_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
5.1k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
11.1k
20231101.bn_16380_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%93%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8
ওমান
আরবি ছাড়াও ওমানের দক্ষিণাংশে অনেকগুলি আধুনিক দক্ষিণী আরবি ভাষা প্রচলিত। এদের মধ্যে আছে জিব্বালি ভাষা, মেহরি ভাষা, হার্সুসি ভাষা এবং হবিয়ত ভাষা। এগুলি আরবির মতোই সেমিটীয় ভাষা, কিন্তু আরবি থেকে আলাদা।
0.5
3,845.345435
20231101.bn_16380_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%93%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8
ওমান
হর্মুজ প্রণালীর উপর অবস্থিত পর্বতময় মুসান্দাম উপদ্বীপে শিহু গোত্রের লোকেরা শিহ্‌হি নামের একটি ইরানীয় ভাষায় কথা বলে। ভাষাটিতে আরবির বড় প্রভাব দেখা যায়।
0.5
3,845.345435
20231101.bn_77189_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81
বিষ্ণু
পদ্মপুরাণের (৪র্থ-১৫দশ শতক) দশম অধ্যায়ে উল্লেখিত হয়েছে যে, ভীমের পুত্র এবং বিদর্ভদেশের রাজা দন্ত, অষ্টোত্তর শতনামে বিষ্ণু স্তুতি করে। এই অষ্টোত্তর শতনামে বিষ্ণুর প্রধান দশাবতার সহ বিষ্ণু বা ঈশ্বরের গুণ, মহিমা, লীলা বর্ণিত হয়েছে।
0.5
3,820.827888
20231101.bn_77189_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81
বিষ্ণু
গরুড় পুরাণের পঞ্চদশ অধ্যায়ে এবং মহাভারতের অনুশাসন পর্বে বিষ্ণুর ১০০০ নামের একটি করে স্তোত্র রয়েছে। এটি বিষ্ণু সহস্রনাম নামে ব্যাপক প্রচলিত। বিষ্ণু সহস্রনামে বিষ্ণু বা ঈশ্বরের গুণ, মহিমা, মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। এখানে বিষ্ণু বলতে সর্বব্যাপক, সর্বব্যাপ্ত পরমেশ্বরকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। বিষ্ণু সহস্রনামে বিষ্ণুর অন্যান্য যে নাম গুলো উল্লেখিত হয়েছে সেগুলো হলো:-
0.5
3,820.827888
20231101.bn_77189_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81
বিষ্ণু
সায়ণাচার্যের মতে, বেদের বিষ্ণু মূলত সূর্য বা সবিতা। তাই সূর্যদেবকে সূর্যনারায়ণ ও বলা হয়। সূর্যের সাথে এই সংযুক্তিটি মিত্র এবং অগ্নি নামক সহকর্মী বৈদিক দেবতাদের সাথে বিষ্ণুর বৈশিষ্ট্যকে অন্তর্ভুক্ত করে। বেদের বিভিন্ন স্তোত্রের মাধ্যমে জানা যায় এই দেবগণ "মানুষকে একত্রিত করে" এবং সমস্ত জীবকে জেগে ওঠতে, তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদন করতে অনুপ্রাণিত করে।
0.5
3,820.827888
20231101.bn_77189_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81
বিষ্ণু
সূর্যদেবের বার রবিবার হলো বিষ্ণুবার। বৈদিক স্তোত্রগুলিতে বিষ্ণুকে অন্যান্য দেবতা যেমন ইন্দ্রের সহিত আহ্বান করা হয়, বিষ্ণু ইন্দ্রকে বৃত্র নামক অশুভ অসুরকে হত্যা করতে সাহায্য করেন । সায়ণাচার্যের মতে, বেদে তাঁর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল সূর্যরশ্মির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। ঋঙ্মন্ডল ৭- এর দুটি ঋগ্বেদীয় স্তোত্র বিষ্ণুকে নির্দেশ করে। ঋগ্বেদের ৭/৯৯ সুক্তে বিষ্ণুকে দেবতা বলে সম্বোধন করা হয়েছে যিনি স্বর্গ ও পৃথিবীকে ধারণ করেন, এবং বিষ্ণুকে ইন্দ্রের সাথে স্তব করা হয় ।
0.5
3,820.827888
20231101.bn_77189_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81
বিষ্ণু
বিষ্ণুর দশ মুখ্য অবতারের সমষ্টিগত নামই দশাবতার। এই দশাবতারের কথা জানা যায় গরুড় পুরাণ থেকে। এই দশ অবতার মানব সমাজে তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তির ভিত্তিতে সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হন। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, প্রথম চার অবতারের আবির্ভাবকাল সত্যযুগ। পরবর্তী তিন অবতার ত্রেতাযুগে অবতীর্ণ হন। অষ্টম ও নবম অবতারের আবির্ভাবকাল যথাক্রমে দ্বাপরযুগ ও কলিযুগ। দশম অবতার কল্কির আবির্ভাব ৪২৭,০০০ বছর পর কলিযুগের অন্তিম পর্বে ঘটবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।
1
3,820.827888
20231101.bn_77189_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81
বিষ্ণু
৮. কৃষ্ণ - দ্বাপরযুগে জ্যেষ্ঠভ্রাতা বলরাম সাথে অবতীর্ণ। ভাগবত পুরাণ অনুসারে দ্বাপরযুগে অনন্ত নাগের অবতার বলরাম রূপে কৃষ্ণের সঙ্গে অবতীর্ণ হন। অধিকাংশ বৈষ্ণব শাখাসম্প্রদায় বলরামকে বিষ্ণুর অবতার বলে মনে করেন। যে সকল সূত্রে বুদ্ধের কোনো উল্লেখ নেই সেখানে বলরামকেই বিষ্ণুর নবম অবতার রূপে দশাবতারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
0.5
3,820.827888
20231101.bn_77189_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81
বিষ্ণু
পেরুমাল () বা তিরুমাল () অথবা মায়ন (তামিল সাহিত্য উল্লিখিত) হলেন তামিলনাড়ু এবং তামিলভাষী ও তামিল-অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহের তামিল হিন্দুদের প্রধানতম এবং প্রসিদ্ধ দেবতা। মূলধারার হিন্দুধর্মের সাথে দক্ষিণ ভারতীয় হিন্দুদেবতাদের সমন্বয় প্রক্রিয়ায় পেরুমাল হলেন ভগবান বিষ্ণুর দক্ষিণভারতীয় রূপভেদ। হিন্দুধর্মের অন্যতম বৈষ্ণব সম্প্রদায় শ্রী সম্প্রদায়ের অনুসারীরা পেরুমালকে তিরুপতিতে, বেঙ্কটেশ্বর এবং শ্রীরঙ্গমে শ্রীরঙ্গনাথস্বামী হিসেবে আরাধনা ও পূজা করে।
0.5
3,820.827888
20231101.bn_77189_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81
বিষ্ণু
যারা বিষ্ণুর উপাসনা করেন, তাদের বৈষ্ণব বলা হয়। শ্রীচৈতন্য বঙ্গদেশে গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তন করেন। সাহিত্য, চিত্রকলা, ভাস্কর্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিষ্ণু সুবিদিত। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন মন্দির ও জাদুঘরে বিষ্ণুর অনেক মূর্তি আছে।
0.5
3,820.827888
20231101.bn_77189_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81
বিষ্ণু
Patrick Olivelle. "The Date and Provenance of the Viṣṇnu Smṛti." Indologica Taurinensia, 33 (2007): 149-163.
0.5
3,820.827888
20231101.bn_3517_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
পদার্থবিজ্ঞান
মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) বিদুত্যের চৌম্বক ক্রিয়া নিয়ে কাজ করেন। তিনিই প্রথম উদ্ভাবন করেন যে, বিদুত্যের চৌম্বক ক্রিয়া রয়েছে। এরপর পদার্থবিজ্ঞানের মঞ্চে আবির্ভূত হন জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল (১৮৩১-১৮৭৯)। তিনি বিদ্যুৎ ও চৌম্বক ক্ষেত্রকে একীভূত করে চারটি অসাধারণ সূত্র প্রদান করে। এ সূত্রগুলোকে পদার্থবিজ্ঞানে ম্যাক্সওয়েলের সূত্র নামে পরিচিত। এ সূত্রগুলোকে পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম সেরা আবিষ্কার হিসেবে গণ্য করা হয়। এ সময় বেতার তরঙ্গ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় ও এর উপর গবেষণা চলে। বাঙালি বিজ্ঞানী আচার্য স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু (১৮৫৮-১৯৩৭) বেতার তরঙ্গ নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম। তিনিই প্রথম বিনা তারে একস্থান থেকে অন্যস্থানে বার্তা প্রেরণে সক্ষম হন। তবে তার এ আবিষ্কারের পেটেন্ট না করানোর কারণে তিনি নোবেল প্রাইজ থেকে বঞ্চিত হন। প্রায় একই সময় ইতালিয়ান বিজ্ঞানী গুগলিয়েলমো মার্কনিও বিনা তারে একস্থান থেকে অন্যস্থানে বার্তা প্রেরণ করেন। তিনি তার কাজের পেটেন্ট করানোর ফলে প্রথম স্বীকৃতভাবে রেডিও আবিষ্কার হিসেবে গণ্য হন। তাকে ১৯০৯ সালে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয়। এছাড়া ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে উইলহেলম রন্টজেন (১৮৪৫-১৯২৩) এক্স রে আবিষ্কার করেন। এ কাজের জন্য তিনি ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়া হেনরি বেকেরেল ও কুরি দম্পতি এ সময় তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে কাজ করেন। প্রমুখ বিজ্ঞানীদের হাত ধরেই এ সময় পদার্থবিজ্ঞান এগোতে থাকে।
0.5
3,781.663539
20231101.bn_3517_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
পদার্থবিজ্ঞান
পদার্থবিজ্ঞান শাস্ত্রের পরিপক্বতার সাথে সাথে প্রকৃতিতে পর্যবেক্ষণযোগ্য ভৌত ঘটনাগুলিকে এর কতগুলি বিশেষ বিশেষ শাখার অধীনে বণ্টন করে নেওয়া হয়েছে। যদিও পদার্থবিজ্ঞানের সমস্ত ক্ষেত্রগুলিকে একত্রে একক একটি তত্ত্বের অধীন হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে, এ ধারণাটি এখনও প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। পদার্থবিজ্ঞানের মূল শাখাগুলি এরকম:
0.5
3,781.663539
20231101.bn_3517_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
পদার্থবিজ্ঞান
চিরায়ত বলবিজ্ঞান: চিরায়ত বলবিজ্ঞানে বস্তুসমূহের উপর বলের ক্রিয়ার পদার্থ-বৈজ্ঞানিক মডেল আলোচিত হয়। এই মডেল নিষ্পত্তিমূলক (deterministic)। চিরায়ত বলবিজ্ঞানকে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের সীমা হিসবে গণ্য করা হয়, যদিও এটা প্রমাণ করা এখনও সম্ভব হয়নি। চিরায়ত বলবিজ্ঞানকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
0.5
3,781.663539
20231101.bn_3517_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
পদার্থবিজ্ঞান
আপেক্ষিক বলবিজ্ঞান, আলবার্ট আইনস্টাইন এবং তাঁর সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ও বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব অনুসারে।
0.5
3,781.663539
20231101.bn_3517_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
পদার্থবিজ্ঞান
কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান: এই শাখায় পারমাণবিক ও অতি-পারমাণবিক ব্যবস্থাসমূহ এবং বিকিরণের সাথে এদের সম্পর্ক পর্যবেক্ষণযোগ্য রাশির সাপেক্ষে আলোচনা করা হয়। কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের ভিত্তি পর্যবেক্ষণটি হচ্ছে সব ধরনের শক্তি কিছু বিচ্ছিন্ন এককের গুচ্ছ আকারে নিঃসরিত হয়, যে গুচ্ছগুলির নাম কোয়ান্টা (বহুবচনে)। কোয়ান্টাম তত্ত্বে পর্যবেক্ষণযোগ্য কণাগুলির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কেবল সম্ভাবনাভিত্তিক বা পরিসংখ্যানিক গণনা সম্ভব, এবং এগুলি তরঙ্গ ফাংশনের আকারে আলোচনা করা হয়।
1
3,781.663539
20231101.bn_3517_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
পদার্থবিজ্ঞান
তড়িৎ-চুম্বকত্ব : এই শাখায় তড়িৎ-চুম্বকীয় ক্ষেত্রের পদার্থবিজ্ঞান আলোচিত হয়। তড়িৎ-চুম্বকীয় ক্ষেত্র এমন একটি ক্ষেত্র যা সর্বত্র বিস্তৃত এবং বৈদ্যুতিক চার্জ-যুক্ত কণার উপর এটি বল প্রয়োগ করতে পারে। একইভাবে বৈদ্যুতিক আধানের উপস্থিতি ও চলন কোন তড়িৎ-চুম্বকীয় ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
0.5
3,781.663539
20231101.bn_3517_22
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
পদার্থবিজ্ঞান
পরিসংখ্যানিক বলবিজ্ঞান ও তাপগতিবিজ্ঞান: এই শাখাগুলিতে তাপ, কাজ ও এনট্রপি আলোচিত হয়। তাপগতিবিজ্ঞানে বড় আকারের (macroscopic) ব্যবস্থার শক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং এর উপর তাপমাত্রা, চাপ, আয়তন, যান্ত্রিক কাজ ইত্যাদির প্রভাব গবেষণা করা হয়। পরিসংখ্যানিক বলবিজ্ঞানে বৃহদায়তনিক (macroscopic) ব্যবস্থার ক্ষুদ্রায়তনিক (microscopic) উপাদানগুলিতে পরিসংখ্যানের পদ্ধতি প্রয়োগ করে তাপগতিবিজ্ঞানের বৃৃৃৃৃৃহদায়তনিক (macroscopic) দৃষ্টিভঙ্গি এবং চিরায়ত বা কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানে ব্যাখ্যাকৃত পদার্থের পারমাণবিক আচরণের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা হয়।
0.5
3,781.663539
20231101.bn_3517_23
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
পদার্থবিজ্ঞান
শব্দবিজ্ঞান (Acoustics) - কঠিন বস্তুর তরল পদার্থ, এবং গ্যাস (যেমন কম্পন এবং শব্দ হিসাবে) মধ্যে যান্ত্রিক তরঙ্গ অধ্যয়ন
0.5
3,781.663539
20231101.bn_3517_24
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
পদার্থবিজ্ঞান
জ্যোতির্বিজ্ঞান (Astronomy) - পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্ব এবং তার গঠন ও বিকাশের পাশাপাশি বিবর্তন, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, আবহাওয়াবিদ্যা এবং মহাকাশীয় বস্তুর গতি (যেমন ছায়াপথ, গ্রহ, নক্ষত্র,ধূমকেতু ইত্যাদি) এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে উৎপন্ন (যেমন হিসাবে মহাজাগতিক পটভূমি বিকিরণ) ঘটনাবলি।
0.5
3,781.663539
20231101.bn_682143_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AF%E0%A6%BC
আমাশয়
আমাশয় (Dysentery) মানব অন্ত্রে রোগজীবাণুর সংক্রমণজনিত রোগ। সাধারণত এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা (Entamoeba histolytica) কিংবা শিগেলা (Shigella) গণভুক্ত ব্যাকটেরিয়া মানবদেহের পরিপাক তন্ত্রে সংক্রমণ করলে এই রোগ হয়। অন্ত্রের সংশ্লিষ্ট অংশে প্রদাহের সৃষ্টি হয়, পেট ব্যথা করে এবং শ্লেষ্মা ও রক্তসহ পাতলা পায়খানা হতে থাকে। আমাশয় হলে পেট কামড়ানোসহ মলের সঙ্গে পিচ্ছিল আম অথবা শ্লেষ্মাযুক্ত রক্ত যায়।
0.5
3,756.541531
20231101.bn_682143_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AF%E0%A6%BC
আমাশয়
সংক্রমিত ব্যক্তির মল দ্বারা খাদ্য বা পানি দূষিত হলে আমাশয় ছড়িয়ে থাকে। প্রায়শই সংক্রমিত ব্যক্তিদের হাত পরিস্কার করে না ধুলে এমনটি হয়। শিগেলা নামক দণ্ডাণুর (দণ্ডাকৃতি ব্যাকটেরিয়া) কারণে ঘটিত আমাশয়কে শিগেলাধিক্য রোগ (শিগেলোসিস) বলা হয়। এই জাতীয় আমাশয় মৃদু প্রকৃতির হতে পারে, কিংবা হঠাৎ, গুরুতর ও জীবনঘাতী রূপ ধারণ করতে পারে। আমাশয়ের কারণে দেহ থেকে তরল পদার্থ বের হয়ে গিয়ে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়। পরবর্তী পর্যায়ে দীর্ঘস্থায়ী বৃহদন্ত্রের ঘা বা ক্ষত (আলসার) হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া নিরোধক ঔষধ (অ্যান্টিবায়োটিক), তরল প্রতিস্থাপন ও কখনও কখনও রক্ত পরিভরণ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এককোষী প্রাণীঘটিত তথা অ্যামিবাঘটিত আমাশয় এন্ট্যামিবা হিস্টোলাইটিকা নামক অণুজীবের কারণে ঘটে থাকে। অ্যামিবাঘটিত আমাশয় দুইটি রূপ ধারণ করতে পারে। একটি রূপ দণ্ডাকৃতি ব্যাকটেরিয়াঘটিত আমাশয়ের অনুরূপ, অন্যটি দীর্ঘস্থায়ী ও থেমে থেমে (সবিরাম) বিরতি দিয়ে ঘটে থাকে এবং বৃহদন্ত্রে ক্ষত সৃষ্টি করে। অ্যামিবানাশক ঔষধ দিয়ে এই ধরনের আমাশয়ের চিকিৎসা করা হয়। Md Ashfakur Rahman Khan Sarafat Sami
0.5
3,756.541531
20231101.bn_682143_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AF%E0%A6%BC
আমাশয়
আমাশয় দুই ধরনের হয়ে থাকে: অ্যামিবাঘটিত আমাশয় এবং দণ্ড-ব্যাকটেরিয়াঘটিত (ব্যাসিলারি) আমাশয়। এদের সংক্রমণের কারণ ভিন্ন, রোগের লক্ষণ ভিন্ন এবং চিকিৎসাও ভিন্ন।
0.5
3,756.541531
20231101.bn_682143_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AF%E0%A6%BC
আমাশয়
অ্যামিবাঘটিত আমাশয় (Amoebic dysentery, Amoebiasis) বড় ছেলে-মেয়েদের হয়ে থাকে কিন্তু ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এর প্রবণতা অত্যন্ত কম৷ পরিপাকতন্ত্রের বৃহদান্ত্রে এন্ট্যামিবা হিস্টোলাইটিকা নামক পরজীবীর সংক্রামণের ফলে এই রোগ হয়৷
0.5
3,756.541531
20231101.bn_682143_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AF%E0%A6%BC
আমাশয়
এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা নামীয় পরজীবীটি নিজের চারদিকে এক ধরনের আবরণ গঠন করে মাটিতে ও পানিতে বিচরণ করে৷ সাধারণতঃ দূষিত পানি এবং অপরিচ্ছন্ন খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা মানুষের পেটের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং বৃহদান্ত্রের সিকামের কাছাকাছি জায়গায় গিয়ে এর বাইরের আবরণটি খুলে ফেলে৷ এরপর পরজীবীটি বৃহদান্ত্রের গায়ে যে শ্লেষ্মাঝিল্লি আছে তা আকড়ে ধরে বাসা বাঁধে। পরজীবীটির দেহ থেকে এক প্রকার ক্ষতিকারক রস নিঃসরণ হয় যা অন্ত্রে গাত্রের শ্লেষ্মাঝিল্লিকে ভেঙে দেয়। আর এই ভেঙ্গে যাওয়া শ্লেষ্মাঝিল্লিতে এ্যমিবার আক্রমণে ক্ষতের সৃষ্টি হয়৷ শ্লেষ্মাঝিল্লির ঝরে পড়া অংশ মলের সঙ্গে নিঃসৃত হয় যাকে “আম” বলে আখ্যায়িত করা হয়। তলপেটে সাধারণত ডানপাশে চিনচিনে ব্যথা হয়৷ তলপেটের ডান পাশে সিকাম থাকে যা পরজীবীটির আক্রমণের মূল লক্ষ্য।
1
3,756.541531
20231101.bn_682143_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AF%E0%A6%BC
আমাশয়
রোগীর বারবার পাতলা পায়খানা হতে থাকে। মলের সঙ্গে মিউকাস (শ্লেষ্মাঝিল্লি) বা আম বেশি থাকে। রক্ত থাকলেও কম৷ সাধারণত ডানদিকের তলপেটে ব্যথা হয়৷
0.5
3,756.541531
20231101.bn_682143_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AF%E0%A6%BC
আমাশয়
যে কোন প্রকারের আমাশয়ে প্রথম করণীয় হলো খাওয়ার স্যালাইন গ্রহণ করা। অধিকন্তু রোগীকে প্রচুর বিশ্রাম নিতে হবে৷ ডিহাইড্রেশান প্রতিরোধের স্বার্থে প্রচুর পরিমাণে তরল ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে৷ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট মেট্রোনিডাজল (৪০০ মি.গ্রা.) ১টা দিনে ৩ বার করে ৫ দিন (পূর্ণ বয়স্কদের ক্ষেত্রে) খেতে হবে৷ ডাক্তার ওজন অনুযায়ী শিশুদের চিকিৎসা দেবেন।
0.5
3,756.541531
20231101.bn_682143_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AF%E0%A6%BC
আমাশয়
দণ্ডাণুঘটিত আমাশয় (ইংঃ Bacillary dysentery, Shigellosis) শিগেলা নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা অন্ত্রের সংক্রমণের কারণে হয়। এ রোগটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক হারে দেখা যায় এবং বহু লোকের মৃত্যুর জন্য এই রোগ দায়ী৷ দণ্ডাণুঘটিত আরেক নাম শিগেলাধিক্য রোগ বা শিগেলোসিস৷ শিগেলা নামে এক প্রকার ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে এই রোগটি হয়৷ শিগেলার চারটি প্রজাতির মধ্যে Shigella flexneri নামক প্রজাতিটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে আমাশয় ছড়ায়। এটি সবচেয়ে বেশি ছড়ায় জীবাণুবাহী আধোয়া হাত দিয়ে। জীবণুবাহী মাছি ও খাবারের মাধ্যমেও ছড়ায়। মলের সঙ্গে রক্ত বেশি যায় বলে এটিকে এক সময় রক্ত আমাশয় বলা হতো।
0.5
3,756.541531
20231101.bn_682143_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AF%E0%A6%BC
আমাশয়
২ থেকে ৫ বছরের শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়৷ এ রোগের প্রধান উৎস হলো রোগীর মল৷ মাছির মাধ্যমে রোগজীবাণু খাদ্য ও পানীয়তে সঞ্চারিত হয়৷ এ সকল দূষিত খাদ্য ও পানীয় পান করার ফলে রোগের সংক্রামণ হয়৷ শিগেলা জীবাণুটি মানুষের পেটে ঢুকে পাকস্থলী অতিক্রম করে চলে যায় ক্ষুদ্রান্ত্রে৷ সেখানে জীবাণুটি বংশবৃদ্ধি করে এবং বৃহদান্ত্রে ঘায়ের সৃষ্টি করে৷ ঝিল্লি ফুলে উঠে ও লাল হয়ে যায়৷ ঝিল্লিতে পুঁজের আবরণ পড়ে এবং ক্ষতের সৃষ্টি হয়৷ সামান্য আঘাতেই এই ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ হয়৷ তাই মলের সঙ্গে রক্ত যায়৷
0.5
3,756.541531
20231101.bn_266073_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AA
পরিমাপ
পদার্থবিদ্যার গাঠনিক উপাদান বা ব্লকসমূহকে ভৌত রাশি বলে যার মাধ্যমে পদার্থবিদ্যার সূত্রসমূহ প্রকাশ পায়। এই রাশি গুলোর মধ্যে রয়েছে বল, সময়, বেগ, ঘনত্ব, তাপমাত্রা, চৌম্বক সংবেদ্যতা,চাপ তাপ ইত্যাদি; এদের মধ্যে বল, তাপমাত্রা ইত্যাদি পদগুলো আমরা হরহামেশাই কথাবার্তার মধ্যে বললেও আমরা এদের বৈজ্ঞানিক অর্থকে না বুঝিয়ে ভিন্ন অর্থকে বোঝাই।
0.5
3,731.520397
20231101.bn_266073_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AA
পরিমাপ
পদার্থবিদ্যার ভিত্তি রাশিগুলোকে নিখুঁতভাবে এবং সুনির্দিষ্ট ভাবে সংজ্ঞায়িত করা খুবই জরুরী। কোন ভৌত রাশির সংজ্ঞা দেওয়া থাকলে রাশিটির পরিমাপ পদ্ধতি অবশ্যই দেওয়া থাকবে। এরূপ পরিমাপ পদ্ধতির সাথে গাণিতিক ক্রিয়াকলাপও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
0.5
3,731.520397
20231101.bn_266073_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AA
পরিমাপ
ভৌতভাবে উপলব্ধিযোগ্য বা পরিমাপযোগ্য যেকোনো পরিবেশগত বিষয়বস্তুকেই রাশি বলে। ভৌত রাশিকে সচরাচর মৌলিক (fundamenta) রাশি এবং লব্ধ (derived) রাশিতে ভাগ করা হয়। রাশির এই বিভাজন স্বেচ্ছাধীন (arbitrary) কারণ যে কোন ধরনের ক্রিয়াকলাপে (operation) একটি রাশিকে মৌলিক বিবেচনা করলে অন্য কোন ক্রিয়াকলাপে তা লব্ধ রাশি বিবেচিত হতে পারে। লব্ধ রাশি হল সেগুলো যাদের সংজ্ঞার ভিত্তি হল অন্যান্য ভৌত রাশি। বেগ, ত্বরণ, আয়তন প্রভৃতি হলো লব্ধ রাশি। মৌলিক রাশিকে অন্যান্য ভৌত রাশির মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা হয় না। মৌলিক রাশি হিসেবে স্বীকৃতি রাশির সংখ্যাও খুব বেশি নয়। যেমন— দৈর্ঘ্য ও সময় সহ মোট মাত্র সাতটি মৌলিক রাশি রয়েছে। মৌলিক রাশির সংজ্ঞা নির্ধারণে দুটি ধাপ রয়েছে। প্রথমত, একটি আদর্শ পছন্দ করা এবং দ্বিতীয়ত, এই আদর্শের সাথে তুলনা করে অন্য রাশির পরিমাপ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা যেন একটি এককযুক্ত সংখ্যা দ্বারা রাশিটির পরিমাপ পাওয়া যায়।
0.5
3,731.520397
20231101.bn_266073_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AA
পরিমাপ
একটা আদর্শিক (ideal) আদর্শের দুটি মুখ্য বৈশিষ্ট্য থাকে, যা অভিগম্য এবং অপরিবর্তিত। কিন্তু এই দুটি প্রয়োজনীয়তার মধ্যে কোন সঙ্গতি এবং তাই এদের মধ্যে একটা আপোস রফার প্রয়োজন। প্রথমে অভিগম্যতা উপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে অপরিবর্তিতার উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, সুপরিচিত গজ, ফুট ও ইঞ্চি সরাসরি মানুষের বাহু (হাত), পা ও বৃদ্ধাঙ্গুল থেকে উদ্ভূত হয়েছে। বর্তমানে দৈর্ঘ্যের এরূপ আনুমানিক পরিমাপ সন্তোষজনক নয় এবং এর বদলে সহজে পরিবর্তনীয় নয় এমন আদর্শ ব্যবহার করা হয়।
0.5
3,731.520397
20231101.bn_266073_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AA
পরিমাপ
ধরা যাক, দৈর্ঘ্যের আদর্শ হিসেবে একটা দণ্ড নির্বাচন করা হলো যার দৈর্ঘ্যকে এক মিটার হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। এখন দ্বিতীয় একটি দণ্ডের দৈর্ঘ্যকে আদর্শ দণ্ডটির সাথে সরাসরি তুলনা করে দেখা গেল যে এটার দৈর্ঘ্য প্রথমটির তিনগুন। তাহলে নিশ্চিত করে বলা যায় যে দ্বিতীয়টির দৈর্ঘ্য 3 মিটার। বাস্তবে অধিকাংশ রাশিকে প্রাথমিক আদর্শের সাথে সরাসরি তুলনা করে পরিমাপ করা যায় না। এরূপ ক্ষেত্রে পরোক্ষ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। কতিপয় স্বতঃসিদ্ধ তৈরি করে নেওয়া হয় যেগুলো প্রত্যক্ষ ক্রিয়াকলাপে পরোক্ষ পরিমাপের ফলাফলকে সম্পর্কযুক্ত করে।
1
3,731.520397
20231101.bn_266073_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AA
পরিমাপ
উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক, কোন নির্দিষ্ট সময়ে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে একটি রকেট লঞ্চিং স্টেশনের দূরত্ব জানা দরকার। এক্ষেত্রে দূরত্ব পরিমাপের জন্য পরোক্ষ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। পদ্ধতিটি এমন হতে পারে যে, (সচরাচর এমনটি হয়) স্টেশনে কোন প্রেরক যন্ত্র থেকে রাডার সংকেত প্রেরণ করা হলো যা চন্দ্রপৃষ্ঠ কর্তৃক প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে এবং প্রেরক স্টেশনে কোন গ্রাহক যন্ত্র কর্তৃক উদঘাটিত হয়। রাডার সংকেত প্রেরণ ও উদঘাটনের সময় ব্যবধানের অর্ধেকের সাথে সংকেতের দ্রুতি গুণ করলে রকেট স্টেশন হতে চন্দ্রপৃষ্ঠের দূরত্ব পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ব্যবহৃত স্বীকার্য হলঃ রাডার সংকেতের দ্রুতি ধ্রুবক এবং সংকেত সরল পথে গতি সম্পাদন করে। উপরন্তু এই সংকেতের দ্রুতি জানা থাকবে।
0.5
3,731.520397
20231101.bn_266073_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AA
পরিমাপ
জ্যোতির্বিদ্যা সম্মত দূরত্ব, যেমন পৃথিবী থেকে কোন নক্ষত্রের দূরত্ব সরাসরি নির্ণয় করা যায় না। এরূপ বৃহৎ দূরত্ব পরিমাপের জন্য পরোক্ষ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। আবার অতিশয় ক্ষুদ্র দূরত্ব যেমন পরমাণু বা অণুর অভ্যন্তরীণ কণাসমূহের পারস্পরিক দূরত্ব পরিমাপের ক্ষেত্রেও পরোক্ষ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রোটনের কার্যকর ব্যাসার্ধ পরিমাপে কণা বিক্ষেপণ পরীক্ষা ব্যবহার করে 1.2× 10−15 মিটার পাওয়া যায়।
0.5
3,731.520397
20231101.bn_266073_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AA
পরিমাপ
পরিমাপের একক, মৌলিক রাশি, লব্ধ রাশি, রাশির মাত্রা, এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি ইত্যাদি পরিমাপের বিভিন্ন আলোচ্য বিষয়সমূহের মধ্যে অন্যতম।
0.5
3,731.520397
20231101.bn_266073_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AA
পরিমাপ
এ ভৌত জগতে যা কিছু পরিমাপ করা যায় তাকে আমরা রাশি বলি। যেমন- দৈর্ঘ্য, ভর, সময়, বল ইত্যাদি রাশি কেননা এদেরকে পরিমাপ করা যায়। ভৌত জগতে এরূপ বহু রাশি আছে। এ রাশিগুলো প্রধানত দুই শ্রেণীতে বিভক্ত, যথা- মৌলিক রাশি ও যৌগিক বা লব্ধ রাশি।
0.5
3,731.520397
20231101.bn_89975_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BE
ভালভা
ভালভা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে গঠিত, যেমন: লেবিয়া মেজরা, লেবিয়া মাইনরা, মন্স পিউবিস, ক্লিটোরিস, ভেস্টিবিউলার বাল্ব, ভালভাল ভেস্টিবিউল, মেজর ও মাইনর ভেস্টিবিউলার গ্রন্থি, এবং ভ্যাজাইনাল অরফিস। ভালভার বিকাশ বেশ কয়েকটি ভাগে সম্পূর্ণ হয়।
0.5
3,726.64781
20231101.bn_89975_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BE
ভালভা
জীবন শুরুর প্রথম আট সপ্তাহে ছেলে ও মেয়ে ভ্রূণের প্রাথমিক প্রজনন ও যৌন অঙ্গগুলো একই থাকে, এবং মাতৃ হরমোগুলো এগুলোর বিকাশ নিয়ন্ত্রণ করে। ছেলে ও মেয়ের বৈশিষ্ট্যসূচক অঙ্গগুলো পৃথক হওয়া শুরু করে তখন, যখন ভ্রূন নিজের হরমোন নিজেই উৎপাদনে সক্ষম হয়। যদিও বারো সপ্তাহের আগে দেখে লিঙ্গ নির্ধারণ করা কষ্টসাধ্য।
0.5
3,726.64781
20231101.bn_89975_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BE
ভালভা
তৃতীয় মাসের শুরুতে জেনিটাল টিউবারকল ভগাঙ্কুরে পরিণত হয়। ইউরোজেনিটাল ভাঁজ হয় লেবিয়া মাইনরায় পরিণত হয় এবং লেবিওসক্রোটাল সুয়েলিংস হয় লেবিয়া মেজরা।
0.5
3,726.64781
20231101.bn_89975_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BE
ভালভা
জন্মের পর, শিশুর ভালভা (এবং স্তন কলা—দেখুন উইচেস দুগ্ধ) তুলনামূলকভাবে বড়ো ও স্পষ্টদর্শন থাকে, এবং এটা ঘটে কারণ অমরা থেকেই মায়ের কারণে শিশুর দেহে হরমোন ক্ষরণের সীমার বৃদ্ধি অপরিবর্তিত থাকে। পরবর্তী সময়ের চেয়ে ক্লিটোরিস তাই তুলনামূলকভাবে বড়ো থাকে। যখন এই হরমোন ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়, ভালভা ছোট হয়ে স্বাভাবিক আকৃতি ফিরে পায়।
0.5
3,726.64781
20231101.bn_89975_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BE
ভালভা
এক বছর বয়স থেকে বয়ঃসন্ধি শুরুর পূর্ব পর্যন্ত, শরীরের অন্যান্য স্থানের বৃদ্ধি/পরিবর্তনের তুলনায় ভালভাতে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় না।
1
3,726.64781
20231101.bn_89975_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BE
ভালভা
বয়ঃসন্ধি শুরুর পর থেকে ভালভাতে বেশ কতোগুলো পরিবর্তন আসে। এটি আগের তুলনায় আকার বড় ও আরও বেশি বাইরের দিকে প্রকাশিত হয়। এর রঙ পরিবর্তন হতে পারে এবং যৌনকেশ (পিউবিক হেয়ার) দেখা যায়। যৌনকেশের উপস্থিতি প্রথমে লেবিয়া মেজরায় দেখা যায়, পরবর্তীকালে তা মন্স পিউবিসে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া কিছুক্ষেত্রে উরুর ভেতরাংশে ও পেরিনিয়ামেও যৌনকেশের উপস্থিতি থাকতে পারে।
0.5
3,726.64781
20231101.bn_89975_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BE
ভালভা
প্রাকবয়ঃসন্ধিকালীন মেয়েদের ক্ষেত্রে ভালভা প্রাপ্তবয়স্ক সময়ের চেয়ে কিছুটা সম্মুখদিকে বেরিয়ে এসে অবস্থান করে। দাঁড়িয়ে থাকলে তাই লেবিয়া মেজরা ও পিউডেন্ডাল ক্লেফট-এর বেশখানিকটা অংশ দৃশ্যমান হয়। বয়ঃসন্ধির সময় মন্স পিউবিস-এর আকৃতি বৃদ্ধি ঘটে। লেবিয়া মেজরার সামনের অংশ পিউবিক অস্থি থেকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়, এবং দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তা ভূমির সাথে সমান্তরালে অবস্থান করে। মেদ কলার ভিন্নতাও এই পরিবর্তনে প্রভাব ফেলে।
0.5
3,726.64781
20231101.bn_89975_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BE
ভালভা
শিশু জন্মদানের সময় যোনি ও ভালভা অবশ্যই শিশুর মাথার আকৃতির প্রতি লক্ষ্য রেখে সে অনুযায়ী প্রসারিত হতে হয় (প্রায় ৯.৫ সেন্টিমিটার বা ৩.৭ ইঞ্চি)। এর ফলে যোনির প্রবেশমুখ, লেবিয়া ও ভগাঙ্কুর ছিড়ে যাবার সম্ভাবনাও থাকে। এই ছিড়ে যাওয়া রোধ করতে কিছু ক্ষেত্রে এপিসায়োটমি (পেরিনিয়াম কাটার শল্যচিকিৎসা) করা করা হয়, কিন্তু এটার প্রযোজ্যতা ও কর্মপদ্ধতি এখনো বিতর্কিত।
0.5
3,726.64781
20231101.bn_89975_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A6%BE
ভালভা
রজঃনিবৃত্তির সময় হরমোন ক্ষরণের সীমা কমে যায়, এবং এটা ঘটার ফলে প্রজনন কলা ও এসকল হরমোনের দ্বারা প্রতিক্রিয়াশীল অঙ্গগুলো আকৃতিতে ছোট হয়ে যেতে থাকে। মন্স পিউবিস, লেবিয়া, এবং ভগাঙ্কুর রজঃনিবৃত্তির পরে আকারে ছোট হয়ে যায়, তবে তা প্রাক-বয়ঃসন্ধি অবস্থার মতো নয়।
0.5
3,726.64781
20231101.bn_5534_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AA
সাপ
এখন পর্যন্ত যতোদূর জানা যায়, সাপের সর্বমোট ১৫টি পরিবার, ৪৫৬টি গণ, এবং ২,৯০০টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে। সুদূর উত্তর গোলার্ধের স্কান্ডিনেভিয়া থেকে দক্ষিণে একেবারে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত এদের বসবাসের বিস্তৃতি। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সকল মহাদেশেই সাপের উপস্থিতি দেখা যায়, তা হতে পারে সমুদ্রের গভীরতম তলদেশে অথবা পর্বতের সুউচ্চ শানুদেশে প্রায় ষোলো হাজার ফিট (৪,৯০০ মি) ওপরে হিমালয় পর্বতমালাতেও। আবার আশ্চর্যের ব্যাপার এমন কিছু দ্বীপ বা দ্বীপপুঞ্জ আছে যেখানে সাপের দেখা পাওয়া যায় না। যেমন আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড (যদিও নিউজিল্যান্ড এর জলে পেটের কাছে হলুদ রঙ্ এমন সামুদ্রিক সাপ আর ডোরাকাটা সামুদ্রিক ক্রেইট এর দেখা পাওয়া যায়)।
0.5
3,723.721804
20231101.bn_5534_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AA
সাপ
এদের আকার কখনও খুব ছোট, ১০ সে.মি. (থ্রেড সাপ) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ ফুট বা ৭.৬ মিটার (অজগর ও অ্যানাকোন্ডা) পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত টাইটানোবোয়া (Titanoboa) সাপের জীবাশ্ম প্রায় ১৩ মিটার বা ৪৩ ফুট লম্বা।
0.5
3,723.721804
20231101.bn_5534_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AA
সাপ
বিষধর হিসেবে বিখ্যাত হলেও বেশীরভাগ প্রজাতির সাপ বিষহীন হয় এবং যেগুলো বিষধর সেগুলোও আত্মরক্ষার চেয়ে শিকার করার সময় বিভিন্ন প্রাণীকে ঘায়েল করতেই বিষের ব্যবহার বেশি করে। কিছু সাপের বিষ মানুষের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা মৃত্যু ঘটায়। অনেক সময় সাপের বিষ মানুষের উপকারে আসে, যা বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সাপ একটি নিরীহ প্রাণী।
0.5
3,723.721804
20231101.bn_5534_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AA
সাপ
ইংরেজি snake শব্দটি এসেছে প্রাচীন ইংরেজি sanca থেকে, যা এসেছে প্রোটো জার্মানিক *sank-an- (cf. জার্মান Schnake "ring snake", এবং সুইডিশ snok "grass snake" থেকে। এছাড়া প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান শাখা (s)nēg-o- "to crawl, creep" (বুকে হাঁটা); এখান থেকে এসেছে এর সংস্কৃত নাম nāgá বা সাপ। সাপের অন্য একটি নাম serpent, একটি ফরাসি শব্দ, এটি এসেছে ইন্দো-ইউরোপিয়ান *serp- to creep এবং এখান থেকেই এসেছে সাপের গ্রীক নাম érpein (ερπω) ও সংস্কৃত নাম সর্প।
0.5
3,723.721804
20231101.bn_5534_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AA
সাপ
সাপের জীবাশ্ম (fossil) পাওয়া খুব দুরূহ, কারণ সাপের কঙ্কাল ছোটো এবং ভঙ্গুর, যার ফলে অশ্মীভবন (fossilization) খুব একটা হয় না। যদিও দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায় পাওয়া ১৫ কোটি বছরের পুরোনো নমুনা থেকে সাপের অস্তিত্ত্ব বোঝা যায়, যেটার গঠন বর্তমানকালের গিরগিটির মতো। তুলনামূলক শারীরস্থানবিদ্যার ওপর ভিত্তি করে এই ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে যে গিরগিটি থেকেই সাপের উৎপত্তি।
1
3,723.721804
20231101.bn_5534_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AA
সাপ
লিলিয়ান শ্রেণীবিন্যাসে আধুনিক কালের সকল সাপ স্কোয়ামান্টা বর্গের সার্পেন্টেস উপশ্রেণীভুক্ত, যদিও স্কোয়ামান্টার ভেতর তাদের রাখার বিষয়টি বিতর্কিত। সার্পেন্টেস বর্গের দুটি অধিবর্গ রয়েছে: Alethinophidia (অ্যালিথিনোফিডিয়া) ও Scolecophidia (স্কোলেকোফিডিয়া)। শারীস্থানিক বৈশিষ্ট্য ও মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ-এর সদৃশ্যতার ওপর ভিত্তি করে এই পৃথকীকরণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে কলুব্রইডে (কলুব্রয়েড সাপ) ও অ্যাক্রোকরডিডস অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে, অ্যালিথিনোফিডিয়াকে মাঝে-মধ্যে হেনোফিডিয়া ও সেনোফিডিয়া-এই দুভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া অন্যান্য অ্যালিথিনোফিডিয়ান পরিবার হেনোফিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত। যদিও এখন অস্তিত্ত্ব নেই, কিন্তু Madtsoiidae (ম্যাডসোইডে) নামক পরিবারের বৃহৎ, আদিম, এবং অনেকটা অজগরের মতো দেখতে সাপের অস্তিত্ত্ব প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়াতে ছিলো বলে জানা যায়, যার অনেকগুলো গণের মধ্যে একটা হচ্ছে ওনাম্বি।
0.5
3,723.721804
20231101.bn_5534_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AA
সাপ
স্থান দেওয়া-না দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন সূত্রে Boidae (বোইডে) ও Pythonidae (পাইথনিডে)-কে একই পরিবারভুক্ত হিসেবে শ্রেণীবিন্যাসে উল্লেখ করেছে।
0.5
3,723.721804
20231101.bn_5534_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AA
সাপ
সাপ প্রকৃতপক্ষে মানুষ শিকার করে না এবং সাপকে কোনো কারণে উত্তেজিত করা না হলে বা সাপ আঘাতগ্রস্থ না হলে তারা মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে। ব্যাতিক্রম ছাড়া কনস্ট্রিক্টর ও বিষহীন সাপগুলো মানুষের জন্য কোনো হুমকি নয়। বিষহীন সাপের কামড় মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়, কারণ তাদের দাঁত মূলত কোনো কিছ আঁকড়ে ধরা ও ধরে রাখার মতো। বর্ষার পানি মাটির গর্তে ঢুকলে বেঁচে থাকার জন্য সাপ বের হয়ে আসে এবং মানুষকে দংশন করতে পারে। বিষধর সাপ দংশনের লক্ষণগুলো হচ্ছে­ বমি, মাথাঘোরা, কামড়ানোর স্খানে ফোলা, রক্তচাপ কমে যাওয়া, চোখে ডাবল দেখা, ঘাড়ের মাংসপেশী অবশ হয়ে ঘাড় পেছনের দিকে হেলে পড়া। এমন হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। হাসপাতালে নেয়ার আগে আক্রান্ত জায়গা নাড়াচাড়া করা যাবে না। হাত বা পায়ে কামড় দিলে হাতের পেছনের দিকে কাঠ বা বাঁশের চটা বা শক্ত জাতীয় কিছু জিনিস রেখে শাড়ির পাড় বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে স্প্লিন্ট তৈরি করে বেঁধে দিতে হবে। আক্রান্ত জায়গা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে। লক্ষ রাখবেন বেশি টাইট করে বাঁধা যাবে না। বাঁধলে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়ে গ্যাংগ্রিন হতে পারে। বিষ শিরা দিয়ে নয়, লসিকাগ্রন্থি দিয়ে শরীরে ছড়ায়। সাপে কাটা রোগীকে ওঝা-বৈদ্য বা কবিরাজ না দেখিয়ে বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক চিকিৎসার জন্য নিকটস্খ হাসপাতালে নিয়ে যান। আক্রান্ত জায়গায় কাঁচা ডিম, চুন, গোবর কিছুই লাগাবেন না। এতে সেল্যুলাইটিস বা ইনফেকশন হয়ে রোগীর জীবনহানি ঘটতে পারে।
0.5
3,723.721804
20231101.bn_5534_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AA
সাপ
Da Nóbrega Alves RR, Da Silva Vieira WL, Gomes Santana G. 2008. Reptiles used in traditional folk medicine: conservation implications. Biodiversity and Conservation vol. 17(8): 2037-2049. Summary at SpringerLink. Accessed 22 January 2009.
0.5
3,723.721804
20231101.bn_17774_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE
মক্কা
তবে দূর দূরান্ত থেকে সকল ধর্মের মানুষ কাবা প্রদক্ষিণ করতে আসত। এই প্রথা অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল, এখনও আছে। আর যেহেতু মক্কায় রক্তপাত নিষিদ্ধ বলে একটা অলিখিত নিয়ম ছিলই, তাই বিনা দাঙ্গায় ব্যবসা করার জন্য খুব আদর্শ জায়গা ছিল সেটি। আর হজ্বের মৌসুমে আগতদের সাথে ব্যবসা করে ফুলে-ফেঁপে ধনী হয়ে যেত মক্কার ব্যবসায়ীরা।
0.5
3,705.27455
20231101.bn_17774_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE
মক্কা
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ হলেও মুসলিমদের কাছে পবিত্র দুটো নগরী হলো মক্কা আর মদিনা। তৃতীয় পবিত্র নগরী জেরুজালেম।মক্কা মূলত পবিত্র কাবার শরিফের কারণেই পরিচিত। কাবা শব্দের অর্থ ‘ঘনক’, ‘কিউব’। কালো ঘরটার ঘনক আকৃতির কারণেই এই নাম। চার হাজার বছর আগে এই মক্কার আশপাশের অঞ্চল ছিল জনবিরল মরুভূমি।
0.5
3,705.27455
20231101.bn_17774_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE
মক্কা
আদি ইসলামিক সূত্র অনুযায়ী ইহুদী, খ্রিস্টান আর ইসলাম ধর্মের পিতা নবী আব্রাহাম/হযরত ইব্রাহিম (আ)-কে তাঁর স্ত্রী সারাহ ঈর্ষান্বিত হয়ে হাজেরার শিশুপুত্র ইসমাইল (আ)-কে মা-সহ চোখের আড়াল করতে অনুরোধ করেন। আল্লাহ্‌র আদেশে ইব্রাহিম (আ) ইসমাইল (আ)-কে তাঁর মা হাজেরাসহ এই মক্কার বিরান ভূমিতে রেখে আসেন, যদিও পুত্রবিচ্ছেদে তাঁর প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছিল। সেখানে বুখারি শরিফ মতে ফেরেশতা জিবরাঈলের (আঃ) ডানার আঘাতে ‘জমজম’ কূপ সৃষ্টি হয়। বিরান মরুর বুকে পানির সন্ধান পেয়ে ঐ এলাকায় লোক জড়ো হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে এই জায়গায় লোকালয় গড়ে ওঠে। ইসমাইলের নামানুসারে এই জনগোষ্ঠীকে বলা হত ইসমাইলাইট/ইসমাইলি। হযরত ইসমাইল (আ) তাদের কাছেই আরবি শেখেন, যেহেতু তাঁর মাতৃভাষা আরবি ছিল না।
0.5
3,705.27455
20231101.bn_17774_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE
মক্কা
ইসলামি সূত্র মতে, ইসমাইল বড় হবার পর হযরত ইব্রাহীম (আ) মক্কায় আসেন এবং আল্লাহ্‌র আদেশে এখানে কাবার নির্মাণ শুরু করেন পুত্রের সাথে। (মক্কার প্রাচীন নাম ছিল বাক্কা, আর মদিনার আগের নাম ছিল ইয়াসরিব) কাবার প্রাথমিক গঠন নির্মাণ শেষে একজন ফেরেশতা তাঁর কাছে অপার্থিব ‘সাদা’ পাথর নিয়ে আসেন, যেটা কাছের আবু-কুবাইস পর্বতের উপর আকাশ থেকে পতিত হয়েছিল (উল্কাপিণ্ড)। সেটা কাবার পূর্ব কোণে স্থাপন করে দেয়া হয়। আবার কোনো মতে, হযরত আদম (আ) নিজেই এ পাথর নিয়ে আসেন বেহেশত থেকে। কালের বিবর্তনে সেই সাদা পাথর কালো হতে থাকে এবং এটি এখন ইসলাম ধর্মের খুব গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র বস্তু। সত্যি বলতে, বর্তমান কাবাঘরে সেই আদি কাবার কিছুই অবশিষ্ট নেই, কেবল দুটো পাথর ছাড়া। একটি হলো সেই পাথর, যাকে ‘হাজরে আসওয়াদ’ বলে, যার অর্থ ‘কালো পাথর’। আরেকটি হলো সেই পাথর, যেটিতে হযরত ইব্রাহীম (আ) এর পায়ের ছাপ আছে, যেটির উপর দাঁড়িয়ে তিনি নির্মাণকাজ পরিচালনা করতেন বলে বর্ণিত আছে। এর নাম ‘মাকামে ইব্রাহীম’।
0.5
3,705.27455
20231101.bn_17774_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE
মক্কা
৫৭০ সালে আব্রাহার হস্তিবাহিনীর আক্রমণের সময় কাবা রক্ষার অলৌকিক ঘটনার বিস্তারিত ঘটনা রোর বাংলার আরেকটি পোস্টে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে বিধায় এ পোস্টে আমরা পরের ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা করব। আগ্রহীগণ হাতিবাহিনী ধ্বংসের ঘটনা পড়তে এ লিংকে ক্লিক করতে পারেন।
1
3,705.27455
20231101.bn_17774_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE
মক্কা
৬০৫ সালে হযরত মুহাম্মাদ (সা) এই কালো পাথর নিয়ে একটি কোন্দল সমাধান করে দেন, যখন আগুনে কাবা পুড়ে গিয়ে অনেক ক্ষতি সাধিত হয়েছিল। নিজের হাতে তিনি পাথরটি পুনঃস্থাপন করেন কাবাতে। এখন সেই কালো পাথর রুপালি ফ্রেমে আবদ্ধ করে কাবার কোনে লাগানো আছে। এখান থেকে একটি দীর্ঘ লাইন মেঝেতে দাগ কাটা আছে অনেক দূর পর্যন্ত। এ লাইন থেকে শুরু করে একবার ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরে আবার ঐ লাইনে আসা হলো একবার তাওয়াফ। এভাবে সাতবার তাওয়াফ করতে হয়। এটি হজ্বের একটি অংশ এবং হজ্ব মৌসুম বাদে ওমরাতেও এভাবে তাওয়াফ করতে হয়। প্রাচীনকালে বনী ইসরাঈলের লোকেরাও হুবহু এভাবে ঘুরে ঘুরে জেরুজালেমে তাওয়াফ করত বলে ইহুদী পণ্ডিতগণ জানিয়েছেন।
0.5
3,705.27455
20231101.bn_17774_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE
মক্কা
ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী এই পাথরে চুমু খেলে পাপমোচন হয়। তাই এই পাথরের সামনে সবসময়ই জটলা থাকে, কিংবা থাকে লম্বা লাইন, সবাই চুমু খাওয়ার জন্য উদগ্রীব।
0.5
3,705.27455
20231101.bn_17774_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE
মক্কা
কাবার এই কালো পাথরের উৎস নিয়ে অমুসলিমগণ যে গবেষণা করেননি তা না। কেউ বলেছেন এটি বিরল প্রজাতির পাথর, কেউ বলেছেন উল্কাপিণ্ড। কিন্তু এই পাথরের পানিতে ভাসতে পারার বৈশিষ্ট্য এরকম অনেক হাইপোথিসিস বাতিল করে দিয়েছে। এখনও এর উৎস শতভাগ নিশ্চিত করা যায়নি। কেউ কেউ ‘আরবের আটলান্টিস’ বলে পরিচিত বালির নিচে ডুবে থাকা পৌরাণিক ‘ইরাম’ নগরীর সাথে এই পাথরের সম্পর্ক খুঁজতে চেয়েছেন।
0.5
3,705.27455
20231101.bn_17774_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE
মক্কা
মক্কা নগরীতে খুবই ঘন জনবসতি। মক্কার দীর্ঘ মেয়াদের স্থায়ী বাসিন্দারা পুরাতন শহরে বাস করে এবং অনেকেই হজ্বের কাজ করে যা স্থানীয়ভাবে হজ্বশিল্প নামে পরিচিত।
0.5
3,705.27455
20231101.bn_1169_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE
আর্জেন্টিনা
মেন্দোসা প্রদেশে অবস্থিত আকোনকাগুয়া আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ পর্বত। এটি সমুদ্রতল থেকে ( উচ্চতায় অবস্থিত। এছাড়াও আকোনকাগুয়া দক্ষিণ গোলার্ধ ও পশ্চিম গোলার্ধের সর্বোচ্চ পর্বত।
0.5
3,681.538861
20231101.bn_1169_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE
আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার সর্বনিম্ন বিন্দু হচ্ছে সান্তা ক্রুস প্রদেশে অবস্থিত লাগুনা দেল কার্বন, যা সান হুলিয়ান বৃহত্‌ অবনমনের একটি অংশ। এটি সমুদ্র সমতল থেকে ( নিচে অবস্থিত। এছাড়াও এটি দক্ষিণ গোলার্ধ ও পশ্চিম গোলার্ধের সর্বনিম্ন বিন্দু, এবং পৃথিবীর ৭ম সর্বনিম্ন বিন্দু।
0.5
3,681.538861
20231101.bn_1169_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE
আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার উত্তরতম বিন্দুটি রিও গ্রান্দে দে সান হুয়ান ও রিও মোহিনেতে নদী দুটির সঙ্গমস্থলে, হুহুই প্রদেশে অবস্থিত। দেশটির দক্ষিণতম বিন্দু হল তিয়ের্‌রা দেল ফুয়েগো প্রদেশের সান পিও অন্তরীপ। সর্বপূর্ব বিন্দুটি মিসিওনেস প্রদেশের বেরনার্দো দে ইরিগোইয়েন শহরের উত্তর-পূর্বে এবং সর্বপশ্চিম বিন্দুটি সান্তা ক্রুস প্রদেশের লোস গ্লাসিয়ারেস জাতীয় উদ্যানের মধ্যে পড়েছে।
0.5
3,681.538861
20231101.bn_1169_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE
আর্জেন্টিনা
উত্তর থেকে দক্ষিণে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য প্রায় ; এর বিপরীতে পূর্ব থেকে পশ্চিমে দেশটির সর্বোচ্চ প্রশস্ততা প্রায় .
0.5
3,681.538861
20231101.bn_1169_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE
আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার প্রধান প্রধান নদীর মধ্যে রয়েছে পারানা নদী ও উরুগুয়াই নদী (নদী দুটি একত্র হয়ে রিও দে লা প্লাতা নদী গঠন করেছে), সালাদো নদী, রিও নেগ্রো নদী, সান্তা ক্রুস নদী, পিকোমাইয়ো নদী, বের্মেহো নদী ও কোলোরাদো নদী। এই সব নদীর পানি আর্জেন্টিনীয় সাগরে গিয়ে পড়েছে। আটলান্টিক সাগরের যে অগভীর অংশটি আর্জেন্টিনীয় শেলফ বা সমুদ্র-তাকের উপরে অবস্থিত, তাকেই আর্জেন্টিনীয় সাগর নামে ডাকা হয়। এটি একটি অস্বাভাবিকভাবে প্রশস্ত মহাদেশীয় মঞ্চ। এই সাগরের পানি দুইটি প্রধান মহাসাগরীয় স্রোতের প্রভাবাধীন: উষ্ণ ব্রাজিল স্রোত এবং শীতল ফকল্যান্ডস স্রোত।
1
3,681.538861
20231101.bn_1169_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE
আর্জেন্টিনা
দক্ষিণে অবস্থিত ইসলা গ্রান্দে দে তিয়েররা দেল ফুয়েগো নামক দ্বীপের পূর্ব অর্ধাংশ আর্জেন্টিনার অন্তর্গত। এছাড়াও পূর্বের বেশ কিছু সামুদ্রিক দ্বীপ যেমন ইসলা দে লোস এস্তাদোস আর্জেন্টিনার অধীন।
0.5
3,681.538861
20231101.bn_1169_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE
আর্জেন্টিনা
২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ীে মোট জনসংখ্যা ৪০,১১৭,০৯৬ জন, যা ২০০১ সাল থেকে ৩৬,২৬০,১৩০ জন বেশি। মোট জনসংখ্যায় আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকায় তৃতীয়, ল্যাটিন আমেরিকায় চতুর্থ এবং বিশ্বব্যাপী ৩৩তম। এর জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটার ভূমি এলাকায় ১৫ জন, যা বিশ্বের গড় ৫০ জনের চেয়ে অনেক কম। ২০১০ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ছিল আনুমানিক ১.০৩%, প্রতি ১,০০০ জন বাসিন্দার মধ্যে জীবিত জন্মের হার ১৭.৭ এবং প্রতি ১,০০০ জন বাসিন্দার মধ্যে মৃত্যুর হার ৭.৪।
0.5
3,681.538861
20231101.bn_1169_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE
আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনা মূলত খ্রিষ্ট প্রধান দেশ। আর্জেন্টিনার ৯১% মানুষ খ্রিস্টান ২% মুসলমান ৪% হিন্দু বাকি সব অন্যান্য ধর্মের লোক সেখানে বসবাস করেন।
0.5
3,681.538861
20231101.bn_1169_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE
আর্জেন্টিনা
রাউল আলফোনসিন (Raúl Alfonsín) ১৯৮৩ সালের আর্জেন্টিনার সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি একনায়কতান্ত্রিক প্রোসেসো (Proceso) পর্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের পক্ষে প্রচারণা চালান। এর ফলশ্রুতিতে আলফোনসিনের শাসনামলে সামরিক জান্তা এবং অন্যান্য সামরিক আদালতের বিচার হয়, যাতে সামরিক ক্যু-এর সমস্ত নেতাদের শাস্তি হয়। তবে সামরিক চাপের মুখে আলফোনসিন ১৯৮৬ সালে শেষ বিন্দু বা “পুন্তো ফিনাল” ও ১৯৮৭ সালে প্রাপ্য আনুগত্য বা “ওবেদিয়েন্সিয়া দেবিদা” নামের আইন দুটি প্রবর্তন করেন যার ফলে নিম্নস্তরের কর্মচারীদের বিচার রহিত হয়।
0.5
3,681.538861
20231101.bn_92390_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%83%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC
রজঃস্রাব
রজঃস্রাব শুরু হয় কিশোরীরা যখন বয়:সন্ধিতে উপনীত হয়। এরপর রজ:চক্র দীর্ঘদিন চলতে থাকে। নারী প্রৌরত্বে উপনীত হলে তা বন্ধ হয়ে যায় যাকে বলা হয় রজ:ক্ষান্তি (ইংরেজি: Menopause)। প্রথমে রজ:স্রাবের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং রজ:স্রাবের সময় পরিধি কমে আসে। এক সময় রজ:স্রাব সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে নারী দেহে নানা রকম উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়। মনোপজ বা রজ:ক্ষান্তি যাওয়া মহিলাদের জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়। সাধারণতঃ ৪৩ থেকে শুরু করে ৫৩ বৎসরের মধ্যে নারীর জীবনে রজ:ক্ষান্তি অধ্যায়ের শেষ হয়। নারীর বয়স ৪০ পার হওয়ার পর থেকে ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। প্রত্যেক মহিলার তলপেটে জরায়ুর দু’ধারে দুটি ডিম্বাশয় থাকে। এর কাজ হল ডিম্বস্ফুটন এবং হরমোন নিঃসরণ। বেশিরভাগ মেয়েলি হরমোন ইসট্রোজেন ও প্রজেসটেরন, পুরুষের হরমোন টেসটোসটেরন সামান্য নিঃসরণ হয়। রজঃস্রাব শুরুর পর থেকে প্রতি মাসে একেকটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বস্ফুটন হয় ও হরমোনগুলো বের হতে থাকে। ৪০ বছরের পর থেকে হরমোন নিঃসরণ কমতে থাকে। প্রভাব পড়ে শরীর ও মনে। এ স্বাভাবিক ঘটনায় মন খারাপ করার কিছু নেই।
0.5
3,675.37427
20231101.bn_92390_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%83%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC
রজঃস্রাব
রজ:ক্ষান্তি শুরুর সঙ্গে-সঙ্গে মহিলাদের জীবনে শারীরিক ও মানসিক নানা ধরনের পরিবর্তন বা উপসর্গ দেখা দেয়। মাসিকে অনিয়ম, হঠাৎ করেই মাথা গরম বা হট ফ্লাস, বুক ধড়ফড়, অতিরিক্ত ঘুমানো, অনিদ্রা, প্রস্রাবে সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া বা মুড চেঞ্জ ইত্যাদি হতে পারে। জীবনধারা বা লাইফস্টাইলের পরিবর্তন দ্বারা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
0.5
3,675.37427
20231101.bn_92390_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%83%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC
রজঃস্রাব
এ সময় ঋতুচক্র বা মাসিক চক্রের পরিবর্তন হয়। কখনোবা একটু বেশি রক্তস্রাব, কখনোবা কম রক্তস্রাব যেতে পারে। অনেকদিন ধরে অল্প ফোঁটা ফোঁটা রক্ত যেতে পারে। কমপক্ষে সাধারণত ছয় মাস একটানা রক্তস্রাব বন্ধ থাকলে ধরে নেয়া যায় যে মেনোপজ হয়ে গেছে।
0.5
3,675.37427
20231101.bn_92390_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%83%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC
রজঃস্রাব
মেনোপজ হওয়ার প্রথম বছরগুলোতে হট ফ্লাশ বা মুখ-কান-ঘাড়-মাথা দিয়ে গরম ভাপ বের হয়। শতকরা ৭৫ ভাগ মহিলা এ হট ফ্লাশে ভুগে থাকেন এবং সেই সঙ্গে গা ঘামতে শুরু করে। সাধারণত রাতের বেলায় এ ঘাম বেশি বের হয়। প্রথম বছরে বেশি হয়, সাধারণত পাঁচ বছর পর্যন্ত হতে পারে। শরীর অবসাদবোধ হয় এবং মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়। অনিদ্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে ক্লান্তি নেমে আসে।
0.5
3,675.37427
20231101.bn_92390_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%83%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC
রজঃস্রাব
ইস্ট্রোজেন হরমোন মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের গ্রন্থিগুলোকে প্রভাবিত করে থাকে। তাই মেনোপজ হলে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতির কারণে হট ফ্লাশ হয়ে থাকে। এ কারণে ইস্ট্রোজেন হরমোন প্রতিস্থাপন করে এর চিকিৎসা করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে। মুখে ঠাণ্ডা পানি দিলে এবং ঠাণ্ডা পানি খেলে আরামবোধ হয়। কফি, গরম চা, সিগারেট, জর্দা এগুলো খেলে হট ফ্লাশ আরও বেড়ে যায়। ভিটামিন ‘বি’সমৃদ্ধ খাবার যেমন আটা, ওটমিল, ব্রকোলি, ফুলকফি, মাশরুম, বাদাম, সূর্যমুখী বীজ, মটরশুঁটি, কিশমিশ, কলা, লাল আলু, পালংশাক ইত্যাদি খাবার খাওয়া উচিত।
1
3,675.37427
20231101.bn_92390_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%83%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC
রজঃস্রাব
হট ফ্লাশ বা রাতে ঘামের কারণে অনেকের ভালো ঘুম হয় না। এছাড়াও অনেকের রাতে ঘুম ভেঙে গেলে আর ঘুম আসতে চায় না। সেই সঙ্গে নানা রকম টেনশন বাড়তে থাকে। এ কারণে সারাদিন ক্লান্তিবোধ হয়। ঘুমের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে পারেন। রাতে হালকা খাবার খাবেন, তেল-মশলাদার খাবার না খাওয়াই ভালো। সিগারেট, জর্দা, অ্যালকোহলের অভ্যাস থাকলে বাদ দিতে হবে। ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ভালো ঘুম হবে। মধু-পানি খেলে একটু উপকার পাওয়া যেতে পারে।
0.5
3,675.37427
20231101.bn_92390_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%83%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC
রজঃস্রাব
হট ফ্লাশের সঙ্গে বুক ধড়ফড় করতে পারে। তবে হার্টের বা অন্যান্য অসুস্থতার কারণেও বুক ধড়ফড় করতে পারে। কাজেই এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
0.5
3,675.37427
20231101.bn_92390_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%83%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC
রজঃস্রাব
রজঃক্ষানিত হলে কারোকারো স্মৃতিশক্তি কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। মস্তিষ্কের সজীবতা বজায় রাখার জন্য ইস্ট্রোজেন হরমোন জরুরি। এ হরমোন ঘাটতির ফলে সোজা জিনিস অনেক সময় ভুলে যায়। বিশেষ করে যারা অযথাই টেনশন বেশি করে তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি হয়। কলা, তিল, তিসি বীজ, সবুজ শাকসবজি বেশি করে খাওয়া উচিত।
0.5
3,675.37427
20231101.bn_92390_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%83%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC
রজঃস্রাব
ইস্ট্রোজেনের অভাবে ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস বা যোনিপথের শুষ্কতা অনেকেরই হয়ে থাকে। এজন্য সহবাসে জ্বালা হতে পারে। বাজারে কিছু অ্যাকুয়াবেজড জেলি পাওয়া যায়, এগুলো সহবাসের আগে ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে ইস্ট্রোজেন ভ্যাজাইনাল ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
0.5
3,675.37427
20231101.bn_33976_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4
বৃত্ত
১৭০০ খ্রিষ্টপূর্ব: মিশরীয় রাইন্ড ম্যাথমেটিক্যাল প্যাপিরাসে (ইংরেজি: Rhind Mathemetical Papyrus) বৃত্তের ক্ষেত্রফল নির্ণয় একটি পদ্ধতি লিপিবদ্ধ হয় । এতে ২৫৬/৮১(৩.১৬০৪৯....)কে π এর আনুমানিক মান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
0.5
3,655.497123
20231101.bn_33976_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4
বৃত্ত
৩০০ খ্রি. পূ:- ইউক্লিডের এলিমেন্টসের তৃতীয় গ্রন্থে বৃত্তের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
0.5
3,655.497123
20231101.bn_33976_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4
বৃত্ত
প্লেটোর "সপ্তম পত্রে" বৃত্তের বিস্তারিত সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা আছে। প্লেটো একটি নিখুঁত বৃত্ত ব্যাখ্যা করেছেন এবং কীভাবে এটি কোনো অঙ্কন, শব্দ, সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা থেকে ভিন্ন তা ব্যাখ্যা করেছে।
0.5
3,655.497123
20231101.bn_33976_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4
বৃত্ত
১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দ: লিন্ডেমান প্রমাণ করেন যে π একটি অতীন্দ্রিয় বা অপ্রত্যক্ষ সংখ্যা। এর ফলে হাজার বছর ধরে চলে আসা বৃত্তকে বর্গ রূপান্তরের সমস্যাটির সুরাহা ঘটে।
0.5
3,655.497123
20231101.bn_33976_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4
বৃত্ত
প্রমাণ করা যায় যে বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত হলো একটি ধ্রুবক সংখ্যা। একে গ্রিক শব্দ (পাই) বলা হয়। একটি অমূলদ সংখ্যা ও এটি ট্রান্সেনডেন্টাল সংখ্যা। অর্থাৎ একে কখনোই কোনো বীজগাণিতিক সমীকরণের মূলরূপে প্রকাশ করা যাবে না। সমতলে অবস্থিত বৃত্তের ক্ষেত্রে এর মান প্রায় ৩.১৪১৫৯২৬৫৪। পরিধির দৈর্ঘ্য C, ব্যাসার্ধ r ও ব্যাস d হলে এর সংজ্ঞানুযায়ী,
1
3,655.497123
20231101.bn_33976_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4
বৃত্ত
আর্কিমিডিসের প্রমাণ অনুসারে, বৃত্তের সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল একটি ত্রিভুজের সমান, যার ভূমি বৃত্তের পরিধি ও উচ্চতা বৃত্তের ব্যাসার্ধের সমান হবে। অর্থাৎ, এর সাথে ব্যাসার্ধের বর্গের গুণফলই বৃত্তের ক্ষেত্রফল:
0.5
3,655.497123
20231101.bn_33976_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4
বৃত্ত
অন্যভাবে যদি চিন্তা করা হয়, তবে বৃত্তের পরিধিকে n সংখ্যক ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করলে যদি n খুব বড় হয়, তবে প্রতিটি চাপকেই একটি ক্ষুদ্র রেখাংশ বিবেচনা করা যায়। পরিধি C হলে এই ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্যটি C/n. এখন, এই ক্ষুদ্র রেখাগুলোর প্রান্ত কেন্দ্রের সাথে যোগ করলে উৎপন্ন প্রতিটি ত্রিভুজের বেলায় ভূমি C/n হলে লম্ব ব্যাসার্ধের সমান। কাজেই প্রতিটি ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল Cr/(2n), এখন তাহলে বৃত্তের ক্ষেত্রফল হবে n সংখ্যক ক্ষুদ্র ত্রিভুজগুলোর সমষ্টি। অর্থাৎ, ক্ষেত্রফল=½Crn/n=½Cr.
0.5
3,655.497123
20231101.bn_33976_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4
বৃত্ত
বৃত্তস্থঃ যেকোন বিন্দুর উপর পিথাগোরাসের উপপাদ্য প্রয়োগ করে বৃত্তের এই সমীকরণটি পাওয়া যায় । মূলবিন্দুতে কেন্দ্র হলে সমীকরণটি দাঁড়ায় :
0.5
3,655.497123
20231101.bn_33976_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4
বৃত্ত
যখন t, 0 থেকে 2π পরিসরের স্থিতিমাপে পরিবর্তনশীল, তখন জ্যামিতিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী (a,b) ও (x,y) দ্বারা উৎপন্ন কোণটি X-অক্ষ তৈরি করে। বৃত্তের একটি বিকল্প স্থিতিমাপক হল:বন
0.5
3,655.497123
20231101.bn_66903_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
বিবর্তন
অর্থাৎ, যখন এই বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীব বা প্রকরণদের (variants) মধ্যে কোন কোন প্রকরণ সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় বা কোন কোনটি হ্রাস পায়, তখন এই পরিবর্তনের সাথে সাথে সমগ্র গোষ্ঠীই (population) পরিবর্তিত হয়ে যায়। এই পরিবর্তনই হচ্ছে বিবর্তন। এর ফলে যেমন কোন কোন বৈশিষ্ট্য পুরোপুরিভাবে হারিয়ে যেতে পারে, আবার তেমনি নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য আবির্ভূত হতে পারে।
0.5
3,644.112371
20231101.bn_66903_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
বিবর্তন
প্রাকৃতিক নির্বাচন (natural selection) হচ্ছে এমন একটি ঘটনা যার মাধ্যমে জীবগোষ্ঠীতে অধিকতর সবল বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীবের আধিক্য হয় এবং কম সবল বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীবের সংখ্যা হ্রাস পায়। কোন একটি প্রজাতির পপুলেশনে সেই বৈশিষ্ট্যগুলোই সাধারণ(common) হয়ে দেখা দেয়, যেগুলো বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে একটি জীবকে অধিক সংখ্যক সন্তান জন্মদানে সাহায্য করে। এটিকেই বলা হয় সিলেকশন বা নির্বাচন।
0.5
3,644.112371
20231101.bn_66903_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
বিবর্তন
একটি জীব কী পরিমাণ টেকসই (viable) সন্তান উৎপাদন করতে সক্ষম, তা নির্ভর করে তার কিছু বৈশিষ্ট্যের উপর। প্রজন্মান্তরে সেগুলোর commonness বা uncommonness-ই হচ্ছে সিলেকশন। যে বৈশিষ্ট্যগুলো কোন জীবকে সন্তান উৎপাদনে অধিক সহায়তা করে, বংশগতভাবে সে বৈশিষ্ট্যগুলোই পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় এবং প্রজন্মান্তরে সেই বৈশিষ্ট্যগুলোই পরবর্তী প্রজন্মগুলোতে বাড়তে থাকে। এভাবে বাড়তে বাড়তে এমন এক পর্যায় আসে যখন পপুলেশনের অন্তর্গত প্রতিটা জীবের মধ্যেই সেই বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এটাকে বলা হয় "ফিক্সেশন" (fixation)।
0.5
3,644.112371
20231101.bn_66903_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
বিবর্তন
নির্বাচন বিভিন্ন উপায়ে সংঘটিত হতে পারে। মানুষ যখন অন্য কোন জীবের প্রজাতিতে তার(মানুষের) কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীবটিকে অধিক মাত্রায় সন্তান উৎপাদন করার সুযোগ করে দেয়, তখন তাকে বলা হয় কৃত্রিম নির্বাচন। অন্যথায় একে বলা হয় প্রাকৃতিক নির্বাচন। যৌন প্রজননক্ষম জীবের ক্ষেত্রে আরও একধরনের নির্বাচন পদ্ধতি দেখা যায়। একে বলা হয় সেক্সুয়াল সিলেকশন বা যৌন নির্বাচন। কোন জীবের একটি বৈশিষ্ট্য যদি সেই জীবটিকে তার বিপরীত লিঙ্গের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে, তাহলে সে বৈশিষ্ট্যটিই ঐ জীবকে অধিক সন্তান জন্মদানে সহায়তা করবে। এভাবে প্রজন্মান্তরে ঐ বৈশিষ্ট্যটি পপুলেশনে common হয়ে দেখা দেবে এবং একসময় ফিক্সেশন পয়েন্টে পৌঁছাবে।
0.5
3,644.112371
20231101.bn_66903_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
বিবর্তন
DNA সেসব বৈশিষ্ট্য উৎপন্ন করে, তার সবগুলোই যদি সমানভাবে অনুকূল হত, তাহলেও বিবর্তন হতে পারতো, তবে তা হতো অত্যন্ত শ্লথ গতিতে এবং দৈবক্রমিক প্রক্রিয়ায় (randomly)। যেহেতু কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো তার বাহক জীবকে সংশ্লিষ্ট পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে, আবার কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলোর উপস্থিতি তার বাহক জীবের খাপ খাওয়ানোতে কোন ভূমিকা রাখে না কিংবা তার জীবটির জন্য ক্ষতিকর, তাই ব্যাপারটা সাধারণত এমন হয় না।
1
3,644.112371
20231101.bn_66903_22
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
বিবর্তন
ফিটনেস হচ্ছে একটা জীবের প্রজননের সামর্থ। শারীরিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি জীব প্রজননের ক্ষেত্রে যেমন দুর্বল হতে পারে, তেমনি শারীরিকভাবে দুর্বল একটি জীব আবার প্রজননের ক্ষেত্রে শক্তিশালী হতে পারে। একটি শারীরিক বৈশিষ্ট্য একটি জীবকে অধিক সংখ্যক টেকসই (viable) সন্তান উৎপাদনের সামর্থ্য দিতে পারে। এমনও হতে পারে যে, বৈশিষ্ট্যটি সেই জীবকে তার সন্তানের যত্ন নেওয়ার মত সক্ষমতা দেয়। আবার হয়ত কোন একটি বৈশিষ্ট্য সেই জীবটির বেঁচে থাকার থাকার সময়কালকে দীর্ঘায়িত করে, ফলে জীবটি অধিক হারে বংশবৃদ্ধি করতে পারে।
0.5
3,644.112371
20231101.bn_66903_23
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
বিবর্তন
একটি বৈশিষ্ট্য কোন জীবকে বাড়তি বা কম সামর্থ্য দেবে কি দেবে না, তা পরিবেশ সাপেক্ষ বিষয়। যদি পরিবেশ পরিবর্তিত হয় বা জীবটি ভিন্ন কোন পরিবেশে স্থানান্তরিত হয়, তাহলে পরিবেশের তারতম্যের কারণে তার ফিটনেসেও পরিবর্তন আসবে। কারণ বেঁচে থাকা বা প্রজননের বিভিন্ন পন্থা পরিবেশভেদে বিভিন্ন হয়ে থাকে।
0.5
3,644.112371
20231101.bn_66903_24
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
বিবর্তন
জীববিজ্ঞানে, অভিযোজন (Adaptation) হল কোন জীবের জীবদ্দশায় ভূমিকা রাখা একটি উপস্থিত কর্মসম্পাদনকারী বৈশিষ্ট্য, যা প্রাকৃতিক নির্বাচনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও বিবর্তিত হয়। অভিযোজন বলতে অভিযোজিত জীবের বর্তমান দশা এবং অভিযোজন পরিচালনাকারী সক্রিয় বিবর্তনীয় প্রক্রিয়া উভয়কেই বোঝায়। অভিযোজন কোন জীবের ফিটনেস ও টিকে থাকার যোগ্যতাকে বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন জীব তাদের বৃদ্ধি ও বিকাশকালে বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয় এবং আরোপিত পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়াস্বরূপ নিজ ফিনোটাইপ বা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য পুনঃবিকশিত করার মাধ্যমে একটি অভিযোজনযোগ্য নমনীয়তায় নিজেকে সুসজ্জিত করে। যে কোন প্রদত্ত বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রতিক্রিয়ার বিকাশভিত্তিক স্বাভাবিকতা অভিযোজনের সঠিকটার জন্য অত্যাবশ্যক কারণ এটি বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় পরিবেশে এক প্রকার জৈবিক নিরাপত্তা বা নমনীয়তার জোগান দেয়।
0.5
3,644.112371