_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
5.1k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
11.1k
20231101.bn_73420_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
ব্রাহ্মধর্ম
১৮৫৭ : দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ইউনিটারিয়ান প্রচারক চার্লস ডালকে জানান যে, ডালকে আর কলকাতা ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না এবং “তিনিও সমাজে যিশুর নাম শুনবেন না৷” ডাল তখন রামমোহন রায় সোসাইটি গঠন করে উদারপন্থী ব্রাহ্মদের দেবেন্দ্রনাথের কাছ থেকে সরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন৷ কেশবচন্দ্র সেন কলকাতা ব্রাহ্মসমাজে যোগ দেন৷ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই সময় সিমলায় ছিলেন৷ সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয়৷ ব্রাহ্মসমাজের অছি পরিষদের প্রায় সকল সদস্য ব্রিটিশ রাজশক্তিকে সমর্থন করেন এবং বিদ্রোহীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান৷
0.5
1,198.587353
20231101.bn_73420_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
ব্রাহ্মধর্ম
১৮৬০ : চার্লস ডাল খোলাখুলি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আক্রমণ করেন এবং থিওডোর পার্কার ও উইলিয়াম চ্যানিঙয়ের হিন্দুদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করার পদ্ধতি অনুসারে উদারপন্থী ব্রাহ্ম নব্য-খ্রিস্টান গোষ্ঠীটিকে অনুমোদন করেন৷
1
1,198.587353
20231101.bn_73420_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
ব্রাহ্মধর্ম
১৮৬৬ : প্রগতিশীল বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীটির থেকে নিজেদের পৃথক করার জন্য ব্রাহ্মসমাজের প্রথম অংশ ও কলকাতা ব্রাহ্মসমাজের নাম হয় ‘আদি ব্রাহ্মসমাজ’৷
0.5
1,198.587353
20231101.bn_73420_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
ব্রাহ্মধর্ম
১৮৭১ : আদি ব্রাহ্মসমাজের নেতারা বিতর্কিত ‘ব্রাহ্ম বিবাহ বিল, ১৮৭১’-এর পরিপ্রেক্ষিতে খোলাখুলিভাবে প্রগতিশীল গোষ্ঠীটির বিরোধিতা করেন৷ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, “আমরা প্রথমে ব্রাহ্ম, পরে ভারতীয় বা হিন্দু৷”
0.5
1,198.587353
20231101.bn_73420_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
ব্রাহ্মধর্ম
১৮৭২ : বিবাহ-সংক্রান্ত বিলটি বাহ্যিকভাবে ব্রাহ্মদের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ না করে ‘১৮৭২ সালের বিশেষ বিবাহ আইন (আইন তিন)’ হিসেবে পাস করা হয়৷ এই আইনে বলা হয় যে, এই আইনে বিয়ে করতে হলে ‘আমি হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান বা ইহুদি নই’ বলে ঘোষণা করা বাধ্যতামূলক৷ এর মাধ্যমে এটি একমাত্র ব্রাহ্মদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য করা হয়৷
0.5
1,198.587353
20231101.bn_73420_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE
ব্রাহ্মধর্ম
১৮৭৮ : ব্রাহ্মসমাজের বিভক্ত অংশটি আবার ভেঙে যায়৷ এই অংশের অধিকাংশ সভ্য মধ্যপন্থী সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ গঠন করেন৷ আদি ব্রাহ্মসমাজের দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রাজনারায়ণ বসু তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান৷ সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের বিশিষ্ট নেতারা ছিলেন শিবনাথ শাস্ত্রী, আনন্দমোহন বসু ও শিবচন্দ্র দেব৷
0.5
1,198.587353
20231101.bn_385320_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE
অশ্বত্থামা
অশ্বত্থামা এর পিতার নাম গুরু দ্রোণ আর তার মাতার নাম কৃপী। তিনি একটি বনের গুহায় জন্মগ্রহণ করেন (বর্তমানে তপকেশ্বর মহাদেব মন্দির, দেরাদুন। উত্তরাখণ্ড)। দ্রোণ ভগবান শিবকে সন্তুষ্ট করার জন্য বহু বছর ধরে কঠোর তপস্যা করেন যাতে ভগবান শিবের মতো পরাক্রমশালী পুত্র লাভ করেন। অশ্বত্থামা তার কপালে একটি মূল্যবান এবং শক্তিশালী রত্ন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন প্রভু শিব এর আশীর্বাদ হিসাবে যা তাকে মানুষের চেয়ে নীচের সমস্ত জীবের উপর ক্ষমতা দেয়; এটি তাকে ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ক্লান্তি, বার্ধক্য এবং সকল প্রকার রোগ, অস্ত্র এবং দেবতাদের থেকে রক্ষা করে। ঐশ্বরিক রত্নটি প্রায় অশ্বত্থামাকে অজেয় এবং অমর করে তোলে। জন্মের সময় অশ্বত্থামা অশ্বের মত শব্দ করেছিলেন বলে তার এইরূপ নামকরণ করা হয়।
0.5
1,182.795346
20231101.bn_385320_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE
অশ্বত্থামা
অশ্বত্থামার পিতা গুরু দ্রোণ ছিলেন একজন ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণ হয়েও তিনি ক্ষত্রিয়ের মতো যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। তিনি তার যুদ্ধ শিক্ষা শেখেন তার পিতা ভরদ্দাজ মুণির কাছ থেকে। তার পিতার দেওয়া শিক্ষাই তিনি তার ছাত্রদের শেখাতেন। যারা ব্রাহ্মণ কুলে জন্মগ্রহণ করে একই সাথে ব্রাহ্মণ্য এবং ক্ষাত্রধর্ম পালন করে, তাদের ব্রহ্মক্ষত্রিয় বলা হয়। এজন্য পরশুরামের মত অশ্বত্থামা, কৃপাচার্য এবং দ্রোণাচার্য তাদেরও ব্রহ্মক্ষত্রিয় বলা হয়।
0.5
1,182.795346
20231101.bn_385320_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE
অশ্বত্থামা
একবার তার বাল্যকালের মিত্র রাজা দ্রুপদের কাছে গেলে তিনি গুরু দ্রোণকে অপমান করেন। আর সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে তিনি হস্তিনাপুরে এসে তার যোগ্য শিষ্য খুঁজতে থাকেন। সেখানে তিনি কৌরব কুমারদের সাথে তার একমাত্র পুত্র অশ্বত্থামাকে যুদ্ধ শিক্ষা দিতে আরম্ভ করেন। গুরু দ্রোন দেখতে পেলেন সেখানে ধনু বিদ্যাতে অর্জুন বিশেষ দক্ষতা অর্জন করছে, তাই তিনি তার পুত্র অশ্বত্থামাকে সেরা ধনুর্বি‌দ হবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন। অশ্বত্থামা বহু গুপ্ত ঐশ্বরিক অস্ত্র প্রয়োগের কৌশল এবং বিদ্যা পিতার কাছ থেকে শিখেছিলেন।
0.5
1,182.795346
20231101.bn_385320_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE
অশ্বত্থামা
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ এ অশ্বত্থামা কৌরবদের পক্ষ অবলম্বন করেন। আর তার পিতা গুরু দ্রোণ তার ছেলে অশ্বত্থামার স্নেহের কারণে কৌরবদের পক্ষে থাকেন। এই কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধে অশ্বত্থামার বিশেষ অবদান রয়েছে। তিনি পাণ্ডবদের বহু সেনা হত্যা করেন। তাকে বধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে দ্রোণাচার্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলে দ্রোণকে বধ করার জন্য পাণ্ডবগণ শ্রীকৃষ্ণের সাথে পরামর্শ করেন। আর তখন শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবদের বলেন কোন ভাবে যদি গুরু দ্রোণের কানে অশ্বত্থামার মৃত্যুর খবর পোঁছানো যায় তাহলে সে সময় ধৃষ্টদ্যুম্ন তাঁকে হত্যা করবে। শ্রীকৃষ্ণের পরামর্শ‌ মতো ভীম পাণ্ডবপক্ষের ইন্দ্রবর্মার অশ্বত্থামা নামক হাতিকে হত্যা করেন। আর সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন যুধিষ্ঠির। আর একমাত্র গুরু দ্রোণ যুধিষ্ঠিরের কথাকে বিশ্বাস করবেন। তাই যুধিষ্ঠির দ্রোণের উদ্দেশ্যে 'অশ্বত্থামা হতঃ- ইতি গজ' (অশ্বত্থামানামক হাতী নিহত হয়েছে) বাক্য উচ্চারণ করেন। ইতি গজ শব্দটি আস্তে বলাতে দ্রোণাচার্য মনে করেন যে তার পুত্র অশ্বত্থামার মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়েছে। এরপর দ্রোণাচার্য অস্ত্র ত্যাগ করলে ধৃষ্টদ্যুম্ন তাঁকে হত্যা করেন। আর তাতে অশ্বত্থামা ভীষন খেপে যায়।
0.5
1,182.795346
20231101.bn_385320_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE
অশ্বত্থামা
অর্জুন কর্তৃক কর্ণের মৃত্যুর পরে দুর্যোধন অশ্বত্থামাকে সেনাপতি নিয়োগ করেন। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে যখন দুর্যোধনসহ কৌরবদের সবাই মারা যায় তখন শেষ সময়ে এসে অশ্বত্থামা দুর্যোধনকে বলেন কি করলে দুর্যোধন মৃত্যু কালে খুশিতে মৃত্যু বরণ করতে পারবেন। আর তার উত্তরে দুর্যোধন বলেন তিনি পাণ্ডবদের বংশকে নিশ্চিহ্ন দেখতে চান। তার মিত্রের কথা রক্ষার জন্য অশ্বত্থামা সাথে সাথে পাণ্ডবদের শিবিরে গমন করেন। তার সাথে ছিলেন কৌরবপক্ষীয় জীবিত আর দুইজন, কৃপাচার্য ও কৃতবর্মা। রাত্রে অশ্বত্থামা দেখেন গাছের ডালে কাকের বাসাকে প্যাঁচা আক্রমণ করছে। তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় পাণ্ডবদের হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। কৃপ আর কৃত এই নীচ কাজে আপত্তি জানালেও অশ্বত্থামা শুনলেন না। আর কোন উপায় না থাকায় অবশেষে তারা অশ্বত্থামার সাথে পান্ডবদের শিবির আক্রমণ করতে রাজি হলেন এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা একসাথে শিবিরের দিকে যেতে শুরু কর্লেন। যখন অশ্বত্থামা সেখানে পৌঁছান তখন তিনি ভগবান শিব এর মুখোমুখি হন যিনি পাণ্ডবদের শিবিরের পাহারা দিচ্ছিলেন একটি ভয়ঙ্কর ভূতের রূপ গ্রহণ করে, তাকে চিনতে না পেরে অশ্বত্থামা নির্ভয়ে তার সমস্ত শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে সেই ভয়ঙ্কর ভূতটিকে আক্রমণ করতে শুরু করেছিলেন কিন্তু তার সামান্য ক্ষতিও করতে অক্ষম হন। এর পরে অশ্বত্থামা আগুনের গর্তে বসে ভগবান শিব এর ধ্যান করতে শুরু করেন এবং অবশেষে তাকে মুগ্ধ করে তুলেন যার পরে ভগবান শিব তার আসল রূপে অশ্বত্থামার সামনে উপস্থিত হন এবং তাকে একটি ঐশ্বরিক তলোয়ার প্রদান করেন এবং স্বয়ং অশ্বত্থামার দেহে প্রবেশ করে তাকে সম্পূর্ণরূপে অপ্রতিরোধ্য করে তোলেন।
1
1,182.795346
20231101.bn_385320_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE
অশ্বত্থামা
এরপর অশ্বত্থামা শিবিরে প্রবেশ করেন, শিবিরে গিয়ে ধৃষ্টদ্যুম্নকে দেখা মাত্র তাকে হত্যা করেন‌ অশ্বত্থামা। তারপরে অশ্বত্থামা দ্রৌপদীর পাঁচ পুত্রকে, শিখণ্ডী ও অন্যান্য পাণ্ডব বীরদের হত্যা করেন। বেশিরভাগ যোদ্ধা এমনকি ফিরে লড়াই করেছিলেন তবে অশ্বত্থামা এগারো জন রুদ্রের একজন হিসাবে তাঁর সক্রিয় দক্ষতার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ছিলেন না। উল্লেখ্য, এই সময় পঞ্চপাণ্ডব, কৃষ্ণ গঙ্গাতীরে অবস্থান করছিলেন।‌ হৃদয় বিদারক খবরটি পেয়ে শিবিরে ফিরে আসার পর পুত্রশোকাহত দ্রৌপদীকে শান্ত করতে তাকে যেকোনো প্রকারে বধ করতে যান অর্জুন। তাদের দেখে অশ্বত্থামা শক্তিশালী ব্রহ্মশির অস্ত্র প্রয়োগ করলে অর্জুন বাধ্য হন ব্রহ্মশির দিয়ে ব্রহ্মশির প্রতিরোধ করতে। বেদ ব্যাসের মধ্যস্থতায় বিপর্যয় নিবৃত্ত হয় কিন্তু সেটা গিয়ে উত্তরার গর্ভে থাকা সন্তানের উপর পড়ে।
0.5
1,182.795346
20231101.bn_385320_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE
অশ্বত্থামা
অশ্বত্থামার এই পাপকর্মের কারণে শ্রীকৃষ্ণ অশ্বত্থামাকে ৩০০০ বছর ধরে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, তুমি যেভাবে তোমার পাপকর্মের দ্বারা দ্রৌপদীর এবং উত্তরার প্রেমকে চিরকালের জন্য দুঃখিত করেছ, ঠিক একইভাবে তোমার এই অমূল্য রত্নটির ব্যত্যয় তুমিও ভোগ করবে। ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকবে,মৃত্যু চাইবে কিন্তু মরবে না। শারীরিক এবং মানসিক আঘাত সহ্য করে অন্যদের যে যন্ত্রণা দিয়েছেন তা অনুভব করতে সক্ষম হবেন এবং কখনও শান্তি পাবেন না, এর পরেই অশ্বত্থামা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল।
0.5
1,182.795346
20231101.bn_385320_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE
অশ্বত্থামা
পবিত্র স্কন্দ পুরাণ অনুসারে, পরে ঋষি বেদ ব্যাসের পরামর্শে, অশ্বত্থামা বহু বছর ধরে ভগবান শিবের কঠোর তপস্যা করেন এবং তাঁর ভক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অবশেষে ভগবান শিব অশ্বত্থামাকে শ্রী কৃষ্ণের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেন। এবং এটিও বলা হয় যে এই মুহুর্তটি ছিল যখন অশ্বত্থামা শিবের আশীর্বাদে অমর হয়েছিলেন।
0.5
1,182.795346
20231101.bn_385320_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%85%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE
অশ্বত্থামা
মন্ত্রটি বলে যে আটজন অমর (অশ্বত্থামা, মহাবলী, ব্যাস, হনুমান, বিভীষণ, কৃপা, পরশুরাম এবং মার্কণ্ডেয়) স্মরণে একজনকে অসুস্থতা এবং স্বল্পায়ু থেকে মুক্তি দেয়।
0.5
1,182.795346
20231101.bn_94857_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
চাকা
চাকা বা চক্র যানবাহনে ব্যবহৃত একপ্রকারের বৃত্তাকার যন্ত্রাংশ। চাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত অক্ষ বরাবর এটি ঘুরতে পারে। চাকার উপরে গড়িয়ে গড়িয়ে যানবাহন অবস্থান পরিবর্তন করে থাকে।
0.5
1,159.075498
20231101.bn_94857_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
চাকা
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ৫০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে প্রাচীন মেসোপটেমিয়াতে চাকা আবিষ্কৃত হয়। শুরুতে কুমোরদের কাজে এটির ব্যবহার ছিলো। ককেশাসের উত্তর দিকে বেশ কিছু কবর পাওয়া গেছে যাতে ৩৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ হতে ঠেলাগাড়িতে করে মৃতদেহ কবর দেয়া হয়েছে। ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কাছাকাছি সময়ে তৈরি করা একটি মাটির পাত্র দক্ষিণ পোল্যান্ডে পাওয়া গেছে, যাতে চার চাকার একটি গাড়ির ছবি আছে। এটিই এ পর্যন্ত প্রাপ্ত চাকাযুক্ত গাড়ির ছবির সবচেয়ে পুরানো নিদর্শন।
0.5
1,159.075498
20231101.bn_94857_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
চাকা
খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ সহস্রাব্দ নাগাদ চাকার ব্যবহার ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতীয় উপমহাদেশের সিন্ধু সভ্যতায় চাকার ব্যবহার শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় সহস্রাব্দের দিকে। চীনে চাকার ব্যবহার দেখা যায় ১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে, যখন চাকাযুক্ত গাড়ির প্রচলন হয়। তবে বারবিয়েরি-লো (২০০০) এর মতে আরো পূর্বে খ্রিষ্টপূর্ব ২য় সহস্রাব্দের দিকে চীনে চাকার প্রচলন ছিলো।
0.5
1,159.075498
20231101.bn_94857_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
চাকা
মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন সভ্যতায় চাকার ব্যবহার দেখা যায় না। তবে অলমেক ও অন্যান্য কিছু আমেরিকার সভ্যতার নিদর্শনের মধ্যে শিশুদের খেলনা হিসাবে চাকাযুক্ত গাড়ি পাওয়া গেছে। প্রায় ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের এসব খেলনাতে চাকার ব্যবহার থাকলেও আমেরিকার সভ্যতাগুলোতে যানবাহনের যন্ত্রাংশ হিসাবে চাকার প্রচলন ছিলো না।
0.5
1,159.075498
20231101.bn_94857_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
চাকা
প্রাচীন নুবিয়াতে চাকা ব্যবহার করা হতো মাটির হাড়ি ও পাত্র তৈরিতে, এবং পানি উত্তোলনে। নুবিয়ার পানি উত্তোলনে ব্যবহৃত চাকাগুলো ঘুরানো হতো গবাদিপশু দিয়ে। নুবিয়ার অধিবাসীরা মিশর থেকে আনা অশ্বচালিত রথ ব্যবহার করতো।
1
1,159.075498
20231101.bn_94857_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
চাকা
চাকা ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত সমতল বা মসৃন রাস্তা না থাকায় চাকার প্রচলন কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়। যেসব এলাকায় রাস্তা ছিলোনা এবং অসমতল ভূমির উপর দিয়ে চলতে হয়েছে, সেসব এলাকায় চাকা-যুক্ত যানবাহনের বদলে মানুষের কিংবা পশুর পিঠে করে মাল বহন করা হতো। এমনকি বিংশ শতকের পূর্ব পর্যন্ত বিশ্বের অনুন্নত এলাকাগুলোতে ভালো রাস্তাঘাটের অভাবে চাকাযুক্ত যানবাহনের ব্যবহার কম ছিলো।
0.5
1,159.075498
20231101.bn_94857_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
চাকা
শুরুতে চাকা নির্মাণ করা হতো কাঠের চাকতি দিয়ে, যার কেন্দ্রে অক্ষদণ্ডের জন্য একটি গর্ত করা হতো। স্পোকযুক্ত চাকা অনেক পরে উদ্ভাবিত হয়। এই রকমের চাকার ব্যবহার গাড়ির ওজন কমিয়ে আনে, যার ফলে দ্রুতগতির বাহন তৈরি করা সম্ভব হয়। প্রায় ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের সমকালীন আন্দ্রোনভ সংস্কৃতিতে স্পোকযুক্ত চাকার ব্যবহার পাওয়া যায়। এর অল্প পড়েই ককেসাস এলাকার অধিবাসীরা অশ্বচালিত বাহনে স্পোকযুক্ত চাকা ব্যবহার করে। মূলত যুদ্ধে ব্যবহৃত রথে এধরনের চাকা তারা ব্যবহার করতো। এখান থেকে স্পোকযুক্ত চাকার ব্যবহার গ্রিক উপদ্বীপে ছড়িয়ে পড়ে। চাকাযুক্ত বাহনের ব্যবহার গ্রিক সভ্যতার বিকাশে সহায়তা করে। খ্রিষ্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দ নাগাদ কেল্টিকদের রথগুলোতে এমন চাকা ব্যবহার করা যেতো, যার পরিধি বরাবর লোহার বেষ্টনি দেয়া থাকতো। ফলে এ ধরনের চাকাগুলো অনেক মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হতো। স্পোকযুক্ত চাকা এভাবেই প্রায় অপরিবপর্তিত অবস্থাতে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ব্যবহৃত হয়ে আসে। ১৮৭০ খ্রিঃ এর দিকে চাকায় নিউম্যাটিক টায়ার ব্যবহার করা শুরু হয়।
0.5
1,159.075498
20231101.bn_94857_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
চাকা
সামগ্রিক ভাবে চাকার আবিষ্কার কেবল পরিবহন ব্যবস্থায় নয়, বরং প্রযুক্তির নানা দিকে নতুন নতুন যন্ত্র উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। চাকা ব্যবহার করে জল চক্র (পানি তোলার এবং পানি হতে শক্তি আহরণের চাকা), গিয়ার চাকা, চরকা, ইত্যাদি তৈরি করা হয়। সাম্প্রতিক কালের প্রপেলার, জেট ইঞ্জিন, জাইরোস্কোপ, এবং টারবাইন—এর সবই চাকারই পরিবর্তিত রূপ।
0.5
1,159.075498
20231101.bn_94857_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
চাকা
চাকা এক প্রকারের যন্ত্র যা বলের প্রভাবে কোনো বস্তুকে একটি তলের উপর দিয়ে দক্ষভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। অক্ষদণ্ডের সাথে যুক্ত করে গাড়িতে চাকা ব্যবহার করা হয়। এখানে হয় চাকা ঘুরে অথবা অক্ষদণ্ডটি নিজেই গাড়ির সাপেক্ষে ঘুরে, যার ফলে গাড়িটি চলতে পারে।
0.5
1,159.075498
20231101.bn_252255_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B6%E0%A6%BE
রিকশা
১৯২০-এর দশকে সুদূর পূর্বের আদলে ভারতেও 'সাইকেল রিকশা' প্রবর্তিত হয়। এগুলি আকারে ট্রাইসাইকেলের তুলনায় বড়। পিছনে উঁচু সিটে দুজন আরোহীর বসার জায়গা থাকে এবং সামনের প্যাডেলে একজন বসে রিকশা টানে। ২০০০-এর দশকে কোনো কোনো শহরে যানজট সৃষ্টির জন্য সাইকেল রিকশা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। যদিও দূষণহীন যান হিসেবে সাইকেল রিকশা রেখে দেওয়ার পক্ষেই মত প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা।
0.5
1,151.52007
20231101.bn_252255_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B6%E0%A6%BE
রিকশা
প্রাচীনকাল থেকে ১৯ শতক পর্যন্ত চীনে চাকাযুক্ত এক ধরনের চেয়ারের প্রচলন ছিল। এই চলন্ত চেয়ারকে কৃতদাসরা পিছন দিক থেকে ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যেত। এর ব্যবহার উচ্চবংশীয় ব্যক্তিদের মধ্যই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে বর্তমানে প্রচলিত রিক্সা বলতে যা বোঝায় তা সর্বপ্রথেম দেখা যায় ১৮৯৮ সালে। এর প্রচলিত নাম ছিল dongyangche। ১৮৭৪ সালে জাপান থেকে ১০০০ টি রিক্সা আমাদনীর মাধ্যমে সাংহাইতে রিক্সা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। ১৯১৪ সালের মধ্যে সেখানে রিক্সার সংখ্যা দাঁড়ায় ৯,৭১৮। বেশীরভাগ রিক্সা শ্রমিক ছিল শ্রমজীবি গরীব শ্রেণীর মানুষ। ১৯৪০ সালের মধ্যে সেখানের রিক্সা শ্রমিকদের সংখ্যা ১,০০,০০০ জনে উন্নীত হয়।
0.5
1,151.52007
20231101.bn_252255_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B6%E0%A6%BE
রিকশা
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে রিকশা একটি বহুল ব্যবহৃত পুরোন যানবাহন। এদেশের আনাচে কানাচে রয়েছে রিকশা। দেশটির রাজধানী ঢাকাকে বিশ্বের রিকশা রাজধানী বলা হয়। এই শহরে রোজ প্রায় ৪,০০,০০০টি সাইকেল রিকশা চলাচল করে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে, ঢাকায় কমপক্ষে পাঁচ লক্ষাধিক রিকশা চলাচল করে এবং ঢাকার ৪০ শতাংশ মানুষই রিকশায় চড়ে। ২০১৫ সালের গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রকাশনায় এ সম্পর্কিত একটি বিশ্বরেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শহরটিতে রিকশা একদিকে যেমন পুরোন বাহন, তেমনি এই রিকশার কারণে সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড যানজট। বাংলাদেশে রিকশার ঐতিহ্য থাকলেও তাই বড় বড় সড়কগুলোতে রিকশা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের ছোট বড় প্রায় সব শহরেই রিকশা একটি পরিচিত ও সুপ্রাচীন বাহন।বাংলাদেশের রিকশা নিয়ে অনেক গবেষণাও হয়েছে।
0.5
1,151.52007
20231101.bn_252255_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B6%E0%A6%BE
রিকশা
এ দেশের রিকশাসমূহ গঠন এবং শৈল্পিক দিক থেকে স্বাতন্ত্র্য।রিকশাগুলোতে শৈল্পিক হাতের ছোয়ায় ফুটে উঠে রিকশাচিত্র।ফুল-ফল,নদ-নদী,দেশের প্রকৃতি,চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকা বা দেশের বিভিন্ন ঐতিহ্য এসব রিকশাচিত্রে ঠাঁই পায়।
0.5
1,151.52007
20231101.bn_252255_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B6%E0%A6%BE
রিকশা
রিকশাচিত্র বাংলাদেশের একটি নিজস্ব চিত্রশিল্প।একে চিত্রকলার আলাদা একটি মাত্রা বলা যায়। যেকোনো চিত্রই রিকশার পিছনে আঁকলেই তা রিকশাচিত্র হলেও, মূলত রিকশাচিত্র বলতে উজ্জ্বল রঙে আঁকা কিছু চিত্রকে বোঝায়, যা খুব সাবলিল ভঙিতে বিষয়বস্তুকে উপস্থাপন করতে সক্ষম। সাধারণত বাংলাদেশের রিকশার পিছনে, হুডে এবং ছোট ছোট অনুষঙ্গে এই বিশেষ চিত্রকলা লক্ষ করা যায়।তবে ভারতের কিছু জায়গার রিকশাগুলোতেও এ ধরনের চিত্র দেখা যায়। বিশেষজ্ঞগণ এধরনের চিত্রকলাকে ফোক আর্ট, পপ আর্ট কিংবা ক্র্যাফট সব দিক দিয়েই আলোচনা করতে পছন্দ করেন। তাদের মতে, যেকোনো বস্তুরই 'ফর্ম' আর 'ডেকোরেশন' নামে দুটি দিক থাকলেও রিকশাচিত্র কেবলই একপ্রকার 'ডেকোরেশন', এর ব্যবহারিক কোনো দিক নেই। চিত্রকরদের মতে, রিকশাচিত্রের টান বা আঁচড়গুলো খুবই সাবলিল, প্রাণবন্ত এবং স্পষ্ট, এবং টানগুলো হয় ছোট ছোট ও নিখুঁত। অথচ এই বিশেষ চিত্রকলার জন্য নেই কোনো আলাদা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, একেবারে দেশজ কুটিরশিল্পের মতই শিল্পীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে শিখে থাকেন এই চিত্রশিল্প এবং নিজের কল্পনা থেকেই এঁকে থাকেন এসব চিত্র। যদিও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর লোকজন রিকশাচিত্রের মর্যাদা সম্পর্কে অতোটা ওয়াকিবহাল নন এবং কিছুটা হেয় করেই দেখে থাকেন।
1
1,151.52007
20231101.bn_252255_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B6%E0%A6%BE
রিকশা
বাংলাদেশে রিকশাচিত্র ১৯৫০-এর দশক থেকে প্রচলিত, এবং রিকশার প্রায় সম্ভাব্য সবগুলো অংশই চিত্রিত করার একটা প্রয়াস লক্ষ করা যেত। জ্যামিতিক নকশার পাশাপাশি ফুল, পাখি এমনকি জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকাদের ছবি আঁকারও প্রচলন ছিল। কখনও রিকশাচিত্রে রিকশাওয়ালার ধর্মীয় বিশ্বাস প্রতিফলিত হতো, আবার কখনও হয়তো নিছক কোনো বক্তব্য কিংবা সামাজিক কোনো বিষয় দেখা যেত। তবে আধুনিক জগতে বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি সহজলভ্য হওয়ায় হাতে আঁকা সেসব চিত্রকর্ম এখন আর সচরাচর দেখা যায় না, বরং বিভিন্ন জায়গা থেকে ছবি কম্পিউটারে কাটছাট করে সাজিয়ে টিনের ধাতব প্লেটে সেগুলো ছাপ দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা হয় এখনকার রিকশাচিত্রগুলো, সেখানে থাকেনা দেশজ কোনো ঐতিহ্য, থাকেনা কোনো চিত্রকলার মোটিফ, বরং থাকে চলচ্চিত্রের পোস্টার কিংবা নায়ক-নায়িকার ছবি।
0.5
1,151.52007
20231101.bn_252255_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B6%E0%A6%BE
রিকশা
রিকশা নিয়ে খুব যে বেশি গবেষণা হয়েছে এমনটি নয়, গুটিকতক গবেষক নিজ নিজ ক্ষেত্রে রিকশা নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে গবেষণা করেছেন। বাংলাদেশে রিকশা নিয়ে গবেষণা করেছেন এরকম উল্লেখযোগ্য একজন হলেন প্রকৌশলী বোরহান। তিনি স্বীয় প্রচেষ্টায় রিকশার জন্য সুবিধাজনক বিভিন্ন সরঞ্জামাদির উদ্ভাবন করেছেন। তার উদ্ভাবিত সামগ্রির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: শক অ্যাবজর্বিং বাম্পার, যা পেছন থেকে পাওয়া ধাক্কাকে হজম করে যাত্রীকে রাখে নিরাপদ; হুইল ক্যাপ, যা পাশাপাশি চলাচলরত দুটো রিকশাকে রাখে নিরাপদ এবং নিকটবর্তি পথচারীদের রাখে আঘাতমুক্ত। এছাড়া ভিআইপি রাস্তায় রিকশার চলাচল আটকাতে তার উদ্ভাবিত রিকশা ফাঁদ ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ডের মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এরকম একটি ফাঁদ রয়েছে বাংলামোটর মোড়ে। এই রিকশা ফাঁদগুলো সাধারণত লোহার পাইপ ৩৫ ডিগ্রি বাঁকা করে বসানো আয়তাকার বস্তু, যা পাকা রাস্তার মধ্যে বসানো থাকে, উপর দিয়ে অন্যান্য সকল যান চলাচল করতে পারলেও রিকশা এই ফাঁদের উপর দিয়ে চলাচল করতে গেলে আটকা পড়ে।
0.5
1,151.52007
20231101.bn_252255_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B6%E0%A6%BE
রিকশা
রিকশার জনপ্রিয়তা কিংবা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয় বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১-এর বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, যেখানে বাংলাদেশের রিকশায় করে মাঠে উপস্থিত হন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর দলপতিরা। পাশাপাশি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের উদ্যোগে বিশ্বকাপে আগত অতিথিদের বরণে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে ৭টি রিকশা পাশাপাশি বসিয়ে পিছনে WELCOME-এর প্রতিটি হরফ আলাদা আলাদাভাবে লিখে স্বাগত জানানো হয়। এছাড়া ঐবছর বিশ্বকাপকে উপলক্ষ করে সিএনএনগো ওয়েবসাইট প্রকাশ করে ঢাকার দশটি বিষয়ের বর্ণনামূলক প্রতিবেদন, যে দশটি বিষয় দিয়ে চেনা যাবে ঢাকাকে, যার তৃতীয়টিই ছিল রিকশাচিত্র। সেখানে তুলে ধরা হয় রিকশাচিত্রের ব্যবসা ঢাকায় খুব জমজমাট। ঢাকায় রিকশার সংখ্যা অনেক এবং প্রায় প্রতিটি রিকশার পেছনেই রিকশাচিত্র রয়েছে। রিকশাচিত্রগুলোয় স্থানীয় চলচ্চিত্র তারকা, মসজিদ, দেব-দেবী কিংবা প্রকৃতি-পরিবেশের চিত্র রয়েছে।
0.5
1,151.52007
20231101.bn_252255_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B6%E0%A6%BE
রিকশা
রিকশাচিত্র নিয়ে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে রিকশার বাইরেও কাজ করা হয়েছে। যেমনঃ বিভিন্ন ফ্যাশন অনুষঙ্গে: জুতায়, পোষাকে, দেয়ালচিত্রে, গামছায়, ঘর সাজানোর উপাদানে, ঘরোয়া আসবাবে, কিংবা শৌখিন শোপিসে রিকশাচিত্রের প্রয়োগ করা হয়েছে বিভিন্ন সময়। বাংলাদেশে ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল কাঠের চুড়ি, ব্যাগ, ঝুড়ি, ফতুয়া ইত্যাদিতে রিকশাচিত্রের মোটিফ কাজে লাগিয়েছেন। চিত্রকলায় বাংলাদেশের নাজলী লায়লা মনসুর-সহ বিভিন্ন চিত্রকরগণ এই রিকশাচিত্রের আদলে ছবি এঁকেছেন।
0.5
1,151.52007
20231101.bn_10416_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
বস্তুবাদ
বিদ্যমান সবই শেষ পর্যন্ত শারীরিক- এই দৃষ্টিভঙ্গির দিক দিয়ে বস্তুবাদ ভৌতবাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিতI ভৌত বিজ্ঞানের তত্ত্বগুলির সাথে নিছক সাধারণ বস্তুর (যেমন স্থানকাল, শারীরিক শক্তি ও শক্তি এবং অন্ধকার পদার্থ) থেকে শারীরিকতার আরও পরিশীলিত ধারণাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে দার্শনিক ভৌতবাদ বস্তুবাদ থেকে বিকশিত হয়েছেI এভাবে, অন্যরা যেখানে এই শব্দগুলি সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করে সেখানে অনেকে বস্তুবাদের চেয়ে ভৌতবাদ শব্দটিকে বেশি পছন্দ করেI
0.5
1,149.955508
20231101.bn_10416_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
বস্তুবাদ
বস্তুবাদ বা ভৌতবাদের সাথে বিরোধী দর্শনের মধ্যে রয়েছে আদর্শবাদ, বহুত্ববাদ, দ্বৈতবাদ, প্যানসাইকিজম এবং অদ্বৈতবাদের অন্যান্য রূপ।
0.5
1,149.955508
20231101.bn_10416_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
বস্তুবাদ
বস্তুবাদ অদ্বৈতবাদী তত্ত্ববিদ্যার শ্রেণীর অন্তর্গত হওয়ার কারনে দ্বৈতবাদ অথবা বহুতত্ববাদের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা তত্ত্ববিদ্যা থেকে আলাদা। বস্তুগত বাস্তবতায় সব কিছুর একক ব্যাখ্যা প্রদানের ক্ষেত্রে, বস্তুবাদ অবস্থান হচ্ছে আদর্শবাদ, নিরপেক্ষ অদ্বৈতবাদ এবং আধ্যাত্মিকতাবাদের বিপরীতে। সেই সাথে এটি অভূতপূর্বতাবাদ, প্রাণবাদ এবং দ্বিমুখী অদ্বৈতবাদের বিপরীত। এই বস্তুবাদকে বিভিন্নভাবে নির্ণয়বাদের তত্ত্বের সাথে মিলিয়ে দেখা যায়। যেমনটা করেছিলেন এনলাইটেন্টমেন্ট এর সময়কার চিন্তকরা।
0.5
1,149.955508
20231101.bn_10416_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
বস্তুবাদ
অসংখ্য দার্শনিক ঘরানা এবং তাদের মধ্যে কিঞ্চিৎ মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, বলা হয়ে থাকে সমস্ত দর্শনই মূলত দুইটি প্রাথমিক ধারায় বিভক্তঃ আদর্শবাদ এবং বস্তুবাদ।, এই দুটি ধারা একটির সাপেক্ষে অন্যটি অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই দুটি দর্শনের মৌলিক প্রস্তাবনা মূলত বাস্তবতার স্বরুপ সম্পর্কে ধারণা দেয়। এই দুই ধারার প্রাথমিক পার্থক্য করা যায় দুইটি প্রশ্নে তাদের উত্তরের প্রেক্ষিতে। প্রথমত, বাস্তবতার গাঠনিক উপাদান কি? দ্বিতীয়ত, বাস্তবাতার উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে? আদর্শবাদীদের মতে, আত্মা বা মন বা মানের চিন্তা হচ্ছে প্রাথমিক এবং বস্তু হচ্ছে তার ফলাফল। অপরদিকে বস্তুবাদীদের মতে, বস্তু হচ্ছে প্রাথমিক এবং বস্তুর সাথে বস্তুর মিথস্ক্রিয়া থেকে উদ্ভব হয় মন, আত্মা বা চিন্তার।
0.5
1,149.955508
20231101.bn_10416_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
বস্তুবাদ
বস্তবাদী দর্শন সম্ভবত সব থেকে ভালো বোঝা যায় যখন বস্তুবাদ কে ঐতিহাসিকভাবে রেনে দেকার্ত প্রদত্ত মনের অবস্তুবাচক উপাদানতত্ত্বের বিপরীতে রেখে পর্যালোচনা করলে। তথাপি, বস্তুবাদ বস্তগত উপাদানের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করে না। চর্চার দিকে দিয়ে এটি কে প্রায়শই ভৌতবাদের এক বা একাধিক প্রকারভেদের সাথে এক করে দেখা হয়।
1
1,149.955508
20231101.bn_10416_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
বস্তুবাদ
আধুনিক বস্তুবাদী দার্শনিকেরা এই সংজ্ঞাকে বর্ধিত করে অন্যান্য বৈজ্ঞানিকভাবে দৃশ্যমান সত্ত্বাসমূহ যেমনঃ শক্তি, বল এবং স্থানের বক্রতার সাথে সংশ্লিষ্ট করেন। তথাপি, ম্যারি মিগলির মত দার্শনিকরা মনে করেন যে "বস্তু" সংজ্ঞাটি অস্পষ্ট এবং দুর্বল ভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
0.5
1,149.955508
20231101.bn_10416_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
বস্তুবাদ
19শ শতাব্দীতে, কার্ল মার্কস এবং ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস মানুষের কার্যকলাপের (শ্রম এবং অভ্যাস) এবং সেই কার্যকলাপের দ্বারা সৃষ্ট, পুনরুত্পাদিত বা ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলির উপর কেন্দ্রীভূত ইতিহাসের একটি বস্তুবাদী ধারণাকে বিস্তৃত করার জন্য বস্তুবাদের ধারণাকে প্রসারিত করেছিলেন।
0.5
1,149.955508
20231101.bn_10416_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
বস্তুবাদ
Buchner, L. (1920). [books.google.com/books?id=tw8OuwAACAAJ Force and Matter]. New York, Peter Eckler Publishing Co.
0.5
1,149.955508
20231101.bn_10416_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
বস্তুবাদ
Churchland, Paul (1981). Eliminative Materialism and the Propositional Attitudes. The Philosophy of Science. Boyd, Richard; P. Gasper; J. D. Trout. Cambridge, Massachusetts, MIT Press.
0.5
1,149.955508
20231101.bn_11779_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A8
শকুন
শকুন () এক প্রকার পাখি। এটি মৃত প্রাণীর মাংস খেয়ে থাকে। সাধারণত এরা অসুস্থ ও মৃতপ্রায় প্রাণীর চারিদিকে উড়তে থাকে এবং প্রাণীটির মরার জন্য অপেক্ষা করে। পাখিগুলো তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অধিকারী শিকারী পাখিবিশেষ।
0.5
1,145.234936
20231101.bn_11779_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A8
শকুন
শকুনের গলা, ঘাড় ও মাথায় কোনো পালক থাকে না। প্রশস্ত ডানায় ভর করে আকাশে ওড়ে। মহীরুহ বলে পরিচিত বট, পাকুড়, অশ্বত্থ, ডুমুর প্রভৃতি বিশালাকার গাছে সাধারণত লোকচক্ষুর অন্তরালে শকুন বাসা বাঁধে। সাধারণত গুহায়, গাছের কোটরে বা পর্বতের চূড়ায় ১-৩টি সাদা বা ফ্যাকাশে ডিম পাড়ে।
0.5
1,145.234936
20231101.bn_11779_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A8
শকুন
সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ প্রজাতির শকুন দেখা যায়, এর মধ্যে পশ্চিম গোলার্ধে ৭ প্রজাতির এবং পূর্ব গোলার্ধে (ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া) ঈগলের সাথে সম্পর্কিত ১১ প্রজাতির শকুন দেখা যায়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে প্রায় ৬ প্রজাতির শকুন রয়েছে, এর মধ্যে ৪ প্রজাতি স্থায়ী আর ২ প্রজাতি পরিযায়ী। শকুন বা বাংলা শকুন ছাড়াও এতে আছে রাজ শকুন, গ্রীফন শকুন বা ইউরেশীয় শকুন, হিমালয়ী শকুন, সরুঠোঁট শকুন, কালা শকুন ও ধলা শকুন। তবে শুধু গ্রীফন প্রজাতির শকুনই মাঝে মাঝে দেখা যায় (পরিপ্রেক্ষিত ২০১০)। এসব প্রজাতির শকুনই সারা বিশ্বে বিপন্ন। স্থায়ী প্রজাতির মধ্যে রাজ শকুন মহাবিপন্ন। এটি ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্যে ঠোঁটে পাথরের টুকরো বহন করে ও ডিমের উপর নিক্ষেপ করে।
0.5
1,145.234936
20231101.bn_11779_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A8
শকুন
শকুনই একমাত্র প্রাণী, যা রোগাক্রান্ত মৃত প্রাণী খেয়ে হজম করতে পারেনি এবং অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা, খুরারোগের সংক্রমণ থেকে অবশিষ্ট জীবকুলকে রক্ষা করে। প্রসঙ্গত, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে রাখলেও তা একশ বছর সংক্রমণক্ষম থাকে না।
0.5
1,145.234936
20231101.bn_11779_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A8
শকুন
ইদানীং বিভিন্ন দেশে, গবাদি পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত 'ডাইক্লোফেনাক' নামের ব্যথানাশক ঔষধের প্রভাবে শকুন মারা যাচ্ছে। এ কারণে ডাইক্লোফেনাক ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে।
1
1,145.234936
20231101.bn_11779_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A8
শকুন
বাংলাদেশে ডাইক্লোফেনাকের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে শকুন বিলুপ্তির মুখে। একই বিষক্রিয়া দেখা গেছে কিটোপ্রোফেনের বেলাতেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃত পশুর মাংস শকুনের কোনো ক্ষতি করে না; কিন্তু ডাইক্লোফেনাক দেওয়া হয়েছে, এমন মৃত পশুর মাংস খেলে কিডনি নষ্ট হয়ে ২-৩ দিনের মধ্যে শকুনের মৃত্যু ঘটে। এ কারণে গত তিন দশকে (২০১০) উপমহাদেশে ৭৫% শকুন মারা গেছে। ১৯৮০'র দশকে সার্কভুক্ত দেশে প্রায় ৪,০০,০০,০০০ শকুনের অস্তিত্ব ছিলো, অথচ এই সংখ্যা এখন কমে মাত্র ৪০,০০০-এ এসে দাঁড়িয়েছে।
0.5
1,145.234936
20231101.bn_11779_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A8
শকুন
২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ অব ভেটেরিনারি মেডিসিন-এর গবেষক ড. লিন্ডসে ওক তাঁর এক গবেষণায় প্রমাণ করেন, পশু চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহারই শকুন বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। ভারতে প্রতি বছর ৩০% শকুন মারা যাওয়ার কারণও ডাইক্লোফেনাক।
0.5
1,145.234936
20231101.bn_11779_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A8
শকুন
এই মানবসৃষ্ট কারণে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে পৃথিবীর অনেক দেশেই পশু-চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেনের পরিবর্তে সমান কার্যকর, অথচ শকুন-বান্ধব 'মেলোক্সিক্যাম' নামক ঔষধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
0.5
1,145.234936
20231101.bn_11779_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A8
শকুন
সারা বিশ্বে, শকুনকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শনিবার আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস পালিত হয়ে থাকে।
0.5
1,145.234936
20231101.bn_10188_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8
টেলিফোন
টেলিফোন মানুষের মুখের কথা যুগপৎ প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যার মাধ্যমে একে অপরের থেকে বহু দূরে অবস্থিত একাধিক ব্যক্তি মৌখিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। টেলিফোন সস্তা, সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে ব্যক্তিগত যোগাযোগ স্থাপন করা যায়; এই সমস্ত সুবিধা অন্য কোনও মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর ফলে বর্তমানে এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত যোগাযোগ যন্ত্র। সারা বিশ্বে শত শত কোটি টেলিফোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। টেলিফোনের মাধ্যমে হাজার হাজার মাইল দুরের মানুষের সাথেও কথা বলা যায়। "টেলিফোন" একটি ইংরেজি শব্দ ("টেলি" অর্থ "দূর"; "ফোন" অর্থ "ধ্বনি")। বাংলায় এ যন্ত্রটিকে দূরভাষ বা দূরালাপনী নামেও ডাকা হয়ে থাকে।
0.5
1,133.621173
20231101.bn_10188_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8
টেলিফোন
১৮৭৬ সালে মার্কিন উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে মুখের কথা পাঠানোর যন্ত্রের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাটেন্ট বা সরকারি সনদ লাভ করেন। এর ২০ বছরের মধ্যে টমাস ওয়াটসন, এমিল বার্লিনার, টমাস আলভা এডিসন ও অন্যান্যদের গবেষণার ফলশ্রুতিতে টেলিফোন যন্ত্রের নকশা এমন একটি স্থিতিশীল রূপ নেয় যা পরবর্তী প্রায় এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মৌলিকভাবে অপরিবর্তিত থাকে। ১৯৪৭ সালে ট্রানজিস্টরের আবির্ভাবের পর ধাতব তার ও ভারী ওজনের যন্ত্রপাতির পরিবর্তে হালকা ওজনের ও ঘনবিন্যস্ত বর্তনীসমৃদ্ধ টেলিফোন তৈরি করা শুরু হয়। ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিতে উন্নতির সাথে সাথে আরও বেশ কিছু "বুদ্ধিমান" বৈশিষ্ট্য টেলিফোনে যুক্ত হয়। যেমন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃসংযোগ স্থাপন করা, টেলিফোনে ডাকদাতার নম্বর শনাক্তকরণ, টেলিফোনে ডাকদাতাকে অপেক্ষা করানো, টেলিফোনের ডাক নতুন কাউকে হস্তান্তর করা, তারহীন সম্প্রচার, দৃশ্যমান উপাত্ত পর্দা, ইত্যাদি। এই সবগুলি বৈশিষ্ট্যই টেলিফোনের মূল নকশার কোন পরিবর্তন আনেনি, বরং সম্পূরক ভূমিকা পালন করেছে। শুরুর দিকে টেলিফোনের তার ব্যবস্থা ব্যবহার করেই ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে হত।
0.5
1,133.621173
20231101.bn_10188_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8
টেলিফোন
উদ্ভাবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত একটি তারভিত্তিক টেলিফোন যন্ত্র মূলত সাতটি যন্ত্রাংশ নিয়ে গঠিত: শক্তির উৎস, সুইচ আংটা (বৈদ্যুতিক সংযোগস্থাপক ও বিচ্ছিন্নকারক), নম্বর প্রবিষ্টকারক, ঘণ্টাবাদক, প্রেরক, গ্রাহক এবং একটি পার্শ্বস্বররোধী বর্তনী।
0.5
1,133.621173
20231101.bn_10188_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8
টেলিফোন
টেলিফোনের বৈদ্যুতিক শক্তির উৎস হল স্থানীয় টেলিফোন কার্যালয়। দুইটি তারবিশিষ্ট একটি বর্তনীর সাহায্যে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এটিকে স্থানীয় চক্র বলা হয়। এতে আদর্শ ভোল্টেজের পরিমাণ ৪৮ ভোল্ট।
0.5
1,133.621173
20231101.bn_10188_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8
টেলিফোন
অতীতে টেলিফোনের গ্রাহকটি একটি আংটায় ঝোলানো থাকত, যেটি বৈদ্যুতিক সুইচের মত কাজ করত। আংটায় ঝোলানো অবস্থায় স্থানীয় বৈদুতিক চক্র থেকে টেলিফোনটি বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকত। যখন গ্রাহকটিকে আংটা থেকে তুলে নেওয়া হত, তখন টেলিফোন যন্ত্রটি স্থানীয় বৈদ্যুতিক চক্রের সাথে সংযুক্ত হত এবং এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হত। এভাবে আংটাটি বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনকারী ও বিচ্ছিন্নকারী সুইচের ভূমিকা পালন করত। পরবর্তীতে উল্লম্বভাবে আংটায় ঝোলানোর বদলে টেলিফোনের গ্রাহককে স্প্রিংযুক্ত সুইচের উপরে শুইয়ে রাখা হয়। কিন্তু কাজের মূলনীতি একই থাকে। গ্রাহক সুইচের উপরে শুয়ে থাকলে সুইচটি নিচে অবনমিত থাকে এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। টেলিফোন ওঠালে সুইচটি স্প্রিংয়ের বদৌলতে উপরে উঠে আসে, ফোনটি স্থানীয় বৈদ্যুতিক চক্রের সাথে সংযুক্ত হয়। বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপিত হবার পর এর উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্য টেলিফোন কার্যালয় থেকে নিম্ন কম্পাঙ্কের একটি ধ্বনি প্রেরণ করা হয়। ধ্বনিটিতে একই সাথে ৩৫০ ও ৪৪০ হার্জ কম্পাঙ্কের দুইটি ধ্বনি মিশ্রিত থাকে। এই ধ্বনিটিকে ইংরেজিতে ডায়াল টোন বলে। এটি জানান দেয় যে টেলিফোনটি তার ব্যবস্থার সাথে যুক্ত হয়েছে এবং নম্বর প্রবেশ করার উপযুক্ত সময় হয়েছে।
1
1,133.621173
20231101.bn_10188_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8
টেলিফোন
টেলিফোন ডাকপ্রেরণকারী এরপর নম্বর প্রবিষ্টকারক যন্ত্রাংশটির মাধ্যমে ডাকগ্রাহকের নম্বরটি যন্ত্রে প্রবেশ করান। নম্বর প্রবিষ্টকারকের দ্বারা সৃষ্ট সংকেত স্থানীয় টেলিফোন কার্যালয়ের টেলিফোন সুইচগুলিকে সক্রিয় করে এবং ডাকগ্রহণকারী পক্ষের সাথে একটি সম্প্রচারপথ প্রতিষ্ঠিত হয়। টেলিফোন যন্ত্রের নম্বর প্রবিষ্টকারক অংশটি দুই ধরনের হতে পারে। একটিতে বৃত্তাকার চাকতি বা ডায়াল ঘুরিয়ে, অপরটিতে নম্বর দেওয়া চাবি টিপে টিপে নম্বর প্রবেশ করানো হয়।
0.5
1,133.621173
20231101.bn_10188_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8
টেলিফোন
ঘণ্টাবাদক যন্ত্রাংশটি ব্যবহারকারীকে জানান দেয় যে টেলিফোনের ডাক এসেছে। এজন্য ঘণ্টাবাদকটি একটি ঘণ্টাসদৃশ ধ্বনি বাজায়। ধ্বনিটি যান্ত্রিক বা ইলেকট্রনিক উপায়ে বাজানো হতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই টেলিফোন কার্যালয় থেকে পাঠানো ২০ হার্জ কম্পাঙ্কের ও ৭৫ ভোল্টের পরিবর্তী বৈদ্যুতিক প্রবাহের মাধ্যমে ঘণ্টাবাদকটিকে সক্রিয় করা হয়। সাধারণত ঘণ্টাধ্বনির প্রতিটি স্পন্দন দুই সেকেন্ড দীর্ঘ হয় এবং দুইটি স্পন্দনের মাঝে ৪ সেকেন্ডের বিরতি থাকে।
0.5
1,133.621173
20231101.bn_10188_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8
টেলিফোন
প্রেরক যন্ত্রাংশটি মূলত একটি অতিক্ষুদ্র মাইক্রোফোন, যা মানুষের কণ্ঠস্বরের শব্দতরঙ্গকে বিদ্যুৎপ্রবাহের স্পন্দনে রূপান্তরিত করে। তারপরে বিদ্যুৎপ্রবাহটিকে তারের মাধ্যমে (বা তারহীনভাবে) প্রেরণ বা সম্প্রচার করা হয় এবং সবশেষে অপরপ্রান্তের টেলিফোনের গ্রাহক অংশটি বিদ্যুৎপ্রবাহের স্পন্দনগুলিকে পুনরায় শব্দতরঙ্গে রূপান্তরিত করে। গ্রাহকটিতে একটি বৈদ্যুতিক চুম্বক থাকে যা একটি পর্দাকে স্পন্দনের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন শক্তিতে আকর্ষণ করে, যার ফলে পর্দাটিতে কম্পনের সৃষ্টি হয়। এই কম্পনগুলি বাতাসে শব্দতরঙ্গের সৃষ্টি করে শ্রবণযোগ্য ধ্বনির জন্ম দেয়। গ্রাহক ও প্রেরক অংশগুলি একটি হাতলেরর মধ্যে বসানো থাকে যার গ্রাহক প্রান্তটি কানের কাছে ও প্রেরক প্রান্তটি মুখের কাছে ধরতে হয়। হাতলটি তারের মাধ্যমে মূল টেলিফোন যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত থাকে।
0.5
1,133.621173
20231101.bn_10188_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8
টেলিফোন
পার্শ্বস্বররোধী বর্তনীটিতে অনেকগুলি পরিবর্তক, রোধক ও ধারক থাকে যেগুলি টেলিফোন ব্যবহারকারীর নিজের কণ্ঠস্বর যেন প্রেরক যন্ত্রাংশ থেকে গ্রাহক যন্ত্রাংশে প্রবাহিত হয়ে শুনতে না পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করে। এর ফলে গ্রাহক যন্ত্রাংশে কেবল তারের অপর প্রান্ত থেকে আগত অপর পক্ষের ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়া যায়।
0.5
1,133.621173
20231101.bn_551377_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
মাদকাসক্তি
ডায়াগনস্টিক এবং মানসিক রোগের পরিসংখ্যান সারগ্রন্থ (ডিএসএম-৪) ৪র্থ সংস্করণের কাঠামোর মধ্যে, মাদক নির্ভরতাকে ঔষধ আসক্তি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, এবং যা একটি বাধ্যতামূলক প্রত্যাহার উপসর্গ ঘটনার হিসাবে নির্ণয় করা যেতে পারে। এটি এই অনুসারে বর্ণনা করা হয়েছে: "When an individual persists in use of alcohol or other drugs despite problems related to use of the substance, substance dependence may be diagnosed. Compulsive and repetitive use may result in tolerance to the effect of the drug and withdrawal symptoms when use is reduced or stopped. This, along with Substance Abuse are considered Substance Use Disorders." উক্ত পরিসংখ্যানের ৫ম সারগ্রন্থে (২০১৩ সালে প্রকাশিত), মাদক অপব্যবহার এবং মাদক নির্ভরতা মূলত মাদক ব্যবহারজনিত রোগের শ্রেণীবিভাগের মধ্যে একত্রিত করা হয়েছে।
0.5
1,124.918974
20231101.bn_551377_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
মাদকাসক্তি
প্রত্যাহার মূলত মাদক থেকে বিরত থাকার জন্য শরীরিক প্রতিক্রিয়া যার ওপর একজন ব্যক্তির নির্ভরশীলতার উপসর্গের মাত্রা বিকশিত হয়ে থাকে। নির্ভরতার মাত্রা যখন বিকশিত হয়, মাদক ব্যবহারের বা সেবন ত্যাগ করা একটি অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করে, যা নেতিবাচক সুসংহতকরণের মাধ্যমে অব্যাহত ঔষধ ব্যবহারের প্রচার করে; উদাহরণস্বরূপ, ঔষধ সেবন অব্যাহতি বা পুনরায় এর সেবন এড়াতে ব্যবহৃত হয়। প্রত্যাহার অবস্থার মধ্যে শারীরিক-সোমাটিক উপসর্গ (শারীরিক নির্ভরতা) এবং মানসিক-প্রেরণামূলক উপসর্গ (মনস্তাত্ত্বিক নির্ভরতা) উভয়ই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। পুনরায় মাদকের ব্যবহার বা সেবন চালু না হলে রাসায়নিক এবং হরমোন জনিত ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। এমনকি পুনরায় মাদকের ব্যবহার বা সেবন না করা হলে মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। শিশুরাও এছাড়াও মাদক প্রত্যাহার কারণে ভুগতে পারে। এটি নিওনেটাল অ্যাসিস্টিনেন্স সিনড্রোম (NAS) নামে পরিচিত, যা গুরুতর এবং জীবন-হুমকিজনক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রত্যাশিত মায়েদের ওষুধ ও অ্যালকোহলের আসক্তি কেবল নিওনেটাল অ্যাসিস্টিনেন্স সিনড্রোম নয়, বরং এর অন্যান্য দিক শিশু এবং তার জীবদ্দশায় সর্বত্র ক্রমাগত প্রভাবিত করতে পারে।
0.5
1,124.918974
20231101.bn_551377_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
মাদকাসক্তি
ঔষধের সম্ভাব্য নির্ভরতা মাদক থেকে মাদকে এবং ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে তারতম্য ঘটায়। ডোজ, ফ্রিকোয়েন্সি, নির্দিষ্ট মাদকের ফার্মাসোকিনেটিক্স, অবস্থার গন্তব্য এবং সময় মাদক নির্ভরতা বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
0.5
1,124.918974
20231101.bn_551377_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
মাদকাসক্তি
দ্য ল্যানসেটের একটি নিবন্ধে ২০টি ঔষুধের ক্ষতি এবং নির্ভরতার দায় তুলনা করতে শারীরিক নির্ভরতা, মানসিক নির্ভরতা, এবং নির্ভরতার জন্য শূন্য থেকে তিন স্কেলে একটি গড় স্কোর ব্যবহার করে। নির্বাচিত ফলাফল নিচের তালিকায় দেখা যেতে পারে।
0.5
1,124.918974
20231101.bn_551377_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
মাদকাসক্তি
সেবনকারীর হার ব্যবহারকারীদের শতাংশ নির্দেশ করে, যারা কিছু সময় ঔষধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছিলেন বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
1
1,124.918974
20231101.bn_551377_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
মাদকাসক্তি
"Substance dependence", as defined in the DSM-IV, can be diagnosed with physiological dependence, evidence of tolerance or withdrawal, or without physiological dependence.
0.5
1,124.918974
20231101.bn_551377_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
মাদকাসক্তি
৩০৪.১০ যন্ত্রণাহর, হিপনোটিক, বা এনাক্সোলিটিক নির্ভরতা (বেঞ্জোডায়াজেপিন নির্ভরতা এবং বারবিচুরেট নির্ভরতা অন্তর্ভুক্ত)
0.5
1,124.918974
20231101.bn_551377_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
মাদকাসক্তি
আন্তর্জাতিকভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পূর্ব ইউরোপের দেশসমূহে সর্বাধিক মাদক ব্যবহারজনিত ব্যাধি সংঘটিত হয় যা প্রায় ৫-৬%। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে বিশ্বব্যাপী যার হার ১-২%। বিশ্ব জুড়ে, মাদক নির্ভরতার উচ্চতর প্রাদুর্ভাবে ভুক্তদের বেশিরভাগের বয়স সীমা বিষ এবং তারা বেকার ও পুরুষ। ড্রাগ ব্যবহার ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জাতীয় জরিপের (NSDUH) প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন জনসংখ্যার মাদক নির্ভরতা / অপব্যবহার হার ব্যপক। ১২ বছর এবং তার অধিক বয়সের ব্যক্তি ও জাতিগোষ্ঠীর ওপর ভিত্তি করে জনসংখ্যা জরিপ করার সময়, যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন / আলাস্কান নাগরিকরা সর্বোচ্চ হারের মধ্যে ছিল এবং এশিয়ার অন্যান্য ব্যক্তি ও জাতিগোষ্ঠীর এর তুলনায় সর্বনিম্ন হারের মধ্যে ছিল।
0.5
1,124.918974
20231101.bn_551377_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF
মাদকাসক্তি
১২ বছর এবং তার অধিক বয়সী মহিলাদের ওপর ভিত্তি করে জনসংখ্যার জরিপ করার ফলে দেখা গেছে যে মহিলাদের তুলনায় পুরুষের নির্ভরতার হার বেশি ছিল। যদিও, এই হারের পার্থক্য ১৭ বছর বয়সের পর পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। ড্রাগ ও অ্যালকোহল নির্ভরতার প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায় যে বয়স্ক বা প্রাপ্তবয়স্কদের ১৫-২০% শতাংশ ওষুধ ও অ্যালকোহল ব্যবহার করে। এটি অনুমান করা হয়েছে যে ১২ বছরেরও বেশি বয়সী ৫২ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক মাদকের ব্যবহার করেছে।
0.5
1,124.918974
20231101.bn_64816_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B0
লাহোর
স্যার গঙ্গা রামকে 'আধুনিক লাহোরের জনক' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। লাহোরের উৎস প্রাচীনত্বে পৌঁছেছে। শহরটি তার ইতিহাসের পুরো সময় জুড়ে অসংখ্য সাম্রাজ্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মধ্যযুগীয় যুগে হিন্দু শাহী, গজনবী, ঘুরি এবং দিল্লি সালতানাত। ১৬ শতকের শেষ থেকে ১৮ শতকের শুরুর দিকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে লাহোর তার জাঁকজমকের উচ্চতায় পৌঁছেছিল এবং বহু বছর ধরে এর রাজধানী শহর হিসাবে কাজ করেছিল। শহরটি ১৭৩৯ সালে আফশারি শাসক নাদের শাহের বাহিনী দ্বারা দখল করা হয়েছিল, তারপরে আফগান এবং শিখদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় এটি ক্ষয়ের সময় পড়েছিল। লাহোর অবশেষে ১৯ শতকের গোড়ার দিকে শিখ সাম্রাজ্যের রাজধানী হয়ে ওঠে এবং এর কিছু হারানো মহিমা ফিরে পায়। লাহোর তখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাথে যুক্ত হয় এবং ব্রিটিশ পাঞ্জাবের রাজধানী করা হয়। লাহোর ছিল ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু, এই শহরটি ছিল ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানোর প্রস্তাবের স্থান। এটি পাকিস্তানের স্বাধীনতার পূর্বে দেশভাগের সময় সবচেয়ে খারাপ কিছু দাঙ্গার সম্মুখীন হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান আন্দোলন এবং পরবর্তীকালে ভারত বিভাগের সাফল্যের পর, লাহোরকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
0.5
1,118.812305
20231101.bn_64816_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B0
লাহোর
লাহোর পাকিস্তানের উপর একটি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক প্রভাব বিস্তার করে। এটি একটি ইউনেস্কো সাহিত্যের শহর এবং পাকিস্তানের প্রকাশনা শিল্পের প্রধান কেন্দ্র; লাহোর পাকিস্তানের সাহিত্য দৃশ্যের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে রয়ে গেছে। এছাড়াও শহরটি পাকিস্তানের শিক্ষার একটি প্রধান কেন্দ্র,[33] এই শহরে অবস্থিত পাকিস্তানের কিছু নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বহু বছর ধরে, লাহোর ছিল পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্প, ললিউডের আবাসস্থল, যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেশিরভাগ চিত্রগ্রহণ করাচিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। লাহোর হল কাওয়ালি সঙ্গীতের একটি প্রধান কেন্দ্র। এছাড়াও এই শহরটি পাকিস্তানের বেশিরভাগ পর্যটন শিল্পের আয়োজক, [35][36] ওয়ার্ল্ড সিটি, বিখ্যাত বাদশাহী মসজিদ এবং ওয়াজির খান মসজিদের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শিখ ও সুফি মাজার সহ প্রধান আকর্ষণগুলির সাথে। লাহোরে লাহোর ফোর্ট এবং শালিমার উদ্যানও রয়েছে, যে দুটিই ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত ।.
0.5
1,118.812305
20231101.bn_64816_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B0
লাহোর
লাহোর শহরটি দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়াকে সংযুক্তকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথের উপর অবস্থিত। ফলে দীর্ঘ ইতিহাস জুড়ে বহু রাজ্য ও রাজবংশের রাজধানী হিসেবে শহরটি ব্যবহৃত হয়েছে। হিন্দু পুরাণমতে, রামের সন্তান লাভা বা লোহ এই শহরের পত্তন করেন। ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে চীনা পুরোহিত চুয়ান জাং ভারতে তীর্থযাত্রায় যাওয়ার পথে লাহোর দিয়ে যান এবং তিনি এখানকার বিবরণ দিয়ে গেছেন। ১১শ শতকে মুসলিম গজনভিরা ব্রাহ্মণদের হাত থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেন। তাঁরা ১১৫২ সালে এখানে তাদের রাজধানী স্থাপন করেন। দ্বাদশ শতকের শেষ দিকে উত্তরের ঘুরি সুলতানরা শহরটি দখল করেন এবং ত্রয়োদশ শতকের শুরুতেই শহরটিতে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম শাসকের অভিষেক অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। এরপর পরে কয়েক শতাব্দী যাবৎ মঙ্গোল হানাদারেরা লাহোরের উপর উপর্যুপরি আক্রমণ চালায়, কিন্তু লাহোর তা সত্ত্বেও টিকে থাকে এবং ১৫২৪ সালে এটিকে ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী বানানো হয়। মুঘলদের পতনের পর ১৭৬৭ সালে লাহোর একটি শিখ রাজ্যের রাজধানীতে পরিণত হয়। শিখরা পরবর্তীকালে ব্রিটিশদের কাছে পরাজিত হলে ১৮৪৯ সাল থেকে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের আগ পর্যন্ত এটি ব্রিটিশ ভারতের একটি শহর ছিল।
0.5
1,118.812305
20231101.bn_64816_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B0
লাহোর
লাহোর ৩১°১৫′ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৩১°৪৫′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৪°০১′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৭৪°৩৯′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। লাহোর উত্তর ও পশ্চিমে শেখুপুরা জেলা, পূর্বে ওয়াগাহ এবং দক্ষিণে কাসুর জেলা দ্বারা বেষ্টিত। রাভি নদী লাহোরের উত্তর দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। লাহোর শহর মোট আয়তন ৪০৪ বর্গকিলোমিটার (১৫৬ বর্গ মাইল)।
0.5
1,118.812305
20231101.bn_64816_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B0
লাহোর
২০১৭ সালের আদমশুমারীর ফলাফল অনুযায়ী লাহোরের মোট জনসংখ্যা ১১,১২৬,২৮৫ জন, যা ১৯৯৯ সালের পর থেকে বার্ষিক ৪.০৭% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। লিঙ্গ অনুপাত অনুসারে শহরের মোট জনসংখ্যার ৫২.৩৫% পুরুষ, এবং ৪৭.৬৪% মহিলা এবং হিজড়া জনগোষ্ঠী জনসংখ্যার মাত্র ০.০১%। লাহোর একটি যুবক শহরে পরিণত হয়েছে, যার ৪০% এর বেশি বাসিন্দার বয়স ১৫ বছরের কম। শহরের গড় আয়ু ৬০ বছরেরও কম।
1
1,118.812305
20231101.bn_64816_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B0
লাহোর
লাহোর মুসলিম সংখ্যাগুরু শহর এখানকার জনসংখ্যার ৯৭% মুসলমান এবং সংখ্যালঘু জনসংখ্যার মধ্যে ২% খ্রিস্টান এবং শিখ ও হিন্দু মিলিত জনসংখ্যা ১% । এখানে একটি ছোট কিন্তু দীর্ঘকালীন জরাস্ট্রুবাদ সম্প্রদায়ও রয়েছে। অধিকন্তু, লাহোরে শিখ ধর্মের কয়েকটি পবিত্র স্থান রয়েছে এবং এটি একটি প্রধান শিখ তীর্থস্থান।
0.5
1,118.812305
20231101.bn_64816_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B0
লাহোর
১৯৯৮ সালের আদম শুমারি অনুসারে লাহোরের ৯৯% জনসংখ্যা ছিল মুসলমান, যা ১৯৪১ সালের ৬০% এর চেয়ে একটু বেশি ছিল। অন্যান্য ধর্মের মধ্যে খ্রিস্টান (মোট জনসংখ্যার ৫.৮০%, যদিও তারা পল্লী জনসংখ্যার প্রায় ৯.০%) এবং কিছু সংখ্যক আহমদিয়া, বাহ, হিন্দু, পার্সী এবং শিখ ছিল। লাহোরের প্রথম গির্জাটি ১৬শ শতাব্দীর শেষদিকে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে নির্মিত হয়েছিল, যা ১৬৩২ সালে শাহ জাহান সমান করে দিয়েছিল।
0.5
1,118.812305
20231101.bn_64816_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B0
লাহোর
লাহোর শহরে তেমন কলকারখানা না থাকলেও এটি চারপাশে অবস্থিত ঘন শিল্প-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলির একটি বিতরণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে থাকে। এখানে টেক্সটাইল, ধাতব দ্রব্য, রাসায়নিক দ্রব্য, যন্ত্রপাতি, কাঁচের দ্রব্য এবং চামড়া ও রাবারের দ্রব্যের শিল্পকারখানা আছে।
0.5
1,118.812305
20231101.bn_64816_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%B0
লাহোর
লাহোর শহর পাকিস্তানের শিক্ষা ও সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র। এখানে ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। শহরে একটি পারমাণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রও রয়েছে।
0.5
1,118.812305
20231101.bn_81418_47
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%AB
বরফ
বরফের ঘরগুলি শীতকালে তৈরি বরফ সংরক্ষণ করতে, সারা বছর বরফ উপলব্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হত এবং একটি বরফবক্স নামে পরিচিত একটি প্রাথমিক ধরনের রেফ্রিজারেটর এর ভিতরে রাখা বরফের একটি ব্লক ব্যবহার করে ঠান্ডা করা হত।  অনেক শহরে, গ্রীষ্মকালে নিয়মিত বরফ বিতরণ পরিষেবা থাকা অস্বাভাবিক ছিল না।  কৃত্রিম হিমায়ন প্রযুক্তির আবির্ভাব তখন থেকে বরফ সরবরাহকে অপ্রচলিত করে তুলেছে।
0.5
1,114.637792
20231101.bn_81418_48
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%AB
বরফ
বরফ এবং তুষার ভাস্কর্য ইভেন্টের জন্য এখনও বরফ সংগ্রহ করা হয়।  উদাহরণস্বরূপ, হারবিন আন্তর্জাতিক বরফ ও তুষার ভাস্কর্য উৎসবের জন্য প্রতি বছর সোংহুয়া নদীর হিমায়িত পৃষ্ঠ থেকে বরফ পেতে একটি সুইং করাত ব্যবহার করা হয়।
0.5
1,114.637792
20231101.bn_81418_49
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%AB
বরফ
রাস্তার উপর বরফ গঠন একটি বিপজ্জনক শীতকালীন বিপদ।  কালো বরফ দেখতে খুব কঠিন, কারণ এতে প্রত্যাশিত হিমশীতল পৃষ্ঠের অভাব রয়েছে।  যখনই হিমায়িত বৃষ্টি বা তুষার থাকে যা গলনাঙ্কের কাছাকাছি তাপমাত্রায় ঘটে, তখন গাড়ির জানালায় বরফ জমা হওয়া সাধারণ ব্যাপার।  নিরাপদে গাড়ি চালানোর জন্য বরফ জমা হওয়া অপসারণ প্রয়োজন।  বরফ স্ক্র্যাপারগুলি বরফ মুক্ত করার জন্য এবং জানালাগুলি পরিষ্কার করার জন্য ডিজাইন করা সরঞ্জাম, যদিও বরফ অপসারণ করা একটি দীর্ঘ এবং শ্রমসাধ্য প্রক্রিয়া হতে পারে।
0.5
1,114.637792
20231101.bn_81418_50
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%AB
বরফ
হিমাঙ্কের অনেক নীচে, জানালার ভিতরের পৃষ্ঠে বরফের স্ফটিকের একটি পাতলা স্তর তৈরি হতে পারে।  এটি সাধারণত ঘটে যখন একটি গাড়ি কিছুক্ষণ চালানোর পরে একা থাকে, তবে বাইরের তাপমাত্রা যথেষ্ট কম হলে গাড়ি চালানোর সময় ঘটতে পারে।  ড্রাইভারের শ্বাস থেকে আর্দ্রতা স্ফটিকের জন্য জলের উৎস।  এই ধরনের বরফ অপসারণ করা কষ্টকর, তাই গাড়িটি পার্ক করার সময় লোকেরা প্রায়শই তাদের জানালা সামান্য খুলে দেয় যাতে আর্দ্রতা ছড়িয়ে না যায় এবং সমস্যা সমাধানের জন্য গাড়ির পিছনের-উইন্ডো ডিফ্রোস্টার থাকা এখন সাধারণ ব্যাপার।  একই ধরনের সমস্যা বাড়িতে ঘটতে পারে, এটি একটি কারণ যে অনেক ঠান্ডা অঞ্চলে নিরোধকের জন্য ডবল-পেন উইন্ডোর প্রয়োজন হয়।
0.5
1,114.637792
20231101.bn_81418_51
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%AB
বরফ
বাইরের তাপমাত্রা যখন বর্ধিত সময়ের জন্য হিমাঙ্কের নিচে থাকে, তখন হ্রদ এবং অন্যান্য জলের অংশে বরফের খুব পুরু স্তর তৈরি হতে পারে, যদিও প্রবাহিত জলের জায়গাগুলিতে অনেক ঠান্ডা তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়।  বরফ অটোমোবাইল এবং ট্রাকগুলির সাথে চালানোর জন্য যথেষ্ট ঘন হয়ে উঠতে পারে।  নিরাপদে এটি করার জন্য কমপক্ষে ৩০ সেমি (এক ফুট) পুরুত্ব প্রয়োজন।।
1
1,114.637792
20231101.bn_81418_52
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%AB
বরফ
জাহাজের জন্য, বরফ দুটি স্বতন্ত্র বিপদ উপস্থাপন করে।  প্রথমত, স্প্রে এবং হিমায়িত বৃষ্টি একটি জাহাজের উপরিভাগে একটি বরফ তৈরি করতে পারে যা এটিকে অস্থির করে তুলতে পারে এবং এটিকে হ্যাক করা বা বাষ্পের পায়ের পাতার মোজাবিশেষ দিয়ে গলানোর প্রয়োজন হয়।  দ্বিতীয়ত, আইসবার্গ - জলে ভাসমান বরফের বিশাল বিশাল অংশ (সাধারণত যখন হিমবাহ সমুদ্রে পৌঁছায় তখন তৈরি হয়) - চলমান অবস্থায় জাহাজ দ্বারা আঘাত করা হলে বিপজ্জনক হতে পারে।  আইসবার্গ অনেক জাহাজ ডুবির জন্য দায়ী, যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত টাইটানিক।  খুঁটির কাছাকাছি বন্দরগুলির জন্য, বরফমুক্ত হওয়া, আদর্শভাবে সারা বছর ধরে, একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা।  উদাহরণ হল মুর্নাস্ক(রাশিয়া), পেটসামো (রাশিয়া, পূর্বে ফিনল্যান্ড), এবং ভার্দো (নরওয়ে)।  যে সব পোতাশ্রয় বরফমুক্ত নয় সেগুলিকে আইসব্রেকার ব্যবহার করে খুলে দেওয়া হয়।
0.5
1,114.637792
20231101.bn_81418_53
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%AB
বরফ
বিমানের জন্য, বরফ অনেক বিপদের কারণ হতে পারে।  একটি বিমান আরোহণের সময়, এটি বিভিন্ন তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার বায়ু স্তরের মধ্য দিয়ে যায়, যার মধ্যে কিছু বরফ গঠনের জন্য সহায়ক হতে পারে।  যদি ডানা বা নিয়ন্ত্রণ পৃষ্ঠের উপর বরফ তৈরি হয় তবে এটি বিমানের উড়ন্ত গুণাবলীকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করতে পারে।  আটলান্টিক পেরিয়ে প্রথম নন-স্টপ ফ্লাইটের সময়, ব্রিটিশ বিমানচালক ক্যাপ্টেন জন অ্যালকক এবং লেফটেন্যান্ট আর্থার হুইটেন ব্রাউন এই ধরনের আইসিং অবস্থার সম্মুখীন হন - ব্রাউন ককপিট ছেড়ে যান এবং বরফ অপসারণের জন্য বেশ কয়েকবার ডানায় আরোহণ করেন যা ইঞ্জিনের বায়ু গ্রহণকে ঢেকে রেখেছিল।  ভিকার্স ভিমি বিমান তারা উড়ছিল।
0.5
1,114.637792
20231101.bn_81418_54
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%AB
বরফ
অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিনের পারস্পরিক দহনের সাথে যুক্ত আইসিং দ্বারা প্রভাবিত একটি দুর্বলতা হল কার্বুরেটর।  কার্বুরেটরের মাধ্যমে ইঞ্জিনে বাতাস প্রবেশ করায়, স্থানীয় বায়ুচাপ কমে যায়, যা অ্যাডিয়াব্যাটিক শীতলতা সৃষ্টি করে।  এইভাবে, আর্দ্র কাছাকাছি হিমায়িত অবস্থায়, কার্বুরেটর ঠান্ডা হবে, এবং বরফের প্রবণতা থাকবে।  এটি ইঞ্জিনে বাতাসের সরবরাহকে অবরুদ্ধ করবে এবং এটি ব্যর্থ হবে।  এই কারণে, কার্বুরেটর সহ এয়ারক্রাফ্ট রেসিপ্রোকেটিং ইঞ্জিনগুলি কার্বুরেটর এয়ার ইনটেক হিটারগুলির সাথে সরবরাহ করা হয়।  ফুয়েল ইনজেকশনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার-যার জন্য কার্বুরেটরের প্রয়োজন হয় না-ইঞ্জিনের আদান-প্রদানের জন্য "কার্ব আইসিং"-কে কম সমস্যা করে তুলেছে।
0.5
1,114.637792
20231101.bn_81418_55
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%AB
বরফ
জেট ইঞ্জিনগুলি কার্বোহাইড্রেট আইসিং অনুভব করে না, তবে সাম্প্রতিক প্রমাণগুলি ইঙ্গিত দেয় যে নির্দিষ্ট ধরনের বায়ুমণ্ডলীয় পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ আইসিং দ্বারা পূর্বে বিশ্বাস করা থেকে অনেক বেশি সহজে তারা ধীর, বন্ধ বা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।  বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ইঞ্জিনগুলি দ্রুত পুনরায় চালু করা যেতে পারে এবং ফ্লাইটগুলি বিপন্ন হয় না, তবে গবেষণাটি সঠিক অবস্থা নির্ধারণ করে যা এই ধরনের আইসিং তৈরি করে এবং ফ্লাইটে এটি প্রতিরোধ বা বিপরীত করার সর্বোত্তম পদ্ধতিগুলি খুঁজে বের করে।
0.5
1,114.637792
20231101.bn_481340_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF
শিবরাত্রি
মহাশিবরাত্রি বা শিবরাত্রি হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দুধর্মীয় উৎসব। এই মহাশিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। মহাশিবরাত্রি হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবাদিদেব মহাদেব ‘শিবের মহা রাত্রি’। শিব পুরাণ অনুসারে, এই রাত্রেই শিব সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের মহা তাণ্ডব নৃত্য করেছিলেন। আবার এই রাত্রেই শিব ও পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। অন্ধকার আর অজ্ঞতা দূর করার জন্য এই ব্রত পালিত হয়। অগণিত ভক্ত এইদিন শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল, দুধ, বেলপাতা, ফুল দিয়ে পূজা করে থাকে।
0.5
1,110.661222
20231101.bn_481340_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF
শিবরাত্রি
কাশ্মীরি হিন্দুরা উৎসবটিকে কাশ্মীর অঞ্চলের হর-রাত্রি বা উচ্চারণগতভাবে সহজ হেরথ বা হেরাথ বলে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ইশা ফাউন্ডেশন বৃহৎকার আদিযোগী শিব মূর্তির জায়গায় ব্যাপক উদ্দীপনায় পালন করে আচ্ছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তাদের সাথে উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন।
0.5
1,110.661222
20231101.bn_481340_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF
শিবরাত্রি
মহা শিবরাত্রি হল হিন্দু দেবতা শিবকে উৎসর্গ করা একটি বার্ষিক উৎসব। হিন্দুধর্মের শৈবধর্মের ঐতিহ্যে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দিনের বেলায় পালিত বেশিরভাগ হিন্দু উৎসবের বিপরীতে মহা শিবরাত্রি রাতে পালিত হয়। মহা শিবরাত্রি হল একটি গৌরবময় অনুষ্ঠান যার অন্তর্নিহিত মনোযোগ, উপবাস, শিবের উপর ধ্যান, স্ব-অধ্যয়ন, সামাজিক সম্প্রীতি এবং শিব মন্দিরে সারা রাত্রি জাগরণ করার জন্য উল্লেখযোগ্য।
0.5
1,110.661222
20231101.bn_481340_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF
শিবরাত্রি
উদযাপনের মধ্যে সারা রাত জাগরণ এবং প্রার্থনা বজায় রাখা অন্তর্ভুক্ত, কারণ শৈব হিন্দুরা এই রাতটিকে শিবের মাধ্যমে নিজের জীবনে এবং জগতে "অন্ধকার এবং অজ্ঞতাকে জয় করা" হিসাবে চিহ্নিত করে। শিবের উদ্দেশে ফল, পাতা, মিষ্টি এবং দুধের নৈবেদ্য দেওয়া হয়, কেউ কেউ শিবের বৈদিক বা তান্ত্রিক উপাসনার সাথে সারাদিন উপবাস করেন এবং কেউ কেউ ধ্যানমূলক যোগ করেন । শিব মন্দিরে শিবের পবিত্র পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র "ওঁ নমঃ শিবায়" জপ করা হয়। শিব চালিসা পাঠের মাধ্যমে ভক্তরা শিবের স্তব করেন।
0.5
1,110.661222
20231101.bn_481340_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF
শিবরাত্রি
মহা শিবরাত্রি হিন্দু লুনি-সৌর ক্যালেন্ডারের উপর ভিত্তি করে তিন বা দশ দিন ধরে পালিত হয়। প্রতি চান্দ্র মাসে একটি শিবরাত্রি হয় (প্রতি বছর ১২টি)। প্রধান উৎসবকে বলা হয় মহা মহান শিবরাত্রি, যা ১৩ তম রাতে (অস্তমিত চাঁদ) এবং ফাল্গুন মাসের ১৪ তম দিনে অনুষ্ঠিত হয়। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিতে দিনটি ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে পড়ে।
1
1,110.661222
20231101.bn_481340_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF
শিবরাত্রি
বেশ কয়েকটি পুরাণে মহা শিবরাত্রির উল্লেখ রয়েছে । বিশেষ করে স্কন্দপুরাণ, লিঙ্গপুরাণ এবং পদ্মপুরাণে । এই মধ্যযুগীয় শৈব গ্রন্থগুলিতে উপবাস ও লিঙ্গরূপের শিবের পূজার কথা উল্লেখ রয়েছে।
0.5
1,110.661222
20231101.bn_481340_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF
শিবরাত্রি
বিভিন্ন কিংবদন্তি মহা শিবরাত্রির তাৎপর্য বর্ণনা করে। একটি কিংবদন্তি অনুসারে, এই রাতে শিব সৃষ্টি, সংরক্ষণ এবং ধ্বংসের স্বর্গীয় নৃত্য (তাণ্ডব) করেন। স্তোত্রের জপ, শিব ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং ভক্তদের ঐকতান সংগীত এই মহাজাগতিক নৃত্যে যোগ দেয় এবং সর্বত্র শিবের উপস্থিতি স্মরণ করে। আরেকটি কিংবদন্তি অনুসারে, এই রাতেই শিব ও পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। এর নিগুঢ় অর্থ হল শিব ও শক্তি তথা পুরুষ ও আদিশক্তি বা পরাপ্রকৃতির মিলন। একটি ভিন্ন কিংবদন্তিতে বলা হয়েছে যে লিঙ্গের মতো শিব মূর্তিগুলিকে অর্পণ করা হল একটি বার্ষিক উপলক্ষ যা অতীতের পাপ থেকে মুক্তি পেতে একটি পুণ্য পথে পুনরায় শুরু করার এবং এর ফলে কৈলাশ পর্বতে পৌঁছানো এবং মুক্তি লাভ।
0.5
1,110.661222
20231101.bn_481340_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF
শিবরাত্রি
এই উৎসবের নৃত্য ঐতিহ্যের তাৎপর্য ঐতিহাসিক শিকড় রয়েছে। মহা শিবরাত্রি কোনার্ক, খাজুরাহো, পাট্টদাকাল, মোধেরা এবং চিদাম্বরমের মতো প্রধান হিন্দু মন্দিরগুলিতে বার্ষিক নৃত্য উৎসবের জন্য শিল্পীদের একটি ঐতিহাসিক মিলন হিসাবে কাজ করেছে৷ চিদাম্বরম মন্দিরে এই অনুষ্ঠানটিকে নাট্যাঞ্জলি বলা হয়। আক্ষরিক অর্থে "নৃত্যের মাধ্যমে উপাসনা", যা তার ভাস্কর্যের জন্য বিখ্যাত নাট্যশাস্ত্র নামক পরিবেশনের শিল্পকরার প্রাচীন হিন্দু পাঠে সমস্ত নৃত্য মুদ্রাকে চিত্রিত করে। একইভাবে আলেকজান্ডার কানিংহামের ১৮৬৪ সালে নথি অনুসারে খাজুরাহোর শিব মন্দিরগুলিতে মহা শিবরাত্রিতে একটি প্রধান মেলা এবং নৃত্য উত্সব করত, যেখানে শৈব তীর্থযাত্রীরা মন্দির চত্ত্বরের চারপাশে মাইল জুড়ে ক্যাম্প করেছিলেন।
0.5
1,110.661222
20231101.bn_481340_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF
শিবরাত্রি
মহাশিবরাত্রি অনুষ্ঠানে ভারতবর্ষের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গ তথা সোমনাথ, মল্লিকার্জুন, মহাকালেশ্বর, ওঁকারেশ্বর, কেদারনাথ, ভীমশঙ্কর, বিশ্বেশ্বর, ত্র্যয়ম্বকেশ্বর, বৈদ্যনাথ, নাগেশ্বর, রামেশ্বর ও ঘুশ্মেশ্বর এ বহু মানুষের সমাগম হয় ও সবার হাতে এই জ্যোতির্লিঙ্গের পূজা ও পবিত্র স্পর্শলাভ ঘটে।
0.5
1,110.661222
20231101.bn_643729_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AB%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95
স্ফটিক
এই জাতীয় স্ফটিক জালিক বিন্যাসে ৮টি পরমাণু নিয়ে একটি স্ফটিক কোষ গঠিত হয়। এর বাহুগুলো পরস্পর অসমান হয়।
0.5
1,110.645784
20231101.bn_643729_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AB%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95
স্ফটিক
এই জাতীয় স্ফটিক জালিক বিন্যাসে ১০টি পরমাণু থাকে। এর উপরিতল ও নিম্নতলের কেন্দ্রে দুটি পরমাণু থাকে। এবং যথারীতি এই পদ্ধতির স্ফটিকের বাহুগুলো সমান হয় না।
0.5
1,110.645784
20231101.bn_643729_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AB%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95
স্ফটিক
এই জাতীয় ঘনকে ৯টি পরমাণু তিনটি স্তরে সজ্জিত থাকে। এর একটি তলের কেন্দ্রে ১টি পরমাণু থাকে। এবং যথারীতি এই পদ্ধতির স্ফটিকের বাহুগুলো সমান হয় না।
0.5
1,110.645784
20231101.bn_643729_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AB%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95
স্ফটিক
এই জাতীয় স্ফটিকে মোট ১৪টি পরমাণু থাকে। এর প্রতিতলের কেন্দ্রে ৬টি পরমাণু থাকে।  এবং যথারীতি এই পদ্ধতির স্ফটিকের বাহুগুলো সমান হয় না।
0.5
1,110.645784