_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
5.1k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
11.1k
20231101.bn_646294_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE
দুর্বাসা
বিষ্ণুপুরাণ, বায়ুপুরাণ এবং পদ্মপুরাণ অনুসারে, দুর্বাসা ইন্দ্রের উপর যে অভিশাপ দিয়েছিলেন তা সমুদ্রমন্থনের পরোক্ষ কারণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ভাগবত ও অগ্নিপুরাণও বিস্তারিত না গিয়ে পর্বে দুর্বাসার জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছে। এই গল্পের অন্যান্য সূত্র, যেমন রামায়ণ, মহাভারত,  হরিবংশ ও মৎস্য পুরাণ, দুর্বাসার জড়িত থাকার কথা মোটেও উল্লেখ করে না এবং ঘটনাটিকে দেবতা ও অসুরদের অমরত্বের আকাঙ্ক্ষা হিসেবে উল্লেখ করে।
0.5
707.07535
20231101.bn_646294_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE
দুর্বাসা
বিষ্ণুপুরাণের গল্প অনুসারে, দুর্বাসা যখন ব্রত পালনের কারণে পরমানন্দের অবস্থায় পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, তখন একজন বিদ্যাধারী (বাতাসের জলপরী) এসে তার কাছে স্বর্গীয় ফুলের পুষ্পাঞ্জলি চেয়েছিলেন। জলপরী শ্রদ্ধার সাথে ঋষিকে মালা দিয়েছিল, তারপরে তিনি এটি তার কপালে পরলেন। তার বিচরণ পুনরায় শুরু করে, দুর্বাসা ইন্দ্রকে দেখতে পেল তার হাতি, ঐরাবত, দেবতাদের দ্বারা উপস্থিত ছিলেন। তারপরও, তার উন্মত্ত অবস্থায়, দুর্বাসা মালাটি ইন্দ্রের দিকে ছুঁড়ে মারলেন, যিনি সেটি ধরে অরাবতার মাথায় রাখলেন। ফুলে অমৃতের গন্ধে হাতি বিরক্ত হয়, তাই সে তার শুঁড় দিয়ে মালা মাটিতে ফেলে দেয়।
0.5
707.07535
20231101.bn_646294_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE
দুর্বাসা
দুর্গাসা তার উপহারকে এমন নির্মম আচরণ করতে দেখে ক্ষুব্ধ হন এবং ইন্দ্রকে অভিশাপ দেন যে, মালা যেভাবে নিক্ষিপ্ত করা হয় সেভাবে তাকে তিন জগতের উপর তার আধিপত্যের অবস্থান থেকে নিক্ষিপ্ত করা হবে। ইন্দ্র অবিলম্বে দুর্বাসার ক্ষমা ভিক্ষা করলেন, কিন্তু ঋষি তার অভিশাপ প্রত্যাহার বা নরম করতে অস্বীকার করলেন। অভিশাপের কারণে ইন্দ্র ও দেবতাদের শক্তি কমে গিয়েছিল এবং তাদের দীপ্তি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে, বলীর নেতৃত্বে অসুররা দেবতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।
0.5
707.07535
20231101.bn_646294_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE
দুর্বাসা
দেবতারা পরাজিত হয়ে সাহায্যের জন্য ব্রহ্মার কাছে ফিরে যান। ব্রহ্মা তাদেরকে বিষ্ণুর শরণাপন্ন হতে নির্দেশ দেন। বিষ্ণু, পালাক্রমে, অসুরদের সাথে যুদ্ধবিরতি ডাকতে এবং তাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার অজুহাতে অমৃত পেতে দুধের সমুদ্রমন্থন করতে তাদের পরামর্শ দেন। বিষ্ণু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে শুধুমাত্র দেবতারা তাদের পূর্বের ক্ষমতা ফিরে পেতে অমৃত পান করবে, যাতে তারা আবারও অসুরদের পরাজিত করতে পারে। দেবতারা বিষ্ণুর পরামর্শ গ্রহণ করেন এবং অসুরদের সাথে তাদের সন্ধি আহ্বান করেন এবং এইভাবে দেবতা ও অসুররা তাদের মহান উদ্যোগের পরিকল্পনা করতে থাকে।
1
707.07535
20231101.bn_646294_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE
দুর্বাসা
ইন্দ্র, যাকে তিনি তার সমস্ত ক্ষমতা হারানোর অভিশাপ দিয়েছিলেন, ইন্দ্রের হাতি ঐরাবত  ইন্দ্রকে দুর্বাসার দেওয়া সুগন্ধি মালা নিক্ষেপ করার পরে।
0.5
707.07535
20231101.bn_646294_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE
দুর্বাসা
সরস্বতী, যাকে তিনি মানুষ হিসেবে জন্ম নেওয়ার অভিশাপ দিয়েছিলেন কারণ তিনি তার বেদের ভুল পাঠে হেসেছিলেন।
0.5
707.07535
20231101.bn_646294_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE
দুর্বাসা
রুক্মিণী, যাকে তিনি তার স্বামী কৃষ্ণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অভিশাপ দিয়েছিলেন, কারণ তিনি দুর্বাসার অনুমতি ছাড়াই জল পান করেছিলেন।
0.5
707.07535
20231101.bn_646294_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE
দুর্বাসা
শকুন্তলা, যিনি ঋষি কণ্বের আশ্রমে থাকাকালীন দুর্বাসাকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন, যা দুর্বাসা ঋষিকে ক্রুদ্ধ করেছিল, যিনি তাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে দুষ্যন্ত তাকে ভুলে যাবে। দুর্বাসা পরে স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে দুষ্মন্ত যখন তাকে তার আংটি (যেটি তিনি আগে তাকে দিয়েছিলেন) উপহার দিয়েছিলেন তখন তাকে মনে রাখবেন।
0.5
707.07535
20231101.bn_272081_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0
কারাগার
এছাড়াও, কারাগারে গ্রন্থাগার, ব্যায়ামাগার, ছোট্ট পরিসরে হাসপাতাল, ভিজিটিং রুম, রান্নাঘর রয়েছে। ভিজিটিং রুমে আটককৃতের পরিবার এবং আইনজীবিদের পরিদর্শনের জন্য বরাদ্দ থাকে। ১৯৫৫ সালে মানবিক চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে জাতিসংঘ আদর্শ ক্ষুদ্রতম আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা করেছে।
0.5
706.31643
20231101.bn_272081_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0
কারাগার
সামরিক বাহিনীতে বিশেষ কারাগার রয়েছে যা সামরিক কারাগার নামে পরিচিত। সাধারণতঃ যুদ্ধ অপরাধী, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতাজনিত কারণে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকি সৃষ্টিকারী সেনা সদস্য(দেরকে) সামরিক আদালতে যথোচিত বিচার করা হয়। গুরুতর অপরাধে সেনা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এ ধরনের কারাগার সামরিক বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত হয়। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে এমপি বা মিলিটারী পুলিশ।
0.5
706.31643
20231101.bn_272081_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0
কারাগার
যুদ্ধ চলাকালীন ধৃত ও অবরুদ্ধ শত্রু সেনাদেরকে সামরিক কারণে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্তরীণ রাখার জন্য।
0.5
706.31643
20231101.bn_272081_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0
কারাগার
২০০৬ সালের তথ্য মোতাবেক বৈশ্বিকভাবে কমপক্ষে ৯.২৫ মিলিয়ন লোক কারাগারে আটক রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে যে, এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। অনুমান নির্ভর প্রতিবেদন, বিভিন্ন দেশ থেকে তথ্যের অপর্যাপ্ততা, কর্তৃপক্ষীয় সীমাবদ্ধতাই এর প্রধান কারণ।
0.5
706.31643
20231101.bn_272081_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0
কারাগার
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি লোক আটক আছে। ২ মিলিয়নেরও অধিক লোক আমেরিকার জেলগুলোতে রয়েছে। ১৯৮৫ সালে সেখানে ৭৪৪,০০০ জন আটক ছিল।
1
706.31643
20231101.bn_272081_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0
কারাগার
Carlson, Peter M.; Garrett, Judith Simon, Prison and Jail Administration: Practice and Theory, Jones and Bartlett Publishers, 1999.
0.5
706.31643
20231101.bn_272081_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0
কারাগার
Diiulio, John J., Governing Prisons: A Comparative Study of Correctional Management, Simon and Schuster, 1990. .
0.5
706.31643
20231101.bn_272081_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0
কারাগার
Harnsberger, R. Scott. A Guide to Sources of Texas Criminal Justice Statistics [North Texas Crime and Criminal Justice Series, no.6]. Denton: University of North Texas Press, 2011.
0.5
706.31643
20231101.bn_272081_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0
কারাগার
James (Jim) Bruton, Big House: Life Inside a Supermax Security Prison, Voyageur Press (July 2004), hardcover, 192 pages, .
0.5
706.31643
20231101.bn_381952_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B8
আন্দালুস
Menocal, Maria Rosa. 2002. Ornament of the World: How Muslims, Jews, and Christians Created a Culture of Tolerance in Medieval Spain. Back Bay Books.
0.5
705.402797
20231101.bn_381952_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B8
আন্দালুস
Monroe, James T. 1970. Islam and the Arabs in Spanish scholarship : (Sixteenth century to the present). Leiden.
0.5
705.402797
20231101.bn_381952_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B8
আন্দালুস
Monroe, James T. 1974. Hispano-Arabic Poetry: A Student Anthology. Berkeley: University of California Press.
0.5
705.402797
20231101.bn_381952_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B8
আন্দালুস
Roth, Norman. 1994. Jews, Visigoths and Muslims in Medieval Spain: Cooperation and Conflict. Leiden: Brill.
0.5
705.402797
20231101.bn_381952_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B8
আন্দালুস
Sanchez-Albornoz, Claudio. 1974. El Islam de España y el Occidente. Madrid: Espasa-Calpe. Colección Austral; 1560. [Originally published in 1965 in the conference proceedings, L'occidente e l'islam nell'alto medioevo: 2-8 aprile 1964, 2 vols. Spoleto: Centro Italiano di studi sull'Alto Medioevo. Series: Settimane di studio del Centro Italiano di studi sull'Alto Medioevo; 12. Vol. 1:149–308.]
1
705.402797
20231101.bn_381952_22
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B8
আন্দালুস
Schorsch, Ismar, 1989. The myth of Sephardic supremacy, in The Leo Baeck Institute Yearbook 34, 47-66
0.5
705.402797
20231101.bn_381952_23
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B8
আন্দালুস
Stavans, Ilan. 2003. The Scroll and the Cross: 1,000 Years of Jewish-Hispanic Literature. London: Routledge.
0.5
705.402797
20231101.bn_381952_24
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B8
আন্দালুস
Wasserstein, David J. 1995. Jewish élites in Al-Andalus. In Daniel Frank (Ed.). The Jews of Medieval Islam: Community, Society and Identity. Brill.
0.5
705.402797
20231101.bn_381952_25
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B8
আন্দালুস
The Musical Legacy of Al-Andalus – historical maps, photos, and music showing the Great Mosque of Córdoba and related movements of people and culture over time
0.5
705.402797
20231101.bn_83355_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3
ভবিষ্যপুরাণ
ভবিষ্য পুরাণের চার পর্বের রচনার বিভিন্ন তারিখ রয়েছে যা এখন স্বীকৃত। পৌরাণিক শাস্ত্রসমূহের প্রক্ষিপ্ত হয়ে পড়া বৈশিষ্ট্যের কারণে সঠিক রচনাকাল নির্ধারণ করা অসম্ভব বলে পৌরাণিক পণ্ডিতরা ক্রমশ একমত হয়েছেন। গুস্তাভ গ্লেসার দেখিয়েছেন, ভবিষ্য পুরাণের টিকে থাকা পাণ্ডুলিপিগুলি মূল ভবিষ্য পুরাণের প্রাচীন বা মধ্যযুগীয় সংস্করণও নয়।
0.5
700.485804
20231101.bn_83355_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3
ভবিষ্যপুরাণ
এই পর্বের বৃহত্তর অংশ জুড়ে আছে ব্রাহ্মণ্য ক্রিয়াকর্ম, বর্ণের কর্তব্য, কয়েকটি সর্পকেন্দ্রিক কিংবদন্তি ও অন্যান্য বিষয়ের বিবরণ। এতে রয়েছে নারীর কর্তব্য, মানুষের সু ও কুলক্ষণ এবং ব্রহ্মা, গণেশ, স্কন্দ ও সর্পপূজার পদ্ধতি। একটি বৃহৎ অংশে "শাকদ্বীপ" (সম্ভবত সিথিয়া) নামক স্থানের সূর্যপূজার কথাও।
0.5
700.485804
20231101.bn_83355_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3
ভবিষ্যপুরাণ
ভবিষ্য পুরাণ-এর চারটি খণ্ডের মধ্যে মধ্যপর্ব এমন একটি খণ্ড যার উল্লেখ অন্যত্র পাওয়া যায় না। রাজেন্দ্র হাজরা এই অংশটিকে "তান্ত্রিক উপাদানসমৃদ্ধ এক পরবর্তীকালীন অঙ্গযোজন" বলে উল্লেখ করেছেন।
0.5
700.485804
20231101.bn_83355_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3
ভবিষ্যপুরাণ
"ভবিষ্যদ্বাণী"-সম্পর্কিত তৃতীয় অংশ প্রতিসর্গপর্ব-এ উপনিষদীয় ধারণাগুলির সাথে অ-ভারতীয় ম্লেচ্ছধর্মের তুলনামূলক অধ্যয়ন রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে অষ্টাদশ শতাব্দির ইতিহাস। পণ্ডিতদের মতে এটি ১৮ কিংবা ১৯ শতকেও প্রক্ষিপ্ত হয়েছে বলে বিবেচিত হয়।
0.5
700.485804
20231101.bn_83355_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3
ভবিষ্যপুরাণ
এই পর্বে ১০০টি অধ্যায় রয়েছে, যেখানে রাজা ও ঋষিদের বংশতালিকা এবং ভবিষ্যদ্বাণীর মতো বিষয় নিয়ে বলা হয়েছে। এটি মূলত বিশ্ব ইতিহাস হিসাবে লেখা। এর প্রথম এবং দ্বিতীয় খণ্ডে প্রাচীন কাল, তৃতীয় খন্ড মধ্যযুগ এবং চতুর্থ খণ্ড নবযুগের সাথে সম্পর্কিত। এই পাঠ্যাংশতে দ্বাদশ শতাব্দির পরবর্তী সময়ে ভারত অঞ্চল গঠিত লুণ্ঠন এবং বড় গণহত্যা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ৩।৪।৬ শ্লোকে তৈমুর-তাম্বুরলং-এর গণহত্যা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে (পাঠ্যটিতে তাকে তিমিরলিঙ্গ বা "অন্ধকারের প্রতিক" বলা হয়েছে)। আলফ হিল্টেবিটেল বলেছেন, ঐতিহাসিক চরিত্রগুলির সাথে যাদের ধারণা রয়েছে এবং রচনাগুলি একাদশ ও চতুর্দশ শতাব্দির মধ্যে ভারতকে প্রভাবিত করেছিল। এতে মুঘল ইতিহাস সম্পর্কে সমালোচনামূলক মন্তব্য রয়েছে (পাঠগুলিতে তাদের "মুকুল" বলা হয়েছে) এবং একজন মহামদের কথা বলা হয়েছে যিনি ছিলেন আরবের "ম্লেচ্ছ"দের শেষ নবী। এ থেকে বুঝা যায় এই অংশটি চতুর্দশ শতাব্দির পরে ভালভাবে লেখা হয়েছিল। ভবিষ্য পুরাণের এই পর্বের রচয়িতা ইংরেজি বাইবেল এবং আরবি ইসলামী গ্রন্থ উভয়ই জানেন বলে মনে হয় মনে হয়, তবে এখানে ব্যবহৃত অনেক শব্দই আরবি শব্দ ও নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে, ইংরেজি উৎস থেকে তেমন ব্যবহৃত হয়নি। সুতরাং, পাঠ্যের এই অংশটি অবশ্যই মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থানের পর এবং ভারতে আরবি উৎস প্রাপ্তির পর রচিত হয়েছিল। এই অংশটি বহু পণ্ডিতকে ভবিষ্য পুরাণের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পরিচালিত করেছে এবং এই পুরাণগুলি প্রামাণিক ধর্মগ্রন্থ হিসেবে গৃহীত হয়নি, বরং ইতিহাসের একটি সাক্ষ্য যা ক্রমাগত সংশোধিত হয়েছিল।
1
700.485804
20231101.bn_83355_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3
ভবিষ্যপুরাণ
আলফ হিল্টেবিটেলের মতে, অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে মুঘলদের পাঠ্যের ইতিহাসের জন্য একটি শুরু বিন্দু হিসাবে চিহ্নিত করে কারণ এর ৩।৪।২২ শ্লোকে নাদির শাহ (তাকে দৈত্য নাদিরা বলা হয়েছে) এবং মুহাম্মদ শাহের কথা উল্লেখ করেছে। এই অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিসর্গপর্বের প্রথম খন্ড জেনেসিস-এক্সোডাস ক্রমের ক্ষেত্রেও একটি কথা প্রযোজ্য হবে যেখানে এর লেখক আরবি এবং ইংরেজি উভয় সূত্র সম্পর্কে সচেতন। এছাড়াও, রাণী ভিক্টোরিয়ার প্রাসাদ, কলকাতা এবং অষ্টাদশ শতকের বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক ঘটনার কথা উল্লেখ করে ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে সমাপ্তি বিন্দু স্থাপন করে। হিলটেবিটেল আরও বলেছেন, ভবিষ্য পুরাণের এই অংশটি সম্ভবত ঊনবিংশ শতকে রচিত হয়েছিল।
0.5
700.485804
20231101.bn_83355_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3
ভবিষ্যপুরাণ
ভবিষ্য পুরাণ-এর(এক।১।২-৩) অন্তর্গত হলেও প্রতিসর্গপর্ব আদম, নোয়া, যাকুতা, তৈমুরলঙ, নাদিরশাহ, আকবর (দিল্লীশ্বর), জয়চন্দ্র... ও আরও অনেকের কথা বলে। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের কথাও এ গ্রন্থ জানে, এমনকি কলকাতা ও পার্লামেন্টের কথাও উল্লেখ করে।
0.5
700.485804
20231101.bn_83355_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3
ভবিষ্যপুরাণ
এ কে রামানুজন একটি " যথাযথভাবে হালনাগাদকৃত ভবিষ্য পুরাণ" গ্রন্থে খ্রিস্ট, মুসা ও রানি ভিক্টোরিয়ার উল্লেখ পেয়েছেন। একে তিনি এই বলে ব্যাখ্যা করেন যে:
0.5
700.485804
20231101.bn_83355_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3
ভবিষ্যপুরাণ
চতুর বক্তব্য ও অনুশাসন প্রয়োগ করার পর পর প্রচেষ্টার পরও বলতেই হয় যে পুরাণগুলি মুক্ত ব্যবস্থার অন্তর্গত।
0.5
700.485804
20231101.bn_397122_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%98%E0%A6%B0
বাতিঘর
বাতিঘর বা লাইট হাউজ হচ্ছে এমন এক ধরনের সুউচ্চ মিনার আকৃতির দালান যা থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় আলো ফেলে সমুদ্রের জাহাজের নাবিককে দিক নির্দেশনা দেয়া হয় এবং সেই সাথে সমুদ্রের অগভীর অঞ্চল সম্পর্কে নাবিককে সতর্ক করতে বাতিঘর ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সমুদ্র সৈকতের যেসকল এলাকায় প্রচুর প্রবাল রয়েছে এবং যেসকল প্রবালগঠন জাহাজের ক্ষতি সাধন করতে পারে এমন সব সৈকত চিহ্নিত করতে বাতিঘর ব্যবহার হয়ে আসছে।
0.5
700.212583
20231101.bn_397122_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%98%E0%A6%B0
বাতিঘর
প্রাচীন কালে মানুষ সমুদ্রের অগভীর সৈকত আর প্রবাল সৈকত চিহ্নিত করতে পাহাড়ের উপরের আগুনের কুন্ডুলি প্রদর্শন করত। পরে একসময় কাঠ জ্বালিয়ে দূর সমুদ্রের নাবিককে সতর্কবার্তা দেয়া হত। এইভাবে ধীরে ধীরে মানুষ বাতিঘর তৈরি করে। তবে পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক লাইট হাউজ বা বাতিঘর হচ্ছে আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর। এছাড়াও টরিসিলির বাতিঘরের কথা উল্ল্যেখ করা যায়। এটি ১৮৮৭(কারোর মতে ১৮৯৭)সালে নির্মিতি হয়।
0.5
700.212583
20231101.bn_397122_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%98%E0%A6%B0
বাতিঘর
এটি(আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর) মিশরে নির্মাণ করা হয়েছিল। ধারণা করা হয় এটি টলেমীয় রাজবংশের সময়ে ২৮০ থেকে ২৪৭ খ্রিঃ পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছিল। এর উচ্চতা ছিল ১২০ থেকে ১৩৭ মিটার। নির্মাণের পর প্রায় শত বর্ষ ধরে এটি পৃথিবীর অন্যতম উচু দালান হিসাবে চিহ্নিত ছিল। পরে ৯৫৬ থেকে ১৩২৩ খ্রিষ্টাব্দে যে কয়টি ভুমিকম্প হয়েছিল তাতে এটি ভেঙ্গে পড়ে। এটি হালিকারণেসাসের মুসলিয়ম এবং গিজার মহা পিরামিডের পরে তৃতীয় মানব নির্মিত প্রাচীন কোন দালান যা পৃথিবীর বুকে টিকে ছিল। পরে এর ইট দিয়ে সিটাডেল অব কোয়েটবি দুর্গ নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে একজন ফরাসি নৃ-বিজ্ঞানি আলেকজান্দ্রিয়ার যে জায়গায় এটি নির্মাণ করা হয়েছিল সেখানকার সমুদ্রের নিচে এর কিছু অবশেষ খুঁজে পান।
0.5
700.212583
20231101.bn_397122_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%98%E0%A6%B0
বাতিঘর
এছাড়া প্রাচীনকালে নির্মিত বেশ কিছু বাতিঘর এখনও পৃথিবীর বুকে মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে যাদের মধ্যে Tower of Hercules এবং রোমানদের সময়ে নির্মিত ইংল্যান্ডের কেন্টে অবস্থিত ডোবার দুর্গের রোমান লাইট হাউজ অন্যতম।
0.5
700.212583
20231101.bn_397122_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%98%E0%A6%B0
বাতিঘর
বাতিঘরের আধুনিকায়ন শুরু হয় মুলত ১৮শ শতাব্দী থেকে। তবে ১৬শ শতাব্দীর দিকে ইংলেন্ডের Eddystone Rocks লাইট হাউজ ছিল প্রথম খোলা সমুদের বাতিঘর। এটি প্রথমে কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়ে ছিল। পরে ঝড়ে এটি ভেঙ্গে গেলে পুনরায় এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
1
700.212583
20231101.bn_397122_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%98%E0%A6%B0
বাতিঘর
বাতিঘর নির্মাতাদের মধ্যে John Smeaton এর নাম প্রায় সকলের কাছেই পরিচিত। তিনি Eddystone Rocks লাইট হাউজের তৃতীয় সংস্করনের নির্মাতা। এছাড়া আরও অনেকে একাধিক লাইট হাউজ নির্মাণের জন্যে বিখ্যাত। তার মধ্যে Robert, Alan, David, Thomas, David Alan, এবং Charles একই পরিবারের সদস্য ছিলেন যারা বংশানুক্রমে বাতিঘর নির্মাতা ছিল।
0.5
700.212583
20231101.bn_397122_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%98%E0%A6%B0
বাতিঘর
বাতিঘরের জন্য বিখ্যাত কুতুবদিয়া দ্বীপ। কুতুবদিয়ায় ১৮৪৬ সালে প্রথম বাতিঘর চালু হয়। ইটের সুউচ্চ গাঁথুনির ওপর বিশেষ কৌশলে নির্মিত মূল বাতিঘরটি সাগরে বিলীন হওয়ার পর কিছুটা দূরে লোহার এঙ্গেল দিয়ে বর্তমান বাতিঘরটি তৈরি করা হয়। বর্তমানে এটি ১২০ ফুট উচু। প্রতি ১০ সেকেন্ডে তিনটি সাদা আলোর ঝলকানি দেয় এ লাইট হাউস।
0.5
700.212583
20231101.bn_397122_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%98%E0%A6%B0
বাতিঘর
সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১৯৭৬ সালে বাতিঘর নির্মাণ করা হয়। ফোকাল প্লেন ৩৯ মিটার (১২৮ ফুট); প্রতি ৩০ সেকেন্ডে দুটি সাদা ফ্ল্যাশ। লণ্ঠন এবং গ্যালারীসহ ৩৫ মিটার (১১৫ ফুট) বর্গাকার পিরামিডাল কঙ্কালের টাওয়ার।
0.5
700.212583
20231101.bn_397122_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%98%E0%A6%B0
বাতিঘর
১৯৭৬ সালে কক্সবাজার বাতিঘরটি স্থাপন করা হয়। ফোকাল প্লেন ৫৪ মিটার (১৭৭ ফুট); প্রতি ১৫ এস সাদা ফ্ল্যাশ যা প্রায় ২৪.৫ মাইল পর্যন্ত দেখা যায়৷ প্রায় ১০ মিটার (৩৩ ফুট) কাঠামো, একটি ২ বর্গক্ষেত্রের কংক্রিটের ভবনের ছাদকে কেন্দ্র করে লণ্ঠন এবং গ্যালারীসহ একটি ছোট বর্গাকার কঙ্কাল টাওয়ার।
0.5
700.212583
20231101.bn_373287_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81
হনুলুলু
হনুলুলু (, ), হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের জনবহুল শহর, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম জনবহুল শহর। হনুলুলু মূলত পর্যটক কেন্দ্র। এটি হাওয়াই ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রবেশপথ। শহরটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা, সামরিক প্রতিরক্ষার জন্য একটি প্রধান হাব এবং সেই সঙ্গে বিখ্যাত পূর্ব - পশ্চিম ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংস্কৃতি, রান্না এবং ঐতিহ্যের সন্নিবেশ ঘটেছে এখানে।
0.5
699.660647
20231101.bn_373287_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81
হনুলুলু
মূল পলিনেশিয়ান অভিবাসীদের দ্বারা হনলুলু দ্বীপমালার প্রথম স্থাপিত হওয়ার প্রমাণ মৌখিক এবং হস্তনির্মিত ইতিহাস থেকে পাওয়া যায়। এইগুলি প্রমাণ করে হনলুলু ১১ শতকের দিকে প্রতিষ্ঠিত।
0.5
699.660647
20231101.bn_373287_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81
হনুলুলু
১৭৯৪ সালে, গ্রেট ব্রিটেনের ক্যাপ্টেন উইলিয়াম ব্রাউন বর্তমান হনলুলু হারবারে প্রথম বিদেশী হিসাবে পাল তোলেন। আরো বিদেশী জাহাজ হনলুলু বন্দরকে উত্তর আমেরিকা ও এশিয়ার মধ্যে ব্যানিজ্যিক জাহাজের ফোকাল পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
0.5
699.660647
20231101.bn_373287_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81
হনুলুলু
মার্কিন আদমশুমারি দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট এলাকা ৬৮.৪ বর্গমাইল (১৭৭.২ বর্গকিমি), যার মধ্যে ৬০.৫ বর্গমাইল (১৫৬.৭ বর্গকিমি) স্থলভাগ এবং ৭.৯ বর্গমাইল (২০.৫ বর্গকিমি) (১১.৫৬%) জলভাগ।
0.5
699.660647
20231101.bn_373287_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81
হনুলুলু
হনলুলু থেকে নিকটবর্তী মূল ভূখণ্ড ক্যালিফোর্নিয়ার পয়েন্ট এরিনা বাতিঘরের দুরত্ব ২,০৪৫ নটিক্যাল মাইল (৩,৭,৮৭ কিমি)।
1
699.660647
20231101.bn_373287_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81
হনুলুলু
ক্রান্তীয় আধা শুষ্ক জলবায়ুর (কোপেন শ্রেণীবিভাগ Bsh) প্রভাবে কম বৃষ্টিপাতের কারণে, হনলুলুতে বেশিরভাগই শুষ্ক গ্রীষ্মকাল থাকে। এখানে মাস জুড়ে তাপমাত্রার সামান্য তারতম্য ঘটে,
0.5
699.660647
20231101.bn_373287_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81
হনুলুলু
বছরের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ৮০-৯০° ফাঃ (২৭-৩২° সে.) এবং সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ৬৫-৭৫° ফাঃ (১৮-২৪° সে.)।
0.5
699.660647
20231101.bn_373287_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81
হনুলুলু
২০১০ সালের মার্কিন জনগণনা অনুযায়ী, হনলুলুর জনসংখ্যা ৩,৯০,৭৩৮ জন, যার মধ্যে ১৯২,৭৮১ জন (৪৯.৩%) পুরুষ এবং ১,৯৭,৯৫৭ জন (৫০.৭%) মহিলা।
0.5
699.660647
20231101.bn_373287_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81
হনুলুলু
হাওয়াইয়ান দ্বীপের বৃহত্তম শহর এবং এয়ারপোর্ট হিসাবে, হনলুলু বড় পর্যটন শিল্পের একটি প্রাকৃতিক গেটওয়ে হিসাবে কাজ করে, যার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ পর্যটক এনেছে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে বার্ষিক ১০ বিলিয়ন আমেরিকান ডলারের অবদান রাখে।
0.5
699.660647
20231101.bn_1072706_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF
মাহিষ্য
মাহিষ্যরা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে। দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল 1919 সালে ইউনিয়ন বোর্ড করের বিরুদ্ধে মাহিষ্যদের নেতৃত্ব দেন যা পরে মেদিনীপুরে অসহযোগ আন্দোলনের সাথে একীভূত হয়। তিনি 1920-এর দশকে কলকাতার মেয়র পদে সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। আইন অমান্য আন্দোলনের সময় (1930-34) মাহিষ্যরা তমলুক এবং কাঁথি অঞ্চলে ব্রিটিশ প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে ভবিষ্যত আন্দোলনের পথ প্রশস্ত করেছিল।
0.5
695.672884
20231101.bn_1072706_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF
মাহিষ্য
১৯৪০ এর দশকে কংগ্রেসের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে মাহিষ্যেরা মেদিনীপুরে ও দক্ষিণ বঙ্গে সামগ্রিকভাবে ছিলেন আসল শক্তি। প্রকৃতপক্ষে, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে বেশিরভাগ নেতা ও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন মাহিষ্য। তারা তমলুকে সমান্তরাল জাতীয় সরকার  ― তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠন করেন এবং এটি প্রায় দু-বছর চলেছিল। সরকারের নিজস্ব সেনাবাহিনী,  বিচার ব্যবস্থা ও অর্থ দপ্তর ছিল। সমান্তরাল জাতীয়  সরকারের মুখপত্র বিপ্লবী ইংরাজীতে প্রকাশিত হত। মূল মুখপত্রের কপি দিল্লির নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়া অ্যান্ড লাইব্রেরীতে আজো সংরক্ষিত আছে। সেসময় বাংলার গান্ধীবাদী নেতা সতীশচন্দ্র সামন্ত ছিলেন একজন মাহিষ্য।
0.5
695.672884
20231101.bn_1072706_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF
মাহিষ্য
ঊনবিংশ শতকের বাংলায় চাষী কৈবর্তকে সৎশুদ্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যদিও জালিয়া কৈবর্ত এবং কৈবর্তের পুরোহিতরা অশুচি হিসাবে বিবেচিত হত। বাংলার বর্ণ কাঠামোতে মাহিষ্যরা সাধারণত 'মধ্যম-বর্ণ' হিসেবে বিবেচিত হয়। দক্ষিণ ভারতে যেমন সমাজ পুরোহিত, অপুরোহিত- এই ভাবে বিভক্ত ছিল; উত্তর ভারতের মতো চার বর্ণের অস্তিত্ব ছিল না। বাংলাতেও সমাজে অব্রাহ্মণ সকলকেই বিভিন্ন মর্যাদার শূদ্র বা সংকর পর্যায়ভুক্ত করা হয়েছিল। রমেশচন্দ্র মজুমদার এর কারণ হিসেবে বলেছেন, অতীতে বাংলায় তন্ত্র ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রাধান্য ছিল; কিছুুু শ্রেণীর ব্রাহ্মণ এভাবে সমাজকে বিভক্ত করেন । অধ্যাপক মজুমদার এর মতে প্রাচীনকাল থেকেই কৈবর্তরা দুটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল- কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবী।
0.5
695.672884
20231101.bn_1072706_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF
মাহিষ্য
১৯০১ সালে, মাহিষ্যরা নিজেদেরকে বৈশ্য বলে দাবি করেছিল, যে মর্যাদা তাদের পুরোহিত, গৌড়াদ্য ব্রাহ্মণরাও মহিষ্যদের জন্য দাবি করেছিলেন। ১৯৩১ সালের আদমশুমারিতে, তারা নিজেদের ক্ষত্রিয় বা মাহিষ্য ক্ষত্রিয় হিসাবে নথিভুক্ত করার দাবি করে। ঐতিহাসিক জ্যোতির্ময়ী শর্মা অভিমত দিয়েছেন যে মাহিষ্যদের বর্ণ মর্যাদা 'বিতর্কের বিষয়'।
0.5
695.672884
20231101.bn_1072706_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF
মাহিষ্য
যদিও মাহিষ্যদের আর্থিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক সাফল্য উল্লেখযোগ্য, তারা প্রায়শই তাদের কৃষিভিত্তিক শিকড় এবং কৈবর্ত নামের কারণে অপদস্থ হয়েছিল। মাহিষ্যরা কায়িক শ্রমের বিরুদ্ধাচরণ করেনি, যা প্রায়ই "উচ্চ বর্ণের" মধ্যে অভিজাতদের দ্বারা হেয় প্রতিপন্ন করা হত। উদাহরণস্বরূপ, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদের জন্য যখন সুভাষ চন্দ্র বসু এবং বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল, যা তখন বাংলার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করত, বোস বিজয়ী হয়েছিলেন। যদিও চিত্তরঞ্জন দাস প্রথমে শাসমলের রাজনৈতিক অবদানের জন্য তাকে ওই পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি শীঘ্রই পিছু হটলেন যখন তিনি জানতে পারলেন যে এই নির্বাচন শহরের কায়স্থ চক্রকে অখুশি করবে। শাসমল চরম অপমান ও ক্রোধে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি ত্যাগ করেন, এবং কাঁথি ও মেদিনীপুরের তাঁর নিয়ন্ত্রণের স্থানীয় রাজনীতি ও ওকালতি পেশায় চলে যান।
1
695.672884
20231101.bn_1072706_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF
মাহিষ্য
1921 সালের আদমশুমারিতে মাহিষ্যদের "ডিপ্রেসড ক্লাস" তালিকায় চাষী-কৈবর্ত হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু সম্ভ্রান্ত শ্রেণীর ব্যক্তিরা এটি অস্বীকার করেছিল কারণ তারা বিশ্বাস করেছিল যে এরফলে তাদের "উচ্চ বর্ণের হিন্দু" হওয়ার দাবি নস্যাৎ হয়ে যেত ।  1946 সালে, যাইহোক, মাহিষ্যদের একটি জাতি সমিতি নির্দেশ করেছিল যে তারা বাংলার "মধ্যমবর্গ এবং অবদমিত" জাতিগুলির মধ্যে ছিল কারণ তাদের বৈধ দাবি এবং চাকরিতে অংশীদারিত্ব থেকে পরিকল্পিতভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। তারা ভারতের ব্রিটিশ সরকারকে "বর্ণ হিন্দু" এবং তফসিলি জাতিদের থেকে আলাদা নির্বাচকমণ্ডলী প্রদান করে, শিক্ষা, সমস্ত বিভাগে নিয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষ সুবিধা প্রদানের দাবি করেছিল।
0.5
695.672884
20231101.bn_1072706_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF
মাহিষ্য
মণ্ডল কমিশন পশ্চিমবঙ্গের 177টি "অনগ্রসর শ্রেণীর" তালিকায় চাষী-কৈবর্ত এবং মাহিষ্য উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করেছে। 1989 সাল থেকে, কমিশনের প্রস্তাবগুলি কার্যকর হওয়ার পরে, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মাহিষ্যদের মধ্যে একটি অংশ ওবিসি মর্যাদার জন্য প্রচারণা চালায়। যদিও এর বিরোধিতা করেছিল সচ্ছল শ্রেণীর কিছু ব্যক্তি, যারা এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল। 1990-এর দশকের শেষের দিকে সেন কমিশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল যে চাষী-কৈবর্ত একটি অনগ্রসর শ্রেণী গঠন করেছিল এবং মাহিষ্য নামে এটি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী ছিল না। 2000-এর দশকের গোড়ার দিকে, চাষী-কৈবর্তকে ওবিসি মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। ২০১০-এর দশকে মুসলিম এবং কিছু হিন্দু গোষ্ঠীকে ওবিসি এর মর্যাদা দেওয়া হয় । ২০১০-এর দশকের গোড়া থেকেই মাহিষ্যরা তাদের সমগ্র বর্ণের জন্যই ওবিসি দাবি করে আন্দোলন চালাচ্ছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত মাহিষ্যরা অগ্রসর শ্রেণী (জেনারেল কাস্ট) এবং বাংলার বৃহত্তম গোষ্ঠী গঠন করেছে।
0.5
695.672884
20231101.bn_1072706_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF
মাহিষ্য
হেমচন্দ্র কানুনগো, সামরিক এবং রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশভ্রমণকারী বিপ্লবী, মাদাম ভিকাজি কামার অনুরোধে চিত্রশিল্পী হিসাবে প্রথম লাল, গেরুয়া ও সবুজ তেরঙ্গার নক্সাকার।
0.5
695.672884
20231101.bn_1072706_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF
মাহিষ্য
বসন্তকুমার বিশ্বাস, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং যুগান্তর দলের সদস্য। চার্লস হার্ডিঞ্জ -কে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
0.5
695.672884
20231101.bn_718811_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8
শ্মশান
"শ্মশান" শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত: "শ্ম" শব্দের অর্থ "শব" ("মৃতদেহ") এবং "শান" শব্দটির অর্থ "শন্য" ("বিছানা")। প্রধানত হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, শিখধর্ম ও জৈনধর্ম এর
0.5
695.062933
20231101.bn_718811_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8
শ্মশান
অনুগামীরা শ্মশানে ধর্মীয়ভাবে মৃতের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। এছাড়া কিছু নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী ও অন্যরাও মৃতদেহ দাহ করেন।
0.5
695.062933
20231101.bn_718811_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8
শ্মশান
ধর্মীয় মতে শশ্মানে দাহ করাকে পঞ্চতত্বএ বিলীন বলা হয়। অর্থাৎ পাঁচটা তত্বে দেহ বিলীন হয়। যথা- অগ্নি, জল, বায়ু, আকাশ ও মাটি
0.5
695.062933
20231101.bn_718811_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8
শ্মশান
হিন্দু রীতি অনুযায়ী, মৃতদেহকে সৎকারের জন্য শ্মশানে আনা হয়। সেখানে মুখাগ্নিকারীকে দক্ষিণার বিনিময়ে শ্মশানক্ষেত্রের নিকটে বসবাসকারী ডোমের হাত থেকে অগ্নি সংগ্রহ করে চিতা প্রজ্বালিত করতে হয়।
0.5
695.062933
20231101.bn_718811_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8
শ্মশান
বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্রগ্রন্থে শ্মশান নির্বাচনের স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: এই স্থান কোনও গ্রামের উত্তর দিকে অবস্থিত হতে হবে এবং শ্মশানের জমির ঢাল দক্ষিণ দিকে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে শ্মশানকে কোনও নদী বা জলের উৎসের নিকটবর্তী হতে হবে এবং তা সাধারণের দৃষ্টিপট থেকে একটু দূরে থাকতে হবে।
1
695.062933
20231101.bn_718811_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8
শ্মশান
শ্মশানে মৃতদেহ সাধারণত দাহ করা হয় কাঠের তৈরি চিতায়। তবে আধুনিক কালে ভারতের অনেক শহরে আভ্যন্তরীণ শ্মশানগৃহে বৈদ্যুতিক বা গ্যাসের চুল্লিতেও শবদাহ করা হয়।
0.5
695.062933
20231101.bn_718811_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8
শ্মশান
হিন্দুরা শ্মশানকে ভূত, প্রেতাত্মা ও উগ্রস্বভাব দেবদেবীদের আবাসস্থল মনে করেন। তান্ত্রিকেরা শ্মশানে তন্ত্রসাধনা করে থাকেন। তাই সাধারণ লোকে রাতে শ্মশানের কাছে যেতে চান না। স্ত্রীলোকের শ্মশানে যাওয়া শাস্ত্রনিষিদ্ধ। পুরুষেরাই শবদাহের জন্য শ্মশানে যেতে পারেন। শুধুমাত্র ডোম ও চণ্ডালেরা শ্মশানে বা শ্মশানের কাছে বাস করে।
0.5
695.062933
20231101.bn_718811_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8
শ্মশান
শ্মশানক্ষেত্র হল অঘোরী, কাপালিক, কাশ্মীরী শৈব, কৌল প্রভৃতি অধুনা বিরল বামাচারী সাধক সম্প্রদায়ের শবসাধনা জাতীয় বিভিন্ন সাধনার স্থল। ঐন্দ্রজালিক শক্তি অর্জনের জন্য তারা শ্মশানে কালী, তারা, ভৈরব, ভৈরবী, ডাকিনী, বেতাল ইত্যাদির পূজা করেন। বজ্রযান, দোগচেন প্রভৃতি সম্প্রদায়ের [[তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম] তান্ত্রিকেরাও একই উদ্দেশ্যে শ্মশানে চোদ, ফাওয়া, ঝিত্রো ইত্যাদির সাধনা করেন। শ্মশানাধিপতি নামে এক দেবতাকে সাধারণত শ্মশানের অধীশ্বর মনে করা হয়।
0.5
695.062933
20231101.bn_718811_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8
শ্মশান
শ্মশানের উৎপত্তি, ইতিহাস, পুরাণ, জনশ্রুতি, দেবদেবী, শ্মশান সাধনা, প্রাচীন ও মধ‍্যযুগের শ্মশান, শ্মশানের বিবর্তন, লোকাচার, উৎসব প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচিত অলোক সরকারের ‘শ্মশান : মিথ পুরাণ ইতিহাস’ গ্রন্থের নাম অনুসন্ধিৎসু পাঠকের জন‍্য উল্লেখযোগ্য। লেখক বিস্তৃতভাবে শ্মশানকে দেখতে চেয়েছেন নানান দিক থেকে।
0.5
695.062933
20231101.bn_674994_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
এক্লাম্পসিয়া
জটিলতাসমূহের মধ্যে রয়েছে অ্যাসপিরেশন নিউমোনিয়া,মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ,বৃক্কীয় অক্ষমতা,হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধহয়ে যাওয়া ইত্যাদি। গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপজনিত অনেক রোগরয়েছে, এক্লাম্পসিয়া ও প্রি-এক্লাম্পসিয়া তারই অংশ।
0.5
691.985462
20231101.bn_674994_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
এক্লাম্পসিয়া
উচ্চ ঝুঁকিতে যারা রয়েছে তাদের অ্যাসপিরিন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, এছাড়া পরিপূরক খাদ্য হিসেবে ক্যালসিয়াম খাওয়া, পূর্ববর্তী উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা করার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করার সুপারিশ করা হয়। গর্ভাবস্থায় শারীরিক ব্যায়াম কিছুটা উপকারী হতে পারে। শিরাপথে বা মাংসপেশিতে ম্যাগনেশিয়াম সালফেটের ব্যবহার এক্লাম্পসিয়াতে ফলদায়কও নিরাপদ। এটা উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয়দেশের জন্যই সত্য।<ref name=BMC2013/শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে সাপোর্টের প্রয়োজন হতে পারে। অন্যান্য চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ যেমন হাইড্রালাজিনের প্রয়োগ ও জরুরি ভিত্তিতে যোনিপথে বা সিজারিয়ান সেকশন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানো।
0.5
691.985462
20231101.bn_674994_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
এক্লাম্পসিয়া
উন্নত বিশ্বে উন্নত চিকিৎসাসেবার কারণে এর হার অনেক কম। সেখানে প্রায় প্রতি ২০০০ সন্তান প্রসবে একবার এই ঘটনা ঘটে। গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগই হল গর্ভকালীন মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। ২০১৫ সালে এই রোগে প্রায় ৪৬,৯০০ জনের মৃত্যু হয়। এক্লাম্পসিয়ায় আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে প্রায় এক শতাংশ মৃত্যুবরণ করে। এক্লাম্পসিয়া শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক ভাষা থেকে সেখানে এর অর্থ বিজলি চমক বা বজ্র। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে হিপোক্রেটিস প্রথম এই রোগের বর্ণনা দেন।
0.5
691.985462
20231101.bn_674994_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
এক্লাম্পসিয়া
এক্লাম্পসিয়া গর্ভকালীন একটি সমস্যা যেখানে প্রি-এক্লাম্পসিয়ায় আক্রান্তগর্ভবতী মায়েদের খিঁচুনি হয়। সাধারণত খিঁচুনির পূর্বে গর্ভবতী মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপও প্রোটিনিউরিয়া(প্রসাবের মাধ্যমে প্রোটিন বের হওয়া) হয়।
0.5
691.985462
20231101.bn_674994_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
এক্লাম্পসিয়া
অন্যান্য মস্তিষ্কের লক্ষণসমূহ যেমন বমনেচ্ছা, বমন, মাথাব্যথা ও অন্ধত্ব ঠিক খিঁচুনির পূর্বমুহূর্তে হতে পারে। বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতানষ্ট হলে আরো অনেক লক্ষণ প্রকাশ পায় যেমন পেটব্যথা, জন্ডিস, ঘনঘন শ্বাস ও প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া।
1
691.985462
20231101.bn_674994_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
এক্লাম্পসিয়া
এক্লাম্পসিয়ার খিঁচুনি সাধারণত গর্ভকালীন ও সন্তান প্রসবের পূর্বে হয়ে থাকে তবে তা প্রসববেদনা ও প্রসবের সময় বা সন্তান প্রসবের পরেও হতে পারে। যদি সন্তান প্রসবের পরে খিঁচুনি হয় তাহলে তা সাধারণত প্রসবের প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হয় তবে কখনো কখনো তা সন্তান প্রসবের ৪ সপ্তাহ পরেও হতে পারে।
0.5
691.985462
20231101.bn_674994_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
এক্লাম্পসিয়া
এক্লাম্পসিয়ার ক্ষেত্রে গর্ভধারিণী মা ও গর্ভস্থ সন্তান উভয়েরই ঝুঁকি থাকে।এক্লাম্পসিয়ায় আক্রান্ত মায়েদের গর্ভের সন্তান স্বাভাবিকের তুলনায় ধীর গতিতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় ফলে সন্তান গর্ভধারণ সময়ের তুলনায় আকারে ছোট হয় অথবা কম ওজন নিয়ে জন্মায়। এক্লাম্পসিয়াতে অমরা বা গর্ভফুলেও সমস্যা হয়।গর্ভফুল হতে রক্তক্ষরণ হতে পারে অথবা এটা জরায়ু প্রাচীর হতে পৃথক হওয়া শুরু হতে পারে। সন্তান প্রসবের সময় গর্ভফুল জরায়ু প্রাচীর হতে আলাদা হয়ে যাওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু প্রসবের পূর্বে গর্ভফুল খসে পড়া অস্বাভাবিক এবং গর্ভস্থ সন্তানের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এই রোগে গর্ভফুলের রক্তসরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে ভ্রূণে অক্সিজেন ও পুষ্টির ঘাটতি হয় ফলে ভ্রূণের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। খিঁচুনির সময় ভ্রূণের হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে মন্থর হয়ে যায়। এই জটিলতাগুলোর যেকোনোটি ঘটলে তা ভ্রূণের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়।যদি ভ্রূণ বা মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বেশি হয় তাহলে ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা না করে দ্রুত বাচ্চা প্রসব করানো নিরাপদ হতে পারে।
0.5
691.985462
20231101.bn_674994_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
এক্লাম্পসিয়া
এক্লাম্পসিয়ার ফলে মায়েদের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হয় যেমন চোখে ঝাপসা দেখা, এক চোখ অন্ধ হওয়া বা উভয় চোখে স্থায়ী অন্ধত্ব।
0.5
691.985462
20231101.bn_674994_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
এক্লাম্পসিয়া
ফুসফুসেও সমস্যা হয়। ধীরে ধীরে ফুসফুসে পানি জমা হতে থাকে যেটি পালমোনারি ইডিমা নামে পরিচিত। খিঁচুনির সময় পাকস্থলীয় খাদ্যাংশ বমি হয়ে বের হওয়ার সময় কিছু অংশ ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে। এটি পালমোনারি অ্যাস্পিরেশন নামে পরিচিত। অ্যাস্পিরেশন হলে শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হতে পারে বা পরে ফুসফুসে সংক্রমন হতে পারে যাকে অ্যাস্পিরেশন নিউমোনিয়া বলে। এমনও সম্ভব যে খিঁচুনির সময় শ্বাস সময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে বা অপর্যাপ্ত হবে এবং রোগিণীর শরীর ও মস্তিষ্কে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দিবে যা হাইপোক্সিয়া নামে পরিচিত।
0.5
691.985462
20231101.bn_428395_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE
বালাম
কাজী মোহাম্মদ আলী জাহাঙ্গীর বালাম (যিনি বালাম নামে পরিচিত) বাংলাদেশের একজন সংগীতশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও কম্পোজার।
0.5
687.336279
20231101.bn_428395_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE
বালাম
বালামের জন্ম ১৯৭৫ সালের ২৪শে ডিসেম্বর তারিখে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার হাজারীবাগের জিগাতলায়। তার পৈতৃক বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় অবস্থিত। তার বাবা কাজী জাহাঙ্গীর হাফিজ সেলিম এবং মা রোকসানা জাহাঙ্গীর। বালামের বড় দুই ভাইয়ের নাম যথাক্রমে বাবর ও বাপ্পী। তার একমাত্র বোন ফাতেমা জাহাঙ্গীর। বালামের স্ত্রী সাগুফতা ফারুক সাদিয়া ও একমাত্র সন্তান ফাবিয়ান জাহাঙ্গীর।
0.5
687.336279
20231101.bn_428395_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE
বালাম
সংগীতমনস্ক পরিবারে বেড়ে ওঠা বালাম শৈশব থেকেই গিটারে পারদর্শী ছিলেন। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় সুর করেন জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ওয়ারফেজের "কৈশোর" গানটির। ১৯৯৪ সালে প্রকাশ হওয়া একই ব্যান্ডের 'নীল স্বপন' গানটির সুরও যৌথভাবে করেন বালাম ও বাবনা করিম। ১৯৯৫ সালে বালাম তার বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলেন ব্যান্ড "রেনিগেডস", যেখানে বালাম একইসঙ্গে গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান সময়ের আরেক সংগীত তারকা হাবিব ওয়াহিদ ছিলেন ব্যান্ডটির কিবোর্ডিস্ট। "মায়াবী এ রাত" ও "ফিরিয়ে দাও" শিরোনামে দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করে রেনিগেডস। "ফিরিয়ে দাও" অ্যালবামের টাইটেল ট্র্যাকের জন্য অর্জন করে "কোকাকোলা ব্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড"। একইসঙ্গে "আর্ক" এবং "পেন্টাগন" ব্যান্ডেও বালাম গিটারিস্ট ও কম্পোজার হিসেবে কাজ করতে থাকেন। ১৯৯৮ সালের শেষ দিকে বালাম লিড গিটারিস্ট ও ২য় ভোকাল হিসেবে যোগ দেন ওয়ারফেজে। ২০০০ সালে ওয়ারফেজ প্রকাশ করে তাদের ৩য় অ্যালবাম "আলো"। এতে বালামের কণ্ঠে তিনটি গান - "যতদূরে", "সময়" ও "নেই তুমি" ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তীতে এ অ্যালবামের সবচেয়ে জনপ্রিয় "যতদূরে" গানটি প্রসঙ্গে বালাম জানান গানটি তিনি তৈরি করেছিলেন ওয়ারফেজে যোগ দেয়ার বহু আগে। ২০০২ সালে মিজান ওয়ারফেজ ত্যাগ করলে বালাম উন্নীত হন ১ম ভোকাল হিসেবে। এসময় তার কণ্ঠে ওয়ারফেজ ২০০৩ সালে প্রকাশ করে অ্যালবাম "মহারাজ"। এ অ্যালবামের টাইটেল ট্র্যাক, "হারিয়ে তোমাকে", "সাইক্লোন", "বসন্ত" গানগুলো বালামকে নিয়ে যায় অনন্য উচ্চতায়।
0.5
687.336279
20231101.bn_428395_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE
বালাম
ওয়ারফেজে দায়িত্বরত অবস্থায়ই বালাম ২০০৬ সালে তার কম্পোজিশনে প্রকাশ করেন মিশ্র অ্যালবাম "প্রেম শিকারী"। এতে ফিচার করেন জাহিদ পিন্টু, অভি ও জুলির মত প্রতিভাবান শিল্পীদের। শ্রোতামহলে প্রশংসিত হয় বালামের সুর ও সংগীতায়োজন। ২০০৭ এ ওয়ারফেজ ত্যাগ করার পর একক অ্যালবামের দিকে মন দেন বালাম। সে বছর লেজার ভিশনের ব্যানারে প্রকাশ করেন "বালাম" নামে নিজের প্রথম অ্যালবাম। এই অ্যালবামটিই তাকে এনে দেয় আকাশ্চুম্বী জনপ্রিয়তা। "বালাম" অ্যালবাম গান তিন মাস পর "এক মুঠো রোদ্দুর" "লুকোচুরি" "তোমার জন্য" "বিরহের সাম্পান" গান গুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। একক শিল্পী হিসাবে কনসার্টে বালামের চাহিদা বেড়ে যাই। ২০০৮ সালে বালাম সঙ্গীতার ব্যানারে প্রকাশ পাই বালামের ২য় অ্যালবাম "বালাম ২" এই অ্যালবামে "প্রেমের ধুন" সুপারহিট গান, "রুদয়ের সিঁড়ি" "অপরুপা" "রিমঝিম" গান গুলো ছিলো। ২০১০ সালে বালামের ৩য় অ্যালবাম প্রকাশ পায় (বালাম ৩) এই অ্যালবামে "কি নেশা" "নতুন সকাল" "কাছে আসোনা" "একটু দাড়াও" গান গুলো রয়েছে। ইতোমধ্যে ২০০৯ সালে তার হাত ধরে সঙ্গীতার ব্যানারে "বালাম ফিচারিং জুলি" দিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন তার বোন জুলি , এই অ্যালবামে "ভালোবাসার উৎসবে" "অঝোর বৃষ্টি" " নগরদোলা" "সুখ পাখি" গান রয়েছে । ২০১০ এ তিনি তার বোনকে নিয়ে আবারও প্রকাশ করেন "বালাম ফিচারিং জুলি ২- স্বপ্নের পৃথিবী এই অ্যালবামের "তুমিহীনা" ডুয়েট গান রয়েছে অ্যালবামে। ভাইবোনের এই জুটি পৌঁছে যায় প্রজন্মের পছন্দতালিকার শীর্ষে।
0.5
687.336279
20231101.bn_428395_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE
বালাম
২০১০ সালে বালাম সাগুফতা ফারুক সাদিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন পর স্ত্রীর গুরুতর অসুস্থতা বালামকে ঠেলে দেয় দীর্ঘ বিরতির দিকে।
1
687.336279
20231101.bn_428395_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE
বালাম
২০১৩ সালে বালাম ঈগল মিউজিকের ব্যানারে প্রকাশ করেন তার ৪র্থ একক অ্যালবাম "ভূবন (বালাম ৪)"। আশানুরূপ সাড়া জাগাতে ব্যর্থ হয়ে আবারও অন্তরালে চলে যান তিনি। দুই বছর বিরতির পর ২০১৫ সালে তার মিউজিক ভিডিও "মেঘে ঢাকা" প্রকাশ পায়। ২০১৬ সালের ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ করেন "কৌশিক তাপস ফিচারিং বালাম-কী জ্বালা" গানটি। একই বছর জুলির সঙ্গে দ্বৈত গান "কত যে খুঁজেছি তোমায়" প্রকাশ করেন। ২০১৭ সালের ভালোবাসা দিবসে রবি-এয়ারটেল ইয়োন্ডার মিউজিকের ব্যানারে তিনি তার ৫ম একক অ্যালবাম "গল্পের শহর" প্রকাশ করেন।
0.5
687.336279
20231101.bn_428395_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE
বালাম
ইয়োন্ডার পরবর্তীতে সেবা বন্ধ করে দিলে আরেক শীর্ষস্থানীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক নিয়ে আসে 'ভাইব' অ্যাপটি। এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন বালাম, হাবিব, শাফিন আহমেদসহ জনপ্রিয় তারকারা। 'ভাইব' অ্যাপে বালাম প্রকাশ করেন 'হঠাৎ', 'বালাম ফিচারিং কনা - আদরে' এবং 'বালাম ফিচারিং আনিকা তাসনিম - খোলা আকাশ' গানগুলো। 'হঠাৎ' গানটি পরবর্তীতে মিউজিক ভিডিও হিসেবে প্রকাশ পায় যাতে বালামের সঙ্গে অভিনয় করেন অভিনেত্রী সুজানা জাফর। দর্শক শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয় ভিডিওটি।
0.5
687.336279
20231101.bn_428395_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE
বালাম
২০১৯ সালে কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর প্রয়াণের পর তাঁর নিজ হাতে গড়া "এলআরবি" ব্যান্ডে যোগ দিয়ে বালাম নতুন করে আলোচনার শীর্ষে উঠে আসেন। কিন্তু আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের আপত্তিতে ব্যান্ডের নাম পাল্টে 'বালাম অ্যান্ড দ্যা লিগ্যাসি' করা হলে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই পদত্যাগ করেন বালাম।
0.5
687.336279
20231101.bn_428395_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE
বালাম
"প্রেম শিকারি" ছাড়াও বালাম বিভিন্ন মিশ্র অ্যালবাম, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনচিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। একাধিক টিভি নাটকেও অভিনয় করেছেন গুণী এই শিল্পী।
0.5
687.336279
20231101.bn_33603_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%93%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF
ওড়িশি
গোতিপুয়া ঘরানার উদ্ভব হয় খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে। এই ঘরানার উদ্ভবের অন্যতম কারণ ছিল বৈষ্ণবধর্মে নারীর নৃত্য স্বীকৃত ছিল না। গোতিপুয়ারা ছিল ছোটো ছোটো ছেলে; যাদের মেয়ে সাজিয়ে দেবদাসীদের দ্বারা নৃত্যশিক্ষা দেওয়া হত। এই সময় বৈষ্ণব কবিরা ওড়িয়া ভাষায় অনেক রাধাকৃষ্ণ-বিষয়ক পদ রচনা করেন। গোতিপুয়ারা এই সকল পদের সঙ্গতে মন্দিরের বাহির প্রাঙ্গনে নৃত্য করত।
0.5
687.093162
20231101.bn_33603_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%93%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF
ওড়িশি
নর্তকী নৃত্যশৈলীটির উদ্ভব প্রাক-ব্রিটিশ যুগে। ওড়িশার রাজপ্রাসাদে এই নৃত্য উপস্থাপিত হত। এই সময় দেবদাসীপ্রথার অবমূল্যায়ণ ভীষণভাবে সমালোচিত হয়। এই কারণে মন্দির থেকে দেবদাসী প্রথার উচ্ছেদ করা হয় এবং রাজসভাতেও এই প্রথা অপ্রচলিত হয়ে পড়ে। কেবলমাত্র গোতিপুয়া ঘরানার কিছু উদাহরণ টিকে যায়। এই নৃত্যর পুনরুজ্জীবনের সময় প্রত্নতাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিক উপাদানগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। যার ফলে বর্তমানে এই নৃত্যশৈলীতে শুদ্ধতাবাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা হয়।
0.5
687.093162
20231101.bn_33603_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%93%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF
ওড়িশি
মঙ্গলাচরণ: একটি সম্ভাষক নৃত্যাঙ্গ। জগন্নাথ প্রণামের পর দেবদেবীর স্তবগানবাচক একটি শ্লোক গাওয়া হয়, যার অর্থ উপস্থাপনা করা হয় সমগ্র নৃত্যের মাধ্যমে। মঙ্গলাচরণে ভূমিপ্রণাম করা হয়, মাতা বসুমতীর কাছে তাকে পদদলিত করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে। এছাড়া করা হয় ত্রিখণ্ডী প্রণাম বা তিন অঙ্গের প্রণাম। এই প্রণামে মস্তক দ্বারা ঈশ্বরকে, মুখাগ্র দ্বারা গুরুদের এবং বক্ষাগ্র দ্বারা দর্শকদের প্রণাম করা হয়।
0.5
687.093162
20231101.bn_33603_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%93%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF
ওড়িশি
বাট্টু নৃত্য: এটি ওড়িশির একটি বিশেষ নৃত্যশৈলী যা নটরাজ শিবের বটুকভৈরব রূপটিকে উদ্দেশ্য করে নিবেদন করা হয়।
0.5
687.093162
20231101.bn_33603_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%93%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF
ওড়িশি
পল্লবী: এটি একটি বিশুদ্ধ নৃত্যশৈলী যা কোনো একটি রাগকে চক্ষুসঞ্চালন, দেহভঙ্গিমা ও জটিল পদচালনা দ্বারা ফুটিয়ে তোলে।
1
687.093162
20231101.bn_33603_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%93%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF
ওড়িশি
অভিনয়: এই শৈলীটিতে কবিতার মাধ্যমে কোনো একটি কাহিনি দর্শকের সামনে উপস্থাপনা করা হয় এবং নৃত্যশিল্পী মুদ্রা বা হস্তভঙ্গিমা, মুখাভিব্যক্তি ও দেহচালনা দ্বারা সেই কাহিনিটির নৃত্যায়ন ঘটান।
0.5
687.093162
20231101.bn_33603_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%93%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF
ওড়িশি
দশাবতার: এটি একটি নৃত্যশৈলী যার মাধ্যমে জয়দেব রচিত গীতগোবিন্দম্ কাব্যের বিষ্ণুর দশাবতার বর্ণনাটিকে ফুটিয়ে তোলা হয়।
0.5
687.093162
20231101.bn_33603_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%93%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF
ওড়িশি
মোক্ষ: এটিকে মুক্তির নৃত্য বলে অভিহিত করা হয়। এটি একটি বিশুদ্ধ নৃত্যশৈলী যা মাদল ও পাখোয়াজের সঙ্গতে উপস্থাপিত হয়ে থাকে।
0.5
687.093162
20231101.bn_33603_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%93%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF
ওড়িশি
পদ্মবিভূষণ সম্মানপ্রাপ্ত কেলুচরণ মহাপাত্র, পঙ্কজচরণ দাস ও দেবপ্রসাদ দাস পুনরুজ্জীবিত ওড়িশি নৃত্যের শীর্ষস্থানীয় নৃত্যশিল্পী। ওড়িশি শিল্পী সংযুক্তা পাণিগ্রাহী গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র দ্বারা পুনরুজ্জীবিত এই নৃত্যধারার এক বিশিষ্ট শিল্পী। গুরু সুরেন্দ্রনাথ জেনা এবং ঊষা ছেত্তুর, রাধিকা ঝা প্রমুখ তার শিষ্যরা ওড়িশির বিভিন্ন ধরন, মুদ্রা ও ভঙ্গিমাকে বিস্তারিত করেছেন। এই নৃত্যশৈলীটি ধীর এবং গভীর সামঞ্জস্য ও নিয়ন্ত্রণের দাবিদার।
0.5
687.093162
20231101.bn_461146_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%AF%E0%A6%BC
সঞ্জয়
সঞ্জয় (সংস্কৃত: सञ्जय, অর্থ "বিজয়") অথবা সঞ্জয় গাবল্গন হলেন প্রাচীন হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতে বর্ণিত একজন উপদেষ্টা এবং সারথি।
0.5
686.260255
20231101.bn_461146_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%AF%E0%A6%BC
সঞ্জয়
মহাভারতে উল্লেখিত হয়েছে পাণ্ডব এবং কৌরবদের মধ্যে একটি মহাসমর সংগঠিত হয় যেখানে অন্ধ রাজা ধৃতরাষ্ট্র হলেন কৌরবদের পিতা। সঞ্জয় হলেন হস্তিনাপুরের রাজার সারথি গবল্গনের পুত্র এবং রাজা ধৃতরাষ্ট্রের সারথি। তিনি মহর্ষি বেদব্যাসের শিষ্য এবং মহারাজ ধৃতরাষ্ট্রের একান্ত অনুগত সহচর। সঞ্জয়, মহর্ষি বেদব্যাসের কৃপায় দিব্যদৃষ্টি বা দূরদৃষ্টি লাভ করেন, সঞ্জয় দিব্যদৃষ্টির কারণে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে সংঘটিত ঘটনাবলি অন্ধ রাজা ধৃতরাষ্ট্রের নিকট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বর্ণনা করেন। দিব্যদৃষ্টি প্রভাবে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রাক্কালে অর্জুন এবং শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে কথোপকথনরূপ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শুনতে এবং দেখতে পান এবং তাও ধৃতরাষ্ট্রের নিকট বর্ণনা করেন।
0.5
686.260255