777826 |
20231101.bn_1114_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
|
ধর্ম
|
ধর্মীয় অধ্যয়ন ধর্মতত্ত্ব, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব এবং সামাজিক বৈজ্ঞানিক অধ্যয়নসহ বিভিন্ন গ্রন্থগত শাখা নিয়ে গঠিত। ধর্মের তত্ত্বগুলো ধর্মের উৎপত্তি এবং কাজের জন্য বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করে, যার মধ্যে ধর্মীয় সত্ত্বা এবং বিশ্বাসের তত্ত্ববিদ্যার ভিত্তিও রয়েছে।
| 0.5 | 4,282.777826 |
20231101.bn_1114_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
|
ধর্ম
|
ধর্ম শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত √ধৃ হতে (অর্থ 'ধারণ')। 'একজন ব্যক্তি তার জীবনে তার যত প্রকার বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে সব মিলিয়ে হয় তার ধর্ম।' তার বিশ্বাস, তার পরম্পরাগত শিক্ষা, তারা আচার ব্যবহার ইত্যাদি এই সবই তার ধর্ম। যেভাবে আগুনের ধর্ম দহন করা, জলের ধর্ম শীতলতা, পশুর ধর্ম পশুত্ব, তেমনি মানুষের ধর্ম হয় মনুষত্ব। কিন্তু শাস্ত্র বলে মানুষ উচ্চমার্গীয় একটি জীব এবং এই উচ্চমার্গীয় জীবকে নির্ণয়ের জন্য মনুস্মৃতি বা (মনুষ্যের বিধি বিধান সম্বলিত গ্রন্থ)লেখা হয়েছে। এই গ্রন্থ অনুসারে মনুষ্য ধর্ম বিবেচিত হবে দশটি গুণ এর মাধ্যমে, যে দশটি গুণের উপস্থিতি তাদেরকে মনুষ্য প্রমাণ করবে। যথা-
| 1 | 4,282.777826 |
20231101.bn_1114_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
|
ধর্ম
|
ইংরেজি Religion (উচ্চারণ: রিলিজিয়ন, অর্থ: উপসনা ধর্ম) শব্দটির উৎপত্তি ফরাসি religion থেকে, যেমন, "religious community" (উচ্চারণ: রিলিজিয়াস কমিউনিটি, অর্থ: ধর্মীয় সম্প্রদায়)। আবার এটি এসেছে লাতিন religionem থেকে (nom. religio) যার অর্থ “পবিত্র বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ঈশ্বরদের প্রতি নিষ্ঠা” ("respect for what is sacred, reverence for the gods"), এবং “বাধ্যতা, যা মানুষ ও ঈশ্বরদের মধ্যে সেতুবন্ধনস্বরূপ” ("obligation, the bond between man and the gods"), যেটি আবার লাতিন religiō থেকে পাওয়া।
| 0.5 | 4,282.777826 |
20231101.bn_1114_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
|
ধর্ম
|
প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় পৃথিবীতে, আধুনিক ‘religion’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত লাতিন শব্দমূল religio -কে বোঝা হতো ব্যক্তিবিশেষের উপাসনা করার গুণ হিসেবে; কখনই মতবাদ, চর্চা কিংবা জ্ঞানের উৎসকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হতো না। ধর্মের আধুনিক ধারণা এমন এক বিমূর্ততা, যা ধর্মকে কতকগুলো স্বতন্ত্র বিশ্বাস বা মতবাদের সমষ্টি হিসেবে উপস্থাপন করে। ধর্মের অর্থ হিসেবে এটি অতি সাম্প্রতিক একটি উদ্ভাবন, ইংরেজি ভাষা যার ব্যাপক ব্যবহার সপ্তাদশ শতাব্দী থেকে লক্ষণীয়। এসময় ‘ধর্ম’ বলতে বোঝানো হতে থাকে ‘উপাসনা ধর্মকে’। ইতিহাসবেত্তারা এর কারণ হিসেবে প্রটেস্ট্যান্ট সংস্কারের সময়ে খ্রিষ্ট ধর্মের বিভাজন ও ভ্রমণের যুগে বৈশ্বায়নকে দায়ী করে থাকেন। এ যুগে, ইউরোপীয়দের সাথে অসংখ্য ভিন্ন সংস্কৃতির ও ভাষার দেশী-বিদেশী জনপদের যোগাযোগ স্থাপন আরও সাধারণ একটি ব্যাপারে পরিণত হয়। আবার এসব জনগোষ্ঠীর মধ্যে অনেকেরই নিজ ভাষায় ধর্মীয় ভাব প্রকাশের জন্য ‘religion’ -এর সমতূল্য ধারণা বা সমার্থক শব্দ ছিল না। সপ্তাদশ শতকই সেই সময়, যখন ধর্মের ধারণা আধুনিক আকার পেতে শুরু করে। যদিও বাইবেল, কুরআন এবং অন্যান্য প্রাচীন পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহের মূল ভাষায় লিখিত সংস্করণে ধর্মের ধারণার কোন সুস্পষ্ট উল্লেখ ছিল না। এমনকি যে সংস্কৃতিতে এই ধর্মগ্রন্হসমূহ লেখা হয় কিংবা যারা এই গ্রন্হগুলো অনুসরণ করতেন তাদেরও ধর্মের কোন সুস্পষ্ট ধারণা ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, গ্রিক শব্দ threskeia (উচ্চারণ: থ্রেসকিয়া বা থ্রিসকিয়া) -এর কথা বলা যায়, যেটি হিরোডোটাস ও জোসিফাসের মত প্রখ্যাত গ্রিক লেখকেরা ‘উপাসনা’ অর্থে ব্যবহার করতেন। অথচ আজকের দিনে নিউ টেস্টামেন্টে এর অনুবাদ করা হয়েছে ‘ধর্ম’ হিসেবে। মধ্যযুগেও উক্ত শব্দটি ‘উপাসনা’ কিংবা এর সমার্থক ভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হতো। আবার কুরঅানের ক্ষেত্রে, অধিকাংশ সময়ই আরবী শব্দ دين (উচ্চারণ: দ্বীন) -এর আধুনিক ইংরেজি অনুবাদ করা হয় ‘religion’ বা ধর্ম হিসেবে, কিন্তু সপ্তাদশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত অনুবাদকেরা এই শব্দটি ব্যবহার করতেন ‘আইন’ বোঝাতে। এমনকি খ্রিষ্টপূর্ব ১ম শতকেও গ্রিক দার্শনিক জোসিফাস গ্রিক শব্দ ioudaismos (উচ্চারণ: ইউদাইসমোস) -কে ‘সম্প্রদায়’ অর্থে ব্যবহার করতেন, যার সাথে আধুনিককালের এক সেট বিমূর্ত ধারণা ও বিশ্বাসের সমাহার হিসেবে ধর্মের যে সংজ্ঞা প্রণীত হয়েছে তার কোন সম্পর্ক নেই। যদিও বর্তমানকালে অনেকেই ioudaismos -কে ‘ইহুদি ধর্ম’ (Judaism) হিসেবে অনুবাদ করেন। উনবিংশ শতকেই প্রথম চলিত ভাষায় ‘বৌদ্ধ ধর্ম’ (Buddhism), ‘হিন্দু ধর্ম’ (Hinduism), ‘তাওবাদ’ (Taoism), ‘কনফুসিয়ানিজম’ (Confucianism) প্রভৃতি শব্দের উন্মেষ ঘটে। জাপানের সুদীর্ঘ ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, জাপানে কখনই কোথাও ‘ধর্মের’ কোন ধারণা ছিল না। যেহেতু জাপানী ভাষায় ‘ধর্ম’ বোঝাতে কোন শব্দ ছিল না, এমনকি এর কাছাকাছি ভাব প্রকাশ করে এমন কোন শব্দও না থাকায়, যখন ১৮৫৩ সালে মার্কিন রণতরীগুলো জাপানের উপকূলে এর জলসীমায় অবস্থান নেয় এবং তৎকালীর জাপান সরকারকে অন্যান্য অনেক বিষয়ের সাথে ধর্মের স্বাধীনতাকেও রাষ্ট্রনীতি হিসেবে স্বীকার করে সন্ধিপত্রে স্বাক্ষরের জন্য চাপ দিতে থাকে, তখন জাপান সরকার বাধ্য হয় এই পশ্চিমা ধারণা গ্রহণ করতে।
| 0.5 | 4,282.777826 |
20231101.bn_1114_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
|
ধর্ম
|
উনিশ শতকের প্রখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ ম্যাক্স মুলারের মতে, ইংরেজি ভাষায় ব্যবহৃত ‘religion’ শব্দটির শব্দমূল, লাতিন religio (উচ্চারণ: রিলিজিও) শব্দটি মূলত ব্যবহৃত হতো “ঈশ্বর কিংবা ঈশ্বরবর্গের প্রতি নিষ্ঠা, পবিত্র বিষয়সমূহ সম্পর্কে সাবধানী চিন্তা ও ভক্তি (যেটিকে পরবর্তীতে সিসারো ‘অধ্যবসায়’ হিসেবে ব্যাক্ত করেন)” অর্থে। ম্যাক্স মুলার পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বহু সংস্কৃতিকে ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে অনুরূপ ক্ষমতা-কাঠামোর অধিকারী হিসেবে চিন্হিত করেন, যেগুলোর মধ্যে মিশরীয়, পারস্যীয় ও ভারতীয় সংস্কৃতিও অন্তর্ভুক্ত। তার মতে আজ যেগুলোকে আদিম ধর্মমত বলা হয়, তৎকালীন মানুষের কাছে সেগুলো ছিল কেবলই ‘আইন’ মাত্র।
| 0.5 | 4,282.777826 |
20231101.bn_1114_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
|
ধর্ম
|
অনেক ভাষাতেই এমন শব্দাবলি রয়েছে যেগুলোকে ‘ধর্ম’ হিসেবে অনুবাদ করা যেতে পারে, কিন্তু ভাষাভাষিরা হয়তো ভিন্নভাবে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আবার কিছু ভাষায় ধর্ম বলতে কোন শব্দই নেই। উদাহরণস্বরূপ, সংস্কৃত धर्म (উচ্চারণ: ধার্মা বা dharma) শব্দটিকে কখনও কখনও ‘উপাসনা ধর্ম’ হিসেবে ভাষান্তর করা হলেও এর আরেকটি অর্থ ‘আইন’। চিরায়ত যুগে দক্ষিণ এশিয়ায় ভক্তির মাধ্যমে প্রায়শ্চিত্ত (penance through piety) এবং ধর্মানুষ্ঠানিক ও ব্যবহারিক প্রথাগুলোও আইন শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রথমদিককার মধ্যযুগীয় জাপানে ‘সাম্রাজ্যবাদী আইন’ এবং সর্বজনীন বা ‘বুদ্ধের আইনের’ মধ্যে এক ধরনের মেলবন্ধন ছিল, যেগুলো পরবর্তীকালে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতার স্বাধীন উৎসে পরিণত হয়।
| 0.5 | 4,282.777826 |
20231101.bn_72231_23
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BF
|
হোমিওপ্যাথি
|
বিকল্পধারার চিকিৎসক সম্প্রদায়ের বাইরে, প্রচলিতধারার চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে হোমিওপ্যাথিকে একটি মিথ্যা বা একটি ছদ্মবিজ্ঞান, এবং তারা এটিকে হাতুড়ে চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করে। এছাড়াও এটিতে থেরাপিউটিক কার্যকারিতার সাফল্যপূর্ণ পরিসংখ্যানগত প্রমাণের অনুপস্থিতি রয়েছে, এবং জৈবিকভাবে প্রশংসনীয় ফার্মাকোলজিকাল এজেন্ট বা পদ্ধতির অভাব রয়েছে। তবে প্রবক্তারা যুক্তি দেন যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলি অবশ্যই কিছুর দ্বারা কাজ করে, যা এখনও অনির্ধারিত, একটি বায়োফিজিক্যাল মেকানিজম। অহোমিওপ্যাথিকগন এটিকে উপশমদায়ক ছাড়া আলাদা কিছু বলে দেখান না।
| 0.5 | 4,259.180474 |
20231101.bn_72231_24
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BF
|
হোমিওপ্যাথি
|
হোমিওপ্যাথির কিছু সমালোচক দাবি করেন যে এর কার্যকারিতা সমর্থন করার জন্য প্রমাণের অভাব রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, বৈজ্ঞানিক গবেষণার একটি ক্রমবর্ধমান সংস্থা দেখা যাচ্ছে যে হোমিওপ্যাথির একটি ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
| 0.5 | 4,259.180474 |
20231101.bn_72231_25
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BF
|
হোমিওপ্যাথি
|
র্যান্ডম কন্ট্রোলড ট্রায়াল (RCTs) সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ধরনের একটি ক্লিনিকাল ট্রায়াল হিসাবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। একটি RCT চলাকালীন, স্বেচ্ছাসেবক 'রোগীদের' এলোমেলোভাবে ২ বা তার বেশি গোষ্ঠীতে রাখা হয়। একটি গ্রুপ একটি স্ট্যান্ডার্ড চিকিৎসা নেয় – একে কন্ট্রোল গ্রুপ বলা হয়। একটি দ্বিতীয় গ্রুপ পরীক্ষিত চিকিৎসা গ্রহণ করবে। যখন কন্ট্রোল গ্রুপের জন্য কোন মানসম্মত চিকিৎসা পাওয়া যায় না, তখন একটি ডামি বা প্লাসিবো চিকিৎসা ব্যবহার করা হয়। কখনও কখনও গবেষকরা বা পরীক্ষায় জড়িত রোগীরা জানেন না কে কোন চিকিৎসা নিচ্ছে। এটি একটি 'ডাবল ব্লাইন্ড' ট্রায়াল হিসাবে পরিচিত।
| 0.5 | 4,259.180474 |
20231101.bn_72231_26
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BF
|
হোমিওপ্যাথি
|
২০১৪ সাল নাগাদ মোট ১০৪ টি ভাল মানের প্লাসিবো-নিয়ন্ত্রিত RCT গুলি হোমিওপ্যাথির প্রভাব রেকর্ড করে এবং পিয়ার-রিভিউড জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।
| 0.5 | 4,259.180474 |
20231101.bn_72231_27
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BF
|
হোমিওপ্যাথি
|
RCT-এর ৪১% ইতিবাচক প্রমাণের ভারসাম্য, ৫% নেতিবাচক প্রমাণের ভারসাম্য, এবং ৫৪% চূড়ান্তভাবে ইতিবাচক বা নেতিবাচক নয়।
| 1 | 4,259.180474 |
20231101.bn_72231_28
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BF
|
হোমিওপ্যাথি
|
একটি চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ আসে যখন বেশ কয়েকটি RCT-এর ফলাফল একসাথে বিশ্লেষণ করা হয়। এটি একটি পদ্ধতিগত পর্যালোচনা হিসাবে পরিচিত। হোমিওপ্যাথিতে RCT-এর সাতটি প্রধান পদ্ধতিগত পর্যালোচনার মধ্যে ছয়টি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে (গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা সহ) যে হোমিওপ্যাথির প্রভাব প্লাসিবোর চেয়ে বেশি। নির্দিষ্ট চিকিৎসা ক্ষেত্রে RCT-এর পদ্ধতিগত পর্যালোচনা ছয়টিতে হোমিওপ্যাথির জন্য ইতিবাচক সিদ্ধান্তে উপস্থাপিত হয়েছে: শৈশব ডায়রিয়া, খড় জ্বর, পোস্ট-অপারেটিভ ইলিয়াস, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, বাতজনিত রোগ এবং ভার্টিগো।
| 0.5 | 4,259.180474 |
20231101.bn_72231_29
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BF
|
হোমিওপ্যাথি
|
যদিও RCT পদ্ধতির তুলনায় কম প্রতিষ্ঠিত, প্রকৃত রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া ক্লিনিকাল ডেটা ব্যবহার করা প্রমাণ-ভিত্তিক ওষুধের একটি ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দৈনন্দিন ক্লিনিকাল অনুশীলন থেকে তথ্য হোমিওপ্যাথি গবেষণায় বিশেষভাবে মূল্যবান। হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সার জন্য রেফার করা অনেক রোগীর জটিল বা একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে এবং RCT ট্রায়ালের জন্য গ্রহণ করা হবে না। এটি শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং যারা গর্ভবতী তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য – যাদের সকলেই হোমিওপ্যাথিতে ভালো সাড়া দিতে পারে। এই ধরনের অধ্যয়নগুলি এলোমেলো বা নিয়ন্ত্রিত নয় তবে তারা RCT গবেষণা কোথায় লক্ষ্যবস্তু হতে পারে তা দেখাতে সাহায্য করতে পারে। ২১টি অ-এলোমেলো গবেষণা রয়েছে যা একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসা অবস্থা বা শর্তগুলির সেটের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। এই গবেষণার উল্লেখ এখানে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
| 0.5 | 4,259.180474 |
20231101.bn_72231_30
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BF
|
হোমিওপ্যাথি
|
হোমিওপ্যাথি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (HRI) হোমিওপ্যাথিতে উচ্চ মানের বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করে এবং প্রচার করে এবং এর ওয়েবসাইট এ সাম্প্রতিক ট্রেল এবং অধ্যয়নের একটি বিনামূল্যের ডাটাবেস রয়েছে। এইচআরআই পদার্থবিজ্ঞানী ডঃ আলেকজান্ডার টুর্নিয়ার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যিনি পূর্বে ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে-এর একজন স্বাধীন গবেষক হিসেবে কাজ করেছিলেন। এই ভিডিওতে তিনি হোমিওপ্যাথির প্রতি তার মুগ্ধতা ব্যাখ্যা করেছেন।
| 0.5 | 4,259.180474 |
20231101.bn_72231_31
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BF
|
হোমিওপ্যাথি
|
বিশ্বাসযোগ্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাব যার কার্যকারিতা সমর্থন করে এবং সক্রিয় উপাদান ছাড়া এর প্রস্তুতির ব্যবহার হোমিওপ্যাথিকে ছদ্মবিজ্ঞান এবং হাতুড়ে হিসাবে চিহ্নিত করে, ইংল্যান্ডের চিফ মেডিক্যাল অফিসার, ডেম স্যালি ডেভিস, বলেছেন যে হোমিওপ্যাথিক প্রস্তুতি "আবর্জনা" এবং প্লেসবোসের চেয়ে বেশি কিছু নয়। ২০১৩ সালে, মার্ক ওয়ালপোর্ট, যুক্তরাজ্য সরকারী প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা এবং বিজ্ঞান বিভাগের সরকারি অফিস প্রধান বলেন "হোমিওপ্যাথি অর্থহীন, এটি অবৈজ্ঞানিক।" তার পূর্বসূরি, জন বেডিংটন, সেই হোমিওপ্যাথ বলেছিলেন "বৈজ্ঞানিক ভিত্তির কোন ভিত্তি নেই" এবং এটিকে সরকার "মৌলিকভাবে উপেক্ষা" করছে। পাগল বলেছেন বিদায়ী বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টাকে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অলটারনেটিভ মেডিসিন এর ভারপ্রাপ্ত উপ -পরিচালক জ্যাক কিলেন বলেন, হোমিওপ্যাথি "রসায়ন এবং পদার্থবিজ্ঞানের বর্তমান তত্ত্বেট বাইরে"। তিনি যোগ করেন: "আমার জানামতে, এমন কোন শর্ত নেই যার জন্য হোমিওপ্যাথিকে একটি কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে প্রমাণিত হতে হবে।" বৈজ্ঞানিকভাবে নিরক্ষর জনসাধারণ, "... একাডেমিক ঔষধ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন, এবং সমালোচনার প্রায়শই যুক্তির পরিবর্তে পরিহার করা হয়েছে"। হোমিওপ্যাথরা মেটা-বিশ্লেষণ উপেক্ষা করতে পছন্দ করে , যেমন একটি বিশেষ পর্যবেক্ষণমূলক অধ্যয়ন (যাকে গোল্ডাক্রে "গ্রাহক-সন্তুষ্টি জরিপের চেয়ে একটু বেশি বলে বর্ণনা করে") প্রচার করে, যেন এটি র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোর একটি সিরিজের চেয়ে বেশি তথ্যবহুল পরীক্ষা করা হয়েছে।
| 0.5 | 4,259.180474 |
20231101.bn_1101_1
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80
|
রাজশাহী
|
রাজশাহী ছিল প্রাচীন বাংলার পুন্ড্র সাম্রাজ্যের অংশ। বিখ্যাত সেন বংশের রাজা বিজয় সেনের সময়ের রাজধানী বর্তমান রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ৯ কিমি দূরে অবস্থিত ছিল। মধ্যযুগে বর্তমান রাজশাহী পরিচিত ছিল রামপুর বোয়ালিয়া নামে। এর সূত্র ধরে এখনও রাজশাহী শহরের একটি থানার নাম বোয়ালিয়া।
| 0.5 | 4,232.326855 |
20231101.bn_1101_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80
|
রাজশাহী
|
রাজশাহী শহরকে কেন্দ্র করে ১৭৭২ সালে জেলা গঠন করা হয়। ১৮৭৬ সালে গঠিত হয় রাজশাহী পৌরসভা। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়।
| 0.5 | 4,232.326855 |
20231101.bn_1101_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80
|
রাজশাহী
|
ব্রিটিশ রাজত্বের সময়েও রাজশাহী বোয়ালিয়া নামে পরিচিত ছিল। তখন এটি ছিল তৎকালীন পূর্ববঙ্গ ও আসাম অঞ্চলের অর্ন্তগত রাজশাহী জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র। রাজশাহীকে সে সময়ে রেশম চাষের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল। তখন রাজশাহীতে একটি সরকারি কলেজ ও রেশম শিল্পের জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। সেসময় থেকে দেশবিভাগের পূর্ব পর্যন্ত পদ্মা নদীর উপর দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী স্টিমার চলাচল করত।
| 0.5 | 4,232.326855 |
20231101.bn_1101_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80
|
রাজশাহী
|
১২ জুন ১৮৯৭ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে রাজশাহী শহরের বেশীরভাগ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে অনেক ভবন আবার নতুন করে স্থাপিত হয়।
| 0.5 | 4,232.326855 |
20231101.bn_1101_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80
|
রাজশাহী
|
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে রাজশাহী তথা সারা বাংলাদেশের সবচেয়ে স্মরণীয় এবং গৌরবময় অধ্যায় হচ্ছে রাজশাহী পুলিশ লাইনের রক্তক্ষয়ী প্রতিরোধ যুদ্ধ। ১৯৭১ এর অসহযোগ আন্দোলনের সময় থেকেই তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় প্রতিটি জনপদে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার সাথে সকল স্তরের পুলিশ সদস্যগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছিলেন। এ সকল ঘটনা সমূহ জেলা, মহকুমা ও থানা পর্যায়ের সংগ্রামী জনগণকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করে তোলে। ২৫শে মার্চের কালো রাত্রে রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণের সংবাদ সারাদেশে ছড়িয়ে পরে। রাজশাহী পুলিশ লাইন সেনাবাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হতে পারে এমন আশঙ্কা বাঙালী পুলিশ সদস্যদের মনের মধ্যে কাজ করেছিল। এ সকল কারণে আগে থেকেই রাজশাহী পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্যগণ মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রাজশাহী পুলিশ লাইনের বাঙালী পুলিশ সদস্যগণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ লাইনের চতুর্দিকে পরিখা খনন করেন। কয়েকটি বাংকারও তৈরি করা হয়।
| 1 | 4,232.326855 |
20231101.bn_1101_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80
|
রাজশাহী
|
রাজশাহী মহানগর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন যা রাসিক নামে পরিচিত। রাজশাহী মহানগরকে রাসিক এর আওতায় ৩০ টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে।
| 0.5 | 4,232.326855 |
20231101.bn_1101_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80
|
রাজশাহী
|
রাজশাহী জেলাতে বেসরকারি ভাবে গড়ে উঠা স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৩ টি মেডিকেল কলেজ, ১ টি ডেন্টাল কলেজ, ৫ টি নার্সিং কলেজ, ১১টি নার্সিং ইনস্টিটিউট, ১ টি ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি এবং ১ টি কমিউনিটি প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউট রয়েছে।
| 0.5 | 4,232.326855 |
20231101.bn_1101_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80
|
রাজশাহী
|
গ্রেটার রোড, শেরশাহ্ রোড, কাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির রোড, স্টেশন রোড, কাজী নজরুল ইসলাম স্বরণী, বিমান-বন্দর রোড, বেগম রোকেয়া রোড, দোশর মন্ডল রোড, রাণীবাজার-টিকাপাড়া রোড, সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট-নিউমার্কেট নতুন সড়ক, তালাইমারি রোড, টিবি রোড, রাজশাহী সিটি বাইপাস সড়ক, আলিফ লাম মিম ভাটা-বাইপাস সড়ক, ক্যান্টনমেন্ট রোড, টিটিসি রোড, প্যারা মেডিকেল রোড, মহিলা কলেজ রোড, সিএনবি রোড, পুরাতন নাটোর রোড, মালোপাড়া-রাণীবাজার ভায়া সষ্টিতলা কানেকটিং রোড, ভদ্রা-কামরুজ্জামান চত্বর রোড। এছাড়াও আরও রাস্তা রয়েছে। উপরে উল্লিখিত রাস্তাসমূহ ৪ লেন ও মাঝখানে ডিভাইডার রয়েছে।
| 0.5 | 4,232.326855 |
20231101.bn_1101_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80
|
রাজশাহী
|
রাজশাহী থেকে অনেকগুলো আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেন সার্ভিস রয়েছে । এসব ট্রেন এ করে ঢাকা, খুলনা, চিলাহাটি, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রাজবাড়ী , কুষ্টিয়া,পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজিপুর, সৈয়দপুর, যশোর যাওয়া যায় । আব্দুলপুর ষ্টেশন হতে রাজশাহী এর দিকে শুধুমাত্র সিঙ্গেল ব্রডগেজ রেল লাইন হওয়ার কারণে রাজশাহী হতে বগুড়া ও রংপুর এর সরাসরি কোনো ট্রেন নেই । কারণ বগুড়া ও রংপুরে মিটারগেজ রেল লাইন বিদ্যমান ।
| 0.5 | 4,232.326855 |
20231101.bn_363514_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4
|
জান্নাত
|
বাবুল ইমান:-জান্নাতের ঐ দরজা দিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উপর বিশ্বাস স্থাপন, নবী-পয়গম্বরদের উপর বিশ্বাস স্থাপন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিশ্বজাহান ও সমগ্ৰ মাখলুকাতের মালিক হিসেবে বিশ্বাস স্থাপন করা বা শুধুমাত্র প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তিগণ জান্নাতে প্রবেশ করবে।
| 0.5 | 4,167.632291 |
20231101.bn_363514_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4
|
জান্নাত
|
বাবুজ জিকর:-জান্নাতের ঐ দরজা দিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উপর জিকির-আযকার, ইস্তিগফার পাঠকারী বা শুধুমাত্র প্রকৃত জিকিরকারীরা জান্নাতে প্রবেশ করবে।
| 0.5 | 4,167.632291 |
20231101.bn_363514_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4
|
জান্নাত
|
জান্নাত দেখার পরই সঠিকভাবে বোঝা যাবে যে জান্নাত কত বিশাল এবং তার নিয়ামত কত অসংখ্য। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,
| 0.5 | 4,167.632291 |
20231101.bn_363514_11
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4
|
জান্নাত
|
জান্নাতে শত স্তর আছে আর প্রত্যেক স্তরের মাঝে এত দূরত্ব আছে যতটা দূরত্ব আছে আকাশ ও মাটির মাঝে। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন',
| 0.5 | 4,167.632291 |
20231101.bn_363514_12
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4
|
জান্নাত
|
জান্নাতে একটি বৃক্ষের ছায়া এত লম্বা হবে যে কোন অশ্বারোহী ঐ ছায়ায় শত বছর পর্যন্ত চলতে পারবে। রাসূলুল্লাহ (সা) ,বলেন,
| 1 | 4,167.632291 |
20231101.bn_363514_13
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4
|
জান্নাত
|
সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারীকে এ দুনিয়ার চেয়ে দশগুণ বড় জান্নাত দান করা হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
| 0.5 | 4,167.632291 |
20231101.bn_363514_14
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4
|
জান্নাত
|
জান্নাতে সর্বশেষ ব্যক্তি প্রবেশ করার পরও অনেক জায়গা বাকী থাকবে যা পূর্ণ করার জন্য আল্লাহ্ তায়ালা নতুন জীব সৃষ্টি করবেন। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন,
| 0.5 | 4,167.632291 |
20231101.bn_363514_15
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4
|
জান্নাত
|
জান্নাতের অট্টালিকাসমূহ সোনা-রূপার ইট দিয়ে নির্মিত হবে। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, "আমি জিজ্ঞেস করলাম, "হে রাসূলুল্লাহ (সা)! সৃষ্টিকে কী দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে?" রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেন, "পানি দিয়ে"। আমি জিজ্ঞেস করলাম, "জান্নাত কী দিয়ে নির্মিত?" তিনি বললেন,
| 0.5 | 4,167.632291 |
20231101.bn_363514_16
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A4
|
জান্নাত
|
জান্নাতের কোন কোন অট্টালিকায় স্বর্ণের বাগান থাকবে। আবার কোন কোনটিতে রূপার বাগান থাকবে। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন,
| 0.5 | 4,167.632291 |
20231101.bn_634018_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95
|
কারক
|
মোটামুটি সকল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহর ব্যাকরণেই কারক বিদ্যমান। তবে ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলোর থেকে ভারত উপমহাদেশের ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহতে কারকের বৈশিষ্ট্য বেশি ফুটে ওঠে। এর কারণ অত্যধিক হারে বিভক্তি ও অনুসর্গের ব্যবহার। বাংলা ভাষাতেও এর ব্যাতিক্রম নয়। ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহের অধিকাংশ কারক সংস্কৃত হতে আগত।
| 0.5 | 4,119.154452 |
20231101.bn_634018_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95
|
কারক
|
বাংলা কারক সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে বিভক্তি সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। কারণ কারকের সম্পর্ক বোঝাতে নামপদের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়। বিভক্তিগুলো ক্রিয়াপদের সাথেও নামপদের সম্পর্ক স্থাপন করে।
| 0.5 | 4,119.154452 |
20231101.bn_634018_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95
|
কারক
|
০ (শূন্য) বিভক্তি (অথবা অ-বিভক্তি), এ (য়), তে (এ), কে, রে, র (এরা) - এ কয়টি খাঁটি বাংলার শব্দ বিভক্তি। এছাড়া বিভক্তি স্থানীয় কয়েকটি অব্যয় শব্দও কারক-সম্বন্ধ নির্ণয়ের জন্য বাংলায় প্রচলিত রয়েছে। যেমন - দ্বারা, দিয়ে, হতে, থেকে ইত্যাদি।
| 0.5 | 4,119.154452 |
20231101.bn_634018_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95
|
কারক
|
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ কাজ সম্পন্ন করে তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বা কর্তা কারক বলে। ক্রিয়ার সঙ্গে কে বা কারা যোগ করে প্রশ্ন করলে উত্তরে কর্তৃকারক পাওয়া যায়।
| 0.5 | 4,119.154452 |
20231101.bn_634018_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95
|
কারক
|
যাকে আশ্রয় করে কর্তা কাজ সম্পন্ন করে, তাকে কর্ম কারক বলে। ক্রিয়ার সঙ্গে কি বা কাকে দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তরে কর্ম কারক পাওয়া যায়।
| 1 | 4,119.154452 |
20231101.bn_634018_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95
|
কারক
|
যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয়, তাকে সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুযায়ী সম্প্রদান কারক বলে। একে নিমিত্ত কারক-ও বলা হয়। এখানে লক্ষণীয় যে, বস্তু নয় ব্যক্তিই সম্প্রদান কারক। ক্রিয়াকে কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা সম্প্রদান কারক। স্বত্বত্যাগ না করে কোনো জিনিস কাউকে উদ্দেশ্য করে দিলে সেটি কর্মকারক হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হয় না। এই বিভ্রান্তি এড়াতে বর্তমানে সম্প্রদান কারককে কর্ম কারকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
| 0.5 | 4,119.154452 |
20231101.bn_634018_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95
|
কারক
|
"করণ" শব্দটির অর্থ - যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা উপায়কেই করণ কারক বলে। বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে কিসের দ্বারা বা কি দ্বারা (কি দিয়ে) প্রশ্ন করলে উত্তরে করণ কারক পাওয়া যায়।
| 0.5 | 4,119.154452 |
20231101.bn_634018_11
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95
|
কারক
|
যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকে অপাদান কারক বলে।
| 0.5 | 4,119.154452 |
20231101.bn_634018_12
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95
|
কারক
|
যে পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সঙ্গে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সম্পর্ক নির্দেশ করে, তাকে সম্বন্ধ পদ বা সম্বন্ধ কারক বলে। ক্রিয়াপদের সঙ্গে এদের সম্পর্ক পরোক্ষ হয়। পূর্বে কারকে শ্রেণিভুক্ত না করা হলেও বর্তমানে একটি কারক হিসাবে বিবেচিত হয়, কারণ ক্রিয়ার সঙ্গে এদের সম্পর্ক বিদ্যমান।
| 0.5 | 4,119.154452 |
20231101.bn_4671_13
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE
|
চাকমা
|
এবং মুঘলদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। এবং কোম্পানীর শাসন মেনে না নিয়ে কোম্পানী কর্তৃক ধার্য নির্ধারিত খাজনা প্রদানে বিরত ছিলেন। ফলে কোম্পানির সাথে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের সূত্রপাত হয়, যা ১৭৮৭ সালপর্যন্ত চলেছিল। কোম্পানী চাকমা রাজের বিরুদ্ধে চারটি যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল। সেগুলো হল - ১৭৭০, ১৭৮০, ১৭৮২ এবং ১৭৮৫ সালের যুদ্ধ। যুদ্ধে কোম্পানী বিশেষ সুবিধে করতে না পারায় এবং চাকমা রাজ্যে বাণিজ্য অবরোধের ফলে সৃষ্ট সমস্যায় - দুই পক্ষই ১৭৮৫ সালে একটি শান্তি আলোচনা চালায়। চাকমা রাজের পক্ষে রাজা জানবক্স খান, শের দৌলত খানের পুত্র অংশ নেন। পরবর্তীতে ১৭৮৭ সালে কলকাতায় চাকমা রাজের সাথে কোম্পানীর একটি শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তি অনুযায়ী চাকমা রাজা কোম্পানীর আধিপত্য মেনে নেওয়ার পাশাপাশি বছরে ৫০০ মণ তুলা দেওয়ার প্রতিশ্রতি দেন, বিনিময়ে কোম্পানী চাকমা রাজার আঞ্চলিক
| 0.5 | 4,091.108943 |
20231101.bn_4671_14
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE
|
চাকমা
|
কোম্পানী জানবক্স খান কে চাকমাদের রাজা হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। এবং নিজ এলাকায় চাকমা রাজা রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
| 0.5 | 4,091.108943 |
20231101.bn_4671_15
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE
|
চাকমা
|
ব্রিটিশ রাজ, চাকমা রাজ্যের স্বতন্ত্র সার্বভৌমত্বকে মেনে নেবেন এবং একই সাথে সমতল থেকে অভিবাসনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
| 0.5 | 4,091.108943 |
20231101.bn_4671_16
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE
|
চাকমা
|
ব্রিটিশ রাজের সৈন্য চাকমা রাজ্যে নিয়োজিত থাকবে চাকমা রাজের রাজ্য অন্য পার্শ্ববর্তী জনগোষ্ঠীরর আক্রমণ থেকে রক্ষার্থে।
| 0.5 | 4,091.108943 |
20231101.bn_4671_17
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE
|
চাকমা
|
১৮২৯ সালে তখনকার চট্টগ্রামে কোম্পানির কমিশনার হ্যালহেড উল্লেখ করেন যে :The hill tribes were not British subjects but merely tributaries and we recognized no right on our part to interfere with their internal arrangements. The near neighbourhood of a powerful and stable government naturally brought the Chief by degree under control and every leading chief paid to the Chittagong collector a certain tribute or yearly gifts. These sums were at first fluctuating in amount but gradually were brought to a specific and fixed limit, eventually taking the shape not as tribute but as revenue to the state.জানবক্স খান তার রাজ্যের রাজধানী রাজানগরে সরিয়ে নেন, যা বর্তমান রাঙগুনিয়ার রানীরহাটে অবস্থিত। ১৮০০ সালে জানবক্স খানের মৃত্যুর পর তার পুত্র তব্বর খান রাজা হন, কিন্তু কিছু সময়ের ব্যবধানে তিনিও মারা গেলে, তার ছোট ভাই জব্বর খান রাজা হন। জব্বর খান ১০ বছর পর্যন্ত শাসন করেন। তার মৃত্যুর পর তারই সন্তান ধরম বক্স খান ১৮১২ সালে রাজা হন। ধরম বক্স খান ১৮৩২ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। ১৮৩২ সালে তার মৃত্যুর পর পুরুষ উত্তরাধিকারের অভাবে রাজ্য শাসনে অরাজকতা দেখা দেয়। ফলে কোম্পানীর হস্তক্ষেপে সুখলাল দেওয়ান কে অন্তর্বতীকালীন ম্যানেজার নিয়োগ দেয়া হয়। এই সময়কালে ধরম বক্স খানের বিধবা স্ত্রী রানী কালিন্দী কোম্পানীর কাছে রাজ্য পরিচালন ভার দেওয়ার আবেদন করেন। কোম্পানীর সরকার রানীর আবেদন গ্রহণ করে ১৮৪৪ সালে একটি আদেশ জারি করে। ১৮৬৪ সালে নতুন খাজনা ধার্য করা হয়, যার পরিমাণ দাঁড়ায় বছরে ১১, ৮০৩ টাকা।
| 1 | 4,091.108943 |
20231101.bn_4671_18
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE
|
চাকমা
|
সিপাহী বিদ্রোহের পরে ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ সরকার কোম্পানীর কাছ থেকে ভারত শাসন ভার নিয়ে নেয়, এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসনভার ও অন্তর্গত ছিল, যা তখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে চট্টগ্রাম থেকে আলাদা করা হয় নি। তবে, ব্রিটিশ সরকার নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানা নির্দেশ করে একটি প্রত্যাদেশ বাংলা ৬ শ্রাবণ ১১৭০ সনে জারি করেন। প্রত্যাদেশ অনুযায়ী ফেনী নদী হতে শঙ্খ নদীর মধ্যবর্তী সকল পাহাড় এবং চট্টগ্রামের নিজামপুর রোড হতে কুকি হিলস পর্যন্ত অঞ্চলকে চাকমা রাজের সীমানাভুক্ত করা হয়।
| 0.5 | 4,091.108943 |
20231101.bn_4671_19
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE
|
চাকমা
|
১৮৭৩ সালে রানী কালিন্দীর মৃত্যুর পর, তার প্রপৌত্র হরিশ চন্দ্র কারবারি চাকমা রাজা হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হন এবং রায় বাহাদুর উপাধী প্রদান করা হয়। ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে চাকমা সামরিক বাহিনী ক্রমে দুর্বল হয়ে পরে।
| 0.5 | 4,091.108943 |
20231101.bn_4671_20
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE
|
চাকমা
|
কুকি জনগোষ্ঠী, যারা আরো উত্তরের অঞ্চলে স্বাধীন ভাবে বসবাস করত, তারা ১৮৪৭, ১৮৪৮, ১৮৫৯ ও ১৮৬০ সালের দিকে ত্রিপুরা, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও রানী কালিন্দী শাসিত চাকমা অঞ্চলে একাধিকার আক্রমণ চালায়। এর ফলশ্রুতিতে, আক্রান্ত এলাকা রক্ষা এবং চাকমা ভূখণ্ড দখলে নেয়ার মানসিকতা থেকে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর, হিল ট্রাক্ট রেগুলেশন থেকে চাকমা শাসিত অংশটির অপসারন এবং একজন সুপারিন্টেনডেন্ট নিয়োগের সুপারিশ করেন। এই সুপারিশগুলো ১৮৬০ সালের XXII নং আইনে পাশ করানো হয়, এবং তা একই বছরের ১৮ অগাস্ট থেকে আইন হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। রানী কালিন্দী শাসিত চাকমা অঞ্চল কে প্রশাসনিক ভাবে চট্টগ্রাম থেকে আলাদা করে ফেলা হয়। এবং এই অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে একজন সুপারিন্টেনডেন্ট নিয়োগ করা হয় যার সদর দপ্তর ছিল বর্তমান রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনায়। এই সুপারিন্টেনডেন্ট এর অধিভুক্ত এলাকাকে, তখন থেকেই প্রথম বারের মত চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস হিসেবে নির্দেশ করা হয়। সুপারিন্টেনডেন্ট নিয়োগের পরবর্তী কয়েক বছর শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাটাই হয়ে দাড়ায় মূল কাজ।
| 0.5 | 4,091.108943 |
20231101.bn_4671_21
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE
|
চাকমা
|
১৮৬৯ সালে সুপারিন্টেনডেন্ট এর সদর দপ্তর চন্দ্রঘোনা থেকে রাঙামাটিতে স্থানান্তর করা হয়। স্থানান্তর করার আগেই সুপারিন্টেনডেন্ট পদটিকে ডেপুটি কমিশনারে রুপ দেয়া হয়। এবং তাকে এই অঞ্চলের রাজস্ব আদায় থেকে স্থানীয় শাসন ও বিচার ব্যবস্থার সর্বময় ক্ষমতা প্রধান করা হয়।
| 0.5 | 4,091.108943 |
20231101.bn_827_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE
|
দুর্গা
|
জাপানি দুর্গা বা “জুনতেই ক্যানন (Juntei Kannon)” ১৮ হাতের দুর্গা রূপ। মহাযান পরিব্রাজকদের হাত ধরে দেবীর এই রূপ জাপানে পৌঁছায় ৭০০ শতাব্দীর কাছাকাছি। ভারতের দ্রাবিড় সভ্যতায় মাতৃতান্ত্রিক দ্রাবিড় জাতির মধ্যে মাতৃদেবীর পূজার প্রচলন ছিল। আর্য সভ্যতায় প্রাধান্য ছিল দেবতাদের। অনার্য সভ্যতায় প্রাধান্য ছিল দেবীদের, তারা পূজিত হতেন আদ্যাশক্তির প্রতীক রূপে। সিন্ধু সভ্যতায় তথা ব্যবিলনীয় সভ্যতায় উল্লেখ পাওয়া যায় এই মাতৃ পূজার। মাতৃপূজাকেন্দ্রিক সংস্কৃতির আদি পর্ব থেকে শুরু সিংহবাহিনী দেবীর পূজা। মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয় সভ্যতায় খোঁজ পাওয়া যায় সিংহবাহিনী দেবী ইনান্না-র। কুশান সম্রাট কনিষ্কের মুদ্রাতেও খোঁজ পাওয়া যায় সিংহবাহিনী দেবী নানা-র। তুর্কমেনিস্তান ও আফগানিস্তানে প্রচলিত ছিল এই দেবীর মাহাত্ম্য। এখনও দেবী চণ্ডী “বিবি নানা” হিসেবে এইসব অঞ্চলে পূজিত হন।
| 0.5 | 4,087.735051 |
20231101.bn_827_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE
|
দুর্গা
|
শাক্ত ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণ হয় খ্রিষ্টীয় ৪০০ – ৫০০ অব্দের মধ্যবর্তী সময়ে। খ্রিষ্টীয় ৪০০ অব্দে রচিত হয় শাক্ত মহাপুরাণের অন্যতম গ্রন্থ দেবীমাহাত্ম্যম্। এই সময়েই মার্কণ্ডেয় পুরাণের ৮১-৯৩ অধ্যায়গুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় এই গ্রন্থ। দেবীমাহাত্ম্যম্ গ্রন্থেই প্রথম বিভিন্ন নারী দেবতা সংক্রান্ত নানান পুরাণ-কথা, সাংস্কৃতিক ও ধর্মতাত্ত্বিক উপাদানগুলি একত্রিত করা হয়। দেবীমাহাত্ম্যম্ গ্রন্থে বৈদিক পুরুষতান্ত্রিক দেবমণ্ডলীর সঙ্গে সম্ভবত খ্রিষ্টপূর্ব নবম অব্দ থেকে বিদ্যমান নৃতাত্ত্বিক মাতৃপূজাকেন্দ্রিক সংস্কৃতির এক সম্মিলনের প্রয়াস লক্ষিত হয়। এর পরবর্তী হাজার বছর এই ঐতিহ্য ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। মহাযান বৌদ্ধধর্মের হাত ধরে দেবী চণ্ডীর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ, চীন, জাপান, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তিব্বত, ভুটান, মালয়েশিয়া ও মঙ্গোলিয়ায়। কম্বোডিয়া আর ইন্দোনেশিয়া দেবী চণ্ডীর মাহাত্ম্য পূজিত হতে শুরু করে হিন্দু ধর্মের প্রসারের সাথে। অ্যাংকর যুগের (১০১০ শতাব্দের) পূর্বে কম্বোডিয়ায় মহিষাসুরমর্দিনীর পূজার প্রচলন ছড়িয়ে পরে হিন্দুধর্মের হাত ধরে। এই সময়ের যে দুর্গা মূর্তিগুলি কম্বোডিয়া থেকে উদ্ধারকমত হয়েছে, অধিকাংশ চতুর্ভুজা এবং মহিষাসুরমর্দিনী। মূর্তিগুলির বৈশিষ্ট্যাবলি যে এখানে মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা বিষ্ণুর মতো চতুর্ভুজা এবং শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম ধারণকারী।
| 0.5 | 4,087.735051 |
20231101.bn_827_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE
|
দুর্গা
|
জাভা ও ইন্দোনেশিয়ার অন্যান্য অংশ থেকে উদ্ধার হয়েছে অনেক মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তির প্রত্নতাত্ত্বিকধ্বংসাবশেষ। এই মূর্তিগুলো মধ্যে প্রাচীনতম তারিখ অনুমান অষ্টম শতাব্দীর। ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল জাভাতে রয়েছে নবম শতাব্দীর বিখ্যাত হিন্দু মন্দির প্রাম্বানান। এই মন্দিরে রয়েছে এক জগৎ বিখ্যাত মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি। এটি একটি ইউনেস্কো-স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, ইন্দোনেশিয়ায় বৃহত্তম হিন্দু মন্দির, এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বড় মন্দির প্রাঙ্গণ।১৫শ থেকে ১৬শ শতাব্দীর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় মহিষাসুরমর্দিনীর পূজা সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ইসলামের আগমনের পর দুর্গার আরাধনা পাড়ি জমায় আরও পূর্বদিকে হিন্দু বালিতে।
| 0.5 | 4,087.735051 |
20231101.bn_827_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE
|
দুর্গা
|
দুর্গাপূজা হল শক্তির অধিষ্ঠাত্রী পার্বতীদেবীর দুর্গা রূপের উপাসনার উৎসব। দুর্গাপূজা শরৎ (আশ্বিন) এবং বসন্ত (চৈত্র) ঋতুর শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। মার্কণ্ডেয় চণ্ডী অনুযায়ী, দুর্গাপূজার প্রথম প্রচলন হয়েছিল বসন্ত ঋতুতে রাজা সুরথ এবং বৈশ্য সমাধি কর্তৃক। দেবী ভাগবত ও কালিকাপুরাণে উল্লেখ আছে, শরৎকালে শ্রীরামচন্দ্র দেবী পার্বতীর দুর্গতিনাশিনী দুর্গা রূপের পূজা করেছিলেন রাবণ বধের নিমিত্তে; এজন্য একে, ‘অকালবোধন’ও বলা হয়ে থাকে।
| 0.5 | 4,087.735051 |
20231101.bn_827_11
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE
|
দুর্গা
|
পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ডে দুর্গাপূজা বহুলভাবে উদ্যাপন করা হয়; উত্তর ভারতে এটি নবরাত্রি হিসাবে পালন করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশের একাধিক রাষ্ট্র দুর্গাপূজা পালন করে এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরাও সকলে দুর্গাপূজা পালন করে। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন তথা ষষ্ঠীর থেকে আরম্ভ করে দশমী পর্যন্ত হয়ে থাকে এই দুর্গোৎসব। এই পাঁচ দিন যথাক্রমে দুর্গা ষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। এই পক্ষটিকে দেবীপক্ষ নামেও জানা যায়। পূর্ববর্তী অমাবস্যার দিন এই দেবীপক্ষের সূচনা হয়, একে মহালয়াও বলা হয়ে থাকে; আর পূর্ণিমার দিনটিকে লক্ষ্মী পূজার দিন হিসাবে গণ্য করা হয় ।
| 1 | 4,087.735051 |
20231101.bn_827_12
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE
|
দুর্গা
|
অর্থাৎ, ""দ" অক্ষরটি দৈত্য বিনাশ করে, উ-কার বিঘ্ন নাশ করে, রেফ রোগ নাশ করে, "গ" অক্ষরটি পাপ নাশ করে এবং অ-কার শত্রু নাশ করে। এর অর্থ, দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা।" অন্যদিকে শব্দকল্পদ্রুম বলেছে, "দুর্গং নাশয়তি যা নিত্যং সা দুর্গা বা প্রকীর্তিতা"। অর্থাৎ, যিনি দুর্গ নামে অসুরকে বধ করেছিলেন, তিনি সব সময় দুর্গা নামে পরিচিত। দেবী পার্বতী দেবগণের অনুরোধে ও শিবের আদেশে এক উগ্র রূপ ধারণ করে দুর্গম অসুর কে বধ করেন তাই তিনি দুর্গা নামে অভিহিত হন।
| 0.5 | 4,087.735051 |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.