_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
5.1k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
11.1k
20231101.bn_7522_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%98%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80
ঘৃতকুমারী
ওজন কমাতে অ্যালোভেরা জুস বেশ কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগণ এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
0.5
3,369.257225
20231101.bn_7522_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%98%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80
ঘৃতকুমারী
হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জুসের জুড়ি নেই। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে, যা হজমশক্তি বাড়িয়ে থাকে। অ্যালোভেরা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধেও অনেক ভাল কাজ করে।
0.5
3,369.257225
20231101.bn_7522_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%98%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80
ঘৃতকুমারী
অ্যালোভেরা জুস রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। ডায়াবেটিস শুরুর দিকে নিয়মিত এর জুস খেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। সুতরাং খাওয়ার আগে বা খাওয়ার পরে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করুন, তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
0.5
3,369.257225
20231101.bn_7522_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%98%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80
ঘৃতকুমারী
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশি জানি। অ্যালোভেরার অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
0.5
3,369.257225
20231101.bn_7522_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%98%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80
ঘৃতকুমারী
অ্যালোভেরা হলো অ্যান্টি ম্যাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানসমৃদ্ধ একটি গাছ। অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত পান করলে রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের টক্সিন উপাদান দূর করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
1
3,369.257225
20231101.bn_7522_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%98%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80
ঘৃতকুমারী
অ্যালোভেরায় আছে ভিটামিন সি, যা মুখের জীবাণু দূর করে মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালোভেরার জেল মাউথ ওয়াশ এর বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
0.5
3,369.257225
20231101.bn_7522_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%98%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80
ঘৃতকুমারী
অ্যালোভেরার গুনাগুন বলে শেষ করা যায় না, মাথায় খুশকি দূর করতে এর কোন তুলনা নেই। এমনকি ঝলমলে চুলের জন্যেও অ্যালোভেরা অনেক উপকারী। সুতরাং চুলের যত্নে অ্যালোভেরা আপনার নিত্যসঙ্গী।
0.5
3,369.257225
20231101.bn_7522_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%98%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80
ঘৃতকুমারী
অনেকের মুখে ঘা হয়, আর এই মুখের ঘা দূর করতে অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী। ঘায়ের জায়গায় অ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে দিলে মুখের ঘা ভাল হয়।
0.5
3,369.257225
20231101.bn_7522_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%98%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80
ঘৃতকুমারী
গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যালো ইমোডিন, যা স্তন ক্যান্সার বিস্তারকে রোধ করে। এছাড়াও অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যালোভেরা অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
0.5
3,369.257225
20231101.bn_339009_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97
অর্শরোগ
হেমোরয়েড কুশন হল স্বাভাবিক মানব শরীরের অংশ ও তাতে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিলেই কেবল তা বিকার বা রোগগত বিষয়ে পরিণত হয়। স্বাভাবিক পায়ু পথে প্রধান তিনটি কুশন থাকে। এগুলি বাম পার্শ্বে, ডানদিকে সম্মুখভাগে ও ডানদিকে পিছনে অবস্থিত। এগুলি ধমনী বা শিরা দ্বারা গঠিত নয়, তবে সাইনোসয়েডস নামক রক্তনালী, যোজক কলা ও মসৃণ কলা দ্বারা গঠিত। সাইনোসয়েডের প্রাচীরে শিরা-প্রাচীরের ন্যায় কোনো পেশী কলা নাই। এই রক্ত নালীগুলো হেমোরয়ডাল প্লেক্সাস (হেমোরয়েডের জাল) হিসাবে পরিচিত।
0.5
3,353.665095
20231101.bn_339009_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97
অর্শরোগ
কনটিনেন্স (পায়ুপথে গ্যাস বা মল নির্গমনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ন্ত্রণহীনতা) এর জন্য হেমোরয়েড কুশন গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো বিশ্রামের সময় পায়ূ বন্ধের চাপের ক্ষেত্রে ১৫-২০% অবদান রাখে ও মল নির্গমনের সময় অ্যানাল স্ফিঙ্কটার কলাকে (পায়ু বেষ্টনকারী রিং আকারের মসৃণ পেশী, স্বাভাবিক অবস্থায় যা পায়ু পথকে সংকুচিত রাখে) সুরক্ষা দেয়। কোনো ব্যক্তি চাপ সহ্য করার সময় পেটের ভিতর চাপ বৃদ্ধি পায় ও হেমোরয়েড কুশনের আকার বেড়ে পায়ু বন্ধ রাখতে সহায়তা করে। ধারণা করা হয় যে, এসব রক্তনালী নিচের দিকে নেমে গেলে বা শিরার চাপ খুব বেড়ে গেলে হেমোরয়েডের উপসর্গ দেখা দেয়। অ্যানাল স্ফিঙ্কটার এর বর্ধিত চাপও হেমোরয়েডের উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। দুই ধরনের হেমোরয়েড হতে পারে: অভ্যন্তরীণ, যা সুপিরিয়র হেমোরয়ডাল প্লেক্সাস থেকে ও বাহ্যিক, যা ইনফেরিয়র হেমোরয়ডাল প্লেক্সাস থেকে হয়। এই দুই অঞ্চলকে বিভক্ত করে ডেনটেট লাইন।
0.5
3,353.665095
20231101.bn_339009_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97
অর্শরোগ
শারিরীক পরীক্ষার মাধ্যমে হেমোরয়েড নির্ণয় করা হয়। পায়ু ও এর আশে পাশের এলাকা ভালভাবে দেখে বা পরীক্ষা করে বাহ্যিক বা স্থানচ্যুত হেমোরয়েড নির্ণয় করা যেতে পারে। মলদ্বারের টিউমার, পলিপ, বর্ধিত প্রস্টেট, বা ফোড়া শনাক্ত করতে মলদ্বার পরীক্ষা করা যেতে পারে। ব্যথার কারণে উপযুক্ত ঘুমের ওষধ বা ব্যথা-নাশক ছাড়া এই পরীক্ষা করা সম্ভব নাও হতে পারে, যদিও বেশির ভাগ অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডের সঙ্গে ব্যথার সংশ্লিষ্টতা নেই। চোখে দেখে অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েড নিশ্চিত করতে অ্যানোস্কপি প্রয়োজন হতে পারে। এটি হল এক প্রান্তে লাইট বা আলোর উৎস সংযুক্ত একটি ফাঁকা নল। দুই ধরনের হেমোরয়েড আছে: বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ। ডেনটেট লাইন থেকে অবস্থানের প্রেক্ষিতে এগুলো পৃথক হয়। কারো কারো মধ্যে একইসঙ্গে উভয়টির উপসর্গ দেখা যেতে পারে। ব্যথা থাকলে সেক্ষেত্রে এটি অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডের পরিবর্তে অ্যানাল ফিশার বা বাহ্যিক হেমোরয়েড হবার সম্ভাবনাই বেশি।
0.5
3,353.665095
20231101.bn_339009_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97
অর্শরোগ
ডেনটেট লাইন এর ওপরে সৃষ্ট হেমোরয়েড হল অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েড। এগুলো স্তম্ভাকার এমিথেলিয়াম দ্বারা আবৃত থাকে, যাতে ব্যথা সংবেদী স্নায়ু থাকে না। স্থানচ্যুতি'র মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ১৯৮৫ সালে এগুলোকে চার শ্রেণীতে ভাগ করা হয়।
0.5
3,353.665095
20231101.bn_339009_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97
অর্শরোগ
ডেনটেট বা পেকটিনেট লাইন এর নিচে সৃষ্ট হেমোরয়েড হল বাহ্যিক হেমোরয়েড। এগুলো কাছাকাছি অ্যানোডার্ম এবং দূরে ত্বক দ্বারা আবৃত থাকে, যার দু’টোই ব্যথা ও তাপে সংবেদী।
1
3,353.665095
20231101.bn_339009_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97
অর্শরোগ
ফিশার, ফিস্টুলা, ফোড়া, মলাশয় ও মলদ্বারের ক্যান্সার, রেক্টাল ভ্যারিক্স (মলদ্বারের রাক্তনালীর অস্বাভাবিক স্ফীতি) ও চুলকানি (মলদ্বারের চারদিকে দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি) ইত্যাদি পায়ু ও মলদ্বারের অনেক সমস্যার উপসর্গ একইরকম এবং তা ভুলক্রমে হেমোরয়েড হিসাবে ধারণা করা হতে পারে। মলাশয় ও মলদ্বারের ক্যান্সার, প্রদাহযুক্ত পেটের রোগ, ডাইভার্টিকুলার ডিজিজ (অন্ত্র থেকে বেড়িয়ে আসা থলের ন্যায় কাঠামো), ও অ্যানজিয়োডিস্প্ল্যাজিয়া (রক্তনালীর সামান্য অস্বাভাবিকতা) ইত্যাদি মলাশয়-প্রদাহঘটিত রোগেও মলদ্বারে রক্তপাত হতে পারে। রক্তাল্পতা থাকলে অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ বিবেচনায় আনতে হবে।
0.5
3,353.665095
20231101.bn_339009_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97
অর্শরোগ
অন্যান্য যেসব ক্ষেত্রে মলদ্বারে বস্তু সৃষ্টি হয় তার মধ্যে রয়েছে: স্কিন ট্যাগ, মলদ্বারে আঁচিল, মলদ্বারের স্থানচ্যুতি, পলিপ ও পায়ুর বর্ধিত প্যাপিলা (স্তনের বোঁটার ন্যায় ক্ষুদ্র উদগম)। পোর্টাল হাইপারটেনশন (পোর্টাল ভেনাস সিস্টেম-এ রক্তচাপ) বৃদ্ধিজনিত অ্যানোরেক্টাল ভ্যারিক্স দেখা দিতে পারে। এগুলো হেমোরয়েডের মতই, তবে অবস্থাটা ভিন্ন।
0.5
3,353.665095
20231101.bn_339009_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97
অর্শরোগ
এর বেশ কয়েকটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সুপারিশ করা হয়ে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে মলত্যাগের সময় জোরে চাপ না দেওয়া, উচ্চ আঁশ যুক্ত খাদ্য ও প্রচুর তরল বা আঁশের সম্পূরক খাবার গ্রহণের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া পরিহার এবং পর্যাপ্ত ব্যায়াম করা। মলত্যাগকালে অল্প সময় ব্যয়, টয়লেটে বসে পড়া বন্ধ করা, এবং অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিদের ওজন কমানো ও খুব ভারি বস্তু উত্তোলন পরিহার করাও সুপারিশ করা হয়।
0.5
3,353.665095
20231101.bn_339009_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97
অর্শরোগ
সাধারণত রক্ষণশীল চিকিৎসায় রয়েছে আঁশযুক্ত খাবারসহ পুষ্টিবর্ধক খাবার খাওয়া, জলযোজন বজায় রাখার জন্য মুখ দিয়ে তরল গ্রহণ, নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি ড্রাগ (এনএসএআইডি) অর্থাৎ স্টেরয়েড বহির্ভূত প্রদাহনাশক ওষুধ প্রয়োগ, সিৎজ বাথ এবং বিশ্রাম। দেখা গেছে যে বেশি মাত্রায় তন্তুসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হলে ভালো ফল পাওয়া যায়, এবং আহার পরিবর্তন বা আঁশযুক্ত পরিপূরক খাওয়ার দ্বারা এটা করা সম্ভব। তবে, যে কোনো পর্যায়ে চিকিৎসায় সিৎজ বাথের উপকারিতার প্রমাণের অভাব আছে। এটা ব্যবহার করা হলেও তা একবারে ১৫ মিনিটে সীমিত রাখা উচিত।
0.5
3,353.665095
20231101.bn_6381_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE
ভিয়েতনাম
১৮৬০ সালে ইন্দোচায়না দখল করার পর থেকে ভিয়েতনাম দখল করার চেষ্টা চালাতে থাকে ফ্রান্স৷ এজন্য তাদের ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হয়৷ ফ্রান্সের শাসন আমলে ১৯০০ সালের কাছাকাছি সময়ে ভিয়েতনাম উত্তরে টঙ্কিন, মধ্যাঞ্চলে আন্নাম ও দক্ষিণে কোচিন চায়না নামে তিন ভাগে ভেঙে যায়৷ এরপর আবার ধীরে ধীরে ভিয়েতনামিরা সংগঠিত হতে থাকে৷ ১৯২৯ সালে ভিয়েতনামে বেশ কিছু মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী পার্টির উদ্ভব হয়৷ পরের বছরই তারা হো চি মিঙের নেতৃত্বে ইন্দোচায়না কমিউনিস্ট পার্টি নামে একত্রিত হয়৷ পরবর্তীকালে দলটি তিন ভাগে ভেঙে আলাদা আলাদাভাবে লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে কাজ চালিয়ে যেতে থাকে৷ ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত দলটি ভিয়েতনামে শ্রমিক পার্টি নামে পরিচিত হলেও পরবর্তীকালে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ভিয়েতনাম (সিপিভি) নাম ধারণ করে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভিয়েতনামি কমিউনিস্টরা জাপানিদের প্রতিরোধ করতে মিত্রশক্তিকে সহযোগিতা করে৷ ১৯৪১ সালে হো চি মিং ভিয়েত মিং বা স্বাধীনতা লীগ প্রতিষ্ঠা করেন৷ লক্ষ করুন ভিয়েতনাম ও ভিয়েত মিঙের অর্থ আলাদা৷ বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর দেশটিতে ভিয়েত মিং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে৷ তাদের একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী ছিল৷ ১৯৪৫ সালের আগস্টে ভিয়েতনামে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়৷ এর দুই সপ্তাহ পর হ্যানয় দখলকারী বিদ্রোহীরা ভিয়েতনামের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রচার করে৷ পাশাপাশি তারা ভিয়েতনামকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে৷ রাজা বাও দাই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন৷ তাকে নতুন শাসন ব্যবস্থার উপদেষ্টার পদ গ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়৷ ১৯৪৬ সালের মার্চে ভিয়েতনাম সরকারকে ফ্রান্স স্বীকৃতি দেয় এবং ফরাসি ইউনিয়নের অধীনে ভিয়েতনামকে মুক্ত দেশ হিসেবে মেনে নেয়৷ আর জুনে ফ্রান্স সাবেক রাজা বাও দাইকে রাষ্ট্রের প্রধান ঘোষণা করে৷ ভিয়েত মিং তখন গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে৷ দীর্ঘ নয় বছর যুদ্ধ করার পর ১৯৫৪ সালে দিয়েন বিয়েন ফু সামরিক ঘাঁটিতে ফরাসি বাহিনীকে পরাজিত করে ভিয়েত মিং চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হয়৷
0.5
3,305.145999
20231101.bn_6381_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE
ভিয়েতনাম
১৯৬০ সালে ডেমক্রেটিক, সোশ্যালিস্ট ও মার্কসবাদীরা আইনজীবী নুয়েন হু তো-এর নেতৃত্বে ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টে (এনএলএফ) একত্রিত হয়৷ সে সময়ই সায়গনের সামরিক সরকার ও আমেরিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়৷ সায়গনে প্রথম সেনা ও উপদেষ্টা আমেরিকাই পাঠিয়েছিল৷ ১৯৬৯ সালে সায়গনে আমেরিকার ৫ লাখ ৮০ হাজার সেনা ছিল৷ ভিয়েতনামে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও বেশি বোমা ফেলা হয়৷ আমেরিকা সেখানে পরীক্ষামূলক রাসায়নিক বোমাও ফেলেছিল৷ ১৯৬৯ সালেই হো চি মিন মারা যান৷ ১৫ বছরব্যাপী যুদ্ধে আমেরিকা ১৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে৷ আর ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলের ৭০ ভাগ গ্রাম একদম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধে আমেরিকার পরাজয় হয়৷ তড়িঘড়ি করে আমেরিকান সৈন্যদের ভিয়েতনাম ছেড়ে যেতে হয়৷ ১৯৭৫ সালের এপ্রিলে এনএলএফ (ভিয়েতকং) সায়গনের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করে৷ আর এর নাম বদলে তাদের প্রয়াত নেতার নাম অনুসারে হো চি মিন সিটি রাখা হয়৷ ১৯৭৬ সালের ২ জুলাই সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক অফ ভিয়েতনাম নামে পুরো অঞ্চলটির পুনএকত্রীকরণ ঘটে৷
0.5
3,305.145999
20231101.bn_6381_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE
ভিয়েতনাম
শান্তি ভিয়েতনামে দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি৷ ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে তারা পল পটের কাম্বোডিয়া সরকারের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে৷ পরবর্তীকালে পল পটকে সরিয়ে দিয়ে ভিয়েতনামপন্থী হেঙ্গ সামরিন কাম্বোডিয়ার ক্ষমতা দখল করলে চায়নিজ জনগণকে ভিয়েতনামিকরণ ক্যামপেইনের হাত থেকে বাঁচাতে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে চীন হামলা চালায়৷ আর ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান ভিয়েতনামে সাহায্য প্রদানে জাতিসংঘকে বাধা দেন৷ ১৯৮৫ সালের পরে হ্যানয় কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেয়৷ পাশাপাশি আসিয়ান ও আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সবরকম প্রচেষ্টা চালাতে থাকে৷ ১৯৮৬ সালে সিপিভির সাধারণ সম্পাদক লি ডুয়ান মারা যান৷ ভিয়েতনাম কংগ্রেস নুয়েন ভ্যান লিন-কে নতুন সম্পাদক মনোনীত করে৷ আশির দশকে ইওরোপের রাজনৈতিক কালচারের পরিবর্তন শুরু হলে ভিয়েতনামেও তার ঢেউ লাগে৷ পরিণতিতে দেশটিতে বহুদলীয় সংসদীয় ব্যবস্থার দাবি উঠতে থাকে৷ ১৯৮৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে নন-কমিউনিস্ট প্রার্থীরাও অংশ নেন৷ সে বছরই হং কংয়ে আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার ভিয়েতনামিজ উদ্বাস্তুকে বৃটেন বের করে দেয়৷ ১৯৯১ সালে সিপিভি সোশ্যালিজমের প্রতি তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে৷ একই বছরেই সিপিভির নতুন সাধারণ সম্পাদক হন দু মুয়োই৷ সভিয়েট ইউনিয়নের পতনের পরও সিপিভি একদলীয় ব্যবস্থাকে ধরে রাখতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে৷ তবে শর্ত সাপেক্ষ বেসরকারি উদ্যোগ ও বৈদেশিক বিনিয়োগসহ সামগ্রিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ ১৯৯১ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে প্যারিসে এক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কাম্বোডিয়ার সঙ্গে ভিয়েতনামের চলমান অচলাবস্থার নিরসন হয়৷ চুক্তিটি চায়নার সঙ্গেও ভিয়েতনামের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে৷ আর নভেম্বরে বৃটেন ৬৪ হাজার ভিয়েতনামিজ উদ্বাস্তুকে হং কংয়ের ক্যাম্পগুলোতে আবারো ফিরিয়ে নেয়৷ ১৯৯২ সালের নতুন সংবিধান স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয়৷ তারপরও জুলাই নির্বাচনে দাঁড়ানো ৯০ ভাগ প্রার্থীই ছিলেন সিপিভি সদস্য৷ আর সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী ভো ভ্যান কিয়েট-এর সহযোগী জেনারেল লি দুক আন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার নেন৷ ১৯৯২ সালে বেসরকারিকরণ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের স্বাধীনতার কারণে ভিয়েতনামের জিডিপির প্রবৃদ্ধি এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৩ ভাগে৷ সে সময় প্রচুর ধান উত্পাদনের কারণে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল দারুণভাবে লাভবান হতে থাকে৷ আর পঞ্চাশ লাখ জনঅধ্যুষিত হো চি মিন সিটি দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীতে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি দেশের উত্তরাঞ্চলের কাছে এক নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করে৷ নব্বই দশকের মধ্যভাগে বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ভিয়েতনামের বেশির ভাগ এলাকায় টেলিযোগাযোগ, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বৈদ্যুতিক খাতের সংস্কার করা হয়৷ আর ১৯৯৫ সালে আমেরিকার সঙ্গে ভিয়েতনামের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়৷ ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রান দাক লুয়োং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট এবং ফ্যান ভ্যান খাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন৷ আর ডিসেম্বরে সিপিভির শীর্ষ তিনটি পদে পরিবর্তন আনা হয়৷ ১৯৯৮ সালের এপ্রিলের অনাবৃষ্টিতে ভিয়েতনামের ২ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর চা বাগানের মধ্যে ৭ হাজার হেক্টর চা বাগান সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়৷ এতে দেশটির রফতানি খাত বড় ধরনের ধাক্কা খায়৷ পাশাপাশি নানা আঞ্চলিক সমস্যার কারণে দেশটির অর্থনীতিতে মন্দাভাব দেখা দেয়৷ জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৮ ভাগ থেকে ৬ দশমিক ১ ভাগে নেমে আসে৷ বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণও ৭০ ভাগ কমে যায়৷ আর সেপ্টেম্বরে ভিয়েতনাম এশিয়া-প্যাসিফিক ইকনমিক কো-অপারেশন (এপেক)-এর পূর্ণ সদস্য পদ পায়৷ ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে আট বছর ধরে চলা দেন-দরবারের পর চায়নার সঙ্গে ভিয়েতনামের সীমান্ত-চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ টাইফুন ও অতিবৃষ্টির কারণে ১৯৯৯ সালে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়৷ পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো দেশটির বনাঞ্চল নিির্বচারে উজাড় হয়ে যাওয়াকেই এর প্রধানতম কারণ বলে দাবি করে৷ সে সময় ভিয়েতনামের সর্বত্র দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ে৷ এক পর্যায়ে সিপিভি সংশ্লিষ্ট তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে৷ পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে, ১৯৯৯ সালে সিপিভি দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী নো জুয়ান লক-এর পদত্যাগ দাবি করে৷ ২০০০ সালে সিপিভি পলিটব্যুরো স্বীকার করে নেয় যে, দলটির সদস্যরা নানাভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে৷ আর এজন্য দলের পদাধিকারীরাও সমান দায়ী৷ দুর্নীতি কমাতে স্বায়ত্তশাসিত পর্যবেক্ষক কমিটি গঠন করার পাশাপাশি দলীয় নেতাদের সম্পত্তির বিবরণ দেয়ার নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়৷ ২০০০ সালের নভেম্বরে ভিয়েতনাম সফরে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় দেশটিতে অবিস্ফোরিত বিস্ফোরকসমূহ ধ্বংস করার জন্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন৷ আর ২০০১ সালের এপ্রিলে সিপিভির নতুন সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন নোং দাক মান৷ ২০০২ সালের মে মাসে রাশিয়া ক্যাম রান উপসাগর থেকে তাদের নৌঘাঁটি প্রত্যাহার করে নেয়৷ আর জুলাইতে ট্রান দাক লুয়োং প্রেসিডেন্ট এবং ফ্যান ভ্যান খাই দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে পুনির্নর্বাচিত হন৷ ২০০৩ সালের জুনে হো চিন মিন সিটির শীর্ষ ছয় অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷ আর ২০০৪ সালে দেশটিতে বার্ড ফ্লু-এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়৷ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ১৬ জন মারা যায়৷
0.5
3,305.145999
20231101.bn_6381_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE
ভিয়েতনাম
ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত একটি একদলীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। ১৯৪৫ সালের ২রা সেপ্টেম্বর দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। দেশের সর্বশেষ সংবিধান ১৯৯২ সালের ১৫ই এপ্রিল প্রণীত হয়। ভিয়েতনামের সরকার ব্যবস্থা তিনটি বিভাগ নিয়ে গঠিত। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী বিভাগের দায়িত্বে আছেন। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রধান। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা ও অন্যান্য কমিশনের প্রধান। জাতীয় সংসদের হাতে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ন্যস্ত। বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্ট এবং অন্যান্য আদালত নিয়ে গঠিত। ভিয়েতনামের সংবিধান অনুসারে কেবল একটিই রাজনৈতিক দল স্বীকৃত এবং বৈধ, যার নাম ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টি। এর সদস্যসংখ্যা ৩০ লক্ষেরও বেশি। এটি অতীতে ভিয়েতনাম শ্রমিক দল নামে পরিচিত ছিল, যা আবার ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্দোচীন কমিউনিস্ট পার্টিরই বিবর্তিত রূপ। ভিয়েতনামে ভোটাধিকারের বয়স ১৮; নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই ভোট দিতে পারে।
0.5
3,305.145999
20231101.bn_6381_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE
ভিয়েতনাম
ভিয়েতনাম ৫৮টি প্রদেশ এবং ৫টি মিউনিসিপাল শহর নিয়ে গঠিত। মিউনিসিপালিটিগুলি হল কান থাও, হাইফং, দা নাং, হানয় এবং হো চি মিন শহর।
1
3,305.145999
20231101.bn_6381_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE
ভিয়েতনাম
ভিয়েতনাম দেশটির আকৃতি অনেকটা ইংরেজি এস (s) অক্ষরের মত। এটি উত্তরে চীনের সীমান্ত থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণে থাইল্যান্ড উপসাগর পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার বিস্তৃত। দেশের সবচেয়ে সরু অংশ দা নাং বন্দর শহরের ঠিক উত্তরে অবস্থিত; এখানে পূর্বের সাগর থেকে পশ্চিমের সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার। ভিয়েতনামের মোট আয়তন ৩,৩১,৬৯০ বর্গকিলোমিটার। হানয় শহর ভিয়েতনামের রাজধানী। এখানে ৬২ লক্ষেরও বেশি লোক বাস করে। ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে শহরের সীমানা বাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী হা তাই প্রদেশের পুরোটা এবং হোয়া বিনহ এবং ভিং ফুক প্রদেশের কিছু অংশ হানয়ের অংশ করে নেওয়া হয়। ভিয়েতনামের অন্যান্য শহরের মধ্যে হো চি মিন শহর (প্রাক্তন সাইগন শহর) সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য; এর জনসংখ্যাও ৬২ লক্ষের বেশি। হাইফং শহরে ১৭ লক্ষ লোক, দানাং শহরে ৮ লক্ষ লোক এবং কান থাও শহরে ১১ লক্ষ লোকের বাস।
0.5
3,305.145999
20231101.bn_6381_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE
ভিয়েতনাম
ভিয়েতনাম চারটি প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চল নিয়ে গঠিত। উত্তরতম অঞ্চলটি মূলত ঘন অরণ্যাবৃত রুক্ষ পর্বতমালার এক জটপাকানো অঞ্চল; এটি গণচীনের ইউনান মালভূমি থেকে ভিয়েতনামে প্রসারিত হয়েছে। ভিয়েতনামে এই পর্বতগুলির মধ্য সর্বোচ্চটির নাম ফান সি পান; ৩,১৪৩ মিটার উচ্চতার ফান সি পান ভিয়েতনামের সর্বোচ্চ বিন্দু।
0.5
3,305.145999
20231101.bn_6381_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE
ভিয়েতনাম
উত্তরের পার্বত্য উচ্চভূমির পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে লোহিত নদীর অববাহিকা; এটি মূলত একটি ত্রিভুজাকৃতির পলিময় সমভূমি যা দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বাহু টংকিন উপসাগরের তীরে অবস্থিত।
0.5
3,305.145999
20231101.bn_6381_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE
ভিয়েতনাম
লোহিত নদীর ব-দ্বীপের দক্ষিণেই রয়েছে ট্রুওং সন উচ্চভূমি, যা ভিয়েতনামের ঊর্ধ্ব-মধ্যভাগ বা "মেরুদণ্ড" গঠন করেছে। একই এলাকায় আরও আছে কেন্দ্রীয় উচ্চভূমি, যা মূলত ক্যাম্বোডিয়া সীমান্ত এবং দক্ষিণ চীন সাগরের মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি বিশাল মালভূমি।
0.5
3,305.145999
20231101.bn_65281_31
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C
হজ্জ
অবশেষে, মক্কা ত্যাগ করার আগে, হজযাত্রীরা একটি বিদায়ী তাওয়াফ করেন যাকে তাওয়াফ আল-বিদা বলা হয়। 'বিদা' মানে 'বিদায় জানানো'। হজযাত্রীরা কাবাকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে সাতবার প্রদক্ষিণ করে এবং যদি তারা পারে, কাবা স্পর্শ বা চুম্বন করার চেষ্টা করে।
0.5
3,294.94462
20231101.bn_65281_32
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C
হজ্জ
হজের জন্য তাদের যাত্রার সময়, হজযাত্রীরা ঐতিহ্যগতভাবে মদিনা শহরেও ভ্রমণ করেন (প্রায় উত্তর-পূর্বে), বিশেষ করে মসজিদে নববিতে প্রার্থনা করার জন্য, যাতে রয়েছে নবী মুহাম্মদের কবর। মসজিদে কুবা এবং মসজিদ আল-কিবলাতাইনও সাধারণত পরিদর্শন করা হয়।
0.5
3,294.94462
20231101.bn_65281_33
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C
হজ্জ
মুসলমানদের কাছে হজ্জ ধর্মীয় তাৎপর্যের পাশাপাশি সামাজিক তাৎপর্যের সাথে জড়িত। এই তীর্থযাত্রা সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা কেবল তখনই পূরণ হয় যদি এটি ইসলামি বর্ষপঞ্জির শেষ মাসের অষ্টম থেকে দ্বাদশ তারিখে করা হয়। যদি একটি নির্দিষ্ট বছরে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান সুস্থ থাকে এবং তাদের জীবন ও সম্পদ নিরাপদ থাকে, তবে তাদের একই বছরে হজ করতে হবে। বিলম্ব করা গুনাহের কাজ বলে বিবেচিত হয় যদি না বিলম্ব তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের কোনো কারণে হয়।
0.5
3,294.94462
20231101.bn_65281_34
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C
হজ্জ
একটি বাধ্যতামূলক ধর্মীয় কর্তব্য ছাড়াও, হজকে একটি আধ্যাত্মিক যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয় যা মুসলমানদের আত্ম-নবায়নের সুযোগ প্রদান করে। হজ বিচার দিবসের একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে, যখন মানুষ আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করে। হাদিস গ্রন্থে (মুহাম্মদের বাণী) হজ পালনের সফল সমাপ্তির পরে একজন হজযাত্রীর অর্জনের বিভিন্ন গুণাবলী বর্ণনা করে। সফল তীর্থযাত্রার পরে, হজযাত্রীরা তাদের নামের উপসর্গ হিসেবে 'আল-হাজ্জি' উপাধি দিয়ে রাখতে পারে এবং মুসলিম সমাজে এটি সম্মানের সাথে গৃহীত হয়। তবে, ইসলামিক পণ্ডিতরা পরামর্শ দেন যে হজ একজন মুসলমানের ধর্মীয় প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে, এবং তাদের সামাজিক মর্যাদার পরিমাপ করা উচিত নয়। হজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের তাদের জাতি, বর্ণ ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে এবং একত্রিত করে, যা সাম্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
0.5
3,294.94462
20231101.bn_65281_35
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C
হজ্জ
ইসলামি তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণের প্রভাবের উপর ২০০৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মুসলিম সম্প্রদায় হজের অভিজ্ঞতার পরে আরও ইতিবাচক এবং সহনশীল হয়ে ওঠে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির জন এফ কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্টের সাথে একযোগে পরিচালিত এস্টিমেটিং দ্য ইমপ্যাক্ট অফ দ্য হজ: রিলিজিয়ন অ্যান্ড টলারেন্স ইন ইসলামস্ গ্লোবাল গ্যাদারিং শিরোনামের গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, হজ "জাতিগত গোষ্ঠী এবং ইসলামের মধ্যে সমতা ও সম্প্রীতির বিশ্বাস বাড়ায়। সম্প্রদায় এবং নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বৃহত্তর গ্রহণযোগ্যতাসহ মহিলাদের প্রতি আরও অনুকূল মনোভাবের দিকে পরিচালিত করে" এবং "হাজিরা বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে শান্তি, সমতা এবং সম্প্রীতির প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি করে।"
1
3,294.94462
20231101.bn_65281_36
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C
হজ্জ
ম্যালকম এক্স, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সময়কার একজন মার্কিন কর্মী, ১৯৬০-এর দশকে তাঁর হজে যে সমাজতাত্ত্বিক পরিবেশের অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা নিম্নরূপ বর্ণনা করেছেন:
0.5
3,294.94462
20231101.bn_65281_37
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C
হজ্জ
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। এটা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য তাদের জীবনে একবার ফরজ, যদি তারা শারীরিকভাবে সুস্থ এবং আর্থিকভাবে সক্ষম হয়।
0.5
3,294.94462
20231101.bn_65281_38
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C
হজ্জ
যদিও উভয়ের আচার-অনুষ্ঠানগুলো একইরকম, ওমরাহ কয়েক ঘণ্টারও কম সময়ে সম্পাদন করা যেতে পারে যেখানে হজ বেশি সময়সাপেক্ষ, এবং আরও আচার-অনুষ্ঠান জড়িত।
0.5
3,294.94462
20231101.bn_65281_39
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C
হজ্জ
হজ্জ সংক্রান্ত বেশিরভাগ বিষয় হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রতি বছর ক্রমবর্ধমান হজযাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা সৌদি আরব সরকারের জন্য একটি ব্যবস্থাপনাগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, যেটিতে ১৯৫০ এর দশক থেকে $১০০ বিলিয়নের বেশি ব্যয় করতে হয়েছে। হজ্জযাত্রার সুবিধা বৃদ্ধি করতে আবাসন, পরিবহন, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো প্রধান সমস্যাগুলি সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচী প্রবর্তনের মাধ্যমে সুরাহা করেছে এবং ব্যাপকভাবে উন্নত করেছে, যার ফলশ্রুতিতে হজযাত্রীরা এখন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পাদন করে। সৌদি সরকার প্রায়ই হজযাত্রীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণযোগ্য পর্যায়ে রাখার জন্য বিভিন্ন দেশের জন্য কোটা নির্ধারণ করে এবং হজের সময় সামগ্রিক নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করে। পাকিস্তানে প্রদত্ত হজ ভর্তুকি বা মালয়েশিয়ায় অবস্থিত তাবুং হাজির মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী কর্মসূচি হজযাত্রীদের ভ্রমণের খরচ মেটাতে সহায়তা করে। ২০১৪ সালে হজের জন্য, হজযাত্রীদের সহায়তার জন্য পাকিস্তানের বিমানবন্দরগুলিতে বিশেষ হজ তথ্য ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছিল। পাকিস্তান (এবং পরবর্তীকালে ভারত) থেকে যাওয়া হজযাত্রীদের সুবিধার জন্য মসজিদগুলোতে উর্দু চিহ্নও চালু করা হয়েছিল।
0.5
3,294.94462
20231101.bn_108526_57
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC
নেতৃত্ব
গত কয়েক লক্ষ বছরের (খ্রিস্টধর্মের সৃষ্টির পর) নেতৃত্বের ইতিহাস পরীক্ষা করে দেখা ভাল। পরীক্ষা করলে দেখা যাবে যে নেতৃত্বের অধিকাংশ বিবরণই দেওয়া হয়েছে একটি পিতৃতান্ত্রিক সমাজের দৃষ্টিকোণ থেকে, যা গড়ে উঠেছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী সাহিত্যের ভিত্তিতে। এই সময়কালেরও আগে পিছিয়ে যাওয়া যায়, তা হলে দেখা যাবে, পৌত্তলিক এবং ভূমিজ উপজাতিদের নেতা ছিলেন নারী। তবে একই সঙ্গে এটিও মনে রাখতে হবে যে একটি উপজাতির নিজস্ব চালচলন অন্য উপজাতির উপর আরোপ করা যাবে না, কারণ আধুনিক যুগেও আমাদের প্রথা ও রীতিনীতির মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। বর্তমান দিনের পিতৃকুল-পরিচয়ধারী রীতিনীতি মানব ইতিহাসের খুবই সাম্প্রতিক উদ্ভাবন এবং আমাদের মূল পারিবারিক প্রথা মাতৃকুল-পরিচয়ধারীই ছিল (ডক্টর ক্রিস্টোফার শেলি ও বিয়াঙ্কা রুস, ইউবিসি)। বিশ্বের ৯০% দেশে যে মৌলিক ধারণাটি গড়ে উঠেছে তা হল পিতৃতন্ত্র মানুষ অর্থাৎ হোমো স্যাপিয়েন্সের 'স্বাভাবিক' জৈব প্রবণতা। দুর্ভাগ্যবশত এই বিশ্বাসের ফলে এই সবকটি দেশেই ব্যাপক হারে এবং বিভিন্ন মাত্রায় নারীর উপর নিপীড়ন শুরু হয়েছে। (টমাস লেয়ার্ড, মাইকেল ভিক্টর রচিত হোল আর্থ রিভিউ, উইন্টার, ১৯৯৫)। মায়া উপজাতির পাশাপাশি ইরুকুও প্রথম প্রজাতির উপজাতিও মাতৃকুল-পরিচয়ধারী উপজাতির উদাহরণ। এ ছাড়া ভারতের মেঘালয়ের সমাজও মাতৃকুল-পরিচয়ধারী। (লেয়ার্ড ও ভিক্টর, ১৯৯৫)।
0.5
3,293.466077
20231101.bn_108526_58
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC
নেতৃত্ব
তুলনামূলকভাবে মানুষের দ্বিতীয় সব চেয়ে নিকট আত্মীয়-প্রজাতি বনোবো কিন্তু এলাকার প্রধান পুরুষের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয় না। তারা শক্তিশালী বা প্রথম সারির নারীর আনুগত্য স্বীকার করে, অন্যান্য নারীর সঙ্গে এই প্রথম সারির নারীর জোট তৈরি হলে তা এলাকার সব চেয়ে শক্তিশালী পুরুষটির সমতুল শক্তিমান হয়ে উঠতে পারে। তাই যদি নেতৃত্ব বলতে সব চেয়ে বেশি সংখ্যার অনুগামী পাওয়া বোঝায়, তা হলে বনোবোদের মধ্যে প্রায় সব সময় একটি নারীই সব চেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর নেতৃত্ব দিতে পারে। তবে বনোবোদের এই তথাকথিত "শান্তিপূর্ণ" স্বভাব বা "হিপি শিম্পাঞ্জি" হিসেবে তাদের খ্যাতির প্রসঙ্গে সব বিজ্ঞানী একমত নন।
0.5
3,293.466077
20231101.bn_108526_59
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC
নেতৃত্ব
সংস্কৃত সাহিত্যে দশ রকম নেতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিহাস ও পুরাণ থেকে উদাহরণ তুলে এনে এই দশ রকম নেতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অভিজাত চিন্তাবিদেরা বলেছেন মানুষের সম্ভ্রান্ত রক্ত ও জিন বা বংশগৌরবের উপর নেতৃত্ব নির্ভর করে: এই একই ধারণার একটি চরম রূপ প্রকাশ পায় রাজতন্ত্রে যা দৈব অনুমোদনকে আবাহন করার মাধ্যমে সাধারণ অভিজাতদের দাবির বিরুদ্ধে নিজের মত তুলে ধরতে পারে: তা হল রাজার দৈবলব্ধ অধিকার। এর বিপরীতে, গণতান্ত্রিক মতে বিশ্বাসী বহু তাত্ত্বিক নেতাদের যোগ্যতার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, নেপোলিয়নের মতো নেতারা প্রতিভার সাহায্যে নিজেদের পেশা থেকে প্রভূত উন্নতি করেছেন।
0.5
3,293.466077
20231101.bn_108526_60
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC
নেতৃত্ব
স্বৈরাচারী/পিতৃসুলভ চিন্তাধারা অনুযায়ী সনাতনপন্থীরা রোমান সমাজের পরিবারে পিতৃকুলের নেতৃত্ব (প্যাটার ফ্যামিলিয়াস)-এর কথা বলেন। নারীবাদীরা আবার অন্যদিকে পিতৃতান্ত্রিক এই মডেলের বিরোধিতা করতে পারেন এবং তার বিরুদ্ধে আবেগচালিত, প্রতিক্রিয়াশীল, এবং সর্বসম্মত সহানুভূতিশীল পথপ্রদর্শনের কথা বলেন, যা প্রায়শই মাতৃতান্ত্রিকতার সঙ্গে যুক্ত।
0.5
3,293.466077
20231101.bn_108526_61
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC
নেতৃত্ব
সন্তানোচিত পিতৃ-মাতৃ সেবার ঐতিহ্য দ্বারা সমর্থিত (পুরুষ) পণ্ডিত-নেতা এবং তার হিতৈষী শাসনের আদর্শের সঙ্গে কনফুসীয় দর্শনে বলা "সঠিক জীবনধারণ" ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এই বিষয়টি রোমান ঐতিহ্যের সঙ্গেও তুলনীয়।
1
3,293.466077
20231101.bn_108526_62
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC
নেতৃত্ব
উনিশ শতকে নৈরাজ্যবাদী চিন্তাধারার বিস্তার নেতৃত্বের সমগ্র ধারণাটিকেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। (এ প্রসঙ্গে লক্ষ্যণীয় যে অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি ইংরেজিতে "লিডারশিপ" শব্দটির উৎস খুঁজে পেয়েছে মাত্র উনিশ শতকেই।) সমাজের উচ্চবর্গের এই অপলাপের একটি প্রতিক্রিয়া আসে লেনিনপন্থার হাত ধরে। এই পন্থা শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মির একটি উচ্চবর্গীয় দল দাবি করে যা সামাজিক বিপ্লবের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করবে এবং সমাজে সর্বহারাদের একনায়কতন্ত্রের অস্তিত্ব সূচিত করবে।
0.5
3,293.466077
20231101.bn_108526_63
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC
নেতৃত্ব
নেতৃত্ব সম্পর্কে অন্যান্য ঐতিহাসিক মতবাদ ধর্মনিরপেক্ষ ও ধর্মীয় নেতৃত্বের মধ্যে আপাতভাবে বিদ্যমান বৈপরীত্য নিয়ে আলোচনা করেছে। সিজারো-প্যাপিজম (গণতান্ত্রিক সরকার গির্জার চেয়ে বড়) মতবাদ বারবার ফিরে এসেছে এবং বহু শতক ধরে এই মতবাদের নিন্দাকারীও জুটেছে অনেক। নেতৃত্ব প্রসঙ্গে খ্রিস্টীয় চিন্তাধারা ঈশ্বর-প্রেরিত সম্পদের দায়িত্বভার নেওয়ার উপর জোর দিয়েছে এবং এক ঐশ্বরিক পরিকল্পনা অনুযায়ী তা কাজে লাগানোর কথা বলেছে। মানুষ ও দ্রব্য, দুইই এই সম্পদের অন্তর্গত। এর সঙ্গে তুলনীয় ভৃত্যসুলভ নেতৃত্ব (সার্ভেন্ট লিডারশিপ)।
0.5
3,293.466077
20231101.bn_108526_64
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC
নেতৃত্ব
রাজনীতিতে নেতৃত্ব সম্পর্কে একটি সাধারণ মতের জন্য এই ধারণাটিকে রাষ্ট্রপুরুষের ধারণার সঙ্গে তুলনা করা যায়।
0.5
3,293.466077
20231101.bn_108526_65
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC
নেতৃত্ব
দলীয় নেতৃত্বের ক্ষেত্রে এটি এক অভিনব দৃষ্টিভঙ্গি যা কার্যমুখী পরিবেশের প্রতি উদ্দিষ্ট। কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত ছোট ছোট দল যাতে জটিল বা প্রতিক্রিয়াশীল কাজ করতে পারে, তার জন্য কার্যকরী, ক্রিয়াশীল নেতৃত্বের প্রয়োজন হয় এই পরিবেশে। অন্যভাবে বলতে গেলে বড় অথবা জটিল ঘটনাকে আয়ত্ত করার জন্য প্রায়ই ছোট ছোট দলের নেতৃত্ব সৃষ্টি করার প্রয়োজন হয়।
0.5
3,293.466077
20231101.bn_33447_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81
হিন্দু
হিন্দু শব্দটি একটি প্রতিশব্দ যা ইন্দো-আর্য এবং সংস্কৃত শব্দ সিন্ধু থেকে উদ্ভূত । যার অর্থ "জলের একটি বৃহৎ অংশ" । এটি সিন্ধু নদীর নাম হিসাবে ব্যবহৃত হতো এবং এর উপনদীগুলিকেও উল্লেখ করা হত। প্রকৃত শব্দ 'হিন্দু' প্রথম দেখা যায়, গ্যাভিন ফ্লাড বলেন, " সিন্ধু (সংস্কৃত: সিন্ধু )" নদীর ওপারে বসবাসকারী লোকদের জন্য একটি ফার্সি ভৌগোলিক পরিভাষা হিসাবে । গেবিন ফ্লাডের মতে, "আসল পরিভাষা হিন্দু প্রথম দেওয়া হয় ফার্সি ভৌগোলিক পরিভাষা থেকে যা দ্বারা সিন্ধু নদীর পাশে বসবাসকারী লোকেদের বোঝানো হত। শব্দটি দিয়ে তখন ভৌগোলিক অবস্থান বোঝানো হত এবং এর দ্বারা কোন ধর্মকে বোঝানো হত না। খ্রিষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীতে আরব, পারসিক ও আফগানরা উক্ত অঞ্চলের অধিবাসীদের প্রথম "হিন্দু" নামে অভিহিত করে। মধ্যযুগীয় ভারতের ঐতিহাসিক বিবরণীগুলি থেকে দেশীয় রাষ্ট্রব্যবস্থার বর্ণনায় হিন্দু শব্দটির প্রয়োগের কথা জানা যায়। পরবর্তীকালের আরবি সাহিত্যেও আল-হিন্দ الهند শব্দটির মাধ্যমে সিন্ধু নদ অববাহিকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হয়েছে। এই সব রচনা থেকে প্রমাণিত হয়, ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম পাদের পূর্বাবধি হিন্দু শব্দটি ধর্মের বদলে দেশীয় জনগণ অর্থেই অধিকতর প্রযোজ্য ছিল। বুৎপত্তিগতভাবে হিন্দু শব্দটি দ্বারা সিন্ধু নদের অববাহিকায় বসবাসরত সকলকে বোঝানো হয়। ভারতের সংবিধানে হিন্দু শব্দটি ব্যবহার করে যে কোন ভারতীয় ধর্মবিশ্বাসীকে (হিন্দুধর্ম, জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম বা শিখধর্ম) নির্দেশ করা হয়েছে। হিন্দু শব্দটি পরবর্তীতে মাঝে মাঝে ব্যবহার করা হয়েছিল কিছু সংস্কৃত লেখায় যেমন কাশ্মীরের বিখ্যাত লেখক কলহনের লেখা রাজতরঙ্গিনীতে (হিন্দুকা সি. ১৪৫০)। বিভিন্ন কবিরা হিন্দু ধর্মকে আলাদা করে ইসলাম ধর্ম (turaka dharma) থেকে ব্যাখ্যা করেছেন যেমন বিদ্যাপতি, কবির এব একনাথ। ১৬শ থেকে ১৮শ শতাব্দীতে বাংলা গৌড়ীয় বৈষ্ণব লেখায় যাতে চৈতন্যচরিতামৃত এবং চৈতন্যভাগবতেও একই ধরনের তুলনা করা হয়। ১৮শ শতাব্দীর শেষের দিকে, ইউরোপীয় ব্যবসায়ী ও ঔপনিবেশিকরা ভারতীয় ধর্মের অনুসারীদেরকে একত্রে (একক কোন ধর্মকে নয়) হিন্দাস হিসেবে নির্দেশ করে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে Hinduism বা হিন্দুধর্ম শব্দটি ইংরেজি ভাষায় সূচিত হয় ভারতীয়দের ধর্ম বিশ্বাস, দর্শন এবং সংস্কৃতিকে বোঝানোর জন্য ।
0.5
3,278.339943
20231101.bn_33447_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81
হিন্দু
অপর এক পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, হিন্দু শব্দটি ফার্সি এবং সকল তুর্কিক ভাষায় কালো অর্থে ব্যবহৃত হত৷ সুফি কবি হাফিজ সিরাজী তার বহুল প্রচলিত পঙ্ক্তিতে কালো নির্দেশে ব্যবহার করেছেন৷ মুগলাই হিঙ্দোস্তানের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দিন মির্জা তার আত্মজীবনী তুজুক ই বাবরী তে কালো মানুষদের বোঝাতে হিন্দু শব্দটি ব্যবহার করেছেন৷
0.5
3,278.339943
20231101.bn_33447_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81
হিন্দু
পিউ রিসার্চ অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ১১৫কোটিরও বেশি হিন্দু রয়েছে (বিশ্বের জনসংখ্যার ১৫.২%)। তাদের মধ্যে ৯৮% ভারতে নাগরিক । খ্রিস্টান (৩১.৫%), মুসলমান (২৩.২%) এবং বৌদ্ধ (৭.১%) সহ হিন্দুরা বিশ্বের চারটি প্রধান ধর্মীয় গোষ্ঠীর একটি।
0.5
3,278.339943
20231101.bn_33447_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81
হিন্দু
অধিকাংশ হিন্দু এশিয়ার দেশগুলোতে পাওয়া যায়। সর্বাধিক হিন্দু বাসিন্দা এবং নাগরিক (হ্রাসমান ক্রমে) সহ শীর্ষ পঁচিশটি দেশ হল ভারত , নেপাল , বাংলাদেশ , ইন্দোনেশিয়া , পাকিস্তান , শ্রীলঙ্কা , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , মালয়েশিয়া , মিয়ানমার , যুক্তরাজ্য , মরিশাস , দক্ষিণ আফ্রিকা , সংযুক্ত আরব আমিরাত , কানাডা , অস্ট্রেলিয়া , সৌদি আরব , ত্রিনিদাদ ও টোবাগো , সিঙ্গাপুর , ফিজি, কাতার , কুয়েত , গায়ানা , ভুটান , ওমান এবং ইয়েমেন ।
0.5
3,278.339943
20231101.bn_33447_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81
হিন্দু
শীর্ষ পনেরোটি দেশ যেখানে হিন্দুদের সর্বোচ্চ শতাংশ (হ্রাসমান ক্রমে) হল নেপাল , ভারত , মরিশাস , ফিজি , গায়ানা , ভুটান , সুরিনাম , ত্রিনিদাদ ও টোবাগো , কাতার , শ্রীলঙ্কা , কুয়েত , বাংলাদেশ , রিইউনিয়ন , মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর ।
1
3,278.339943
20231101.bn_33447_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81
হিন্দু
হিন্দুদের জন্য উর্বরতার হার, অর্থাৎ প্রতি মহিলার সন্তান হল ২.৪, যা বিশ্বের গড় ২.৫ থেকে কম। পিউ রিসার্চ প্রজেক্ট বলে যে ২০৫০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ১৪০কোটিরও বেশি হিন্দু জনসংখ্যা হবে।
0.5
3,278.339943
20231101.bn_33447_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81
হিন্দু
প্রাচীনকালে, হিন্দু রাজ্যের উত্থান ঘটে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বিশেষ করে থাইল্যান্ড , নেপাল , বার্মা , মালয়েশিয়া , ইন্দোনেশিয়া , কম্বোডিয়া , লাওস , ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম জুড়ে হিন্দু ধর্ম ও ঐতিহ্য ছড়িয়ে পড়ে।
0.5
3,278.339943
20231101.bn_33447_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81
হিন্দু
মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগে হিন্দুরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। মধ্যযুগীয় নিপীড়নের মধ্যে লুণ্ঠন, হত্যা, মন্দির ধ্বংস এবং মধ্য এশিয়া থেকে তুর্কি-মঙ্গোল মুসলিম সেনাদের দাসত্ব অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি ইসলামিক সাহিত্যে নথিভুক্ত করা হয়েছে যেমন ৮ম শতাব্দীর মুহাম্মাদ বিন-কাসিম ,  ১১শ শতাব্দীর গজনীর মাহমুদ ,   পারস্য পরিব্রাজক আল বিরুনি,  চতুর্দশ শতাব্দীর ইসলামী সেনাবাহিনীর আক্রমণের নেতৃত্বে। তৈমুর এবং দিল্লি সালতানাত এবং মুঘল সাম্রাজ্যের বিভিন্ন সুন্নি ইসলামি শাসক। আকবরের মতো মাঝেমধ্যে ব্যতিক্রম ছিল যিনি হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করেছিলেন কিন্তু তবুও মাঝে মাঝে গুরুতর নিপীড়ন যেমন আওরঙ্গজেবের অধীনে যারা মন্দির ধ্বংস করেছিল । অমুসলিমদের জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছিল এবং হোলির মতো হিন্দু উৎসব উদযাপন নিষিদ্ধ করেছিল ।
0.5
3,278.339943
20231101.bn_33447_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81
হিন্দু
হিন্দুদের উপর অন্যান্য নথিভুক্ত নিপীড়নের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ভারতে ১৮ শতকের টিপু সুলতানের শাসনামলে এবং ঔপনিবেশিক যুগে।  আধুনিক যুগে, ভারতের বাইরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হিন্দুদের ধর্মীয় নিপীড়ন করা হয়েছে ।
0.5
3,278.339943
20231101.bn_1289_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2
বাইবেল
বাইবেলের প্রতি মনোভাবের ক্ষেত্রেও খ্রীষ্টীয় দলগুলির মধ্যেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। রোমীয় কাথোলিক, উচ্চমণ্ডলী ইঙ্গবাদী, পদ্ধতিবাদী ও পূর্বদেশীয় অর্থোডক্স খ্রীষ্টানরা বাইবেল ও পবিত্র ঐতিহ্য উভয়ের সঙ্গতি আর গুরুত্বের উপর জোর দেয়, আবার অনেক প্রতিবাদী মণ্ডলী সোলা স্ক্রিপতুরা ধারণার উপর বা কেবল ধর্মগ্রন্থের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। সংস্কারকালে এই ধারণাটি প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল এবং বর্তমানে অনেক মণ্ডলী খ্রীষ্টীয় শিক্ষার একমাত্র অভ্রান্ত উৎস হিসাবে বাইবেলের ব্যবহারকে সমর্থন করে। অন্যরা যদিও অনেক জ্ঞানী খ্রিস্টান ব্যক্তিবর্গ বাইবেলে প্রচুর ইতিহাস ও বিজ্ঞান বিষয়ক ভুল খুঁজে পেয়েছেন।
0.5
3,278.14637
20231101.bn_1289_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2
বাইবেল
সাহিত্য এবং ইতিহাসে বাইবেলের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে, বিশেষত পশ্চিমা বিশ্বে, যেখানে গুটেনবার্গ বাইবেল প্রথম সচল মুদ্রাক্ষর ব্যবহার করে ছাপা হয়েছিল। টাইম ম্যাগাজিনের মার্চ ২০০৭ সংস্করণ অনুসারে, “বাইবেল রচিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে সাহিত্য, ইতিহাস, বিনোদন এবং সংস্কৃতি গঠনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ব ইতিহাসে এর প্রভাব অতুলনীয় এবং এর প্রভাব হ্রাসের কোনো লক্ষণ দৃশ্যমান নয়।” আনুমানিক মোট ৫ বিলিয়নের অধিক কপি বিক্রীত। ২০০০ এর দশক হিসাবে বার্ষিক এটির প্রায় ১০০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়।
0.5
3,278.14637
20231101.bn_1289_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2
বাইবেল
বাইবেল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। বাইবেল শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে কইনি গ্রীক τὰ βιβλία, tà biblía, "বইগুলো" থেকে; বাইবেল অর্থাৎ ধর্ম শাস্ত্র, লিপি বা পুস্তক, ঈশ্বরের বাক্য।
0.5
3,278.14637
20231101.bn_1289_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2
বাইবেল
প্রচলিত প্রোটেস্ট্যান্ট বাইবেল ৬৬টি পুস্তকের (বা অধ্যায়ের) একটি সংকলন, যা দুটি প্রধান পর্বে বিভক্ত — ৩৯টি পুস্তক সংবলিত পুরাতন নিয়ম বা ওল্ড টেস্টামেন্ট এবং ২৭টি পুস্তক সংবলিত নতুন নিয়ম বা নিউ টেস্টামেন্ট। তবে ক্যাথলিক বাইবেলে পুস্তকসংখ্যা প্রোটেস্ট্যান্টদের চেয়ে ৭টি বেশি, অর্থাৎ ৭৩টি। খ্রিস্টধর্ম মতে ১৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪০জন লেখক বাইবেল লিপিবদ্ধ করেছিলেন। বাইবেলের মুখ্য বিষয়বস্তু বা কেন্দ্রমণি হলেন যীশু।
0.5
3,278.14637
20231101.bn_1289_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2
বাইবেল
পুরাতন নিয়ম মূলত হিব্রু ভাষায় লিখিত, তবে দানিয়েল ও ইষ্রা পুস্তক দুটির কিছু অংশ আরামীয় ভাষায় লিখিত। নতুন নিয়ম গ্রিক ভাষায় রচিত। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই বাইবেল লিপিবদ্ধ করেছেন বলা হয়। অনেক খ্রিস্টান বিশ্বাস করেন, এই বাইবেল লিপিবদ্ধ হয়েছিল খ্রিস্টীয় ত্রিত্ববাদের অন্যতম পবিত্র আত্মার সহায়তায়। পৃথিবীর অনেক ভাষায় বাইবেল অনুদিত হয়েছে।
1
3,278.14637
20231101.bn_1289_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2
বাইবেল
বাইবেলের (আল কিতাব) অনেক ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণ সমূহ আছে I ইংরেজী ভাষাতে আপনি পেতে পারেন যেমন দি কিং জেমস সংস্করণ, দি নিউ ইন্টারন্যাশনাল সংস্করণ, দি নিউ  আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড সংস্করণ, দি নিউ ইংলিশ সংস্করণ এবং ইত্যাদি ইত্যাদিজেম। যেহেতু বাইবেলের অনেক বিভিন্ন সংস্করণ আছে সেইহেতু এটি দেখায় যে বাইবেল (আল কিতাব) বিকৃত হয়েছে, বা কমপক্ষে ‘সত্য’ একটিকে জানি না I হ্যাঁ বাস্তবিকই এই বিভিন্ন সংস্করণগুলো আছে – কিন্তু এর সাথে বাইবেলের বিকৃতির কোনো সম্পর্ক নেই বা এইগুলো সত্যই      ভিন্ন ভিন্ন বাইবেল কি না I প্রকৃতপক্ষে সেখানে কেবলমাত্র একটি বাইবেল/কিতাব আছে I
0.5
3,278.14637
20231101.bn_1289_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2
বাইবেল
উদাহরণস্বরূপ, যখন দি নিউ ইন্টারন্যাশনাল সংস্করণের কথা বলি, তখন মূল গ্রীক (ইঞ্জিল) এবং হিব্রু (তৌরাত এবং যাবুর) থেকে ইংরেজিতে এক নির্দিষ্ট অনুবাদের কথা বলছি I দি নিউ আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড ইংরেজির আর একটি অনুবাদ কিন্তু সেই একই গ্রীক এবং হিব্রু পাঠ্য থেকে I
0.5
3,278.14637
20231101.bn_1289_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2
বাইবেল
আব্রাহামীয় ধর্মের মধ্যে ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্মের বাইবেলকে স্বীকার করে না, যেমনটা স্বীকার করে না 'যীশু' নামক ঈশ্বরের কোনো বাণীবাহককে। তবে খ্রিস্টানগণ যেখানে বাইবেলের পুরাতন নিয়ম বলতে ইহুদি ধর্মের ধর্মগ্রন্থগুলোকে বুঝিয়ে থাকেন, সেখানে ইহুদি ধর্মে এজাতীয় কোনো বিভাজন দেখা যায় না, বরং খ্রিস্টধর্মমতে পুরাতন নিয়মই ইহুদি ধর্মের ঐশ্বিক ধর্মগ্রন্থ তোরাহ।
0.5
3,278.14637
20231101.bn_1289_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2
বাইবেল
ইসলাম ধর্মে পবিত্র কুরআন ও হাদিস শরিফে "বাইবেল" বলে কোনো ধর্মগ্রন্থের উল্লেখ পাওয়া যায় না। উল্লেখ পাওয়া যায়, আল্লাহর বার্তাবাহক নবি ঈসা (আ.) এর উপর অবতীর্ণ "ইঞ্জিল" নামক ধর্মগ্রন্থের। কুরআনে বলা হয়েছে, খ্রিস্টানদের যীশুকেই পবিত্র কুরআনে ঈসা (আ.) বলা হয়েছে। তবে মুসলিমদের মতে খ্রিস্টান ধর্মযাজকরা আল্লাহর কিতাব "ইঞ্জিল" পরিবর্তন ও বিকৃত করেছে। তাই বর্তমান বাইবেলকে তারা আল্লাহর কিতাব হিসেবে মানে না, বরং আল্লাহর কিতাবের পরিবর্তিত ও বিকৃত রূপ বলে।
0.5
3,278.14637
20231101.bn_4129_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
মহাবিশ্ব
জ্যোতির্বিদরা মনে করছেন দৃশ্যমান মহাবিশ্বে প্রায় ১০০ বিলিয়ন (১০+১১) গ্যালাক্সি আছে। এই গ্যালাক্সিরা খুব ছোট হতে পারে, যেমন মাত্র ১০ মিলিয়ন (বা ১ কোটি) তারা সংবলিত বামন গ্যালাক্সি অথবা খুব বড় হতে পারে, দৈত্যাকার গ্যালাক্সিগুলিতে ১০০০ বিলিয়ন তারা থাকতে পারে (আমাদের গ্যালাক্সি ছায়াপথের ১০ গুণ বেশি)। দৃশ্যমান মহাবিশ্বে আনুমানিক ৩ x ১০+২৩টি তারা থাকতে পারে।
0.5
3,272.644394
20231101.bn_4129_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
মহাবিশ্ব
বর্তমানের মহাজাগতিক মডেল অনুযায়ী মহাবিশ্বের মূল উপাদান মূলতঃ কৃষ্ণ বা অন্ধকার শক্তি। ধরা হচ্ছে যে এই শক্তি সারা মহাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে এবং মহাবিশ্বের প্রসারণের পিছনে মূল ভূমিকা পালন করছে। কৃষ্ণ শক্তির পরিমাণ যেখানে ৭৪% ভাগ ধরা হয়, মোট বস্তুর পরিমাণ সেখানে ২৬%। কিন্তু এই বস্তুর মধ্যে ২২% কৃষ্ণ বস্তু ও ৪% দৃশ্যমান বস্তু। কৃষ্ণ বস্তুর অস্তিত্ব পরোক্ষভাবে গ্যালাক্সির ঘূর্ণন, গ্যালাক্সিপুঞ্জ, মহাকর্ষীয় লেন্সিং, ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। কৃষ্ণ বস্তু যেহেতু মহাকর্ষ ছাড়া অন্য কোন বলের সংঙ্গে পারতপক্ষে কোন মিথষ্ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না, সেই জন্য তাকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা কঠিন।
0.5
3,272.644394
20231101.bn_4129_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
মহাবিশ্ব
মহাবিশ্বের সংঙ্গে আমাদের পরিচয় দৃশ্যমান বস্তুর আঙ্গিকে। পরমাণু ও পরমাণু দ্বারা গঠিত যৌগ পদার্থ দিয়ে এই দৃশ্যমান বিশ্ব গঠিত। পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াস প্রোটন ও নিউট্রন দিয়ে গঠিত। প্রোটন ও নিউট্রনকে ব্যারিয়ন বলা হয়। ব্যারিয়ন তিনটি কোয়ার্ক কণা দিয়ে গঠিত। অন্যদিকে দুটি কোয়ার্ক কণা দিয়ে গঠিত কণাদের মেজন বলা হয়। অন্যদিকে লেপটন কণা কোয়ার্ক দিয়ে গঠিত নয়। সবেচেয়ে পরিচিত লেপটন কণা হচ্ছে ইলেকট্রন। প্রমিত মডেল বা স্ট্যান্ডার্ড মডেল কোয়ার্ক, লেপটন ও বিভিন্ন বলের মিথষ্ক্রিয়ায় সাহায্যকারী কণাসমূহ (যেমন ফোটন, বোজন ও গ্লুয়োন) দিয়ে তৈরি। বর্তমানের কণা পদার্থবিদ্যাকে ব্যাখ্যা করতে এই মডেল সফল হয়েছে।
0.5
3,272.644394
20231101.bn_4129_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
মহাবিশ্ব
সূর্য আমাদের নিকটবর্তী নক্ষত্র। সূর্য থেকে আলো আসতে ৮ মিনিট মত সময় লাগে, কাজেই সূর্যের দূরত্ত্ব হচ্ছে আনুমানিক ৮ আলোক মিনিট। আমাদের সৌর জগতের আকার হচ্ছে ১০ আলোক ঘন্টার মত। সূর্যের পরে আমাদের নিকটবর্তী তারা হচ্ছে ৪ আলোক বর্ষ দূরত্বে। নিচের চিত্রে ১৪ আলোক বর্ষের মধ্যে অবস্থিত সমস্ত তারাদের দেখানো হয়েছে।
0.5
3,272.644394
20231101.bn_4129_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
মহাবিশ্ব
গ্যালাকটিক বারের মহাকর্ষীয় প্রভাবের বাইরে, আকাশগঙ্গা ছায়াপথের ডিস্কে আন্তঃনাক্ষত্রিক মাধ্যম এবং তারার গঠন চারটি সর্পিল বাহুতে সংগঠিত। সর্পিল বাহুগুলো সাধারণত গ্যালাকটিক বার থেকে উচ্চ ঘনত্বের আন্তঃনাক্ষত্রিক গ্যাস এবং ধূলিকণার থাকে। এটি H II অঞ্চল এবং আণবিক মেঘ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।
1
3,272.644394
20231101.bn_4129_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
মহাবিশ্ব
নিচের ছবিতে ছায়াপথ গ্যালাক্সির বাহুসমূহ দেখানো হয়েছে। সূর্য থেকে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৩০,০০০ আলোক বর্ষ। গ্যালাক্সির ব্যাস ১০০,০০০ বা এক লক্ষ আলোক বর্ষ। কেন্দ্রের উল্টোদিকের অংশকে আমরা দেখতে পাই না।
0.5
3,272.644394
20231101.bn_4129_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
মহাবিশ্ব
নিচের চিত্রে ছায়াপথের ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লক্ষ আলোকবর্ষের মধ্যে অবস্থিত গ্যালাক্সিগুলো দেখানো হয়েছে। এই স্থানীয় গ্যালাক্সি দলের মধ্যে বড় তিনটি সর্পিল গ্যালাক্সি - ছায়াপথ, অ্যান্ড্রোমিডা বা M31 এবং M33 একটি মহাকর্ষীয় ত্রিভুজ তৈরি করেছে। অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি আমাদের নিকটবর্তী বড় গ্যালাক্সি। এর দূরত্ব হচ্ছে ২.৫ মিলিয়ন বা ২৫ লক্ষ আলোকবর্ষ। স্থানীয় দলের মধ্যে বেশির ভাগ গ্যালাক্সিই বড় ম্যাজিল্লান মেঘের মত অনিয়মিত গ্যালাক্সি।
0.5
3,272.644394
20231101.bn_4129_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
মহাবিশ্ব
ডান দিকের চিত্রে স্থানীয় গ্যালাক্সি দল থেকে স্থানীয় গ্যালাক্সি মহাপুঞ্জের অন্যান্য দলের দূরত্ত্ব দেখানো হয়েছে। এই মহাপুঞ্জের কেন্দ্র কন্যা গ্যালাক্সি দল হওয়াতে তাকে কন্যা মহাপুঞ্জ বা মহাদল বলা হয়। কন্যা গ্যালাক্সি পুঞ্জ আমাদের থেকে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন বা ৬.৫ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এই ধরনের মহাপুঞ্জগুলো ফিতার আকারের মত। সাবানের বুদবুদ দিয়ে এই ধরনের গ্যালাক্সিপুঞ্জ গঠনের মডেল করা যায়। দুটো বুদবুদের দেওয়াল যেখানে মেশে সেখানেই যেন গ্যালাক্সির ফিতা সৃষ্টি হয়েছে।
0.5
3,272.644394
20231101.bn_4129_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
মহাবিশ্ব
নিচের চিত্রে আমাদের ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি আলোকবর্ষের মধ্যে অবস্থিত প্রধান গ্যালাক্সিপুঞ্জ ও গ্যালাক্সি দেওয়াল দেখানো হচ্ছে। এই চিত্রে বুদবুদগুলোর মাঝের শূন্যতা (void) খুব ভাল করেই বোঝা যাচ্ছে। কন্যা গ্যালাক্সি মহাপুঞ্জসহ ৫০ মেগাপার্সেকের (৫০ মিলিয়ন পার্সেক বা ১৬৩ মিলিয়ন আলোকবর্ষ)মধ্যে সমস্ত পদার্থ ৬৫ মেগাপার্সেক দূরের নর্মা পুঞ্জের (Abell 3627)দিকে ৬০০ কিমি/সেকেন্ডে ছুটে যাচ্ছে। বৃহত্তর স্কেলে গ্যালাক্সি সৃষ্টির জন্য ব্যারিয়ন ধ্বনি স্পন্দন (Baryon Acoustic Oscillation) যথেষ্ট সফল হয়েছে। এই মডেল অনুযায়ী গ্যালাক্সি পুঞ্জ মোটামুটি ১০০ মেগাপার্সেক (~৩০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ)স্কেলে বা স্থান জুড়ে সৃষ্টি হবে। স্লোয়ান ডিজিটাল স্কাই সার্ভের ডাটাতে ব্যারিয়ন স্পন্দন ২০০৫এ ধরা পড়ে।
0.5
3,272.644394
20231101.bn_76593_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80
লক্ষ্মী
লক্ষ্মীকে নিয়ে বাংলার জনসমাজে বিভিন্ন জনপ্রিয় গল্প প্রচলিত আছে। এই গল্পগুলি পাঁচালির আকারে লক্ষ্মীপূজার দিন পাঠ করা হয়। একে লক্ষ্মীর পাঁচালি বলে। লক্ষ্মীর ব্রতকথাগুলির মধ্যে "বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা" সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও "বারোমাসের পাঁচালি"-তেও লক্ষ্মীকে নিয়ে অনেক লৌকিক গল্পের উল্লেখ পাওয়া যায়।
0.5
3,249.004776
20231101.bn_76593_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80
লক্ষ্মী
বাঙালি হিন্দুরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর সাপ্তাহিক পূজা করে থাকেন। এই পূজা সাধারণত বাড়ির সধবা স্ত্রীলোকেরাই করে থাকেন। "বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা"-য় এই বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মীব্রত ও পূজা প্রচলন সম্পর্কে একটি যে লৌকিক গল্পটি রয়েছে, তা এইরকম: এক দোলপূর্ণিমার রাতে নারদ বৈকুণ্ঠে লক্ষ্মী ও নারায়ণের কাছে গিয়ে মর্ত্যের অধিবাসীদের নানা দুঃখকষ্টের কথা বললেন। লক্ষ্মী মানুষের নিজেদের কুকর্মের ফলকেই এই সব দুঃখের কারণ বলে চিহ্নিত করলেন।. কিন্তু নারদের অনুরোধে মানুষের দুঃখকষ্ট ঘোচাতে তিনি মর্ত্যলোকে লক্ষ্মীব্রত প্রচার করতে এলেন। অবন্তী নগরে ধনেশ্বর নামে এক ধনী বণিক বাস করতেন। তার মৃত্যুর পর তার ছেলেদের মধ্যে বিষয়সম্পত্তি ও অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে ঝগড়া চলছিল। ধনেশ্বরের বিধবা পত্নী সেই ঝগড়ায় অতিষ্ঠ হয়ে বনে আত্মহত্যা করতে এসেছিলেন। লক্ষ্মী তাকে লক্ষ্মীব্রত করার উপদেশ দিয়ে ফেরত পাঠালেন। ধনেশ্বরের স্ত্রী নিজের পুত্রবধূদের দিয়ে লক্ষ্মীব্রত করাতেই তাদের সংসারের সব দুঃখ ঘুচে গেল। ফলে লক্ষ্মীব্রতের কথা অবন্তী নগরে প্রচারিত হয়ে গেল। একদিন অবন্তীর সধবারা লক্ষ্মীপূজা করছেন, এমন সময় শ্রীনগরের এক যুবক বণিক এসে তাদের ব্রতকে ব্যঙ্গ করল। ফলে লক্ষ্মী তার উপর কুপিত হলেন। সেও সমস্ত ধনসম্পত্তি হারিয়ে অবন্তী নগরে ভিক্ষা করতে লাগল। তারপর একদিন সধবাদের লক্ষ্মীপূজা করতে দেখে সে অনুতপ্ত হয়ে লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চাইল। লক্ষ্মী তাকে ক্ষমা করে তার সব ধনসম্পত্তি ফিরিয়ে দিলেন। এইভাবে সমাজে লক্ষ্মীব্রত প্রচলিত হল।
0.5
3,249.004776
20231101.bn_76593_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80
লক্ষ্মী
অর্থঃ দক্ষিণহস্তে পাশ, অক্ষমালা এবং বামহস্তে পদ্ম ও অঙ্কুশধারিণী, পদ্মাসনে উপবিষ্টা, শ্রীরূপা, ত্রিলোকমাতা, গৌরবর্ণা, সুন্দরী, সর্বালঙ্কারভূষিতা, ব্যগ্রহস্তে স্বর্ণপদ্মধারিণী এবং দক্ষিণহস্তে বরদাত্রী দেবীকে ধ্যান করি।
0.5
3,249.004776
20231101.bn_76593_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80
লক্ষ্মী
পুজো শুরুর আগে গঙ্গা জল ছিটিয়ে দিন নিজের ও সকলের মাথায় ও পূজার স্থানে। তারপর নারায়ণকে মনে মনে স্মরণ করে পূজা শুরু করুন। পূজার স্থানে একটি তামার পাত্রে জল রাখুন। এই জল সূর্য দেবতাকে অর্পণ করার জন্য। তিনি সকল শক্তির উৎস। তাকে ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার। তাই তাকে জল দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তামার পাত্রে জল ঢালতে ঢালতেই সূর্যদেবতাকে স্মরণ করুন।
0.5
3,249.004776
20231101.bn_76593_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80
লক্ষ্মী
এরপর ঘট স্থাপনের পালা। মাটির একটি গোল ডেলা মত করে নিন, সমান করে নিন। তার ওপর ঘট বসান। এবং ঘটের সামনে একটু ধান ছড়িয়ে দিন। ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন সিঁদুর দিয়ে। ঘটের ওপর আমের পাতা রাখুন। পাতার সংখ্যা যেন বিজোড় হয়। আর পাতার ওপর তেল সিঁদুরের ফোঁটা দেবেন। ঘটে গঙ্গাজল দিয়ে তার ওপর আমের পাতা রাখুন। পাতার ওপর একটা হরিতকী, ফুল, দুব্বো, সব দিয়ে ঘট সাজান। ইচ্ছা করলে ঘটে ও লক্ষ্মীকে একটি করে মালাও পরাতে পারেন।
1
3,249.004776
20231101.bn_76593_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80
লক্ষ্মী
এরপর মা লক্ষ্মীকে আপনার ঘরে আবাহন করবেন আহবান মন্ত্র সহযোগে। না জানলে মাকে মনে মনে আহবান জানান। হাত নমস্কার করে চোখ বন্ধ করে, বলুন এসো মা আমার গৃহে প্রবেশ কর। আমার গৃহে অধিষ্ঠান কর। আমার এই সামান্য আয়োজন, নৈবিদ্য গ্রহণ কর মা। এইভাবে মাকে আহবান জানাবেন ।
0.5
3,249.004776
20231101.bn_76593_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80
লক্ষ্মী
লক্ষ্মী আপনার গৃহে পূজা নিতে এলেন, তাই প্রথমেই একটুখানি জল ঘটের পাশে লক্ষ্মীপদচিহ্নে দেবেন। এটি মা লক্ষ্মীর পা ধোয়ার জল। এরপর দুর্বা ও একটু আতপ চাল ঘটে দেবেন। এটি হল অর্ঘ্য। এর সঙ্গে একটি ফুলও দিতে পারেন। এরপর লক্ষ্মীকে একটি চন্দনের ফোঁটা দেবেন। লক্ষ্মীর প্রতিমা না থাকলে ফুলে চন্দন মাখিয়ে ঘটে দেবেন। এরপর লক্ষ্মীকে ফুল দেবেন। তারপর প্রথমে ধূপ ও তারপর প্রদীপ দেখাবেন। শেষে নৈবেদ্যগুলি নিবেদন করে দেবেন। তারপর ফুল দিয়ে পুষ্পাঞ্জলি দেবেন। মন্ত্র— এয সচন্দনপুষ্পাঞ্জলি ওঁ শ্রী লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ। (শ্রী উচ্চারণ হবে শ্রীং, নমঃ উচ্চারণ হবে নমহ।) পুষ্পাঞ্জলি এক, তিন বা পাঁচ বার দিতে পারেন। পুষ্পাঞ্জলির পর নারায়ণের উদ্দেশ্যে একটি ফুল ও দুটি তুলসীপাতা ঘটে দেবেন। তারপর ইন্দ্র ও কুবেরের নামে দুটি ফুলও ঘটে দেবেন। মা লক্ষ্মীর পেচককেও একটি ফুল দেবেন। তারপর দেবীকে প্রণাম করুন। এরপর সবশেষে লক্ষ্মীদেবীর পাঁচালী পড়ে পূজা শেষ করুন।
0.5
3,249.004776
20231101.bn_76593_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80
লক্ষ্মী
মা লক্ষ্মীপূজায় নিষিদ্ধ বিষয় ১. মায়ের পূজায় লোহা বা স্টিলের বাসনকোসন ব্যবহার করবেন না। লোহা দিয়ে অলক্ষ্মী পূজা হয়। তাই লোহা দেখলে মা লক্ষ্মী ত্যাগ করে যান।
0.5
3,249.004776
20231101.bn_76593_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80
লক্ষ্মী
মহালক্ষ্ম্যষ্টকং স্তোত্রং যঃ পঠেদ্ভক্তিমান্নরঃ । সর্বসিদ্ধিমবাপ্নোতি রাজ্যং প্রাপ্নোতি সর্বদা ৷৷ ৯৷৷
0.5
3,249.004776
20231101.bn_463888_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF
জীববৈচিত্র্য
স্থানীয় জীববৈচিত্র্য (আলফা বৈচিত্র্য) এবং আঞ্চলিক (regional) জীববৈচিত্র্যের অনুপাতকে বিটা বৈচিত্র্য β-Diversity) বলা হয়। এই পদ্ধতিতে এক পরিবেশ থেকে অন্য পরিবেশের প্রজাতির বৈচিত্র্যা সম্পর্কে জানা যায়।
0.5
3,246.928337
20231101.bn_463888_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF
জীববৈচিত্র্য
যে-কোনো খুব বড়ো ভৌগোলিক অঞ্চলের (যেমন- হিমালয় অঞ্চল) মধ্যে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বাসভূমির পার্থকের জন্য বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রে থাকা জীব প্রজাতির যে সামগ্রিক বৈচিত্র্য তৈরি হয় তাকে গামা বৈচিত্র্য (γ-Diversity) বলা হয়। ভারতের মতো বড়ো দেশের জীববৈচিত্র্য হল গামা বৈচিত্র্য। গামা বৈচিত্র্যের ওপর নির্ভর করে জীববৈচিত্র্য আইন এবং ইকো-ট্যুরিজম (Eco Tourism) গড়ে তোলা হয়।
0.5
3,246.928337
20231101.bn_463888_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF
জীববৈচিত্র্য
পৃথিবীতে জীববৈচিত্র্য আছে বলে পরিবেশে শক্তি প্রবাহ ঘটে। খাদ্য-খাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রাণী ও কীটপতঙ্গ বেঁচে থাকে। বাস্তুতন্ত্র গতিশীল (dynamic) ও কার্যকর হয়। পরিবেশ রক্ষা ও দুর্যোগ নিবারণের ক্ষেত্রে জীববৈচিত্র্যের কার্যকর প্রভাব আছে যেমন— ম্যানগ্রোভ অরণ্য ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও সুনামির প্রভাব থেকে উপকূল অঞ্চলকে অনেকটাই রক্ষা করতে পারে। সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রক্ষা করা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা, আধ্যাত্মিক ও নান্দনিক মূল্যবোধ তৈরি করা প্রভৃতি ক্ষেত্রেও জীববৈচিত্র্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
0.5
3,246.928337
20231101.bn_463888_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF
জীববৈচিত্র্য
জীববৈচিত্র্যের অর্থনৈতিক উপযোগিতা আছে। জীববৈচিত্র্য আছে বলে মানুষ খাদ্যের জোগান পায় শিল্পের কাঁচামাল পায়, বিনোদন ও পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে পারে। ওষুধ প্রস্তুত করার জন্য ভেষজ কাঁচামালের জোগান জীববৈচিত্র্যই সুনিশ্চিত করে।
0.5
3,246.928337
20231101.bn_463888_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF
জীববৈচিত্র্য
রাস্তা, রেললাইন, ব্রিজ, বাঁধ, জলাধার, খাল নির্মাণ, খনি, অরণ্যনিধন, কৃষিজমির সম্প্রসারণ, নগরায়ণ ও শিল্পায়নের জন্য।
1
3,246.928337
20231101.bn_463888_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF
জীববৈচিত্র্য
জীবগোষ্ঠীর প্রাকৃতিক বাসভূমি বা স্বাভাবিক বাসস্থান (habitat) বিনষ্ট হওয়ার জন্য ও অতিরিক্ত শিকার করার জন্য।
0.5
3,246.928337
20231101.bn_463888_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF
জীববৈচিত্র্য
বিদেশ বা অন্য কোনো জায়গা থেকে আসা আগন্তুক জীবপ্রজাতির আগ্রাসনের কারণে। উল্লেখ্য যে কচুরিপানা (water hyacinth), ল্যানটানা (lantana), ইউক্যালিপটাস (eucalyptus) প্রভৃতি বিদেশি উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে আগ্রাসী বৈশিষ্ট্য আছে। এরা স্থানীয় উদ্ভিদ প্রজাতিকে নষ্ট করে।
0.5
3,246.928337
20231101.bn_463888_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF
জীববৈচিত্র্য
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা (International Union for the Conservation Nature. IUCN) বিপন্ন বা লুপ্তপ্রায় জীবপ্রজাতির একটি বিশদ তালিকা প্রকাশ করে। এটি রেড ডাটা বুক (Red Data Book) নামে পরিচিত। ভারতে রেড ডাটা বুক IUCN-এর নিয় অনুযায়ী Zoological Survey of India এবং Botanical Survey of India প্রকাশ করে।
0.5
3,246.928337
20231101.bn_463888_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF
জীববৈচিত্র্য
IUCN রেড লিস্ট অনুসারে বর্তমানে প্রায় 1,42,500 টি প্রজাতি বিপন্ন বলা হয়েছে। অবলুপ্তির প্রকার ও গুরুত্বের সাপেক্ষে এদের নয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যথা -
0.5
3,246.928337
20231101.bn_4260_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95
শশাঙ্ক
চীনা সন্ন্যাসী জুয়ানজাং-এর লেখায় তাকে শে-শাং-কিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে শশাঙ্ক নরেন্দ্রগুপ্তও বলা হয়, যা প্রাথমিকভাবে দাবি করে যে তিনি পরবর্তী গুপ্তদের বংশধর ছিলেন। মগধের সিনহার রাজবংশীয় ইতিহাসে, 'শশাঙ্ক' এবং 'সোম' নামগুলো পরস্পর পরিবর্তনযোগ্যভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
0.5
3,235.386916
20231101.bn_4260_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95
শশাঙ্ক
শশাঙ্কের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে অতি অল্প তথ্য জানা যায়। কথিত আছে তিনি একজন শৈব ব্রাহ্মণ ছিলেন। নগেন্দ্রনাথ বসু যুক্তি দেখিয়েছেন যে, শশাঙ্ক ছিলেন রাজা কর্ণদেবের পুত্র/বংশ, যিনি কর্ণসুবর্ণ শহর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
0.5
3,235.386916
20231101.bn_4260_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95
শশাঙ্ক
৪৬৭ খ্রিস্টাব্দে স্কন্দগুপ্তের মৃত্যুর পর গুপ্ত সাম্রাজ্য বেশ কয়েকজন দুর্বল রাজা সিংহাসন আরোহণ করেন। অন্য দিকে, প্রায় ৪৮০ খ্রিস্টাব্দে আলচন হুন সেনারা পতনশীল গুপ্ত সাম্রাজ্যকে একাধিক দিক থেকে আক্রমণ করতে শুরু করে। বিশাল সাম্রাজ্যের প্রতিরক্ষা ব্যয় রাজকীয় কোষাগারের উপর চাপ সৃষ্টি করে। যদিও প্রাথমিকভাবে হুনদের বিতাড়িত করা হয়, তবে হুনদের দীর্ঘস্থায়ী আক্রমণগুলো গুপ্ত রাজাদের পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল। উল্লেখ্য যে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ শঙ্কর শর্মা যুক্তি দিয়েছেন যে, ষষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে একটি বিশাল বন্যার ফলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে।
0.5
3,235.386916
20231101.bn_4260_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95
শশাঙ্ক
ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষের দিকে, সাম্রাজ্যটি পরবর্তী গুপ্ত রাজবংশের একজন দুর্বল শাসক, মহাসেনগুপ্ত (আরসি ৫৬২-৬০১ খ্রিষ্টাব্দ) দ্বারা শাসিত হয়েছিল। গুপ্ত রাজাদের পতনের ফলে সাম্রাজ্যে বিশৃঙ্খলার দেখা দেয়। যশোধর্মনের মতো অসংখ্য স্থানীয় সামন্ত রাজা ও শাসক আবির্ভূত হন এবং প্রাক্তন সাম্রাজ্যের অনেক অংশ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেন। শশাঙ্ক এই স্থানীয় শাসকদের মধ্যে একজন হিসেবে আবির্ভূত হন, যার লক্ষ্য ছিল গৌড় এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ করা।
0.5
3,235.386916
20231101.bn_4260_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95
শশাঙ্ক
শশাঙ্কের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় মগধ রাজ্যের রোহতাস নামক ছোট্ট শহর রোহতাসগড়ে ৭ম শতকের পাহাড়ি দুর্গে। সীলমোহরে খোদাই করে লেখা আছে, "মহাসামন্ত শশাঙ্কদেব।"
1
3,235.386916
20231101.bn_4260_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95
শশাঙ্ক
কতিপয় ইতিহাসবিদ ধারণা করেন, শশাঙ্ক, পরবর্তী গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজা মহাসেনগুপ্তের অধীনে মহাসামন্ত হিসেবে রাজ্য শাসন করেন। কর্ণসুবর্ণের গৌড় রাজা ছিলেন সম্ভবত মৌখরী বংশের প্রতিনিধি। কর্ণসুবর্ণের অপর একজন রাজা জয়নাগ শশাঙ্কের সমসাময়িক বলে প্রতীয়মান হয়। বস্তুত কর্ণসুবর্ণ ছিল শশাঙ্কের রাজধানী এবং এ বিখ্যাত নগরী অবস্থিত ছিল বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় রাজবাড়িডাঙ্গার (রক্তমৃত্তিকা মহাবিহারের প্রত্নস্থল অথবা আধুনিক রাঙ্গামাটি) সন্নিকটে চিরুটি রেল স্টেশনের কাছে।
0.5
3,235.386916
20231101.bn_4260_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95
শশাঙ্ক
লিপিমালা এবং সাহিত্যিক সূত্রে শশাঙ্ক গৌড়ের শাসক হিসেবে বর্ণিত হয়েছেন। সংকীর্ণ অর্থে পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলই গৌড়। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এক বিস্তৃত এলাকা এর অন্তর্ভুক্ত হয়। শক্তিসঙ্গম তন্ত্র গ্রন্থের ৭ম পটল ‘সটপঞ্চষদ্দেশবিভাগ’-এ বলা হয়েছে যে, গৌড়ের সীমানা বঙ্গদেশ হতে ভুবনেশ (উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর) পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। এটি অসম্ভব নয় যে, লেখক শশাঙ্কের রাজ্যসীমা, যা উড়িষ্যার একটি অংশকেও অন্তর্ভুক্ত করেছিল, চিন্তা করেই গৌড় দেশের বিস্তৃতির বর্ণনা দিয়েছেন।
0.5
3,235.386916
20231101.bn_4260_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95
শশাঙ্ক
প্রত্যন্ত অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির সঙ্গে গুপ্ত সাম্রাজ্যের ধ্বংস ও পতন আকস্মিক যুগপৎ সংঘটন। অনেক অপরিচিত এলাকা, যেগুলো সম্ভবত গোত্র প্রধানগণ শাসন করতেন এবং যেখানে জনবসতি ছিল হালকা, ঐতিহাসিক খ্যাতি অর্জন করে। এ এলাকাগুলোর মধ্যে ছিল পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর উড়িষ্যা এবং মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকার (ছোটনাগপুর মালভূমির অংশ দ্বারা গঠিত) লালমাটি অঞ্চল, যেখানে চাষাবাদ ও বসবাস করা বেশ কষ্টসাধ্য।
0.5
3,235.386916
20231101.bn_4260_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95
শশাঙ্ক
এ পরিপ্রেক্ষিতে শশাঙ্ক ভারতের বিভিন্ন অংশে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর প্রথম কাজ ছিল মৌখরীদের দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ থেকে মগধ মুক্ত করা। শশাঙ্ক তাঁর মিত্র মালবের রাজা দেবগুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে পুষ্যভূতি রাজা প্রভাকরবর্ধনের জামাতা মৌখরী রাজা গ্রহবর্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন। গ্রহবর্মা, দেবগুপ্তের হাতে নিহত হন। এরপর প্রভাকরবর্ধনের জ্যেষ্ঠ পুত্র বৌদ্ধ ধর্মমতাবলম্বী থানেশ্বর রাজ রাজ্যবর্ধন দেবগুপ্তের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন এবং দেবগুপ্তকে পরাজিত ও নিহত করেন। কিন্তু দেবগুপ্তের মিত্র শশাঙ্কের সঙ্গে এক সংঘর্ষে রাজ্যবর্ধন নিহত হন।
0.5
3,235.386916
20231101.bn_342392_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF
বিশেষ্য
কোনো কিছুর নামকে বিশেষ্য পদ বলে। একে নামপদও বলা হয়। যেমন: মারিয়া, মহানবী, ভারতবর্ষ, বাঞ্ছারামপুর, উলুকান্দী
0.5
3,197.944483