_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
5.1k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
11.1k
20231101.bn_15454_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8
মরিশাস
মরিশাসে সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ লক্ষ লোকের বাস। এখানকার জনঘনত্ব (প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৬৩৮ জন) বিশ্বের সর্বোচ্চগুলির একটি। এখানকার জাতিগত বৈচিত্র্য উচ্চ। বর্তমানে দেশটির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ (৬৮%) লোক ১৯শ শতকে দক্ষিণ এশিয়া থেকে আগত আখচাষীদের বংশধর। প্রায় এক-চতুর্থাংশ (২৭%) লোক "ক্রেওল" নামক শ্বেতাঙ্গ, এশীয় ও আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ নরগোষ্ঠীর লোকের সংমিশ্রণে গঠিত একটি নরগোষ্ঠী। এছাড়া চীনা (৩%) ও ইউরোপীয় (২%, মূলত ফরাসি) বংশোদ্ভূত ক্ষুদ্র সম্প্রদায় আছে। ফরাসি বংশোদ্ভূত সম্প্রদায়টি ধনী শ্রেণী গঠন করেছে। ইংরেজি প্রশাসনিক ভাষা, তবে প্রায় সবাই স্থানীয় ক্রেওল ভাষায় (এক ধরনের ফরাসি পাতোয়া ভাষা) কথা বলে; এছাড়া ফরাসি ভাষা ও অন্যান্য নৃগোষ্ঠীগত ভাষাও (হিন্দি ভাষা, উর্দু ভাষা, ভোজপুরি ভাষা, তামিল ভাষা, চীনা ভাষা) প্রচলিত। এখানকার লোকেদের অর্ধেকের (৪৮%) ধর্ম হিন্দুধর্ম; খ্রিস্টধর্ম (রোমান ক্যাথলিক মণ্ডলীর) ও ইসলাম ধর্ম যথাক্রমে দ্বিতীয় (২৬%) ও তৃতীয় (১৭%) প্রধান ধর্ম। ভারতীয় বংশোদ্ভুত লোকেরা হিন্দু ও ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং বেশির ভাগ ক্রেওল নরগোষ্ঠীর লোক খ্রিস্টান। এটি আফ্রিকার একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। দেশের অর্ধেকের বেশি জনগণ শহরে বাস করে। প্রায় ৮৫% লোক সাক্ষরতা অর্জন করেছে। এখানে দুইটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে।
0.5
3,064.033085
20231101.bn_15454_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8
মরিশাস
মরিশাসের প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ এর আপেক্ষিকভাবে উর্বর মাটি। দেশের প্রায় অর্ধেক জমিতে কৃষিকাজ করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে মরিশাসের অর্থনীতিতে একটিমাত্র অর্থকরী শস্য আধিপত্য বিস্তার করে আসছে, যা হল আখ। দেশের আবাদী জমিগুলির অর্ধেকেরও বেশীতে আখ চাষ করা হয় এবং আখ থেকে প্রস্তুতকৃত চিনি ও ঝোলাগুড় মরিশাসের প্রধান দুইটি রপ্তানি দ্রব্য। অন্যান্য কৃষিদ্রব্যের মধ্যে চা, চীনাবাদাম, আলু, টমেটো, তামাক, কলা ও শাকসবজি উল্লেখ্য। তবে দেশটি খাদ্যের জন্য, বিশেষত চাল আমদানির জন্য বহির্বিশ্বের উপরে গভীরভাবে নির্ভরশীল। ১৯৭০-এর দশকে মরিশাসের সরকার কৃষির উপরে নির্ভরশীলতা কমিয়ে অর্থনীতির আধুনিকায়নের উদ্যোগ হাতে নেয় এবং নতুন নতুন শিল্প স্থাপন করে। বর্তমানে মরিশাসের অর্থনীতির উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশ শিল্পখাত থেকে আসে। এখানকার কারখানাগুলিতে আখের রস থেকে পরিশোধিত চিনি ও চিনিজাত দ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণের পাশাপাশি বস্ত্র, ধাতু, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ধাতব দ্রব্য, রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক দ্রব্য, পানীয়, চামড়াজাত দ্রব্য, ইলেকট্রনীয় যন্ত্রাংশ, ইত্যাদি উৎপাদন করা হয়। ১৯৮০-র দশকে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পে ব্যাপক উন্নতি হয়। পর্যটন ও ব্যাংকিংয়ের মতো সেবাখাতগুলি মরিশাসের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির শ্রমশক্তির প্রায় দুই-পঞ্চমাংশেরও বেশি লোক এই দুই খাতে চাকুরি করে। ১৯৭০-এর দশকে থেকে দেশের পর্যটন খাত ব্যাপক বৃদ্ধিলাভ করে। ২১শ শতকে এসে দেশটি ব্যাংকিং ও অর্থসংস্থান সেবার একটি সমৃদ্ধ কেন্দ্রে পরিণত হয়। মরিশাসের মুদ্রার নাম মরিশীয় রুপি, যেটি ১০০ সেন্টে বিভক্ত। ২০২১ সালে এসে ১ মার্কিন ডলার প্রায় ৪০ মরিশীয় রুপির সমান ছিল। মরিশাস অর্থনৈতিক স্বাধীনতার তালিকায় উচ্চস্থান অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাংক দেশটিকে একটি উচ্চ-আয়ের অর্থনীতি হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। দেশটিকে আফ্রিকার সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক ও সবচেয়ে উন্নত অর্থনীতিগুলির একটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
0.5
3,064.033085
20231101.bn_15454_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8
মরিশাস
আরব নাবিকেরা ১০ম শতক (আনুমানিক ৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ) বা তার আগেই এবং ১৫শ শতকে সম্ভবত মালয় জাতির লোকেরা দ্বীপটি সম্পর্কে অবগত ছিল। ১৬শ শতকের শুরুতে (১৫০৭ সালে) এখানে ইউরোপ থেকে পতুর্গিজদের আগমন ঘটেছিল বলে নথিতে নিশ্চিত প্রমাণ আছে, কিন্তু তারা দ্বীপটিতে বসতি স্থাপন করেনি। ১৫৯৮ সালে ওলন্দাজরা দ্বীপটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। তারা এটিকে নেদারল্যান্ডসের প্রশাসক নাসাউয়ে মরিসের নামে মরিশাস নামকরণ করে। ওলন্দাজরা দুইবার দ্বীপটিতে বসতি স্থাপনের চেষ্টা করে; প্রথমবার ১৬৩৮-৫৮ সময়কালে ও দ্বিতীয়বার ১৬৬৪-১৭১০ সালে। কিন্তু তাদের বসতি স্থাপনের চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং তারা জলদস্যুদের হাতে দ্বীপটি ছেড়ে দিয়ে ১৭১০ সালে চলে যায়। ১৭১৫ সালে ফরাসি পূর্ব ভারতীয় কোম্পানি দ্বীপটি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়। তারা ১৭২১ সালে এটিকে ইল দ্য ফ্রঁস নামকরণ করে। ১৭৬৭ সালে ফ্রান্স সরকারের সমুদ্র মন্ত্রণালয় দ্বীপটির দায়িত্ব নেয়। ফরাসিরা আখের খামারে কাজ করার জন্য আফ্রিকান ক্রীতদাসদেরকে ধরে নিয়ে আসে এবং উপনিবেশটির অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে। ১৮১০ সালে নেপোলিয়নীয় যুদ্ধগুলির সময় যুক্তরাজ্যে দ্বীপটি দখল করে এবং ১৮১৪ সালের প্যারিস চুক্তির অধীনে তাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ অর্পণ করা হয়। মরিশাসের পাশাপাশি রোদ্রিগেস, আগালেগা, সেন্ট ব্র্যান্ডন, ট্রোমেলিন দ্বীপ এবং চাগোস দ্বীপপুঞ্জগুলিকেও ব্রিটিশদের কাছে দিয়ে দেওয়া হয় এবং ১৯০৬ সাল পর্যন্ত সেশেলস দ্বীপপুঞ্জটিও ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ট্রোমেলিনের উপরে মরিশাস ও ফ্রান্স উভয়ে সার্বভৌমত্ব দাবী করে আসছে, কেননা ১৮১৪ সালের প্যারিস চুক্তিতে এর উল্লেখ ছিল না।দ্বীপটির নাম বদলে পুনরায় মরিশাস রাখা হয় এবং ১৮৩৫ সালে ক্রীতদাস প্রথার অবসান ঘটলে যে শ্রমঘাটতি সমস্যা উদ্ভূত হয়, তা সমাধানের জন্য ব্রিটিশরা আখার খামারগুলির কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাসদেরকে ভারতীয় উপমহাদেশীয় চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের দ্বারা প্রতিস্থাপন করে। এ কারণে ১৮৬১ সাল থেকে দ্বীপটির অধিবাসীদের সিংহভাগ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ১৯শ শতকের বীট থেকে উৎপন্ন থেকে চিনির প্রতিযোগিতার কারণে দ্বীপটির অর্থনীতিতে মন্দার সৃষ্টি হয়। ১৮৬৯ সালে সুয়েজ খাল উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে এখানকার সামুদ্রিক নৌপরিবহন-সংক্রান্ত গুরুত্বও হ্রাস পায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এখানে বেশ কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার সাধন করা হয়।
1
3,064.033085
20231101.bn_15454_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8
মরিশাস
১৯৬৫ সালে মরিশাসের স্বাধীনতালাভের কিছু আগে যুক্তরাজ্য চাগোস দ্বীপপুঞ্জকে মরিশাস উপনিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে, সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীদেরকে উৎপাটন করে মরিশাসে পুনর্বাসন করে এবং সেখানে (বিশেষ করে দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে) একটি যৌথ ব্রিটিশ-মার্কিন ভারতীয় মহাসামুদ্রিক সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে। ১৯৬৮ সালের ১২ই মে তারিখে এসে মরিশাস ব্রিটিশ কমনওয়েলথের অধীনে থেকে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মরিশাস একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ছিল এবং দ্বীপটির নির্বাহী ক্ষমতা নামে ব্রিটিশ রাণী ও সেই সূত্রে তার প্রতিনিধি গর্ভনর জেনারেলের হাতে অর্পিত ছিল।। ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে মরিশাস একটি রাষ্ট্রপতি শাসিত স্বতন্ত্র প্রজাতন্ত্র পরিণত হয়। এরপর দেশটির সরকার সফলভাবে অর্থনীতির বৈচিত্র্যায়ন সাধন করেছেন। দেশটি ব্রিটিশ কমনওয়েলথ, আফ্রিকীয়-মালাগাসি মরিশীয় অভিন্ন সংস্থা ও আফ্রিকান ঐক্য সংস্থার সদস্য। এছাড়া লোমে চুক্তির অধীনের মরিশাসের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ সম্পর্ক বিদ্যমান।
0.5
3,064.033085
20231101.bn_15454_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8
মরিশাস
মরিশাসের রাষ্ট্রপতি আইনসভা কর্তৃক ৫ বছর মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ঐতিহ্যগতভাবে আইনসভার সংখ্যাগুরু দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দান করেন, যিনি সরকার তথা নির্বাহী বিভাগের প্রধান। আইনসভা বা জাতীয় সংসদটি সরাসরি নির্বাচিত ৬২ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। এছাড়া সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে আরও ৪ জন সংসদ সদস্যকে নিয়োগদান করেন। জাতীয় সংসদের সদস্যদের মেয়াদ ৫ বছর হয়ে থাকে। মরিশাসের স্বাধীনতালাভের পরে প্রথম ১৪ বছর সিউসাগার রামগুলামের নেতৃত্বাধীন মরিশাস শ্রমিক দল (এমএলপি, মরিশাস লেবার পার্টি) দেশটি শাসন করে। ১৯৭০-এর দশকে বিরোধী দল মরিশিয়ান মিলিট্যান্ট মুভমেন্ট (এমএমএম) শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং ১৯৮২ সালে এসে অনিরুধ জগনাথের নেতৃত্বে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়। কিন্তু জগনাথকে এমএমএম থেকে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের জের ধরে বহিস্কার করা হলে তিনি নতুন একটি দল গঠন করেন, যার নাম মরিশীয় সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন (এমএসম, মরিশিয়ান সোশ্যালিস্ট মুভমেন্ট)। এই দলটি মরিশাস শ্রমিক দলের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে ১৯৮৩ সালে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন। ১৯৮৭ ও ১৯৯১ সালে জগনাথের কোয়ালিশন পুনর্নির্বাচিত হয়। ১৯৯২ সালে মরিশাস প্রজাতন্ত্রে পরিণত হবার পরে কাসাম উতিমকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বরে মরিশাস শ্রমিক দল ও মরিশিয়ান মিলিট্যান্ট মুভমেন্ট জোটবদ্ধ হয়ে মরিশীয় সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন দলকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সিউসাগার রামগুলামের সন্তান ও মরিশাস শ্রমিক দলের প্রধান নাভিনচন্দ্র রামগুলাম, জগনাথকে প্রতিস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বলাভ করেন। ১৯৯৭ সালে এমএলপি-এমএসএম কোয়ালিশনের পতন ঘটে। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর এমএসএম-এমএমএম আবার জোটবদ্ধ হয়ে সংসদ নির্বাচনে বিপুল জয়লাভ করে এবং জগনাথ আবারও প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০৩ সালে জগনাথ পদত্যাগ করেন এবং প্রবীণ রাজনীতিবিদ পোল বেরঁজে প্রধানমন্ত্রী হন। জাতীয় সংসদ পরবর্তীতে জগনাথকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ২০০৫ সালে নাভিন রামগুলাম আবার প্রধানমন্ত্রী হন ও ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকেন। ২০১৫ সালে আনিরুধ জগনাথ নির্বাচনে জয়লাভ করে আবার প্রধানমন্ত্রী হন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে এমএসএম একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এবং প্রাভিন্দ কুমার জগনাথ (অনিরুধ জগনাথের পুত্র) প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। বর্তমানে মরিশাসের প্রশাসন ওয়েস্টমিনস্টার সংসদীয় ব্যবস্থাকে অনুকরণ করে নির্মিত এবং গণতন্ত্র সূচক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার মর্যাদাক্রমে দেশটি উচ্চস্থান অর্জন করেছে।
0.5
3,064.033085
20231101.bn_15454_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8
মরিশাস
মরিশাস একটি সমাজকল্যাণমূলক রাষ্ট্র। সরকার সমস্ত নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করে। এছাড়া ছাত্রছাত্রী, বৃদ্ধ নাগরিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য বিনামূল্যে পরিবহনের সুব্যবস্থা আছে। ২০১৯ সালে বিশ্ব শান্তি সূচক অনুযায়ী মরিশাস আফ্রিকার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশের স্বীকৃতি লাভ করে। মরিশাস একমাত্র আফ্রিকান রাষ্ট্র যেটি মানব উন্নয়ন সূচকে "অত্যন্ত উচ্চ" শ্রেণীতে স্থান করে নিয়েছে। অপেক্ষাকৃত অনুন্নত রোদ্রিগেস দ্বীপটি ২০০১ সাল থেকে স্বশাসিত।
0.5
3,064.033085
20231101.bn_15454_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8
মরিশাস
রাখিবন্ধন, দোলযাত্রা, পূজা, গণেশ চতুর্থী, মহাশিবরাত্রি, স্বাধীনতা দিবস (১২ই মার্চ), শুভ নববর্ষ, উগাদি, রথযাত্রা, দীপাবলি, বড়দিন ও ঈদ ইত্যাদি।
0.5
3,064.033085
20231101.bn_5078_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2
মনসামঙ্গল
মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান দেবতা সর্পদেবী মনসা। মনসা মূলগতভাবে অনার্য দেবী। ভারতের আদিবাসী ও অন্ত্যজ সমাজে সর্পদেবী মনসার পূজা সুপ্রচলিত। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, খ্রিষ্টীয় দশম-একাদশ শতাব্দীতে বাংলায় মনসার পূজা প্রবর্তিত হয়। পদ্মপুরাণ, দেবীভাগবত পুরাণ ও ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ-এর মতো কয়েকটি আধুনিক উপপুরাণ গ্রন্থে দেবী মনসার উল্লেখ পাওয়া যায়; এই গ্রন্থগুলি অবশ্য খ্রিষ্টীয় একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীর পূর্বে রচিত হয়নি। লৌকিক দেবী হলেও কালক্রমে মনসা ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক হিন্দুসমাজেও প্রতিপত্তি অর্জন করে; এমনকি চৈতন্যদেবের সমসাময়িক কালে শিক্ষিত বাঙালি সমাজেও মনসার পূজা প্রচলিত হয়।
0.5
3,061.190306
20231101.bn_5078_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2
মনসামঙ্গল
মনসামঙ্গল একটি আখ্যানকাব্য। এই কাব্যের প্রধান আখ্যানটিও আবর্তিত হয়েছে মর্ত্যলোকে মনসার নিজ পূজা প্রচারের প্রয়াসকে কেন্দ্র করে। কাব্যের মূল উপজীব্য চাঁদ সদাগরের উপর দেবী মনসার অত্যাচার, চাঁদের পুত্র লখিন্দরের সর্পাঘাতে মৃত্যু ও পুত্রবধূ বেহুলার আত্মত্যাগের উপাখ্যান। এই কাব্যে সেযুগের হিন্দু বাঙালি সমাজের সমাজব্যবস্থা, অর্থনীতি, আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদি সম্পর্কে নানা অনুপূঙ্খ বর্ণনা পাওয়া যায়। চাঁদ সদাগর শুধুমাত্র এই কাব্যেরই নয়, বরং সমগ্র বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বলিষ্ঠ চরিত্র; বেহুলা-লখিন্দরের করুণ উপাখ্যানটিও তার মানবিক আবেদনের কারণে আজও বাঙালি সমাজে জনপ্রিয়।
0.5
3,061.190306
20231101.bn_5078_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2
মনসামঙ্গল
মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি হরিদত্ত। বিজয়গুপ্ত এই কাব্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। অন্যান্য কবিদের মধ্যে কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ, বিপ্রদাস পিপলাই প্রমুখের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। আধুনিক কালে মনসামঙ্গল অবলম্বনে বিশিষ্ট নাট্যকার শম্ভু মিত্র চাঁদ বণিকের পালা নামে একটি নাটক রচনা করেন। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ধারাবাহিকের আকারেও একাধিকবার এই পুনঃসৃজিত হয়েছে মনসামঙ্গল joy joy ma monsa ki jay pobabotir magr mya ka buji ta para ।
0.5
3,061.190306
20231101.bn_5078_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2
মনসামঙ্গল
বিশিষ্ট মঙ্গলকাব্য বিশারদ আশুতোষ ভট্টাচার্য মনসামঙ্গল কাব্যের আখ্যানভাগটিকে “রামায়ণ-মহাভারত-পুরাণ-নিরপেক্ষ একটি স্বাধীন লৌকিক কাহিনী” বলে বর্ণনা করেছেন। খ্রিষ্টীয় দশম-একাদশ শতাব্দী থেকে বাংলায় মনসার মূর্তিনির্মাণ শুরু হয়। মনসামঙ্গল কাব্যের মূল লৌকিক কাহিনিটি তারও আগে থেকে পল্লিগীতি ও ছড়ার আকারে বাংলার লোকসমাজে প্রচলিত ছিল বলে অনুমান করা হয়। খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতাব্দীতে এক লোককথাটি শক্তিশালী কবিদের নিপুণ হাতে পড়ে কাব্যকৃতির রূপ নেয়। ক্রমে তার মধ্যে নানা উপকাহিনি ও পৌরাণিক উপাখ্যানের সমাবেশ ঘটে।
0.5
3,061.190306
20231101.bn_5078_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2
মনসামঙ্গল
চম্পক নগরের অধীশ্বর বণিক চাঁদ সদাগর। জগতপিতা শিবের মহাভক্ত। চাঁদ জগতপিতা শিবের থেকে মহাজ্ঞান লাভ করেছেন।
1
3,061.190306
20231101.bn_5078_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2
মনসামঙ্গল
মানুষের পূজা ব্যতীত দেবত্ব অর্জন সম্ভব নয়; তাই মনসা চাঁদের কাছে পূজা চাইলেন। শিবভিন্ন অপর কাউকে পূজা করতে চাঁদ প্রত্যাখ্যান করলেন।
0.5
3,061.190306
20231101.bn_5078_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2
মনসামঙ্গল
পরিণামে মনসা কৌশলে চাঁদের মহাজ্ঞান হরণ করেন এবং ছয়পুত্রকে বিষ দিয়ে হত্যা করেন। তারপর সমুদ্রপথে চাঁদের বাণিজ্যতরী সপ্তডিঙা মধুকর ডুবিয়ে চাঁদকে সর্বস্বান্ত করেন। চাঁদ কোনক্রমে প্রাণরক্ষা করেন।
0.5
3,061.190306
20231101.bn_5078_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2
মনসামঙ্গল
বহুকাল পর চাঁদ সহায়-সম্বলহীনভাবে চম্পক নগরে উন্মত্ত পাগল বেশে করিল গমন। অবশেষে পিতা-পুত্রের মিলন ঘটল।
0.5
3,061.190306
20231101.bn_5078_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2
মনসামঙ্গল
বেহুলার সাথে লখিন্দরের বিবাহ স্থির হল। মনসা বৃদ্ধাবেশে এসে ছল করে বেহুলাকে শাপ দিল, বিভা রাতে খাইবা ভাতার।
0.5
3,061.190306
20231101.bn_2524_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE
বগুড়া
বগুড়া বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের বগুড়া জেলার একটি শিল্প ও বাণিজ্যিক শহর। এটি রাজশাহী বিভাগ-এর অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। বগুড়া শহরে "শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম" নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে; এছাড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) শহর থেকে সামান্য দূরেই অবস্থিত। বগুড়া দইয়ের জন্য খুব বিখ্যাত। বগুড়া শহরে থেকে ১১ কি.মি. উত্তরে মহাস্থানগড় অবস্থিত, যা একসময় প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল এবং সেসময় পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের প্রধান মেজর জিয়াউর রহমান বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বগুড়াকে উত্তরবঙ্গের রাজধানী বলা হয়। বগুড়া উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান শহর ।
0.5
3,061.16535
20231101.bn_2524_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE
বগুড়া
ইতিহাস থেকে জানা যায় বাংলার প্রাচীনতম একটি নগরী বগুড়া। মৌর্যযুগে এটি পুণ্ড্রবর্ধন নামে পরিচিত ছিল। বগুড়ার প্রাচীন নাম পৌণ্ড্রবর্ধন ও এটি বরেন্দ্রভূমি বলে খ্যাত অঞ্চলের অংশবিশেষ। আজকের রাজশাহীও এই অঞ্চলভুক্ত ছিল। অঞ্চলটি ৯ থেকে ১২ শতক সেন রাজাদের দ্বারা শাসিত হয়। পরে ১৩শ শতকের শুরুতে তা মুসলিম শাসকদের অধীনে আসে। ১৩শ শতকের শুরুতে এই এলাকা মুসলিম শাসকদের হাতে যায়। তারপরও সেন বংশের নৃপতিরা সামন্তপ্রধান হিসাবে প্রায় ১০০ বছর শাসনকার্য চালায়। এরপর অচ্যুত সেনের আচরণে রাগান্বিত হয়ে গৌড়ের বাহাদুর শাহ (?-১৫৩৭) সেনদের বিতাড়িত করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বগুড়া ৭ নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
0.5
3,061.16535
20231101.bn_2524_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE
বগুড়া
বগুড়া শহর বগুড়া জেলার মধ্যভাগে করতোয়া নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত। করতোয়া নদী উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বগুড়াকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে।
0.5
3,061.16535
20231101.bn_2524_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE
বগুড়া
বগুড়ার উত্তরে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলা পশ্চিমে নওগাঁ জেলা, দক্ষিনে সিরাজগঞ্জ জেলা এবং পুর্বে যমুনা নদী এবং জামালপুর জেলার অবস্থান।
0.5
3,061.16535
20231101.bn_2524_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE
বগুড়া
বগুড়াকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয়। মূলত ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ জেলায় যেতে বগুড়াকে অতিক্রম করতে হয় বলেই এরকম বলা হয়ে থাকে। বগুড়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত মানের। ট্রেন এবং বাস উভয় ব্যবস্থায় ঢাকা থেকে আসা যায়। জেলায় মোট রাস্তার পরিমাণ ৬,০৪১ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা রাস্তা রয়েছে ২,৩১০ কিলোমিটার এবং কাঁচা রাস্তা রয়েছে ৩,৭৩১ কিলোমিটার। এছাড়াও জেলার উপর দিয়ে ৯০ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে।
1
3,061.16535
20231101.bn_2524_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE
বগুড়া
ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক বগুড়ার একেবারে মধ্যভাগ দিয়ে শেরপুর, শাহজাহানপুর, বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা দিয়ে চলে গেছে। ভারী এবং দূর পাল্লার যানবাহন চলাচলের জন্য মূল সড়কের পাশাপাশি রয়েছে প্রশস্ত দুটি বাইপাস সড়ক। প্রথমটি ১ম বাইপাস নামে পরিচিত শহরের পশ্চিম দিকে মাটিডালি থেকে শুরু হয়ে বারপুর, চারমাথা, তিনমাথা রেলগেট, ফুলতলা হয়ে বনানীতে গিয়ে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয়টি ২য় বাইপাস নামে পরিচিত যা ২০০০ সালের পরবর্তীকালে নির্মিত হয়। দ্বিতীয় বাইপাসটি মাটিডালি থেকে শুরু হয়ে শহরের পূর্ব পাশদিয়ে জয়বাংলা বাজার, সাবগ্রাম হয়ে বনানীতে গিয়ে মুল সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। এছাড়া নাটোর, পাবনা, রাজশাহী সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলোর সাথে যোগাযোগের জন্য একটি আলাদা মহাসড়ক রয়েছে যা নন্দীগ্রাম উপজেলার মধ্যদিয়ে নাটোরের সাথে সংযুক্ত। নওগাঁ জেলার সাথে যোগাযোগের জন্য চারমাথা থেকে আরেকটি সংযোগ সড়ক কাহালু, দুপচাঁচিয়া, সান্তাহারের মধ্য দিয়ে নওগাঁয় গিয়ে শেষ হয়েছে। এছাড়া বগুড়া জয়পুরহাট জেলাকে সংযুক্ত করার জন্য রয়েছে আলাদা সড়ক ব্যবস্থা।
0.5
3,061.16535
20231101.bn_2524_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE
বগুড়া
বগুড়া জেলার সর্ব পশ্চিমে রয়েছে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইন নাটোর থেকে জয়পুরহাট পর্যন্ত সান্তাহারের উপর দিয়ে চলে গেছে। এছাড়া সান্তাহার থেকে একটি মিটারগেজ লাইন আদমদিঘী, তালোড়া, কাহালু, বগুড়া শহর, গাবতলী, সুখানপুকুর, সোনাতলা হয়ে রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটকে সংযুক্ত করেছে।
0.5
3,061.16535
20231101.bn_2524_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE
বগুড়া
বগুড়ার একমাত্র বিমানবন্দরটি বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া নামক স্থানে অবস্থিত। তবে বিমান বন্দরটি বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
0.5
3,061.16535
20231101.bn_2524_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE
বগুড়া
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বগুড়া শহরের অবকাঠামোগত প্রচুর উন্নতি সাধিত হয়েছে। নতুন শহর পরিকল্পনার মাধ্যমে রাস্তাগুলো পুননির্মাণ এবং দু লেনে উন্নীতকরণ করা হয়েছে । এখানকার মাটি বেশ উর্বর এবং এখানে প্রচুর শস্যের উৎপাদন হয়। বিগত কয়েক বছরে বগুড়ায় লাল মরিচের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা কিনা ১০০ কোটি টাকার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ব্যবসা- বাণিজ্যের উন্নতির সাথে সাথে এখানকার ব্যাংকিং ব্যাবস্থাপনাতেও এসেছে নতুন মাত্রা; সরকারি বেসরকারি প্রায় সব ব্যাংকের একটি করে শাখা রয়েছে এখানে। ২৪ ঘণ্টাই শহরের যে কোনো প্রান্তে এটিএম বুথ খোলা পাওয়া যায়। ২০০৮ সালে ফ্রান্সের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ড্যানোন গ্রুপ গ্রামীণ গ্রুপের সাথে যৌথভাবে শক্তিদই তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
0.5
3,061.16535
20231101.bn_1367_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8
গ্রিস
রোমান যুগের সূচনায় হেলেনীয় সমাজ ও সংস্কৃতির কোন পরিবর্তন না হলেও এর ফলে আবশ্যিকভাবেই গ্রিস তার রাজনৈতিক স্বাধীনতা হারায়। খ্রিস্ট ধর্ম বিকাশের পূর্ব পর্যন্ত এখানে হেলেনীয় সংস্কৃতি টিকে ছিল। গ্রিস রোমের একটি প্রদেশে পরিণত হয় এবং তখনও গ্রিস প্রবল প্রতাপে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সংস্কৃতিকে প্রভাবান্বিত করে চলে। এরপর রোমান সাম্রাজ্য দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়; একভাগের নাম পূর্ব রোমান সম্রাজ্য যা গ্রিকদের সাম্রাজ্য নামে প্রতিষ্ঠা পায় এবং পরবর্তীকালে বাইজান্টাইন সম্রাজ্য নাম ধারণ করে। অন্য অংশ ছিল কনস্টান্টিনোপ্‌ল কেন্দ্রিক যার নাম ছিল বাইজান্টিয়াম। বাইজান্টাইন রাজত্বের সময় গ্রিক আগ্রাসী সকল শক্তির মধ্যে হেলেনীয় ভাবধারার প্রভাব সৃষ্টিতে সমর্থ হয় এবং এ সময়েই সিসিলি ও এশিয়া মাইনর থেকে অনেকে গ্রিসে বসতি স্থাপন করে। একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীকে গ্রিসে বাইজান্টাইন শিল্পকলার স্বর্ণযুগ বলা হয়। তবে ১২০৪ থেকে ১৪৫৮ সালের মধ্যে সংঘটিত ক্রুসেডের সময় ধর্মের নামে প্রতিষ্ঠিত কিছু সেনাদল দ্বারা গ্রিস আক্রান্ত হয়। ১৪৫৩ সালের ২৯ মে তারিখে কনস্টান্টিনোপ্‌লের পতনের পূর্ব পর্যন্ত এখানে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত ছিল।
0.5
3,053.674948
20231101.bn_1367_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8
গ্রিস
গ্রিসের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার এবং আইনসভা উভয়ের উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা হতে স্বাধীন।
0.5
3,053.674948
20231101.bn_1367_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8
গ্রিস
গ্রীস পাহাড়ের একটি দেশ। এগুলি দেশের উত্তর-পশ্চিমে শুরু হয় এবং সমুদ্রের ঢেউয়ের নীচে পিছলে না যাওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চালিত হয়; তাদের শিখর পর্যায়ক্রমে ভূপৃষ্ঠ ভেঙে হাজার হাজার দ্বীপ তৈরি করে যার জন্য গ্রীক জলরাশি বিখ্যাত এই পর্বতমালাগুলি ল্যান্ডস্কেপ জুড়ে গ্রাম এবং শহরগুলির বণ্টন নির্ধারণ করে এবং বৃষ্টিপাতের নিদর্শন এবং রাস্তার নেটওয়ার্ককে আকার দেয়, মূল ভূখণ্ডকে ছোট ছোট বাসযোগ্য উপত্যকা এবং সমভূমিতে বিভক্ত করে।
0.5
3,053.674948
20231101.bn_1367_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8
গ্রিস
এই ভাঙ্গা আড়াআড়িটি গ্রিসকে বিস্তৃত পরিবেশগত পরিস্থিতি দখল করেছে, যার মধ্যে অনেকগুলি বৃহত্তর আধুনিক কৃষির জন্য উপযুক্ত নয় এবং এগুলি 'বন্য' এবং পাথুরে অবস্থায় ফিরে গেছে। এটি প্রাক-রাফেলাইট চিত্রশিল্পীদের দ্বারা কল্পনা করা কৌতুকময় ব্রুকস এবং ছায়াময় সূর্যের আলোয় বনভূমিতে ভরা আইডলিক গ্রামীণ ভূদৃশ্য নাও হতে পারে, তবে এটি এর কাঁচা এবং শিরোনামহীন রাজ্যে দুর্দান্ত ইউরোপের সৈকত এবং উপসাগর
0.5
3,053.674948
20231101.bn_1367_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8
গ্রিস
খালি পরিসংখ্যানের ভাষায়, গ্রীস ১৩১,৯৪০ বর্গ কিমি (৫০,৯৪২ বর্গ মাইল) আয়তন এবং ১৩,৬৭৬ কিলোমিটার (৮,৪৯৮ মাইল) উপকূল রেখা রয়েছে। এটিতে প্রায় ২০০০ টিরও বেশি দ্বীপ রয়েছে, যার মধ্যে ১৭০ টি স্থায়ীভাবে বসবাস করে are একটি ভৌগোলিকভাবে জটিল দেশ, এটি বর্ণনার স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নিম্নলিখিত অঞ্চলগুলিতে বিভক্ত করা যেতে পারে:
1
3,053.674948
20231101.bn_1367_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8
গ্রিস
রাজধানী এবং এর অভ্যন্তরীণ অঞ্চলটি বিস্তৃত উপদ্বীপে অবস্থিত যা এজিয়ান সাগরে প্রবেশ করে। অ্যাথেন্সে এখন স্বয়ং ৪,৪,০০,০০০ লোক রয়েছে এবং তিনটি পর্বতমালা এবং সমুদ্রের মধ্যবর্তী সমভূমিটি পূর্ণ করেছে বিমানবন্দর (এলিথেরিয়াস ভেনিজেলোস) ইমিটোস রেঞ্জের সুদূর পাশে পূর্বদিকে অবস্থিত তবে এটি রাজধানীর সাথে অত্যন্ত সুসংযুক্ত। অ্যাটিকা তার উৎপাদিত জলপাইয়ের তেলের গুণগতমানের জন্য বিখ্যাত ছিল, তবে রাজধানীতে অফার দেওয়ার কারণে বাসিন্দারা চাকরির সুযোগের দিকে মনোনিবেশ করায় অনেক কৃষিক্ষেত্র ত্যাগ করা হয়েছে।
0.5
3,053.674948
20231101.bn_1367_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8
গ্রিস
পেলোপনিজ একটি বিশাল উপদ্বীপ যা করিন্থ শহরের কাছে উত্তর-পূর্বে সরু ইস্টমাস দ্বারা সবেমাত্র মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত ছিল। যেহেতু এই ফালাটি এখন করিন্থ খাল দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে (যা উপদ্বীপের চারপাশে বিপজ্জনক ভ্রমণকে তীব্রভাবে সংক্ষিপ্ত করে তোলে) এটি প্রযুক্তিগতভাবে একটি দ্বীপে পরিণত হয়েছে; গ্রীক রাষ্ট্রকে সংজ্ঞায়িত করে এমন অনেকের মধ্যে সর্বশেষতম।
0.5
3,053.674948
20231101.bn_1367_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8
গ্রিস
এর ভর উত্তর-দক্ষিণে প্রবাহিত দুটি দীর্ঘ পর্বত শৃঙ্খল এবং উত্তর উপকূল এবং মধ্য অঞ্চল সহ পূর্ব-পশ্চিমে প্রবাহিত পাহাড়ের আরও একটি ভর দ্বারা বিভক্ত। উত্তর এবং মধ্য পর্বতমালা অত্যন্ত ভাল জল সরবরাহ করা হয়, এবং বন এবং সুন্দর জর্জে ভরা হয়। দক্ষিণে লাকোনিয়া এবং মেসিনিয়ার সমভূমি দ্বারা আধিপত্য রয়েছে, এর উত্তর অংশটি সুন্দর বালুকাময় সৈকতগুলির জন্য বিখ্যাত।
0.5
3,053.674948
20231101.bn_1367_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8
গ্রিস
এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জগুলি প্রচলিতভাবে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত: আরগো-সারোনিক, সাইক্ল্যাডিক, স্পোরাদিস, ডোডেকানিজ, পূর্ব এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জ (সামোস, চিয়স, লেসবোস ইত্যাদি) এবং আরও কয়েকটি যেমন such ক্রিট এবং সামোথ্রেস যা হয় এত বড় যে তারা নিজেরাই দাঁড়াতে পারে বা অন্যের থেকে খুব দূরে একটি সহজে সংজ্ঞায়িত গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত হয়।
0.5
3,053.674948
20231101.bn_367229_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC
মাযহাব
উসুলিজম: টোয়েলভার শিয়া সম্প্রদায়তে অপ্রতিরোধ্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৈরি করে। তারা তাকলিদ এবং ফিকাহ বিষয়ক একটি মারজা-ই তাকলীদ অনুসরণ করে। তারা ইরান, পাকিস্তান, আজারবাইজান, ভারত, ইরাক এবং লেবাননে মনোনিবেশিত।
0.5
3,044.991702
20231101.bn_367229_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC
মাযহাব
শায়খিজম: উনিশ শতকের গোড়ার দিকে শায়খ আহমদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি ইসলামী ধর্মীয় আন্দোলন, ইরান এখন ইরান ও ইরাকে সংখ্যালঘু বজায় রেখেছিল। এটি সূফী এবং শিয়া এবং আখবাড়ি মতবাদের সংমিশ্রণ থেকে শুরু হয়েছিল। 19নবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে অনেক শাইখী বাবি ও বাহ ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল, যা শায়খ আহমদকে অত্যন্ত সম্মান করে।
0.5
3,044.991702
20231101.bn_367229_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC
মাযহাব
বাতিনিয়াহ স্কুলটি আলেভিস, বেকতাশিস এবং আলাওয়াইটস সমন্বয়ে গঠিত, যারা তাদের নিজস্ব ফিকাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল এবং জাফারি ফকীহ অনুসরণ করে না।
0.5
3,044.991702
20231101.bn_367229_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC
মাযহাব
আলায়েজিজমের পরে আলাওয়াইটস রয়েছে, যাদের নুসায়রিস, নুসাইরিস, নামিরিয়া বা আনসারিয়াও বলা হয়। তাদের মাযহাব ইবনে নুসর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তাদের আকীদা আল-খাব্বি বিকাশ করেছেন। তারা ‘মায়মন ইবনে আবু’ল-কাসিম সুলায়মান ইবনে আহমাদ ইবনে-তাবারানী ফিকহ’ আলাওয়িসের চিলি আকিদা অনুসরণ করেন। [৩২] [৩৩] তাদের মধ্যে সামান্য পরিমাণে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সিরিয়া এবং লেবাননে বাস করে [[৩৪]
0.5
3,044.991702
20231101.bn_367229_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC
মাযহাব
আলেভিজম, কখনও কখনও টোলেভার শিয়া ইসলামের অংশ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ এবং কখনও কখনও এটি নিজস্ব ধর্মীয় তিহ্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়, কারণ এটি স্পষ্টভাবে পৃথক দর্শন, রীতিনীতি এবং আচার অনুষ্ঠান করেছে। তাদের অনেক তাসাউফুফের বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং তারা কুরআন এবং দ্বাদশ ইমামের প্রতি বিশ্বাস প্রকাশ করে তবে বহুবিবাহকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তুর্কি শামানিজমের মতো ইসলামের পূর্বে ধর্মীয় তিহ্যকে মেনে নেয়। পূর্ব-মধ্য তুরস্কে এগুলি উল্লেখযোগ্য। এগুলিকে মাঝে মাঝে একটি সুফি সম্প্রদায় হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং তাদের ধর্মীয় নেতৃত্বের অপ্রথাগত রূপ রয়েছে যা অন্যান্য সুন্নি ও শিয়া গোষ্ঠীর মতো বৃত্তিপ্রবণ নয়। তাদের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী প্রায় 24 মিলিয়ন, যার মধ্যে 17 মিলিয়ন তুরস্কে রয়েছে, বাকী রয়েছে বাল্কানস, আলবেনিয়া, আজারবাইজান, ইরান এবং সিরিয়ায়।
1
3,044.991702
20231101.bn_367229_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC
মাযহাব
যে ইসমাইলি মুসলমানরা শিয়া ইসমাইলি ফাতিমিদ ফিকাহকে মেনে চলেন তারা দাইম আল-ইসলাম, ইসলামের বিধিবিধান সম্পর্কিত একটি বই অনুসরণ করেন। এটি ইসমাইলি ইমামদের প্রদত্ত গাইডেন্সের আলোকে ইবাদাত সহ শিষ্টাচার ও শিষ্টাচার বর্ণনা করে। বইটি শিয়া ইসমাইলি ফাতিমিদ চিন্তার প্রথম চার ইমামের traditionsতিহ্যকে উদ্ধৃত করে Godশ্বরের উপাসনার পাশাপাশি শিষ্টাচার ও শিষ্টাচারকে কী গুরুত্ব দিয়েছে তা বইটিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
0.5
3,044.991702
20231101.bn_367229_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC
মাযহাব
নিজারি: ইসমাইলির বৃহত্তম শাখা (৯৫%), তারা একমাত্র শিয়া গোষ্ঠী যাঁদের আগাম খানের বিনিয়োগকৃত ইমামাতে পদমর্যাদায় তাদের নিখুঁত সাময়িক নেতা রয়েছে। নিজেরা ইসমাইলিগণ বিশ্বাস করেন যে ফাতেমিদ খলিফা মাআদ আল-মুস্তানসীর বিল্লাহর উত্তরসূরি-ইমাম ছিলেন তাঁর বড় ছেলে আল-নিযর। যদিও নিযারি জাফরী আইনশাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত, তারা শাস্ত্রের ব্যাখ্যায় "কালাম" এর আধিপত্যকে মেনে চলেন এবং ফিকাহ (প্রচলিত আইনীকরণ) এর বিপরীতে বোঝার সাময়িক আপেক্ষিকত্বে বিশ্বাসী, যা একটি নিখরচায় দৃষ্টিভঙ্গির অনুসরণ করে প্রত্যাদেশ।
0.5
3,044.991702
20231101.bn_367229_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC
মাযহাব
তিয়েবে মোস্তুলিয়া: ইসমাইলি মুসলমানদের মুস্তালি দল নিজারিয়াদের থেকে পৃথক যেহেতু তারা বিশ্বাস করে যে ফাতিমিদ খলিফা আল-মুস্তানসিরের উত্তরসূরি-ইমাম তাঁর ছোট ছেলে আল-মুস্তাল্লি ছিলেন, যাকে ফাতিমাদ রিজেন্ট আল দ্বারা খলিফা করা হয়েছিল। -আফদল শাহানশাহ। নিজারিদের বিপরীতে, তারা নিযারের চেয়ে ছোট ভাই আল-মুস্তাল্লিকে তাদের ইমাম হিসাবে গ্রহণ করে। বোহরা হ'ল তাইয়বীর একটি অফসুট, যা নিজেই মুস্তালির একটি শাখা ছিল। হাফিজি শাখা মুস্তালির আরেকটি শাখাকে সমর্থন করে তাইয়্যি মুস্তালি ফাতিমিদের সাথে বিভক্ত হয়েছিলেন, যারা আল-আমিরকে তাদের শেষ ইমাম হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। আল-আমিরের পরের তায়েব আবী-ল-কাসেম পরবর্তী অধিকারী ইমাম ছিলেন বলে তাইয়াবি বিশ্বাস করার কারণে এই বিভক্তি ঘটেছিল। হাফিজীরা নিজেরা আল-হাফিজকে আল-আমিরের পরের সঠিক ইমাম হিসাবে বিবেচনা করেছিল। বোহররা বিশ্বাস করেন যে তাদের একুশতম ইমাম, তৈয়ব আবি আল-কাসিম একাকীত্বের মধ্যে চলে গিয়ে দাই-আল-মুতালাক (الداعي المطلق), মাযুন (مأذون) এবং মুকাসির (مكاسر) এর অফিস স্থাপন করেছিলেন। বোহরা মুস্তালির একমাত্র বেঁচে থাকা শাখা এবং এগুলি দাউদি বোহরা, সুলাইমানি বোহরা এবং আলাভি বোহরায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
0.5
3,044.991702
20231101.bn_367229_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AC
মাযহাব
জায়েদী আইনশাসন জায়েদ ইবনে আলীর শিক্ষা অনুসরণ করে। আইনের নিরিখে, জায়েদী স্কুল হানফি স্কুল সুন্নী ইসলামের সাথে বেশ মিল। [৩৫] জায়েদী বিশ্বাসের মধ্যে সুন্নি সাদৃশ্যগুলির সাধারণ প্রবণতার কারণে এটি সম্ভবত। মুহাম্মদের মৃত্যুর পর ইমাম জাফর আল-সাদিক, ইমাম জায়েদ ইবনে আলী, ইমাম আবু হানীফা এবং ইমাম মালিক ইবনে আনাস মদিনার আল-মসজিদ আন-নববিতে এবং 70০ জন শীর্ষস্থানীয় ফিকাহবিদ ও পণ্ডিতদের সাথে [প্রশংসাপত্র আবশ্যক] একসাথে কাজ করেছিলেন। জাফর আল-সাদিক এবং জায়েদ ইবনে আলী নিজেই কোনও বই লেখেন নি [উদ্ধৃতি প্রয়োজন]। তবে তাদের মতামত ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম মালিক ইবনে আনাস রচিত গ্রন্থসমূহে হাদীসসমূহ। সুতরাং, আজ অবধি জায়েদিরা এবং মূলত ফাতিমিদরা হানাফি ফকীহকে বেশিরভাগ সুন্নী হিসাবে ব্যবহার করেছিল।
0.5
3,044.991702
20231101.bn_2964_43
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
উত্তরপ্রদেশ
ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই রেলপথের দৈর্ঘ্য সর্বাধিক। এই রাজ্যের রেলপথের ঘনত্ব সারা দেশে ষষ্ঠ উচ্চতম। ২০১১ সালের হিসেব অনুসারে, রাজ্যের রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য । এলাহাবাদ উত্তর মধ্য রেলের প্রধান কার্যালয়। অন্যদিকে গোরখপুর উত্তর পূর্ব রেলের প্রধান কার্যালয়। এলাহাবাদ ও গোরখপুরে রেলের আঞ্চলিক প্রধান কার্যালয় ছাড়াও লখনউ ও মোরাদাবাদে উত্তর রেল বিভাগের দুটি বিভাগীয় প্রধান কার্যালয় রয়েছে। দেশের দ্রুততম শতাব্দী এক্সপ্রেস লখনউ স্বর্ণ শতাব্দী এক্সপ্রেস ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লি ও লখনউ শহরের মধ্যে চলাচল করে। এটিই ভারতের প্রথম ট্রেন যেটিতে নতুন জার্মান এলএইচবি কোচ যুক্ত হয়েছে। লখনউ এনআর, কানপুর মধ্য, বারাণসী জংশন, আগ্রা কান্টনমেন্ট, গোরখপুর ও মথুরা জংশন ভারতীয় রেলের ৫০টি বিশ্বমানের রেল স্টেশনের অন্যতম।
0.5
3,039.906876
20231101.bn_2964_44
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
উত্তরপ্রদেশ
উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে একটি দীর্ঘ ও বহুমুখী পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে এই রাজ্যের সড়ক পরিবহন নেটওয়ার্কের দৈর্ঘ্য দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে বৃহত্তম। জাতীয় সড়কগুলির মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ শুধুমাত্র প্রতিবেশী নয়টি রাজ্যের সঙ্গেই নয়, বরং প্রায় সারা দেশের সঙ্গেই ভালভাবে যুক্ত রয়েছে। এই রাজ্যে ৪২টি জাতীয় সড়ক রয়েছে। এগুলির দৈর্ঘ্য ৪,৯৪২ কিলোমিটার (ভারতের জাতীয় সড়কগুলির সামগ্রিক দৈর্ঘ্যের ৯.৬%)। ১৯৭২ সালে স্থাপিত উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সড়ক পরিবহন সংস্থা রাজ্যের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ রাখার দায়িত্ব পালন করে। এটি সারা দেশের একমাত্র রাজ্য পরিবহন সংস্থা ব্যবসায়িক দিক থেকে সফল। রাজ্যের প্রত্যেকটি শহর রাজ্য সড়কগুলির মাধ্যমে যুক্ত। অন্যান্য জেলা সড়ক ও গ্রামীণ সড়কগুলি গ্রামগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষা করে চলেছে। এই রাস্তাগুলির মাধ্যমে গ্রামের কৃষিপণ্য নিকটবর্তী বাজারে পৌঁছে যায়। প্রধান জেলা সড়কগুলি প্রধান সড়ক ও গ্রামীণ সড়কগুলির মধ্যে যোগাযোগও রক্ষা করে। উত্তরপ্রদেশের সড়কপথের ঘনত্ব সারা দেশে সপ্তম উচ্চতম (১,০২৭ কিলোমিটার প্রতি ১০০০ বর্গকিলোমিটারে)। এছাড়া এই রাজ্যের শহরাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহনের দৈর্ঘ্য দেশের বৃহত্তম (৫০,৭২১ কিলোমিটার)।
0.5
3,039.906876
20231101.bn_2964_45
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
উত্তরপ্রদেশ
উত্তরপ্রদেশের বিমান পরিবহন ব্যবস্থাও যথেষ্ট উন্নত। রাজ্যে দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। এগুলি হল লখনউতে চৌধুরী চরণ সিং বিমানবন্দর ও বারাণসীতে লালবাহাদুর শাস্ত্রী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আগ্রা, এলাহাবাদ, গোরখপুর ও কানপুরে চারটি আভ্যন্তরিণ বিমানবন্দরও রয়েছে। লখনউ বিমানবন্দর নতুন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরেই উত্তর ভারতের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। ফিরোজাবাদ জেলার তুন্ডলার হিরনগাঁওয়ের কাছে কুরিকুপায় তাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। কুশীনগরেও একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
0.5
3,039.906876
20231101.bn_2964_46
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
উত্তরপ্রদেশ
উত্তরপ্রদেশ ৭১ মিলিয়নের বেশি পর্যটক আগমনের মাধ্যমে প্রথম স্থানে রয়েছে । রাজ্যে সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্রময় ভূসংস্থান , স্পন্দনশীল সংস্কৃতি , উৎসব , মিনার এবং প্রাচীন মন্দির রয়েছে ।
0.5
3,039.906876
20231101.bn_2964_47
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
উত্তরপ্রদেশ
বৈদিক সাহিত্যের একাধিক ধর্মগ্রন্থ উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ডে রচিত হয়েছিল। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, গুরুপূর্ণিমা বা ব্যাসপূর্ণিমা তিথিতে ব্যাস এই অঞ্চলেই বেদ চার ভাগে বিভক্ত করেছিলেন। গুরুপূর্ণিমাকে হিন্দুরা ব্যাসের জন্মতিথিও মনে করেন। এই রাজ্যের একটি দীর্ঘ সাহিত্য ও লৌকিক হিন্দি ভাষার প্রথা রয়েছে। ১৯শ ও ২০শ শতাব্দীতে জয়শঙ্কর প্রসাদ, মৈথিলীশরণ গুপ্ত, মুন্সি প্রেমচন্দ, সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী নিরালা, বাবু গুলাবরাই, সচ্চিদানন্দ বাৎস্যায়ন, রাহুল সাংকৃত্যায়ন, হরিবংশ রাই বচ্চন, ধরমবীর ভারতী, সুভদ্রা কুমারী চৌহান, মহাবীর প্রসাদ দ্বিবেদী, স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী, দোষ্যন্ত কুমার, হাজারিপ্রসাদ দ্বিবেদী, কুবেরনাথ রাই, ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্র ও বিভূতি নারায়ণ রাই প্রমুখ সাহিত্যিকের হাত ধরে হিন্দি সাহিত্যের আধুনিকীকরণ ঘটে।
1
3,039.906876
20231101.bn_2964_48
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
উত্তরপ্রদেশ
উত্তরপ্রদেশ রাজ্যটিকে ‘ভারতের হিন্দিবলয়ের কেন্দ্র’ বলা হয়। ১৯৫১ সালের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যভাষা আইন অনুসারে হিন্দিকে এই রাজ্যের সরকারি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৮৯ সালে এই আইনে একটি সংশোধনী এনে রাজ্যের অন্যতম ভাষা উর্দুকেও সরকারি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়। ভাষাতাত্ত্বিক দিক থেকে এই রাজ্য ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর মধ্য, পূর্ব-মধ্য ও পূর্ব অঞ্চলে পড়ে। এই রাজ্যের প্রধান স্থানীয় ভাষাগুলি হল অবধি, ভোজপুরি, বুন্দেলি, ব্রজ ভাষা, কনৌজি ও খড়িবোলির কথ্যরূপ।
0.5
3,039.906876
20231101.bn_2964_49
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
উত্তরপ্রদেশ
অণুপ জালোটা, বাবা সেহগল, গিরিজা দেবী, গোপাল শঙ্কর মিশ্র, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, কিশান মহারাজ, বিকাশ মহারাজ, নৌশাদ আলি, রবি শঙ্কর, শুভা মুদ্গল, সিদ্ধেশ্বরী দেবী, তালাত মাহমুদ ও উস্তাদ বিসমিল্লা খাঁ প্রমুখ সঙ্গীতজ্ঞেরা উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন। গজল গায়িকা বেগম আখতারও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন। উত্তরপ্রদেশের ব্রজ অঞ্চলে রাসিয়া নামে এক ধরনের সঙ্গীত খুব জনপ্রিয়। এই গানের মূল বিষয় হল রাধা ও কৃষ্ণের প্রেম। রাজ্যের অন্যান্য জনপ্রিয় সঙ্গীতধারাগুলি হল কাজরি, সোহর, কাওয়ালি, ঠুংরি, বিরহা, চৈতি ও সাওয়ানি। লখনউয়ের ভাতখণদে মিউজিক ইনস্টিটিউশন বিশ্ববিদ্যালয়ে শাস্ত্রীয় নৃত্য ও সঙ্গীত শেখানো হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডের নামাঙ্কিত।
0.5
3,039.906876
20231101.bn_2964_50
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
উত্তরপ্রদেশ
শাস্ত্রীয় নৃত্য কত্থকের উৎপত্তি উত্তরপ্রদেশ ভূখণ্ডে। এই নৃত্যশৈলীটি হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তবলা ও পাখোয়াজের সংগতে এটি উপস্থাপনা করা হয়। উত্তরপ্রদেশে কত্থকের দুটি ঘরানা রয়েছে। এগুলি হল লখনউ ঘরানা ও বারাণসী ঘরানা।
0.5
3,039.906876
20231101.bn_2964_51
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
উত্তরপ্রদেশ
দেওয়ালি (মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য-ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত) ও রামনবমী উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় উৎসব। প্রতি তিন বছর অন্তর মাঘ মাসে ফেব্রুয়ারি-মার্চ) যথাক্রমে এলাহাবাদ, হরিদ্বার ও উজ্জয়িনীতে গঙ্গার তীরে এবং নাসিকে গোদাবরীর তীরে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। এলাহাবাদের কুম্ভমেলা উত্তরপ্রদেশের একটি বিখ্যাত মেলা। দোল উৎসবের দিন লাথ মার হোলি এই রাজ্যের একটি স্থানীয় হিন্দু উৎসব। হোলি উৎসবের আগে মথুরার কাছে বরসনাতে এই উৎসব পালিত হয়। তাজ মহোৎসব হল আগ্রার একটি বার্ষিক উৎসব। এটি ব্রজ এলাকার সংস্কৃতির একটি বর্ণময় প্রদর্শনী। বুদ্ধপূর্ণিমা বা গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন একটি প্রধান হিন্দু ও বৌদ্ধ উৎসব। অন্যদিকে সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে বড়দিন একটি প্রধান উৎসব। অন্যান্য উৎসবের মধ্যে বিজয়াদশমী, মকর সংক্রান্তি, বসন্ত পঞ্চমী, আয়ূধ পূজা, গঙ্গা মহোৎসব, জন্মাষ্টমী, সারধানা খ্রিস্টান মেলা, শিবরাত্রি, মহরম, বারহ্‌ ওয়াফাত, ঈদুলফিতর, ঈদুজ্জোহা, ছটপূজা, লখনউ মহোৎসব, কাবোব ও হনুমান জয়ন্তী উল্লেখযোগ্য।
0.5
3,039.906876
20231101.bn_260870_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95
ব্যাংক
আধুনিক যুগের চিন্তা-চেতনা অনুযায়ী ধারণা করা হয় যে, ব্যাংকিং পদ্ধতির উন্মেষ ঘটে মধ্যযুগ এবং রেনেসাঁর শুরুতে ইটালীর উত্তরাঞ্চলের ধনী শহর বিশেষ করে ফ্লোরেন্স, ভেনিস এবং জেনোয়ায় ব্যাংকিং প্রথা শুরু হয়। বর্দি এবং পেরুজি পরিবার চতুর্দশ শতকে ফ্লোরেন্সের ব্যাংকিং জগতে একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। তারা ইউরোপের বিভিন্ন অংশে ব্যাংকের শাখা প্রতিষ্ঠা করেছিল। এছাড়াও, অধিকাংশ জনপ্রিয় ইতালীয় ব্যাংকই ছিল 'মেডিসি ব্যাংকের' নিয়ন্ত্রণে। ১৩৯৭ সালে 'গিওভেন্নী মেডিসি' ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুর দিকে পরিচিত রাষ্ট্রীয় সঞ্চয় ব্যাংক হিসেবে রয়েছে 'ব্যাংকো ডি স্যান জিওর্জিও' (ব্যাংক অব সেন্ট জর্জ)। ব্যাংকটি ১৪০৭ সালে ইটালীর জেনোয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
0.5
3,026.804826
20231101.bn_260870_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95
ব্যাংক
১৪০০ সাল থেকে ব্যাংক ব্যবস্থার আধুনিক যুগের সূচনা হয়। ১৪০১ সালে 'ব্যাংক অব বার্সিলোনা' প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্যাংকের কার্যাবলী বিস্তৃত হতে থাকে। এ ব্যাংককেই বিশ্বের সর্বপ্রথম আধুনিক ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিতকরা হয়। ১৪০৭ সালে 'ব্যাংক অব জেনোয়া' ১৬০৯ সালে 'ব্যাংক অব আমস্টার্ডাম', ১৬১৯ সালে 'ব্যাংক অব হামবুর্গ' প্রতিষ্ঠিত প্রথম সনদপ্রাপ্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে ১৬৫৬ সালে সুইডেনে 'ব্যাংক অব সুইডেন' প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কিছুকাল পরে ২৭ জুলাই, ১৬৯৪ সালে ইংল্যান্ডে বিশ্বের প্রথম আধুনিক কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। সুইডেনের স্ভেরিজেস রিক্সব্যাংকের পর ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিশ্বের ৮ম প্রাচীন ব্যাংক। পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যাংক হিসেবে মন্টে ডেই পাসচি ডি সিয়েনা চিহ্নিত হয়ে আছে। এর সদর দফতর ইতালির সিয়েনায়। ১৪৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটি এখনও আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করে আসছে। ১৭৩৪ সাল থেকে সিটি অব লন্ডনের থ্রেডনিডল স্ট্রিটে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সদর দফতর অবস্থিত। মুদ্রানীতি প্রণয়নসহ এটি সরকারের যাবতীয় ঋণ পরিশোধ, নোট তৈরি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ করছে।BBC On This Day | 6|1997: Brown sets Bank of England free, Retrieved on 13 September 2009Bank of England: Relationship with Parliament . Bank of England. Retrieved on 21 December 2007
0.5
3,026.804826
20231101.bn_260870_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95
ব্যাংক
মধ্যযুগের ইংরেজি হিসেবে ব্যাংক (Bank) শব্দটি বিভিন্ন ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে শব্দটি কবে, কোথায় এবং কীভাবে উৎপত্তি হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কারণ দ্বাদশ শতাব্দীর পূর্ব পর্যন্ত ব্যাংকিং ইতিহাসের কোনো সঠিক ও ধারাবাহিক তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হইনি। যতটুকু সংগ্রহ করা হয়েছিল তা অনেকটা অনুমান ভিত্তিক। অনেকে মনে করেন প্রাচীন লাতিন ব্যাংকিং, ব্যাংকা, ব্যাংকাস ইত্যাদি শব্দের আধুনিক রুপই হলো আজকের ব্যাংক শব্দটি।
0.5
3,026.804826
20231101.bn_260870_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95
ব্যাংক
ব্যাংক শব্দটি উৎপত্তি সম্পর্কে সর্বাপেক্ষা প্রচলিত মতবাদ হচ্ছে, রেনেসাঁ যুগে ইটালীর লোম্বার্ডী (Lombardy) নামক স্থানে অবস্থিত বাজারের মধ্যে ইহুদী ব্যবসায়ীগণ লম্বা বেঞ্চ পেতে টাকা পয়সার লেন্দেন করত। বেঞ্চের উপরিভাগ সবুজ টেবিলক্লথ দিয়ে ঢাকা থাকতো। এ বেঞ্চকে ইটালীর ভাষায় ব্যাংকো (Banco) বলা হতো। টাকা পয়সা লেনদেনের কাজ যে বেঞ্চে বসে সম্পন্ন করা হতো তার বিভিন্ন আঞ্চলিক নাম ছিল যথাঃ ব্যাংকো, ব্যাংকা, ব্যাংকাছ ইত্যাদি। এ শব্দগুলোর মধ্যে ব্যাংকো শব্দটিই সর্বাধিক প্রচলিত ছিল। পরবর্তীকালে এ ব্যাংকো হতেই ব্যাংক শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। কোন ব্যবসায়ী তার পাওনাদারদের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হলে জঙ্গণ বিক্ষুদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ীর বেঞ্চ ভেঙে ফেলত। এ বেঞ্চ ভাঙ্গা থেকে 'দেউলিয়া' শব্দের উৎপত্তি হয়। ব্যাংক ইংরেজি শব্দ যার আভিধানিক অর্থ নদীর কূল, তীর বা কিনারা হলেও বর্তমানে ব্যাংককে অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হয়।
0.5
3,026.804826
20231101.bn_260870_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95
ব্যাংক
পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক দেখা যায়। কাজের ধরন, পরিচালনা পদ্ধতি ও নীতিমালার উপর ভিত্তি করে পৃথিবীতে বিভিন্ন রকম ব্যাংক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা দেখা যায়। এদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল:
1
3,026.804826
20231101.bn_260870_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95
ব্যাংক
সাধারণত ব্যাংকের কার্যাবলীকে ব্যাংকিং হিসেবে অবিহিত করা হয়। ব্যাংকসমূহ সময়ের সাথে সাথে গ্রাহক চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা বা পরিষেবা দিয়ে আসছে। সচরাচর ব্যাংক নিম্নোক্ত ব্যাংকিং সেবাসমূহ দিয়ে থাকেঃ
0.5
3,026.804826
20231101.bn_260870_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95
ব্যাংক
বেসরকারী উদ্যোগে গঠিত ব্যাংকসমুহের ব্যাংকিং কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন করা, অন্যদিকে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে জনগণকে ব্যাংকিং সেবা দেয়া।
0.5
3,026.804826
20231101.bn_260870_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95
ব্যাংক
ব্যাংকসমূহ তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ঝুঁকির মুখোমুখি হয়। ব্যাংকের অন্যতম প্রধান ঝুঁকি হচ্ছে প্রয়োজনীয় মূলধন সংরক্ষণ করা। বর্তমান সময়ে দেখা যায় অনেক ব্যাংক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার দ্বারা নির্ধারিত পর্যাপ্ত মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হচ্ছে।
0.5
3,026.804826
20231101.bn_260870_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95
ব্যাংক
বর্তমানে সময়ে ব্যাংকিং পরিষেবার যথেষ্ট উন্নতি ঘটেছে। এমতাবস্থায় শুধু ব্যাংক নয় ঝুঁকির মুখে রয়েছে ব্যাংক গ্রাহকরাও। এমন বহু মানুষ আছেন যারা ইন্টারনেটে ব্যাংকের সাহায্য প্রদানকারী নম্বর খোঁজেন, অনেকেই সময়ই তাদের সম্মুখে ফেক ওয়েবসাইটে চলে আসে এবং তাতে দেয়া জালি নম্বরে ফোন করে গ্রাহক প্রতারণার খবর মিডিয়াতে বহুবার সামনে এসেছে। এছাড়াও, ব্যাংক অন্যান্য যেসকল ঝুঁকির সম্মুখীন হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ
0.5
3,026.804826
20231101.bn_113736_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
সাম্যবাদ
লাতিন শব্দ থেকে শব্দটির উৎপত্তি। মানে সাম্য বা সর্বজনীন। কমিউনিস্ট অর্থ সর্বজনীন। কমিউনিস্ট সমাজ হল সর্বজনীন ভূমি, সর্বজনীন কলকারখানা, সার্বজনীন শ্রম, সমান অধিকার, কর্তব্যের অধিকার এবং শ্রেণীহীন সমাজ। এই মিলে হল সাম্যবাদ। সাম্যবাদ হল উৎপাদনের উপায়ের উপরে সামাজিক মালিকানা ভিত্তিক এক সামাজিক গঠনরূপ, যা উৎপাদনি শক্তিগুলোর বিকাশের পূর্ণ সুযোগ দেয়; তা হল মানবজাতির সামাজিক অর্থনৈতিক প্রগতির সর্বোচ্চ পর্যায় এবং পুঁজিবাদকে তা প্রতিস্থাপিত করে।
0.5
3,014.269579
20231101.bn_113736_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
সাম্যবাদ
সমাজতন্ত্র, নিম্নতম স্তর- এ পর্বে উৎপাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক মালিকানা হল এর অর্থনৈতিক ভিত্তি। সমাজতন্ত্র উৎখাত ঘটায় ব্যক্তিগত মালিকানার ও মানুষ কর্তৃক মানুষের শোষণের, বিলোপ ঘটায় শ্রেণীর, বিলোপ ঘটায় অর্থনৈতিক সংকটের ও বেকারত্বের, উন্মুক্ত করে উৎপাদনী শক্তির পরিকল্পিত বিকাশ ও উৎপাদন সম্পর্কের পূর্ণতর রূপদানের প্রান্তর। সমাজতন্ত্রের আমলে সামাজিক উৎপাদনের লক্ষ্য - জনগণের সচ্ছলতা বৃদ্ধি ও সমাজের প্রতিটি লোকের সার্বিক বিকাশ। সমাজতন্ত্রের মূলনীতি হল- প্রত্যেকের কাছ থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী, প্রত্যেকে শ্রম অনুযায়ী।
0.5
3,014.269579
20231101.bn_113736_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
সাম্যবাদ
সম্পূর্ণ সাম্যবাদ, উচ্চতর স্তর। এ-পর্বে শ্রম অনুসারে বণ্টন ছেড়ে সমাজ এগিয়ে যাবে চাহিদা অনুযায়ী বণ্টনের দিকে। বাস্তবায়িত হবে কমুনিজমের মূলনীতি: প্রত্যেকের কাছ থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী, প্রত্যেকে চাহিদা অনুযায়ী। শ্রেণী লোপ পেয়ে লোকেদের সম্পূর্ণ সামাজিক সমতায় সমাজ হয়ে উঠবে শ্রেণিহীন।
0.5
3,014.269579
20231101.bn_113736_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
সাম্যবাদ
সমাজতন্ত্রে শ্রেণী বিলোপের সূত্রপাত ও বৈরী শ্রেণীদের বিলোপ আর সাম্যবাদে সমস্ত শ্রেণীর উচ্ছেদ ও লোকসমাজতন্ত্রে কিছুটা কাল যাবত বুর্জোয়া চেতনাগত অধিকারই শুধু নয়, রাষ্ট্রও টিকে থাকে। সমাজতন্ত্র আবশ্যিকতার রাজ্য, আর সাম্যবাদে বুর্জোয়া চেতনাগত অধিকার ও রাষ্ট্র কিছুই থাকবে না। সমাজতন্ত্রে প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্ব থাকে আর সাম্যবাদে কোনো শ্রেণীরই অস্তিত্ব থাকে না। সাম্যবাদ শ্রেণীহীন সমাজ।
0.5
3,014.269579
20231101.bn_113736_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
সাম্যবাদ
সমাজতন্ত্রে বেতন ও মজুরির অনুপাত সমান থাকে এবং পরে কাগজি ভাউচার থাকে। আর সাম্যবাদে বেতন বা মজুরির অস্তিত্বই থাকে না।
1
3,014.269579
20231101.bn_113736_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
সাম্যবাদ
সমাজতন্ত্রে কায়িক ও মানসিক, শিল্প ও কৃষি, দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমের ভাগ থাকে আর সাম্যবাদে কোনো ভাগ থাকে না।
0.5
3,014.269579
20231101.bn_113736_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
সাম্যবাদ
Furet, Francois, Furet, Deborah Kan (Translator), "The Passing of an Illusion: The Idea of Communism in the Twentieth Century", University of Chicago Press, 2000,
0.5
3,014.269579
20231101.bn_113736_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
সাম্যবাদ
Daniels, Robert Vincent, "A Documentary History of Communism and the World: From Revolution to Collapse", University Press of New England, 1994,
0.5
3,014.269579
20231101.bn_113736_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
সাম্যবাদ
Marx, Karl and Friedrich Engels, "Communist Manifesto", (Mass Market Paperback - REPRINT), Signet Classics, 1998,
0.5
3,014.269579
20231101.bn_90853_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
সমাজবিজ্ঞান
সমাজবিজ্ঞান বা সমাজবিদ্যা বা সমাজতত্ত্ব মানুষের সমাজ বা দলের বৈজ্ঞানিক আলোচনা শাস্ত্র। এতে সমাজবদ্ধ মানুষের জীবনের সামাজিক দিক এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়। সমাজ বিষয়ক গবেষণা অতীত কাল থেকেই প্রচলিত ছিল। তবে অগাস্ট কোঁৎ সর্বপ্রথম ১৮৩৮ সালে এর রীতিবদ্ধ আলোচনা করেন। এছাড়া হার্বার্ট স্পেনসার সমাজবিজ্ঞানের মূলনীতিগুলি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের মূল স্থপতি হিসেবে ফরাসি পণ্ডিত এমিল ডুর্খেইম এবং জার্মান সমাজবিজ্ঞানী মাক্স ওয়েভারের নাম উল্লেখযোগ্য।
0.5
3,001.169113
20231101.bn_90853_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
সমাজবিজ্ঞান
সবচেয়ে উঁচু স্তরের প্রকাশনা হিসেবে রয়েছে সোশ্যিওলোজিক্যাল পার্সপেক্টিভস্, দি আমেরিকান সোশ্যিওলোজিক্যাল রিভিউ, দি আমেরিকান জার্নাল অব সোশ্যিওলোজি, দ্য ব্রিটিশ জার্নাল অব সোশ্যিওলোজি এবং সোশ্যিওলোজি। এছাড়াও আরো খ্যাতনামা প্রকাশনা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
0.5
3,001.169113
20231101.bn_90853_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
সমাজবিজ্ঞান
Aby, Stephen H. Sociology: A Guide to Reference and Information Sources, 3rd edn. Littleton, Colorado, Libraries Unlimited Inc., 2005,
0.5
3,001.169113
20231101.bn_90853_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
সমাজবিজ্ঞান
Babbie, Earl R.. 2003. The Practice of Social Research, 10th edition. Wadsworth, Thomson Learning Inc.,
0.5
3,001.169113
20231101.bn_90853_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
সমাজবিজ্ঞান
Coser, Lewis A., Masters of Sociological Thought : Ideas in Historical and Social Context, New York, Harcourt Brace Jovanovich, 1971. .
1
3,001.169113
20231101.bn_90853_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
সমাজবিজ্ঞান
Merton, Robert K.. 1959. Social Theory and Social Structure. Toward the codification of theory and research, Glencoe: Ill. (Revised and enlarged edition)
0.5
3,001.169113
20231101.bn_90853_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
সমাজবিজ্ঞান
Scott, John & Marshall, Gordon (eds) A Dictionary of Sociology (3rd Ed). Oxford University Press, 2005, ,
0.5
3,001.169113
20231101.bn_90853_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
সমাজবিজ্ঞান
Wallace, Ruth A. & Alison Wolf. 1995. Contemporary Sociological Theory: Continuing the Classical Tradition, 4th ed., Prentice-Hall.
0.5
3,001.169113
20231101.bn_90853_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
সমাজবিজ্ঞান
White, Harrison C.. 2008. Identity and Control. How Social Formations Emerge. (2nd ed., Completely rev. ed.) Princeton, Princeton University Press.
0.5
3,001.169113
20231101.bn_5305_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
ব্যাকটেরিয়া
সচরাচর এক গ্রাম মাটিতে প্রায় ৪ কোটি (বা ৪০ মিলিয়ন) ব্যাকটেরিয়া এবং ১ মিলিলিটার মিঠা জলে দশ লাখ (বা এক মিলিয়ন) ব্যাকটেরিয়া থাকে। পৃথিবীতে আনুমানিক প্রায় ৫×১০^৩০ টি ব্যাকটেরিয়া আছে। যেগুলো একটি জৈববস্তুপুঞ্জ (Biomass) নির্মাণ করে যা সমুদয় উদ্ভিদ ও প্রাণীর জৈববস্তুপুঞ্জকেও অতিক্রম করে। ব্যাকটেরিয়াপরিপোষকের (Nutrient) পুনর্ব্যবহার যেমন, বায়ুমণ্ডল থেকে নাইট্রোজেন সংবদ্ধকরণের মাধ্যমে পুষ্টিচক্রের (Nutrient cycle) অনেক পর্যায়ে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। মৃতদেহের শটন (decomposition) পুষ্টিচক্রের অন্তর্ভুক্ত; ব্যাকটেরিয়া এই প্রক্রিয়ার পচন (Putrefaction) ধাপের জন্য দায়ী। এক্সট্রিমোফিল (Extremophile) ব্যাকটেরিয়া দ্রবীভূত যৌগ যেমন- হাইড্রোজেন সালফাইড ও মিথেনকে শক্তিতে রুপান্তরিত করে হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট ও কোল্ড সিপসমূহের আশেপাশে বসবাসরত জীবসম্প্রদায়গুলোকে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পরিপোষক পদার্থের যোগান দেয়।
0.5
2,997.089161
20231101.bn_5305_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
ব্যাকটেরিয়া
মানুষ ও অধিকাংশ প্রাণীতে সর্বাধিক সংখ্যক ব্যাকটেরিয়া থাকে অন্ত্রে ও একটি বিরাট অংশ থাকে ত্বকে। ইমিউনতন্ত্রের কার্যকারিতার ফলে মানব দেহে অবস্থিত বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়াই কোন ক্ষতি করতে পারে না। যদিও অনেক ব্যাকটেরিয়া বিশেষ করে অন্ত্রের গুলো মানুষের জন্যে উপকারী, তথাপি কিছু ব্যাকটেরিয়ার প্রজাতি রোগজনক এবং সংক্রামক ব্যাধির কারণ। যেমন, কলেরা, সিফিলিস, অ্যানথ্রাক্স, কুষ্ঠব্যাধি, বিউবনিক প্লেগ ইত্যাদি। শ্বাস নালীর সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট রোগসমূহ হলো ব্যাকটেরিয়াজনিত সর্বাপেক্ষা মারত্মক ব্যাধি। শুধু যক্ষ্মারোগেই ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয় এক কোটি মানুষ এবং মারা যায় ১৫(১.৫ মিলিয়ন) লাখ মানুষ। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, আবার কৃষিক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ্যতা একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যায় পরিণত হয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এবং পতিত তেলের (Oil spill) ভাঙনে, গাঁজন প্রক্রিয়ায় পনির ও দই উৎপাদনে এবং খননকার্যে সোনা, প্যালেডিয়াম, তামা ও অন্যান্য ধাতু পুনরুদ্ধারে ব্যাকটেরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া জৈবপ্রযুক্তিতে, অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য যৌগ তৈরিতেও ব্যাকটেরিয়া প্রয়োজনীয়।
0.5
2,997.089161
20231101.bn_5305_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
ব্যাকটেরিয়া
ব্যাকটেরিয়াকে একদা Schizomycetes ("fission fungi") শ্রেণি গঠনকারী উদ্ভিদ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, এখন আদিকোষী হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। প্রাণিকোষে ও অন্যান্য সুকেন্দ্রিক কোষের মতো ব্যাকটেরিয়ায় নিউক্লিয়াস এবং ঝিল্লিবদ্ধ অঙ্গাণু নেই।
0.5
2,997.089161
20231101.bn_5305_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
ব্যাকটেরিয়া
একটা সময় ব্যাকটেরিয়া (bacteria) পরিভাষাটি ঐতিহ্যগতভাবে সকল আদিকোষী জীবকে অন্তর্ভুক্ত করত। পরবর্তীতে ১৯৯০ এর দশকে আবিষ্কৃত হয় যে প্রোক্যারিওটরা "সর্বশেষ সর্বজনীন সাধারণ পূর্বপুরুষ" (Last universal common ancestor) থেকে উদ্ভূত দুইটি পৃথক জীবগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত। ফলশ্রুতিতে বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস পাল্টে যায়। বর্তমানে বিবর্তনীয় অধিজগৎ দুটিকে ব্যাকটেরিয়া ও আর্কিয়া বলা হয়।
0.5
2,997.089161
20231101.bn_5305_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
ব্যাকটেরিয়া
ব্যাকটেরিয়া শব্দটি নব্য লাতিন ভাষার ব্যাকটেরিয়াম ('bacterium') এর বহুবচন, যেটি গ্রিক βακτήριον (bakterion বা ব্যাকটেরিয়ন) এর ল্যাটিন রূপ এবং βακτηρία (bakteria বা ব্যাকটেরিয়া)-র সংকোচন, যার মানে "লাঠি,দন্ড,বেত"। এহেন নামকরণের হেতু প্রথম আবিষ্কৃত ব্যাকটেরিয়া দন্ডাকৃতির ছিল ।
1
2,997.089161
20231101.bn_5305_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
ব্যাকটেরিয়া
ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত ছোট আকারের জীব, সাধারণত ০.২ - ৫ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে, অর্থাৎ এরা আণুবীক্ষণিক (microscopic) ।
0.5
2,997.089161
20231101.bn_5305_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
ব্যাকটেরিয়া
ব্যাকটেরিয়া আদিকেন্দ্রিক (প্রাককেন্দ্রিক = Prokarytic) । কোষে 70s রাইবোজোম থাকে; কোনো ঝিল্লিবদ্ধ অঙ্গাণু থাকে না ।
0.5
2,997.089161
20231101.bn_5305_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
ব্যাকটেরিয়া
ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীরের প্রধান উপাদান পেপ্টিডোগ্লাইকান (Peptidoglycan)বা মিউকোপেপ্টাইড, সাথে পলিস্যাকারাইড, মুরামিক অ্যাসিড (Muramic acid),লাইপোটিকোয়িক এসিড (Lipoteichoic acid) এবং টিকোয়িক অ্যাসিড (Teichoic acid) থাকে।
0.5
2,997.089161
20231101.bn_5305_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
ব্যাকটেরিয়া
এদের বংশগতীয় উপাদান (genetic material) হলো একটি দ্বিসূত্রক, কার্যত বৃত্তাকার ডিএনএ অণু, যা ব্যাকটেরিয়াল ক্রোমোজোম হিসেবে পরিচিত । এটি সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত, এতে ক্রোমোজোমাল হিস্টোন-প্রোটিন থাকে না । ব্যাকটেরিয়ার কোষে ডিএনএ অবস্থানের অঞ্চলকে নিউক্লিওয়েড বা সিউডোনিউক্লিয়াস বলা হয় ।
0.5
2,997.089161
20231101.bn_96976_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BE
সীতা
সীতা (দেবনাগরী: सीता , অর্থ "হলরেখা") হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের কেন্দ্রীয় বা প্রধান নারী চরিত্র যিনি জনকপুরে (বর্তমানে মিথিলা, নেপাল) জন্মগ্রহণ করেন। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী তিনি ছিলেন হিন্দু অবতার শ্রীরামের (বিষ্ণুর সপ্তম অবতার) পত্নী, সঙ্গী এবং ধনসম্পদের দেবী, শক্তিরূপা লক্ষ্মীর অবতার। হিন্দুসমাজে তাকে আদর্শ স্ত্রী তথা আদর্শ নারীর উদাহরণ হিসেবে মনে করা হয়। সীতা মূলত তার উৎসর্গীকরণ, আত্মবিসর্জন, সাহসিকতা এবং বিশুদ্ধতার জন্যে পরিচিত হয়। সীতা নবমীতে সীতা দেবীর জন্ম-উৎসব পালন করা হয়।
0.5
2,979.625973
20231101.bn_96976_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BE
সীতা
‘অদ্ভুত রামায়ণ’ থেকে জানা যায়, সীতা নাকি রাবণ ও মন্দোদরীর কন্যা। আবার অন্যত্র বলে রাবণ তার ভ্রাতুষ্পুত্র নলকুবেরের স্ত্রী রম্ভাকে বলপূর্বক ধর্ষণ করেন। এই ধর্ষণের ফলে রাবণের ঔরসে রম্ভার গর্ভে সীতার জন্ম হয়। তার জন্মের আগে গণকরা জনিয়েছিলেন, তিনি নাকি রাবণের ধ্বংসের কারণ হবেন। তাই রাবণ তাঁকে পরিত্যাগ করেন। ‘আনন্দ রামায়ণ’ নামক গ্রন্থে বলা হয়েছে, রাজা পদ্মাক্ষের কন্যা পদ্মাই নাকি পরবর্তী জন্মে সীতা হন। রাবণ পদ্মার শ্লীলতাহানি করতে চাইলে তিনি আগুনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মাহুতি দেন। পরজন্মে তিনিই সীতা হিসেবে অবতীর্ণা হন এবং রাবণের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ান। আর একটি প্রচলিত ধারণা এই— সীতা পূর্বজন্মে ছিলেন বেদবতী নামে এক পুণ্যবতী নারী। রাবণ তার শ্লীলতাহানি করতে চাইলে তিনি রাবণকে অভিশাপ দেন যে, তিনি পরবর্তী জন্মে রাবণকে হত্যা করবেন।
0.5
2,979.625973
20231101.bn_96976_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BE
সীতা
রামায়ণে সীতা বহু নামে উল্লিখিতা হয়েছেন। তবে তিনি মূলত সীতা নামেই পরিচিতা। জনকের কন্যা বলে সীতাকে জানকী বলা হয়। মিথিলা রাজ্যের কন্যা হওয়ায় তিনি মৈথিলি নামেও পরিচিতা। এছাড়া তিনি রাম-এর স্ত্রী হওয়ায় তাঁকে রমাও বলা হয়ে থাকে। মাতা সীতা দ্বাপর যুগে মাতা রুক্মিণী রূপে অবতীর্ণ হন।
0.5
2,979.625973
20231101.bn_96976_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BE
সীতা
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, বৈশাখ মাসের শুক্লানবমী তিথিটিকে সীতানবমী বলা হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এ দিনেই সীতা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। উত্তর ভারতে সীতা নবমী একটি অন্যতম প্রধান উৎসব। রামায়ণ অনুসারে, সীতা ভূদেবী পৃথিবীর কন্যা ও রাজর্ষি জনকের পালিতা কন্যা। রামচন্দ্র চৌদ্দ বছরের জন্য বনবাসে গেলে সীতা তার সঙ্গী হন। সীতা মাতাকে হিন্দুদের দেবী মা লক্ষ্মীর অবতার বলা হয়ে থাকে। তাই তিনি রাবণ কর্তৃক হরণ হওয়ার আগেই বৈকুণ্ঠে চলে যান এবং ছায়া সীতা রেখে যান। পরে রাবণ সীতাকে হরণ করে লঙ্কায় নিয়ে গেলে রাম ও রাবণের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। কিষ্কিন্ধ্যার বানরদের সহায়তায় রাম রাবণকে পরাজিত ও নিহত করে সীতাকে উদ্ধার করেন। শ্রীরামচন্দ্র রাবণের ছোট ভাই বিভীষণ কে লঙ্কার রাজা করেন। এবং নিজের রাজ্যে ফিরে আসেন। সীতা উদ্ধারের পর সীতার অগ্নিপরীক্ষা হয়। সেই সময় অগ্নিদেব ছায়াসীতা লুকিয়ে আসল সীতাকে প্রকট করেন বলে কথিত আছে।
0.5
2,979.625973
20231101.bn_96976_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BE
সীতা
শ্রীরাম অযোধ্যার রাজা হওয়ার পর মাতা সীতার নামে অযোধ্যায় লোকনিন্দা শুরু হয়। সেই লোক নিন্দা থেকে সীতাকে রক্ষা করতে রাজগুরুর আদেশে শ্রীরাম, লক্ষ্মণকে মাতা সীতাকে মহর্ষি বাল্মীকির তপোবনে রেখে আসার আদেশ দেন। কারণ, তখন সীতা মাতা গর্ভবতী ছিলেন। মহর্ষি বাল্মীকির তপোবনে সীতা, লব ও কুশ নামে দুই যমজ পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।
1
2,979.625973
20231101.bn_96976_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BE
সীতা
পরে রাম সীতাকে দ্বিতীয়বার অগ্নিপরীক্ষা দিতে বললে মর্মাহত সীতা জননী পৃথিবীর কোলে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। ভূগর্ভ থেকে উত্থিত হয়ে ভূদেবী পৃথিবী সীতাকে নিয়ে পাতালে প্রবেশ করেন।
0.5
2,979.625973
20231101.bn_96976_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BE
সীতা
সীতার পিতা ছিলেন রাজা জনক। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে জমি চাষ করার সময় লাঙলের আঘাতে ভূমি বিদীর্ণ করে সীতার জন্ম হয়।
0.5
2,979.625973
20231101.bn_96976_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BE
সীতা
অযোধ্যার রাজকুমার রাম তার ভাই লক্ষ্মণ কে নিয়ে বিশ্বামিত্র মুনির সাথে উপস্থিত হন মিথিলায়। মিথিলার রাজসভায় শিব প্রদত্ত ধনুক ভেঙ্গে সীতাকে জয় করেন রাম।
0.5
2,979.625973
20231101.bn_96976_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BE
সীতা
সীতাকে বিবাহের পর, রাম ১৪ বছরের জন্য বনবাসে গমন করলে, চিত্রকূট পর্বতে অবস্থান করেন। সেখানে স্বর্ণমৃগ রূপী মারীচ ছল করে রাম ও লক্ষ্মণকে দূরে নিয়ে যান, আর রাবণ সীতাকে হরণ করে।
0.5
2,979.625973
20231101.bn_6298_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95
অ্যান্টিবায়োটিক
প্রথম আন্টিবায়োটিক ১৯২৭ লন্ডনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে কর্মরত অণুজীব বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং আবিষ্কার করেণ। ফ্লেমিং তার এক পরীক্ষার (Experiment) সময় লক্ষ্য করেন জমাট আবাদ মাধ্যমে (Solid culture medium) ছত্রাকের উপস্থিতিতে স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস Staphylococcus aureus নামক ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে পারেনা। আবাদ মাধ্যমে ছত্রাকের উপস্থিতি কাম্য ছিল না, আসলে পরীক্ষাকালীন কোনো অজানা ত্রুটির কারণে ছত্রাক আবাদ মাধ্যমে চলে এসে ছিল। ফ্লেমিং তখন ঐ ছত্রাকের প্রজাতি চিহ্নিত করতে ও তার জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করতের আগ্রহী হন। ছত্রাকটি ছিল পেনিসিলিয়াম (এখন জানা গেছে পেনিসিলিয়াম ক্রাইসোজেনাম Penicillium chrysogenum প্রজাতির)। ফলে ফ্লেমিং পেনিসিলিয়াম দ্বারা নিসৃত ঐ পদার্থের নাম দেন পেনিসিলিন (Penicillin)। পেনিসিলিয়াম একা নয়, অন্য আর এক প্রকার ছত্রাক প্রজাতি যেমন অ্যাস্পারজিলাস-ও (Aspergillus) পেনিসিলিন তৈরি করতে পারে।
0.5
2,976.522365
20231101.bn_6298_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95
অ্যান্টিবায়োটিক
১৯৪১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম পেনিসিলিন মানুষের দেহে প্রয়োগ হয়। অক্সফোর্ডের একজন পুলিশ কর্মকর্তা Staplylococcus দ্বারা আক্রান্ত ছিলেন। পেনিসিলিনের প্রয়োগে তার অবস্থার নাটকীয় উন্নতি ঘটে। কিন্তু পাঁচ দিন পর পেনিসিলিয়ামের সরবরাহ শেষ হয়ে গেলে তিনি আবার আক্রান্ত হয়ে পড়েন, এবং মারা যান।
0.5
2,976.522365
20231101.bn_6298_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95
অ্যান্টিবায়োটিক
১৯৪০-৪১ সালের দিকে বৃটেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে পেনিসিলিনের গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দ কমে যায়। কিন্তু ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার আমেরিকান বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফলশ্রুতিতে, রকফেলার ফাউন্ডেশন (Rockefeller Foundation)ব্রিটিশ বিজ্ঞানী হ্যারল্ড ডাব্লিউ ফ্লোরে (Harold W. Florey) ও এন.জি. হিটলিকে (N. G. Heatly) আমেরিকায় আমন্ত্রাণ জানান। ২ জুলাই ১৯৪১ সালে তারা আমেরিকায় পৌছেন এবং বিশ্ববিখ্যাত ছত্রাকবিদ চার্লস থম (Charles Thom) ও আমেরিকার কৃষি বিভাগের (U.S. Department of Agriculture) সাথে আলোচনা করেন। খুব দ্রুতই আমেরিকার কৃষি বিভাগের উত্তর অঞ্চলের গবেষণাগারে তাদের কাজ শুরু হয়। গবেষণাগারটি ছিল ইলিনয়ের (Illiniois) পিওরিয়াতে (Peoria)। ফ্লেমিং যে ছত্রাক পেয়েছিলেন তা ২একক/মিলিলিটার(unit/mililiter) পেনিসিলিন তৈরি করত, কিন্তু কয়েকমাসে আমেরিকাতে বিজ্ঞানীরা প্রায় ৯০০ একক/মিলিলিটার (unit/mililiter)পেনিসিলিন প্রস্তুত করতে সক্ষম হন। বর্তমানে প্রায় ৫০,০০০ একক/মিলিলিটার পেনিসিলিন প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে। এই সময় অন্যান্য অনেক আন্টিবায়োটিক আবিষ্কার হয়। রেনে ডিউবস (Rene Dubos) গ্রামিসিডিন (Gramicidin) ও টাইরসিডিন(Tyrocidine) আবিষ্কার করেন যা গ্রাম পজিটিভ ব্যাক্টেরিয়ার (Gram Positive Bacteria) উপর কাজ করে। বর্তমানেও অনেক আন্টিবায়োটিক আবিষ্কার হচ্ছে। এর মধ্যে শুধু ক্লোরামফেনিকলের (Chloramphenicol) রাসায়নিক সংশ্লেষন সম্ভব হয়েছে।
0.5
2,976.522365