_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
5.1k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
11.1k
20231101.bn_673533_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE
শিশুশ্রম
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও (ILO) জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। ১৯৯২ সালে আইএলও-এর আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম দূরীকরণ কর্মসূচী আইপেক যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ৮০টি দেশে এই কর্মসূচি চালু আছে। ১৯৯৮ সালে আইএলও সর্বসম্মতিক্রমে কর্মক্ষেত্রে মৌলিক নীতি ও অধিকার সম্পৃক্ত ঘোষণা গ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে আইএলও কর্মক্ষেত্রে নীতি ও অধিকার এর সাথে শিশুশ্রম দূরীকরণের দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে।
0.5
554.133649
20231101.bn_42967_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5
প্রতিপদার্থ
প্রতিপদার্থ সম্পর্কে পুরোনো ব্যখ্যা বর্তমানে পরিত্যক্ত হয়েছে। একসময়ের জনপ্রিয় তত্ত্ব "Vortex Theory of Gravity" ব্যবহার করে ১৮৮০ সালের দিকে বিজ্ঞানী William Hicks ঋনাত্নক মাধ্যাকর্ষণ (Negetive Gravity) যুক্ত কনা থাকার কথা প্রস্তাব করেছিলেন।
0.5
550.3214
20231101.bn_42967_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5
প্রতিপদার্থ
William Schuster, ১৮৯৮ সালে Antimatter শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। তিনিই প্রথম প্রতিপরমানু ও প্রতিপদার্থ সৌরজগৎ প্রকল্প(Hypothesis) ব্যখ্যা করেন। তিনি এতে পদার্থ ও প্রতিপদার্থ পরস্পরের সাথে মিলে ধ্বংস হয়ে যায়। তবে Schuster এর এই প্রকল্পও তার পূর্বানুসারীদের মতো অনুমান এই সীমাবদ্ধ ছিল। পূর্ববর্তী ধারনাগুলোর মতোই এই প্রকল্পতেও কনার ঋনাত্নক মাধ্যাকর্ষণ রয়েছে বলে মেনে নেওয়া হয়েছে, যা বর্তমান মডেলে নেই।
0.5
550.3214
20231101.bn_42967_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5
প্রতিপদার্থ
প্রতিপদার্থের আধুনিক তত্ত্বের প্রচলন ঘটে ১৯২৮ সালে, Paul Dirac ও তার গবেষণাপত্রের হাত ধরে। ডিরাক বুঝতে পেরেছিলেন যে তার প্রনীত Schrödinger তরঙ্গ সমীকরনের আপেক্ষিক রূপ ইলেকট্রন এর জন্য প্রয়োগ করা হলে তা প্রতি ইলেকট্রন থাকার সম্ভাবনা প্রকাশ করে। এই প্রতি ইলেকট্রন ১৯৩২ সালে Carl D. Anderson কর্তৃক আবিষ্কৃত হয় যার নাম দেওয়া হয় পজিট্রন(Positron) যা দুইটি ইংরেজি শব্দ Positive Electron এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
0.5
550.3214
20231101.bn_42967_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5
প্রতিপদার্থ
যদিও Dirac নিজে Antimatter শব্দটি ব্যবহার করেননি কিন্তু Anti-proton,Anti-electron শব্দগুলোর ব্যবহার শুরু হয়ে যায়।
0.5
550.3214
20231101.bn_42967_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5
প্রতিপদার্থ
The Feynman–Stueckelberg interpretation অনুযায়ী প্রতিপদার্থ ও প্রতিকনা সাধারণ কনার মতই। তবে এরা সময় তলের(Time Dimension) সাথে বিপরীত দিকে যাত্রা করে।
1
550.3214
20231101.bn_42967_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5
প্রতিপদার্থ
একটি প্রতিকনাকে চিহ্নিত করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। তন্মধ্যে একটি হলো সংশ্লিষ্ট প্রতিকনাটির সাধারণ কনার চিহ্নের উপরে বার (Bar) '_' প্রদানের মাধ্যমে চিহ্নিত করা। উদাহরণস্বরূপ, প্রোটন ও প্রতিপ্রোটনকে যথাক্রমে p ও p এর উপরে বার চিহ্ন প্রদানের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়। একটি কনা ও প্রতিকনাকে যদি তাদের উপাদানগুলো দ্বারা চিহ্নিত করা হয় তাহলেও একই শর্ত খাটে। একটি প্রোটন uud (দুইটি up ও একটি down) কোয়ার্ক দ্বারা গঠিত। তাই একটি প্রতিপ্রোটনকে চিহ্নিত করার জন্য uud এর উপরে বার প্রদান করা হয়। আরেকটি উপায় হল তাদের আধান দ্বারা চিহ্নিত করা। কনা ও প্রতিকনার আধান পরস্পর বিপরীত। যেমন: ইলেকট্রনকে e- দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। আর প্রতি ইলেকট্রন অর্থাৎ পজিট্রনকে e+ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তবে ঝামেলা এড়ানোর জন্য এই দুই পদ্ধতি কখনোই একসাথে ব্যবহার করা হয় না।
0.5
550.3214
20231101.bn_42967_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5
প্রতিপদার্থ
গবেষকগণ মনে করেন, কিছু নির্দিষ্ট ধর্ম ( যেমন: আধান, ঘূর্ণন ও অন্যান্য কোয়ান্টাম সংখ্যা) ছাড়া কনা ও প্রতিকনার সকল ধর্ম একই। এর অর্থ এই যে, একটি কনা ও তার প্রতিকনার ভর এবং আয়ুষ্কাল (যদি অস্থিত হয়) একই । এই তত্ত্ব থেকে আরও দেখা যায়, একটি তারা যা প্রতিপদার্থ দ্বারা গঠিত অর্থাৎ একটি প্রতিতারা, একটি সাধারণ তারার মতই উজ্জ্বল হয়ে জ্বলবে।
0.5
550.3214
20231101.bn_42967_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5
প্রতিপদার্থ
এই তত্ত্বটি ২০১৬ সালে প্রথম পরীক্ষা করা হয়। যার নাম দেওয়া হয় ALPHA experiment। এই পরীক্ষা দুইটি নিম্ন শক্তির প্রতি হাইড্রোজেন পরমাণুর মধ্যে শক্তির স্থানান্তর দেখায়। এ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল হাইড্রোজেন এর সাথে মিলে যায় এবং এটা প্রমাণ করে যে, প্রতিপদার্থের জন্যও কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার সূত্রগুলো প্রযোজ্য।
0.5
550.3214
20231101.bn_42967_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5
প্রতিপদার্থ
এই পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত পর্যবেক্ষিত সকল উপাদানই পদার্থ দ্বারা গঠিত, প্রতিপদার্থ দ্বারা নয়। যদি প্রতিপদার্থ দিয়ে গঠিত অঞ্চল থাকত, তাহলে Annihilation (পদার্থ ও প্রতিপদার্থের মিলন) এর ফলে উৎপন্ন গামা রশ্মি এবং পদার্থ ও প্রতিপদার্থ অঞ্চলের মধ্যেকার সীমানা উভয়ই চিহ্নিত করা যেত।
0.5
550.3214
20231101.bn_794992_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4
বাইয়াত
رِجَالٌ لَّا تُلْهِيهِمْ تِجَارَةٌ وَلَا بَيْعٌ عَن ذِكْرِ اللَّهِ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاء الزَّكَاةِ يَخَافُونَ يَوْمًا تَتَقَلَّبُ فِيهِ الْقُلُوبُ وَالْأَبْصَارُ“ অর্থঃ
0.5
550.195072
20231101.bn_794992_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4
বাইয়াত
এরা এমন লোক, যাদেরকে ব্যবসা- বাণিজ্য ও ক্রয়- বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামায কায়েম করা থেকে এবং যাকাত প্রদান করা থেকে বিরত রাখে না। তারা ভয় করে সেই দিনকে,যে দিন অন্তর ও দৃষ্টি সমুহ উল্টে যাবে।
0.5
550.195072
20231101.bn_794992_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4
বাইয়াত
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ “ অর্থঃ হে মুমিনগণ, জুমাআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়,তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ছুটে চল এবং বেচা-কেনা বন্ধ কর। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝে থাক।” (সুরা- জুমাআ- ০৯)
0.5
550.195072
20231101.bn_794992_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4
বাইয়াত
إِنَّ اللّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُم بِأَنَّ لَهُمُ الجَنَّةَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالإِنجِيلِ وَالْقُرْآنِ وَمَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ مِنَ اللّهِ فَاسْتَبْشِرُواْ بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُم بِهِ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ অর্থঃ “আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে, তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জলি ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবচিল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দতি হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমাদের করেছ তাঁর সাথ। আর এ হল মহান সাফল্য।”
0.5
550.195072
20231101.bn_794992_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4
বাইয়াত
১. খিলাফাতের বাইয়াত - যা ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানের বা খলিফার আনুগত্বের শপথ হিসেবে নেয়া হয়ে থাকে। যখন ইসলামী রাষ্ট্রের খলিফা নিয়োগ করা হয় তখন এই বাইয়াত গ্রহন করা হয় ৷
1
550.195072
20231101.bn_794992_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4
বাইয়াত
৩. বাইয়াতে তাসাওউফ - তাকওয়া পরহেযগারীতে অগ্রগামী হবার এবং নিজের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার শপথ। কোন পীর বা ধর্মীয় ব্যক্তির পক্ষ থেকে এই বাইয়াত নেওয়া হয়ে থাকে ৷
0.5
550.195072
20231101.bn_794992_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4
বাইয়াত
৪. বাইয়াতে হিজরত - দারুল কুফর বা কাফেরদের জুলুমী রাষ্ট্র ছেড়ে কোন ইসলামী রাষ্ট্রে চলে যাওয়ার জন্য কারো হাতে হাত রেখে যে শপথ গ্রহন করা হয়।
0.5
550.195072
20231101.bn_794992_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4
বাইয়াত
৫. বাইয়াতে জিহাদ - জিহাদের ময়দানে দৃঢ় থাকার বাইয়াত। যদি কখনো জিহাদের ময়দানে ভয়ে পালিয়ে যাবার আশংকা দেখা দেয়, তখন আমীরে জিহাদের হাতে সকল মুজাহিদ বাহিনী দৃঢ়তার বাইয়াত গ্রহণ করে। এছাড়াও সাধারণ অবস্থাতেও আমীরে জিহাদের হাতে মুজাহিদ বাহিনী জিহাদের বাইয়াত গ্রহন করে থাকে ৷
0.5
550.195072
20231101.bn_794992_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4
বাইয়াত
এখানে উল্লেখ্য যে, বাইয়াতের এসব প্রকারভেদ ছাড়াও আরো প্রকারভেদ রয়েছে ৷ এসবের বিস্তারিত বিবরণ ফিকহের কিতাবসমূহে রয়েছে ৷ উপরোক্ত প্রকারভেদের সামর্থনে ইসলামের মূল গ্রন্থ কুরআনে পর্যাপ্ত আয়াত রয়েছে ৷ যার সবগুলো এখানে এখনো উল্লেখ করা হয়নি।
0.5
550.195072
20231101.bn_282396_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A6%A8
ইনসেপশন
এখন আসে প্রথম সমস্যা।স্বপ্নের মধ্যে সময় ধীরগতিতে অগ্রসর হয় এটা সবাই জানি।মুভিতে এটা ছিল ২০ গুণ,আর স্বপ্নের প্রতি লেয়ারে অনুপাত অনুযায়ী তা আরো বাড়তে থাকে।অর্থাৎ ফার্স্ট লেয়ারে এক সপ্তাহ,সেকেন্ড লেয়ার এ ছয় মাস এবং থার্ড লেয়ারে দশ বছর! তিনটা লেয়ারে কাজটা করার আরেকটা কারন ছিল বাস্তবে সময়-স্বল্পতা।Robert Fisher সিডনি থেকে আমেরিকায় তার বাবার কাছে যেত আর প্লেনে এ যাত্রাকাল ছিল দশ ঘণ্টা,আর এই সময়কেই কাজে লাগিয়ে পুরো প্ল্যান!
0.5
549.705875
20231101.bn_282396_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A6%A8
ইনসেপশন
THE EXECUTION: তারপর ডিরেক্ট এক্সিকিউশন এ চলে যাই।প্লেনে সবাই শুরুতে Yousuf এর স্বপ্নে যায়,যেখানে তারা Robert Fisher ও তার অ্যাসিস্ট্যান্ট Browning কে কিডন্যাপ করে, তবে একটা সমস্যা হয়ে Saito গুলি খেয়ে যায়।Eames তখন Saito কে মেরে বাস্তবে ফিরিয়ে দিতে নিলে আমরা জানতে পারি এমনটা সম্ভব নয় (মুভি অনুযায়ী দেখানো হয় স্বপ্নে থাকাকালীন কেউ মারা গেলে বাস্তবে ফিরে আসে)।এর কারণটা ছিল মাল্টি-লেয়ার ড্রিম! তাই এই স্বপ্নে মারা গেলে Limbo তে চলে যাবে, যেখানে তাদের কোনো কন্ট্রোল নেই।যাই হোক এরপর সবাই Yousuf এর চালানো ভ্যান এ থাকাকালীন Arthur এর স্বপ্নে যায় (হোটেল)।এখানে দুইটা কাজ করা হয় - ১.Browning কে Robert এর শত্রু দেখানো হয়;২.Browning রবার্ট এর কাছ থেকে কিছু লুকাতে চাচ্ছিলো, এটা দেখার জন্য রবার্ট কে কনভিন্স করা হয় স্বপ্ন দেখে যাচাই করার জন্য।(আসলে Browning ছিল প্রকৃতপক্ষে Eames).এরপর তারা যায় Browning (প্রকৃতপক্ষে Eames এর স্বপ্নে) তুষারে আচ্ছন্ন পাহাড়ে। এখানে প্ল্যান ছিল Robert কে তার বাবার 'Will' দেখানো। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এখানেও Mal এসে পড়ে আর Robert কে মেরে ফেলে আর সে চলে যায় Limbo তে!
0.5
549.705875
20231101.bn_282396_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A6%A8
ইনসেপশন
Ariadne'র প্ল্যান মোতাবেক এরপর Cobb আর সে Robert এর স্বপ্নে যায়। প্ল্যান ছিল Limbo তে Robert কে মেরে ফেলা, যাতে করে সে Eames এর স্বপ্নে (থার্ড লেয়ার) জীবিত হয়।Limbo তে যাওয়ার পর Cobb বলে এখানে সে আগেও এসেছে, Mal কে নিয়ে। মূলত তারা এখানে পঞ্চাশ বছর একসাথে ছিল।এখানে একদম নিজের মতো করে দুনিয়া বানায় তারা।কিন্তু একটা সময় পর (প্রায় পঞ্চাশ বছর) Cobb বুঝতে পারে তাদের বাস্তবতায় ফিরে যেতে হবে। এজন্য সে Mal এর মাইন্ডে আইডিয়া অ্যাড করে।আইডিয়াটা ছিল-"Our world is not real." (এখানে আমরা জানতে পারি আইডিয়া অ্যাড করার ব্যাপারে Cobb কেন রাজি হয়েছিল, কেননা সে আগেই একই কাজ Mal এর সাথে করেছে)।যাই হোক Cobb আর Mal বাস্তবতায় ফিরে আসে,কিন্তু Mal বাস্তবতা কি জিনিস এটাই ভুলে যায়! সে মনে করে এখনো সে স্বপ্নে আছে।আসলে দোষটা ছিল Cobb এর। সে ওই Totem এর আইডিয়াও রিমুভ করে ফেলে, যা দিয়ে Mal স্বপ্ন - বাস্তব এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতো।তারপর এই ভুলের পরিনতি! Mal আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়, কেননা সে মনে করে এভাবে সে বাস্তবতায় ফিরে যাবে।সে Cobb কে এ কাজ করতে বলে,কিন্তু Cobb জানতো তারা আসলেই বাস্তবতায় আছে আর এখানে মারা গেলে প্রকৃতপক্ষে মারা যাবে।Cobb রাজি না হওয়ায় Mal তার ল'ইয়ার কাছে Cobb এর বিরুদ্ধে মামলা করে যে Cobb এর কারনে সে আত্মহত্যা করছে।আসলে এটা ছিল একটা থ্রেট যাতে Cobb ও Mal এর সাথে লাফ দেয়।কিন্তু তা আর হয়না, Mal মারা যায় আর দোষ পড়ে Cobb এর উপর। এজন্যই Cobb জীবন বাঁচাতে আমেরিকা ত্যাগ করে আর Saito'র প্রস্তাব রাজি হয় (Saito এই সব মামলা উঠানোর প্রতিশ্রুতি দেয়)
0.5
549.705875
20231101.bn_282396_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A6%A8
ইনসেপশন
এখানে একটা কথা, Mal এর মৃত্যুর জন্য Cobb সবসময় 'Guilty' ফিল করে। এজন্য তার সব স্বপ্নে Mal আসে আর Cobb কে বাস্তবতায় ফিরে যেতে দিতে চায় না;কেননা একমাত্র স্বপ্নের মধ্যেই তারা একত্রে আছে।
0.5
549.705875
20231101.bn_282396_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A6%A8
ইনসেপশন
শেষপর্যন্ত Limbo তে Mal ও Robert Fisher উভয়ই মারা যায় আর Robert, Eames এর স্বপ্নে ফিরে যায় আর তার বাবার সাথে সাক্ষাৎ হয়।যেখানে তাদের প্ল্যান কম্পলিটলি ফিনিশ হয়।সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় আর সবাই স্বপ্নের ফার্স্ট লেয়ার ফিরে আসতে থাকে।(নদীর পাড়ে) এখানে একটা টুইস্ট Cobb আর থার্ড লেয়ারে মারা যাওয়া Saito উভয়ই Limbo তে আটকা পড়ে। আর তাদের দেখা হয় মুভির ফার্স্ট সিন (প্রথম প্যারা টা লাগলে আবার পড়েন)। এরপর ফাইনালি সবাই বাস্তবতায় ফিরে আসে।Cobb আমেরিকায় ফিরে যায় তার ছেলে-মেয়ের সাথে। আর এখানেই মুভির এন্ডিং!
1
549.705875
20231101.bn_282396_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A6%A8
ইনসেপশন
ডোমিনিক "ডোম" কোব এবং আর্থার "এক্সট্র্যাক্টর": তারা তাদের লক্ষ্যগুলি অবচেতনভাবে অনুপ্রবেশ করতে এবং একটি ভাগ করে নেওয়া স্বপ্নের বিশ্বের মাধ্যমে মূল্যবান তথ্য আহরণের জন্য পরীক্ষামূলক সামরিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর্পোরেট গুপ্তচরবৃত্তি করে। তাদের সর্বশেষ লক্ষ্য, জাপানি ব্যবসায়ী সাইতো প্রকাশ করেছে যে তিনি কোবকে একটি আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব কাজের জন্য পরীক্ষা করার জন্য তাদের মিশনটি সজ্জিত করেছিলেন: একজন ব্যক্তির অবচেতনায় বা "প্রতিষ্ঠার" ধারণাটি প্রতিস্থাপন করে। অসুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বী মরিস ফিশারের শক্তি সংগ্রহের জন্য, সাইটো চায় কোব ফিশারের পুত্র এবং উত্তরাধিকারী, রবার্টকে তার বাবার সংস্থানটি বিলুপ্ত করতে রাজি করান। বিনিময়ে, কোবোর আপাত অপরাধী অবস্থা সাফ করার জন্য কাজটি করা হয়ে গেলে সাইতো তার প্রভাব ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দেয়, যা তাকে তার বাচ্চাদের বাড়িতে ফিরতে বাধা দেয়।
0.5
549.705875
20231101.bn_282396_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A6%A8
ইনসেপশন
যদিও আর্থার বিশ্বাস করেন যে এই কাজটি অসম্ভব, তবে কোব জোর দিয়েছিলেন যে এটি করা সম্ভব। কোব অফারটি গ্রহণ করে এবং তার দলকে একত্রিত করে: ইমাম, কনম্যান এবং পরিচয় প্রমাণকারী; ইউসুফ, একজন রসায়নবিদ যিনি একটি স্থিতিশীল "স্বপ্নের মধ্যে স্বপ্ন" কৌশলটির জন্য শক্তিশালী শ্যাডেভকে যুক্ত করেন; আর আরিয়াডনে, একজন আর্কিটেকচার ছাত্র, যা স্বপ্নের প্রাকৃতিক দৃশ্যের গোলকধাঁধার নকশায় কাজ করেছিল, কোবের শ্বশুর প্রফেসর স্টিফেন মাইলসের সহায়তায় নিয়োগ পেয়েছিলেন। কোবের সাথে স্বপ্ন ভাগাভাগি করার সময়, আরিয়াদনে তার অবচেতন বাড়িগুলি তার প্রয়াত স্ত্রী মালের একটি আক্রমণাত্মক প্রজেকশন শিখেছে।
0.5
549.705875
20231101.bn_282396_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A6%A8
ইনসেপশন
সিডনিতে মরিস মারা যাওয়ার পরে রবার্ট ফিশার লস অ্যাঞ্জেলেসে ফিরে দশ ঘণ্টার ফ্লাইটে দেহটির সাথে ছিলেন। দলটি (সাইটো সহ যারা তাদের সাফল্য যাচাই করতে চায়) এটিকে ফিশারকে ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করে এবং ফিশারকে একটি ভাগী স্বপ্নে নিয়ে যায়। প্রতিটি স্বপ্নের স্তরে, স্বপ্নটি উৎপাদনকারী ব্যক্তি একটি "কিক" সেট আপ করতে পিছনে থাকে যা আরও গভীর স্তরের স্তরের সদস্যদের ঘুমন্ত দলের সদস্যদের জাগ্রত করতে ব্যবহৃত হবে; সফল হওয়ার জন্য, এই কিকগুলি প্রতিটি স্বপ্নের স্তরে একই সাথে ঘটতে হবে, সময়ের প্রকৃতির কারণে জটিল একটি ঘটনা, যা প্রতিটি ধারাবাহিক স্তরে অনেক দ্রুত প্রবাহিত হয়। কিকসকে সমন্বয় করতে তারা শ্রুতি কিউ হিসাবে "নন, জে নে আফসেট রিইন" ব্যবহার করে। প্রথম স্তরটি হ'ল ইউসুফের একটি বর্ষার লস অ্যাঞ্জেলেসের স্বপ্ন।
0.5
549.705875
20231101.bn_282396_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A6%A8
ইনসেপশন
দলটি ফিশারকে অপহরণ করে, তবে তার অবচেতন পক্ষ থেকে সশস্ত্র অনুমান দ্বারা আক্রমণ করা হয়, যা বিশেষত এই জাতীয় অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে রক্ষা করার জন্য প্রশিক্ষিত হয়েছিল। দলটি রবার্ট এবং আহত সাইটোকে একটি গুদামে নিয়ে যায়, যেখানে কোব প্রকাশ করেছেন যে স্বপ্নে মারা যাওয়ার পরে সাধারণত সাইতোকে জাগিয়ে তুলবে, বহু-স্তরের স্বপ্নকে স্থিতিশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিশালী শ্যাডেটিভ পরিবর্তে একটি মৃত স্বপ্নদর্শীকে "লিম্বো" তে প্রেরণ করবে: একটি অসীম অবচেতনতার জগৎ যা থেকে পালানো চূড়ান্ত কঠিন, যদি অসম্ভব না হয় এবং যে কোনও স্বপ্নদর্শী তারা স্বপ্নে ভুলে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে থাকেন। এই ধাক্কা সত্ত্বেও, দলটি মিশন নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে।
0.5
549.705875
20231101.bn_821897_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE
লইট্টা
লইট্টা বা লোটে মাছ বা বম্বে ডাক লিজার্ড জাতীয় মাছ যার বৈজ্ঞানিক নাম Harpadon nehereus। "nehereus" শব্দটির জন্য এই মাছটিকে সাধারণতঃ স্থান বিশেষে অনেকে "নীহারি" মাছ বলে থাকেন। এটি শব্দের একটি অপভ্রংশে ব্যবহৃত নাম। এই মাছটি সাধারণত ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হয় এবং সর্বোচ্চ সাইজ ৪০ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
0.5
544.330945
20231101.bn_821897_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE
লইট্টা
লইট্টা মাছ, ইংরেজিতে বলা হয় Bombay Duck। কিন্তু শুনতে হাঁস মনে হলেও আসলে বৃটিশদেরই দেয়া এই নাম। বৃটিশ আমলে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে লইট্টা শুটকি মালগাড়ি মেইল ট্রেনে বোম্বে আসতো। বৃটিশরা এই লইট্টা শুটকির চালানকে বলতো ‘মেইল’ বা ‘ডাক’। সেই থেকে ‘বোম্বে ডাক’।
0.5
544.330945
20231101.bn_821897_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE
লইট্টা
লইট্টা মাছ স্বস্তা মাছ। দামে স্বস্তা হলেও পুষ্টিতে ভরপুর এই লইট্টা মাছ। লইট্টা মাছ প্রোটিনে ভরপুর। যখন লইট্টা মাছকে শুটকি করা হয়, তখন এই প্রোটিনের পরিমান আরো বৃদ্ধি পায়। আর প্রোটিন আমাদের শরীরের টিস্যু গঠনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও লইট্টা মাছে থাকা প্রোটিন শরীরের হরমোন, এনজাইম এবং অন্যান্য কেমিক্যালের ভারসাম্য বজায় রাখে।
0.5
544.330945
20231101.bn_821897_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE
লইট্টা
লইট্টা মাছে রয়েছে অতি উপকারী ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মানুষের শরীরের রক্তনালীগুলোকে পরিষ্কার রেখে হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
0.5
544.330945
20231101.bn_821897_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE
লইট্টা
হার্টের সুস্বাস্থ্যের জন্যে লইট্টা মাছে থাকা ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিডের কাজ বহুমাত্রিক যেমন, অতিরিক্ত রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিহত করা, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের লেভেল কমানো, রক্ত-সঞ্চালন বাড়ানো ইত্যাদি।
1
544.330945
20231101.bn_821897_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE
লইট্টা
লইট্টা মাছ আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত রোগীর জন্যে খুবই উপকারি। এই মাছের তেল দারুন এক  ব্যথানাষক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও লইট্টা মাছ কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। লইট্টা শুটকিতে থাকা ক্যালসিয়াম উচ্চ-রক্তচাপ কমায়।
0.5
544.330945
20231101.bn_821897_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE
লইট্টা
এছাড়াও এই ক্যালসিয়াম পিরিয়ড শুরুর প্রাককালে নারীদের যে মুডজনিত মানসিক সমস্যা হয় তা কমায়। লইট্টা শুটকিতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি দারুণ কার্যকরি।
0.5
544.330945
20231101.bn_821897_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE
লইট্টা
লইট্টা মাছ হিমোগ্লোবিন তৈরি, পেশির শক্তিবৃদ্ধি, ব্রেইনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অনিদ্রা কমানো, শক্ত হাঁড় ও দাঁত তৈরি, পরিপাকে সহায়তা, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, ত্বক ও ঠোঁটের সুস্বাস্থ্যসহ অসংখ্য স্বাস্থ্য-উপকার করে থাকে।
0.5
544.330945
20231101.bn_821897_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE
লইট্টা
মাছটি সাধারণত তরকারী হিসেবে বা ভেজে খাওয়া হয়। ভারত এবং বাংলাদেশে এই মাছটির শুটকি মাছ তৈরি করে খাওয়া হয়।
0.5
544.330945
20231101.bn_11869_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
নিকারাগুয়া
প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিম্নভূমি অঞ্চলটি জলবায়ুর দিক থেকে তিয়েরা কালিয়েন্তে বা উষ্ণ মণ্ডল হিসেবে পরিচিত। সারা বছরই এখানে তাপমাত্রা মোটামুটি একই রকম থাকে, 'এর মধ্যে ঘোরাফেরা করে। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আবহাওয়া এই অঞ্চলে মোটামুটি শুকনো থাকে। কিন্তু মে মাস থেকে বর্ষা শুরু হয়ে অক্টোবর পর্যন্ত চলতে থাকে। সারা বছরে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪০ - ৬০ মিলিমিটার। পূর্বে ক্যারিবীয় সাগর থেকে বয়ে আসা জলীয় বাস্প পূর্ণ বায়ু মধ্যভাগের উঁচু পর্বতমালায় বাধা পাওয়ার ফলে ঐ উচ্চভূমির পূর্ব ঢালের তুলনায় পশ্চিম ঢালে স্বভাবতই বৃষ্টির পরিমাণ কম। তবুও ভালো বৃষ্টিপাত, উর্বর জমি এবং অনুকূল জলবায়ুর কারণে দেশের এই পশ্চিম অঞ্চল আজ দেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এই অঞ্চলেই বাস করেন।
0.5
543.891861
20231101.bn_11869_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
নিকারাগুয়া
মধ্যভাগের উচ্চভূমি অঞ্চলটি দেশের তিয়েরা তেমপ্লাদা বা নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল হিসেবে পরিচিত। এই অঞ্চলের জলবায়ু প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিম্নভূমি অঞ্চলের তুলনায় শীতল। এখানকার গড় উষ্ণতা । বর্ষাকাল এখানে আরও দীর্ঘস্থায়ী, বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বেশি। বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ী অঞ্চলে মাঝেমাঝেই ধ্স নামে। সাধারণভাবে এই অঞ্চলে ভূমি রুক্ষ, জনঘনত্বও কম। তবে এই অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিমের ঢালে যে উপত্যকাটি দেখতে পাওয়া যায়, সেটি যথেষ্ট উর্বর। ফলে এই অঞ্চলে জনঘনত্বও অপেক্ষাকৃত বেশি।
0.5
543.891861
20231101.bn_11869_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
নিকারাগুয়া
দেশের পূর্ব উপকূলের ক্যারিবীয় নিম্নভূমির জলবায়ুও সম্পূর্ণ ক্রান্তীয় অঞ্চলের উষ্ণ মণ্ডলীয় জলবায়ু। এই অঞ্চলের তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও যথেষ্ট বেশি। এই অঞ্চলে প্রচূর বৃষ্টিপাত হয়। বস্তুত এই অঞ্চল সমগ্র মধ্য আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে বৃষ্টিবহুল অঞ্চল। বছরে এর মোট পরিমাণ ২৫০০-৬৫০০ মিলিমিটার। অপেক্ষাকৃত কম জনবসতিপূর্ণ এই অঞ্চলের এক বড় অংশ জুড়ে ক্রান্তীয় রেনফরেস্ট দেখতে পাওয়া যায়।
0.5
543.891861
20231101.bn_11869_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
নিকারাগুয়া
বর্ষাকালে পূর্বদিকের ক্যরিবীয় নিম্নভূমি অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়া বিভিন্ন নদীগুলির নিম্ন, মধ্য ও এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে উচ্চপ্রবাহ অঞ্চলেও বন্যার প্রকোপ দেখা যায়। প্রতিবছর এই বন্যার ফলে চাষবাস ও নদী অববাহিকাগুলি ঘিরে থাকা বনাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে। এছাড়া মূলত জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে মাঝেমাঝেই প্রবল সামুদ্রিক ঝড় বা হ্যারিকেনের প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। এই সব ঝড়েও ক্যারিবীয় উপকূলীয় অঞ্চলের জীবনযাত্রা বহুসময়েই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে।
0.5
543.891861
20231101.bn_11869_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
নিকারাগুয়া
২০০৫ সাল পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী নিকারাগুয়ার মোট অধিবাসীর সংখ্যা ৫১,৪২,০৯৮ জন (২০১৪ সালের জুলাই মাসে ৫৮,৪৮,৬৪১)। এঁদের মধ্যে মেস্তিজো, অর্থাৎ শ্বেতকায় ও স্থানীয় আমেরিন্ডিয়ানদের মিশ্রিত জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬৯.৭ শতাংশ, ১৭.৬ শতাংশ শ্বেতকায় (মূলত স্পেনীয় বংশোদ্ভূত) ও ৯.২ শতাংশ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও মানাগুয়া অঞ্চলের বাসিন্দা। ২০০৫ সালের হিসেব অনুযায়ী ক্যারিবীয় উপকূলের মোট বাসিন্দা মাত্র ৭ লক্ষ। আবার কৃষ্ণাঙ্গ জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশই বাস করেন ক্যারিবীয় উপকূল অঞ্চলে। এর ফলে গোটা দেশের সাপেক্ষে সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও ক্যারিবীয় উপকূল অঞ্চলে কৃষ্ণাঙ্গরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ (৫৯ শতাংশ)। স্থানীয় আমেরিন্ডিয়ানদের সংখ্যা দেশে উল্লেখযোগ্যভাবেই কম, মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩.২ শতাংশ। এঁদের মধ্যে মেস্কিটো উপজাতি সংখ্যায় সর্বাধিক। এছাড়াও ছোট ছোট কতগুলি জনগোষ্ঠী রয়েছে, যেমন রামা, সুমো, প্রভৃতি। এঁদের বেশীরভাগেরই বসবাস অতলান্তিক উপকূলেই।
1
543.891861
20231101.bn_11869_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
নিকারাগুয়া
মোট জনসংখ্যার ৫৭.৫ শতাংশই শহরের বাসিন্দা (হিসেব ২০১১ সালের)। দেশে মানুষের বেঁচে থাকার গড় বয়স ৭২.৭ বছর। প্রতি ১০০ জন মহিলা পিছু পুরুষ সংখ্যা ৯৬। শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২০.৩৬। জন্মহার প্রতি হাজারে ১৮.৪১ ও মৃত্যুহার ৫.০৭। ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৮ (২০০৮ সালের হিসেব অনুযায়ী), যা পশ্চিম গোলার্ধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের মধ্যে একটি। ২০০৫ সালের হিসেব অনুযায়ী দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪২.৭ জন।
0.5
543.891861
20231101.bn_11869_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
নিকারাগুয়া
অভিবাসীদের সংখ্যা নিকারাগুয়ায় সে'দেশের জনসংখ্যার তুলনায় যথেষ্টই বেশি। তবে তা কখনই ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যার ১ শতাংশকে খুব বেশি অতিক্রম করেনি। ২০০৫ সালের আদমশুমারি রিপোর্ট অনুযায়ী বিদেশে জন্মেছে এ'রকম জনসংখ্যা নিকারাগুয়ার মোট জনসংখ্যার ১.২ শতাংশ।
0.5
543.891861
20231101.bn_11869_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
নিকারাগুয়া
ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইঊরোপের নানা দেশ, যেমন জার্মানি, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম থেকে বহু পরিবার নিকারাগুয়ায় এসে বসবাস শুরু করে। মূলত প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিম্নভূমি ও মধ্যভাগের উচ্চভূমি অঞ্চলেই এরা বসতি স্থাপন করে। পরবর্তীকালে মধ্যপ্রাচ্য ও আরব উপদ্বীপ থেকেও বহু মানুষ নিকারাগুয়ায় এসে বসবাস শুরু করে। এরা মূলত সিরিয়া, আর্মেনিয়া, প্যালেস্তাইন ও লেবানন থেকে আসা মানুষ। সংখ্যায় এরা আজ প্রায় ৩০ হাজার। এছাড়াও ২০০৫ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী নিকারাগুয়ায় চীনা অভিবাসীর সংখ্যাও প্রায় ১২ হাজার। এদের মধ্যে এক মানাগুয়া শহরেই প্রায় ৮০০০ জনের বাস। ঊনবিংশ শতাব্দীতেই এই চীনারা এ'দেশে আসতে শুরু করে। কিন্তু ১৯২০ সালের আগে স্থায়ীভাবে কোনও চীনা বসতির উল্লেখ পাওয়া যায় না।
0.5
543.891861
20231101.bn_11869_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
নিকারাগুয়া
নিকারাগুয়ার সরকারি ভাষা স্পেনীয়। দেশের মানুষের ৯৭ শতাংশই মাতৃভাষা হিসেবে এই ভাষায় কথা বলে থাকেন। সারা দেশেই এই ভাষা চলে। তবে অঞ্চলভেদে এই ভাষার নানা উপভাষাগত প্রভেদ দেখা যায়। ক্যারিবীয় উপকূলে কৃষ্ণাঙ্গ নিকারাগুয়ানদের মধ্যে ক্রেওল বা ক্যারিবীয় ইংরেজিরও প্রচলন দেখা যায়। মূলত ব্লুমসফিল্ড শহর ও তার আশেপাশে এই ভাষার প্রচলন বেশি। তবে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে এরা প্রত্যেকেই সাধারণত স্পেনীয় ভাষায় যথেষ্টই সচ্ছন্দ। এছাড়াও ক্যারিবীয় উপকূলে বসবাসকারী বিভিন্ন আমেরিন্ডিয়ান উপজাতির মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষাতেও কথা বলে থাকেন। এই ভাষাগুলোর মধ্যে মেস্কিটো, মাতাগালপা, মায়াংনা, রামা, সুমো, গারিফুনা, প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এদের মধ্যে কয়েকটি ভাষায় বর্তমানে এত কম মানুষ কথা বলেন যে সেগুলিকে আশঙ্কাজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন উলুওয়া ভাষা (২০০৯ সালের হিসেব অনুযায়ী এই ভাষায় মাত্র ৩৫০ জন মানুষ কথা বলেন।)। এছাড়া কয়েকটি ভাষা বিলুপ্তও হয়ে গেছে। যেমন সুবতিয়াবা ভাষা। ১৯৮১ সালের হিসেব অনুযায়ী যদিও এই ভাষা গোষ্ঠীর প্রায় ৫০০০ মানুষের খোঁজ পাওয়া যায়, তাদের কেউই আর নিজেদের প্রথম ভাষা হিসেবে এই ভাষাটি ব্যবহার করতেন না। মাঙ্গুয়ে ভাষার ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইরকম।
0.5
543.891861
20231101.bn_615898_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0
বেশান্তর
বেশান্তর ব্যবহার করে একটি বিশেষ প্রদর্শন-কলাকে ইংরেজিতে ড্র্যাগ বলে। এই কলায় পুরুষেরা অতিরঞ্জিত উগ্র নারীচরিত্রে অভিনয় করে, এদেরকে ইংরজিতে ড্র্যাগ কুইন বলা হয়। এরা অত্যন্ত উত্তেজক ধরনের খোলামেলা পোশাক, হাই-হিল জুতো, কড়া মেকআপ আর পরচুলো ব্যবহার করে। ড্র্যাগ কুইনরা সাধারণত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র কিংবা পপ-সঙ্গীত তারকাকে অনুকরণ করে অভিনয় করে। এই একই কৌশল যদি কোনো মহিলাই ব্যবহার করে, তবে তাকে ফক্স কুইন বলা হয়।
0.5
542.509852
20231101.bn_615898_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0
বেশান্তর
ড্র্যাগ কুইনের বিপরীত ঘটনা, অর্থাৎ কোনো পুরুষ চিত্রতারকা বা সংগীত তারকাকে অনুকরণ করে কোনো মহিলা পুরুষ-চরিত্রে অভিনয় করলে, তাকে ইংরেজিতে ড্র্যাগ কিং বলে। কিছু মহিলা আবার লিঙ্গান্তর ঘটিয়েও নিজেকে ড্র্যাগ কিং প্রতিপন্ন করে; যদিও সংজ্ঞা অনুসারে এদের ড্র্যাগ কিং বলা চলে না।
0.5
542.509852
20231101.bn_615898_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0
বেশান্তর
যেসব ব্যক্তি বেশান্তরের কাজটিতে উত্তেজক যৌনতার অনুভূতি পান, তাদের বেশান্তরকামী (Transvestic fetishist) বলে। এরা অবশ্য যৌন পরিচয়ে প্রধানত বিষমকামী পুরুষ, কিন্তু মেয়েদের পোশাক পরা তথা 'মেয়ে সাজা'র প্রতি অদম্য চোরা যৌন আকর্ষণ থাকে এই ছেলেদের।
0.5
542.509852
20231101.bn_615898_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0
বেশান্তর
পুরুষ বেশান্তরকারীরা তাদের পুরুষ পোশাকের নিচে মহিলাদের অন্তর্বাস পরা-কে অন্তর্বসন (Underdressing) বলেন। বিখ্যাত চিত্রপরিচালক এডওয়ার্ড ডি. উড স্বীকার করেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর পোশাকের নিচে তিনি প্রায়ই মেয়েদের অন্তর্বাস পরতেন।
0.5
542.509852
20231101.bn_615898_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0
বেশান্তর
কিছু মানুষ বেশান্তর করার সাথে সাথে নিজের চালচলন, কথা বলার ভঙ্গি, এমনকি যৌন চরিত্র বদলে নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের একজন হিসেবে পরিপূর্ণভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। অর্থাৎ তিনি নিজেকে বেশান্তরকারী হিসেবে পরিচয় দেন না, বরং বিপরীত লিঙ্গের মানুষ হিসেবে বাঁচার বা “সময় কাটানো”র চেষ্টা করেন। এই প্রক্রিয়ায় ওই বেশান্তরকারীকে জনসমক্ষে আসতে হয়, তাই তিনি অন্য ব্যক্তির হাতে ধরাও পরতে পারেন। ছেলেরা কীভাবে আরো মেয়েলি চেহারা পেতে পারে— তা নিয়ে প্রচুর ভিডিও, বই আর ম্যাগাজ়িন রয়েছে।
1
542.509852
20231101.bn_615898_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0
বেশান্তর
কখনো কখনো বিষমকামী দম্পতিরা একে অপরকে উত্তেজিত করতে বেশান্তর করেন। যেমন, ছেলেটি স্কার্ট কিংবা মহিলাদের অন্তর্বাস পরতে পারে, আবার মেয়েটি প্যান্ট বা অন্য পুরুষদের পোশাক পরতে পারে। ট্রান্সভেস্টিক ফেটিশিস্ট-দের মতোই কিছু পুরুষ অন্য কারোর হাতে মেয়ে সাজতে বাধ্য হওয়া আর নিজেকে অপদস্থ করার মধ্য দিয়ে অত্যন্ত কামোত্তেজনা পান। একে বলপূর্বক স্ত্রীরূপান্তরণ (Forced Feminisation) বলে।
0.5
542.509852
20231101.bn_615898_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0
বেশান্তর
কেউ কেউ আবার নিজের পোশাক-আশাকে কিছু পুরুষ বৈশিষ্ট্য আর কিছু নারী বৈশিষ্ট্য — দুটোই মিশিয়ে ফেলেন। যেমন, কোনো পুরুষ একইসাথে শাড়িও পরতে পারে আবার দাড়িও রাখতে পারে। ইংরেজিতে এদের অনেকসময় জেন্ডারফাক বলে।
0.5
542.509852
20231101.bn_615898_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0
বেশান্তর
আসলে কোন্‌টা বেশান্তর, আর কোন্‌টা নয় — তার সংজ্ঞা তৈরি করেছে আমাদের সমাজই। যেমন, পাশ্চাত্য সমাজে মহিলারা বহুকাল থেকে পোশাক হিসেবে ট্রাউজার পরে আসছে, তাই এটিকে কখনোই বেশান্তর বলা হয় না। আবার কিছু সংস্কৃতিতে পুরুষেরা লুঙ্গি ও কিল্টের মতো ঘাঘরা বা স্কার্ট-জাতীয় বস্ত্র পরে, এগুলিকে মেয়েদের পোশাক হিসেবে গণ্য হয় না, এবং এগুলি পরিধান করলেও কাউকে বেশান্তরকারী পুরুষ বলা চলে না। সামাজিক ব্যবস্থায় বিশ্বায়নের প্রভাব যত বাড়ছে, নারী-পুরুষ উভয়েই পোশাকের ক্ষেত্রে সংস্কৃতির আদান-প্রদান করছে। স্কার্টকে পুরুষদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য পোশাক হিসেবে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য ফ্যাশন ডিজাইনাররা বিক্ষিপ্ত কিছু প্রচেষ্টা করেছেন।
0.5
542.509852
20231101.bn_615898_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0
বেশান্তর
কস্‌প্লে (Cosplay বা চরিত্রান্তর) হল বেশান্তর করে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করা, যেখানে মেয়েরা পুরুষ সাজেন, অথবা উল্টোটাও হতে পারে। পুরুষ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য মহিলাদের ‘স্তন বাইন্ডিং’ করাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। দেহগঠনে বেশি করে নারীত্ব আনতে পুরুষ বেশান্তরকারীরা পোশাকের নিচে বিভিন্ন সিলিকন ব্রেস্ট ফর্ম বা কৃত্রিম স্তন ব্যবহার করেন, যা সাধারণত শারীরিক ত্রুটির কারণে নারীরাই ব্যবহার করেন।
0.5
542.509852
20231101.bn_112016_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
যুক্তিবাদ
যুক্তিবাদকে প্রায়ই অভিজ্ঞতাবাদের বিপরীতে দাড় করানো হয়। বিস্তীর্ন অর্থে এই দু’টো দৃষ্টিভঙ্গী একটা আরেকটা থেকে স্বতন্ত্র্য নয়, কারণ একজন দার্শনিক একই সাথে যুক্তিবাদী ও অভিজ্ঞতাবাদী হতে পারেন। অভিজ্ঞতবাদের সবচেয়ে চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গী বলে যে অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই জ্ঞান অর্জন হয়, হয় পঞ্চইন্দ্রীয় দিয়ে নয়ত বেদনা-সুখের মত গহীন অনুভূতি দিয়ে। জ্ঞানের ভিত্তি অভিজ্ঞতা, আবার অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান অবরোহিতও হয়। দন্দ্ব মূলত জ্ঞানের উৎস এবং জ্ঞান যাচাইয়ের উপযুক্ত পদ্ধতি নিয়েই।
0.5
541.57506
20231101.bn_112016_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
যুক্তিবাদ
যুক্তিবাদের কয়েকটি তরিকার সমর্থকরা বলেন যে ভিত্তিপ্রস্তরমূলক নীতি থেকে, যেমন জ্যামিতির সূত্র, অবরোহী পদ্ধতি দ্বারা সব প্রকার সম্ভাব্য জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। বারুচ স্পিনোজা এবং গটফ্রিড লিবনিৎজ্ এই মতের অনুসারী ছিলেন এবং তারা দেকার্তের উপস্থাপিত কিছু জ্ঞানতাত্ত্বিক এবং অধিবিদ্যাগত সমস্যার সাথে লড়তে গিয়ে তারা যুক্তিবাদের মৌলিক তরিকার জন্ম দেন। স্পিনোজা এবং লিবনিৎজ্ দাবি করেন যে তত্ত্বীয়ভাবে সব প্রকার জ্ঞান (যার মধ্যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানও অন্তর্ভুক্ত) যুক্তি দ্বারা আহরণ করা সম্ভব, যদিও তারা দু’জনই পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে গণিতের মত কিছু ব্যতিক্রমী শাখা বাদে আর কোন ক্ষেত্রেই এই কাজ সম্ভব না। আচরণকে যুক্তির উপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণ করাকেই যুক্তিবাদ বলে।
0.5
541.57506
20231101.bn_112016_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
যুক্তিবাদ
যুক্তিবাদী ও অভিজ্ঞতাবাদীদের মধ্যে পার্থক্যটা পরে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং একারণে উভয় তরিকার দার্শনিকরা এই পার্থক্যীকরণ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। এছাড়া এই পার্থক্যের করণটা আপাতদৃষ্টিতে যত পরিষ্কার মনে হয়, বাস্তবে মোটেই তা নয়; যেমন, প্রধান তিন যুক্তিবাদী অভিজ্ঞতাবাদী বিজ্ঞানের গুরুত্বের প্রতি নিবেদিত ছিলেন, ওদিকে অনেক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাবাদীরা তাঁদের কর্মপদ্ধতি এবং অধিবিদ্যাগত তত্ত্বের দিক দিয়ে দেকার্তের সাথে স্পিনোজা এবং লিবনিৎজের থেকে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন।
0.5
541.57506
20231101.bn_112016_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
যুক্তিবাদ
সক্রেটিস তীব্রভাবে বিশ্বাস করতেন যে দুনিয়া সম্পর্কে জানার আগে মানুষকে নিজেকে জানতে হবে; এর একমাত্র মাধ্যম হল যৌক্তিক চিন্তাভাবনা। এর অর্থ বুঝতে হলে আগে গ্রিকদের বিশ্বদর্শন সম্পর্কে জানতে হবে। মানুষের দু’টো অংশ রয়েছে- শরীর এবং আত্মা। আত্মার আবার দু’টো অংশ রয়েছে- প্রথমত অযৌক্তিক অংশ, যা আমাদের আবেগ দ্বারা গঠিত এবং দ্বিতীয়তঃ যৌক্তিক অংশ, যেটিই আমাদের প্রকৃত রুপ। আমার প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায় অযৌক্তিক আত্মা আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়ে আমাদের শরীরে ঢুকে পড়ে, একারণে জগত সম্পর্কে আমাদের সংবেদনশীল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যা বলে আমরা তাই বুঝতে পারি। আমাদের যৌক্তিক আত্মা আমাদের চেতনার ঊর্ধ্বে, কিন্তু মাঝে মাঝে স্বপ্ন, মানসচিত্র ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে।
0.5
541.57506
20231101.bn_112016_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
যুক্তিবাদ
দার্শনিকের কাজ হল অযৌক্তিক আত্মাকে শরীরের বন্ধন হতে মুক্ত করা (যার জন্য নৈতিক অগ্রগতি প্রয়োজন) এবং যৌক্তিক আত্মার সাথে সংযোগ স্থাপন করে পরিপূর্ণ মানুষের রুপান্তরিত হওয়া। প্রকৃত যুক্তিবাদ তাই নেহাত কোন বুদ্ধিবৃত্তিক প্রক্রিয়া নয়, এটি দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন এবং ব্যক্তির গুণগত প্রকৃতির পরিবর্তনও বটে। একটি যৌক্তিক আত্মা আধ্যাত্মিকভাবে জগতকে দেখে- প্লেটোনিক রুপ বা বস্তুর নির্যাসকে দেখে। এভাবে জগতকে জানতে হলে আগে নিজেকে জানতে হবে, এই প্রেক্ষাপটেই সক্রেটিস বলেছিলেন “know thyself”।
1
541.57506
20231101.bn_112016_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
যুক্তিবাদ
সক্রেটিস তার চিন্তাভাবনাকে লিখিতভাবে প্রকাশ করেননি, কিন্তু তিনি সবসময় সবার সাথে আলাপ-আলোচনা করতেন। তিনি প্রথমে একজন ব্যক্তি একটি বাগাড়ম্বরপুর্ণ প্রশ্ন (আপাতদৃষ্টিতে যার উত্তর আছে বলে মনে হয়) করতেন এবং ব্যক্তিটি উত্তর দিতেন। তারপর সক্রেটিস ব্যক্তির উত্তরগুলোর প্রেক্ষিতে একটার পর একটার প্রশ্ন করে যেতেন যতক্ষণ না সবগুলো সংঘাত নিরসন হত নয়ত ব্যক্তিটি অজ্ঞতা স্বীকার করত (সক্রেটিসের বেশিরভাগ আলোচনা এভাবেই শেষ হত)। সক্রেটিস কখনও উত্তর জানার দাবি করতেন না, কিন্তু তাই বলে তিনি যুক্তি দিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা থামাতেন না। তিনি দেখাতে চাইতেন যে জগত সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানার্জনের পদ্ধতিটি ক্রুটিযুক্ত এবং জগৎ সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান আহরণ করতে চাইলে আমাদেরকে এই পদ্ধতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।
0.5
541.57506
20231101.bn_112016_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
যুক্তিবাদ
দেকার্ত মনে করতেন কেবলমাত্র শ্বাসত সত্য সম্পর্কে জ্ঞান, যেমন গণিতশাস্ত্রের সত্য এবং বিভিন্ন বিজ্ঞানের জ্ঞানতাত্ত্বিক ও অধিবিদ্যাগত ভিত্তি, শুধু যুক্তি দিয়ে আহরণ করা সম্ভব; অন্য সব জ্ঞান, যেমন পদার্থবিদ্যার জ্ঞান অর্জনের জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ও অভিজ্ঞতাবাদী পদ্ধতির প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন যে যদিও স্বপ্নগুলোকে বাস্তব মনে হয়, স্বপ্ন কখনও মানুষকে জ্ঞান দিতে পারে না। তাছাড়া ইন্দ্রিয় যেহেতু প্রপঞ্চের দ্বারা বিভ্রান্ত হতে পারে, তাই মানুষের ইন্দ্রিয়ও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। এর ফলে দেকার্ত অবরোহন করেন যে যুক্তি দিয়ে সত্যান্বেষণ করতে চাইলে বাস্তবতা সম্পর্কে যেকোন বিশ্বাসকেই সন্দেহ করতে হবে। তিনি তার Discourse on Method, Meditations on First Philosophy এবং Principles of Philosophy গ্রন্থগুলোতে এসব বিশ্বাসের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন। দেকার্ত সত্যানুসন্ধানের এমন একটি পদ্ধতি তৈরি করেন যা যুক্তিবহির্ভুত কোন ধারণাকেই জ্ঞান হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। দেকার্ত মনে করেন এই সত্যগুলো "ইন্দ্রিগত অভিজ্ঞতা ছাড়াই” প্রাপ্ত হয়। যুক্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত সত্যগুলোকে এমন সব উপাদানে বিভক্ত করা হবে যা অন্তঃর্জ্ঞান দ্বারা বোধগম্য হয়, এবং এই উপাদানগুলোকে অবরোহন পদ্ধতির ভেতর দিয়ে পরিচালিত করে অবশেষে বাস্তবতা সম্পর্কে পরিষ্কার সত্যতে রুপান্তরিত করা হবে।
0.5
541.57506
20231101.bn_112016_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
যুক্তিবাদ
স্পিনোজা দেকার্ত, ইউক্লিড, থমাস হবস এবং মাইমোনাইডিসের মত ইহুদি দর্শনশাস্ত্রের চিন্তকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন, কিন্তু তার কাজ অনেক ক্ষেত্রেই ইহুদি-খ্রীষ্টান শাস্ত্র থেকে বহির্গমন করেছিল। তার অনেক ধারণা আজকের দার্শনিকদের হয়রান করে এবং তার প্রস্তাবিত অনেক নীতি, বিশেষ করে আবেগ সম্পর্কিত নীতিগুলো আধুনিক মনোবিজ্ঞানকে প্রভাবিত করে। প্রথম সারির দার্শনিকরা পর্যন্ত স্পিনোজার “জ্যামিতিক পদ্ধতি” বুঝতে হিমসিম খাচ্ছেন। গোয়েথ মন্তব্য করেছেন যে তিনি বেশিরভাগ সময় স্পিনোজার কাজকর্ম ও উদ্দেশ্য বুঝতে পারতেন না। তার দর্শন আইন্সটাইন সহ অনেক চিন্তাবিদকে আকর্ষণ করেছে।
0.5
541.57506
20231101.bn_112016_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
যুক্তিবাদ
শীর্ষ যুক্তিবাদীদের মধ্যে লাইবনিৎস ছিলেন সর্বশেষ দার্শনিক যিনি গণিতের মত অন্যান্য বিষয়সমূহতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। লাইবনিৎস দেকার্তের দ্বৈতবাদ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং বস্তুজগতের অস্তিত্বও অস্বীকার করেছিলেন। লাইবনিৎসের দৃষ্টিতে পৃথিবীতে অসংখ্য সরল বস্তু রয়েছে, যাদের নাম দিয়েছেন তিনি “মোনাড” (খুব সম্ভবত তিনি এনি কনওয়ের কর্ম থেকে শব্দটি ধার করেছিলেন)। দেকার্ত ও স্পিনোজার কর্মের প্রতিক্রিয়া হিসেবে লাইবনিৎস “মোনাড” এর ধারণাটি প্রস্তাব করেছিলেন। তার মতে, মোনাড হল বাস্তবতার মৌলিক একক যা দিয়ে জড় ও জীবিত বস্তু গঠিত হয়েছে। এই এককগুলোই মহাবিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করে, যদিও তারা কার্যকারণের সূত্রাদির প্রভাব হতে মুক্ত।
0.5
541.57506
20231101.bn_357511_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B6
হরিবংশ
হরিবংশপর্বে ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি এবং কৃষ্ণের জন্ম পর্যন্ত পৌরাণিক সূর্য ও চন্দ্রবংশীয় রাজাদের বর্ণনা পাওয়া যায়। বিষ্ণুপর্বে মহাভারতের মূল ঘটনার আগে পর্যন্ত কৃষ্ণের জীবন বর্ণিত হয়েছে। ভবিষ্যপর্বে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির একটি বিকল্প তত্ত্ব, শিব ও বিষ্ণুর স্তোত্রাদি এবং কলিযুগের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। হরিবংশে বিষ্ণুর অবতার হিসেবে কৃষ্ণের উৎস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি পাওয়া যায়। তবে এই পুরাণ আগে লেখা কোনো গ্রন্থ থেকে অনুপ্রাণিত কিনা বা কৃষ্ণের উৎস-সংক্রান্ত তথ্যের অন্যতম আকর ব্রহ্মপুরাণের সঙ্গে এর কী সম্পর্ক তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতভেদ আছে।
0.5
538.025155
20231101.bn_357511_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B6
হরিবংশ
পুরাণের "পঞ্চলক্ষণ" প্রথার দুটি হরিবংশে দেখা যায়। একটি হল "বংশ" বা রাজাবলি প্রথা। অপরটিতে রাখাল বালক হিসেবে কৃষ্ণের জীবন বর্ণিত হয়েছে।
0.5
538.025155
20231101.bn_357511_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B6
হরিবংশ
হরিবংশের আখ্যানভাগ বেশ জটিল। এর কিছু কিছু অংশ খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় বা প্রথম শতাব্দীতে রচিত হয় বলে অনুমান করা হয়। হরিবংশের উৎস জানা যায় না। তবে খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর আগেই হরিবংশ মহাভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। কারণ, "কবি অশ্বঘোষ মহাভারতের শ্লোক বলে কয়েকটি শ্লোক উদ্ধৃত করেছেন। এই শ্লোকগুলি শুধু হরিবংশেই পাওয়া যায়।" (দত্ত, ১৮৫৮)
0.5
538.025155
20231101.bn_357511_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B6
হরিবংশ
হপকিনসের মতে, হরিবংশ মহাভারতের সর্বশেষ পর্ব। হরিবংশে রাসলীলার উল্লেখ পাওয়া যায়। তাই হাজরার মতে হরিবংশ খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকের রচনা। তিনি মনে করেন, বিষ্ণুপুরাণ ও ভাগবত পুরাণ যথাক্রমে খ্রিস্টীয় পঞ্চম ও ষষ্ঠ শতাব্দীতে রচিত। দীক্ষিতের মতে, মৎস্য পুরাণের রচনাকাল খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দী। হরিবংশে উল্লিখিত কৃষ্ণের জীবনকাহিনিগুলি তুলনা করলে বোঝা যায় এগুলি পূর্বোক্ত গ্রন্থগুলি থেকে গৃহীত। তাই বিষ্ণুপর্ব ও ভবিষ্যপর্বের রচনাকাল সম্ভবত তৃতীয় শতাব্দী।
0.5
538.025155
20231101.bn_357511_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B6
হরিবংশ
হরিবংশ পর্বের রচনাশৈলী ও বিষয়বস্তু বিষ্ণুপর্ব ও ভবিষ্য পর্বের পূর্ববর্তী সময়ে রচিত। অশ্বঘোষ এই পর্ব থেকেই শ্লোক উদ্ধৃত করেছিলেন। সেই হিসেবে হরিবংশ পর্বটিকে খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে রচিত বলা চলে।
1
538.025155
20231101.bn_357511_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B6
হরিবংশ
হরিবংশের দুটি সংস্করণ পাওয়া যায়। প্রথাগত সংস্করণে তিনটি পর্বে বিন্যস্ত মোট ২৭১টি অধ্যায় রয়েছে। এর মধ্যে হরিবংশ পর্বে ৫৫টি অধ্যায়, বিষ্ণু পর্বে ৮১টি অধ্যায় এবং ভবিষ্য পর্বে ১৩৫টি অধ্যায় রয়েছে। সটীক সংস্করণটি (১৯৬৯-৭১, পি. এল. বৈদ্য সম্পাদিত) প্রথাগত সংস্করণের এক-তৃতীয়াংশ। এই সংকরণে ১১৮টি অধ্যায় ও ৬০৭৩টি শ্লোক পাওয়া যায়। এর মধ্যে হরিবংশ পর্বে ১-৪৫ অধ্যায়, বিষ্ণু পর্বে ৪৬-১১৩ অধ্যায় এবং ভবিষ্য পর্বে ১১৪-১১৮ অধ্যায় দেখা যায়। বৈদ্যের মতে সটীক সংস্করণটি বিস্তারিত পাঠান্তর। তাঁর মতে মূল হরিবংশ এই সংস্করণের ২০শ অধ্যায়ে শুরু এবং ৯৮তম অধ্যায়ে শেষ হয়েছে।
0.5
538.025155
20231101.bn_357511_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B6
হরিবংশ
Bowker, John, The Oxford Dictionary of World Religions, New York, Oxford University Press, 1997, p. 410
0.5
538.025155
20231101.bn_357511_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B6
হরিবংশ
Ruben, Walter (1941) "The Krsnacarita in the Harivamsa and Certain Puranas.” Journal of American Oriental Society. Vol. 61, No.3. pp. 115–127.
0.5
538.025155
20231101.bn_357511_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B6
হরিবংশ
Lorenz, Ekkehard (2007) The Harivamsa: The Dynasty of Krishna, in Edwin F. Bryant (ed.), Krishna, A Source Book, Oxford University Press.
0.5
538.025155
20231101.bn_543983_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
গোর্খাল্যান্ড
গোর্খাল্যান্ড () ভারতের একটি প্রস্তাবিত রাজ্য, যা দার্জিলিং পর্বত এবং দার্জিলিং পর্বত জনগোষ্ঠী এবং পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সের ভারতীয় গোর্খা জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন থেকে জাতিগত-ভাষাগত অধিকারের ভিত্তিতে দাবী করে আসছেন। গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন জাতি-ভাষা-সাংস্কৃতিক অনুভূতির কারণে গতি পেয়েছে সেই সকল মানুষের মাঝে যারা নিজেদেরকে ভারতীয় গোর্খা হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (১৯৮৬-১৯৮৮) এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (২০০৭–বর্তমান) অধীনে গোর্খাল্যান্ডের জন্য দুটি বৃহৎ আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে।
0.5
535.730791
20231101.bn_543983_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
গোর্খাল্যান্ড
দার্জিলিংয়ের জন্য পৃথক প্রশাসনিক অঞ্চলের দাবী ১৯০৭ সাল থেকে যখন মিন্টো–মর্লি সংস্কার কমিটির কাছে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি মানুষের অ্যাসোসিয়েশন পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য স্মারকলিপি প্রদান করে। ১৯১৭ সালে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী অ্যাসোসিয়েশন গভর্নর অভ বেঙ্গল, দ্যা সেক্রেটারি অভ স্টেট অভ ইন্ডিয়া এবং ভাইসরয়ের কাছে দার্জিলিং জেলা ও সংলগ্ন জলপাইগুড়ি জেলাকে নিয়ে পৃথক প্রশাসনিক ইউনিট গঠনের জন্য স্মারকলিপি পেশ করে।
0.5
535.730791
20231101.bn_543983_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
গোর্খাল্যান্ড
১৯২৯ সালে সাইমন কমিশনের কাছে পাহাড়ি মানুষ পূনরায় একই দাবী পেশ করে। ১৯৩০ সালে পাহাড়ীমানুষের এসোসিয়েশন, গোর্খা অফিসার্স এসোসিয়েশন এবং কুরসেওং গোর্খা লাইব্রেরী যৌথভাবে স্টেট অভ ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি স্যামুয়েল হোয়ারের কাছে বাংলা থেকে পৃথক করার পিটিশন জমা দেয়। ১৯৪১ সালে রূপ নারায়ন সিনহার নেতৃত্বে হিলম্যানস এসোসিয়েশন স্টেট অভ ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি লর্ড পেথিক লরেন্সের প্রতি বাংলা প্রদেশ থেকে দার্জিলিংকে পৃথক করে প্রধান কমিশনারের রাজ্য হিসেবে তৈরী করার আহবান জানান।
0.5
535.730791
20231101.bn_543983_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
গোর্খাল্যান্ড
১৯৪৭ সালে অবিভক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই) সাংবিধানিক কমিটির কাছে দার্জিলিং জেলা, সিকিম ও নেপালের সমন্বয়ে গোর্খাস্থান গঠনের দাবিতে একটি স্মারকলিপি পেশ করে যার কপি দেওয়া হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি জওহরলাল নেহেরু এবং অর্থ মন্ত্রীলিয়াকত আলি খানকে।
0.5
535.730791
20231101.bn_543983_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
গোর্খাল্যান্ড
স্বাধীন ভারতে এই অঞ্চলে অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ (ABGL) প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে যারা এই সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের দাবীকে সমর্থন করে। ১৯৫২ সালে এন.বি. গুরুং এর নেতৃত্বে দলটি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সাথে কালিম্পংয়ে সাক্ষাৎ করে এবং বাংলা থেকে পৃথক হওয়ার দাবী জানায়।
1
535.730791
20231101.bn_543983_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
গোর্খাল্যান্ড
১৯৮০ সালে ইন্দ্র বাহাদুর রাইয়ের নেতৃত্বে দার্জিলিংয়ের প্রান্ত পরিষদ তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে দার্জিলিংয়ে নতুন রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা লিখে পাঠায়।
0.5
535.730791
20231101.bn_543983_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
গোর্খাল্যান্ড
১৯৮৬ সালে গোর্খাল্যান্ডের জন্য পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে সুভাষ ঘিসিং এর নেতৃত্বে গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (GNLF) সহিংস আন্দোলন শুরু করেছিলো। যার ফলে ১৯৮৮ সালে দার্জিলিং জেলার নির্দিষ্ট এলাকা শাসনের জন্য দার্জিলিং গুর্খা হিল কাউন্সিল (DGHC) নামে একটি আধাস্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়। তবে ২০০৭ সালে একটি নতুন দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (জিটিএ) পূনরায় গোর্খাল্যান্ডের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের দাবী উত্থাপন করে। ২০১১ সালে জিজেএম রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সংগে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যার অধীনে DGHC এর পরিবর্তে গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন নামে একটি আধাস্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান গঠিত হবে।
0.5
535.730791
20231101.bn_543983_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
গোর্খাল্যান্ড
১৭৮০ সালের পূর্বে দার্জিলিং পর্বত সিকিমের ছোগ্যালদের মালিকানাধীন ছিলো যারা নেপালের গোর্খাদের বিরুদ্ধে অসফল সংঘাতে জড়িয়ে ছিলো। ১৭৮০ সালে গোর্খারা সিকিম আক্রমণ করে এর অধিকাংশ অঞ্চল দখল করে নেয় যার মধ্যে দার্জিলিং এবং শিলিগুড়ি ছিল। উনিশ শতকের প্রথম দিকে তারা সিকিমের এলাকা পূর্বদিকে তিস্তা নদী পর্যন্ত বাড়াতে থাকে এবং তরাই অঞ্চল জিতে নিয়ে এর সংগে যুক্ত করে।
0.5
535.730791
20231101.bn_543983_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
গোর্খাল্যান্ড
এরই মধ্যে ব্রিটিশরা পুরো উত্তর সীমান্তে গোর্খাদের শাসন বন্ধ করতে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করে। ১৮১৪ সালে ইঙ্গ-গোর্খা যুদ্ধ শুরু হয় এবং গোর্খারা পরাজিত হয়। ১৮১৫ সালে সুগাউলি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী গোর্খারা সিকিমের চোগ্যালদের কাছ থেকে যে অঞ্চল (মেচি নদী এবং তিস্তা নদীর মধ্যকার অঞ্চল) করেছে তা নেপালকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
0.5
535.730791
20231101.bn_107730_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
পাদুকাসক্তি
তাছাড়াও যেসকল স্থানে সাধারণত কেউ জুতা তোলেন না, কিংবা জুতাসমেত পা তোলেন না, সেসকল স্থানে জুতা কিংবা জুতাসমেত পা তোলা অবস্থায় কোনো নারীকে দেখলেও পাদুকাসক্তদের পাদুকাসক্তি জাগ্রত হয়। যেমন: অফিসের ওয়ার্কিং টেবিল, ক্লাসরুমের বেঞ্চ, বিছানা, সোফা, চেয়ার ইত্যাদি। লক্ষ্যণীয় যে, বিভিন্ন মূল ধারার চলচ্চিত্রে ভ্যাম্প (Vamp) নারীরা, কিংবা অফিসের নারী বস, কিংবা ভিলেনের যৌনাবেদনময়ী নারী-সহযোগী বা রক্ষিতা (mistress; paramour; concubine) টেবিলের উপর কিংবা সোফার উপর হাই হীলসমৃদ্ধ পা তুলে বসে থাকেন। এইসব আচরণ পাদুকাসক্তদের বিশেষভাবে নাড়া দেয়।
0.5
535.679744
20231101.bn_107730_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
পাদুকাসক্তি
এছাড়াও অনেকেই নারীর পায়ে জুতা দুলানোতে (Shoe Dangling) পাদুকাসক্তির উত্তেজনা খুঁজে পান। এক্ষেত্রে একজন নারী পা থেকে জুতার গোড়ালি বের করে নিয়ে, কিংবা আলগা করে নিয়ে পায়ের আঙ্গুলের উপর ধরে রেখে জুতা নাচিয়ে থাকেন। এমনকি তিনি তার পা দোলালে জুতাও দুলবে। অন্য সমকামী পুরুষ যখন পায়ে জুতা দোলান, কিংবা ঢিলে করে স্নীকার কিংবা স্কেট জুতা পরেন তখন একজন সমকামী পুরুষ তা খুব উপভোগ করেন। অনেক পাদুকাসক্ত সমকামী কিংবা বিপরীতকামী পুরুষ এই দৃশ্য দেখাকে যৌন উদ্দীপক মনে করেন।
0.5
535.679744
20231101.bn_107730_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
পাদুকাসক্তি
কারো কারো কাছে ভালো লাগে নারীর হীলের উপর জুতা নাচানো। এক্ষেত্রে একজন নারী তার হাই হীল জুতার উপর ভর দিয়ে এক পা পিছনে নিয়ে দাঁড়ান, আর আরেক পা তার হীলের উপর রেখে সামনের অংশটা মেঝে থেকে উঠিয়ে নেন, এতে জুতার তলা দেখা যায়; তারপর ডানে-বামে নাড়াচাড়া করেন। এই প্রকারের জুতা নাচানো বসেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে যেকোনো এক পায়ের জুতা হীলের উপর রেখে সামনের অংশটা তুলে ডানে-বামে নাচানো হয়ে থাকে। পাদুকাসক্তদের কাছে জুতার তলা দেখতে পারাটাও যথেষ্ট উত্তেজনাকর।
0.5
535.679744
20231101.bn_107730_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
পাদুকাসক্তি
স্যান্ডেলের কিনারায় আর হীলের ডগায় ভর রেখে এক পা কাত করে দাঁড়ানোর মধ্যেও অনেকে পাদুকাসক্তি দেখে থাকেন। কখনও কখনও স্যান্ডেলের ডগায় ভর দিয়ে, গোড়ালি ও জুতার হীল উঁচু করে, হীল মাটি থেকে তুলে নিয়ে, উচ্চতা ছোঁয়ার চেষ্টাও অনেকের কাছে যথেষ্ট যৌন উদ্দীপক। এছাড়াও চকচকে মার্বেলের মেঝেতে স্টিলেট্টো হাই হীল পরে হাঁটলে, তার স্বচ্ছ প্রতিচ্ছবি যখন মেঝেতে পড়ে, তখন তাও যথেষ্ট পাদুকাসক্তি জাগ্রত করে। সিঁড়ি দিয়ে নামার বা উঠার সময় স্টিলেট্টো হীল হাতে অথবা কাঁধে নিয়ে নামাও কারো কাছে পাদুকাসক্তি জাগ্রতকারী।
0.5
535.679744
20231101.bn_107730_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
পাদুকাসক্তি
অনেকেরই নির্দিষ্ট প্রকারের জুতার প্রতি আসক্তি আছে। তবে প্রায় সব ধরনের পাদুকাসক্তেরই পাম্প শু আর হাই হীল স্যান্ডেলে আসক্তি রয়েছে। কোনো কোনো পাদুকাসক্ত পুরুষ গন্ধের প্রতি আকৃষ্ট হোন। তারা হয় জুতার চামড়া কিংবা রেকযিনের গন্ধ চান, নয়তো রাবারের গন্ধ চান। তবে প্রকৃষ্ট পাদুকাসক্ত সাধারণত পা থেকে খুলে রাখা জুতায় আসক্ত। এক্ষেত্রে চামড়া বা রেকযিন বা রাবারের গন্ধের সাথে পায়ের গন্ধও মিশে যায়, সহজ করে বললে নারীর পায়ের ঘামের গন্ধও মিশে যায়। গবেষকরা একে নোংরাসক্তি'র (mysophilia) পর্যায়ে ফেলতে পছন্দ করেন। এরকম ক্ষেত্রে পুরুষ, নারীর পা থেকে খুলে রাখা জুতা চুপিচুপি হাতে তুলে নিয়ে নাকের কাছে ধরেন। তাতে তার লিঙ্গ উত্তেজনায় শক্ত হয়ে যায়, তিনি লিঙ্গে মৈথুন করে উত্তেজিত হোন। জুতার বাক্স থেকে নামিয়ে আনা অপরিধেয় জুতার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসৃত হয়। তবে আড়ালে এই কাজটি করার সুযোগ থাকলে ব্যক্তি হস্তমৈথুনের মাধ্যমে চরম উত্তেজনায় বীর্য বের করে আনেন, এতে আপাত উত্তেজনা প্রশমিত হয়। এই পর্যায়ের পাদুকাসক্তরা অনেকসময় জুতা খুলে রাখা পায়ের গন্ধ, এমনকি মোজার গন্ধেও উত্তেজিত হোন। পায়ের গন্ধে উত্তেজিতদের পদাসক্ত, আর মোজার গন্ধে উত্তেজিতদের মোজাসক্ত (hose/hosiery fetish) বলা হয়ে থাকে।
1
535.679744
20231101.bn_107730_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
পাদুকাসক্তি
পাদুকাসক্তি আর পদাসক্তির আরেকটি অভ্যাস হলো 'পদ-ছোঁয়া' (footsie; footsy)। পদ-ছোঁয়া হলো নারী তার হাই হীল বা পাম্প শু থেকে পা বের করে নিয়ে তা দিয়ে, সাধারণত টেবিলের নিচ দিয়ে, কোনো পুরুষের পায়ে ঘষতে থাকবেন। এক্ষেত্রে পুরুষের পোশাক পা দিয়েই সরিয়ে নিয়ে পা ঘষতে থাকবেন। পদ-ছোঁয়া পায়ের বদলে হাই হীল দিয়েও করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পরিধেয় জুতা থেকে পা বের না করেই পরিধেয় জুতা তুলে পুরুষের পায়ে, নিম্নাংগে, টেবিলের নিচ দিয়ে, মর্দন করা হয়ে থাকে।
0.5
535.679744
20231101.bn_107730_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
পাদুকাসক্তি
হাই হীলের তলা মসৃণ আর চকচকে হওয়ার চেয়ে খসখসে, ময়লাযুক্ত, ছাল উঠে যাওয়া তলা পাদুকাসক্তদের কাছে একটু বেশি আদরণীয়। এতে হীলের ময়লা তলার প্রতি আকর্ষণ জাগ্রত হয়। অবশ্য ময়লা তলার হীলের উপরিভাগটা চকচকে হলেই বেশি উত্তেজনা জাগায়। এক্ষেত্রে চকচকে উপরিভাগে জিহ্বা দিয়ে চেটে আরো চকচকে করার মধ্যেই পাদুকাসক্তদের আনন্দ।
0.5
535.679744
20231101.bn_107730_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
পাদুকাসক্তি
অনেক পাদুকাসক্ত পুরুষ, নারীর জুতা দিয়ে লিঙ্গ ঘষার মাধ্যমে লিঙ্গকে উত্তেজিত করে (masturbating) যৌনতা জাগ্রত করে চরম যৌনতার তৃপ্তি লাভ করেন। এরা নারীর হীল জুতা নিয়ে লিঙ্গে জুতা ঘষে থাকেন। কেউ কেউ এই পর্যায়ে চূড়ান্ত ভোগ লাভ করতে হীল দিয়ে লিঙ্গে আঘাত করে পুলকিত হোন। কেউ কেউ উভয় জোড়া জুতাই তুলে নিয়ে তাদের তলা দিয়ে দুই পাশ থেকে লিঙ্গকে চেপে ধরে সামনে-পিছনে করে লিঙ্গের চামড়া সংকোচন-প্রসারনের মাধ্যমে অনেকটা হস্তমৈথুনের অনুরূপই চাহিদা পূর্ণ করেন; এক্ষেত্রে খসখসে তলাযুক্ত হাই হীল বেশি পুলক জাগাতে সক্ষম বলে তাদের ধারণা। চূড়ান্ত উত্তেজনায় কেউ কেউ লিঙ্গ দিয়ে বীর্যপাত করে আপাতত উত্তেজনার প্রশমন করে থাকেন; অনেকেই মুক্ত চেতনায়, উন্মুক্ত উত্তেজনার বশবর্তি হয়ে নারীর ঐ জুতার উপরে কিংবা সোলের তলায় বীর্যপাত করেন। অনেকেই এই কাজটি করেন চুরি করে: লুকিয়ে লুকিয়েই, সাধারণত অপরিচিত, কোনো নারীর বাসায় গিয়ে তার জুতার বাক্স খুলে জুতা রাখার স্থান থেকে নামিয়ে আনেন নারীর জুতা। তারপর ঘষতে থাকেন নিজের লিঙ্গে। আর এতে অতিরিক্ত উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ধরা পড়ে যাবার ভয় থেকে।
0.5
535.679744
20231101.bn_107730_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
পাদুকাসক্তি
এছাড়াও অতি সাধারণ মানের পাদুকাসক্ত ব্যক্তি শুধুমাত্র যৌনমিলনের সময় তার যৌনসঙ্গীর পায়ে একজোড়া জুতা প্রত্যাশা করেন। এই জুতা যৌনসঙ্গীর পায়ে থাকলেই তিনি যৌনতা সংক্রান্ত বাড়তি উত্তেজনা পেয়ে থাকেন।
0.5
535.679744
20231101.bn_17894_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B
কলম্বো
কলম্বো (, ; , ; ) শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। শ্রীলঙ্কার পশ্চিম উপকূলের একটি শহর এবং কালানী নদীর মোহনায় অবস্থিত একটি প্রধান সমুদ্রবন্দর। শহরটি মূলত এর বৃহৎ কৃত্রিম পোতাশ্রয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পোতাশ্রয়টির সাথে খাল ও লকের মাধ্যমে বেইরা হ্রদ সংযুক্ত। শ্রীলঙ্কার বেশির ভাগ বৈদেশিক বাণিজ্য কলম্বোর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বন্দরটি জাহাজে পুনরায় জ্বালানি ভরার জন্যও ব্যবহৃত হয়। কলম্বো অতীতে শ্রীলঙ্কার প্রশাসনিক রাজধানী ছিল; বর্তমানে প্রশাসনিক রাজধানীকে কলম্বো-সংলগ্ন শ্রী জয়বর্ধনপুর কোট্টে শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কলম্বোতে লোহা, ইস্পাত ও অন্যান্য ধাতব দ্রব্য, টেক্সটাইল, বস্ত্র এবং রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদিত হয়। এখানে তেল পরিশোধনাগার আছে। কলম্বোর কাছেই শ্রীলঙ্কার প্রশাসনিক রাজধানী শ্রী জয়াবর্ধনপুর অবস্থিত। কলম্বোর বাণিজ্যিক এলাকাটি ফোর্ট বা দুর্গ নামে পরিচিত এবং এটি একটি প্রাচীন দুর্গবেষ্টিত এলাকাতে অবস্থিত। কলম্বোতে সরু, আঁকাবাঁকা গলি ও পুরাতন ভগ্নপ্রায় দালানকোঠার (বিশেষ করে পেত্তা এলাকা) পাশাপাশি রয়েছে প্রশস্ত রাজপথ এবং আধুনিক ভবন। হাসপাতালগুলির মধ্যে পাস্তর ইন্সটিটিউশন অন্যতম। কলম্বোতে বৌদ্ধদের মন্দির, হিন্দু মন্দির, মুসলমানদের মসজিদ এবং খ্রিস্টান গির্জা রয়েছে।
0.5
535.583192
20231101.bn_17894_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B
কলম্বো
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯৬৭ সালে কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৮৯৩ সালে শ্রীলঙ্কা টেকনিকাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়াও শহরে আরও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে।
0.5
535.583192
20231101.bn_17894_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B
কলম্বো
কলম্বো শহরটির পূর্ব নাম ছিল কালান-তোত্তা, যার অর্থ কেলানি নদীর ফেরিঘাট। আরব নাবিকেরা এর বিকৃত নাম দেয় কালাম্বু। ১৫১৭ সালে পর্তুগিজেরা ক্রিস্টোফার কলম্বাসের সম্মানে শহরের নাম বদলে কলম্বো রাখে। ১৬৫৬ সালে ওলন্দাজেরা এবং তারপর ১৭৯৬ সালে ব্রিটিশেরা শহরটি দখলে নেয়।
0.5
535.583192
20231101.bn_17894_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B
কলম্বো
১৫০৫ সালে পর্তুগিজরা প্রথম 'কলম্বো' নামটি চালু করে, মনে করা হয় যে এটি ধ্রুপদী সিংহলি ভাষায় () কলোন থোটা থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ "কেলানি নদীর উপর বন্দর"।
0.5
535.583192
20231101.bn_17894_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B
কলম্বো
আরেকটি বিশ্বাস হল যে নামটি সিংহল নাম থেকে উদ্ভূত () কোলা-আম্বা-থোটা যার অর্থ আমের বন্দর। এটি রবার্ট নক্সের ক্যান্ডিতে বন্দী ছিলেন দ্বীপের ইতিহাসের সাথে মিলে যায়। তিনি লিখেছেন যে , "পশ্চিমে, কলম্বো শহর, যাকে একটি বৃক্ষ থেকে তথাকথিত স্থানীয়রা আম্বো বলে ডাকে, (যা আম-ফল বহন করে) সেই জায়গায় বেড়ে উঠছে; কিন্তু এটা কখনো খালি ফল নয়, কেবল পাতা, যা তাদের ভাষায় কোলা। তারপর তারা কলম্বাসের সম্মানে খ্রীষ্টানরা কলম্বো রাখে।
1
535.583192
20231101.bn_17894_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B
কলম্বো
কলম্বোর ভূগোল হল জমি এবং জলের মিশ্রণ। শহরটিতে অনেকগুলি খাল রয়েছে এবং শহরের ৬৫-হেক্টর (১৬০ একর) বেয়ারা হ্রদ রয়েছে। হ্রদটি কলম্বোর অন্যতম স্বাতন্ত্র্যসূচক চিহ্ন এবং এটি শহর রক্ষায় বহু শতাব্দী ধরে ঐপনিবেশিকরা ব্যবহার করেছিলেন। এটি একটি জনপ্রিয় আকর্ষণ, হোস্টিং রেগ্যাটস, এবং এর তীরে নাট্য ইভেন্টগুলি রয়ে গেছে। কলম্বো শহরের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমানা কেলানি নদী দ্বারা গঠিত, যা শহরের এক অংশে সমুদ্রের সাথে মিলিত হয়ে হয়েছে, যা মোডারা ( সিনহালার মাদার ) নামে পরিচিত, যার অর্থ নদী ব-দ্বীপ।
0.5
535.583192
20231101.bn_17894_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B
কলম্বো
কলম্বো কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাসের অধীনে একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় বর্ষার জলবায়ু অঞ্চলের অর্ন্তগত, এটি একটি ক্রান্তীয় বৃষ্টিপাতের আবহাওয়ার অল্পই পড়ে। কলম্বোর আবহাওয়া সারা বছর জুড়ে মোটামুটি নাতিশীঞ্চো থাকে। মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত গড় উচ্চ তাপমাত্রা ৩১ °সে (৮৭.৮ °ফা) প্রায়। কলম্বোর আবহাওয়ার একমাত্র বড় পরিবর্তন মে থেকে আগস্ট এবং অক্টোবর থেকে জানুয়ারী পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে ঘটে। এটি বছরের এমন সময় যেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের আশা করা যায়। কলম্বো তাপমাত্রার সামান্য আপেক্ষিক দৈর্ঘ্যের পরিধি দেখায়, যদিও এটি শুষ্ক শীতের মাসগুলিতে আরও চিহ্নিত করা হয়, যেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ২২ °সে (৭১.৬ °ফা) পৌছায়। শহরে বার্ষিক বৃষ্টিপাত গড়ে প্রায় ২,৫০০ মিলিমিটার (৯৮ ইঞ্চি)।
0.5
535.583192
20231101.bn_17894_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B
কলম্বো
কলম্বো একটি বহু-ধর্মীয়, বহু-জাতিগত, বহু-সাংস্কৃতিক শহর। কলম্বোর জনসংখ্যা হল অসংখ্য নৃগোষ্ঠীর মিশ্রনস্থল, প্রধানত সিংহলি, শ্রীলঙ্কান তামিল এবং শ্রীলঙ্কান মুরের মিশ্রণ। এই শহরে চীনা, পর্তুগিজ বুর্গার, ডাচ বুর্গার, মালে এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছোট ছোট সম্প্রদায়ের পাশাপাশি অসংখ্য ইউরোপীয় প্রবাসী রয়েছে। কলম্বো শ্রীলঙ্কার সর্বাধিক জনবহুল শহর, ‌এ শহরে ৬৪২,১৬৩ জন নগর সীমার মধ্যে বসবাস করে। ১৬৮৮-এ শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ৮০,০০০ ছিল।
0.5
535.583192
20231101.bn_17894_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B
কলম্বো
কলম্বো একটি চার্টার শহর, যার মেয়র-কাউন্সিল সরকার রয়েছে। মেয়র ও কাউন্সিল সদস্যরা পাঁচ বছরের মধ্যে একবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। বিগত ৫০ বছর ধরে এই শহরটি ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) দ্বারা শাসিত ছিল, যা একটি ডানপন্থি দল, যার ব্যবসায়িক বন্ধুত্বপূর্ণ নীতিগুলি কলম্বোর জনসংখ্যার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল। তবে ২০০৬ সালের পৌর নির্বাচনের জন্য ইউএনপির মনোনয়নের তালিকাটি বাতিল হয়ে যায়, এবং ইউএনপি সমর্থিত একটি স্বতন্ত্র গ্রুপ নির্বাচনে জয়লাভ করে। উয়েস মোহাম্মদ ইমিতিয়াস পরবর্তীকালে কলম্বোর মেয়র নিযুক্ত হন।
0.5
535.583192