_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
5.1k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
11.1k
20231101.bn_13435_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%8E%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
ব্যুৎপত্তি
শব্দার্থগত পরিবর্তনও ঘটতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজি শব্দ bead-এর অর্থ মূলত "প্রার্থনা"। পুঁতি ব্যবহার করে নামাজের তেলাওয়াত গণনার অনুশীলনের মাধ্যমে এটি তার আধুনিক অর্থ অর্জন করেছে।
0.5
803.003192
20231101.bn_13435_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%8E%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
ব্যুৎপত্তি
Snoj, Marko (2005). Etymology. In: Strazny, Philipp (ed.). Encyclopedia of Linguistics. New York: Fitzroy Dearborn, vol. 1: A–L, pages 304–306.
0.5
803.003192
20231101.bn_13435_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%8E%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
ব্যুৎপত্তি
C. T. Onions, G. W. S. Friedrichsen, R. W. Burchfield, (1966, reprinted 1992, 1994). Oxford Dictionary of English Etymology. ()
0.5
803.003192
20231101.bn_504076_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8
অনুঘটন
একটি বিক্রিয়ার প্রভাবে অন্য আরেকটি বিক্রিয়কের ক্রিয়া প্রভাবিত হলে প্রক্রিয়াটিকে আবিষ্ট অণুঘটন বলে। যেমন, সোডিয়াম সালফাইট দ্রবণ এবং সোডিয়াম আর্সেনাইট দ্রবণ কেউই পৃথকভাবে অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয় না। কিন্তু এই দুই লবণের মিশ্র দ্রবণ অক্সিজেন কর্তৃক জারিত হয়।
0.5
799.981474
20231101.bn_504076_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8
অনুঘটন
অণুঘটক কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয়, এই তিন অবস্থাতেই বিরাজমান হতে পারে। বিক্রিয়ক এবং অণুঘটকের ভৌত অবস্থার ওপর নির্ভর করে অণুঘটন এবং অণুঘটককে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছেঃ
0.5
799.981474
20231101.bn_504076_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8
অনুঘটন
যখন বিক্রিয়ক এবং অণুঘটকের ভৌত অবস্থা একই হয় তখন সেই বিক্রিয়াকে সমসত্ত্ব অণুঘটন এবং ঐ অণুঘটককে সমসত্ত্ব অণুঘটক বলে। যেমন, কার্বক্সিলিক অ্যাসিড থেকে এস্টার তৈরীর সময় দ্রবীভূত H+ সমসত্ত্ব অণুঘটকের কাজ করে।
0.5
799.981474
20231101.bn_504076_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8
অনুঘটন
যখন অণুঘটকের ভৌত অবস্থা বিক্রিয়কের ভৌত অবস্থার থেকে পৃথক হয় তখন সেই বিক্রিয়াকে অসমসত্ত্ব অণুঘটন এবং ঐ অণুঘটককে অসমসত্ত্ব অণুঘটক বলে। যেমন, হেবার বস পদ্ধতিতে কঠিন লোহার টুকরো ব্যবহার করা হয় নাইট্রোজেন এবং হাইড্রোজেন গ্যাস থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস তৈরীর সময়।
0.5
799.981474
20231101.bn_504076_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8
অনুঘটন
সমসত্ত্ব অণুঘটকের ক্ষেত্রে অণুঘটক সাধারনত যে কোন এক বা একাধিক বিক্রিয়কের সাথে বিক্রিয়া করে একটি মধ্যবর্তী অস্থায়ী যৌগ (ইন্টারমিডিয়েট, intermediates) তৈরী করে। পরে সেই মধ্যবর্তী অস্থায়ী যৌগ নিজে বিয়োজিত হয়ে অথবা অন্য বিক্রিয়কের সাথে বিক্রিয়া করে মূল বিক্রিয়াজাত পদার্থ উৎপন্ন করে এবং বিক্রিয়ার শেষে অণুঘটক অপরিবর্তিত থাকে। যেমন,
1
799.981474
20231101.bn_504076_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8
অনুঘটন
ক + খ → গ এই বিক্রিয়ায় যদি "অ" অণুঘটক ব্যবহার করা হয় তবে নিম্নরূপ চারটি ধাপের মধ্যে দিয়ে "গ" পদার্থ উৎপন্ন হবে।
0.5
799.981474
20231101.bn_504076_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8
অনুঘটন
অন্যদিকে অসমসত্ত্ব অণুঘটনের ক্ষেত্রে বিক্রিয়ক এবং অণুঘটকের ভৌত অবস্থা পৃথক হওয়ায় কর্ম পদ্ধতি সামান্য আলাদা হয়। অণুঘটক যদি কঠিন পদার্থ হয় তাহলে নিম্ন লিখিত ভাবে বিক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয়ঃ
0.5
799.981474
20231101.bn_504076_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8
অনুঘটন
(২) ফলস্বরূপ অণুঘটকের পৃষ্ঠতলের সাথে বিক্রিয়কের অণুগুলির এক ধরনের বন্ধনের সৃষ্টি হয় এবং অণুর অধিশোষিত প্রান্তের সাথে অন্য প্রান্তের বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়ে।
0.5
799.981474
20231101.bn_504076_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8
অনুঘটন
(৩) এরপর অন্য বিক্রিয়ক অণু সহজেই অধিশোষিত বিক্রিয়ক অণু্র দূর্বল প্রান্তে আঘাত করে বন্ধনটিকে সহজেই ভেঙ্গে ফেলতে পারে এবং বিক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। সব শেষে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থ অণুঘটকের পৃষ্ঠতল থেকে মুক্ত হয়।
0.5
799.981474
20231101.bn_1208586_38
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6
শহীদ
১৮৬৫ – আব্রাহাম লিংকন, ১৬শতম ইউ.এস. রাষ্ট্রপতি। আমেরিকান গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর একজন কনফেডারেট সহানুভূতিশীল দ্বারা হত্যা করা হয়।
0.5
794.017277
20231101.bn_1208586_39
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6
শহীদ
১৯১৯ – রোসা লুক্সেমবার্গ, একজন জার্মান মার্কসবাদী বিপ্লবীকে কার্ল লিবকনেখ্ট-এর সাথে স্পার্টাসিস্ট বিদ্রোহ-এ তাদের ভূমিকার জন্য সংক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
0.5
794.017277
20231101.bn_1208586_40
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6
শহীদ
১৯২৯ - ইউসুফ আল-আজমা, সিরিয়ার সেনা কমান্ডার যার ফরাসিদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি, নিম্নতর বাহিনীর সাথে যুদ্ধে প্রবেশের জন্য তার জেদ এবং মায়সালুনে সিরীয়দের নেতৃত্বে তার মৃত্যু তাকে সিরিয়া এবং আরব বিশ্বে নায়ক করে তুলেছিল।
0.5
794.017277
20231101.bn_1208586_41
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6
শহীদ
১৯২৯ – নুরখোন ইউলদাশখোজায়েভা, একজন উজবেক নর্তকীকে সম্মান হত্যা ঘোমটা ছাড়া নাচের জন্য হত্যা করা হয়েছিল; তার মৃত্যুর পর কামিল ইয়াশিনের "নূরখোঁ" নাটকে তাকে হুজুম-এর শহীদ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
0.5
794.017277
20231101.bn_1208586_42
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6
শহীদ
১৯৩০ - হর্স্ট ওয়েসেল আলব্রেখ্ট হোহলার (কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য) কর্তৃক নিহত। জোসেফ গোয়েবেলস কর্তৃক প্রমোশনের কারণে নাৎসি শহীদ হয়েছিলেন।
1
794.017277
20231101.bn_1208586_43
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6
শহীদ
১৯৪৮ – মহাত্মা গান্ধী, একজন ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা, যাকে ভারতীয়রা 'জাতির পিতা' হিসেবে উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য হিন্দু ধর্মান্ধ নাথুরাম গডসে দ্বারা হত্যা করা হয়েছিল।
0.5
794.017277
20231101.bn_1208586_44
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6
শহীদ
১৯৫৬ – ইমরে নাগি, একজন হাঙ্গেরিয়ান কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ। ১৯৫৬ সালের হাঙ্গেরিয়ান বিপ্লব নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
0.5
794.017277
20231101.bn_1208586_45
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6
শহীদ
১৯৫৭- লারবি বেন মাহিদি, একজন আলজেরিয়ার বিপ্লবী নেতা এছাড়াও এফএলএন এর ৬ জন নেতার একজন যিনি আলজেরিয়ার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন ফরাসি। তিনি ফরাসিদের দ্বারা বন্দী, গ্রেফতার এবং নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করেন।
0.5
794.017277
20231101.bn_1208586_46
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6
শহীদ
১৯৬১ - প্যাট্রিস লুমুম্বা, ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন, কাতাঙ্গার মওয়াডিঙ্গুশায় হত্যা করা হয়, ১৯৬১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। তাকে কঙ্গোর স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
0.5
794.017277
20231101.bn_345322_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B8
নার্গিস
নার্গিস (জন্ম: ফাতিমা রশিদ; ১ জুন ১৯২৯ - ৩ মে ১৯৮১) ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ধ্রুপদী বলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সুনীল দত্তের সাথে বিবাহোত্তর তিনি নার্গিস দত্ত নামে পরিচিতি লাভ করেন। বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে গণ্য নার্গিস ১৯৩৫ সালে পাঁচ বছর বয়সে তালাশ-ই-হক চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আবির্ভূতা হন। ১৯৪২ সালে তামান্না চলচ্চিত্র দিয়ে তার পূর্ণাঙ্গ অভিনয় জীবন শুরু হয়।
0.5
793.157819
20231101.bn_345322_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B8
নার্গিস
নার্গিস ১৯২৯ সালের ১লা জুন ব্রিটিশ ভারত-এর বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) কলকাতায় এক পাঞ্জাবি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ফাতিমা রশিদ। তার পিতা আবদুল রশিদ, যার জন্মনাম মোহনচাঁদ উত্তমচাঁদ ("মোহন বাবু"), রাওয়ালপিণ্ডির এক ধনাঢ্য পাঞ্জাবি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যিনি পরে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। তার মাতা জদ্দানবাই হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম অগ্রদূত। নার্গিসের মায়ের দিক থেকে তার সৎ ভাই আনোয়ার হুসেনও একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা।
0.5
793.157819
20231101.bn_345322_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B8
নার্গিস
ফাতিমা ১৯৩৫ সালে ছয় বছর বয়সে তালাশে হক চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। এতে নাম প্রদর্শিত হয় বেবি নার্গিস। নার্গিস ( ) একটি পার্সি শব্দ, যার অর্থ নার্সিসাস, বা ড্যাফোডিল ফুল। এরপর থেকে তার সকল চলচ্চিত্রে তার নাম নার্গিস হিসেবেই প্রদর্শিত হয়।
0.5
793.157819
20231101.bn_345322_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B8
নার্গিস
১৯৪৯ সালে নার্গিস মেহবুব খান-এর সমাদৃত নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র আন্দাজ-এ অভিনয় করেন। এতে তাকে নীনা চরিত্রে দেখা যায়, যার স্বামী রাজন (রাজ কাপুর) তার বন্ধু দীলিপের (দীলিপ কুমার) সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করে। চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে ধীরগতিতে চলতে শুরু করার পর লোক-মুখে ইতিবাচক প্রচারের পর ব্যবসায়িক সফল্য পায় এবং সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
0.5
793.157819
20231101.bn_345322_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B8
নার্গিস
১৯৪৯ সালের বরসাত চলচ্চিত্রের রাজ কাপুর এক হাতে নার্গিসকে এবং অন্য হাতে বেহালা ধরার দৃশ্যটির ভিত্তিতে আর. কে. ফিল্মস-এর লোগো নির্ধারণ করা হয়।
1
793.157819
20231101.bn_345322_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B8
নার্গিস
নার্গিসকে নিয়ে একাধিক বই রচিত হয়েছে। তাকে নিয়ে ১৯৯৪ সালে প্রথম বইটি দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অব নার্গিস লেখেন টি. জে. এস. জর্জ। ২০০৭ সালে নার্গিসের দুই কন্যা প্রিয়া ও নম্রতা দত্ত তাদের পিতামাতার জীবনী নিয়ে একটি বই লেখেন, যার নাম মিস্টার অ্যান্ড মিসেস দত্ত: মেমোরিজ অব আওয়ার প্যারেন্টস। একই বছর কিশওয়ার দেসাই ডার্লিংজী: দ্য ট্রু লাভ স্টোরি অব নার্গিস অ্যান্ড সুনীল দত্ত প্রকাশ করেন।
0.5
793.157819
20231101.bn_345322_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B8
নার্গিস
২০১৮ সালে তার পুত্র সঞ্জয় দত্তের জীবনীমূলক চলচ্চিত্র সঞ্জু-তে অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা তার ভূমিকায় অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি ২০১৮ সালের সর্বাধিক আয়কারী চলচ্চিত্রের একটি। একই বছর ফেরিনা ওয়াজির মান্টো চলচ্চিত্রে তার ভূমিকায় অভিনয় করেন।
0.5
793.157819
20231101.bn_345322_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B8
নার্গিস
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হিন্দি চলচ্চিত্রে নার্গিস দত্তের অবদানের সম্মানার্থে জাতীয় সংহতি বিষয়ক শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে নার্গিস দত্ত পুরস্কার প্রদান করে।
0.5
793.157819
20231101.bn_345322_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B8
নার্গিস
তার স্মরণার্থে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে নার্গিস দত্ত রোড। ১৯৯৩ সালের ৩০শে ডিসেম্বর নার্গিসের সম্মানার্থে ১০০ পয়সা মূল্যমানের একটি পোস্টাল স্ট্যাম্প প্রকাশ করা হয়। ২০১৫ সালের ১লা জুন নার্গিস দত্তের ৮৬তম জন্মদিনে গুগল তাকে নিয়ে ডুডল প্রকাশ করে।
0.5
793.157819
20231101.bn_533180_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A6%BF
ফাঁসি
মধ্যযুগ থেকেই পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই মৃত্যুদণ্ড দানের ক্ষেত্রে ফাঁসির পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। হোমারের ওডিসি গ্রন্থেও ফাঁসি দ্বারা মৃত্যুর পন্থা বর্ণিত আছে। আধুনিক যুগে সামরিক আইনের বিচারে ফায়ারিং স্কোয়াড, সাধারণ আইনে ইলেকট্রিক শক এবং ইসলামি শরিয়তি বিধানে প্রস্তর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধান থাকলেও বর্তমানে অধিকাংশ দেশে মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত অপরাধীকে ফাঁসির মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়ে থাকে।
0.5
792.9664
20231101.bn_533180_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A6%BF
ফাঁসি
শর্ট ড্রপ হল ফাঁসির একটি পদ্ধতি যেখানে দণ্ডিত বন্দী গলায় ফাঁস দিয়ে মল, মই, গাড়ি বা অন্যান্য যানের মতো উঁচু সমর্থনে দাঁড়িয়ে থাকে। দড়ি থেকে ঝুলে থাকা ব্যক্তিকে রেখে সমর্থনটি তখন সরে যায়।
0.5
792.9664
20231101.bn_533180_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A6%BF
ফাঁসি
ঘাড় দ্বারা স্থগিত, শরীরের ওজন ঘাড়ের চারপাশে ফাঁস শক্ত করে, শ্বাসরোধ এবং মৃত্যুকে প্রভাবিত করে। এটি সাধারণত 10-20 মিনিট সময় নেয়।
0.5
792.9664
20231101.bn_533180_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A6%BF
ফাঁসি
1850 সালের আগে, শর্ট ড্রপ ছিল ফাঁসির আদর্শ পদ্ধতি, এবং এটি এখনও আত্মহত্যা এবং বিচারবহির্ভূত ফাঁসিতে সাধারণ (যেমন লিঞ্চিং এবং সংক্ষিপ্ত মৃত্যুদণ্ড ) যা নতুন পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বিশেষ সরঞ্জাম এবং ড্রপ-দৈর্ঘ্য গণনা টেবিল থেকে উপকৃত হয় না।
0.5
792.9664
20231101.bn_533180_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A6%BF
ফাঁসি
সাধারণত ফাঁসির মঞ্চে তোলার আগে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির দুই হাত পেছনের দিকে বাঁধা হয়। এসময় উপস্থিত থাকবেন কারা কর্তৃপক্ষ, সিভিল সার্জন, একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ফাঁসিদার বা জল্লাদ। মঞ্চে তোলার পর আসামির দুই পা বাঁধা হয়। গলায় পরানো হয় ফাঁসির দড়ি। ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে একটি রুমাল থাকবে। রুমালটি হাত থেকে নিচে ফেলে দেয়ার সাথে সাথেই জল্লাদ ফাঁসির লিভারে টান দেন সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসির মঞ্চে আসামির পায়ের নিচের তক্তাটি সরে যায় এবং আসামি শূন্যে ঝুলে থাকে। মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে গেলে ফাঁসির দড়ি থেকে নামানোর পর সব শেষে আসামির দুই পায়ের রগ কেটে তার মৃত্যু সম্পূর্ণ নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ও কারা কর্তৃপক্ষ।
1
792.9664
20231101.bn_533180_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A6%BF
ফাঁসি
আগ্নেয়াস্ত্র বা বিষের দ্বারা আত্মহত্যার তুলনায়, ফাঁসির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহজেই ব্যক্তির থাকে যেমন রশি,ওড়না,শাড়ি ইত্যাদি । তাই ফাঁসিই আত্মহত্যার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পন্থা।
0.5
792.9664
20231101.bn_533180_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A6%BF
ফাঁসি
ফাঁসির প্রচলন করেছিল ব্রিটিশরা। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে সমস্ত মৃত্যুদণ্ড ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদিও আইনে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে সামরিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধান রয়েছে। 1949 সালে, নাথুরাম গডসে , যিনি মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন , তিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা প্রথম ব্যক্তি।
0.5
792.9664
20231101.bn_533180_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A6%BF
ফাঁসি
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিয়েছে যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত শুধুমাত্র "বিরলতম ক্ষেত্রে"। দিল্লি জেল ম্যানুয়ালের ৮৭২ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, সূর্যোদয়ের আগে আসামীর ফাঁসির উল্লেখ রয়েছে। সরকারি ছুটির দিনে আসামীর ফাঁসি হয় না। সহবন্দীর মৃত্যদণ্ড প্রত্যক্ষ করতে পারেন না জেলে থাকা অপর বন্দিরা। যে দোষীকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে তাকেও আগে থেকে ফাঁসির মঞ্চ দেখানো হয় না। ফাঁসির প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া ও মৃতদেহ না সরিয়ে ফেলা পর্যন্ত সকল বন্দিকে আটকে রাখা হয় সংশোধনাগারে। কাউকে ফাঁসির মঞ্চের কাছাকাছি স্থান পর্যন্তও ঘেঁষতে দেওয়া হয় না। জেল ম্যানুয়াল অনুযায়ী ফাঁসি প্রক্রিয়া সময় একমাত্র উপস্থিত থাকতে পারে জেল সুপারইনটেনডেন্ট, ডেপুটি সুপারইনটেনডেন্ট, মেডিক্যাল অফিসার ইন চার্জ ও রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার। এছাড়াও ম্যানুয়ালে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মৃত্য়দণ্ড কার্যকর হওয়ার সময় উপস্থিত থাকবেন ও ওয়ারেন্টে পালটা স্বাক্ষর করবেন। ম্য়ানুয়ালে আরও উল্লেখ রয়েছে, জেল সুপারইনটেন্ট বিবেচনা সাপেক্ষে ফাঁসির সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামীর ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে তাঁর আস্থাভাজন নিজ ধর্মের পূজারিকে উপস্থিত থাকার অনুমতি দিতে পারেন।" সাজাপ্রাপ্ত আসামীর আত্মীয় বা অন্য বন্দিদের ফাঁসির সময় উপস্থিত থাকার অনুমতি নেই। তবে নিয়মে কয়েকটি ব্যতিক্রমও রয়েছে। ব্যতিক্রমী কয়েকটি ক্ষেত্রে ফাঁসির সাক্ষী হতে পারেন কয়েকজন। ম্যানুয়ালে বলা হয়েছে, সরকারের থেকে অনুপতি সাপেক্ষে জেল সুপারইনটেনডেন্ট সমাজ বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের ফাঁসি প্রক্রিয়া দেখার অনুমতি দিতে পারেন। তবে সেক্ষত্রে তাঁরাই একমাত্র মৃত্যুদণ্ড প্রত্যক্ষ করার অনুমতি পাবেন যাঁরা মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। ম্যানুয়ালটিতে বলা হয়েছে, "ফাঁসি প্রক্রিয়ায় কারও সাক্ষী থাকার বিষয়টি নির্ভর করবে জেল সুপারিনটেনডেন্টের বিচক্ষণতার উপর। তাঁর সিদ্ধান্তকেই এক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে।" উপরিউক্ত তালিকাভুক্ত ছাড়াও দশজন কনস্টেবল ও দুইজন হেড কনস্টেবল-সহ কমপক্ষে ১২ জন গার্ড প্রতিটি ফাঁসির সময় উপস্থিত থাকবেন।
0.5
792.9664
20231101.bn_533180_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A6%BF
ফাঁসি
2001 সাল থেকে ভারতে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। 1991 সালের ধর্ষক ও খুনি ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে 14 আগস্ট 2004-এ কলকাতার আলিপুর জেলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল । 2008 সালের মুম্বাই হামলার একমাত্র জীবিত সন্ত্রাসী আজমল কাসাবকে 21 নভেম্বর 2012-এ পুনের ইয়েরওয়াদা সেন্ট্রাল জেলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল । ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এর আগে তার করুণার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল, যা পরে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এক সপ্তাহ পর তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। ভারতীয় সংসদে 2001 সালের ডিসেম্বরে হামলার ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত সন্ত্রাসী আফজাল গুরুকে 9 ফেব্রুয়ারি 2013 তারিখে দিল্লির তিহার জেলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। ইয়াকুব মেমন 27 জুলাই 2007-এ বিশেষ সন্ত্রাসবাদী এবং বিঘ্নিত কার্যকলাপ আদালত দ্বারা 1993 সালের বোম্বে বোমা হামলায় জড়িত থাকার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তার আপিল এবং ক্ষমার আবেদন সবই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল এবং অবশেষে 30 জুলাই 2015 তারিখে নাগপুর জেলে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল । 2020 সালের মার্চ মাসে, তিহার জেলে ২০১২ দিল্লি গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত চার বন্দিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
0.5
792.9664
20231101.bn_82563_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87
জেলে
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা অনুসারে, ২০১২ সালে সারা বিশ্বে প্রায় ৩৯০ লক্ষ জেলে মিলে ২০০,০০০ টনেরও বেশি মাছ উৎপাদন করেছিল। ১৯৯৫ সালের তুলনায় ২০১২ সালে দেশগুলিতে জেলেদের সংখ্যা শতকরা প্রায় ১৪০% বেড়েছে। মোট মৎস্য উৎপাদন ৬৬০ লক্ষ টন জনপ্রতি গড়ে ৩.৫ টন উৎপাদনশীলতার সমান।
0.5
792.610757
20231101.bn_82563_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87
জেলে
এই বৃদ্ধির বেশিরভাগই ঘটেছে এশিয়ার দেশগুলিতে, যেখানে বিশ্বের চার-পঞ্চমাংশ জেলে এবং মাছ চাষি বাস করে।
0.5
792.610757
20231101.bn_82563_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87
জেলে
বেশিরভাগ জেলে নারী ও পুরুষ স্থলভাগে মৎস্য চাষে জড়িত। অনেক জেলেরা আবার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। কিছু অঞ্চলে মহিলা এবং পুরুষ জেলেরা ছোট নৌকা করে মাছ ধরে অথবা শেলফিশ এবং সামুদ্রিক শৈবাল সংগ্রহ করে। অনেক জেলে পরিবারে, মহিলা বা পুরুষরা জাল তৈরি ও মেরামতের কাজ করে।
0.5
792.610757
20231101.bn_82563_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87
জেলে
মাছ ধরাই জেলেদের প্রধান কাজ হিসেবে বিবেচিত হত একসময়। কারণ অতীতে উৎপাদিত মাছের বেশিরভাগই প্রাকৃতিকভাবে খাল-বিল, নদী-নালায় বিপুল পরিমাণে পাওয়া যেতো। মাছের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে জেলেদের কাজের পরিধিও বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। মাছের প্রজননকাল থেকে শুরু করে মাছ চাষের প্রতিটি ধাপ এরাই পরিচালিত করে থাকে। আর তাই এখন জেলে শব্দের ব্যবহার কমে গিয়ে ‘মাছ চাষী’ বা ‘মৎস্য চাষী’র ব্যবহার-ই বেশি হচ্ছে।
0.5
792.610757
20231101.bn_82563_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87
জেলে
একটা সময় ছিল যখন মাছ শিকারে জেলেদের অতি প্রয়োজনীয় নৌকা তৈরি হত জেলেপাড়ার ভেতরেই। আর তাই জেলেদেরকে দেখা যেত নানা ধরনের নৌকা ব্যবহার করতে। এই নৌকা তৈরির ব্যপারটা নির্ভর করত নিকটবর্তী নদীর আকার, পানি প্রবাহ, বায়ু প্রবাহ, নৌকা ব্যবহারের উদ্দেশ্য, গাছের প্রাপ্যতা ইত্যাদি নানা বিষয়ের উপর।
1
792.610757
20231101.bn_82563_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87
জেলে
যখন নদীতে মাছের প্রাপ্যতা কমে যেত তখন জেলেরা নিজেদেরকে নদীর মাধ্যমে পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত করতো। আবার বর্ষা মওসুমে প্রাপ্ত অতিরিক্ত মাছ বিশেষভাবে শুকিয়ে ও মটকিতে প্রক্রিয়াজাত করে শুটকি তৈরি করার ঐতিহ্য অনেক দিনের। তবে বর্তমানে শুটকিকে আকর্ষণীয় করতে ও পচনের হাত থেকে রক্ষা করতে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। তন্মধ্যে ডিডিটি পাউডার ব্যবহারে মানবদেহের বিরাট ক্ষতিসাধিত হয়।
0.5
792.610757
20231101.bn_82563_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87
জেলে
কিছু জেলে সম্প্রদায় মাছ ধরাকে শুধুমাত্র খাদ্য এবং কাজের উৎস বলে মনে করে না। এটি তাদের সম্প্রদায় এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ও প্রদান করে বলে মনে করা হয়।
0.5
792.610757
20231101.bn_82563_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87
জেলে
যেহেতু নদীর উপরই জেলেদের নির্ভরশীলতা তাই জেলে পাড়াগুলো নদীর পাড় ঘেষেই তৈরি হতে দেখা যায়। আবার নদীর বারবার পাড় ভাঙাগড়ার ব্যাপার থাকায় জেলেপাড়ার ঘর বাড়ীগুলো হত সাধারণত অস্থায়ী কাঠামোর। আর উঠানের উপস্থিতি থাকত না বললেই চলে। সাধারণত নদীর বালিয়াড়িতেই তারা জাল শুকিয়ে নেয়। অধিকাংশ জেলে পরিবারগুলো নিম্নমানের জীবনধারায় অভ্যস্ত।
0.5
792.610757
20231101.bn_82563_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87
জেলে
মাছ ধরার শিল্প জেলেদের জন্য বিপজ্জনক পেশা। ১৯৯২ এবং ১৯৯৯ এর মধ্যে, মার্কিন বাণিজ্যিক মাছ ধরার জাহাজে প্রতি বছর গড়ে ৭৮ জন মারা যায়। মৃত্যুর জন্য দায়ী প্রধান কারণগুলি হলো:
0.5
792.610757
20231101.bn_851899_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
প্রত্যয়পত্র
আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রপ্তানিকারক কর্তৃক রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আমদানিকারকের পক্ষে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রত্যয়পত্র বা লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার প্রচলন হয়। প্রত্যয়পত্র বা লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) কে কখনো কখনো ঋণপত্রও বলা হয়। প্রত্যয়পত্র/লেটার অব ক্রেডিট বা ঋণপত্র হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে প্রত্যয়পত্র ইস্যুকারি ব্যাংক রপ্তানিকারকের প্রতি এই মর্মে অপ্রত্যাহারযোগ্য নিশ্চয়তা প্রদান করে যে, যদি রপ্তানিকারক বা ঋণপত্রের বেনিফিশিয়ারি ঋণপত্রে বর্ণিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে ঋণপত্রে নির্দিষ্ট মূল্যের ভিত্তিতে ঋণপত্রে উল্লেখিত পরিমাণ পণ্য বা সেবা রপ্তানি করে ঋণপত্রে বর্ণিত শর্ত পূরণ এর পক্ষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (যেমন: ইনভয়েস, প্যাকিংলিষ্ট, পরিবহন দলিল, বিল অব এক্সচেঞ্জ, কান্ট্রি অব অরিজিন ইত্যাদি) ঋণপত্র ইস্যুকারি ব্যাংক বা তার মনোনীত কোন ব্যাংকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করে তাহলে প্রত্যয়পত্র ইস্যুকারি ব্যাংক প্রত্যয়পত্রে বেনিফিশিয়ারকে মূল্য পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে। তাই রপ্তানিকারক প্রত্যয়পত্রে-এর মাধ্যমে তার পণ্যের মূল্য প্রাপ্তি সম্পর্কে যেমন নিশ্চিন্ত হতে পারে তেমনি আমদানিকারকও প্রত্যয়পত্রে-এর বিপরীতে পণ্য প্রাপ্তির পর রপ্তানিকারককে পণ্য মূল্য পরিশোধ করতে পারে।
0.5
791.533891
20231101.bn_851899_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
প্রত্যয়পত্র
পরামর্শক/এডভাইজিং ব্যাংক: রপ্তানিকারকের দেশে অবস্থিত যে ব্যাংকের মাধ্যমে এল সি এডভাইস পাঠানো হয় তাকে এডভাইজিং ব্যাংক বলে।
0.5
791.533891
20231101.bn_851899_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
প্রত্যয়পত্র
নিশ্চিতকারী/ কনফার্মিং ব্যাংক: যে ব্যাংক ইস্যুকারী ব্যাংকের অনুরোধে প্রত্যয়পত্রে তার নিশ্চয়তা (কনফার্মেশন) প্রদান করে তাকে কনফার্মিং ব্যাংক বলে। এটা এডভাইজিং ব্যাংকও হতে পারে।
0.5
791.533891
20231101.bn_851899_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
প্রত্যয়পত্র
মধ্যস্থতাকারী/ নেগোশিয়েটিং ব্যাংক: এটা এমন এক ব্যাংক (প্রত্যয়পত্রে উল্লেখিত ব্যাংক বা প্রত্যয়পত্রে উল্লেখ না থাকলেও যেকোন ব্যাংক) যেখানে প্রত্যয়পত্রের বেনিফিশিয়ারি উক্ত প্রত্যয়পত্রের/ঋণপত্রে নিদিষ্ট মূল্যের ভিত্তিতে ঋণপত্রে উল্লেখিত পরিমাণ পণ্য বা সেবা রপ্তানির স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস-এর বিপক্ষে ঋণ নিতে সক্ষম।
0.5
791.533891
20231101.bn_851899_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
প্রত্যয়পত্র
পরিশোধকারী/রিইমবার্সিং ব্যাংক: যে ব্যাংকের উপর বিল এর মূল্য দেওয়া হয় তাকেই পরিশোধকারী/রিইমবার্সিং ব্যাংক বলে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইস্যুয়িং ব্যাংকই পরিশোধকারী/রিইমবার্সিং ব্যাংক ব্যাংক হিসেবে কাজ করে।
1
791.533891
20231101.bn_851899_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
প্রত্যয়পত্র
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রত্যয়পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়পত্র বা লেটার অব ক্রেডিটের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে একটি বিশেষ ঋণের দলিল বা হাতিয়ার। সাধারণত প্রত্যয়পত্র বা লেটার অব ক্রেডিট (ইররিভোকেবল) অপ্রত্যাহারযোগ্য প্রকৃতির হয়ে থাকে। তাছাড়া কাজের প্রকৃতি ও চাহিদার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকার প্রত্যয়পত্র দেখা যায়। যথা-
0.5
791.533891
20231101.bn_851899_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
প্রত্যয়পত্র
প্রত্যয়পত্র খুলতে আগ্রহী আমদানিকারক/ ইম্পোর্টার এর প্রত্যয়পত্র ইস্যুকারী ব্যাংক-এ অবশ্যই ব্যাংক একাউন্ট বা ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে। এছাড়া এল সি খোলার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন তা হচ্ছে:
0.5
791.533891
20231101.bn_851899_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
প্রত্যয়পত্র
যদি এল সি খোলার সময় জামানত বা সিকিউরিটি প্রদান করতে হয় তাহ’লে উক্ত জামানত বা সিকিউরিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
0.5
791.533891
20231101.bn_851899_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0
প্রত্যয়পত্র
আমদানি-রপ্তানির প্রতি পদে পদে ঝুঁকি বিরাজমান। রপ্তানিকারকের ভয় থাকে যদি ক্রেতা পণ্যের মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হয়। আবার আমদানিকারকের ভয় থাকে অর্থ পেয়ে যদি বিক্রেতা মালামাল না পাঠায়। এক দেশ থেকে আরেক দেশে দূরত্বের কারণে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সহজ হয়না। এসব ঝুঁকি এড়াতে পণ্যের ক্রয় বিক্রয়ে লেটার অব ক্রেডিট বা ডকুমেন্টরি ক্রেডিটের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এর মাধ্যমে বিক্রেতাকে এক ধরনের গ্যারান্টি প্রদান করা হয় যে, বিক্রেতা তার পণ্যের মূল্য নিশ্চিতভাবে বুঝে পাবে এবং ক্রেতা এই মর্মে নিশ্চিত হবেন যে, পণ্য তার জিম্মায় না পৌঁছানো পর্যন্ত কোন আর্থিক লেন-দেন সম্পন্ন হবে না। লেটার অব ক্রেডিট হচ্ছে মুলত: ব্যাংকের দেওয়া এক ধরনের গ্যারান্টি যে নির্দিষ্ট বিক্রেতা কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের জন্য তার প্রাপ্য সে ক্রেতার কাছ থেকে পাবে। ব্যাংক নিশ্চিত ক’রে বলে দেয়, ক্রেতা ঠিক কোন্ সময়ে কোন্ কোন্ কাগজ পত্রের ভিত্তিতে প্রাপ্য অর্থ পাবে। এর বিনিময়ে বিক্রেতার কাছ থেকে অর্থ পাবার জন্য কঠোর শর্ত পালনের অঙ্গীকার গ্রহণ করে থাকে। এর মধ্যে থাকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট- যেমন শিপিং-এর প্রমাণ পত্র-বিল অব লেডিং।
0.5
791.533891
20231101.bn_28708_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
আলোকবিজ্ঞান
আলোকবিজ্ঞান প্রাচীন মিশরীয় এবং মেসোপটেমিয়ানদের দ্বারা লেন্স এর উন্নতিসাধনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। সবচেয়ে প্রাচীন যে লেন্সের কথা জানা যায় তা পালিশ করা স্ফটিক ছিল, যা সাধারণত কোয়ার্টজ দ্বারা তৈরি করা হত। এশিরিয়-দেশিয় লায়ারদ/নিমরুদ লেন্স নামে পরিচিত (৭০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ)। প্রাচীন গ্রিক এবং রোমানরা কাচের গোলক জল দিয়ে পূর্ণ করে লেন্স তৈরী করত। এই ব্যবহারিক উন্নয়নসমুহ অনুসরণ করা হয় গ্রিক ও ভারতীয় দার্শনিকগণের আলো দৃষ্টি এর তত্ত্বীয় উন্নতি সাধন,এবং গ্রেকো-রোমানদের জ্যামিতিক আলোকবিদ্যার উন্নতি সাধন দারা। আলোকবিদ্যা শব্দটি এসেছে প্রাচীন গ্রিক শব্দ থেকে যার অর্থ " আবির্ভাব,দৃশ্য"।
0.5
790.648948
20231101.bn_28708_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
আলোকবিজ্ঞান
প্লেটো প্রথম আলোর নির্গমন তত্ত্ব গ্রন্থনা করেন,তার মতে চোখ থেকে নির্গত আলো দ্বারা দর্শন উপলব্ধি হয়।
0.5
790.648948
20231101.bn_28708_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
আলোকবিজ্ঞান
লিখেন। এ বইটিতে তিনি দৃষ্টির সাথে জ্যামিতির সম্পর্ক স্থাপন করেন আর সৃষ্টি হয় জ্যামিতিক আলোকবিজ্ঞান। তিনি প্লেটোর নির্গমন তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তার কাজ চালিয়ে যান যেখানে তিনি আলোকদৃষ্টির গাণিতিক নিয়ম
0.5
790.648948
20231101.bn_28708_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
আলোকবিজ্ঞান
বর্ণনা করেন এবং আলোর প্রতিসরণের গুণগত ব্যাখ্যা করেন,যদিও কেউ যদি কখনো চোখ পিটপিট করে তাকায় তাহলে তার চোখ নিঃসৃত আলো দ্বারা কোন তারাকে তৎক্ষণাৎ উজ্জ্বল
0.5
790.648948
20231101.bn_28708_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
আলোকবিজ্ঞান
থেকে রশ্মি (বা ফ্লাস্ক) একটি শঙ্কু গঠন করে যার চূড়া হচ্ছে চোখের মধ্যে এবং তল হচ্ছে দর্শনক্ষেত্র। রশ্মিগুলো সংবেদনশীল এবং পৃষ্ঠতলের দূরত্ব আর দিকবিন্যাস
1
790.648948
20231101.bn_28708_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
আলোকবিজ্ঞান
আলো বিচ্ছুরণ সাদা কিংবা কোনো বহুবর্ণী রশ্মিগুচ্ছের বিভিন্ন বর্ণে বিভাজিত হওয়ার ঘটনাকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে । স্যার আইজ্যাক নিউটন আলোর বিচ্ছুরণ আবিষ্কার করেন । তিনি দেখতে পান যে, সূর্য রশ্মি (সাদা আলো) কাচের প্রিজমের ভিতর দিয়ে গেলে সাতটি বিভিন্ন বর্ণের রশ্মিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে ।
0.5
790.648948
20231101.bn_28708_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
আলোকবিজ্ঞান
একেবারে ওপরে লাল [Red], তারপর যথাক্রমে কমলা [Orange], হলুদ [Yellow], সবুজ [Green], আকাশি নীল [Blue], গাঢ় নীল [Indigo] এবং সবচেয়ে নিচে বেগুনি [Violet] থাকে । এই বহুবর্ণবিশিষ্ট পটিকে বর্ণালী বলে । প্রিজম আলোর বর্ণ সৃষ্টি করে না— সাদা বা বহুবর্ণী আলোর মধ্যে উপস্থিত বিভিন্ন বর্ণের আলোক রশ্মিগুলিকে পৃথক করে মাত্র ।
0.5
790.648948
20231101.bn_28708_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
আলোকবিজ্ঞান
শূন্য মাধ্যমে সব বর্ণের আলো সমান বেগে চলার ফলে আলোকরশ্মির কোনো প্রকার চ্যুতি ঘটে না । তাই শূন্য মাধ্যমে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না।
0.5
790.648948
20231101.bn_28708_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8
আলোকবিজ্ঞান
রামধনু [Rainbow]: রামধনু হল আলোক বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ। যদি বায়ুমণ্ডল সদ্য বৃষ্টিস্নাত হয়, তবে কখনও কখনও সূর্যের বিপরীত দিকের আকাশে ধনুকের মতো বাঁকা বিভিন্ন রং - এর পটি দেখা যায়, একেই রামধনু বলে। বৃষ্টির কণা দ্বারা সুর্যরশ্মির বিচ্ছুরণের ফলে এই ঘটনা ঘটে ।
0.5
790.648948
20231101.bn_73116_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3
মহাকরণ
রক্তক্ষয়ী পর্বের মধ্যে দিয়ে নাম পরিচয় পাল্টে হয়ে গিয়েছে বিনয়-বাদল-দীনেশ বাগ হয়ে গিয়েছে । রাইটার্স বিল্ডিংয়ের গথিক বারান্দা কিন্তু মনে রেখেছে ১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বরের কথা।
0.5
788.904183
20231101.bn_73116_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3
মহাকরণ
বরাদ্দ করা জমির ৩৭,৮৫০ বর্গফুট জুড়ে তৈরি হয়েছিল ভবনের মূল অংশ। কলকাতায় এটাই নাকি প্রথম তিন তলা বাড়ি। রাইটার্স বিল্ডিংয়ে প্রথমে ১৯টি থাকার ভবন ছিল। তবে তার শৈলীতে হতাশ হয়েছিল সেকালের ব্রিটিশ সমাজ।
0.5
788.904183
20231101.bn_73116_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3
মহাকরণ
নতুন ভবনে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের জন্য সচেষ্ট ছিল ব্রিটিশরা। ইংল্যান্ড থেকে কাজ করতে আসা তরুণরা বাধা পাচ্ছিলেন ভাষা সমস্যার জন্য। সেই ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি হল ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ। পরে কিছু জটিলতার জন্য সেই কলেজ উঠে আসে রাইটার্স ভবনে।কলেজের প্রয়োজনে রাইটার্স বিল্ডিংয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হল। ৩২ জন পড়ুয়ার জন্য ছাত্রাবাস, পরীক্ষার হল, লেকচার হল, চারটি লাইব্রেরি-সহ বেশ কিছু নতুন সংযোজন হল দু’দশক ধরে। পরে কলেজটি এখান থেকে আবার স্থানান্তরিত হয়ে যায়। কলেজ তৈরির মূল উদ্দেশ্যই ছিল রাইটার্স বিল্ডিংয়ের জন্য দক্ষ কর্মী প্রস্তুত করা।
0.5
788.904183
20231101.bn_73116_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3
মহাকরণ
১৮৮৯ সালে ভবনটি গথিক স্থাপত্যে। ভবনের সম্মুখভাগে করিন্থীয় স্থাপত্য নব্য রেনেসাঁ স্থাপত্যশৈলীর একটি উদাহরণ। প্রধান প্রবেশদ্বারের শীর্ষে ব্রিটিশ জাতীয় ব্যাক্তিত্ব ব্রিটানিয়ার একটি মূর্তিও স্থাপিত হয়।
0.5
788.904183
20231101.bn_73116_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3
মহাকরণ
এল গ্রেকো রোমান স্থাপত্যের সঙ্গে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের নির্মাণশৈলিতে মিশে গিয়েছে ফরাসি নবজাগরণের প্রভাবও। ভবনের মাথায় রয়েছে প্রাচীন রোমান সভ্যতার জ্ঞান, যুদ্ধ ও ন্যায়ের দেবী মিনার্ভা-র মূর্তি। এ ছাড়াও এই ভবনে আছে প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার দেবদেবী জিউস, হার্মিস, অ্যাথিনা এবং দেমেতের-এর মূর্তি। তাঁরা এখানে দাঁড়িয়ে আছেন যথাক্রমে বিচার, বাণিজ্য, বিজ্ঞান এবং কৃষির উন্মেষের প্রতীক হয়ে।
1
788.904183
20231101.bn_73116_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3
মহাকরণ
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে রাইটার্স বিল্ডিংসের নাম নানাভাবে জড়িত। ১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর বিপ্লবী বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত রাইটার্স বিল্ডিংসে এক দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে কারাবিভাগের প্রধান অত্যাচারী ইংরেজ অফিসার এন. জি. সিম্পসনকে হত্যা করেন।
0.5
788.904183
20231101.bn_73116_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3
মহাকরণ
পাশ্চাত্য পোশাকে সেজেগুজে রাইটার্স বিল্ডিংয়ে ঢুকেছিলেন পূর্ববঙ্গের তিন তরুণ। বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত এবং দীনেশ গুপ্ত। তাঁদের লক্ষ্য ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এন এস সিম্পসন। কারাবিভাগের ইনস্পেক্টর জেনারেল পদাধিকারী সিম্পসন কুখ্যাত ছিলেন জেলের ভিতরে বন্দিদের উপর অত্যাচারের জন্য। রাজবন্দিদের উপর তাঁর অকথ্য অত্যাচারের জন্য অনেক দিন ধরেই বিপ্লবীদের মনে পুঞ্জীভূত ছিল ক্ষোভ।
0.5
788.904183
20231101.bn_73116_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3
মহাকরণ
তিন সশস্ত্র বিপ্লবীর বুলেটে প্রাণ গিয়েছিল অত্যাচারী সিম্পসনের। বিগত রাজধানীতে ব্রিটিশদের প্রশাসনিক ভবনে ইনস্পেক্টর জেনারেলকে হত্যা করে তাঁরা ত্রস্ত করতে চেয়েছিলেন শাসকদের। তাঁদের সেই উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়েছিল। সিম্পসন-হত্যায় কেঁপে গিয়েছিল ব্রিটিশ শাসন। দেশকে স্বাধীন দেখার ইচ্ছের পাশাপাশি তাঁদের আরও একটি ইচ্ছে অপূর্ণ থেকে গিয়েছিল। সিম্পসন-হত্যার পরে তাঁরা কেউই ব্রিটিশদের হাতে ধরা দিতে চাননি।
0.5
788.904183
20231101.bn_73116_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3
মহাকরণ
এই ঘটনার অব্যবহিত পরে ভবনের অলিন্দে নিরাপত্তারক্ষী ও কমিশনার টেগার্টের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে বিপ্লবী-ত্রয়ীর যে সংঘর্ষ হয় তা "অলিন্দ যুদ্ধ" নামে প্রসিদ্ধ। রাইটার্সের অলিন্দে ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে অসম যুদ্ধের পরে ধরা দেবেন না বলে বাদল গুপ্ত আত্মঘাতী হন পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে। বিনয় এবং দীনেশ নিজেদের বন্দুক থেকে নিজেদের গুলি করেন। হাসপাতালে কিছু দিন মরণপণ যুদ্ধের পরে ১৩ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় বিনয়ের।
0.5
788.904183
20231101.bn_283852_23
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%BF
পতঞ্জলি
পতঞ্জলি স্ফোট-এর একটি প্রাথমিক ধারণাকেও সংজ্ঞায়িত করেছেন, যা পরবর্তীকালে ভর্তৃহরির মতো সংস্কৃত ভাষাবিদগণ বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। পতঞ্জলিতে, একটি স্ফোট (স্ফুট থেকে, স্ফুট/ফোটা) হল বক্তৃতার অপরিবর্তনীয় গুণ। শ্রবণযোগ্য উপাদান (ধ্বনি, শ্রবণযোগ্য অংশ) দীর্ঘ বা সংক্ষিপ্ত হতে পারে, কিন্তু স্ফোট পৃথক বক্তার পার্থক্য দ্বারা প্রভাবিত হয় না। এইভাবে, একটি একক অক্ষর বা 'ধ্বনি' (বর্ণ ) যেমন ক, প বা অ হল একটি বিমূর্ততা, যা প্রকৃত উচ্চারণে উৎপন্ন রূপ থেকে আলাদা। এই ধারণাটিকে আধুনিকমতে ফোনিমের সাথে যুক্ত করা হয়েছে, ন্যূনতম পার্থক্য যা অর্থগতভাবে স্বতন্ত্র ধ্বনিকে সংজ্ঞায়িত করে। এইভাবে একটি ধ্বনি শব্দের একটি পরিসরের জন্য একটি বিমূর্ততা। যাইহোক, পরবর্তী লেখালেখিতে, বিশেষ করে ভর্তৃহরির (৬ষ্ঠ শতাব্দীতে), স্ফোট ধারণাটি লেমার মতন প্রকৃত উচ্চারণের পূর্বে মানসিক অবস্থাতে পরিবর্তিত হয়।
0.5
787.653138
20231101.bn_283852_24
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%BF
পতঞ্জলি
পতঞ্জলির লেখাগুলোও রূপমূলতত্ত্বের কিছু নীতি (প্রক্রিয়া) বিস্তৃত করে। পাণিনির অ্যাফোরিজমগুলোকে বিস্তৃত করার প্রেক্ষাপটে, তিনি কাত্যায়নের ভাষ্যও আলোচনা করেন, যেগুলোও সূক্ষ্ম ও সূত্রের মতো; পরবর্তী ঐতিহ্যে, এগুলো পতঞ্জলির আলোচনায় এম্বেড হিসাবে স্থানান্তরিত হয়েছিল। সাধারণভাবে, তিনি পাণিনির অনেক অবস্থান রক্ষা করেন যেগুলো কাত্যায়নে কিছুটা ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
0.5
787.653138
20231101.bn_283852_25
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%BF
পতঞ্জলি
অষ্ট্যাধ্যায়ীতে পাণিনির উদ্দেশ্যগুলোর বিপরীতে, যা সঠিক রূপ এবং অর্থকে ভুল (শব্দানুশাসন) থেকে আলাদা করা, পতঞ্জলির উদ্দেশ্যগুলো আরও আধিভৌতিক। এর মধ্যে রয়েছে ধর্মগ্রন্থের সঠিক আবৃত্তি (অগম), পাঠ্যের বিশুদ্ধতা বজায় রাখা (রক্ষা), অস্পষ্টতা পরিষ্কার করা (অসমদেহ), এবং আরও সহজ শেখার ব্যবস্থা (লঘু) প্রদানের শিক্ষাগত লক্ষ্য। এই শক্তিশালী আধিভৌতিক বাঁককেও কেউ কেউ “যোগ সূত্র” এবং “মহাভাষ্যে”র মধ্যে একীভূত থিম হিসাবে নির্দেশ করেছেন, যদিও উডস কর্তৃক প্রকৃত সংস্কৃত ব্যবহারের একটি নিবিড় পরীক্ষণে এগুলোর ভাষা বা পরিভাষায় কোন মিল দেখা যায়নি।
0.5
787.653138
20231101.bn_283852_26
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%BF
পতঞ্জলি
মহাভাষ্য পাঠ্যটি প্রথম সমালোচনামূলকভাবে ১৯ শতকের প্রাচ্যবিদ ফ্রাঞ্জ কিলহর্ন দ্বারা সম্পাদিত হয়েছিল, যিনি কাত্যায়নের "কণ্ঠস্বর" কে পতঞ্জলির থেকে আলাদা করার জন্য দার্শনিক মানদণ্ডও তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীকালে, অন্যান্য সংস্করণের একটি সংখ্যা বেরিয়ে এসেছে, এসডি জোশী এবং জেএইচএফ রুডবার্গেন দ্বারা ১৯৬৮ সালের পাঠ্য এবং অনুবাদকে প্রায়শই চূড়ান্ত হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দুঃখের বিষয়, শেষের কাজটি অসম্পূর্ণ।
0.5
787.653138
20231101.bn_283852_27
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%BF
পতঞ্জলি
পতঞ্জলিকে প্রায়শই বলা হয় যে গোঁড়া ব্রাহ্মণ্য (আস্তিক) গোষ্ঠী এবং হেটেরোডক্স, নাস্তিক গোষ্ঠীর (বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম এবং নাস্তিকদের) মধ্যে সাপে নেউলের মতো বৈরিতা ছিল। নাথান ম্যাকগভর্ন যুক্তি দেন যে পতঞ্জলি কখনও এই সাপে-নেউলের সাদৃশ্য ব্যবহার করেনি।
1
787.653138
20231101.bn_283852_28
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%BF
পতঞ্জলি
পতঞ্জলি সমসাময়িক ঘটনার উপরও আলোকপাত করেছেন, তৎ-সাম্প্রতিক গ্রীক আক্রমণ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন এবং উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বসবাসকারী বেশ কয়েকটি উপজাতি সম্পর্কেও মন্তব্য করেছেন।
0.5
787.653138
20231101.bn_283852_29
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%BF
পতঞ্জলি
পতঞ্জলি পতঞ্জল নামে একটি চিকিৎসা পাঠ্যের লেখক হিসেবেও খ্যাত, যাকে পতঞ্জল বা পতঞ্জলতন্ত্রও বলা হয়। এই লেখাটি অনেক যোগ এবং স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত ভারতীয় গ্রন্থে উদ্ধৃত করা হয়েছে। যোগরত্নাকর, যোগরত্নসমুচ্চয়, পদার্থবিজ্ঞান, চক্রদত্ত ভাষ্যের মতো বেশ কয়েকটি সংস্কৃত গ্রন্থে পতঞ্জলিকে একটি চিকিৎসা কর্তৃপক্ষ বলা হয়েছে। এই উদ্ধৃতিগুলোর মধ্যে কয়েকটি পতঞ্জলার জন্য অনন্য, তবে অন্যগুলো চরক সংহিতা এবং সুশ্রুত সংহিতার মতো প্রধান হিন্দু চিকিৎসা গ্রন্থগুলোতেও পাওয়া যায়।
0.5
787.653138
20231101.bn_283852_30
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%BF
পতঞ্জলি
পতঞ্জলি নামে একজন চতুর্থ পণ্ডিতও রয়েছেন, যিনি সম্ভবত 8র্থ শতাব্দীতে বিচরণ করতেন এবং চরক সংহিতার একটি ভাষ্য লিখেছিলেন এবং এই পাঠটিকে বলা হয় চরকবর্তিকা। পতঞ্জলি নামে দুইজন চিকিৎসা পণ্ডিত একই ব্যক্তি হতে পারেন, কিন্তু সাধারণত সংস্কৃত ব্যাকরণের ধ্রুপদী মহাভাষ্য রচনাকারী পতঞ্জলির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
0.5
787.653138
20231101.bn_283852_31
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%BF
পতঞ্জলি
আয়েঙ্গার যোগ এবং অষ্টাঙ্গ বিন্যাস যোগ সহ যোগের কিছু আধুনিক বিদ্যালয়ে পতঞ্জলি আবাহন ও মন্দিরে সম্মানিত। যোগব্যায়াম পণ্ডিত ডেভিড গর্ডন হোয়াইট লিখেছেন যে যোগ শিক্ষক প্রশিক্ষণে প্রায়ই যোগ সূত্রে "বাধ্যতামূলক নির্দেশনা" অন্তর্ভুক্ত থাকে। হোয়াইট এটিকে "ন্যূনতম বলার জন্য কৌতূহলী" বলে অভিহিত করেছেন, যেহেতু পাঠ্যটি তার দৃষ্টিতে "আজকাল যোগ যেমন শেখানো এবং অনুশীলন করা হয়" এর সাথে মূলত অপ্রাসঙ্গিক, মন্তব্য করেছেন যে যোগসূত্রটি "প্রায় আলোচনার বাইরে। আসন, প্রসারণ এবং শ্বসন"।
0.5
787.653138
20231101.bn_289432_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87
দিয়াশলাই
সাধারণতঃ কাঠজাতীয় কাঠি দিয়ে দিয়াশলাই প্রস্তুত করা হয় ও দিয়াশলাই বাক্সে করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিপণন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা হয়। এর এক প্রান্তের সম্মুখাংশে রাসায়নিক দ্রব্য বা বারুদ থাকে যা ফসফরাস দিয়ে তৈরী। গ্যাসের চূলা, ধূমপান, মশার কয়েলসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে দিয়াশলাইয়ের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। ডজন কিংবা গ্রোস আকারে দিয়াশলাই পাইকারীভাবে বিক্রয় করা হয়। খুচরা পর্যায়েও দিয়াশলাই বাক্স বিক্রয় করা হয়ে থাকে। একটি বাক্সে গড়ে ৫০টি কাঠি থাকতে পারে।
0.5
786.293098
20231101.bn_289432_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87
দিয়াশলাই
দিয়াশলাইয়ের ইংরেজি প্রতিশব্দ ম্যাচ যা প্রাচীন ফরাসী শব্দ মেসে থেকে উদ্ভূত। মেসে মোমবাতির শলতে-কে নির্দেশ করতো।
0.5
786.293098
20231101.bn_289432_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87
দিয়াশলাই
ঐতিহাসিকভাবে ম্যাচ দড়ির দৈর্ঘ্যকে নির্দেশ করতো যা রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শ রয়েছে ও ধারাবাহিকভাবে প্রজ্জ্বলনে সক্ষম। এগুলো হাল্কা আগুন প্রজ্জ্বলনে, বন্দুক ও কামানের জন্যে আগুন জ্বালানোয় ব্যবহৃত হতো। কতক ধরনের দিয়াশলাইকে তাদের প্রজ্জ্বলন ক্ষমতার উপর নির্ভর করে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যেমন: দ্রুতগামী দিয়াশলাই ও ধীরগতির দিয়াশলাই। গঠনশৈলীর উপর নির্ভর করে ধীরগতির ৩০ সেন্টিমিটারবিশিষ্ট দিয়াশলাই এক ঘণ্টা এবং দ্রুতগতির ৪ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের দিয়াশলাই এক মিনিটে জ্বলতে সক্ষমতা প্রদর্শনে সক্ষম।
0.5
786.293098
20231101.bn_289432_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87
দিয়াশলাই
আধুনিককালের দিয়াশলাইয়ের পূর্ব-পুরুষ হিসেবে ৫৭৭ খ্রীষ্টাব্দে পাইন গাছের কাঠ দিয়ে ছোট ছোট টুকরোয় সালফারের প্রয়োগ ঘটানো হয়েছিল। উত্তরাঞ্চলীয় ঝু এবং চেন, নর্দান কি এলাকায় মোতায়েনকৃত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আহারের জন্যে শুষ্ক, দাহ্য পদার্থ প্রজ্জ্বলন, রান্না ও উত্তাপের জন্যে আগুনের দরকার পড়েছিল।
0.5
786.293098
20231101.bn_289432_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87
দিয়াশলাই
১৫৩০ সালের দিকে ইউরোপে বিভিন্ন ধরনের দিয়াশলাই প্রস্তুতের ধুম পড়ে যায়। কিন্তু ১৮০৫ সালে জীন চ্যান্সেল নামীয় ব্যক্তি কর্তৃক প্রথম আধুনিক, স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলনে সক্ষম দিয়াশলাই আবিষ্কার করেন। ম্যাচের সম্মুখের অংশে পটাশিয়াম ক্লোরেট, সালফার, চিনি এবং রাবারের দ্রবণ ব্যবহার করা হতো। ছোট এসবেসটস বোতলে সালফিউরিক এসিডে পূর্ণ দ্রবণে প্রবেশ করিয়ে দেয়াশলাইয়ে আগুন জ্বালানো হতো।
1
786.293098
20231101.bn_289432_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87
দিয়াশলাই
দুর্ভাগ্যক্রমে ফসফরাস দিয়ে দিয়াশলাই তৈরীর ফলে ব্যবহারকারী ফসি জ এবং অন্যান্য হাড়ক্ষয়জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এছাড়াও, শ্বেত ফসফরাস ব্যবহারে ব্যক্তিদের প্রাণহানিকর ঘটনা ঘটতে থাকে। দিয়াশলাইয়ের সম্মুখাংশ গলাধঃকরণ করে মৃত্যু ও আত্মহত্যাজনিত ঘটনাগুলো ধারাবাহিকভাবে হতে থাকে। ১৮৪৫ সালে ভিয়েনায় প্রথমদিকে এ ধরনে ঘটনা ঘটে। নিউইয়র্কের সার্জনও এ জাতীয় নয়টি ঘটনা নিয়ে পাম্পলেট প্রকাশ করেন।
0.5
786.293098
20231101.bn_289432_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87
দিয়াশলাই
Threlfall, Richard E., (1951). The Story of 100 Years of Phosphorus Making: 1851–1951. Oldbury: Albright & Wilson Ltd.
0.5
786.293098
20231101.bn_289432_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87
দিয়াশলাই
Beaver, Patrick, (1985). The Match Makers: The Story of Bryant & May. London: Henry Melland Limited.
0.5
786.293098
20231101.bn_289432_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87
দিয়াশলাই
Emsley, John, (2000). The Shocking History of Phosphorus: A Biography of the Devil's Element. Basingstoke: Macmillan Publishing.
0.5
786.293098
20231101.bn_307106_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF
বনবিবি
বারিজহতি গ্রামে ধনাই ও মানাই নামে দুই ‘মৌলি’ (মধু-সংগ্রহকারী) বাস করত। তারা ছিল দুই ভাই। আঠারো ভাটির দেশের একটি ‘মহলে’ (ঘন জঙ্গল) মধ্য সংগ্রহের জন্য ধনাই সাতটি নৌকা নিয়ে এক অভিযানের ইচ্ছা প্রকাশ করে। কিন্তু মানাই তাকে বাধা দেয়। অবশেষে গরিব মেষপালকের ছেলে দুখেকে সঙ্গে নিয়ে ধনাই অভিযান করে। নৌকা ছাড়ার আগে দুখের মা দুখেকে বিপদে পড়লে বনবিবিকে স্মরণ করতে বলেছিলেন। ডাকাত রায়ের রাজত্বের অংশ কেন্দুখালির চরে পৌঁছে তারা দক্ষিণরায়কে উপঢৌকন দিতে ভুলে গিয়েছিল। তাই তিন দিন তারা মধু সংগ্রহে অসমর্থ হয়। তৃতীয় রাতে দক্ষিণরায় স্বপ্নে দেখা দিয়ে তাদের নরবলির নির্দেশ দেয়। দক্ষিণরায়ের সঙ্গে কিছু কথা-কাটাকাটির পর লোভী ধনাই মধু ও মোমের বিনিময়ে দুখেকে উৎসর্গ করতে রাজি হয়। তারপর প্রচুর পরিমাণে মোম ও মধু সংগ্রহ করে সে দুখেকে ফেলে রেখে গ্রামে ফিরে আসে। এদিকে বাঘের ছদ্মবেশে দক্ষিণরায় দুখেকে হত্যা করতে গেলে সে দেবীকে স্মরণ করে। দুখের প্রার্থনা শুনে বনবিবি ও তাঁর ভাই জঙ্গলী এসে উপস্থিত হন। দক্ষিণরায়কে পরাজিত করেন জঙ্গলী। পরাজিত দক্ষিণরায় খান গাজীর (গাজী পীর) আশ্রয় নেন। বনবিবি ও শাহ জঙ্গলী দক্ষিণরায়কে ধাওয়া করে খান গাজীর কাছে উপস্থিত হন। অবশেষে গাজী দক্ষিণরায়ের ক্ষতি না করার জন্য বনবিবিকে রাজি করান। পরিবর্তে গাজী দুখেকে সাতটি মূল্যবান কার্টুলি দিয়েছিলেন এবং দক্ষিণরায় তাকে দিয়েছিলেন প্রচুর মো ও মধু। বনবিবির আদেশে তাঁর পোষাক মুরগিরা দুখেকে তার গ্রামে রেখে আসে। গ্রামে ফিরে দুখে বনবিবির পূজাকে জনপ্রিয় করে তোলে। পরবর্তীকালে সে ধনাইয়ের মেয়ে চম্পাকে বিয়ে করে এবং গ্রামের ‘চৌধুরী’ (প্রধান) হয়।
0.5
782.547492
20231101.bn_307106_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF
বনবিবি
এক সওদাগরের দুই সুন্দরী স্ত্রী ছিলেন। ছোটো বউয়ের চক্রান্তে সন্তানসম্ভবা বড়ো বউ গুলালবিবি সুন্দরবনে নির্বাসিতা হন। কয়েকদিন পর সেখানেই যমজ পুত্র-কন্যার জন্ম দিয়ে তার মৃত্যু হয়। সদ্যোজাত শিশু দু'টির কান্না শুনে বনের বাঘ, কুমির, হরিণ, অজগর, বানস সবাই ছুটে আসে। তারাই দুই ভাইবোনকে লালনপালন করে বড়ো করে তোলে। ছেলেটি বড়ো হয়ে বাঘের রাজা এবং মেয়েটি বনবিবি নামে পরিচিত হয়। স্থানীয় বিশ্বাসে এই বনবিবি হলেন মানুষের রক্ষাকর্ত্রী। তারা মনে করেন, বনের বাওয়ালি-মৌলেরা বাঘের মুখে পড়লে বনবিবির নাম স্মরণ করে মন্ত্র পড়ে আর সঙ্গে সঙ্গে বাঘও দৌড়ে পালিয়ে যায়। অদ্যাবধি স্থানীয় মানুষ বনে কাজে যাওয়ার আগে বনবিবির পূজা করে।
0.5
782.547492
20231101.bn_307106_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF
বনবিবি
বনবিবি হিন্দুসমাজে বনদুর্গা, বনচণ্ডী বা বনদেবী নামেও পূজিতা হন। তিনি মাতৃদেবতা, ভক্তবৎসলা ও দয়ালু। তাঁর মূর্তিও সুশ্রী ও লাবণ্যময়ী। হিন্দুদের পূজিতা মূর্তিতে তাঁর গায়ের রং হলুদ, মুকুট, কণ্ঠহার ও বনফুলের মালা পরিহিতা এবং লাঠি অথবা ত্রিশূলধারিণী। মুসলমান সমাজে বনবিবি পিরানি হিসেবে পরিচিত। ইসলামি-প্রভাবান্বিত মূর্তিগুলিতে তিনি টিকলির সঙ্গে টুপি পরিধান করেন, চুল বিনুনি করা, ঘাগরা-পাজামা বা শাড়ি এবং জুতো পরিহিতা। তবে উভয় মূর্তিকল্পেই তাঁর কোলে পুত্র রূপে দুখেকে দেখা যায়। বনবিবির বাহন বাঘ বা মুরগি।
0.5
782.547492
20231101.bn_307106_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF
বনবিবি
শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত বৈকন্ঠপুর জঙ্গলে প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার ভেতরে গেলে দেখা মিলবে বনদুর্গা মন্দিরের। অথবা জলপাইগুড়ির বেলাকোবা থেকে 21 কিমি দূরে গাজোলডোবা সংলগ্ন জঙ্গলের এলাকা পথ দিয়ে যাওয়া যায় এখানে।এই পুজোয় লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। এই বনদূর্গা পূজো দেখতে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসাম এবং বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ এসে থাকেন এই পুজো দেখতে।
0.5
782.547492
20231101.bn_307106_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF
বনবিবি
দিল্লি ভিটা, চাঁদের খাল জায়গাটি সকলের কাছে অপরিচিত হলেও বন দুর্গার মন্দির হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত । পৌষ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে, এই মন্দিরে বনদুর্গা পূজা হয়ে থাকে। কথিত রয়েছে দেবী চৌধুরানী নৌকা করে করতোয়া নদী হয়ে এখানে আসতেন। ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর গোপন আস্তানা ছিল এই জায়গা। তখন অবশ্য ঠুনঠুনি মা বলে এখানে দেবী পুজিত হতো। এখন এটি বনদুর্গা বলেই সকলের কাছে পরিচিত। বৈকুন্ঠপুর এর জঙ্গলের মাঝে এর অবস্থান।
1
782.547492
20231101.bn_307106_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF
বনবিবি
জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ আমলে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠক। সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি বছর বৈকুন্ঠপুরের গভীর জঙ্গলে এই পুজো হয়েছে আসছে।প্রথমে এই পুজোকে ঠুনঠুনির পুজো বলা হতো।পরবর্তীতে ৪১ বছর ধরে একটি নতুন কমিটি গঠন করে মা বনদূর্গা পূজোর নাম করে পুজোর আয়োজন করে আসছেন উদ্যোগতারা। তবে বর্তমানে একে বনদুর্গা মায়ের পুজো বলে এখানে প্রতি বছর পৌষমাসে এর পুজো করা হয়। রাজগঞ্জে বৈকন্ঠপুর জঙ্গলে দিল্লী ভিটা চাঁদের খালে অনুষ্ঠিত হয় বনদুর্গা পুজো।
0.5
782.547492
20231101.bn_307106_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF
বনবিবি
বনবিবি অরণ্যের দেবী রূপে কল্পিত এবং অরণ্যচারী মানুষের দ্বারা পূজিত। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি কখনও মুরগি বা কখনও বাঘের রূপ ধারণ করেন। ভক্তবৎসলা এই দেবীর কারও প্রতি আক্রোশ নেই বলেই কথিত। সুন্দরবনের মৎস্যজীবী, ‘বাউয়ালি’ (কাঠুরিয়া) ও ‘মৌলে’রা (মধু-সংগ্রহকারী) তাঁকে রক্ষয়িত্রী জ্ঞানে পূজা করেন। তাঁদের ধারণা, বনের বাঘ ও ভূত-প্রেত প্রভৃতি অপশক্তির উপর কর্তৃত্ব করেন বনবিবি। তাই গভীর বনে কাঠ, গোলপাতা, মধু ও মোম সংগ্রহ করতে বা মাছ ধরতে যাওয়ার আগে তাঁরা বনবিবির উদ্দেশ্যে সিন্নি, ক্ষীর ও অন্নভোগ নিবেদন করেন। প্রতি বছর মাঘ-ফাল্গুন মাস নাগাদ বনবিবির বাৎসরিক পূজা হয়। এই পূজায় ব্রাহ্মণেরা পৌরোহিত্য করেন না, করেন নিম্নবর্ণীয় হিন্দুরা। বনবিবির পূজায় নিরামিষ নৈবেদ্য নিবেদনের রীতি আছে, বলি হয় না; কখনও বা তাঁর নামে জীবন্ত মুরগি ছেড়ে দেওয়া হয়।
0.5
782.547492