_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
5.1k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
11.1k
20231101.bn_88938_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A7%80
সন্ধ্যামালতী
বীজের চূর্ণ, কিছু প্রজাতের বীজ প্রসাধনী হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং রঞ্জক শিল্পে কাজে লাগে। তবে এর বীজগুলি বিষাক্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। ব্রাজিলের কায়াপো সম্প্রদায়, ভারতীয়রা মাথা ব্যথা নিরাময়ে, ক্ষত ধুতে শুকনো ফুলের গুঁড়ো ব্যবহার করে এবং কুষ্ঠেরর মতো ত্বকের চিকিত্সার জন্য মূলের ডিকোশন ব্যবহার করে। পেরুতে ফুল থেকে উত্তোলিত রস হার্পিসের ক্ষত এবং কানের জন্য ব্যবহৃত হয়। মূল থেকে বের করা রস কানের ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয়, সিফিলিস এবং লিভারের সংক্রমণের জন্য ব্যবহার করা হয়। মেক্সিকোয়, পুরো উদ্ভিদের ডিকোশনগুলি আমাশয়, সংক্রামিত ক্ষত এবং মৌমাছি ও বিচ্ছুর কামড়ে ব্যথা নাশ করতে এর ডাল ব্যবহার করা হয়।এছাড়া বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ তৈরীতে এর ফুল ও শিকড় ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এর পাতার রসও ক্ষত সারানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।
0.5
1,058.759771
20231101.bn_88938_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A7%80
সন্ধ্যামালতী
এই উদ্ভিদটি ক্যাডমিয়ামের মতো কিছু ভারী ধাতুর মাঝারি ঘনত্বের দূষিত মাটির দূষণ কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
0.5
1,058.759771
20231101.bn_88938_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A7%80
সন্ধ্যামালতী
সন্ধ্যামালতীর আদিনিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। তবে অনেক গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ হয় এবং ছিটকে পড়া উদ্ভিদ হিসেবেও পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এটি সাধারণ উদ্ভিদ হিসেবে বাগানে লাগানো হয়।
0.5
1,058.759771
20231101.bn_698670_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE
পশুকামিতা
যদিও প্রাণীর সাথে সঙ্গম কিছু দেশে নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু বেশিরভাগ দেশেই প্রাণীর নির্যাতন আইন, পায়ুকামিতা মূলক আইন অথবা প্রকৃতিবিরুদ্ধ আইনে পশ্বাচার অবৈধ।
0.5
1,049.303941
20231101.bn_698670_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE
পশুকামিতা
পশ্বাচার এবং পশুকামিতা একে অপরের বিকল্প শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও কিছু গবেষক এদের মধ্যে শ্রেণীবিভাগ করেছেন। যেমন পশুকামিতা (প্রাণীর প্রতি যৌন আকর্ষণ) এবং পশ্বাচার (প্রাণীর সাথে যৌন ক্রিয়া)। পশ্বাচারের ক্ষেত্রে প্রাণী যৌন আকর্ষণ বোধ করে না। কিছু গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, প্রাণীর প্রতি অনুরক্ততা থেকেই প্রাণীর সাথে যৌনক্রিয়া এমনটা খুবই বিরল। একই সাথে কিছু পশু কামি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন তারা কখনোই প্রাণীর সাথে কোনরুপ যৌন কর্মকাণ্ডে জড়ান নি। আর্নেস্ট বোরনেম্যান (১৯৯০) পশু ধর্ষকামী শব্দটির প্রবর্তন করেন; যার অর্থ হল যারা প্রাণীকে কষ্ট দিয়ে যৌন সুখ লাভ করে।
0.5
1,049.303941
20231101.bn_698670_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE
পশুকামিতা
১৮৮৬ সালে ক্রাফট এবিং সাইকোপ্যাথিয়া সেক্সুয়ালিস নামক যৌনতার গবেষণার একটি ক্ষেত্রে পশুকামিতা শব্দটি ব্যবহার করেন। যেখানে তিনি এমন অনেক ঘটনার কথা বর্ণনা করেন, "যেখানে প্রাণীকে নির্যাতন করা হয়েছে (পশ্বাচার)", সেখানে তিনি একইসাথে কামদ পশুকামিতা () শব্দটি ব্যবহার করেন। সেখানে সংজ্ঞায়িতকরণে তিনি বলেন মানুষের প্রাণীর চামড়ার অথবা পশমের প্রতি যৌন আকর্ষণই পশুকামিতা। সাধারণ অর্থে পশুকামিতা হল মানুষ এবং পশুর মধ্যকার যৌন আকর্ষণ এবং এ আকর্ষণ বাস্তবায়ন করার একপ্রকার অভিলাষ।
0.5
1,049.303941
20231101.bn_698670_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE
পশুকামিতা
কিছু পশুকামী এবং গবেষক পশুকামিতা ও পশ্বাচার এর মধ্যে পার্থক্য নিরুপণ করেছেন। যেখানে একটি হলোব প্রাণী সাথে যৌন সম্পর্কের অভিলাষ এবং অন্যটি প্রাণীর সাথে যৌন কর্মকে বর্ণনা করণ। এই বিষয়টি নিয়ে দ্বিধা থাকায় ১৯৬২ সালের লিখায় মাস্টার্স পশুধর্ষকাম নিয়ে আলোচনায় পশ্বাচার শব্দটি ব্যবহার করেন।
0.5
1,049.303941
20231101.bn_698670_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE
পশুকামিতা
নিউ জার্সি মেডিকেলে স্কুল এর সহকারী অধ্যাপক এবং এএসপিসিএর এর পরিচালক স্টিফেনি লারফাজ লিখেন, দুই শব্দকে তার বৈশিষ্ট্যভেদে পৃথক করা যায়। পশ্বাচার হলো যারা প্রাণীকে নির্যাতন অথবা ধর্ষণ করে এবং পশুকামী হল সারা প্রাণীর প্রতি যৌন আকর্ষণ বা আবেগপ্রবণ আকর্ষণ অনুভব করে। কলিন জে উইলিয়ামস এবং মার্টিন ওয়েনবার্গ; ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত স্বঘোষিত পশুকামীদের গবেষণা করেছেন। গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন পশু কামিরা পশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা আনন্দ নিয়ে উদ্বিগ্ন; যা কখনোই পশ্বাচারীরা হয় না। উইলিয়াম এবং ওয়েন বার্গ ব্রিটিশ পত্রিকায় আরো বলেন পশ্বাচারীরা কৈফিয়তকারী হিসেবে নিজেদের পশুকামী হিসেবে দাবী করে।
1
1,049.303941
20231101.bn_698670_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE
পশুকামিতা
কিনসে প্রতিবেদন অনুসারে পুরুষদের মধ্যে ৮ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৩.৬ শতাংশ নিজের জীবনসীমার কোনো এক বিন্দুতে পশুর সাথে যৌন ক্রিয়া করেছে এবং দাবী করা হয়েছে, এদের মধ্যে ৪০-৬০ শতাংশ সেসব ব্যক্তির মধ্যে এ যৌনক্রিয়া দেখা গিয়েছে, যারা খামারের কাছে বসবাস করে, কিন্তু পরবর্তীতে কিছু লেখক এই পরিসংখ্যানকে বাতিল করে দেন। তাদের মতে এখানে কারাবন্দীদের যে হিসাবটা নেওয়া হয়েছে সেখানে অসমঞ্জস্যতা আছে এবং এটি একপ্রকার নমুনা পক্ষপাত। মার্টিন ডোবারম্যান লিখেছেন কিন্দের গবেষণা সহকারী কারাগারের নমুনা এ পরিসংখ্যান থেকে অপসারণ করেছে।
0.5
1,049.303941
20231101.bn_698670_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE
পশুকামিতা
খামারের পশুদের সাথে থাকার সুযোগ কমে গিয়ে, ১৯৭৪ সালের মধ্যে আমেরিকার খামার্ গুলোর জনসংখ্যা ১৯৪০ সালের তুলনায় ৮০ ভাগ কমে যায়। হান্টের ১৯৭৪ সালের গবেষণায় পাওয়া যায়, এই ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন ইঙ্গিত করে পশুকামিতার ঘটনাগুলোর এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের দিকে। ১৯৭৪ সালে পশুকামী পুরুষের সংখ্যা শতকরা ৪.৯ ভাগ ( ১৯৪৮ঃ শতকরা ৮.৩ ভাগ)।আর ১৯৭৪ সালে পশুকামী নারী শতকরা ১.৯ ভাগ ( ১৯৪৮ঃ শতকরা ৩.৬ ভাগ)। মিলেটস্কির বিশ্বাস পশুকামীতার হার কমে যাওয়ার পেছনে তাদের রুচির পরিবর্তন না, বরং সুযোগের অভাবই প্রধান কারণ হিসেবে আছে।
0.5
1,049.303941
20231101.bn_698670_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE
পশুকামিতা
ন্যান্সি ফ্রাইডে তার বই ফিমেল সেক্সুয়ালিটি, মাই সিক্রেট গার্ডেনে, ভিন্ন ভিন্ন মহিলার ১৯০ টি উদ্ভট খেয়াল (ফ্যান্টাসি) নথিবদ্ধ করেন; যার মধ্যে ২৩ টি ছিল পশুকামী ক্রিয়াকলাপ।
0.5
1,049.303941
20231101.bn_698670_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE
পশুকামিতা
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সব রোগী মনোরোগ জনিত সমস্যায় ভুগছে তাদের মধ্যেই পশ্বাচারের প্রতি অধিক ঝুঁকে পড়েন (৫৫ শতাংশ) ক্রিপল্ট এবং কচর (১৯৮০) প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, তাদের জরিপের ৫.৩% পুরুষ বিষমকামী যৌনক্রিয়ার সময় প্রাণীর সাথে যৌনক্রিয়ার কথা কল্পনা করেন। ২০১৪ সালে একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে দেখা গিয়েছে, নারীদের ৩ শতাংশ এবং পুরুষদের ২ শতাংশ মানুষের মধ্যে প্রাণীর সাথে যৌনক্রিয়া করার খায়েশ রয়েছে। ১৯৮২ সালে ১৮৬ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর করা একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে দেখা গিয়েছে ৭.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাণীর সাথে যৌনক্রীয়ায় লিপ্ত হয়েছে।
0.5
1,049.303941
20231101.bn_38591_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%95
রোধক
রোধক বা রেজিস্টর তড়িৎ বর্তনীতে ব্যবহৃত, দুই প্রান্ত বিশিষ্ট একপ্রকার যন্ত্রাংশ। এর কাজ হল তড়িৎ প্রবাহকে রোধ করা বা বাধা দেয়া। অর্থাৎ পরিবাহকের যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ বা তড়িৎ প্রবাহ বিঘ্নিত বা বাধাপ্রাপ্ত হয় তাকে রোধ বলে। তড়িৎ বর্তনীতে থাকা অবস্থায় রোধক তার দুই প্রান্তের মধ্যে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করার মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহকে বাধা দেয়।
0.5
1,043.360983
20231101.bn_38591_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%95
রোধক
রোধকত্ব (Resistivity) বস্তুর একটি বৈশিষ্ট্য। কোন বস্তুর তড়িৎ আধানের (Electric Charge) প্রবাহকে কী পরিমাণ বাধা দিবে তা তার রোধকত্বের উপর নির্ভর করে। একক দৈর্ঘ্যের, একক (সুষম) প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোন বস্তুর রোধই ওই বস্তুর রোধকত্ব। যে পদার্থের রোধকত্ব যত বেশি সে পদার্থ তড়িৎ আধানের প্রবাহকে তত বেশি বাধা দেয়। সাধারণত ধাতব পদার্থের রোধকত্ব কম হয়।
0.5
1,043.360983
20231101.bn_38591_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%95
রোধক
বস্তুর রোধকত্ব তার তাপমাত্রার উপরও নির্ভরশীল। সাধারণত গ্রীক অক্ষর ρ (উচ্চারণ: রো) দ্বারা রোধকত্বকে প্রকাশ করা হয়। রোধকত্বের আন্তর্জাতিক একক ওহম-মিটার (Ohm-meter), সংক্ষেপে প্রকাশ করা হয় 𝛀 m।
0.5
1,043.360983
20231101.bn_38591_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%95
রোধক
একটি রেজিস্টর তড়িৎ প্রবাহকে কী পরিমাণ বাধা দিবে তা নির্ভর করে তার রোধের (Resistance) উপর। মিটার দৈর্ঘ্যের বর্গমিটার সুষম প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোন পরিবাহীর রোধ নিম্নোক্ত সূত্র দিয়ে নির্ণয় করা যায়:
0.5
1,043.360983
20231101.bn_38591_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%95
রোধক
ও’মের সূত্র: তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোনো নির্দিষ্ট পরিবাহকের মধ্য দিয়ে যে তড়িৎপ্রবাহ চলে তা পরিবাহকের দুিই প্রান্তের বিভব
1
1,043.360983
20231101.bn_38591_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%95
রোধক
ব্যাখ্যা: ধরা যাক, একটি পরিবাহক, এর দুই প্রান্তের বিভব যথাক্রমে ও । যদি > হয়, তাহলে পরিবাহকের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য হবে, এবং A থেকে B বিন্দুর দিকে তড়িৎপ্রবাহ চলবে। এখরন স্থির তাপমাত্রায় পরিবাহকের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ I হলে ও’মের সূত্রানুসারে,
0.5
1,043.360983
20231101.bn_38591_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%95
রোধক
এখানে G একটি সমানুপাতিক ধ্রুবক, একে পরিবাহকের তড়িৎ পরিবাহিত বলে। G এর বিপরীত রাশি উপরিউক্ত সমীকরণে বসালে আমরা পাই,
0.5
1,043.360983
20231101.bn_38591_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%95
রোধক
এথানে R একটি ধ্রুব সংখ্যা, R-কে পরিবাহকের রোধ বলে। এটি পরিবাহকের দৈর্ঘ্য, প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল, উপাদান ও তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। সমীকরণ থেকে ও’মের নিম্নক্তভাবে লেখা যায়। তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোনো পরিবাহকের মধ্য দিয়ে যে তড়িৎপ্রবাহ চলে তা ঐ পরিবাহকের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতি এবং রোধের ব্যস্তানুপাতিক।
0.5
1,043.360983
20231101.bn_38591_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%95
রোধক
ধরা যাক, প্রতিটি রোধকের দুটি প্রান্তকে যথাক্রমে ও দ্বারা সূচিত করা হল । এখন যদি দুই বা ততোধিক রোধ এমনভাবে যুক্ত করা হয় যেন প্রথমটির -প্রান্ত দ্বিতীয়টির -প্রান্তে, দ্বিতীয়টির -প্রান্ত তৃতীয়টির -প্রান্তে সংযুক্ত থাকে ফলে প্রতিটি রোধের মধ্যদিয়ে একই তড়িৎ প্রবাহ প্রবাহিত হয় তাহলে এধরনের সমবায়কে শ্রেণী (Series) সমবায় বলা হয়। চিত্র-১.৩(ক) তে শ্রেণী সমবায় দেখান হয়েছে।
0.5
1,043.360983
20231101.bn_105194_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
স্ট্রবেরি
প্রাচীন রোমান সাহিত্যে এর ঔষধি ব্যবহারের প্রসঙ্গে স্ট্রবেরি ফলের উল্লেখ ছিল।ফরাসীরা ১৪শ শতাব্দী থেকে চাষ করার জন্য বন থেকে স্ট্রবেরি তাদের ফসলের বাগানে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছিল। ১৩৬৪ থেকে ১৩৮০ অবধি ফ্রান্সের রাজা পঞ্চম চার্লসের এর রাজকীয় বাগানে ১,২০০ স্ট্রবেরি গাছ ছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে পশ্চিম ইউরোপীয় সন্ন্যাসীরা তাদের আলোকিত পান্ডুলিপিতে বুনো স্ট্রবেরি ব্যবহার করছিলেন। স্ট্রবেরি ইটালিয়ান, ফ্লেমিশ এবং জার্মান শিল্পে এবং ইংরাজি মিনিয়েচারেও পাওয়া যায়। পুরো স্ট্রবেরি উদ্ভিদ বিষন্নতার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।
0.5
1,034.126391
20231101.bn_105194_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
স্ট্রবেরি
ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যে, স্ট্রবেরি চাষের উল্লেখ আরও সাধারণ হয়ে ওঠে। লোকেরা এর অনুমাননির্ভর ঔষধি গুণাবলীর জন্য এটি ব্যবহার শুরু করে এবং উদ্ভিদবিদরা বিভিন্ন প্রজাতির নামকরণ শুরু করেন। ইংল্যান্ডে নিয়মিত স্ট্রবেরি চাষের চাহিদা ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বেড়েছে।
0.5
1,034.126391
20231101.bn_105194_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
স্ট্রবেরি
থমাস ওলসির অষ্টম রাজা হেনরির দরবারে স্ট্রবেরি এবং ক্রিমের সংমিশ্রণ তৈরি করা হয়েছিল। ১৫৭৮ সালে স্ট্রবেরি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ফসল কাটার জন্য নির্দেশাবলী লিখিতভাবে প্রদর্শিত হয়েছিল। ষোড়শ শতাব্দীর শেষে তিনটি ইউরোপীয় প্রজাতির উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছিল: এফ. ভেসকা (F. ভেসচা), এফ. মোছাটা (F. moschata) এবং এফ. ভিরিডিস (F. viridis)। বাগানগুলোতে বন থেকে এনে স্ট্রবেরি রোপণ করা হয়েছিল এবং এরপর থেকে ধাবক (রানার) অংশ কেটে অযৌন পদ্ধতিতে এর বংশবৃদ্ধি করা হতো।
0.5
1,034.126391
20231101.bn_105194_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
স্ট্রবেরি
এফ. ভাসকার দুটি উপ-প্রজাতি সনাক্ত করা হয়েছিল: এফ. সিলেভেস্ট্রিস আলবা এবং এফ. সিলেভেস্ট্রিস সেম্পেফ্লোরেনস। ১৭শ শতাব্দীতে পূর্ব উত্তর আমেরিকা থেকে ইউরোপে এফ. ভার্জিনিয়েনার প্রবর্তন ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কারণ এটি আধুনিক দুটি স্ট্রবেরি প্রজাতির মধ্যে একটির জন্ম দেয়। নতুন প্রজাতিগুলো ধীরে ধীরে মহাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং ১৮ শতকের শেষ অবধি এটি সম্পূর্ণরূপে প্রশংসিত হয়। ১৭১৩ সালে একটি ফরাসি ভ্রমণদল চিলিতে যাত্রা করেছিল, যার ফলে স্ত্রী ফুল সহ একটি স্ট্রবেরি উদ্ভিদ প্রবর্তিত হয়েছিল; যার ফলস্বরূপ আমরা বর্তমানে প্রচলিত স্ট্রবেরি পেয়েছি।
0.5
1,034.126391
20231101.bn_105194_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
স্ট্রবেরি
স্পেনীয়রা যখন চিলি জয় করতে আসে তখন চিলির ম্যাপুচ এবং হুইলিচ ইন্ডিয়ানরা ১৫৫১ অবধি স্ত্রী স্ট্রবেরি প্রজাতির চাষ করতো। ১৭৬৫ সালে, একজন ইউরোপীয় এক্সপ্লোরার চিলির স্ট্রবেরি, এফ চিলোনেসিসের চাষের কথা উল্লেখ করেছেন। ইউরোপে প্রথম আগমনের পর, এই গাছগুলি বেশ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল তবে ফল দেয়নি। ফরাসি উদ্যানপালক শেরবুর্গ ও ব্রেস্ত ১৮ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি প্রথম লক্ষ্য করেন যে, যখন এফ. মোছাটা এবং এফ. ভার্জিনিয়েনা, এফ. ছিলোনসিসের সারির মধ্যে লাগানো হয়, তখন চিলিয়ান স্ট্রবেরি প্রচুর এবং অসাধারণভাবে বৃহৎ ফল দেয়। এর পরই, এন্টোইন নিকোলাস ডুচসেন স্ট্রবেরি প্রজনন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি বিজ্ঞানের জন্য বেশ কিছু আবিষ্কার করেন যেমন স্ট্রবেরির যৌন প্রজনন যা তিনি ১৭৬৬ সালে প্রকাশ করেছিলেন। ডুচসেন আবিষ্কার করেছিলেন যে, স্ত্রী এফ. চিলোনেসিস গাছগুলি কেবল পুরুষ এফ. মোছাটা বা এফ. ভার্জিনিয়েনা গাছ দ্বারা পরাগায়িত হতে পারে। তখনই ইউরোপীয়রা সচেতন হয়ে উঠে যে, উদ্ভিদের কেবলমাত্র পুরুষ বা কেবল স্ত্রী উদ্ভিদের ফুল উৎপাদন করার ক্ষমতা আছে।
1
1,034.126391
20231101.bn_105194_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
স্ট্রবেরি
ডুচসেন এফ. আনানাসাকে এফ. চিলোনেসিস এবং এফ. ভার্জিনিয়েনার সংকর হিসাবে স্থির করেছিলেন। এফ. আনানাসা বড় আকারের ফল দেয়, তাই এর এমন নামকরণ করা হয়েছে। কারণ এর গন্ধ, স্বাদ এবং বেরির মতো আকার আনারসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ইংল্যান্ডে, এফ. আনানাসার প্রচুর প্রজাতি উৎপাদিত হয়েছিল এবং এগুলো বর্তমান সময়ের চাষ ও খাওয়া উপযোগী আধুনিক জাতের স্ট্রবেরির ভিত্তি তৈরি করে। দৃঢ়তা, রোগ প্রতিরোধ, আকার এবং স্ট্রবেরির স্বাদ উন্নত করতে ইউরোপ এবং আমেরিকাতে আরও প্রজনন পরিচালিত হয়েছিল।
0.5
1,034.126391
20231101.bn_105194_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরি চাষ, এর আকার, রঙ, স্বাদ, আকৃতি, উর্বরতার মাত্রা, পাকার সময়, রোগ এবং চাষের পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। গড়ে, একটি স্ট্রবেরির বাইরের আবরণের উপর প্রায় ২০০ টি বীজ আছে। কিছু উদ্ভিদের ক্ষেত্রে এটি পাতায় পরিবর্তিত হয়, এবং কিছু বস্তুগতভাবে তাদের যৌন অঙ্গগুলির আপেক্ষিক বিকাশে পরিবর্তিত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ফুলে হারমাফ্রোডিক কাঠামো দেখা যায়, কিন্তু এগুলো হয় পুরুষ বা নারী হিসেবে কাজ করে। বাণিজ্যিক উৎপাদনের উদ্দেশ্যে, উদ্ভিদের ধাবক (রানার) ব্যবহার করা হয় এবং সাধারণভাবে, হয় নগ্ন মূলসহ উদ্ভিদ বা প্লাগ হিসেবে বিপণন করা হয়। এর চাষ দুটি সাধারণ মডেলের একটি অনুসরণ করে- বার্ষিক প্লাস্টিকালচার, অথবা বহুবর্ষজীবী ম্যাটেড সারি বা টিলায় চাষ। মৌসুম ছাড়াও গ্রীনহাউসে সামান্য পরিমাণ স্ট্রবেরি উৎপাদন করা হয়।
0.5
1,034.126391
20231101.bn_105194_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
স্ট্রবেরি
আধুনিক বাণিজ্যিক উৎপাদনে সিংহভাগ প্লাস্টিকালচার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে, প্রতি বছর উঁচু বিছানা তৈরি করা হয়; ধোঁয়া, এবং আগাছা বৃদ্ধি এবং ক্ষয় প্রতিরোধের জন্য প্লাস্টিক দ্বারা আবৃত করা হয়। উদ্ভিদ সাধারণত নর্দার্ন নার্সারি থেকে নেয়া হয়৷ এই আবরণে চাঁপ প্রয়োগে গর্ত করার মাধ্যমে এগুলো রোপণ করা হয়, এবং নিচে টিউবিং পদ্ধতিতে সেচ কাজ চালানো হয়। চারায় ধাবক গজানোর সাথে সাথেই তা অপসারণ করা হয়, যাতে উদ্ভিদ তার পুরো শক্তি ফলের উন্নয়নে ব্যয় করতে পারে। ফসল উৎপাদনের মৌসুম শেষে প্লাস্টিকের আবরণ অপসারণ করা হয় এবং উদ্ভিদ মাটিতে চাষ করা হয়। যেহেতু স্ট্রবেরি উদ্ভিদ এক বা দুই বছরের বেশি পুরানো হলে উৎপাদনশীলতা এবং ফলের মান হ্রাস পেতে শুরু করে, তাই প্রতি বছর উদ্ভিদ প্রতিস্থাপনের এই পদ্ধতি উন্নত ফলন এবং ঘন রোপণের সহায়ক হয়। যাইহোক, যেহেতু প্রতি বছর এই উদ্ভিদ উৎপাদনের জন্য একটি দীর্ঘ ক্রমবর্ধমান মৌসুম প্রয়োজন, এবং টিলা গঠন এবং প্রতি বছর গাছ কেনার ক্ষেত্রে বর্ধিত খরচের কারণে, এটি সব স্থানে সবসময় বাস্তবসম্মত নয়।
0.5
1,034.126391
20231101.bn_105194_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF
স্ট্রবেরি
অন্য একটি প্রধান পদ্ধতি হচ্ছে, একই উদ্ভিদ সারিতে বছরের পর বছর ব্যবহার করা। ঠান্ডা জলবায়ু অঞ্চলে এই পদ্ধতিটি খুবই সাধারন। এ পদ্ধতিতে কম বিনিয়োগ প্রয়োজন, এবং সামগ্রিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজনীয়তাও কম। তবে ফলন সাধারণত প্লাস্টিকালচারের তুলনায় কম।
0.5
1,034.126391
20231101.bn_108270_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A7%8B
জোড়াসাঁকো
জোড়াসাঁকো অঞ্চলের আদি নাম ছিল মেছুয়াবাজার। ইতিহাসপ্রসিদ্ধ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ছিল বাংলার নবজাগরণের অন্যতম মুখ্য ধারক ও বাহক ঠাকুর পরিবারের ভদ্রাসন। ঠাকুর পরিবার ছাড়াও নবজাগরণের অন্যান্য পৃষ্ঠপোষক সিংহ পরিবার (কালীপ্রসন্ন সিংহের পরিবার), পাল পরিবার (কৃষ্ণদাস পালের পরিবার), এবং দেওয়ান বানারসি ঘোষ ও চন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের ভদ্রাসনও এই অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। এইভাবে জোড়াসাঁকো হয়ে উঠেছিল “বাংলার নবজাগরণের শিশুশয্যা।”
0.5
1,031.983167
20231101.bn_108270_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A7%8B
জোড়াসাঁকো
জোড়াসাঁকো থানা কলকাতার প্রাচীনতম থানাগুলির অন্যতম। ১৭৮৫ সালে শহরের পৌর প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের জন্য যে ৩১টি থানা সৃষ্টি করা হয়েছিল, জোড়াসাঁকো ছিল তার অন্যতম।
0.5
1,031.983167
20231101.bn_108270_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A7%8B
জোড়াসাঁকো
আদি ব্রাহ্মসমাজ, জোড়াসাঁকো ভারতী নাট্যসমাজ, কলিকাতা হরিভক্তিপ্রদায়িনী সভা, মিনার্ভা লাইব্রেরি, ওরিয়েন্টাল সেমিনারি প্রভৃতি ইতিহাসখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলি জোড়াসাঁকো অঞ্চলেই স্থাপিত হয়েছিল। ১৯২৯ সালে শিক্ষাবিদ গৌরমোহন আঢ্য প্রতিষ্ঠিত ওরিয়েন্টাল সেমিনারি ছিল কলকাতার প্রাচীনতম বেসরকারি ও প্রথম শ্রেণির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হিন্দুদের দ্বারা চালিত এই বিদ্যালয়ে কেবলমাত্র মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত হিন্দু ছাত্ররাই পড়াশোনার সুযোগ পেতেন।
0.5
1,031.983167
20231101.bn_108270_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A7%8B
জোড়াসাঁকো
১৯৬২ সালে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গনে কলকাতার তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। প্রথম দিকে এই বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সঙ্গীত ও চারুকলা শিক্ষাকেন্দ্র; পরবর্তীকালে এখানে কলা ও মানবীয় বিদ্যা পঠনপাঠন শুরু হয়।
0.5
1,031.983167
20231101.bn_108270_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A7%8B
জোড়াসাঁকো
জোড়াসাঁকো অঞ্চলটি রবীন্দ্র সরণির উপর অবস্থিত। এই ঐতিহাসিক রাস্তাটির আদিনাম চিৎপুর রোড। ১৯০৯ সালে এইচ. ই. এ. কটন এই রাস্তাটি প্রসঙ্গে লেখেন, “The great thoroughfare, which commencing in the extreme south, assumes the various names of Russa Road, Chowringhee Road, Bentick Street, Chitpore Road, and Barrackpore Trunk Road, forms a continuation of the Dum Dum Road and was the old line of communication between Morshedabad and Kalighat. It is said to occupy the site of the old road made by the Sabarna Roy Choudhurys, the old zemindars of Calcutta, from Barisha, where the junior branch resided, to Halisahar, beyond Barrackpore, which was the seat of the senior branch.” কেউ কেউ জোড়াসাঁকো সহ এই রাস্তার দুইধারের সমগ্র অঞ্চলটিকে চিৎপুর নামে অভিহিত করে থাকেন।
1
1,031.983167
20231101.bn_108270_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A7%8B
জোড়াসাঁকো
জোড়াসাঁকো নাট্যশালা নামে জোড়াসাঁকোয় দুটি নাট্যশালার কথা জানা যায়। প্যারীমোহন ঘোষ তার বানারসি ঘোষ স্ট্রিটস্থ বাসভবনে প্রথমটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হওয়া একমাত্র নাটকটি ছিল উইলিয়াম শেক্সপিয়রের জুলিয়াস সিজার। ১৮৫৪ সালের ৩ মে এই নাটকটি জোড়াসাঁকো নাট্যশালায় মঞ্চায়িত হয়েছিল।
0.5
1,031.983167
20231101.bn_108270_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A7%8B
জোড়াসাঁকো
১৮৬৫ সালে গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর পারিবারিক থিয়েটার হিসেবে দ্বিতীয় জোড়াসাঁকো নাট্যশালাটির প্রতিষ্ঠা করেন। এই বছরই এই নাট্যশালায় মাইকেল মধুসূদন দত্তের কৃষ্ণকুমারী নাটকটি অভিনীত হয়। এই নাটকে তরুণ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম নাট্যাভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি অহল্যাদেবীর চরিত্রে অভিনয় করেন। প্রথম দিকে পুরুষেরা মহিলা চরিত্রে অভিনয় করলে পরবর্তীকালে ঠাকুরবাড়ির মহিলারা আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সম্মুখে মঞ্চাভিনয়ে এগিয়ে আসেন। পরবর্তীকালে তারা জনসমক্ষেও অভিনয় করেছেন।
0.5
1,031.983167
20231101.bn_108270_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A7%8B
জোড়াসাঁকো
সেযুগে বাংলা ভাষায় অভিনয়োপযোগী নাটকের সংখ্যা কমই ছিল। এই কারণে গণেন্দ্রনাথ একটি নাট্যরচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন। রামনারায়ণ তর্কালঙ্কার রচিত নবনাটক এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে। গণেন্দ্রনাথ নাট্যকারকে ২০০ টাকা পুরস্কার স্বরূপ দেন; যা সেযুগের হিসেব অনুযায়ী ছিল মহার্ঘ্য। এছাড়াও তিনি নাটকের এক হাজার কপি প্রকাশের খরচ বহনের প্রতিশ্রুতিও দেন। অভিনয়ে অংশ নিয়েছিলেন অক্ষয় মজুমদার, সারদাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
0.5
1,031.983167
20231101.bn_108270_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A7%8B
জোড়াসাঁকো
বর্তমানে জোড়াসাঁকো কলকাতার শঙ্খশিল্পের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। যদিও এই শিল্প সাম্প্রতিককালে নানা সমস্যায় দীর্ণ।
0.5
1,031.983167
20231101.bn_113358_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%A8
নদীভাঙন
নদীভাঙন, এক প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ। নদীর সমুদ্রে গিয়ে পড়ার সময় সাধারণত সমুদ্রের কাছাকাছি হলে তীব্র গতিপ্রাপ্ত হয়। তখন পানির তীব্র তোড়ে নদীর পাড় ভাঙতে থাকে। নদীর পানির স্রোতে নদীর পাড় ভাঙার এই অবস্থাকে নদীভাঙন বলে।
0.5
1,031.272568
20231101.bn_113358_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%A8
নদীভাঙন
পানিচক্রের প্রভাবে পর্বতের গায়ে বরফ জমে, সেই বরফ গলা পানি পর্বতের গা থেকে নেমে আসে। এভাবে নদীর সৃষ্টি হয়। নদীর এই পানি সমুদ্রের দিকে ধাবিত হয়। সাধারণত সমুদ্রের কাছাকাছি অংশে নদীর পানি তীব্র গতিতে ছুটে চলে। এছাড়াও বর্ষা মৌসুমে উজানে তীব্র বৃষ্টিপাত হলেও নদীর পানি বেড়ে যায়। তখন নদীতে স্রোতও বেড়ে যায়। নদীর এই তীব্র স্রোত ভাটার দিকে চলার পাশাপাশি নদীর পাড় আঘাত করতে থাকে। পানির এই ক্রমাগত তীব্র আঘাতে নদীতীরবর্তী ভূভাগ ক্ষয় হতে থাকে। একসময় মাটি ক্ষয় হতে হতে যখন উপরের মাটির ভার সহ্য করতে পারে না, তখন উপরের অক্ষয় মাটিসহ নদীপাড়ের বিশাল অংশ বা চাড়া নদীর মধ্যে ভেঙে পড়ে। এসব কারণে ভাঙন এলাকায় নদীর পানি হয় গলিত মাটিপূর্ণ, ঘোলা।
0.5
1,031.272568
20231101.bn_113358_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%A8
নদীভাঙন
আরো একটি কারণে এমনটা হতে পারে। সাধারণত নদী, তার পানির গতিপথে কোনো বাধা পেলে তাতে তীব্র আঘাত করে। নদী, গতিপথ বদলাবার সময় যেদিকে গতি বদলায়, সেদিকের পাড়ে বারবার তীব্রগতিতে আঘাত করতে থাকে। সাধারণত উপকূল এলাকা পলিগঠিত হওয়ায়, নরম পলিমাটির স্তর সেই আঘাত সহ্য করতে না পেরে ভেঙ্গে পড়ে। এভাবে নদী একদিকের পাড় ভাঙতে থাকলেও অপর দিক থেকে গতি বদলে নেয় বলে অপর দিকে গলিত পলিমাটি নিয়ে জমা করতে থাকে। তাই নদীভাঙনের মাধ্যমে নদীর একপাড় ভাঙে, আরেক পাড় গড়ে।
0.5
1,031.272568
20231101.bn_113358_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%A8
নদীভাঙন
বাংলাদেশে, সাধারণত বর্ষাকালে উজানে প্রচুর বৃষ্টিপাতের দরুন নদীর পানি বেড়ে যায় এবং তা প্রচন্ড গতিতে সমুদ্রের দিকে ধাবিত হয়। এসময় উপকূলীয় অঞ্চলের নদীসংলগ্ন স্থলভাগে পানির তীব্র তোড়ে সৃষ্টি হয় নদীভাঙনের। বাংলাদেশে এটা স্বাভাবিক চিত্র হলেও সাম্প্রতিক গবেষণায় তা আর স্বাভাবিক বলে পরিগণিত হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকার প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন অব্যাহত আছে। আরও প্রায় ৫০০ কিলোমিটার এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিতে পারে। এতে কৃষি জমির এক বিরাট অংশ নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে। অথচ এর বিপরীতে যে চর জেগে উঠছে, তা অপ্রতুল।
0.5
1,031.272568
20231101.bn_113358_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%A8
নদীভাঙন
নদীভাঙন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান দুর্যোগ যার কারণ নদীর গতিপ্রকৃতির দ্রুত পরিবর্তন। প্রতিবছর প্রায় ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ হেক্টর জমি নদীভাঙনে হারিয়ে যায়। এই ভাঙনের ফলে প্রতি বছর প্রায় এক লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদীভাঙনের ফলে এদেশে প্রতিবছর ২৫ কোটি ডলার ক্ষতি হয়।
1
1,031.272568
20231101.bn_113358_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%A8
নদীভাঙন
বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (CEGIS) উপগ্রহের মাধ্যমে সংগৃহীত উপাত্ত বিশ্লেষণে বেরিয়ে এসেছে যে, ১৯৭৩-২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ভোলার মূল ভূভাগ থেকে ২৪০ বর্গ কিলোমিটার জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপগ্রহচিত্রে দেখা যায় ভোলার উত্তর-পূর্ব দিকে ভাঙনের প্রবণতা বেশি। যদিও একই সময়ে ৭০ বর্গ কিলোমিটার নতুন চর ভোলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, কিন্তু ভাঙনের তুলনায় তা যৎসামান্য। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানা যায়, ২০০৪-২০০৮ -এই চার বছর ভাঙনের মাত্রা বেড়েছে, আর ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে তা সর্বোচ্চ হয়েছে।
0.5
1,031.272568
20231101.bn_113358_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%A8
নদীভাঙন
কোপেনহেগেনে জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে (২০০৯) বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনগুলির একটিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকায় প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন অব্যাহত আছে। এবং আরও প্রায় ৫০০ কিলোমিটার জুড়ে নতুন করে ভাঙন দেখা দিতে পারে।
0.5
1,031.272568
20231101.bn_113358_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%A8
নদীভাঙন
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নেরর একটি অংশের নাম ঘর রাজাপুর, অন্য অংশটির নাম বাহির রাজাপুর। বাহির রাজাপুরে ৬ বছর আগেও (পরিপ্রেক্ষিত ২০০৯) ১৭টি গ্রাম ছিলো; ভাঙনের ফলে তা এসে ঠেকেছে মাত্র ৬টিতে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে ভাঙন কবলিত ছিলো সীতারাম এবং উত্তর রামদাসপুর। মনপুরা উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে বিগত ১৫ বছরের তুলনায় ২০০৯ সালের ভাঙনের হার বেশি (পরিপ্রেক্ষিত ২০০৯)।
0.5
1,031.272568
20231101.bn_113358_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%A8
নদীভাঙন
২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের প্রেক্ষাপটে হাতিয়ার উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিমাংশের তমরদ্দি, চরকিং ও চরঈশ্বর ইউনিয়ন এবং সুখচর ও নলচিরার অবশিষ্টাংশ ব্যাপক ভাঙনের কবলে রয়েছে। নদীভাঙনের পর হাতিয়া উপজেলা পরিষদ ১৯৮৫-৮৬ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান উপজেলা সদর ওছখালিতে স্থানান্তর করা হয়েছিলো। ভাঙনের কবলে ইতোমধ্যেই রাজকুমার সাহার হাট, মনু বেপারির হাট, হিজিমিজির বাজার, নায়েবের হাট, সাহেবের হাট, নলচিরা বাজার, সাহেবানী বাজার, চৌরঙ্গী বাজার, জাইল্লা বাজার, মফিজিয়া বাজার, নলচিরা নতুন বাজার ও ভুঞার হাট মেঘনাগর্ভে হারিয়ে গেছে। হাতিয়া উপজেলা সরকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ভাঙনের কবলে উপজেলার সাগরদি, চরবাটা, মাইজচরা, চর হাসান-হোসেন, চরকিং, উত্তর চরকিং, কাউনিয়া, চরবগুলা, চরআমানুল্লাহ, দক্ষিণ চরআমানুল্লাহ মৌজাগুলো মেঘনাগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া আরো ২০টি মৌজার বেশিরভাগই নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে।
0.5
1,031.272568
20231101.bn_290121_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE
মুক্তপেশা
মুক্তপেশা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে মু্ক্তভাবে কাজ করাকে বোঝায়। যারা এধরনের কাজ করেন তাদের বলা হয় "মুক্তপেশাজীবী" বা ফ্রিল্যান্সার।
0.5
1,030.641443
20231101.bn_290121_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE
মুক্তপেশা
আধুনিক যুগে বেশিরভাগ মুক্তপেশার কাজগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ফলে মুক্ত পেশাজীবীরা ঘরে বসেই তাদের কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। এ পেশার মাধ্যমে অনেকে প্রচলিত চাকরি থেকে বেশি আয় করে থাকেন, তবে তা আপেক্ষিক। ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ হওয়াতে এ পেশার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি হাজারো ক্লায়েন্টের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটে।
0.5
1,030.641443
20231101.bn_290121_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE
মুক্তপেশা
মূলত অর্থের বিনিময়ে কাজ করা যোদ্ধাদের থেকে ফ্রিল্যান্সারদের উৎপত্তি। ১৮১৯ সালে প্রথম ফ্রিল্যান্সার শব্দ ছাপা হয় "Walter Scott" নামক এক লেখকের বইতে।
0.5
1,030.641443
20231101.bn_290121_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE
মুক্তপেশা
মুক্তপেশার কাজের পরিধি অনেক বেশি। বিশ্বব্যাপী এধরনের কর্মপদ্ধতির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা কয়েকটি কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
0.5
1,030.641443
20231101.bn_290121_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE
মুক্তপেশা
লেখালেখি ও অনুবাদ: নিবন্ধ , ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, ছোট গল্প, প্রাপ্তবয়স্কদের গল্প এবং এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ভাষান্তরকরণ উল্লেখযোগ্য।
1
1,030.641443
20231101.bn_290121_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE
মুক্তপেশা
সাংবাদিকতা: যারা এবিষয়ে দক্ষ তারা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পত্রপত্রিকায় লেখালেখির, চিত্রগ্রহণের পাশাপাশি ইন্টারনেটভিত্তিক জনসংযোগ করে থাকেন।
0.5
1,030.641443
20231101.bn_290121_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE
মুক্তপেশা
ইন্টারনেট বিপণন: ইন্টারনেটভিত্তিক বাজারজাতকরণ কার্যক্রম, যেমন ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বিপণন।
0.5
1,030.641443
20231101.bn_290121_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE
মুক্তপেশা
গ্রাহক সেবা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির গ্রাহককে টেলিফোন, ইমেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহাজ্যে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা।
0.5
1,030.641443
20231101.bn_290121_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE
মুক্তপেশা
প্রশাসনিক সহায়তা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন কাজের ডাটা এন্ট্রি করণ, ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা ইত্যাদি* প্রশাসনিক সহায়তা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন কাজের ডাটা এন্ট্রি করণ, ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা ইত্যাদি।
0.5
1,030.641443
20231101.bn_632803_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
লিগ্যান্ড
বহুদন্তীয় লিগ্যান্ডসমূহের জটিল যৌগগুলো্কে চিলেট জটিল বলা হয়। এরা একদন্তীয় লিগ্যান্ড থেকে উদ্ভূত জটিলের তুলনায় অধিক সুস্থিত হয়ে থাকে। এই বর্ধিত সুস্থিতি, চিলেট প্রভাব, সাধারণত এনট্রপি এর প্রভাবকে আরোপিত করে, যা একটি বহুদন্তীয় লিগ্যান্ড দ্বারা অনেক লিগ্যান্ডসমূহের স্থানচ্যুতিতে সহায়তা করে। যখন চিলেটিং লিগ্যান্ড একটি বড় চক্র তৈরি করে তখন এই চক্রটি অন্তত আংশিকভাবে একটি কেন্দ্রীয় পরমাণুকে পরিবেষ্টন করে এবং এর সাথে বন্ধন তৈ্রি করে, ফলে কেন্দ্রীয় পরমাণুটি একটি বৃহৎ চক্রের কেন্দ্রে অবস্থান করে। এর ডেন্টিসিটি যত দৃঢ় এবং উচ্চতর হবে, ম্যাক্রোসাইক্লিক জটিল তত নিষ্ক্রিয় হবে। হিম একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণঃ একট লৌহ পরমাণু একটি পরফিরিন ম্যাক্রোসাইকেলের কেন্দ্রে অবস্থান করে এবং টেট্রাপাইরল ম্যাক্রোসাইকেলের চারটি নাইট্রোজেন পরমাণু দ্বারা আবদ্ধ থাকে। নিকেলের অত্যন্ত স্থিতিশীল একটি জটিল ডাই মিথাইল গ্লাইঅক্সিমেট একটি সংশ্লেষিত ম্যাক্রোসাইকেল, যা ডাই মিথাইল গ্লাইঅক্সাইমের অ্যানায়ন থেকে তৈরি করা হয়।
0.5
1,030.507789
20231101.bn_632803_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
লিগ্যান্ড
হ্যাপটিসিটি (η দ্বারা চিহ্নিত করা হয়) সন্নিবেশ পরমাণুসমূহের সংখ্যাকে বোঝায় যা একটি দাতা সাইটের অংশ এবং একটি ধাতব কেন্দ্রের সাথে সংযুক্ত হয়। বুটাডাইইন ধাতুর সাথে বন্ধনযুক্ত কার্বন পরমাণুর সংখ্যার উপর নির্ভর করে η২ এবং η৪ উভয় কমপ্লেক্স গঠন করতে পারে।
0.5
1,030.507789
20231101.bn_632803_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
লিগ্যান্ড
ট্রান্স-স্প্যানিং লিগ্যান্ডসমূহ হল দ্বিদন্তীয় লিগ্যান্ডসমূহ, যা একটি সন্নিবেশ জটিল যৌগের বিপরীত পার্শ্বের সন্নিবেশিত অবস্থানগুলোকে প্রসারিত করতে পারে।
0.5
1,030.507789
20231101.bn_632803_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
লিগ্যান্ড
বহুদন্তীয় লিগ্যান্ড হতে ভিন্ন, অ্যামবাইডেন্টেট লিগ্যান্ডগুলি কেন্দ্রীয় পরমাণুর দুটি স্থানের সাথে সংযুক্ত হতে পারে। এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল থায়োসায়ানেট, SCN-, যা হয় সালফার পরমাণু বা নাইট্রোজেন পরমাণুর সাথে সংযুক্ত হতে পারে। এই যৌগগুলি সংযোজন সমাণুতাকে বৃ্দ্ধি করে। পলিফাংশনাল লিগ্যান্ড, বিশেষ করে প্রোটিন, নানা প্রকারের আইসোমার তৈরি করতে বিভিন্ন লিগ্যান্ড পরমাণুসমূহের দ্বারা একটি কেন্দ্রীয় ধাতুর সাথে বন্ধন গঠন করতে পারে।
0.5
1,030.507789
20231101.bn_632803_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
লিগ্যান্ড
একটি সেতু গঠনকারী লিগ্যান্ড দুই বা ততোধিক ধাতব কেন্দ্রকে সংযোগ করে। প্রকৃতপক্ষে, সকল সহজ গঠনের অজৈব কঠিন পদার্থগুলো হল সন্নিবেশ পলিমার, যা সেতু গঠনকারী লিগ্যান্ড দ্বারা সংযুক্ত ধাতব কেন্দ্রগুলি দিয়ে গঠিত। সকল অ্যানহাইড্রাস বাইনারি ধাতব হ্যালাইড এবং সিউডো-হ্যালাইড উপাদানের এই গ্রুপটির অন্তর্ভুক্ত। দ্রবনেও সেতু গঠনকারী লিগ্যান্ড বিদ্যমান। পলিঅ্যাটোমিক লিগ্যান্ড যেমন কার্বোনেট হল অ্যামবাইডেন্টেট এবং তাই প্রায়ই দুটি বা তিনটি ধাতুর সাথে একসঙ্গে বন্ধন গঠন করতে পারে। সেতু গঠনকারী ধাতব পরমাণু কখনও কখনও "μ" দ্বারা নির্দেশ করা হয়। বেশিরভাগ অজৈব কঠিন পদার্থগুলো একাধিক সেতু গঠনকারী লিগ্যান্ডের উপস্থিতির কারণে পলিমার ধর্মবিশিষ্ট হয়।
1
1,030.507789
20231101.bn_632803_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
লিগ্যান্ড
বাইনিউক্লিয়েটিং লিগ্যান্ড দুইটি ধাতুকে বন্ধনে আবদ্ধ করে। সাধারণত বাইনিউক্লিয়েটিং লিগ্যান্ডসমূহ সেতু গঠনকারী লিগ্যান্ড, যেমন ফেনোক্সাইড, পাইরাজোলেট বা পাইরাজিন, সেইসাথে অন্যান্য দাতা গ্রুপগুলোকে যা দুটি ধাতুর মধ্যে শুধুমাত্র একটির সাথে বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
0.5
1,030.507789
20231101.bn_632803_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
লিগ্যান্ড
ধাতু-লিগ্যান্ড বহু বন্ধন কিছু লিগ্যান্ড পৃথক সংখ্যক নিঃসঙ্গ ইলেক্ট্রন জোড় এর মাধ্যমে একই পরমাণুর দ্বারা একটি ধাতব কেন্দ্রের সাথে বন্ধনযুক্ত হতে পারে। ধাতু-লিগ্যান্ড বন্ধনের বন্ধন ক্রম ধাতু লিগ্যান্ড বন্ধন কোণ (M−X−R) এর মাধ্যমে আলাদা করা যায়। এই বন্ধন কোণটি প্রায়ই রৈখিক আকৃ্তির বা বক্র হয়ে থাকে বলে উল্লেখ করা হয়, সেইসাথে কোণটি কত ডিগ্রি তে বক্রিত হয়েছে তার সম্পর্কেও আরও আলোচনা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, আয়নিক গঠনের একটি ইমিডো লিগ্যান্ডের তিনটি নিঃসঙ্গ জোড় ইলেক্ট্রন রয়েছে। একটি নিঃসঙ্গ জোড় সিগমা X দাতা হিসাবে ব্যবহৃত হয়, অন্য দুটি নিঃসঙ্গ জোড় L-টাইপ পাই দাতা হিসাবে পাওয়া যায়। পাই বন্ধন গুলিতে যদি উভয় নিঃসঙ্গ জোড় ইলেক্ট্রন ব্যবহৃত হয় তবে M−N−R জ্যামিতিটি রৈখিক আকৃতির হয়। কিন্তু যদি এই নিঃসঙ্গ ইলেক্ট্রন জোড় এর একটি বা উভয়ই অবন্ধনীয় হয় তাহলে M−N−R বন্ধনটি বাঁকা হয় এবং বাঁকে হওয়ার পরিমাণ কতগুলি পাই বন্ধন থাকতে পারে তা ব্যাখ্যা করে। η1- নাইট্রিক অক্সাইড রৈখিক বা নমিত প্রণালীতে একটি ধাতু কেন্দ্রের সাথে সন্নিহিত হতে পারে।
0.5
1,030.507789
20231101.bn_632803_22
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
লিগ্যান্ড
দর্শক লিগ্যান্ড হল একটি অভেদ্য সন্নিবেশকারী বহুদন্তী লিগ্যান্ড যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না কিন্তু একটি ধাতুর সক্রিয় সাইটকে দূরীভূত করে। দর্শক লিগ্যান্ড যে কেন্দ্রীয় ধাতুর সাথে বন্ধনে আবদ্ধ হবে তার সক্রিয়তাকে প্রভাবিত করে।
0.5
1,030.507789
20231101.bn_632803_23
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1
লিগ্যান্ড
একটি কেন্দ্রীয় ধাতুর স্টেরিক ধর্মগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে ভারী লিগ্যান্ড ব্যবহার করা হয়। এরা বিভিন্ন কারণে, ব্যবহারিক এবং তাত্ত্বিক উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বাস্তব ক্ষেত্রে, এরা ধাতব প্রভাবকের নির্বাচনকে প্রভাবিত করে, যেমন, হাইড্রোফরমাইলেশন। তাত্ত্বিক ক্ষেত্রে, ভারী লিগ্যান্ডগুলো অস্বাভাবিক সন্নিবেশ সাইটগুলো, যেমন সক্রিয় সহলিগ্যান্ড বা নিম্ন সন্নিবেশ সংখ্যা কে স্থিতিশীল করে। ভারী লিগ্যান্ডগুলো প্রায়ই সক্রিয় সাইটবিশিষ্ট ধাতুর প্রোটিন কর্তৃক প্রদান করা স্টেরিক সুরক্ষা অনুকরণে নিযুক্ত করা হয়। অবশ্যই অতিরিক্ত স্টেরিক বাল্ক নির্দিষ্ট লিগ্যান্ডের সন্নিবেশ প্রতিরোধ করতে পারে।
0.5
1,030.507789
20231101.bn_361673_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ হচ্ছে একটি রাজনৈতিক মতবাদ যেটি যুক্ত করেছে মার্কসবাদ (কার্ল মার্কস এবং ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীদের তাত্ত্বিক ধারণা) এবং লেনিনবাদকে (মার্কসবাদের ভ্লাদিমির লেনিন কর্তৃক তাত্ত্বিক বিস্তারন যা অন্তর্ভুক্ত করে সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধিতা, গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা এবং ভ্যানগার্ডবাদী দল-গঠন নীতিসমূহ।
0.5
1,030.210738
20231101.bn_361673_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ হল চিরজীবী তত্ত্বকোষ, জনগণের সংগ্রাম আর গঠনকর্মের অভিজ্ঞতা নিয়ে সৃজনশীল ভাবনাচিন্তার একটা সার্থক প্রণালী, কর্মের অবিচল দিশারি। মার্কসবাদ-লেনিনবাদের প্রাণশক্তির রহস্য এইখানে যে মার্কস, এঙ্গেলস, লেনিনের মতবাদ, তার পদ্ধতি, নীতি আর আদর্শ কোটি কোটি জনগণের কাছে বোধগম্য, তাদের মনের মতো। প্রতিটি নতুন প্রজন্ম যে প্রশ্নে আলোড়িত, এতে তারা খুঁজে পায় তার উত্তর। মানবজাতির ভবিষ্যতের পথ তা আলোকিত করছে সারা বিশ্বে নিয়ে আসছে শান্তি আর প্রগতি।
0.5
1,030.210738
20231101.bn_361673_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ
জার্মান দর্শন, ব্রিটিশ অর্থনীতি এবং কল্পলৌকিক সমাজতন্ত্র রূপে মানবজাতির শ্রেষ্ঠ যা কিছু সৃষ্টি, তার বৈধ উত্তরাধিকারী হল মার্কসবাদ। তবে মার্কস, এঙ্গেলস তাদের তাত্ত্বিক পূর্বসূরিদের ধারাবাহকই ছিলেন না, তারা বিচার করে সেগুলি ঢেলে সাজিয়েছেন, গড়ে তুলেছেন নতুন মতবাদ। তাদের মতবাদে প্রকাশ পায় সবচেয়ে প্রগতিশীল ও বৈপ্লবিক শ্রেণী, প্রলেতারিয়েতের মৌলিক স্বার্থ। মেহনতিদের সামাজিক মুক্তির ইতিহাসে তারা সত্যিকারের এক বিপ্লব ঘটান। তাদের বৈপ্লবিক ক্রিয়াকলাপের অনুসারি লেনিনের বৈপ্লবিক তত্ত্বে নানা বিষয়ের অবদান এতোই বিপুল যে উত্তরকালে তার নাম হয়েছে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ। এটি হল সারা বিশ্বের প্রলেতারিয়েতের আন্তর্জাতিক মতবাদ।
0.5
1,030.210738
20231101.bn_361673_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ
১৯১৭ সালের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় গর্জন করে উঠলো "অরোরা" যুদ্ধজাহাজের কামান, শুরু হলো রুশ বুর্জোয়া সরকারের শেষ ঘাঁটি শীত প্রাসাদের ওপর বিজয়ী আক্রমণ। একই সময়ে স্মোলনির সমাবেশ হলে উদ্বোধন হলো পেত্রগ্রাদ সোভিয়েতের জরুরি অধিবেশন। চূড়ান্ত স্পষ্টতা, সুনির্দিষ্টতা আর সাদাসিধে ভাষায় লেনিন ঘটনাবলীর সারসংক্ষেপ করলেনঃ 'যে শ্রমিক ও কৃষক বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তার কথা বলশেভিকরা সর্বদা বলে এসেছে তা ঘটল'। অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক মহাবিপ্লব ছিলো সামাজিক বিকাশের, একচেটিয়া পুঁজিবাদের পরিস্থিতিতে শ্রেণিসংগ্রামের নিয়মসঙ্গত উপায়। এর বিজয়ে দেখা দিলো পৃথিবীতে প্রথম সমাজতন্ত্র অভিমুখী রাষ্ট্র।
0.5
1,030.210738
20231101.bn_361673_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ
Bottomore, T. B. A Dictionary of Marxist thought. Malden, Massaschussetts, USA; Oxford, England, UK; Melbourne, Victoria, Australia; Berlin, Germany: Wiley-Blackwell, 1991
1
1,030.210738
20231101.bn_361673_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ
Lee, Stephen J. European dictatorships, 1918–1945. 2nd edition. London, England, UK; New York, New York, USA: Routledge, 2000
0.5
1,030.210738
20231101.bn_361673_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ
Pons, Silvo and Service, Robert (eds.). A Dictionary of 20th Century Communism. Princeton, New Jersey, USA; Oxfordshire, England, UK: Princeton University Press
0.5
1,030.210738
20231101.bn_361673_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ
Ulam, Adam Bruno. The Bolsheviks: the intellectual and political history of the triumph of communism in Russia. Harvard University Press, 1965, 1998
0.5
1,030.210738
20231101.bn_361673_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ
Alexander Spirkin. Fundamentals of Philosophy. Translated from Russian by Sergei Syrovatkin. Moscow: Progress Publishers, 1990.
0.5
1,030.210738
20231101.bn_26284_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0
দুর্গাপুর
এছাড়াও প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ড-এর ধানবাদ ও গিরীডিহ্ জেলাগুলিও এই শহরের কাছাকাছি অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী, কলকাতার সঙ্গে দুর্গাপুরের ভৌগোলিক দূরত্ব ১৮৫ কি.মি.। গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড বা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে বা ১৯ নং জাতীয় সড়ক/NH 19(পুরাতন ২), এই শহরের বুক চিরে চলে গেছে। শহরের পান্ডবেশ্বর এলাকা দিয়ে ১৪ নং জাতীয় সড়ক বা NH 14(পুরাতন ৬০) ওড়িশা অভিমুখে চলে গেছে। হাওড়া-দিল্লী প্রধান রেলপথটি, শহরের একেবারে ভিতর দিয়ে চলে গেছে। শহরতলীর অন্ডাল জংশন থেকে অন্ডাল-সাঁইথিয়া শাখা রেলপথটি সাঁইথিয়া জংশন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে ও তারপর সেখানে সাহেবগঞ্জ লুপের সঙ্গে সংযুক্তি ঘটে। পূর্বোক্ত দু'টি রেলপথ-ই পূর্ব রেল-এর আসানসোল ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত।
0.5
1,027.382945
20231101.bn_26284_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0
দুর্গাপুর
ভারতের ২০১১ সালের আদম শুমারি বা জনগণনা অনুসারে দুর্গাপুর শহরের জনসংখ্যা হল ৫,৮১,৪০৯ জন। এর মধ্যে পুরুষের জনসংখ্যা হল ৩,০১,৭০০, এবং নারীর জনসংখ্যা হল ২,৭৯,৭০৯। ৬ বছরের অনূর্ধ্ব বয়সীদের জনসংখ্যা হল ৫১,৯৩০। ৭ বছর বয়সী বা তার উর্দ্ধে যাদের বয়স, তাদের স্বাক্ষরতার হার ৮৭.৭০। পুরুষদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৯২.০১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮৩.০৩%। সারা ভারতের জাতীয় শহরাঞ্চলীয় গড় স্বাক্ষরতার হার ৮৫%, তার চাইতে দুর্গাপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। লিঙ্গ অনুপাত হল প্রতি ১০০০ জন পুরুষের অনুপাতে ৯২৭ জন নারী। জাতীয় শহরাঞ্চলীয় গড় হল প্রতি ১০০০ জন পুরুষের অনুপাতে ৯২৬ জন নারী।
0.5
1,027.382945
20231101.bn_26284_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0
দুর্গাপুর
২০১১ সালের আদম শুমারি বা জনগণনা অনুসারে দুর্গাপুর শহরকে প্রথম শ্রেণীভুক্ত নগরাঞ্চল বা CLASS I URBAN AGGLOMERATION-এর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুর মেট্রোপলিটান এরিয়া ভারতের অন্যতম সম্ভবনাময় মহানগর অঞ্চল।
0.5
1,027.382945
20231101.bn_26284_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0
দুর্গাপুর
রাজ্যের বাকি অংশগুলির মত দুর্গাপুরের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশ হল বাংলাভাষী। তবে হিন্দীভাষীদের সংখ্যাও কম নয়। এছাড়াও কসমোপলিটান শিল্পশহর হওয়ার দরুন এখানে মরাঠি, তামিল, তেলুগু, মালায়ালি, গুজরাতি, উর্দু, নেপালী ও পঞ্জাবি ভাষাভাষিদের উপস্থিতিও লক্ষণীয়।
0.5
1,027.382945
20231101.bn_26284_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0
দুর্গাপুর
দুর্গাপুরের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশ হল হিন্দুধর্মাবলম্বী। ইসলামধর্ম দুর্গাপুরের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। এছাড়াও শিখ, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও জৈনধর্মাবলম্বীদের বসবাস রয়েছে এই দুর্গাপুরে।
1
1,027.382945
20231101.bn_26284_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0
দুর্গাপুর
দুর্গাপুরের সবসময় গর্বান্বিত করে এসেছে এখানকার বহুভাষা ও বহুধর্মের শান্তিপূর্ণ, ভ্রাতৃত্বসুলভ, সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান ও একে অপরের প্রতি আন্তরিকতা, যা ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে মডেল হিসাবে বহুচর্চিত।
0.5
1,027.382945
20231101.bn_26284_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0
দুর্গাপুর
দুর্গাপুর শহর, সড়কপথ ও রেলপথ, দ্বারা ভারতবর্ষের বাকি অংশ ও শহরগুলির সঙ্গে ভালো ভাবে যুক্ত রয়েছে। যেহেতু রাঢ়বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও সেভাবে উন্নত হয়নি, সেহেতু, সু-যোগাযোগ ব্যবস্থা-সম্পন্ন দুর্গাপুর শহরই হল, সমগ্র রাঢ়বাংলার প্রধান প্রবেশদ্বার। দামোদর ও অজয় নদের ওপর, যথাক্রমে, দুর্গাপুর ব্যারেজ ও অজয় সেতু নির্মিত হওয়ার পর, উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারত-এর সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ ও দক্ষিণ ভারত-এর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুদৃঢ় হয়েছে এবং তার সাথে সুপরিকল্পিত ও সু-উন্নত TRANSIT POINT হিসাবে, দুর্গাপুর শহরের গুরুত্বও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯নং জাতীয় সড়ক ও ৯নং রাজ্য সড়ক শহরের সীমানার ভিতর দিয়ে চলে গেছে। শহরের উপকন্ঠে পানাগড় শহরতলী থেকে পানাগড়-মোরগ্রাম মহাসড়ক বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পর্যন্ত গেছে। রেলযোগে দিল্লী, মুম্বাই, চেন্নাই, গোরক্ষপুর, ইন্দৌর, ভোপাল, জব্বলপুর, নাগপুর, বিশাখাপত্তনম, অমৃতসর, জম্মু, গুয়াহাটি, ডিব্রুগড় প্রভৃতি শহরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। দূরপাল্লার বাসযোগেও দুর্গাপুর সংযুক্ত ভারতবর্ষের বাকি অংশ ও শহরগুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
0.5
1,027.382945
20231101.bn_26284_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0
দুর্গাপুর
বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি এবং গুরুত্বপূর্ণ শিল্প শহর হওয়ার কারণে, দুর্গাপুর শহরের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, যথেষ্ট উন্নত। মেলগাড়ি, এক্সপ্রেস, ইন্টার-সিটি, গরীব-রথ, সহ একাধিক দ্রুতগতিসম্পন্ন গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন কলকাতা ও দুর্গাপুরের মধ্যে দৈনিক ভিত্তিতে আসা-যাওয়া করে। শিয়ালদহ-নয়াদিল্লী রাজধানী এক্সপ্রেস, হাওড়া-রাঁচী শতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-পাটনা জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, পূর্বা এক্সপ্রেস, কালকা মেল, অমৃতসর মেল, হাওড়া-মুম্বাই মেল, চেন্নাই-গুয়াহাটী এক্সপ্রেস, কামাখ্যা এক্সপ্রেস, প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ, দ্রুতগতিসম্পন্ন, দূরপাল্লার ট্রেন দুর্গাপুর স্টেশনে থামে। দুর্গাপুর শহরের প্রধান রেল স্টেশন দুর্গাপুর [DGR]। শহরের প্রধান জংশন রেল স্টেশন অন্ডাল জংশন রেলওয়ে স্টেশন[UDL]। মহানগরের পশ্চিম-প্রান্তে অবস্থিত এই রেল স্টেশন থেকে পূর্ব রেলেরঅন্ডাল-সাঁইথিয়া শাখা রেলপথটি সাঁইথিয়া জংশন অভিমুখে চলে গেছে। সাঁইথিয়া জংশনের কিছুটা আগে এই রেলপথ হাওড়া-বর্ধমান-বারহারওয়া-সাহেবগঞ্জ রেলপথ-এর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। দুর্গাপুর-অন্ডাল রেল স্টেশনগুলি পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত।
0.5
1,027.382945
20231101.bn_26284_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0
দুর্গাপুর
দুর্গাপুর শহরাঞ্চলের সড়কগুলির পরিকাঠামো ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, সম্ভবত ভারতের সেরা ও সুরক্ষিত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্গাপুর শহর, লাগোয়া বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান জেলার মধ্যাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বীরভূম জেলার মুখ্য প্রবেশদ্বার হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে বা ঐতিহাসিক জি-টি রোড, যাকে ১৯ নং জাতীয় সড়কও বলা হয়, এই শহরাঞ্চলের একেবারে মাঝ বরাবর এলাকা দিয়ে চলে গেছে। আবার শহরের সগড়ভাঙ্গা ও মুচিপাড়া, এই দুই এলাকার সংযোগস্থলে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে দক্ষিণ দিকে চলে গেছে ৯ নং রাজ্য সড়ক, যেটি দুর্গাপুর ব্যারেজ পেরিয়ে, বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড়, বাঁকুড়া সদর, ওন্দাল, বিষ্ণুপুর, ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা, শালবনী, চন্দ্রকোণা রোড, মেদিনীপুর সদর, খড়গপুর, লালগড়, গোপীবল্লভপুর হয়ে বাংলা-ঊড়িষ্যা (ওড়িশা) সীমান্তবর্তী খারিকা পর্যন্ত গিয়েছে ও, তৎপরবর্তী বাংলা-ঊড়িষ্যা (ওড়িশা) সীমান্ত পেরিয়ে ২৮ নং ওড়িশা রাজ্য সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। দুর্গাপুরের শহরতলী পানাগড়ের দার্জিলিং মোড় থেকে পানাগড়-মোরগ্রাম মহাসড়ক-টি, প্রথমে বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পর্যন্ত স্বতন্ত্র ভাবে, ও তারপর, দুবরাজপুর থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার মোরগ্রাম পর্যন্ত ১৪ নং জাতীয় সড়কের সাথে সুংযুক্ত ভাবে যাত্রা করার পর, তৎপরবর্তী উত্তরবাংলাগামী ৩৪ নং জাতীয় সড়কের সাথে সংযুক্তিকরণ হয়েছে। দুর্গাপুরের আরেক শহরতলী পান্ডবেশ্বরের ভিতর দিয়ে ১৪ নং জাতীয় সড়ক-টি চলে গেছে।
0.5
1,027.382945
20231101.bn_66807_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8
পুণ্ড্রবর্ধন
মহাভারতের আদিপর্বে বর্ণিত উপাখ্যান অনুযায়ী অসুররাজ বলির পত্নী সুদেষ্ণার গর্ভে ঋষি দীর্ঘতমার পাঁচ সন্তান অঙ্গ, বঙ্গ, সুহ্ম, পুণ্ড্র, ও কলিঙ্গ জন্মলাভ করে। তারা তাদের নামে পাঁচটি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে।
0.5
1,027.179469
20231101.bn_66807_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8
পুণ্ড্রবর্ধন
দীর্ঘতমা ধার্মিক ও বেদাদি গ্রন্থে বিদগ্ধজন ছিলেন। একদিন মাতার আদেশে দীর্ঘতমার পুত্রগণ তাঁকে ভেলায় ভাসিয়ে দিলে রাজা বলি তাঁকে ভেসে আসতে দেখেন। ভাসিয়ে দেয়ার কারণ ছিল তার অযাচিত যৌনাচার।রাজা বলি যখন তাকে ক্ষেত্রজ সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তখন তিনি রানি সুদেষ্ণার গর্ভে অঙ্গ,বঙ্গ,কলিঙ্গ,পুণ্ড্র ও সূহ্মের জন্ম দেন।
0.5
1,027.179469
20231101.bn_66807_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8
পুণ্ড্রবর্ধন
উত্তর ভারতে আর্য-ব্রাহ্মণ সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ার অনেক পরে বাংলায় এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। বাংলায় বসবাসকারী অনার্য ব্যক্তিরা অনেক ক্ষমতাবান হওয়ার জন্য তারা আর্য সংস্কৃতির প্রভাবকে প্রতিহত করে। মৌর্যরাই প্রাচীন ভারতে সর্বপ্রথম বড় ধরনের সাম্রাজ্য বিস্তার করতে সমর্থ হয় যার প্রাণকেন্দ্র ছিল বর্তমান পাটনার অন্তর্ভুক্ত পাটালিপুত্রা। পুণ্ড্রনগর থেকে এর দূরত্ব খুব বেশি না হওয়ায় মৌর্যদের পুণ্ড্রবর্ধন অধিকার করার সম্ভাবনা ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ১৮৫ সালের দিকে মৌর্যদের শাসনামল শেষ হয়ে যাবার পরে কিছু নির্দিষ্ট সময়ে বেশকিছু ক্ষুদ্র সাম্রাজ্যের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই পর্যায়ের সমাপ্তি ঘটে ৪র্থ খ্রিষ্টাব্দে গুপ্তদের পুনর্জাগরণের পরে। গুপ্ত আমলের ধাতব পাত্রে তাদের সাম্রাজ্যের পূর্ব প্রান্তের পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তির কথা উল্লেখ আছে, যেখানে ভুক্তি বলতে সাম্রাজ্যের একটি বিভাগের কথা বলা হয়েছে। ষষ্ঠ শতকে গুপ্ত সাম্রাজ্য পতনের মুখে পড়ে এবং তাদের অধিকৃত অঞ্চলসমূহ সম্ভবত ৫৬৭-৭৯ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রাজা সঙ্গতসেনের অধিকারে চলে যায়। বাংলা পূর্বে সমতট ও পশ্চিমে গৌড় নামক দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। কিছু নির্দিষ্ট প্রাচীন নথিতে পুণ্ড্রবর্ধনকে গৌড়ের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বলা হয়েছে। ৭ম খ্রিষ্টাব্দে এটি শশাঙ্কের সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল।
0.5
1,027.179469
20231101.bn_66807_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8
পুণ্ড্রবর্ধন
চীনা পরিব্রাজক, হিউয়েন সাঙ ৬৩৯-৪৫ সালে পুণ্ড্রবর্ধন এলাকায় ভ্রমণ করেন। তিনি কাজানগালা থেকে কামাপুরা হয়ে পুণ্ড্রবর্ধনে যান। তবে তার ভ্রমণ নির্দেশিকাতে তিনি সে সময়ে পুণ্ড্রবর্ধনে কোন রাজা ছিল বলে উল্লেখ করেননি।
0.5
1,027.179469
20231101.bn_66807_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8
পুণ্ড্রবর্ধন
"এখানে ২০টি বৌদ্ধ মঠ এবং ৩০০০ এরও বেশি ভিক্ষু ছিলেন যারা “মহাযান ও হীনযান”কে অনুসরণ করতেন; দেব-মন্দিরগুলোর সংখ্যা ১০০ ছিল এবং বিভিন্ন শ্রেণীর অনুসারীরা ছড়িয়ে থাকত, দিগম্বর নির্গ্রন্থের সংখ্যা ছিল অসংখ্য।"
1
1,027.179469
20231101.bn_66807_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8
পুণ্ড্রবর্ধন
নির্দিষ্ট তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়, ৭ম-৮ম শতকে পুণ্ড্রবর্ধন তার প্রাচুর্য হারিয়ে ফেলেছিল। মহাস্থানগড়ের নৃতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে জানা যায়, পাল আমলের সময় ১২শ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দুর্গের ব্যবহার করা হয়েছিল, তবে এটি তেমন কোন শক্তি কেন্দ্র ছিল না। এটি চন্দ্রবংশের রাজাদের ও ভোজ ভার্মার সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ত্রয়োদশ শতকে মুসলিম শাসনের প্রাথমিক পর্যায়ে তারা হয়ত এটিকে শাসনকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে তখন আর এর তেমন কোন গুরুত্ব ছিল না। এটি ক্রমশ তার স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলে এবং পারিপার্শ্বিক এলাকার একটি অংশে পরিণত হয়। পুণ্ড্রবর্ধননগর বা পুণ্ড্রবর্ধনপুর এর পরিচয় হারিয়ে মহাস্থান নামে সূচীত হতে থাকে।
0.5
1,027.179469
20231101.bn_66807_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8
পুণ্ড্রবর্ধন
মহাস্থানে শাহ সুলতান বালখি মাহীসওয়ার মাজহার যুদ্ধে মহাস্থানগড়ের রাজা পরশুরামকে পরাজিত করে এবং এলাকার মানুষকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে বসতি স্থাপন করে।
0.5
1,027.179469
20231101.bn_66807_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8
পুণ্ড্রবর্ধন
বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের অন্তর্ভুুক্ত রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা এবং বাংলাদেশ ও ভারতের দিনাজপুর পুণ্ড্রবর্ধনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বুধগুপ্তের সময় দামোদরপুর তাম্রশাসন শিলালিপি অনুসারে (আনুমানিক ৪৭৬-৯৪ খ্রিস্টাব্দ) পুণ্ড্রবর্ধনের উত্তর সীমা হিমালয় ছিল। পাল যুগে পুণ্ড্রবর্ধনের প্রশাসনিক ও আঞ্চলিক এখতিয়ার সম্প্রসারিত হয়। পাল, চন্দ্র ও সেন যুগে পুণ্ড্রবর্ধনে উত্তরবঙ্গের ভৌগোলিক সীমানার বাইরে এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। বরেন্দ্রী বা বরেন্দ্রী-মণ্ডলা ছিল পুণ্ড্রবর্ধনের একটি মহানগর জেলা। এটি বেশ কয়েকটি শিলালিপি দ্বারা সমর্থিত।বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রীর প্রাথমিকভাবে দশম শতাব্দী থেকে উল্লেখ পাওয়া যায়, যখন পুণ্ড্রবর্ধনের পতন হয়েছিল।
0.5
1,027.179469
20231101.bn_66807_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8
পুণ্ড্রবর্ধন
রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ মানেই পুণ্ড্রবর্ধনভুক্তি নয়, যাকে আমরা এখন পূর্ববঙ্গ বলি তাও পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রবর্ধনভুক্তির অংশ ছিল। লক্ষ্মণ সেনের পুত্র কেশব সেনের শাসনামলের তাম্রশাসন শিলালিপি অনুসারে , দ্বাদশ শতাব্দীতে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তিতে বিক্রমপুর পর্যন্ত এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। ” দক্ষিণে পুণ্ড্রবর্ধন সুন্দরবনের অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
0.5
1,027.179469
20231101.bn_137534_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80
ধূমাবতী
শক্তিসংগম তন্ত্র গ্রন্থে উল্লিখিত কাহিনি অনুযায়ী, সতী দক্ষের যজ্ঞকুণ্ডে আত্মবলিদানের উদ্দেশ্যে ঝাঁপ দিলে সতীর দগ্ধ দেহের কালো ধোঁয়া থেকে ধূমাবতী উত্থিতা হন। তিনি হলেন "সতীর দেহাবশেষ" এবং তার অপমানিতা অবতার।প্রাণতোষিণী তন্ত্র গ্রন্থে ধূমাবতীর বিধবা বেশের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। একদা সতী শিবের কাছে অন্ন প্রার্থনা করেন। শিব তাঁকে অন্ন দিতে অস্বীকার করলে, সতী তার প্রচণ্ড ক্ষুধার নিবৃত্তির জন্য শিবকেই ভক্ষণ করেন। শিব যখন তাঁকে নিষ্কৃতি দিতে অনুরোধ করেন, তখন সতী শিবকে পুনরায় উগরে দেন। এরপর শিব তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিধবার বেশ ধারণ করার অভিশাপ দেন। আর একটি লোকপ্রচলিত জনশ্রুতি অনুযায়ী, দুর্গা শুম্ভ ও নিশুম্ভ অসুরদ্বয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ধূমাবতীকে সৃষ্টি করেন। ধূমাবতী প্রাণঘাতী ধূমের সাহায্যে দৈত্যনাশ করেন।
0.5
1,026.107589
20231101.bn_137534_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80
ধূমাবতী
প্রাণতোষিণী তন্ত্র ধূমাবতীর ধ্বংসাত্মিকা শক্তি ও প্রচণ্ড ক্ষুধার উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিধাতা শিবই তার ক্ষুণ্ণিবৃত্তি করতে সক্ষম। এটি ধূমাবতীর বিধবাবেশী অমঙ্গলসূচক রূপ এবং তার স্বামীভক্ষণকারী সত্ত্বার প্রতীক।
0.5
1,026.107589
20231101.bn_137534_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80
ধূমাবতী
ধূমাবতী তন্ত্র গ্রন্থে তাঁকে বৃদ্ধা ও কুৎসিত বিধবার রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি শীর্ণকায়া, দীর্ঘাকার, রোগগ্রস্থা ও পাণ্ডুরবর্ণা। তিনি অশান্ত ও কুটিল হৃদয়। তার দেহে অলংকারাদি নেই। তিনি পুরনো মলিন বস্ত্র পরিধান করে থাকেন। তিনি মুক্তকেশী। তার চক্ষুদুটি ভয়ংকর, নাসিকা দীর্ঘ ও বক্র, তার তীক্ষ্ণ দাঁতের কয়েকটি পড়ে গেছে, হাসলে তাঁকে ফোকলা মনে হয়। তার কর্ণদ্বয় কুৎসিত ও অসম আকারবিশিষ্ট। তার স্তন লম্বমান এবং তিনি এক হাতে একটি কুলো ধরে থাকেন এবং অপর হাতে বরমুদ্রা বা চিন্মুদ্রা দেখান। তিনি অশ্ববিহীন রথে আরূঢ়া এবং তার পতাকায় কাকের ছবি থাকে। ধূমাবতী চতুরা। তিনি সর্বদা ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত অবস্থায় থাকেন। তিনি কলহের কারণ ও ভয় প্রদানকারিনী।
0.5
1,026.107589
20231101.bn_137534_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80
ধূমাবতী
প্রপঞ্চসারাসার সমগ্র অনুযায়ী, ধূমাবতী কৃষ্ণবর্ণা ও নাগ অলংকারে ভূষিতা। তার বস্ত্র শ্মশানক্ষেত্র থেকে সংগৃহীত ছিন্ন বস্ত্রখণ্ডে নির্মিত। তিনি দ্বিভূজা, শূল ও নরকপালধারিনী। কোনো কোনো মূর্তিকল্পে শূলের জায়গায় তরবারি থাকে। একই গ্রন্থের অপর একটি বর্ণনা অনুযায়ী, ধূমাবতী বৃদ্ধা, তার চর্ম কুঞ্চিত, তিনি ক্রুদ্ধমুখ এবং মেঘশ্যামবর্ণা। তার নাসিকা, চক্ষু ও কণ্ঠ কাকের ন্যায়। তিনি ঝাঁটা, কুলো, মশাল ও গদা ধারণ করে থাকেন। তিনি নিষ্ঠুরা ও তার ভ্রু কুঞ্চিত। ধূমাবতী এলোকেশী ও তিনি ভিক্ষুকের বস্ত্রপরিহিতা। তার স্তনযুগল শুষ্ক। তার চুল পাকা, দাঁত ভাঙা ভাঙা ও বস্ত্র জীর্ণ ও ছিন্ন।
0.5
1,026.107589
20231101.bn_137534_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80
ধূমাবতী
কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধূমাবতী কাকবাহিনী ও ত্রিশূলধারিনী রূপে কল্পিত হন। তিনি মুণ্ডমালাধারিণী, তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রক্তবর্ণা, এবং তার মাথার চুল আলুলায়িত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনি মৃত্যুর দেবতা যমের মহিষশৃঙ্গ ধারণ করেন। এটি মৃত্যুর সঙ্গে তার সম্পর্কের প্রতীক।
1
1,026.107589
20231101.bn_137534_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80
ধূমাবতী
ধূমাবতী ভয়ংকরী, তার বেশ যোদ্ধার বেশ। শাক্তপ্রমোদ অনুযায়ী, তিনি ভয়ংকর শব্দ করে হাড় চিবিয়ে খান। তাছাড়াও তিনি রণভেরী বাজিয়ে ভয়ংকর শব্দ করেন। তিনি নরকপালের মালা পরে থাকেন, চণ্ড ও মুণ্ডের হাড় চিবিয়ে ভক্ষণ করেন এবং রক্তের সঙ্গে মদ মিশিয়ে খান।
0.5
1,026.107589
20231101.bn_137534_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A7%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80
ধূমাবতী
অবশ্য ধূমাবতীর রূপকল্পের কয়েকটি ব্যতিক্রমও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অষ্টাদশ শতাব্দীতে মোলারাম অঙ্কিত একটি চিত্রে দেবীকে দুটি শিকারী পক্ষীর দ্বারা বাহিত রথে আরূঢ়া মূর্তিতে দেখা যায়। এই মূর্তিতে তার এক হাতে কুলো ও অপর হাতে বরদা মুদ্রা থাকলেও, তিনি যৌবনবতী, সুডৌলস্তনযুক্তা এবং স্বর্ণালঙ্কারভূষিতা। যা তার প্রচলিত মূর্তিকল্পের একেবারের বিপরীতধর্মী। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বারাণসীতে অঙ্কিত একটি চিত্রে দেবী ধূমাবতী কাকবাহনা, চতুর্ভূজা, ত্রিশূল, তরবারি, কুলো ও পাত্রহস্তা, কৃষ্ণবর্ণা, লম্বিতস্তনযুক্তা, শ্বেতবস্ত্রপরিহিতা ও শ্মশানচারিণী। এই ছবিতেও তিনি স্বর্ণালঙ্কারভূষিতা ও তার নিম্নবস্ত্রে সোনার পাড়; যা বিধবার বেশের সঙ্গে বেমানান। অষ্টাদশ শতাব্দীর একটি নেপালি পুথিচিত্রে আবার ধূমাবতীর সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি মূর্তি দেখা যায়। দেবী এখানে সম্পূর্ণ নগ্না, উন্নতস্তনযুক্তা, মুক্তাহার ও মুকুট পরিহিতা, পদযুগল দুপাশে দিয়ে ময়ূরের উপর দণ্ডায়মানা, এবং একটি দর্পণে স্বীয় মুখমণ্ডল দর্শনরতা। তার চতুর্পার্শ্বে অগ্নিবলয়, যা সম্ভবত শ্মশানচিতাগ্নির প্রতীক।
0.5
1,026.107589