_id
stringlengths 17
22
| url
stringlengths 42
314
| title
stringlengths 2
36
| text
stringlengths 100
5.1k
| score
float64 0.5
1
| views
float64 23
11.1k
|
---|---|---|---|---|---|
20231101.bn_66903_25
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
|
বিবর্তন
|
প্রজাত্যায়ন (Speciation) একটি বিবর্তনমূলক জীবপ্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি জীব প্রজাতি থেকে নতুন নতুন জীব প্রজাতির উদ্ভব ঘটে। প্রাণীর ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রজনন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে উত্তরপ্রজন্ম সৃষ্ট হয় তার প্রজাতিবৈশিষ্ট্য অগ্রজ থেকে ক্রমশ: ভিন্নতা লাভ করে। বংশানুক্রমে এই ভিন্নতা ব্যাপক হয়ে দাঁড়ালে নতুন প্রজাতি হিসাবে স্বীকৃতি ধার্য হয়ে পড়ে। তবে কখন নতুন প্রজাতি হিসাবে স্বীকৃতি ধার্য হবে তা বিতর্কিত বিষয়। জীববিজ্ঞানী ওরেটর কুক খুব সম্ভবত speciation শব্দটি প্রথম বংশানুক্রমিক ভিন্নতা লাভ বোঝাতে ব্যবহার করেছিলেন।
| 0.5 | 3,644.112371 |
20231101.bn_320017_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6
|
বিকাশ
|
ফরচুন ম্যাগাজিন ২০১৭ সালে তাদের "চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড" তালিকার শীর্ষ ৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিকাশকে ২৩ তম স্থানে রেখেছে। এশিয়ামানি পত্রিকাটি বিকাশকে ২০১৮- এর সেরা ডিজিটাল ব্যাংক হিসাবে ঘোষণা করেছে, এবং ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস এটিকে ২০১৭ সালে এশিয়ার সেরা কর্মী হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিকাশকে সমস্ত ব্র্যান্ডের পাশাপাশি এমএফএস ব্র্যান্ডের বিভাগের মধ্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম "সেরা ব্র্যান্ড পুরস্কার ২০১৯"-এ ভূষিত করেছে।
| 0.5 | 3,599.618502 |
20231101.bn_320017_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6
|
বিকাশ
|
বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী রয়েছে। ব্যাংকিং সেবা দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্যে দেশব্যাপী বিস্তৃত মোবাইল নেটওয়ার্ক একটি দ্রুত ও দক্ষ মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এমন ধারণা থেকেই বাংলাদেশে বিকাশ পরিসেবার উৎপত্তি।
| 0.5 | 3,599.618502 |
20231101.bn_320017_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6
|
বিকাশ
|
অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতই বাংলাদেশেও মানুষ গ্রামে পরিবারের ভরণপোষণের লক্ষ্যে কাজের জন্যে শহরমুখী হয়। এ ধরনের কর্মজীবিদের জন্যে সহজ ও সুবিধাজনক উপায়ে বাড়িতে টাকা পাঠানোর একটি ব্যবস্থা তৈরির করার প্রয়োজনীয়তা "বিকাশ" উদ্ভাবনের পেছনে একটি অন্যতম মৌলিক ধারণা হিসেবে কাজ করে।
| 0.5 | 3,599.618502 |
20231101.bn_320017_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6
|
বিকাশ
|
এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জন্যে ব্যাপক পরিসরে আর্থিক সেবা প্রদান সম্ভব হবে। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীকে সুবিধাজনক, সাশ্রয়ী, এবং নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ত করা যাবে।
| 0.5 | 3,599.618502 |
20231101.bn_320017_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6
|
বিকাশ
|
বিকাশ দ্রুত, নিরাপদ, সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়ী ভাবে আর্থিক সমাধান করে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় আর্থিক নতুনত্বের মাধ্যমে মানুষকে ক্ষমতায়িত করেছে।
| 1 | 3,599.618502 |
20231101.bn_320017_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6
|
বিকাশ
|
অর্থ প্রেরণ: অর্থ প্রেরণ মানে একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সেবা। এটি অ্যাপ এবং *২৪৭# উভয় দিয়েই করা যায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পাঠানো হয়।
| 0.5 | 3,599.618502 |
20231101.bn_320017_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6
|
বিকাশ
|
মোবাইল রিচার্জ: মোবাইল রিচার্জ বিকাশ গ্রাহককে তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে মোবাইল এয়ারটাইম রিচার্জ করতে দেয়। এটি নিজের মোবাইল ফোনের জন্য বা অন্য কারও মোবাইল ফোনের জন্য করা যেতে পারে।
| 0.5 | 3,599.618502 |
20231101.bn_320017_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6
|
বিকাশ
|
অর্থ প্রদান: অর্থ প্রদান সুবিধায় বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশে পেমেন্ট গ্রহণ করেন এমন যেকোনো ব্যবসায়ীর কাছে অর্থ প্রদান করা যেতে পারে। বিকাশ পেমেন্ট দেশব্যাপী এক লক্ষেরও বেশি আউটলেটগুলোতে আছে।
| 0.5 | 3,599.618502 |
20231101.bn_320017_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6
|
বিকাশ
|
অর্থ যোগ করা: এই সুবিধাটি ব্যবহার করে একজন বিকাশ গ্রাহক ক্রেডিট / ডেবিট কার্ড থেকে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। বর্তমানে সেবাটি মাস্টারকার্ডেও পাওয়া যাচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও গ্রাহকরা ১১টি অংশীদারী ব্যাংক থেকে তাঁর বিকাশ আউটলেটে অর্থ যোগ করতে পারবেন।
| 0.5 | 3,599.618502 |
20231101.bn_13928_12
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96
|
চোখ
|
গঠন: কনীনিকা হল একটি সংকোচনশীল কাঠামো, যা মূলত মসৃণ পেশী নিয়ে গঠিত, যা গোলককে ঘিরে থাকে। পুতুলের মাধ্যমে আলো চোখে প্রবেশ করে এবং কনীনিকা গোলকের আকার নিয়ন্ত্রণ করে আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি পিউপিলারি লাইট রিফ্লেক্স নামে পরিচিত। কনীনিকা মসৃণ পেশী দুটি গ্রুপ রয়েছে; একটি বৃত্তাকার দল যাকে বলা হয় স্ফিঙ্কটার পিউপিল এবং একটি রেডিয়াল গ্রুপকে ডাইলেটর পিউপিল বলে। যখন স্ফিঙ্কটার পিউপিল সংকুচিত হয়, তখন কনীনিকা তারারন্ধ্রের আকার হ্রাস বা সংকুচিত করে। উচ্চতর সার্ভিকাল গ্যাংলিয়ন থেকে সহানুভূতিশীল স্নায়ু দ্বারা প্রসারিত ডাইলেটর পিউপিল, যখন তারা সংকোচন করে তখন তা প্রসারিত করে। এই পেশীগুলিকে কখনও কখনও অভ্যন্তরীণ চোখের পেশী হিসাবে উল্লেখ করা হয়। সংবেদনশীল পথ প্রতিটি চোখের তন্তুগুলির একটি আংশিক ক্রসওভার দ্বারা অন্য চোখে এর প্রতিরূপের সাথে সংযুক্ত থাকে। এর ফলে এক চোখে প্রভাব অন্য চোখে চলে যায়। আলোর প্রভাব উক্ত অংশটি অন্ধকারে প্রশস্ত হয় এবং আলোতে সংকুচিত হয়। সংকীর্ণ হলে, ব্যাস ২ থেকে ৪ মিলিমিটার। অন্ধকারে এটি প্রথমে একই রকম হবে, তবে ৩ থেকে ৮ মিমি প্রশস্ত উক্ত অংশের জন্য সর্বাধিক দূরত্বে পৌঁছাবে। উদাহরণস্বরূপ: ১৫ বছর বয়সে, অন্ধকার-অভিযোজিত বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে ৪ মিমি থেকে ৯ মিমি পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে। ২৫ বছর বয়সের পরে, গড়ে আকার হ্রাস পায়, যদিও স্থির হারে নয়।
| 0.5 | 3,584.237071 |
20231101.bn_13928_13
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96
|
চোখ
|
রেটিনার উপর আলোক রশ্মি কেন্দ্রীভূত করে। এতে রক্ত সরবরাহ নেই। এর আকার সিলিয়ারি পেশী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।এটি ক্রিস্টালিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি। এটা আইরিশের মাংসপেশি দ্বারা সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হতে পারে। এর ফলে আমরা সহজেই কাছের ও দূরের জিনিস দেখতে পাই। উল্লেখ্য যে কাছের জিনিস দেখতে আমাদের চোখের লেন্স সংকুচিত হয় এবং দূরের জিনিস দেখতে আমাদের চোখের লেন্স প্রসারিত হয়। একে উপযোজন (Accommodation) বলে।লেন্স, বা স্ফটিক লেন্স হল চোখের একটি স্বচ্ছ দ্বি উত্তল কাঠামো যা কর্নিয়া সহ, রেটিনার উপর ফোকাস করার জন্য আলোর প্রতিসরণ করাতে সাহায্য করে। আকৃতি পরিবর্তন করে, এটি চোখের ফোকাল দৈর্ঘ্য পরিবর্তন করার জন্য কাজ করে ,যাতে এটি বিভিন্ন দূরত্বের বস্তুর উপর ফোকাস করতে পারে, এইভাবে উক্ত বস্তুর একটি তীক্ষ্ণ বাস্তব ছবি রেটিনায় তৈরি হতে দেয়।এটি একটি ফটোগ্রাফিক ক্যামেরার লেন্সের নড়াচড়ার মাধ্যমে ফোকাস করার মতো। লেন্সটি তার পিছনের দিকের চেয়ে সামনের দিকে চ্যাপ্টা।
| 0.5 | 3,584.237071 |
20231101.bn_13928_14
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96
|
চোখ
|
লেন্স মানুষের চোখের সামনের অংশের অংশ। লেন্সের সামনে রয়েছে আইরিস, যা চোখের মধ্যে আলোর প্রবেশের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি সিলিয়ারি বডির সাথে চোখকে সংযুক্ত করে। লেন্সের পশ্চাৎভাগ হল ভিট্রিয়াস বডি, যা সামনের পৃষ্ঠের জলীয় হিউমারের সাথে লেন্সকে সংযুক্ত করে। লেন্সের একটি উপবৃত্তাকার, বাইকনভেক্স আকৃতি রয়েছে। সামনের পৃষ্ঠটি পশ্চাৎভাগের তুলনায় কম বাঁকা। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে, লেন্সটি সাধারণত প্রায় 10 মিমি ব্যাস হয় এবং এর অক্ষীয় দৈর্ঘ্য প্রায় 4 মিমি থাকে, যদিও এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অবস্থানগত কারণে আকার এবং আকৃতি পরিবর্তিত হতে পারে। কারণ লেন্সটি একজন ব্যক্তির সারাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।লেন্সটি নমনীয় মাধ্যমে সিলিয়ারি পেশী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। লেন্সের বক্রতা পরিবর্তন করে, কেউ এটি থেকে বিভিন্ন দূরত্বের বস্তুর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পারে। এই প্রক্রিয়াটিকে ফোকাস বলা হয়। সংক্ষিপ্ত ফোকাল দূরত্বে সিলিয়ারি পেশী সংকুচিত হয় লেন্স ঘন হয়, ফলে একটি গোলাকার আকৃতি হয় এবং এটি উচ্চতর প্রতিসরণাঙ্ক শক্তি। একটি বড় দূরত্বে একটি বস্তুর ফোকাস পরিবর্তন করার জন্য লেন্সের শিথিলতা প্রয়োজন এবং এইভাবে ফোকাল দূরত্ব বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। মানুষের লেন্সের প্রতিসরণ সূচক কেন্দ্রীয় স্তরে প্রায় 1.406 থেকে লেন্সের কম ঘন স্তরে 1.386 পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। এই ইন্ডেক্স গ্রেডিয়েন্ট লেন্সের অপটিক্যাল শক্তি বাড়ায়। জলজ প্রাণীদের অবশ্যই তাদের লেন্সের উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করতে হবে ফোকাস করার জন্য এবং চোখের প্রায় সম্পূর্ণ প্রতিসরণাঙ্ক শক্তি প্রদানের জন্য । যেমন, জলজ প্রাণীদের লেন্সগুলি অনেক বেশি গোলাকার এবং শক্ত হতে থাকে।
| 0.5 | 3,584.237071 |
20231101.bn_13928_15
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96
|
চোখ
|
এটা জেলির মত পদার্থ যা চোখের বেশিরভাগ অংশ পূর্ণ করে রাখে (লেন্সের পিছন থেকে রেটিনা পর্যন্ত)। প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।ভিট্রিয়াস হিউমার (ভিট্রিয়াস অর্থ "কাচের মত", ল্যাটিন ভিট্রিয়াস থেকে, vitr(um) গ্লাস + -eus -ous এর সমতুল্য) হল একটি পরিষ্কার তরল যা চোখের লেন্স এবং রেটিনার মধ্যে স্থান পূর্ণ করে (ভিট্রিয়াস চেম্বার) ) মানুষ এবং অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে। এটিকে প্রায়শই ভিট্রিয়াস বডি , "দ্য ভিট্রিয়াস" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ভিট্রিয়াস ফ্লুইড বা "তরল ভিট্রিয়াস" হল ভিট্রিয়াস জেলের তরল উপাদান, যা একটি কাঁচের বিচ্ছিন্নতার পরে পাওয়া যায়। এটি জলীয় রসের সাথে মিশ্রিত হবে না, চোখের অন্যান্য তরল যা কর্নিয়া এবং লেন্সের মধ্যে পাওয়া যায়।ভিট্রিয়াস হিউমার হল একটি স্বচ্ছ, বর্ণহীন, জেলটিনাস ভর যা চোখের লেন্স এবং রেটিনার মধ্যবর্তী স্থান পূর্ণ করে। এটি কোলাজেনের একটি স্তর দ্বারা বেষ্টিত থাকে যাকে ভিট্রিয়াস মেমব্রেন (বা হায়ালয়েড মেমব্রেন বা ভিট্রিয়াস কর্টেক্স) বলে এটিকে চোখের বাকি অংশ থেকে আলাদা করে। এটি চোখের বলের আয়তনের চার-পঞ্চমাংশ তৈরি করে। ভিট্রিয়াস হিউমার কেন্দ্রের কাছে তরলের মতো এবং প্রান্তের কাছে জেলের মতো। ভিট্রিয়াস হিউমার রেটিনার ওপরে থাকা ভিট্রিয়াস ঝিল্লির সংস্পর্শে থাকে। কোলাজেন ফাইব্রিলস ভিট্রিয়াসকে অপটিক নার্ভ ডিস্ক এবং ওরা সেরাটা (যেখানে রেটিনা সামনের দিকে শেষ হয়), লেন্সের পৃষ্ঠীয় দিকে উইগার-ব্যান্ডে সংযুক্ত করে।
| 0.5 | 3,584.237071 |
20231101.bn_13928_16
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96
|
চোখ
|
এর অনেক শারীরবৃত্তীয় দিক রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হায়ালয়েড মেমব্রেন, বার্জার স্পেস, এর্গেলেটের স্থান, উইগারের লিগামেন্ট, ক্লোকেটের খাল এবং মার্টেগিয়ানির স্থান। পৃষ্ঠ বৈশিষ্ট্য: প্যাটেলা ফোসা: সামনের দিকে অগভীর সসারের মতো অবতলতা।
| 1 | 3,584.237071 |
20231101.bn_13928_17
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96
|
চোখ
|
ভিট্রিয়াস তরল উৎপত্তির সময় উপস্থিত থাকে না (চোখটি শুধুমাত্র জেলের মতো ভিট্রিয়াস শরীরে পূর্ণ হয়), তবে 4-5 বছর বয়সের পরে পাওয়া যায় এবং তারপরে আকারে বৃদ্ধি পায়।সিলিয়ারি শরীরের অ-রঞ্জক অংশের কোষ দ্বারা উৎপাদিত, ভিট্রিয়াস হিউমার ভ্রূণের মেসেনকাইমা কোষ থেকে উদ্ভূত হয়, যা জন্মের পরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। বয়ঃসন্ধিকালে, ভিট্রিয়াস কর্টেক্স আরও ঘন হয়ে ওঠে এবং ভিট্রিয়াস ট্র্যাক্ট তৈরি হয়; এবং প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায়, ট্র্যাক্টগুলি আরও ভালভাবে সংজ্ঞায়িত এবং পাতলা হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় ভিট্রিয়াস লিকুইফিস, ফাইব্রিলার অবক্ষয় ঘটে এবং ট্র্যাক্ট ভেঙ্গে যায় (সিনেরেসিস)।বার্ধক্যের সাথে সাথে মোটা দাগ তৈরি হয়। বয়সের সাথে জেলের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং তরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কর্টেক্স সাইটগুলিতে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে, তরল ভিট্রিয়াসকে ভিট্রিয়াস কর্টেক্স এবং রেটিনার (ভিট্রিয়াস বিচ্ছিন্নতা) মধ্যবর্তী সম্ভাব্য স্থানের সংলগ্নভাবে বের হয়ে যেতে দেয়।
| 0.5 | 3,584.237071 |
20231101.bn_13928_18
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96
|
চোখ
|
যদি ভিট্রিয়াস রেটিনা থেকে দূরে সরে যায় তবে এটি একটি ভিট্রিয়াস বিচ্ছিন্নতা হিসাবে পরিচিত। মানবদেহের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ভিট্রিয়াস প্রায়শই তরল হয়ে যায় এবং ভেঙে পড়তে পারে। এটি ঘটার সম্ভাবনা বেশি, এবং অনেক আগে ঘটে, অদূরদর্শী (মায়োপিয়া) চোখে। এটি চোখের আঘাত বা চোখের প্রদাহের পরেও ঘটতে পারে (ইউভেইটিস)। ভিট্রিয়াসের কোলাজেন ফাইবারগুলি বৈদ্যুতিক চার্জ দ্বারা পৃথক করা হয়। বার্ধক্যের সাথে, এই চার্জগুলি কমতে থাকে এবং ফাইবারগুলি একত্রিত হতে পারে। একইভাবে, জেলটি তরল হতে পারে, একটি অবস্থা যা সিনারেসিস নামে পরিচিত, কোষ এবং অন্যান্য জৈব ক্লাস্টারগুলিকে ভিট্রিয়াস হিউমারের মধ্যে অবাধে ভাসতে দেয়। এগুলো ফ্লোটারকে অনুমতি দেয় যেগুলিকে ভিজ্যুয়াল ফিল্ডে দাগ বা তন্তুযুক্ত স্ট্র্যান্ড হিসেবে ধরা হয়। ফ্লোটারগুলি সাধারণত ক্ষতিকারক নয়, তবে পুনরাবৃত্তি ফ্লোটারগুলির আকস্মিক সূত্রপাত একটি পোস্টেরিয়র ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্ট বা চোখের অন্যান্য রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। পোস্টেরিয়র ভিট্রিয়াস বিচ্ছিন্নতা: একবার তরল ভিট্রিয়াস ভিট্রিয়াস কর্টেক্স এবং রেটিনার মধ্যবর্তী সাব-হায়ালয়েড স্পেসে প্রবেশ করলে, এটি প্রতিটি চোখের নড়াচড়ার সাথে রেটিনা থেকে ভিট্রিয়াস কর্টেক্সকে সরিয়ে ফেলতে পারে।
| 0.5 | 3,584.237071 |
20231101.bn_13928_19
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96
|
চোখ
|
মৃত্যুর পরে, ভিট্রিয়াস শরীরের অন্যান্য তরলগুলির তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী প্রচুর প্রতিরোধ করে। মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা, দিন এবং সপ্তাহের মধ্যে, ভিট্রিয়াস পটাসিয়ামের ঘনত্ব এমন একটি পূর্বাভাসযোগ্য গতিতে বৃদ্ধি পায় যে মৃতদেহের মৃত্যুর পর থেকে (মরণোত্তর ব্যবধান) সময় অনুমান করতে ভিট্রিয়াস পটাসিয়ামের মাত্রা প্রায়শই ব্যবহৃত হয়।সিস্টেমিক সঞ্চালন এবং ভিট্রিয়াস হিউমারের মধ্যে বিপাকীয় আদান-প্রদান এবং ভারসাম্য এতই ধীর যে কখনও কখনও গ্লুকোজ মাত্রা বা পদার্থের পোস্টমর্টেম বিশ্লেষণের জন্য ভিট্রিয়াস হিউমার পছন্দের তরল হয় যা সাধারণ সঞ্চালন থেকে আরও দ্রুত বিচ্ছুরিত, অবনমিত, নির্গত বা বিপাকীয় হবে।ফরেনসিক রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য ভিট্রিয়াস তরল নিষ্কাশন করা রক্তের বিশ্লেষণের চেয়ে পছন্দনীয় (যদি একটি ফরেনসিক বা পোস্টমর্টেম টক্সিকোলজি পরীক্ষা প্রয়োজন বলে মনে করা হয়)। এটি দাফনের আগে শরীর থেকে কয়েক ফোঁটা রক্তের ক্ষতি এড়ায়।
| 0.5 | 3,584.237071 |
20231101.bn_13928_20
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96
|
চোখ
|
এই স্ক্লেরা ও রেটিনার মধ্যবর্তী রক্তবাহিকাসমৃদ্ধ ও মেলানিন রঞ্জকে রঞ্জিত স্তর। মেলানিন রঞ্জক থাকায় এটি কালো দেখায়। এটা রেটিনাতে রক্ত সরবরাহ করে, ফলে রেটিনার কোষগুলি পুষ্টি লাভ করে এবং রেটিনা হতে আগত অতিরিক্ত আলো শোষণ করে নেয় ও প্রতিফলন হ্রাস পায়। এর ভিতরে রয়েছে আইরিশ ও লেন্স। এটি একটি ঘন রঞ্জিত পদার্থের স্তর।কোরয়েড, যা কোরোইডিয়া বা কোরয়েড কোট নামেও পরিচিত, এটি ইউভিয়া, চোখের ভাস্কুলার স্তরের একটি অংশ এবং এতে সংযোগকারী টিস্যু রয়েছে এবং এটি রেটিনা এবং স্ক্লেরার মধ্যে অবস্থিত। মানুষের কোরয়েড চোখের অনেক পিছনের দিকে সবচেয়ে পুরু হয় (০.২ মিমি), যখন বাইরের অঞ্চলে এটি ০.১ মিমিতে সংকুচিত হয়। কোরয়েড রেটিনার বাইরের স্তরে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। সিলিয়ারি বডি এবং আইরিসের সাথে কোরয়েড ইউভিয়াল ট্র্যাক্ট গঠন করে।চোখের দুটি সঞ্চালন আছে: রেটিনাল (রেটিনাতে) এবং উভিয়াল, যা মানুষের মধ্যে পোস্টেরিয়র সিলিয়ারি ধমনী দ্বারা সরবরাহ করা হয়, চক্ষু ধমনী (অভ্যন্তরীণ ক্যারোটিড ধমনীর একটি শাখা) থেকে উদ্ভূত হয়। uveal সঞ্চালনের ধমনী, Uvea এবং রেটিনার বাইরের এবং মধ্য স্তর সরবরাহ করে, চক্ষুসংক্রান্ত ধমনীর শাখা এবং অপটিক নার্ভের সাথে না গিয়েই চোখের গোলাকার অংশে প্রবেশ করে। অন্যদিকে রেটিনাল সঞ্চালন কেন্দ্রীয় রেটিনাল ধমনী থেকে এর সঞ্চালন লাভ করে, এটি চক্ষু ধমনীর একটি শাখাও, কিন্তু অপটিক স্নায়ুর সাথে একত্রে চলে যায়। তারা শেষ ধমনীতে একটি সেগমেন্টাল ডিস্ট্রিবিউশনে শাখা করছে এবং অ্যানাস্টোমোসেস নয়। কোরয়েডাল রক্ত সরবরাহকে প্রভাবিত করে এমন রোগগুলির জন্য এটি চিকিৎসাগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সেন্ট্রাল ভিশনের জন্য দায়ী ম্যাকুলা এবং অপটিক নার্ভের সামনের অংশ কোরয়েডাল রক্ত সরবরাহের উপর নির্ভরশীল। কোরয়েডাল অংশের গঠন অপটিক্যাল কোহেরেন্স টোমোগ্রাফির মাধ্যমে প্রকাশ করা যেতে পারে এবং ইন্ডোসায়ানাইন গ্রিন অ্যাঞ্জিওগ্রাফি এবং লেজার ডপলার ইমেজিংয়ের মাধ্যমে রক্তের প্রবাহ প্রকাশ করা যেতে পারে।মেলানিন, একটি গাঢ় রঙের রঞ্জক, কোরয়েড চোখের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত প্রতিফলনকে সীমাবদ্ধ করতে সহায়তা করে যা সম্ভাব্য বিভ্রান্তিকর চিত্রগুলির উপলব্ধি ঘটাতে পারে। মানুষ এবং অন্যান্য প্রাইমেটদের মধ্যে, মেলানিন কোরয়েড জুড়ে ঘটে। অ্যালবিনো মানুষের মধ্যে, প্রায়শই মেলানিন অনুপস্থিত থাকে এবং দৃষ্টিশক্তি কম থাকে। তবে অনেক প্রাণীর মধ্যে মেলানিনের আংশিক অনুপস্থিতি অন্ধকারে ভালো দেখতে অবদান রাখে। এই প্রাণীদের মধ্যে, কোরয়েডের একটি অংশে মেলানিন অনুপস্থিত থাকে এবং সেই অংশের মধ্যে অত্যন্ত প্রতিফলিত টিস্যুর একটি স্তর, ট্যাপেটাম লুসিডাম, এটি একটি নিয়ন্ত্রিত উপায়ে প্রতিফলিত করে আলো সংগ্রহ করতে সাহায্য করে। গাঢ় কোরয়েড থেকে আলোর অনিয়ন্ত্রিত প্রতিফলন ফটোগ্রাফিক লাল-চোখের প্রভাব তৈরি করে, যেখানে ট্যাপেটাম লুসিডাম থেকে আলোর নিয়ন্ত্রিত প্রতিফলন আইশাইন তৈরি করে।
| 0.5 | 3,584.237071 |
20231101.bn_40359_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8
|
ফুসফুস
|
হৃৎপিণ্ডের প্রতিরক্ষার জন্য নরম, ঘাতসহ স্তর হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যা প্রায় চারপাশে হতে হৃৎপিণ্ডকে ঘিরে থাকে।
| 0.5 | 3,560.41397 |
20231101.bn_40359_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8
|
ফুসফুস
|
স্তন্যপায়ীর ফুসফুসের বুনট স্পঞ্জের মত এবং এপিথেলিয়ামের স্তর দ্বারা গঠিত এর কুন্চিত অন্তস্থঃতল বহিস্থঃতল অপেক্ষা অনেক বড়। মানুষের ফুসফুস এজাতীয় ফুসফুসের প্রতিনিধিত্বকারী।
| 0.5 | 3,560.41397 |
20231101.bn_40359_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8
|
ফুসফুস
|
মানবদেহে ট্রাকিয়া দুই ভাগ হয়ে দুটি প্রধান ব্রংকাই গঠন করেছে যা ফুসফুসদ্বয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছে। ফুসফুসের ভেতর ব্রংকাই আরো বহুবার বিভক্ত হয়ে ব্রংকিওল গঠন করে। ব্রংকিয়াল ট্রি আরও বিভক্ত হয়ে টারমিনাল ব্রংকিওলে গিয়ে শেষ হয়, যা অ্যালভিওলার স্যাকের সাথে যুক্ত। প্রতিটি অ্যালভিওলার স্যাক আঙ্গুরের ঝোপার মত অ্যালভিওলাইয়ের গুচ্ছের সমন্নয়ে গঠিত। প্রতিটি অ্যালভিওলাই রক্তনালীর দ্বারা আষ্টেপৃষ্ঠে মোরানো থাকে এবং প্রকৃতপক্ষে এখানেই গ্যাস বিনিময় হয়ে থাকে। অক্সিজেনশূন্য রক্ত হৃৎপিণ্ড হতে পালমোনারী ধমনীর মধ্য দিয়ে ফুসফুসে সঞ্চালিত হয়, যেখানে কার্বন ডাই-অক্সাইডের বিনিময়ে অক্সিজেন রক্তেরলোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লবিনে ব্যপিত হয়। অক্সিজেনপূর্ণ রক্ত পালমোনারী শিরার মধ্য দিয়ে হৃৎপিণ্ডে পৌছে এবং সেখান হতে তা সিস্টেমিক সারকুলেশনে (তান্ত্রিক রক্তসঞ্চালন) সঞ্চালিত হয়।
| 0.5 | 3,560.41397 |
20231101.bn_40359_11
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8
|
ফুসফুস
|
মানব ফুসফুস হৃৎপিণ্ডের দুপাশে অবস্থিত যা প্লুরা পর্দা দ্বারা আবৃত। এক রকম দেখতে হলেও, ফুসফুস দুটি হুবহু অনুরুপ নয়। উভয়ই কতগুলো লোব-এ বিভক্ত, ডানে তিনটি এবং বামে দুটি। প্রতিটি লোব কতগুলো লোবিউলে বিভক্ত, যা খালি চোখে দৃষ্টিগোচর ফুসফুসের খুদ্রতম ষড়ভুজাকৃতি অংশ। ধুমপায়ী ও শহুরে মানুষদের লোবিউলকে বিভক্তকারী কানেক্টিভ টিস্যু (যোজক কলা) প্রায়শ কালচে রং ধারণ করে। ডান ফুসফুসের মধ্যবর্তী সীমারেখা প্রায় উল্লম্ব, যেখানে বাম ফুসফুসে একটি কার্ডিয়াক নচ (হৃদ খাঁজ) থাকে। কার্ডিয়াক নচ হলো হৃৎপিণ্ডের আকার অনুযায়ী তাকে ধারণ করার উপযোগী একটি অবতল জায়গা। ফুসফুসগুলো ক্ষেত্র বিশেষে “অতিগঠিত” এবং এদের সংরক্ষিত আয়তন বিশ্রামাবস্থায় নির্ধারিত অক্সিজেন বিনিময়ের আয়তন হতে অনেক বেশি। এ কারণেই ফুসফুসের ক্ষমতা লক্ষণীয়ভাবে না কমেও কোন ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধূমপান করে যেতে পারেন। এধরনের ক্ষেত্রে ফুসফুসের একটি ক্ষুদ্র অংশেই গ্যাস বিনিময়ের জন্য রক্ত সরবরাহ হয়ে থাকে। ব্যায়ামের ফলে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেলে, ফুসফুসের অপেক্ষাকৃত বৃহৎ অংশে রক্ত সরবহৃত হয়, যা শরীরের প্রয়োজনীয় CO2/O2 বিনিময়কে সম্ভব করে তোলে।
| 0.5 | 3,560.41397 |
20231101.bn_40359_12
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8
|
ফুসফুস
|
ফুসফুসের অন্তর্ভাগ অতন্ত আর্দ্র, যা ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধিতে উপযোগী। শ্বসনতন্ত্রের অনেক অসুস্থতার জন্য ফুসফুসের এই ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত প্রদাহ দায়ী।
| 1 | 3,560.41397 |
20231101.bn_40359_13
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8
|
ফুসফুস
|
স্তন্যপায়ীর ন্যায় পাখির ফুসফুসে অ্যালভিওলাই দ্বারা গঠিত নয়। তার বদলে এটি লক্ষাধিক সরু প্যারাব্রংকাই দ্বারা গঠিত, যা উভয় দিকে ডর্সোব্রংকাই (পশ্চাৎ-ব্রংকাই) ও ভেন্ট্রব্রংকাই (সম্মুখ-ব্রংকাই) এর সাথে যুক্ত। বায়ু প্যারাব্রংকাইয়ের মৌচাক সদৃশ্য দেয়ালের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বায়ু-কৌশিকনালিতে (air capillaries) প্রবেশ করে, যেখানে বিপরীতগামী রক্ত-কৌশিকনালির সাথে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সিইড বিনিময় হয়। এই বিনিময় হয় ব্যাপনের মাধ্যমে, যা একটি বিপরীত ঘনত্বগামী বিনিময় পদ্ধতি।
| 0.5 | 3,560.41397 |
20231101.bn_40359_14
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8
|
ফুসফুস
|
এভিয়ান ফুসফুসে দুই সেট বায়ুথলী থাকে, একটি সামনের দিকে এবং অন্যটি পেছনের দিকে। শ্বাস নিলে, বায়ু পেছনের দিকে কডাল থলীতে প্রবাহিত হয় এবং অল্প একটি অংশ সামনের দিকে প্যারাব্রংকাইয়ের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয় ও ক্রেনিয়াল বায়ুথলীতে রক্তকে অক্সিজেনাইত করে। শ্বাস ছাড়লে, ক্রেনিয়াল বায়ুথলীর অক্সিজেনহীন বায়ু বেড়িয়ে যায়, এবং এরপর কডাল থলীতে রক্ষিত অক্সিজেনপূর্ণ বায়ু প্যারাব্রংকাই হয়ে ক্রেনিয়াল বায়ুথলীর অবশিষ্ট বায়ুসহ বেড়িয়ে যায়। এভিয়ান ফুসফুসের ভিতর দিয়ে প্রবিহিত বায়ু-প্রবাহ যেন একই দিকে চালিত হয়- পেছন থেকে সামনে, তা বায়ু থলীর এই জটিল পদ্ধতি নিষ্চিৎ করে। এটি স্তণ্যপায়ী প্রাণির শ্বসণ পদ্ধতি হতে পৃথক, যেখানে ফুসফুসে বায়ুপ্রবাহ জোয়ার-ভাটার মত, শ্বাস গ্রহণ ও বর্জন পরস্পর বিপরীত। একমুখী বায়ুপ্রবাহ ব্যবহারের জন্য, এ্যভিয়ান ফুসফুস শ্বাস নেওয়া বায়ু হতে সর্ব্বোচ্চ আক্সিজেন নিষ্কাসন করতে পারে। এজন্য পাখিরা যত উচ্চতায় উড়তে পারে তত উচুতে স্তন্যপায়ীরা হাইপোক্সিয়ায় মারা যাবে এবং সমওজন বিশিষ্ট স্তন্যপায়ী হতে তারা উচ্চ বিপাকীয় হারও বযায় রাখতে পারে। তন্ত্রের জটিলতার কারণে, ভুলবোঝাবুঝিও বেশি এবং এটা অসমর্থিতভাবে বিশ্বাস করা হয় যে পুরো শ্বসন তন্ত্রে বায়ু একবার ঘুরে আসতে এদেরকে দুইটি শ্বাস চক্র সম্পন্ন করতে হয়। পাখির ফুসফুস দুটি শ্বসন চক্রের মধ্যবর্তী সময়ে কোন থলেতেই বায়ু ধরে রাখে না, পুরো শ্বসনকার্যেই বায়ু পেছন হতে সামনের থলেতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে। এই ধরনের ফুসফুসের গঠনকে বলে সঞ্চালনী ফুসফুস (circulatory Lung) যা বেশিরভাগ প্রাণী ব্যবহৃত হাপর ফুসফুস (bellows lung) হতে পৃথক।
| 0.5 | 3,560.41397 |
20231101.bn_40359_15
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8
|
ফুসফুস
|
এ্যাক্সিলারি পেশী দ্বারা পাঁজরের সম্প্রসরন ও প্রসারন এবং মুখবিবরীয় সঞ্চালনের (buccal pumping) মাধ্যমে সাধারণত রেপ্টাইলিয়ান ফুসফুসে বায়ু চলাচল করে থাকে। ক্রকোডাইলিয়ানরা হেপাটিক পিস্টোন পদ্ধতিও ব্যাহার করে। যেখানে পিউবিক অস্থির (শ্রোণীচক্রের একটি অস্থি) সাথে একটি পেশী দ্বারা সংযুক্ত যকৃৎ পেছন দিকে সরে আসে, ফলে ফুসফুসের নিম্নতল পেছন দিকে নেমে এসে ফুসফুসকে সম্প্রসারিত করে।
| 0.5 | 3,560.41397 |
20231101.bn_40359_16
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8
|
ফুসফুস
|
ব্যাঙ ও অন্যান্য উভচরের ফুসফুস গঠন বেলুনের মত, যেখানে বায়ু বিনিময় শুধু ফুসফুসের বহিরাবরনণেই সীমিত। যদিও এটি খুব পর্যাপ্ত নয়, কিন্তু উভচরদের শ্বসন হার খুব কম এবং তাদের আর্দ্র বহিরাবরনে মাধ্যমেও বায়ু দেহে ব্যাপনের মাধ্যমে প্রবেশ করে সেই অভাব পূরণ করে। স্তন্যপায়ীর বিপরীতে, যাদের শ্বাসতন্ত্র ঋণাত্মক চাপের দ্বারা পরিচালীত হয়, উভচরীরা ধনাত্মক চাপের মাধ্যমে তা কর্যকর করে। এটা লক্ষনীয় যে স্যালামেন্ডার প্রজাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য ফুসফুসবিহীন স্যালামেন্ডার এবং তারা তাদের শ্বাসকার্য তাদের ত্বক ও মুখগহব্বরের আবরনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকে।
| 0.5 | 3,560.41397 |
20231101.bn_249982_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AB
|
ইউসুফ
|
হজরত ইয়াকুব (আ.) তাঁর ১২ পুত্রের মধ্যে হজরত ইউসুফ (আ.)-কে বেশি স্নেহ করতেন। মূলত সৌন্দর্যের কারণে শিশুকালে তিনি সবারই প্রিয়পাত্র ছিলেন, যা তাঁর সৎ ভাইয়েরা সহ্য করতে পারতেন না। এই ভাইয়েরা হজরত ইউসুফ (আ.)-কে শিশু অবস্থায় তাদের পিতার কাছ থেকে দূরে সরানোর ঘৃণ্য চক্রান্ত করেন। তারা বাবা ইয়াকুব (আ.)-এর কাছে ইউসুফ (আ.)-কে তাদের সঙ্গে বাইরে খেলতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চান। ইয়াকুব (আ.) কখনো পুত্র ইউসুফ (আ.)-কে চোখের আড়াল করতেন না। তাই তাকে নেকড়ে বাঘ খেয়ে ফেলতে পারে উল্লেখ করে নিষেধ করেন, তবে উপর্যুপরি অনুরোধ এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তার কথা বলে সৎ ভাইয়েরা বাবাকে রাজি করান এবং ইউসুফ (আ.)-কে খেলতে নিয়ে যান। এরপর তাকে প্রথমে হত্যা করার পরিকল্পনা করলেও বড় ভাইয়ের পরামর্শে হত্যার বদলে কূপে ফেলে দেওয়া হয়। আর তার কাপড়ে রক্ত মাখিয়ে তা বাড়িতে বাবাকে দেখান এবং ইউসুফ (আ.)-কে নেকড়ে বাঘ খেয়ে ফেলেছে বলে উল্লেখ করেন। বাবা হজরত ইয়াকুব (আ.) এ ঘটনায় শোকে মুষড়ে পড়েন এবং পুত্রশোকে কাঁদতে কাঁদতে চোখ সাদা এবং অন্ধ হয়ে যান। পবিত্র কোরআনের সূরা ইউসুফের ৮ থেকে ১৮ নম্বর আয়াতে এ ঘটনার বর্ণনা রয়েছে।
| 0.5 | 3,558.431748 |
20231101.bn_249982_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AB
|
ইউসুফ
|
মিসরের দাস-দাসী বিক্রির হাটে সুদর্শন ইউসুফ (আ.)-এর আগমনে সাড়া ফেলে দেয় এবং তার মূল্য ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। সবশেষে ইউসুফ (আ.)-এর ওজনের সমপরিমাণ সোনা, মৃগনাভী এবং রেশমি বস্ত্রের বিনিময়ে তাকে কিনে নেন ‘অজিজে মিসর’ অর্থাৎ মিসরের অর্থ ও খাদ্যমন্ত্রীতুল্য রাজসভার একজন সদস্য। কোনো কোনো বর্ণনায় তাকে মিসরের তৎকালীন আমালেকা জাতীয় সম্রাট বায়য়াদ ইবনে ওয়াসাদের অর্থমন্ত্রী ‘কিতফি’ কিংবা ‘ইতফি’ বলে উল্লেখ করা হয়। তিনি তাকে তার স্ত্রী জুলায়খার হাতে সমর্পণ করেন। সে তার স্ত্রীকে ইউসুফ (আ.)-এর প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দেন এবং এই ইউসুফ (আ.) তাদের বিশেষ উপকারে আসবেন বলে প্রত্যাশা করেন। এভাবেই ইউসুফ (আ.) এবং জুলেখার পরিচয় হয়।
| 0.5 | 3,558.431748 |
20231101.bn_249982_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AB
|
ইউসুফ
|
পবিত্র কোরআনে হজরত ইউসুফ (আ.)-কে নিয়ে সর্বাধিক আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ঘটনার নেপথ্যে থাকা প্রধান দুই চরিত্রের নাম সরাসরি উল্লিখিত হয়নি। সূরা ইউসুফে হজরত ইউসুফ (আ.)-কে ক্রয়কারীকে ‘আজিজ’ বা মন্ত্রী হিসেবে এবং তার স্ত্রীকে ‘আজিজের স্ত্রী’ বা ‘তার স্ত্রী’ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। তবে তাফসির এবং ঐতিহাসিক বর্ণনা মতে, এই আজিজের স্ত্রীই হলেন ইতিহাস-খ্যাত ‘জুলেখা’। আবার অনেকের মতে, তাঁর প্রকৃত নাম রঙ্গিল আর উপাধি হলো জুলেখা।
| 0.5 | 3,558.431748 |
20231101.bn_249982_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AB
|
ইউসুফ
|
জুলেখার ঘরেই কৈশোর পেরিয়ে যুবক হয়ে ওঠেন ইউসুফ (আ.)। জুলেখা ক্রমেই যুবক ইউসুফ (আ.)-এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। মূর্তি উপাসক জুলেখা তার ঘরে থাকা মূর্তির সামনে অন্যায় আবদার করতে ভয় পেতেন বলে কাপড় দিয়ে মূর্তির চোখ ঢেকে দিয়ে ইউসুফ (আ.)-কে নানাভাবে প্রলুব্ধ করতে সচেষ্ট ছিলেন। অন্যদিকে আল্লাহর একাত্ববাদে বিশ্বাসী ইউসুফ (আ.) আল্লাহ প্রদত্ত ইমানের শক্তিতে সব ধোঁকা ও প্রলোভনের ঊর্ধ্বে ছিলেন এবং সব সময় জুলেখাকে এ পথ ছাড়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু ইউসুফ (আ.)-এর প্রেমে পাগল জুলেখা ছিলেন একরোখা।
| 0.5 | 3,558.431748 |
20231101.bn_249982_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AB
|
ইউসুফ
|
সূরা ইউসুফের ২৩ নং আয়াত অনুসারে একদা জুলেখা ইউসুফ (আ.)-কে ঘরে পেয়ে দরজা বন্ধ করে দেন এবং তার প্রতি আহ্বান জানান। কিন্তু ইউসুফ (আ.) মহান আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান, ধৈর্য, ইমান এবং ভীতির কারণে তা প্রত্যাখ্যান করেন। তাফসির ও আরবি সাহিত্যমতে, এ সময় হজরত ইউসুফ (আ.) আসন্ন বিপদ থেকে বাঁচতে ঘরের ছাদের দিকে দৃষ্টি দিলে অলৌকিকভাবে আরবি লেখা দেখতে পান। এ ছাড়াও ঘরে মূর্তির দিকে তাকিয়ে তিনি ‘আজিজ’-এর প্রতিচ্ছবি দেখতে পান এবং ঘরের দরজায় আজিজের উপস্থিতি অনুভব করেন। এরপর হজরত ইউসুফ (আ.) নিজেকে পবিত্র রাখার জন্য বন্ধ দরজার দিকে দৌড়ে যান।
| 1 | 3,558.431748 |
20231101.bn_249982_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AB
|
ইউসুফ
|
এ সময় জুলেখা পেছন থেকে ইউসুফ (আ.)-কে জাপটে ধরলে তার পরিধেয় জামা পেছন থেকে ছিঁড়ে যায়। অলৌকিকভাবে এ সময় ঘরের বন্ধ দরজা (কারও মতে বাইরে থেকে বন্ধ দরজা) খুলে যায় এবং ইউসুফ (আ.) ও জুলেখা দরজার বাইরে জুলেখার স্বামী আজিজকে দেখতে পান। ঠিক তখনই চতুর জুলেখা তার ভোল পাল্টে ফেলেন এবং সূরা ইউসুফের ২৫ নং আয়াত অনুসারে এ সময় ইউসুফ (আ.)-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো বা অন্য কোনো কঠিন শাস্তির দাবি করেন। ২৬ নং আয়াতে বর্ণিত, এ সময় ইউসুফ (আ.) প্রকৃত সত্য তুলে ধরেন এবং জুলেখার পরিবারের একজন সঠিক সাক্ষ্য প্রদান করেন। পবিত্র কোরআনে এই সাক্ষ্য প্রদানকারীর বিস্তারিত পরিচয় নেই। তবে তাফসির এবং প্রচলিত বর্ণনা অনুসারে এই সাক্ষী ছিল একটি নিতান্ত কন্যাশিশু, যার মুখে তখনো স্পষ্ট করে কথা ফোটেনি।
| 0.5 | 3,558.431748 |
20231101.bn_249982_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AB
|
ইউসুফ
|
যখন জুলায়খার স্বামী বুজতে পারল। তাকে তিরস্কার করল এবং বাইরে বিষয়টা না ছরানো জন্য বলে। কিন্তু বিষয়টা আর গোপন থাকে নি। যখন শহরের মহিলারা তাকে নিয়ে কটূক্তি করতে লাগল। তখন সে সবার জন্য একটি ভোজসভার আয়োজন করল
| 0.5 | 3,558.431748 |
20231101.bn_249982_11
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AB
|
ইউসুফ
|
সূরা ইউসুফের ৩০ নং আয়াত অনুসারে এ ঘটনার পর শহরজুড়ে জুলেখার কুকীর্তি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আর আরব সাহিত্য মতে, রাজপ্রাসাদে যারা আজিজ বিরোধী ছিল, তারা এ ঘটনায় বহুমাত্রিক রং ছড়িয়ে প্রচার করতে থাকে। সূরা ইউসুফের পরবর্তী আয়াতগুলোতে এ ঘটনার পরিসমাপ্তি টানা হয়। এতে বলা হয়, আজিজের স্ত্রী (জুলেখা) যখন এই ষড়যন্ত্র বা অপবাদের ব্যাপক প্রচার সম্পর্কে অবগত হন, তখন শহরের গণ্যমান্য মহিলাদের তিনি এক ভোজসভায় আমন্ত্রণ জানান।
| 0.5 | 3,558.431748 |
20231101.bn_249982_12
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AB
|
ইউসুফ
|
এই ভোজে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে প্রত্যেকের জন্য ফল এবং তা কাটার জন্য একটি করে ধারালো ছুরি দেওয়া হয়। শহরের নারীরা যখন ছুরি দিয়ে ফল কাটায় ব্যস্ত, ঠিক তখন জুলেখা তাঁর পূর্ব পরিকল্পনা মতো পাশের কক্ষে থাকা ইউসুফ (আ.)-কে মহিলাদের সামনে আসতে হুকুম করেন। অত্যন্ত আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারী হজরত ইউসুফ (আ.) যখন সামনে উপস্থিত হন, তখন তাঁর সৌন্দর্যের মোহে নারীরা তাঁর দিকে তাকিয়ে ফলের বদলে ধারালো ছুরি দিয়ে নিজ নিজ আঙ্গুল কেটে ফেলেন। এই সুযোগে জুলেখা সবার উদ্দেশে বলেন যে, এই সেই সুপুরুষ ইউসুফ (আ.), যার জন্য মহিলারা তার নিন্দা করছেন। সূরা ইউসুফের ৩১ নং আয়াত মতে, মহিলাদের মন্তব্য ছিল- ‘এ তো মানুষ নন, এ তো এক মহান ফেরেশতা’। এ সময় জুলেখা আবারও তাঁর কূটচাল প্রয়োগ করেন এবং একদিকে ইউসুফ (আ.)-কে পবিত্র বলে সাক্ষ্য দেন আর অন্যদিকে ভবিষ্যতে ইউসুফ (আ.) তাঁর কথার অবাধ্য হলে অপমানিত হওয়ার এবং কারাগারে নিক্ষেপ করার হুমকি দেন। কিছু মহিলাও এতে সায় দেন ও ইন্ধন জোগান। সূরা ইউসুফের ৩৩ নং আয়াত অনুসারে এ সময় হজরত ইউসুফ (আ.) মহান আল্লাহর কাছে কুচক্রী মহিলাদের কাছ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করেন এবং অপবিত্র ভোগ-বিলাসের পরিবর্তে কারাবাসই উত্তম বলে ফরিয়াদ জানান। তিনি উপলব্ধি করেন যে, কারাগারই হতে পারে তাঁর জন্য নিরাপদ আশ্রয়, অন্যথায় কুচক্রী জুলেখা ও অন্য নারীর প্রলোভন ও ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচা দিনে দিনে কঠিন হয়ে উঠবে। মহান আল্লাহ ইউসুফ (আ.)-এর প্রতি সদয় হন এবং তাঁকে ঘটনাক্রমে কিছুদিন কারাগারে রাখার ব্যবস্থা করেন।
| 0.5 | 3,558.431748 |
20231101.bn_76111_21
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE
|
নালন্দা
|
পালযুগে পূর্ব ভারতের পাঁচটি বৌদ্ধ উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র একটি রাষ্ট্র-পরিচালিত কার্যক্রম গঠন করেছিল। পণ্ডিতেরা সহজেই একটি শিক্ষাকেন্দ্র থেকে অপর শিক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে বিভিন্ন পদ অলংকৃত করতে পারতেন। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রতীকচিহ্ন ছিল। সেই প্রতীকচিহ্নের কেন্দ্রে একটি ধর্মচক্র (সারনাথের মৃগদাবে বুদ্ধের প্রথম ধর্মোপদেশ দান বা ‘ধর্মচক্র-প্রবর্তনে’র প্রতীক) এবং তার দুই পাশে দুটি হরিণের চিত্র অঙ্কিত থাকত। এই প্রতীকচিহ্নের নিচে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির নাম খোদিত থাকত। নালন্দার ক্ষেত্রে এই নামটি ছিল ‘শ্রী-নালন্দা-মহাবিহার-আর্য-ভিক্ষুসঙ্ঘস্য’ (অর্থাৎ, “নালন্দা মহাবিহারের সম্মানীয় ভিক্ষুদের সঙ্ঘ”)।
| 0.5 | 3,468.454845 |
20231101.bn_76111_22
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE
|
নালন্দা
|
বহু শিলালিপি ও সাহিত্যিক উপাদান থেকে জানা যায়, পাল রাজন্যবর্গ উদারভাবে নালন্দার পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। তবে পালযুগে অন্যান্য মহাবিহারগুলি নালন্দা থেকে অনেক শিক্ষিত ভিক্ষুকে গ্রহণ করায় নালন্দা একক গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। পালযুগে বৌদ্ধধর্মের উপর বজ্রযানের প্রভাব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছিল। নালন্দার উপরেও তার প্রভাব পড়েছিল। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অতীতে মহাযান মতবাদকে কেন্দ্র করে এক উদার উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিল, সেই নালন্দা মহাবিহার ধীরে ধীরে তান্ত্রিক মতবাদ ও জাদুবিদ্যার অনুশীলনে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ে। তারানাথ ১৭শ শতাব্দীতে যে ইতিহাস গ্রন্থটি রচনা করেন, তাতে দাবি করা হয়েছে যে, নালন্দা সম্ভবত কোনও এক সময় বিক্রমশিলা মহাবিহারের অধ্যক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীনেও এসেছিল।
| 0.5 | 3,468.454845 |
20231101.bn_76111_23
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE
|
নালন্দা
|
নালন্দা মহাবিহারের যে অংশে আজ পর্যন্ত খননকার্য চালানো হয়েছে, তার আয়তন শুধুমাত্র দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে বা প্রায় ১২ একর। তবে মধ্যযুগে নালন্দার আয়তন আরও বড়ো ছিল। নালন্দা মহাবিহার একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যকীর্তি। এটির বৈশিষ্ট্য হল একটি প্রকাণ্ড প্রাচীর ও তার একটিমাত্র প্রবেশ্বদ্বার। নালন্দায় আটটি পৃথক চত্বর ও দশটি মন্দির ছিল। সেই সঙ্গে অনেকগুলি ধ্যানকক্ষ ও শ্রেণিকক্ষও ছিল। নালন্দা ছিল একটি আবাসিক মহাবিহার। এখানে ছাত্রদের বহুশয্যাবিশিষ্ট বাসকক্ষও ছিল। খ্যাতির মধ্যগগনে থাকাকালীন নালন্দা মহাবিহারে ১০,০০০ ছাত্র ও ২,০০০ শিক্ষক ছিলেন। চীনা তীর্থযাত্রীদের মতে অবশ্য নালন্দার ছাত্রসংখ্যা ছিল ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ জনের মধ্যবর্তী।
| 0.5 | 3,468.454845 |
20231101.bn_76111_24
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE
|
নালন্দা
|
সব ধরনের বিষয় এখানে অধীত হত। কোরিয়া, জাপান, চীন, তিব্বত, ইন্দোনেশিয়া, পারস্য ও তুরস্ক থেকে ছাত্র ও পণ্ডিতেরা এখানে অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা করতে আসতেন।
| 0.5 | 3,468.454845 |
20231101.bn_76111_25
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE
|
নালন্দা
|
হিউয়েন সাং-এর বিবরণীতে ৭ম শতাব্দীর নালন্দা মহাবিহারের একটি বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন, কীভাবে সুশৃঙ্খল সারিবদ্ধ স্তম্ভ, সভাগৃহ, হার্মিক ও মন্দিরগুলিকে “আকাশে কুয়াশার উপর উড্ডয়নশীল” মনে হত, যাতে নিজেদের কক্ষ থেকে ভিক্ষুরা “বায়ু ও মেঘের জন্মদৃশ্যের সাক্ষী থাকতে পারতেন”। তিনি লিখেছেন:
| 1 | 3,468.454845 |
20231101.bn_76111_26
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE
|
নালন্দা
|
ই ৎসিং যে দশ বছর নালন্দায় অতিবাহিত করার পর প্রচুর গ্রন্থ সঙ্গে নিয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, সেই বিষয়ে ইতিহাসবিদগণ নিশ্চিত। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, এই মহাবিহারে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার ছিল। প্রথাগত তিব্বতি সূত্র অনুসারে, নালন্দার গ্রন্থাগারটির নাম ছিল ‘ধর্মগঞ্জ’ (‘ধর্মের হাট’)। তিনটি বহুতলবিশিষ্ট ভবনে এই গ্রন্থাগারটি অবস্থিত ছিল। ভবনগুলির নাম ছিল ‘রত্নসাগর’ (‘রত্নের মহাসাগর’), ‘রত্নোদধি’ (‘রত্নের সমুদ্র’) ও ‘রত্নরঞ্জক’ (‘রত্নখচিত’)। রত্নোদধি ছিল নয়টি তলবিশিষ্ট ভবন। এখানেই পবিত্রতম ধর্মগ্রন্থ প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্র ও গুহ্যসমাজ রক্ষিত ছিল।
| 0.5 | 3,468.454845 |
20231101.bn_76111_27
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE
|
নালন্দা
|
নালন্দা মহাবিহারের গ্রন্থাগারে ঠিক কত বই ছিল তা জানা যায় না। তবে অনুমান করা হয়, সেখানে লক্ষাধিক গ্রন্থ ছিল। সেই গ্রন্থাগারে শুধুমাত্র ধর্মগ্রন্থের পুথিই রক্ষিত ছিল না। বরং ব্যাকরণ, ন্যায়শাস্ত্র, সাহিত্য, জ্যোতিষবিদ্যা, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ভেষজবিদ্যা-সংক্রান্ত গ্রন্থাবলিও ছিল। ইতিহাসবিদগণের অনুমান, নালন্দা মহাবিহারের গ্রন্থাগারটির একটি শ্রেণিবিন্যাস ক্রম ছিল এবং এই ক্রমটি সংস্কৃত ভাষাবিদ পাণিনির শ্রেণিবিন্যাস ক্রমের ভিত্তিতে বিন্যস্ত হয়েছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলি খুব সম্ভবত ত্রিপিটকের প্রধান তিনটি বিভাগের (বিনয় পিটক, সুত্ত পিটক ও অভিধম্ম পিটক) ভিত্তিতে বিন্যস্ত ছিল।
| 0.5 | 3,468.454845 |
20231101.bn_76111_28
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE
|
নালন্দা
|
হিউয়েন সাং-এর জীবনগ্রন্থে হয়ুই-লি লিখেছেন যে, নালন্দার সকল ছাত্রই মহাযান ও বৌদ্ধধর্মের আঠারোটি (হীনযান) সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়ন করতেন। এছাড়াও তাঁরা বেদ, ‘হেতুবিদ্যা’ (ন্যায়শাস্ত্র), ‘শব্দবিদ্যা’ (ব্যাকরণ ও ভাষাতত্ত্ব), ‘চিকিৎসাবিদ্যা’ (ভেষজবিদ্যা), জাদুবিদ্যা-সংক্রান্ত অন্যান্য গ্রন্থ (অথর্ববেদ) ও সাংখ্য দর্শন অধ্যয়ন করতেন।
| 0.5 | 3,468.454845 |
20231101.bn_76111_29
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE
|
নালন্দা
|
হিউয়েন সাং নিজে শীলভদ্র ও অন্যান্যদের কাছে একাধিক বিষয় অধ্যয়ন করেছিলেন। ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন ছাড়াও ন্যায়শাস্ত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত বিতর্ক ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হত। নালন্দা মহাবিহারের প্রত্যেক ছাত্রকে দর্শনের সকল শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ন্যায়শাস্ত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধ্যয়ন করতে হত এবং সেই সঙ্গে তাঁকে বৌদ্ধধর্মের সপক্ষে যুক্তি দর্শিয়ে অন্যান্য মত খণ্ডন করতে হত। এছাড়াও অনুমান করা হয় যে, নালন্দায় আইন, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও নগর-পরিকল্পনা প্রভৃতি বিষয় শিক্ষাদান করা হত।
| 0.5 | 3,468.454845 |
20231101.bn_243456_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
|
নজরুলগীতি
|
১৩৫২ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (মে, ১৯৫৯) প্রমীলা নজরুল ইসলাম ১৬, রাজেন্দ্রলাল স্ট্রিট, কলিকাতা-৬, এই বুলবুল (২য় খন্ড) নামীয় সঙ্গীত গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। গ্রন্থটির পরিবেশক ছিলেন ডি এম লাইব্রেরি। মূল্য আড়াই টাকা। গ্রন্থটিতে গান ছিল ১০১টি। কবি-পত্নী প্রমীলা নজরুল ইসলাম প্রকাশিকার ভূমিকায় লেখেন, “কবির আধুনিক গানগুলি সংকলন করে “বুলবুল” (২য়) প্রকাশ করা হলো। তাড়াতাড়ি প্রকাশ করার জন্য ছাপায় কিছু ভুল থেকে গেছে। পরবর্তী সংস্করণে আশা করি কোনো ভুল থাকবে না। বইটির শেষ পৃষ্ঠায় কিছু সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। এই গানের বইটির আরেকটি বিশেষত্ব এই যে, এর মধ্যে কবির আধুনিক অপ্রকাশিত কতকগুলি গান আমরা দিতে পেরেছি। নজরুলগীতি যাঁরা ভালোবাসেন তাদের কাছে এই বইটি সমাদর পেলে, আমি আমার প্রথম প্রচেষ্টাকে সার্থক বলে মনে করবো।”
| 0.5 | 3,415.793203 |
20231101.bn_243456_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
|
নজরুলগীতি
|
এই গ্রন্থটির প্রকাশক গ্রেট ইস্টার্ন লাইব্রেরি। প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২৭ জুন ১৯৩৩ (১৩৪০ বঙ্গাব্দ) মূল্য এক টাকা। কবি গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছিলেন স্বদেশী মেগাফোন-রেকর্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী অন্তরতম বন্ধু জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ মহাশয়কে। গ্রন্থের প্রারম্ভে কাজী নজরুল ইসলাম ‘দুটি কথায়’ লেখেন, "দুই-চারিটি ছাড়া ‘গুল-বাগিচা’র গানগুলি ‘স্বদেশী মেগাফোন রেকর্ড কোম্পানী’ রেকর্ড করিয়াছেন। তাঁহাদের এই অনুগ্রহের জন্য আমি অশেষ ঋণী। ‘গুল-বাগিচা’য় ঠুংরী, গজল দাদরা, চৈতী, কাজরী, স্বদেশী, কীর্তন, ভাটিয়ালি, ইসলামী ধর্মসঙ্গীত প্রভৃতি বিভিন্ন ঢং-এর গান দেওয়া হইল। আমার সৌভাগ্যবশত প্রায় সমস্ত গান গুলি ইতিমধ্যে লোকপ্রিয় হইয়া উঠিয়াছে।... আমার অন্যান্য গানের বই-এর মত ‘গুল-বাগিচা’ও সমাদর লাভ করিবে-আসা করি।"
| 0.5 | 3,415.793203 |
20231101.bn_243456_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
|
নজরুলগীতি
|
ডি এম লাইব্রেরি থেকে চন্দ্রবিন্দু গ্রন্থটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে (১৯৩১ সালের সেপ্টেম্বর) চন্দ্রবিন্দু প্রথম প্রকাশিত হয়। মূল্য ছিল দুই টাকা। গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছিল এই লিখে : "পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীমদ্দাঠাকুর শ্রীযুক্ত শরৎচন্দ্র পণ্ডিত মহাশয়ের শ্রীচরণকমলে"।
| 0.5 | 3,415.793203 |
20231101.bn_243456_11
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
|
নজরুলগীতি
|
স্বীয় পুত্র বুলবুলের মৃত্যুর পর নজরুল তার প্রধানত ; হাস্যরসাত্মক ‘চন্দ্রবিন্দু’ সংগীত গ্রন্থের প্রায় সব গান রচনা করেন। নিদারুণ শোকাচ্ছন্ন মতে তার হাস্যরস সৃষ্টির ক্ষমতা বিস্ময়কর। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ অক্টোবর এই বইটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে ৩০ নভেম্বর গ্রন্থটির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলে ১৩৫২ বঙ্গাব্দের ফল্গুনে (১৯৪৬) নূর লাইব্রেরি থেকে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। তখন বইটির মূল্য রাখা হয় সাড়ে তিন টাকা। এই সঙ্গীত গ্রন্থের ১৮টি গান নজরুলের হাসির গান হিসেবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। হাসির গানগুলির মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক চেতনাসম্পণ্ন দেশাত্মবোধক তীব্র ব্যঙ্গপ্রধান চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
| 0.5 | 3,415.793203 |
20231101.bn_243456_12
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
|
নজরুলগীতি
|
চোখের চাতক চোখের চাতক প্রধানত গজল গানের বই গ্রন্থটি। প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২১ ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ ১৩৩৬)। প্রকাশক ছিলেন ডি এম লাইব্রেরি। পৃষ্ঠা ৬+৬৫। মূল্য ছিল এক টাকা ও রাজ সংস্করণ পাঁচ সিকা। গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছিল কল্যাণীয়া বীণা-কণ্ঠী প্রতিভা সোমকে যিনি পরবর্তীকালে সুসাহিত্যিক প্রতিভা বসু নামে খ্যাত।
| 1 | 3,415.793203 |
20231101.bn_243456_13
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
|
নজরুলগীতি
|
১৫ টি গানে সমৃদ্ধ এই মহুয়ার গান নামীয় নজরুলগীতি গ্রন্থটি ডি এম লাইব্রেরি থেকে ১ জানুয়ারি ১৯৩০ প্রকাশিত হয়। মোট পৃষ্ঠা ছিল ১৩। মূল্য ছিল দুই আনা।
| 0.5 | 3,415.793203 |
20231101.bn_243456_14
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
|
নজরুলগীতি
|
১০০টি শ্যামাসঙ্গীতে সমৃদ্ধ রাঙা-জবা গ্রন্থটি প্রকাশ করেন ২৪ পরগনার রাজীবপুরের বেগম মরিয়ম আজিজ। গ্রন্থটির প্রথম প্রকাশ ১ বৈশাখ ১৩৭৩ শুক্রবার (এপ্রিল, ১৯৬৬)। মূল্য তিন টাকা। নজরুল নিজের জীবনে তন্ত্র ও যোগাসাধনা করেছেন। শক্তিপূজায় তার ভক্তহৃদয়ের অকৃত্রিম আকুলতা ও আর্তি এইসব গানের মধ্যে রূপায়িত।
| 0.5 | 3,415.793203 |
20231101.bn_243456_15
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
|
নজরুলগীতি
|
সুরমুকুর সুরমুকুর মুখ্যত একটি স্বরলিপি সংকলন। এই গ্রন্থে ২৭টি নজরুলগীতির স্বরলিপি আছে। স্বরলিপিকার নলিনীকান্ত সরকার। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে (আশ্বিন ১৩৪১) ডি এম লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। বইটির পৃষ্ঠাসংখ্যা ২+২৮।
| 0.5 | 3,415.793203 |
20231101.bn_243456_16
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
|
নজরুলগীতি
|
সুরসাকী সুরসাকী গ্রন্থটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে (আষাঢ় ১৩৩৯)। প্রকাশক কালীকৃষ্ণ চক্রবর্তী, চক্রবর্তী অ্যান্ড সন্স। মূল্য ছিল দেড় টাকা। মোট পৃষ্ঠা ছিল ৮+১০৪। গানের সংখ্যা ৯৭। সমৃদ্ধ সঙ্গীত গ্রন্থটি। দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৩৬১ বঙ্গাব্দের আশ্বিনে (১৯৫৪)। প্রকাশিকা প্রমীলা নজরুল ইসলাম। এই সংস্করণে দুটি গান যুক্ত হয় যথা:- ; গানের সংখ্যা দঁড়ায় ৯৯-এ।
| 0.5 | 3,415.793203 |
20231101.bn_13874_1
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A7%8E
|
যকৃৎ
|
যকৃতে পিত্তরস উৎপন্ন হয়; পিত্তরস একধরনের ক্ষারীয় যৌগ যা পরিপাকে সহায়তা করে। বিশেষত স্নেহজাতীয় খাদ্যের ইমালসিফিকেশন এর জন্য পিত্তরস প্রয়োজন। এছাড়াও যকৃৎ দেহের আরও কিছু জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। যকৃৎ কে রসায়নের গবেষণাগারও বলা হয়।
| 0.5 | 3,408.754265 |
20231101.bn_13874_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A7%8E
|
যকৃৎ
|
দুই ধরনের কোষ দিয়ে যকৃৎ গঠিত যথা: প্যারেনকাইমাল এবং নন-প্যারেনকাইমাল। যকৃতের প্যারেনকাইমাল কোষকে হেপাটোসাইট বলে যা আয়তনের ৮০%। নন-প্যারেনকাইমাল কোষের মধ্যে রয়েছে হেপাটিক স্টিলেট কোষ, কাপফার কোষ এবং সাইনুসয়ডাল এন্ডোথেলিয়াল কোষ যা লিভার সাইনুসয়েড এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরা সমস্ত কোষের ৪০% হলেও আয়তনের মাত্র ৬.৫%।
| 0.5 | 3,408.754265 |
20231101.bn_13874_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A7%8E
|
যকৃৎ
|
যকৃৎ প্রধানত দুই পথে রক্ত সংবাহিত হয় যথা পোর্টাল শিরা এবং হেপাটিক ধমনী । শতকরা ৭৫ ভাগেরও বেশি রক্ত আসে পোর্টাল শিরা থেকে। অক্সিজেনের সরবরাহ দুই উৎস থেকেই নিশ্চিত হয়।
| 0.5 | 3,408.754265 |
20231101.bn_13874_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A7%8E
|
যকৃৎ
|
যকৃত থেকে পিত্তরস নিঃসৃত হয় যা খাদ্য পরিপাকের, বিশেষ করে স্নেহজাতীয় খাদ্য পরিপাকের, একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান৷ যকৃতে ইউরিয়া তৈরি হয়। এছাড়া যকৃতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়৷ এজন্য যকৃতকে দেহের জৈব রসায়নাগার বলে৷ যকৃত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কাজের মধ্যে রয়েছে:
| 0.5 | 3,408.754265 |
20231101.bn_13874_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A7%8E
|
যকৃৎ
|
যকৃতে পিত্তরস তৈরী হয় যা যকৃত থেকে নিঃসৃত হয়ে পিত্তথলিতে জমা থাকে। প্রয়োজনানুযায়ী অন্ত্রে পিত্তরসের সরবরাহ ঘটে।
| 1 | 3,408.754265 |
20231101.bn_13874_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A7%8E
|
যকৃৎ
|
রক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ যকৃতে গ্লাইকোজেন রূপে সঞ্চিত হয় ৷ প্রয়োজনে গ্লাইকোজেন ভেঙ্গে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা সঠিক রাখে ৷
| 0.5 | 3,408.754265 |
20231101.bn_13874_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A7%8E
|
যকৃৎ
|
বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার ফলে মানবদেহে উৎপন্ন বিষ জাতীয় পদার্থ যকৃত কোষের অভ্যন্তরে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রশমিত হয়।
| 0.5 | 3,408.754265 |
20231101.bn_13874_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A7%8E
|
যকৃৎ
|
যকৃতের ওজনের পাঁচ থেকে দশ ভাগের বেশি চর্বি দিয়ে পূরণ হলে যে রোগটি হয় তাকে ফ্যাটি লিভার বলে। পশ্চিমা বিশ্বে সাধারণত মদ্যপানের কারণে ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে। তবে বহুমূত্র, শর্করা জাতীয় খাদ্যের আধিক্য,রক্তে চর্বির আধিক্য, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ইত্যাদি কারণে ফ্যাটি লিভার হয়। লিভারে জমা চর্বি অনেক সময় স্থানীয় প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং এ প্রদাহ থেকে কিছুসংখ্যক রোগীর লিভার সিরোসিস, এমনকী কোনো কোনো ক্ষেত্রে লিভার ক্যান্সারও হতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের কোনো উপসর্গ থাকে না, অন্য রোগের পরীক্ষা করার সময় সাধারণত রোগটি ধরা পড়ে। কখনো কখনো পেটের উপরিভাগের ডানদিকে ব্যথা,অবসন্নতা, ক্ষুধামান্দ্য ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
| 0.5 | 3,408.754265 |
20231101.bn_13874_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A7%8E
|
যকৃৎ
|
প্রতি বছর সারা বিশ্বে এক লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র লিভারের রোগে মারা যায়। তবে ‘রিজেনারেটিভ’ অঙ্গ হওয়ায় খুব সহজেই এটিকে প্রতিস্থাপন করে মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব।
| 0.5 | 3,408.754265 |
20231101.bn_8599_1
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF
|
চাণক্য
|
চাণক্য সম্বন্ধে খুব সামান্যই ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায়, অধিকাংশ উৎসে ঐতিহাসিকতার তুলনায় কল্প কথা স্থান করে নিয়েছে। থমাস ট্রটমান চাণক্য ও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের সম্পর্ক নিয়ে চারটি উৎস চিহ্নিত করেছেন। এগুলি হল সিংহলী বৌদ্ধ গ্রন্থ মহাবংশ ও তার পালি টীকা বংসট্ঠপ্পকাসিনি, হেমচন্দ্র রচিত জৈন গ্রন্থ পরিশিষ্টপর্ব, সোমদেব রচিত কথাসরিৎসাগর ও ক্ষেমেন্দ্র রচিত বৃহৎকথামঞ্জরী নামক দুইটি কাশ্মীরি গ্রন্থ এবং বিশাখদত্ত রচিত সংস্কৃত নাটক মুদ্রারাক্ষস।
| 0.5 | 3,407.165494 |
20231101.bn_8599_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF
|
চাণক্য
|
প্রাচীন ভারতীয় পণ্ডিত, দার্শনিক, ও রাজউপদেষ্টা কৌটিল্য বা বিষ্ণু গুপ্ত ( খ্রি: ৩৭১-২৮৩)। তিনি চানক্য নামে অধিক পরিচিত। তার জন্ম নিয়ে রয়েছে মতান্তর। কারো মতে তার জন্ম পাকিস্তানের পান্জাব প্রদেশপর তক্ষষশীলায়। আবার কারো মতে কৌটিল্য বা চাণক্যের জন্ম চনক নামে একটি গ্রামে, ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মস্থান সম্বন্ধে বেশ কয়েকটি মতবাদ প্রচলিত রয়েছে। বৌদ্ধ গ্রন্থ মহাবংশটীকা অনুসারে, তক্ষশীলায় তার জন্ম হয়। জৈন পুঁথি অদ্বিধন চিন্তামণি চাণক্যকে অভিহিত করেছে দ্রমিলা নামে , যার অর্থ তিনি দক্ষিণ ভারতের অধিবাসী ছিলেন। হেমচন্দ্র রচিত পরিশিষ্টপর্ব গ্রন্থানুসারে, চাণক্য চণক নামক গ্রামে চণিন নামক এক ব্রাহ্মণ ও তার পত্নী চণেশ্বরীর গৃহে জন্মগ্রহণ করেন। অন্য উৎস মতে, চণক তার পিতার নাম ছিল।
| 0.5 | 3,407.165494 |
20231101.bn_8599_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF
|
চাণক্য
|
চাণক্য প্রাচীন ভারতের অন্যতম বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষালাভ করেন ও পরবর্তীকালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আচার্য্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বেদ সম্বন্ধে একজন পণ্ডিত ছিলেন এবং বিষ্ণুর উপাসক ছিলেন।.
| 0.5 | 3,407.165494 |
20231101.bn_8599_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF
|
চাণক্য
|
বিশাখদত্ত রচিত মুদ্রারাক্ষস নামক সংস্কৃত নাটকে নন্দ সাম্রাজ্য পতনে চাণক্যের ভূমিকা বর্ণিত রয়েছে। এই গ্রন্থানুসারে, হিমালয়ের একটি পার্বত্য রাজ্যের অধীশ্বর পর্বতেশ্বরের সঙ্গে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা চাণক্য কূটনৈতিক মিত্রতা স্থাপন করে নন্দ সাম্রাজ্যকে পরাজিত করতে সক্ষম হন। কিন্তু এই সময়, পর্বতেশ্বরকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হলে মলয়কেতু তার স্থানে সিংহাসনে আরোহণ করেন। নন্দ সাম্রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাক্ষসের সঙ্গে মিলিত ভাবে মলয়কেতু নন্দ সাম্রাজ্যের অধিকৃত এলাকা দাবি করেন। শেষ নন্দ সম্রাট ধননন্দের হত্যার প্রতিশোধ নিতে মলয়কেতুর সহায়তায় রাক্ষস রাজধানী আক্রমণ করে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিস্থিতিতে চাণক্য যেন তেন প্রকারে রাক্ষসকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করাতে চেয়েছিলেন। রাক্ষসের প্রতীক মুদ্রাটি হস্তগত করে চাণক্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যকে উদ্দেশ্য করে একটি নকল চিঠি প্রস্তুত করেন। এই চিঠিতে রাক্ষসের মুদ্রার ছাপ (সীলমোহর) দিয়ে লেখা হয় যে তিনি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের শিবিরে যোগ দিতে ইচ্ছুক। চাণক্য প্রথমেই মলয়কেতুর নিকট এই চিঠির বিষয়ে বার্তা পাঠালে তাতে বিশ্বাস করে মলয়কেতু রাক্ষসের সঙ্গত্যাগ করেন। এই ভাবে চাণক্য রাক্ষসকে তার সঙ্গীদের থেকে দূরে সরিয়ে দেন। পরবর্তী কৌশল হিসেবে তিনি রাক্ষসের বন্ধু চন্দনদাসের মৃত্যুদণ্ড দিলে রাক্ষস তাকে বাঁচাতে, আত্মসমর্পণে ও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধ্য হন।
| 0.5 | 3,407.165494 |
20231101.bn_8599_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF
|
চাণক্য
|
জৈন প্রবাদানুসারে, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের উপদেষ্টা চাণক্য শত্রু দ্বারা বিষপ্রয়োগে হত্যা করার চেষ্টার বিরুদ্ধে শারীরিক প্রতিষেধক তৈরী করার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যকে তার অজান্তে অল্প মাত্রায় বিষ পান করাতেন। একদিন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য তার বিষযুক্ত খাবার অন্তঃসত্ত্বা দুর্ধরার সঙ্গে ভাগ করে খেলে, দুর্ধরার মৃত্যু হয়। তার সন্তানকে বাঁচাতে চাণক্য সদ্যমৃত দুর্ধরার পেট কেটে তাকে বের করে আনলে বিন্দুসারের জন্ম হয়। পরবর্তীকালে বিন্দুসার মৌর্য্য সম্রাট হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করলে চাণক্য তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হেমচন্দ্রের পরিশিষ্টপর্ব অনুসারে, বিন্দুসারের একজন মন্ত্রী সুবন্ধু চাণক্যকে অপছন্দ করতেন। তিনি বিন্দুসারকে জানান যে তার মাতা দুর্ধরার মৃত্যুর জন্য চাণক্য দায়ী ছিলেন। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে বিন্দুসার প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হলে বৃদ্ধ চাণক্য জৈন আচার সল্লেখনা বা স্বেচ্ছা-উপবাস করে দেহত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই সময় চাণক্য যে তার মাতার মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ী ছিলেন না, তা অনুসন্ধান করে বিন্দুসার জানতে পেরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং সুবন্ধুকে চাণক্যের নিকট পাঠান যাতে, চাণক্য তার মৃত্যু সঙ্কল্প ত্যাগ করেন। কিন্তু সুযোগসন্ধানী সুবন্ধু এই সময় চাণক্যকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন।
| 1 | 3,407.165494 |
20231101.bn_8599_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF
|
চাণক্য
|
অর্থশাস্ত্র এবং চাণক্য নীতি নামক দুইটি গ্রন্থ চাণক্য রচনা করেছিলেন বলে মনে করা হয়। অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে অর্থনীতি, রাষ্ট্রের কল্যাণকারী ভূমিকা, পররাষ্ট্রনীতি, সামরিক কৌশল, শাসকের ভূমিকা সম্বন্ধে বিশদে বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থশাস্ত্রের অধিকাংশ শ্লোকের রচয়িতা হিসেবে কৌটিল্যের নাম পাওয়া যায়, একটি শ্লোকে বিষ্ণুগুপ্তের নাম পাওয়া যায়। থমাস ট্রটমানের মতে, অর্থশাস্ত্রের রচয়িতার প্রকৃত নাম বিষ্ণুগুপ্ত ও গোত্র নাম কৌটিল্য। বিষ্ণুশর্মা রচিত পঞ্চতন্ত্র গ্রন্থে চাণক্য ও বিষ্ণূগুপ্ত যে একই ব্যক্তির বিভিন্ন নাম, তা বলা হয়েছে। থমাস বারো ইত্যাদি কয়েকজন ঐতিহাসিকের মতে, অর্থশাস্ত্র আসলে বেশ কিছু পুরনো রচনার সঙ্কলন এবং চাণক্য এই গ্রন্থের বেশ কয়েকজন লেখকের একজন, অর্থাৎ তাদের মতে চাণক্য ও কৌটিল্য ভিন্ন ব্যক্তি।
| 0.5 | 3,407.165494 |
20231101.bn_8599_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF
|
চাণক্য
|
১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে চাণক্য চন্দ্রগুপ্ত নামক একটি তেলুগু চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, যেখানে অক্কিনেনী নাগেশ্বর রাও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
| 0.5 | 3,407.165494 |
20231101.bn_8599_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF
|
চাণক্য
|
১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত চাণক্য নামক একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে মীতেশ সফারি ও চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী চাণক্যের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
| 0.5 | 3,407.165494 |
20231101.bn_8599_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF
|
চাণক্য
|
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত চক্রবর্তী অশোক সম্রাট নামক একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে মনোজ জোশী চাণক্যের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
| 0.5 | 3,407.165494 |
20231101.bn_16395_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
|
সিরিয়া
|
সিরিয়ার রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্রের কাঠামোয় সঙ্ঘটিত হয়। রাষ্ট্রের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি এবং বাথ পার্টির হাতে ন্যস্ত। সিরিয়া সংবিধানমতে একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র হলেও ১৯৬৩ সাল থেকে দেশটিতে একটি জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং বর্তমানে সরকার পরিবর্তনের কোন ক্ষমতা নেই জনগণের। দেশটি তাই কার্যত একটি একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সিরিয়ার সরকার ইসরায়েলের সাথে ক্রমাগত যুদ্ধকে জরুরি অবস্থার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
| 0.5 | 3,406.533447 |
20231101.bn_16395_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
|
সিরিয়া
|
সিরিয়ার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হাফিয আল-আসাদ পাঁচ বার গনভোট বিজয়ের মাধ্যমে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখেন। তার ছেলে ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদও ২০০০ সালের এক গনভোটে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি পদে বহাল হন। রাষ্ট্রপতি ও তার মূল সহযোগীরাই, বিশেষত সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা, সিরিয়ার রাজনীতি ও অর্থনীতির মূল সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে থাকেন।সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। এই সংখ্যা জাতিসংঘ ঘোষিত সংখ্যার দ্বিগুণ। এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৪৫ শতাংশ সিরীয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। সিরিয়া যুদ্ধে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সিরিয়ান সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের (এসসিপিআর)’ একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের বিভীষিকায় পড়ে সিরিয়ার জাতীয় সম্পদ ও অবকাঠামো প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার লোক। দেড় বছর আগে পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে জাতিসংঘ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল এটি তার প্রায় দ্বিগুণ। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ সংখ্যা আড়াই লাখ।
| 0.5 | 3,406.533447 |
20231101.bn_16395_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
|
সিরিয়া
|
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাকল্যে সিরিয়ার জনগণের সাড়ে ১১ শতাংশই নিহত বা আহত হয়েছে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত স্বৈরাচারবিরোধী তথাকথিত গণ-অভ্যুত্থানের জোয়ার সিরিয়াতেও এসে লাগে ২০১১ সালে। ওই বছরের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছরে এই জোয়ারের সুফল না মিললেও এই সময়ে হতাহত হয়েছে বিরাটসংখ্যক জনগোষ্ঠী।
| 0.5 | 3,406.533447 |
20231101.bn_16395_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
|
সিরিয়া
|
প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট করে আহত ব্যক্তির সংখ্যা বলা হয়েছে ১৯ লাখ। যুদ্ধ শুরুর আগে ২০১০ সালে সিরিয়ার মানুষের গড় আয়ু যেখানে ছিল ৭০ বছর, সেটাই ২০১৫ সালে নেমে দাঁড়ায় ৫৫ বছর ৪ মাসে। দেশটির অর্থনীতির সার্বিক ক্ষতির পরিমাণও নিতান্ত কম নয়, আনুমানিক ২৫ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার।এসসিপিআরের মতে, নিহত ৪ লাখ ৭০ হাজার লোকের মধ্যে প্রায় ৪ লাখই মারা গেছে যুদ্ধের প্রত্যক্ষ সহিংসতার শিকার হয়ে। বাকি ৭০ হাজার মারা গেছে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধের ঘাটতিতে, সংক্রামক ব্যাধিতে, খাবার ও পানির অভাবে।
| 0.5 | 3,406.533447 |
20231101.bn_16395_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
|
সিরিয়া
|
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ২০১০ সালে শুরু হওয়া আরব বসন্তের বিপ্লবের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়। সিরিয়ান সেনার একটি কঠোর ব্যবস্থার দ্বারা অনুসৃত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের একটি চেইন হিসেবে ২০১১ সালে শুরু হয়। জুলাই ২০১১ সালে , সেনাবাহিনীর দলত্যাগীরা ফ্রি সিরিয়ান সেনা গঠনের ঘোষণা করেন এবং যুদ্ধ ইউনিট গঠন শুরু হয়। এই বিরোধিতা সুন্নি মুসলমানদের দ্বারা প্রভাবিত হয়, যেখানে নেতৃস্থানীয়রা আলাউয়ি।
| 1 | 3,406.533447 |
20231101.bn_16395_9
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
|
সিরিয়া
|
গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০১৬-তে বিশ্বের সবচেয়ে অশান্ত দেশ সিরিয়া। বিগত কয়েক বছর ধরে সিরিয়ায় তাণ্ডব চালাচ্ছে আইএস জঙ্গিরা। এ কারণে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন জঙ্গিদের হাতে বা আইএস বিরোধী অভিযানে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও বেশ উদ্বেগজনক।
| 0.5 | 3,406.533447 |
20231101.bn_16395_10
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
|
সিরিয়া
|
সিরিয়া ভূমধ্য সাগরের পূর্ব দিকে আরব উপদ্বীপের উত্তরে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত। এটি তুরস্ক দ্বারা উত্তরে, লেবানন এবং ইসরায়েল পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, পূর্ব থেকে ইরাক এবং দক্ষিণে জর্দান পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি পশ্চিমে পর্বতশ্রেণী এবং অন্তর্দেশীয় অঞ্চলে অবস্থিত। পূর্বের সিরিয়া মরুভূমি এবং দক্ষিণে জবাল আল-ডুরজ রেঞ্জ । সাবেক ইউফ্রেটিস উপত্যকা দ্বারা বিভক্ত করা হয়। ১৯৭৩ সালে নির্মিত একটি বাঁধের সাহায্যে সিরিয়ার বৃহত্তম হ্রদ লেক আসাদ নামক একটি জলাধার নির্মাণ করে। সিরিয়ায় সর্বোচ্চ বিন্দু লেবাননের সীমান্তে হর্মোণ পর্বত (২৮১৪ মিঃ, ৯২২২ ফুট)। আর্দ্র আর্দ্রভূমির উপকূলে এবং শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলের মধ্যে একটি আধা-খাড়া খাড়া অঞ্চল রয়েছে যা দেশের তিন-চতুর্থাংশে বিস্তৃত হয়, যা মরুভূমি জুড়ে উষ্ণ, শুষ্ক বাতাস বহন করে। সিরিয়া ব্যাপকভাবে নিপীড়িত, [ স্পষ্টকরণ প্রয়োজন ] স্থল ফসলের জন্য নিবেদিত ৪ শতাংশ, ময়দা এবং চারণভূমি হিসাবে ব্যবহার ৪৬ শতাংশ, এবং শুধুমাত্র ৩ শতাংশ বন ও বনভূমি।
| 0.5 | 3,406.533447 |
20231101.bn_16395_11
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
|
সিরিয়া
|
আরবি ভাষা সিরিয়ার সরকারি ভাষা। এখানকার প্রায় চার-পঞ্চমাংশ লোক আরবি ভাষাতে কথা বলে। সিরিয়াতে প্রচলিত অন্যান্য ভাষার মধ্যে আদিজে ভাষা, আরামীয় ভাষা,আর্মেনীয় ভাষা, আজারবাইজানি ভাষা, দোমারি ভাষা (রোমানি ভাষা), কুর্দি ভাষা এবং সিরীয় ভাষা উল্লেখযোগ্য। আন্তর্জাতিক কাজকর্মে ফরাসি ভাষা ব্যবহার করা হয়।
| 0.5 | 3,406.533447 |
20231101.bn_16395_12
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
|
সিরিয়া
|
ভাল দেশ সিরিয়া তবে বিগত কিছু বছর ধরে এখানে সহিংসতা হয়ে আসছে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দল গুলোর মধ্যে। যদিও বিগত কয়েক বছর থেকে এখন সহিংসতা কিছুটা কমে এসেছে।
| 0.5 | 3,406.533447 |
20231101.bn_16991_0
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
|
সুইজারল্যান্ড
|
সুইস বা সুইজারল্যান্ড ( ডি শ্বাইৎস, লা স্যুইস্, স্বিৎস্স্রা, স্বিৎস্রা) ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। তবে এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়। এর মুদ্রার নাম সুইস ফ্রাংক এবং বাৎসরিক স্থূল দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ ৫১২.১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাংক (২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ)। এটি পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্রসমূহের অন্যতম।
| 0.5 | 3,388.10555 |
20231101.bn_16991_1
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
|
সুইজারল্যান্ড
|
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে জনসংখ্যা ছিল প্রায় পৌণে এক কোটি। এদেশে মানুষের মাথাপিছু বাৎসরিক আয় ৬৭,৮২৩ সুইস ফ্রাংক (২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ)। আইনত সুইজারল্যান্ডের কোনও রাজধানী না থাকলেও দেশটির কার্যত রাজধানী হচ্ছে বের্ন। অন্যতম বিখ্যাত অন্য দুটি শহর হলো জুরিখ এবং জেনেভা। জুরিখের দিকের লোকেরা জার্মান এবং জেনিভার দিকের লোকেরা ফরাসি ভাষায় কথা বলে। আল্পস পর্বতমালা ও প্রশস্ত হ্রদ সুইজারল্যান্ডকে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে রূপে ভূষিত করেছে। বিশ্বের পর্যটকদের জন্য এটি বিশেষ আকর্ষণীয় একটি দেশ।Tax Justice Network সুইজারল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে।
| 0.5 | 3,388.10555 |
20231101.bn_16991_2
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
|
সুইজারল্যান্ড
|
সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি, ট্রেন এবং চকলেট খ্যাতি বিশ্বজোড়া। অবশ্য সুইস ব্যাংকসমূহ কালো টাকা নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য কুখ্যাত। দেশটির কোনো নিয়মিত সেনাবাহিনী নেই। দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা ভারসাম্যমূলক ও অত্যন্ত সুস্থির। সুইস সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিবছর ১লা জানুয়ারি তারিখে এর রাষ্ট্রপতি পরিবর্তিত হয়। ছয় বৎসরের জন্য গঠিত মন্ত্রীপরিষদের একেক জন মন্ত্রী পালাক্রমে এক বৎসরের জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
| 0.5 | 3,388.10555 |
20231101.bn_16991_3
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
|
সুইজারল্যান্ড
|
দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা ভারসাম্যমূলক ও অত্যন্ত সুস্থির। সুইস সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিবছর ১লা জানুয়ারি তারিখে এর রাষ্ট্রপতি পরিবর্তিত হয়। ছয় বৎসরের জন্য গঠিত মন্ত্রীপরিষদের একে জন মন্ত্রী পালাক্রমে এক বৎসরের জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
| 0.5 | 3,388.10555 |
20231101.bn_16991_4
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
|
সুইজারল্যান্ড
|
সুইজারল্যান্ডে মোট ২৬টি ক্যান্টন রয়েছে। ঐতিহাসিক কনফেডারেশনের সময় এর প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল যাদের পৃথক সীমানা ও রাষ্ট্রব্যবস্থাও ছিল। বর্তমানে এর সবগুলো সুইজারল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত।
| 1 | 3,388.10555 |
20231101.bn_16991_5
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
|
সুইজারল্যান্ড
|
সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বের্ন। এটি মূলত সরকারি এবং প্রশাসনিক শহর। শহরটি আরে নদীর বাঁক দ্বারা তিন দিকে বেষ্টিত একটি উঁচু শৈলান্তরীপের ওপর অবস্থিত। সুইজারল্যান্ডের প্রশাসনিক রাজধানী "বার্ন" হলেও সবচেয়ে পরিচিত শহরগুলো হল "জুরিক" এবং "জেনেভা"।
| 0.5 | 3,388.10555 |
20231101.bn_16991_6
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
|
সুইজারল্যান্ড
|
সুইজারল্যান্ডের আয়তন ৪১ হাজার ২৮৫ বর্গকিলোমিটার। সুইজারল্যান্ডকে জুরা, সুইজারল্যান্ডীয় মালভূমি এবং আল্পস পর্বতমালা এই তিনটি প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চলে ভাগ করা যায়।
| 0.5 | 3,388.10555 |
20231101.bn_16991_7
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
|
সুইজারল্যান্ড
|
বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক এ এই দেশ শীর্ষ স্থানে রয়েছে।এদেশে মানুষের মাথাপিছু বাৎসরিক আয় ৬৭,৮২৩ সুইস ফ্রাংক (২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ)। বার্ন শহরটি সুইজারল্যান্ডের রাজধানী। অন্যতম বিখ্যাত অন্য দুটি শহর হলো জুরিখ এবং জেনেভা।
| 0.5 | 3,388.10555 |
20231101.bn_16991_8
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
|
সুইজারল্যান্ড
|
২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে ৮৩ লাখ ৭২ হাজারের অধিক মানষ বসবাস করে। সুইজারল্যান্ডের অধিকাংশ অধিবাসী রোমান ক্যাথলিক ধর্ম চর্চা করেন। এরা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ। এছাড়া মুসলমান, সনাতন, ইহুদীসহ অন্যরা নিজ নিজ ধর্ম পালন করে।
| 0.5 | 3,388.10555 |
20231101.bn_76178_40
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
|
ঋগ্বেদ
|
. The Editorial Board for the First Edition included N. S. Sontakke (Managing Editor), V. K. , M. M. , and T. S. .
| 0.5 | 3,380.500734 |
20231101.bn_76178_41
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
|
ঋগ্বেদ
|
B. van Nooten und G. Holland, Rig Veda, a metrically restored text, Department of Sanskrit and Indian Studies, Harvard University, Harvard University Press, Cambridge, Massachusetts and London, England, 1994.
| 0.5 | 3,380.500734 |
20231101.bn_76178_42
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
|
ঋগ্বেদ
|
Rgveda-Samhita, Text in Devanagari, English translation Notes and indices by H. H. Wilson, Ed. W.F. Webster, originally in 1888, Published Nag Publishers 1990, 11A/U.A. Jawaharnagar,Delhi-7.
| 0.5 | 3,380.500734 |
20231101.bn_76178_43
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
|
ঋগ্বেদ
|
Rgveda-Samhitā Srimat-sāyanāchārya virachita--sametā, ed. by Sontakke et al., published by Vaidika Samśodhana Mandala,Pune-9,1972, in 5 volumes (It is original commentary of Sāyana in Sanskrit based on over 60 manuscripts).
| 0.5 | 3,380.500734 |
20231101.bn_76178_44
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
|
ঋগ্বেদ
|
Sri Aurobindo: Hymns of the Mystic Fire (Commentary on the Rig Veda), Lotus Press, Twin Lakes, Wisconsin
| 1 | 3,380.500734 |
20231101.bn_76178_45
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
|
ঋগ্বেদ
|
Vashishtha Narayan Jha, A Linguistic Analysis of the Rgveda-Padapatha Sri Satguru Publications, Delhi (1992).
| 0.5 | 3,380.500734 |
20231101.bn_76178_46
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
|
ঋগ্বেদ
|
Bjorn Merker, Rig Veda Riddles In Nomad Perspective, Mongolian Studies, Journal of the Mongolian Society XI, 1988.
| 0.5 | 3,380.500734 |
20231101.bn_76178_47
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
|
ঋগ্বেদ
|
Oldenberg, Hermann: Hymnen des Rigveda. 1. Teil: Metrische und textgeschichtliche Prolegomena. Berlin 1888; Wiesbaden 1982.
| 0.5 | 3,380.500734 |
20231101.bn_76178_48
|
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6
|
ঋগ্বেদ
|
Adolf Kaegi, The Rigveda: The Oldest Literature of the Indians (trans. R. Arrowsmith), Boston, Ginn and Co. (1886), 2004 reprint: .
| 0.5 | 3,380.500734 |
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.