_id
stringlengths
17
22
url
stringlengths
42
314
title
stringlengths
2
36
text
stringlengths
100
5.1k
score
float64
0.5
1
views
float64
23
11.1k
20231101.bn_2861_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE
পাটনা
১৬২০ সাল নাগাদ পাটনা ‘বাংলার বৃহত্তম বাণিজ্যশহর’ হিসেবে পরিচিত হয়। সমগ্র উত্তর ভারতে পাটনার পরিচয় হয় ‘বাংলার বৃহত্তম শহর ও সবচেয়ে বিখ্যাত বাণিজ্যকেন্দ্র।’ কলকাতা প্রতিষ্ঠার আগে পর্যন্ত পাটনা এই মর্যাদা ধরে রেখেছিল। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব তার প্রিয় নাতি মুহাম্মদ আজিমের অনুরোধে এই শহরের নাম পরিবর্তন করে রাখেন আজিমাবাদ। ১৭০৪ সালে আজিম পাটনায় সুবেদার হিসেবে প্রেরিত হন। পাটনা বা আজিমাবাদে কিছু হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল। ফিলিপ ম্যাসন তার "দ্য ম্যান হু রুলড ইন্ডিয়া" গ্রন্থে এই ধরনের কিছু ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। “আওরঙ্গজেব অ-মুসলমানেদের উপর জিজিয়া কর পুনঃস্থাপিত করেছিলেন। এই কর দেওয়া ছিল বাধ্যতামূলক। পাটনায় কুটির প্রধান পিকক এই কর দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে বন্দী করা হয় এবং খালি মাথায় ও খালি পায়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে বাধ্য করা হয়। নানা ভাবে অসম্মান করার পর তাঁর থেকে কর আদায় করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।” যদিও এই সময় নাম ছাড়া পাটনার পরিবর্তন সামান্যই হয়েছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর পাটনার কর্তৃত্ব বাংলার নবাবদের হাতে চলে যায়। তারা এই শহরের উপর করভার বৃদ্ধি করেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাটনার বাণিজ্যিক গুরুত্ব কিছুমাত্র হ্রাস পায়নি। ১৮১১-১২ নাগাদ পাটনার নদী তীরে তেকারি রাজের প্রাসাদ থেকে পাটনা নিয়ন্ত্রিত হত।
0.5
893.901983
20231101.bn_2861_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE
পাটনা
১৭শ শতাব্দীতে পাটনা একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৬২০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয় সূতিবস্ত্র ও রেশম বাণিজ্যের জন্য একটি কুঠি স্থাপন করে। অনতিবিলম্বেই পাটনা পটাশিয়াম নাইট্রেট বাণিজ্যের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়। ফ্র্যাঙ্কোইস বার্নিয়ার তার ট্রাভেলস ইন দ্য মুঘল এম্পায়ার (১৬৫৬-১৬৬৮) বইতে লিখেছেন, “…পাটনা থেকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম নাইট্রেট আমদানি করা হত। খুব সহজেই তা গঙ্গার নদীপথে বহন করা হত এবং ডাচ ও ইংরেজরা ভারতের বহু বন্দরে এবং ইউরোপে বিশাল পণ্যবাহী জাহাজ প্রেরণ করত।” এই ব্যবসা ফরাসি, ডেনস, ডাচ ও পর্তুগিজদেরও আকৃষ্ট করেছিল। ১৬৩২ সালে পিটার মান্ডি পাটনাকে ‘পূর্বাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বাজার’ বলে উল্লেখ করেন। ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধের পর এলাহাবাদের চুক্তি অনুসারে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘল সম্রাটের কাছ থেকে সুবে-বাংলার (মুঘল বাংলা প্রদেশ) রাজস্ব আদায়ের অধিকার লাভ করে। ১৭৯৩ সালে কোম্পানি পাটনা দখল করে। এই সময় পাটনায় মুঘল শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং কোম্পানি বাংলা ও বিহারের শাসনভার গ্রহণ করে। যদিও পাটনা একটি বাণিজ্যকেন্দ্র থেকে যায়।
0.5
893.901983
20231101.bn_2861_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE
পাটনা
১৯১২ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি বিভাজিত হলে পাটনা নবগঠিত বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশের রাজধানী হয়। ১৯৩৫ সালে পৃথক উড়িষ্যা প্রদেশ গঠিত হলে পাটনা বিহার প্রদেশের রাজধানী হয়।
1
893.901983
20231101.bn_2861_18
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE
পাটনা
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে পাটনার অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। চম্পারণে নীলচাষীদের বিদ্রোহ এবং ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে পাটনার নেতৃবৃন্দ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। পাটনার জাতীয় নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী, ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ, বিহারবিভূতি অনুগ্রহ নারায়ণ সিনহা, বসওন সিং, লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ, ড. সচ্চিদানন্দ সিং, শ্রীকৃষ্ণ সিনহা, শীলভদ্র ইয়াজি ও শার্ঙ্গধর সিনহা প্রমুখ।
0.5
893.901983
20231101.bn_2861_19
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE
পাটনা
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর পাটনা বিহার রাজ্যের রাজধানী থেকে যায়। ২০০০ সালে বিহার দ্বিখণ্ডিত হয়ে ঝাড়খণ্ড রাজ্য সৃষ্টি হওয়ার পরও পাটনা বিহারের রাজধানীর মর্যাদা ধরে রাখে।
0.5
893.901983
20231101.bn_2861_20
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE
পাটনা
পাটনা পূর্ব ভারতে গঙ্গা নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। পাটনার আয়তন । এর মধ্যে পাটনা পৌর-এলাকার আয়তন এবং শহরতলি অঞ্চলের আয়তন । শহরটি অক্ষ-দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এই শহরের গড় উচ্চতা । পাটনা শহরটি নদী-সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। গঙ্গার দক্ষিণ তীরে প্রায় ৮ কিলোমিটারের একটি সংকীর্ণ উচ্চভূমিতে এই শহর অবস্থিত। এই অঞ্চলের মাটি খুবই উর্বর। অবশিষ্টাংশ উর্বর সমভূমির অন্তর্গত।
0.5
893.901983
20231101.bn_2861_21
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE
পাটনা
ব্রিটিশ যুগে, পাটনা ছিল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত। ১৯৭৬ সালে পাটনা জেলা ভেঙে নালন্দা জেলা গঠিত হওয়ার পর পাটনা জেলা থেকে সকল পার্বত্য এলাকা বাদ পড়ে। বর্তমানে এটি পাললিক সমভূমির অন্তর্গত।
0.5
893.901983
20231101.bn_850477_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF
কোভিড-১৯
ধরা হয়ে থাকে ভাইরাসটি প্রাকৃতিক যার উৎস মানুষ থেকে হতে পারে, এবং স্পিলওভার সংক্রমণের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়। এটি সর্বপ্রথম ২০১৯ এর নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরের মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় এবং জানুয়ারি ২০২০ এ মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ ঘটা শুরু হয়। ১৭ নভেম্বর ২০১৯ এ প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। ১৪ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত ভাইরাসটির মাধ্যমে ৬৭,৭৯০ জনকে আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে এবং ৩,০৭৫ জনকে মৃত তালিকাভুক্ত করা হয়েছে; মৃত্যুর হার (কেস ফ্যাটালিটি রেট বা সিএফআর) ৪.৫৪%।
0.5
893.000001
20231101.bn_850477_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF
কোভিড-১৯
করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) তথা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলি নিচে তুলে ধরা হল। এখানে স্মরণীয় যে, করোনাভাইরাস মানুষ-থেকে-মানুষে প্রধানত দুই প্রক্রিয়াতে ছড়াতে পারে। সংক্রমণের প্রথম প্রক্রিয়াটি দুই ধাপে ঘটে। প্রথম ধাপ: করোনাভাইরাস-সংক্রমিত ব্যক্তি ঘরের বাইরে গিয়ে মুখ না ঢেকে হাঁচি-কাশি দিলে করোনাভাইরাস তার আশেপাশের (১-২ মিটার পরিধির মধ্যে) বাতাসে কয়েক ঘণ্টা ভাসমান থাকতে পারে। দ্বিতীয় ধাপ: সেই করোনাভাইরাস কণাযুক্ত বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করলে অন্য ব্যক্তিদের ফুসফুসেও শ্বাসনালি দিয়ে করোনাভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটিও কয়েক ধাপে ঘটে। প্রথম ধাপ: করোনাভাইরাস-সংক্রমিত ব্যক্তি যদি কাশি শিষ্টাচার না মানেন, তাহলে তার হাতে বা ব্যবহৃত বস্তুতে করোনাভাইরাস লেগে থাকবে। দ্বিতীয় ধাপ: এখন যদি উক্ত ব্যক্তি তার পরিবেশের কোথাও যেকোনও বস্তুর পৃষ্ঠতলে সেই করোনাভাইরাসযুক্ত হাত দিয়ে স্পর্শ করেন, তাহলে সেই পৃষ্ঠতলে করোনাভাইরাস পরবর্তী একাধিক দিন লেগে থাকতে পারে। তৃতীয় ধাপ: এখন যদি অন্য কোনও ব্যক্তি সেই করোনাভাইরাসযুক্ত পৃষ্ঠ হাত দিয়ে স্পর্শ করে, তাহলে ঐ নতুন ব্যক্তির হাতে করোনাভাইরাস লেগে যাবে। চতুর্থ ধাপ : হাতে লাগলেই করোনাভাইরাস দেহের ভেতরে বা ফুসফুসে সংক্রমিত হতে পারে না, তাই এখন নতুন ব্যক্তিটি যদি তার সদ্য-করোনাভাইরাসযুক্ত হাতটি দিয়ে নাকে, মুখে বা চোখে স্পর্শ, কেবল তখনই করোনাভাইরাস ঐসব এলাকার উন্মুক্ত শ্লেষ্মাঝিল্লী দিয়ে দেহের ভিতরে প্রবেশ করবে ও প্রথমে গলায় ও পরে ফুসফুসে বংশবিস্তার করা শুরু করবে। এজন্য উপরে লিখিত করোনাভাইরাস ছড়ানোর দুইটি প্রক্রিয়ার শুরুতেই এবং কিংবা ছড়ানোর প্রতিটি অন্তর্বতী ধাপেই যদি করোনাভাইরাসকে প্রতিহত করা যায়, তাহলে সফলভাবে এই ভাইরাস ও রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য নিচের পরামর্শগুলি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করা সকলের আবশ্যিক কর্তব্য।
0.5
893.000001
20231101.bn_850477_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF
কোভিড-১৯
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা: করোনাভাইরাস কোনও লক্ষণ-উপসর্গ ছাড়াই দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যেকোনও ব্যক্তির দেহে তার অজান্তেই বিদ্যমান থাকতে পারে। এরকম করোনাভাইরাস বহনকারী ব্যক্তি যদি কোনও কারণে হাঁচি বা কাশি দেন, তাহলে তার আশেপাশের বাতাসে ৩ থেকে ৬ ফুট দূরত্বের মধ্যে করোনাভাইরাসবাহী জলীয় কণা বাতাসে ভাসতে শুরু করে এবং ঐ পরিধির মধ্যে অবস্থিত অন্য যেকোনও ব্যক্তির দেহে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। এ কারণে জনসমাগম বেশি আছে, এরকম এলাকা অতি-আবশ্যক প্রয়োজন না হলে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে যাতে বাতাসে ভাসমান সম্ভাব্য করোনাভাইরাস কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ না করতে পারে।
0.5
893.000001
20231101.bn_850477_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF
কোভিড-১৯
পরিবেশে অবস্থিত বিভিন্ন বস্তুতে করোনাভাইরাস লেগে থাকতে পারে, তাই এগুলি কেউ হাত দিয়ে স্পর্শ করলে তার হাতেও করোনাভাইরাস লেগে যেতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে করোনাভাইরাস কাঠ, প্লাস্টিক বা ধাতুর তৈরী বস্তুর পৃষ্ঠে গড়ে চার থেকে পাঁচ দিন লেগে থাকতে পারে। মানুষকে জীবনযাপনের প্রয়োজনে এগুলিকে প্রতিনিয়তই হাত দিয়ে স্পর্শ করতে হয়। তাই এগুলি স্পর্শ করার পরে হাত ভাল করে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। নিম্নলিখিত হাত স্পর্শ করার ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে।
0.5
893.000001
20231101.bn_850477_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF
কোভিড-১৯
অন্য কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত বস্তু যা হাত দিয়ে ঘনঘন স্পর্শ করা হয়, যেমন মোবাইল ফোন (মুঠোফোন), ল্যাপটপ, ইত্যাদি নিজ হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
1
893.000001
20231101.bn_850477_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF
কোভিড-১৯
বহুসংখ্যক ব্যক্তি স্পর্শ করে এমন যন্ত্র, যেমন এটিএম যন্ত্র (নগদ টাকা প্রদানকারী যন্ত্র) ও অন্য কোনও যন্ত্রের (যেমন দোকানের বা অন্য কোনও স্থানের ল্যাপটপ, কম্পিউটারের মনিটর) বোতাম, চাবি, কিবোর্ড ও হাতল হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
0.5
893.000001
20231101.bn_850477_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF
কোভিড-১৯
কাগজের টাকা, ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, ইত্যাদি এবং এগুলি যেখানে রাখা হয়, যেমন ওয়ালেট বা পার্স ইত্যাদির অভ্যন্তরভাগ হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
0.5
893.000001
20231101.bn_850477_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF
কোভিড-১৯
রেস্তোরাঁ বা অন্য যেকোনও খাবার বিক্রয়কারী দোকানের থালা-বাসন-বাটি-পাত্র বা বোতল-গেলাস হাত দিয়ে স্পর্শ করা। এইসব তৈজসপত্র বহু ব্যক্তি স্পর্শ করেন এবং এগুলিকে সবসময় সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে কি না, তা সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।
0.5
893.000001
20231101.bn_850477_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF
কোভিড-১৯
ঘরের বাইরে যেকোনও স্থানের হাত মোছার তোয়ালে বা রুমাল যা একাধিক ব্যক্তি স্পর্শ করে, সেগুলিকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
0.5
893.000001
20231101.bn_370104_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9C
দ্রুজ
আল-হাকিম দ্রুজ বিশ্বাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে পরিণত হন। যদিও তাঁর নিজ ধর্মবিশ্বাস নিয়ে শিক্ষাবিদদের মাঝে মতদ্বৈততা আছে। জন এসপোসিতো বলেন, আল-হাকিম বিশ্বাস করতেন, তিনি শুধু মাত্র দৈবভাবে ধর্মীয়-রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নিযুক্ত নন, তিনি মহাজাগতিক শক্তি যিনি ঈশ্বরের সাথে যুক্ত। অনেক দ্রুজ ও অদ্রুজ পণ্ডিত, যেমন: সামি সোয়াদ ও সামি মাকারেম বলেন, ধর্ম প্রচারে প্রাক-দ্রুজ প্রচারক আদ-দারাজীর ভূমিকা ছিলো ধোঁয়াশাপূর্ণ। আল-হাকিম আদ-দারাজীর দৈবত্বকে প্রত্যাখান করনে। এবং হামজা ইবনে আলীকে সমর্থনের মাধ্যমে তিনি নিজের মত প্রকাশ করেন।
0.5
887.147549
20231101.bn_370104_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9C
দ্রুজ
একরাতে সান্ধ্যকালীন ভ্রমণে বেরিয়ে আল-হাকিম নিখোঁজ হয়ে যান। ধারণা করা হয় তিনি আততায়ীর হাতে নিহত হন। খুব সম্ভবত তার বড় বোন সিত্তাল-মুলক এই হত্যাকান্ডের পেছনে ছিলেন। হামজা ইবনে আলীর পরে দ্রুজ আন্দোলন আল-মুক্তানা বাহাউদ্দিনের নতুন উদিয়মান নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
0.5
887.147549
20231101.bn_370104_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9C
দ্রুজ
আল-হাকিম নিখোঁজ হওয়ার পরে তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্র সন্তান আলী আজ-জহির সিংহাসনে উপবেশন করলে ফাতিতীয় খিলাফাতের সমর্থনে চলমান দ্রুজ আন্দোলন আজ-জহিরকে খলিফা হিসেবে মেনে নেয় কিন্তু হামজাকে ইমাম (নেতা) হিসেবে অনুসরণ করা শুরু করে। নাবালক খলিফার অভিভাবক সিত্তাল-মুলক ১০২১ সালে সেনাবাহিনীকে এই আন্দোলনকে ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। একই সময়ে হামজা বিন আলী বাহাউদ্দীন আস-সামুকিকে ইউনিটারিয়ান মুভমেন্টের নেতৃত্ব প্রদান করেন।
0.5
887.147549
20231101.bn_370104_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9C
দ্রুজ
পরবর্তী সাত বছর দ্রুজ অনুসারীগণ চরম নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যার শিকার হন। নতুন খলিফা জহির এই বিশ্বাসকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন। এটি ছিলো ফাতিতীয় সাম্রাজ্যে ক্ষমতার যুদ্ধের ফলাফল। কারণ দ্রুজ অনুসারীগণ আলী আজ-জহিরকে তাদের ইমাম হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। অনেক গুপ্তচর বিশেষ করে আদ-দারাজীর অনুসারীগণ ইউনিটারিয়ান আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়। গুপ্তচরগণ মূলত বিভিন্ন ঝামেলার সৃষ্টি করে দ্রুজ মতবাদের সম্মানহানীর চেষ্টা করতো। নতুন খলিফা এরই সূত্রধরে দ্রুজ সম্প্রদায়ের উপর সেনা লেলিয়ে দেন। এন্তিওখ থেকে আলেক্সান্দ্রিয়া পর্যন্ত ফাতিমীয় সেনাবাহিনীর হাতে প্রায় দশহাজার দ্রুজ অনুসারী নিহত হয়। বৃহত্তম হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয় এন্তিওখে। সেখানে ৫০০০ দ্রুজ ধর্মীয় নেতাকে হত্যা করা হয়। এর ফলে দ্রুজ অনুসারীগণ আত্মগোপন করে। যারা ধরা পড়তো তাদেরকে বলপূর্বক ধর্মত্যাগে বাধ্য করা হত অথবা হত্যা করা হত। দক্ষিণ লেবানন এবং সিরিয়াতে কিছু দ্রুজ টিকে থাকতে সমর্থ হয়। আজ-জজিহের মৃত্যুর দুই বছর পরে ১০৩৮ সালে দ্রুজ আন্দোলন আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
0.5
887.147549
20231101.bn_370104_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9C
দ্রুজ
লেবানন ও সিরিয়াতে দ্রুজগণ আলাদা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে স্বীকৃত। দেশের প্রতি দ্রুজদের আনুগত্য এবং ভালোবাসা প্রবল। নিজ সম্প্রদায়ের প্রতি দ্রুজগণ খুবই সহমর্মী। দেশে বিদেশে যেখানেই হোক দ্রুজগণ একে অন্যের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে। দ্রুজদের ক্ষমতার ইতিহাস আছে। ঐতিহাসিক পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বসবাসকারী অন্য সম্প্রদায়ের তুলনায় দ্রুজরাই সব থেকে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করেছে।।
1
887.147549
20231101.bn_370104_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9C
দ্রুজ
দ্রুজদের ধর্মগ্রন্থের নাম "কিতাব আল-হিকমাহ" বা "রাসাইল হিকমাহ" (আরবি: رسـائـل الـحـكـمـة, বাংলা: জ্ঞানের বই)।
0.5
887.147549
20231101.bn_370104_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9C
দ্রুজ
Sakr Abu Fakhr: "Voices from the Golan"; Journal of Palestine Studies, Vol. 29, No. 4 (Autumn, 2000), pp. 5–36.
0.5
887.147549
20231101.bn_370104_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9C
দ্রুজ
B. Destani, ed.: Minorities in the Middle East: Druze Communities 1840–1974, 4 volumes, Slough: Archive Editions (2006). .
0.5
887.147549
20231101.bn_370104_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9C
দ্রুজ
R. Scott Kennedy: "The Druze of the Golan: A Case of Non-Violent Resistance"; Journal of Palestine Studies, Vol. 13, No. 2 (Winter, 1984), pp. 48–6.
0.5
887.147549
20231101.bn_650947_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%AB%E0%A6%9C%E0%A6%BF
৫জি
৮ই অক্টোবার ২০১২, যুক্তরাজ্যের সারি ইউনিভার্সিটি ৫জি গবেষণার জন্য ৩৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড এর তহবিল সংগ্রহ করে একটি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে যা ব্রিটিশ সরকারের ইউকে রিসার্চ ইনভেসমেন্ট ফান্ড ও হুয়াওয়ে, স্যামসং, টেলিফনিকা ইউরোপ, ফুজিতসু ল্যাবরেটরিজ ইউরোপ, রোডা এন্ড শোয়ার্জ এবং এয়ারকম ইন্টারন্যাশনাল সহ আরো অন্যতম মোবাইল অপারেটর এর সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টায়ামের দ্বারা গঠিত হয়। যেসব মোবাইল অপারেটররা এক দশকের মধ্যে কম শক্তি ও কম রেডিও স্পেক্ট্রাম করে ৪জি এর চেয়ে দ্রুততর গতি প্রদানের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আগ্রহী তাদেরকে এই গবেষণা কেন্দ্র বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করবে।
0.5
881.740158
20231101.bn_650947_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%AB%E0%A6%9C%E0%A6%BF
৫জি
১লা নভেম্বর ২০১২, ইইউ প্রজেক্ট “মোবাইল এন্ড ওয়্যারলেস কমিউনিকেশ্ন এনাব্লারস ফর টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ইনফরমেশন সোসাইটি (Metis)” ৫জি সংজ্ঞা নিরুপনের লক্ষে তার কার্যকলাপ শুরু করে। METIS তার এইসব সিস্টেমের ওপর বৈশ্বিক ঐকমত্য অর্জন।
0.5
881.740158
20231101.bn_650947_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%AB%E0%A6%9C%E0%A6%BF
৫জি
এছাড়াও ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে আইজোইন ইইউ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল, focusing on "small cell" technology, which is of key importance for taking advantage of limited and strategic resources, such as the radio wave spectrum.. According to Günther Oettinger, the European Commissioner for Digital Economy and Society (2014–19), "an innovative utilization of spectrum" is one of the key factors at the heart of 5G success. Oettinger further described it as "the essential resource for the wireless connectivity of which 5G will be the main driver". iJOIN was selected by the European Commission as one of the pioneering 5G research projects to showcase early results on this technology at the Mobile World Congress 2015 (Barcelona, Spain).
0.5
881.740158
20231101.bn_650947_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%AB%E0%A6%9C%E0%A6%BF
৫জি
In February 2013, ITU-R Working Party 5D (WP 5D) started two study items: (1) Study on IMT Vision for 2020 and beyond, and; (2) Study on future technology trends for terrestrial IMT systems. Both aiming at having a better understanding of future technical aspects of mobile communications towards the definition of the next generation mobile.
0.5
881.740158
20231101.bn_650947_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%AB%E0%A6%9C%E0%A6%BF
৫জি
১২ মে ২০১৩ তারিখে, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স জানায় যে তারা একটি ৫ জি“ সিস্টেম তৈরি করেছে। মূল প্রযুক্তিটি ১০ গিগাবাইট পার সেকেন্ড এর বেশি গতি অর্জন করতে সক্ষম. In testing, the transfer speeds for the "5G" network sent data at 1.056 Gbit/s to a distance of up to 2 kilometres.with the use of an 8*8 MIMO.
1
881.740158
20231101.bn_650947_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%AB%E0%A6%9C%E0%A6%BF
৫জি
On 6 November 2013, Huawei announced plans to invest a minimum of $600 million into R&D for next generation 5G networks capable of speeds 100 times faster than modern LTE networks.
0.5
881.740158
20231101.bn_650947_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%AB%E0%A6%9C%E0%A6%BF
৫জি
In September 2014 "Millimeter Wave Wireless Communications" authored by researcher: Theodore Rappaport (NYU), Robert Heath (UTAustin), Robert Daniels (UTAustin), and James Murdock (UTAustin).
0.5
881.740158
20231101.bn_650947_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%AB%E0%A6%9C%E0%A6%BF
৫জি
On 7 July 2016 European Commissioner for Digital Economy and Society, Günther Oettinger received the 5G Manifesto for timely deployment of 5G in Europe which sets out industry recommendations on how the EU can support and foster 5G innovation and deployment, and timelines for 5G demonstrations and commercial deployment, signed by representatives of BT Group, Deutsche Telekom, Ericsson, Hutchison Whampoa Europe, Inmarsat, Nokia, Orange, Proximus, KPN, SES, Tele2, Telecom Italia, Telefónica, Telekom Austria, Telenor, Telia Company and Vodafone.
0.5
881.740158
20231101.bn_650947_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%AB%E0%A6%9C%E0%A6%BF
৫জি
On 14 July 2016, the Federal Communications Commission (FCC) unanimously passed a proposal to free up vast amounts of new bandwidth in the underutilised high-band spectrum for the next generation of wireless communications (5G). The Spectrum Frontiers Proposal (SFP) will double the amount of millimeter-wave (mmWave) unlicensed spectrum to 14 GHz and create four times the amount of flexible, mobile-use spectrum the FCC has licensed to date.
0.5
881.740158
20231101.bn_19142_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B2
আসানসোল
আসানসোল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম বর্ধমান জেলার একটি নগর ও পৌর নিগমাধীন অঞ্চল। এটি পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরাঞ্চল এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর।
0.5
881.139368
20231101.bn_19142_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B2
আসানসোল
ভারতের ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে আসানসোল নগরীর জনসংখ্যা হলো ১২ লাখের ওপর। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%।
0.5
881.139368
20231101.bn_19142_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B2
আসানসোল
এখানে সাক্ষরতার হার ৭৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে আসানসোলের সাক্ষরতার হার অধিক।
0.5
881.139368
20231101.bn_19142_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B2
আসানসোল
দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগম কলকাতা এবং মালদা, শিলিগুড়ি, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, সিউড়ি, পুরুলিয়া, বর্ধমান, কালনা, হাবড়া, ব্যারাকপুর, দীঘা, বোলপুর, কিনাহার এবং বহরমপুর এবং অন্যান্য অনেক গন্তব্যস্থলে দৈনন্দিন বাস পরিষেবা পরিচালনা করে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগম নগরান্তরের জন্য বাস পরিষেবা প্রদান করে। অনেকগুলি বেসরকারি বাস অপারেটর, ট্যাক্সি, ওলা ক্যাশ ইত্যাদি রেডিও ট্যাক্সিগুলি স্থানীয়ভাবে এবং আন্তঃসীমান্ত রুটগুলিও যাত্রী পরিবহনের কাজ করে। বিভিন্ন বেসরকারি বাস সংগঠন আসানসোল থেকে বর্ধমান, কল্যাণী, হাওড়া, বারাসাত ও বাঁকুড়া শহরে বাস পরিচালনা করে। নগরীর বাস পরিষেবা আরও উন্নতির জন্য এবং দূষণমুক্ত করার জন্য রাজ্যের পরিবহন বিভাগ আসানসোলে বৈদ্যুতিক বাস চালু করতে যাচ্ছে। দুর্গাপুর-আসানসোল গমনপথে যেসব বৈদ্যুতিক বাস চলাচল করবে, সেগুলি দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগম (এসবিএসটিসি) এর বাস ডিপোতে রিচার্জ বা পুনঃনির্ধারিত হবে।
0.5
881.139368
20231101.bn_19142_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B2
আসানসোল
আসানসোলের প্রধান রেল স্টেশন শহর আসানসোল জংশন। এই স্টেশন থেকে বহু স্থানে রেল সংযোগ রয়েছে। উত্তর ভারতের সঙ্গে, কলকাতার সঙ্গে সংযোগের প্রায় সমস্ত ট্রেন আসানসোলের সাথে সংযুক্ত। ফলস্বরূপ, আসানসোল নতুন দিল্লি, জম্মু, অমৃতসর, লুধিয়ানা, এলাহাবাদ, কানপুর, লখনৌ, দেরাদুন, জয়পুর, কোটা, জোড়পুর, জয়সালমির, গোয়ালিয়র, ভোপাল, ইন্দোর, পাটনা, রাঁচি এবং ধানবাদের মতো শহরগুলির সাথে চমৎকার সংযোগ স্থাপন করে। মুম্বাই, আহমেদাবাদ এবং সুরাটের মত পশ্চিমী শহরগুলি এবং ভুবনেশ্বর, বিশাখাপত্তনম, বিজয়ওয়াড়া, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর ও তিরুবনন্তপুরমের মত শহরগুলির সঙ্গে ভালো রেল যোগাযোগ রয়েছে আসানসোল শহরের। এটি রেলপথে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের প্রধান শহর গুয়াহাটির সাথেও সংযুক্ত।
1
881.139368
20231101.bn_19142_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B2
আসানসোল
গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড বা জাতীয় সড়ক ১৯ আসানসোলকে অতিক্রম করেছে। এই সড়কটি পূর্ব দিকে কলকাতা এবং উত্তর-পশ্চিমে দিকে দিল্লিকে যুক্ত করেছে আসানসোলের সঙ্গে। জাতীয় সড়ক ১৪ আসানসোল শহরকে দক্ষিণে ওড়িশা রাজ্যের সঙ্গে এবং উত্তরে ফারাক্কা ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এছাড়া সড়কপথে শহরটি ধানবাদ, বাঁকুড়া, পাটনা, হলদিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
0.5
881.139368
20231101.bn_19142_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B2
আসানসোল
আসানসোল শহর রেল পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দু। আসানসোল রেলওয়ে বিভাগ বর্তমানে পূর্ব রেল জোনের একটি অংশ। এই শহরটি আসানসোল রেল বিভাগের সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে এবং পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ৪৯৩ কিলোমিটার (৩০৬ মাইল) রেলপথ রয়েছে এই রেল বিভাগে। আসানসোল রেল বিভাগের স্টেশনগুলি হল অণ্ডাল, রাণীগঞ্জ এবং দুর্গাপুর।
0.5
881.139368
20231101.bn_19142_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B2
আসানসোল
কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রধান রেললাইনটি শহরের মধ্য দিয়ে হাওড়া থেকে নতুন দিল্লির দিকে যায় এবং সীতারামপুর রেল জংশনে গ্রান্ড কর্ড লাইন যুক্ত রয়েছে, আসানসোল জংশনের সামান্য কিছু পশ্চিমে। বর্ধমান-আসানসোল রেলপথ হাওড়া-দিল্লি প্রধান লাইনের একটি অংশ। অন্ডালের সঙ্গে আসানসোল এবং পরে জামশেদপুর, পুরুলিয়া ও খড়্গপুর থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত রেলওয়ে ট্র্যাকের আরেকটি রেলপথ রয়েছে। একটি শাখা লাইন সাহেবগঞ্জ লুপের উপর সাঁইথিয়া দিয়ে অন্ডালকে সংযুক্ত করেছে।
0.5
881.139368
20231101.bn_19142_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B2
আসানসোল
আসানসোল মহানগরের অন্তর্গত বার্ণপুর শহরে দামোদর নদের তীরে অবস্থিত একটি ব্যক্তিগত বিমানবন্দর রয়েছে। এই বিমানবন্দরের মালিকানা রয়েছে ইস্কো ইস্পাত (বার্নপুর ইস্পাত কারখানা) কারখানার কাছে। বর্তমানে এই বিমানবন্দর ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে বিমানবন্দরের রানওয়ে ১,২২০ মিটার (৪,০০০ ফুট) দীর্ঘ ও ২৩ মিটার চওড়া। বিমানবন্দরটিতে কোনো টার্মিনাল বা প্রান্তিক নেই। নেই কোনো এটিসি নিয়ন্ত্রণ ভবন।
0.5
881.139368
20231101.bn_364427_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE
শালীনতা
শালীনতা () হলো পোশাক ও আচরণের ধরন, যার উদ্দেশ্য হল অপরকে শারীরিক বা যৌন আকর্ষণে উৎসাহিতকরণ থেকে বিরত থাকা। তবে এর মানদন্ডের বিভিন্নতা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়। এক্ষেত্রে, বলা যায় যে, শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ ঢেকে না রাখাকে অনৈতিক এবং অশালীন বলে বিবেচিত হয়। অনেক দেশে, নারীদের পুর্ণরুপে পোশাকে আবৃত রাখা হয়, যেন পুরুষেরা তাদের দ্বারা আকর্ষিত না হয়, এবং তাদের জন্য পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য পুরুষদের সাথে কথা বলা নিষিদ্ধ। আবার, যেখানে বিকিনি পরার প্রচলন স্বাভাবিক সেখানে এক টুকরো কাপড় পরাও শালীন বলে বিবেচিত হয়। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই লোকসম্মুখে নগ্নতাকে অভদ্র শরীর প্রদর্শন মনে করা হয়। তবে, লোকসম্মুখে নগ্নতার ঘটনাও রয়েছে। ব্রিটেনের নগ্ন সাইকেল মিছিল এর উদাহরণ এবং এ ধরনের চলাচল একাধিকবার আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
0.5
880.904715
20231101.bn_364427_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE
শালীনতা
বেশিরভাগ বিশ্ব ধর্ম সমাজে এবং মানুষের মিথস্ক্রিয়ায় মানুষের যৌনতা থেকে উদ্ভূত নৈতিক সমস্যাগুলির সমাধান করার চেষ্টা করেছে। প্রতিটি প্রধান ধর্ম যৌনতা, নৈতিকতা ইত্যাদি বিষয়গুলিকে কভার করে নৈতিক কোড তৈরি করেছেযৌনতার অন্যান্য দিকগুলি ছাড়াও, এই নৈতিক কোডগুলি এমন পরিস্থিতিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় যা যৌন আগ্রহের জন্ম দিতে পারে এবং মানুষের আচরণ ও অনুশীলনগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে যা এই ধরনের আগ্রহ জাগাতে পারে, বা যা একজন ব্যক্তির যৌনতাকে বাড়াবাড়ি করে। এই ধর্মীয় নিয়মগুলি সবসময় পোশাক, আচার-আচরণ, বক্তৃতা ইত্যাদিতে শালীনতার বিষয়ে মানুষের মনোভাবের উপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলেছে।
0.5
880.904715
20231101.bn_364427_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE
শালীনতা
শালীনতার ভিত্তি ও ধারণা হিন্দুধর্মের অধীনে বিকশিত হয়েছে। বৈদিক সময়ে, মহিলা ও পুরুষ উভয়েই অন্তত দুই টুকরো ড্রপ করা পোশাক পরতেন যা মূলত আলাদা, স্বেচ্ছায় ও নমনীয় ছিল। স্কার্ট ও বডিসের মতো সেলাই করা কাপড়ও বৈদিক যুগে প্রচলিত ছিল।
0.5
880.904715
20231101.bn_364427_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE
শালীনতা
যাইহোক, বিনয় ধর্মের অনুশাসন দ্বারা নির্ধারিত হয় না, তবে স্থানীয় ঐতিহ্য, সামাজিক নিয়ম, পেশা, পরিস্থিতি ও উপলক্ষ দ্বারা নির্ধারিত হয়। মহিলাদের জন্য একাধিক টুকরা ড্রপ করা পোশাক ভারতীয় হিন্দুদের মধ্যে একক দৈর্ঘ্যের ড্রপ করা কাপড়ে বিবর্তিত হয়েছে, যাকে এখন শাড়ি বলা হয়; কিন্তু এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় হিন্দুদের জন্য দুই বা ততোধিক টুকরা রয়ে গেছে।
0.5
880.904715
20231101.bn_364427_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE
শালীনতা
পুরুষদের জন্য, ড্রপ করা পোশাকটি এক টুকরো হয়ে গেছে, যাকে এখন বিভিন্ন নামে ডাকা হয় যেমন ধুতি, লুঙ্গি, পাঞ্চা, লাচা এবং ভারতীয় হিন্দুদের মধ্যে অন্যান্য নামে এবং বালিনিজ হিন্দুদের মধ্যে কমবেন।
1
880.904715
20231101.bn_364427_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE
শালীনতা
হিন্দু বিশ্বাস, ক্রিস্টোফার বেলি পরামর্শ দেয়, হল উপযুক্ত পোশাকের মাধ্যমে বিনয় একটি সামাজিক বক্তৃতায় আত্মা ও পদার্থকে প্রেরণ করার শক্তি রাখে। পোষাক অভিব্যক্তি বা উদযাপনের মাধ্যম হিসাবে কাজ করে, কিছু পোশাকের উপাদান যেমন জাফরান সুতো বা সাদা পোষাক পুরুষদের দ্বারা পরিধান করা নৈতিক, রূপান্তরকারী ও সমাবেশে একজনের সামাজিক ভূমিকা চিহ্নিত করার এবং যোগাযোগ করার উপায় হিসাবে, অথবা একজনের জীবনের অবস্থা যেমন প্রিয়জনের মৃত্যুর পর দিন বা সপ্তাহগুলিতে শোক।
0.5
880.904715
20231101.bn_364427_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE
শালীনতা
দ্বাদশ শতাব্দীতে ইসলামের আগমনের সাথে সাথে দক্ষিণ এশিয়ার হিন্দুদের জন্য বিনয়ের নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়। ইসলামি শাসকরা তাদের ইসলামিক শালীনতার জন্য হিন্দু জিম্মিদের জন্য সর্বজনীন স্থানে পোষাক কোড আরোপ করেছিলেন। হিন্দু নারীদের পরিধান করা শাড়ি ঘোমটা দেওয়ার পাশাপাশি তার নাভি ও পা সম্পূর্ণ ঢেকে দেয়। ১৮শ শতাব্দীর প্রথম দিকে, ত্র্যম্বকায়যবন—দক্ষিণ মধ্য ভারতের একজন আদালতের আধিকারিক—স্ত্রীধর্মপদ্ধতি নামে আদেশ জারি করেছিলেন। রায়ে ওই অঞ্চলের গোঁড়া হিন্দুদের জন্য প্রয়োজনীয় পোষাক কোডের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। নারীধর্মপদ্ধতি হিন্দু ধর্মের সাথে সামাজিক প্রবণতাকে নারীদের জন্য বিনয়ের বিষয়ে নতুন নিয়ম স্থাপন করার জন্য, কিন্তু পুরুষদের অনেক স্বাধীনতা দিয়েছেন।
0.5
880.904715
20231101.bn_364427_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE
শালীনতা
ঔপনিবেশিক সময়ে শালীনতার ধারণাটি আবার বিকশিত হয়েছিল যখন ব্রিটিশ প্রশাসন স্থানীয় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে এবং আলাদা করতে সাহায্য করার জন্য ভারতীয়দের পোশাক পরতে বাধ্য করেছিল। বার্নার্ড কোন এবং অন্যরা মন্তব্য করেন যে ঔপনিবেশিক যুগে পোষাক ভারতে সম্মান, সম্মান ও শালীনতা সম্পর্কে বৃহত্তর সমস্যার অংশ হয়ে ওঠে, প্রশাসনের দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্রিটিশ শাসক এবং এর মধ্যে সম্পর্ক প্রতিফলিত করার লক্ষ্যে পোষাক কোড ভারতীয় শাসন করেছে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য উৎসাহিত করেছিল এবং কখনও কখনও ভারতীয়দেরকে 'প্রাচ্যের ঢঙে' পোশাক পরতে, বিনয়ের বোধকে সংজ্ঞায়িত ও প্রয়োগ করতে এবং ভূমিকা ও ব্যক্তির আপেক্ষিক সামাজিক মর্যাদা চিহ্নিত করতে সাহায্য করেছিল। ইন্দোনেশিয়ান হিন্দুদের মধ্যে, কিশোরী হিন্দু মেয়েদের মধ্যে টপলেস থাকার স্বীকৃত অভ্যাস ডাচ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় পরিবর্তিত হয়েছিল, যেখানে মহিলারা এখন ব্লাউজ বা রঙিন কাপড় পরে।
0.5
880.904715
20231101.bn_364427_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE
শালীনতা
অধিকাংশ হিন্দু মন্দিরের ভিতরে যৌন প্রলোভনের পরিবর্তে শালীনতার প্রত্যাশা রয়েছে। মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও আচার অনুষ্ঠানের সময় পুরুষ ও মহিলারা সাধারণত ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন, মহিলারা শাড়ি বা আঞ্চলিক ভারতীয় পোশাক পরেন। ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ায়, হিন্দু মন্দিরের দর্শনার্থীদের প্রায়ই তাদের কোমর ঐতিহ্যবাহী এক টুকরা কাপড় (কামবেন, ওয়াস্ত্রা বা সরুং, সাপুত সহ বা ছাড়া) দিয়ে জড়িয়ে রাখার অনুরোধ করা হয়।
0.5
880.904715
20231101.bn_543632_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
পঞ্চকন্যা
দণ্ডকারণ্যে নির্বাসন থাকাকালে তিনি রাবণের পাতানো শিকারে পরিণত হন ও রামকে সোনার হরিণের খোঁজে প্রেরণ করলে রাবণ চাতুর্যতার সাথে তাকে অপহরণ করেন। সীতাকে লঙ্কার অশোক বাটিকার কুঞ্জবনে আটকিয়ে রাখা হয়। রাবণকে যুদ্ধে পরাভূত করে সীতাকে উদ্ধার করে আনেন রাম। অগ্নিপরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সীতা তার সতীত্বের প্রমাণ দেন। রাম ও সীতা অযোধ্যায় ফিরে আসেন ও রাম রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন। এক ধোপা তার সতীত্বের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করলে রাম গর্ভবতী সীতাকে বনে পাঠিয়ে দেন। সীতা ঋষি বাল্মিকী’র তপোবনে লব ও কুশ নামে যমজ পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। সন্তানেরা বড় হয়ে পিতা রামের সাথে পুনর্মিলিত হয়। রাম তাকে ফিরিয়ে আনার পূর্ব সীতাকে আবারো তার সতীত্বের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। এবার সীতা তার মাতা পৃথিবীর কোলে ফিরে যেতে মত দেন। স্বামী বিবেকানন্দের মতে, সীতা ভারতের প্রতিনিধিস্থানীয়া - ভারতের আদর্শ। স্বামী বিবেকানন্দ আশ্বস্ত করেন যে, অতীতের বিশ্বসাহিত্য ও ভবিষ্যতের বিশ্বসাহিত্য একীভূত হলেও আরকেটি সীতাকে খুঁজে বের করে আনা অসম্ভব। কারণ, সীতা অদ্বিতীয়, তার চরিত্র সকলের জন্য একবারই গঠিত হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দ রামকে অনেকভাবে দেখেছেন, কিন্তু কখনো সীতাকে একবারের বেশি দেখেননি।
0.5
878.570734
20231101.bn_543632_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
পঞ্চকন্যা
দ্রৌপদী মহাভারতের প্রধান নারী চরিত্র। তিনি পঞ্চ পাণ্ডব ভাইদের স্ত্রী ও তাদের রাজ্য হস্তিনাপুরের রাণী। পাঞ্চলের রাজা দ্রুপদের হোমাগ্নি থেকে তার জন্ম। দ্রোণ ও কৌরবদের বিনাশে দ্রৌপদী নেতৃত্ব দেন। যদিও মধ্যম পাণ্ডব অর্জুন ব্রাহ্মণরূপে তার স্বয়ংবরে জয়ী হন; কিন্তু শাশুড়ী কুন্তীর নির্দেশে পাঁচ ভাইয়ের সকলকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। দ্রৌপদী সর্বদাই প্রধান স্ত্রী হবেন ও সর্বদাই সম্রাজ্ঞীরূপে আখ্যায়িত হবার শর্তে পাণ্ডবগণ পরিকল্পনায় সম্মত হন। তিনি প্রতি বছর এক ভাইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন করবেন ও তার সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন। কোন কারণে চার ভাইয়ের কেউ তাদের ব্যক্তিগত সময়ে ব্যাঘাত ঘটালে তাকে অবশ্যই ১১ মাসের জন্য তীর্থযাত্রায় গমন করতে হবে। তিনি স্বয়ংবরে কৌরবদের সেনাপতি কর্ণকে অপমান করেন এবং ইন্দ্রপ্রস্থে অবস্থিত পাণ্ডব প্রাসাদ থেকে বের হবার সময় কৌরবদের নেতা দুর্যোধনের হাসির পাত্র হন। প্রত্যেক পাণ্ডবের পাঁচ পুত্রসন্তানের জননী হন ও প্রত্যেক বছর শেষে তার সতীত্ব অক্ষুণ্ণ রাখেন। পাণ্ডবদের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা যুধিষ্ঠিরকে পাশা খেলায় পরাজিত করে ও শর্ত মোতাবেক তাকে গ্রহণ করে প্রতিশোধ নেয়। দুঃশাসন রাজ দরবারে তার বস্ত্রহরণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপে আবৃত কাপড়কে অসীমতায় দিকে নিয়ে যাবার ফলে তার মর্যাদা রক্ষা পায়। দুঃশাসনের রক্তে চুল ধৌত করার পূর্ব পর্যন্ত দ্রৌপদী তার চুল খোলা রাখার অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় ও দরবারে সকলের উপস্থিতিতে তার স্বামীদের ভর্ৎসনা করেন। খেলায় পরাজিত হবার পর পাণ্ডবগণসহ দ্রৌপদী অবশেষে ১৩-বছরের নির্বাসন দণ্ড গ্রহণ করেন। বনে নির্বাসনকালে দ্বিতীয় স্বামী ভীম বিভিন্ন দৈত্য ও তাকে অপহরণকারী জয়দ্রথের হাত থেকে রক্ষা করেন। এছাড়াও শ্রীকৃষ্ণের পত্নী সত্যভামার কাছ থেকে স্ত্রী-ধর্ম সম্পর্কে অবগত হন। ১৩ বছর নির্বাসন শেষে দ্রৌপদী ও তার স্বামীরা ছদ্মবেশ ধারণ করে বিরাটের দরবারে কাজ করতে থাকেন। তিনি রাণীর দাসী হিসেবে কাজ করতে থাকেন ও রাণীর ভ্রাতা কীচকের হাতে লাঞ্ছিত হন। পরবর্তীতে অবশ্য ভীমের হাতে কীচক নিহত হন। নির্বাসিত জীবন শেষে কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। কৌরবদের বিনাশ হয় ও তার অপমানের প্রতিশোধ নেয়া হয়। কিন্তু দ্রৌপদী তার পিতা, ভ্রাতৃদ্বয় ও পুত্রদের হারান। যুধিষ্ঠির হস্তিনাপুরের সম্রাট ও দ্রৌপদী প্রধান সম্রাজ্ঞী হন। তাদের জীবনের শেষদিকে দ্রৌপদী তার স্বামীদের নিয়ে পদযাত্রা করে হিমালয়ের দিকে স্বর্গ অভিমুখে রওয়ানা হন। কিন্তু, অন্যান্য স্বামীর তুলনায় মধ্যম পাণ্ডব অর্জুনের দিকে অধিক ভালোবাসার মোহ থাকার ফলে দ্রৌপদী মাঝখানে মৃত্যুমুখে পতিত হন। তিনি গ্রাম্য দেবী হিসেবে পূজিতা হন ও সময়বিশেষে অগ্নিশর্মা দেবী কালী বা ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর অবতাররূপে চিত্রিত হয়ে থাকেন।
0.5
878.570734
20231101.bn_543632_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
পঞ্চকন্যা
কুন্তী হস্তিনাপুরের রাজা পাণ্ডু’র রাণী ও তিন জ্যেষ্ঠ পাণ্ডবের মাতা ছিলেন। যাদব রাজা শূরসেনের কন্যা ছিলেন ও কুন্তী রাজ্যের নিঃসন্তান রাজা কুন্তীভোজের দত্তক কন্যা ছিলেন কুন্তী। প্রার্থনাবলে তিনি ঋষি দূর্বাশার কাছ থেকে মন্ত্র পান। এ মন্ত্র উচ্চারণে তিনি এক দেবতার কাছ থেকে সন্তান লাভের অধিকার রাখেন। তিনি উদাসী চিত্তে এ বর পরীক্ষার উদ্দেশ্যে সূর্য দেবতাকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি কর্ণ নামে এক পুত্রসন্তানের নামকরণ করে তার প্রার্থনা মঞ্জুর করেন। পরে কর্ণকে ত্যাগ করেন তিনি। ঐ সময়ে কুন্তী তার স্বয়ংবরে পাণ্ডুকে মনোনীত করেন।
0.5
878.570734
20231101.bn_543632_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
পঞ্চকন্যা
পাণ্ডু এক ঋষি কর্তৃক অভিশপ্ত হন যে, কোন নারীর সাথে সহবাস করলেই মৃত্যুমুখে পতিত হবেন। পাণ্ডুর আদেশে কুন্তী দুর্বাশার বরের সাহায্যে দেবতা যমের কাছ থকে যুধিষ্ঠির, তারপর দেবতা বায়ুর কাছ থেকে ভীম ও দেবতা ইন্দ্রের কাছ থকে তৃতীয় সন্তান অর্জুনের মাতা হন। তার উপ-পত্নী মাদ্রীকে অশ্বিনের কাছ থেকে নকুল ও সহদেব নামে যমজ দুই সন্তান পান। পাণ্ডুর মৃত্যুর পর মাদ্রি পাণ্ডুর মৃত্যুকালীন সতী হিসেবে একই চিতায় আরোহণের কথা থাকলেও কুন্তী হস্তিনাপুরে ফিরে যান ও পাঁচ পাণ্ডবের যত্ন নেন। পাণ্ডুর সৎভাই ও রাজার পরামর্শদাতা বিদুরের বন্ধু ছিলেন। হস্তিনাপুরের রাজকুমার ও পাণ্ডবদের কাকাতো ভাই কৌরবেরা কুন্তী ও তার পুত্রদের হত্যার চেষ্টা চালায়। কিন্ত তারা এযাত্রা রক্ষা পায়। তিনি দৈত্য হিড়িম্বের কাছ থেকে ভীমকে রক্ষা করেন ও তার পরামর্শক্রমে হিড়িম্বার সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন ভীম। তাদের ঘটোৎকচ নামের এক পুত্র জন্ম নেয়। তিনি তার সন্তানদেরকে সাধারণ নাগরিকদের রক্ষার পরামর্শ দেন ও ভীমকে দৈত্য বকাসুরকে হত্যার আদেশ দেন। অর্জুন দ্রৌপদীকে জয় করে আনলে কুন্তী এ পুরস্কার সকল ভাইদের মাঝে বণ্টনের নির্দেশনা দেন। কুন্তী ও পাণ্ডবেরা হস্তিনাপুরে ফিরে আসেন। কৌরবদের সাথে পাশা খেলায় পরাজিত হলে পাণ্ডবেরা ১২ বছরের নির্বাসনে যায়। এ সময় কুন্তী বিদূরের আশ্রয়ে ছিলেন। পাণ্ডব ও কৌরবদের মাঝে মহাযুদ্ধ নিশ্চিত হলে কুন্তী কৌরবদের সেনাপতি কর্ণের কাছে আত্মপ্রকাশ করেন। কর্ণ তার মার পরিচয় পেয়ে অর্জুন ছাড়া কোন পাণ্ডবকে হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি দেন। কৌরব ও কর্ণকে বধের মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ হলে কুন্তী কৌরবদের পিতা-মাতাকে নিয়ে বনে গমন করেন ও প্রার্থনার মাধ্যমে শেষজীবন অতিবাহিত করতে থাকেন। দাবানলে তার দেহাবসান ঘটে ও স্বর্গ গমনে যান।
0.5
878.570734
20231101.bn_543632_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
পঞ্চকন্যা
সকল কন্যাই তাদের জীবনে মায়ের অভাব অনুভব করেছেন। অহল্যা, তারা, মন্দোদরী, সীতা ও দ্রৌপদীর জন্ম হয়েছে অতিপ্রাকৃত ঘটনার মাধ্যমে। অন্যদিকে কুন্তী জন্মকালে দত্তক সন্তানে পরিণত হন ও মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। যদিও কুন্তী ছাড়া সকল কন্যাকেই মাতারূপে চিত্রিত করলেও কোন কন্যাকেই তাদের মাতৃত্ববোধ কাহিনীতে জোড়ালো হয়নি। অন্য সাধারণ উপাদান হচ্ছে তাদের কীর্তিগাঁথার মূলভাব নষ্ট হয়েছে। অহল্যা অভিশপ্ত হয়েছেন ও তার পরিবার কর্তৃক পরিত্যক্তা ঘোষিত হন। তারা তার স্বামীকে, দ্রৌপদী তার সন্তানদেরকে এবং মন্দোদরী তার স্বামী, সন্তান ও আত্মীয়বর্গকে যুদ্ধে হারান। তারা প্রত্যেকেই বিয়োগগাঁথায় জড়িয়ে পড়েন ও পুরুষ কর্তৃক ব্যবহৃত হয়েছেন। কিন্তু তারা জীবন ও সমাজের যুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন। প্রদীপ ভট্টাচার্য তাদেরকে পিতৃতান্ত্রিক উপাখ্যান তৈরিতে শিকারে পরিণত করার কথা বলেন। কিন্তু গোঁড়া হিন্দুরা সচরাচর তার বিরোধিতা হিসেবে তাত্ত্বিক মতবাদ ও বিকৃত বার্তার ন্যায় মতবাদরূপে আখ্যায়িত করে গেছেন। মুক্ত-আধ্যাত্মিকতার অধিকারী অহল্যা তার ব্যভিচারের জন্য শাস্তি পেয়েছেন। দ্রৌপদী তার স্বামীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিদ্রুপ করেছেন। তা সত্ত্বেও তার মর্যাদা পুরুষ কর্তৃক বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে।
1
878.570734
20231101.bn_543632_14
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
পঞ্চকন্যা
মহরি নাচের ঐতিহ্যগাঁথায় পঞ্চকন্যাকে সমভাবে পাঁচটি উপাদানে বিভক্ত করা হয়েছে। অহল্যা, দ্রৌপদী, কুন্তী, তারা ও মন্দোদরীকে যথাক্রমে জল, অগ্নি, পৃথিবী, বায়ুর ও আকাশের প্রতিনিধিত্বকারীরূপে বলা হয়। একই উপমাস্বরূপ বিশিষ্ট লেখিকা বিমলা পাতিল অহল্যা, দ্রৌপদী, কুন্তী, তারা ও মন্দোদরীকে যথাক্রমে বায়ু, অগ্নি, পৃথিবী, আকাশ ও জলের সাথে তুলনা করেছেন।
0.5
878.570734
20231101.bn_543632_15
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
পঞ্চকন্যা
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পঞ্চকন্যাদের উপখ্যানকে ঘিরে পর্বের মূলভাববস্তু নিয়ে ‘পঞ্চকন্যা’ শীর্ষক কবিতাসংগ্রহ রচনা করেন। পঞ্চকন্যাদের কাহিনী অদ্যাবধি ওড়িশ্যার ঐতিহ্যবাহী মহরি নৃত্যে জনপ্রিয় অনুষঙ্গ হিসেবে রয়েছে।
0.5
878.570734
20231101.bn_543632_16
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
পঞ্চকন্যা
এক দৃষ্টিকোণে পঞ্চকন্যাকে আদর্শ নারীরূপে গণ্য করা হয়। জর্জ এম. উইলিয়ামস মন্তব্য করেন যে, তারা নিখুঁত নন কিন্তু তাদের মা, বোন, পত্নী ও মাঝেমধ্যে স্বীয়গুণে নেতৃত্ব লাভের ন্যায় কর্তব্য বা ধর্মপালন করে গেছেন। অন্য দৃষ্টিকোণে মহরি নৃত্যকলায় তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক সতী-সাধ্বী নারী বা মহাসতী এবং কিছু অসামান্য গুণাবলীর অধিকারী মহামূল্যবান আদর্শস্থানীয়রূপে বিবেচনা করা হয়।
0.5
878.570734
20231101.bn_543632_17
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
পঞ্চকন্যা
অন্য দৃষ্টিকোণে পঞ্চকন্যাকে আদর্শ নারী সমকক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। ‘পঞ্চকন্যা: দ্য ফাইভ ভার্জিনস অব ইন্ডিয়ান এপিকসের’ লেখক ভট্টাচার্য তালিকাভুক্ত পাঁচ সতীর বিপরীতক্রমে আরেকটি ঐতিহ্যগত প্রার্থনা: সতী, সীতা, সাবিত্রী, দাময়ন্তী ও অরুন্ধতীরূপে তুলে ধরেন। তিনি অলঙ্কারবিদদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, ‘অহল্যা, দ্রৌপদী, তারা, কুন্তী ও মন্দোদরী সতী-সাধ্বী স্ত্রী নন কারণ তাঁরা তাঁদের স্বামীদের চেয়ে এক বা একাধিক ব্যক্তির সাথে পরিচিত ছিলেন না কি?’
0.5
878.570734
20231101.bn_266097_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F
সম্রাট
সম্রাট () সাধারণত কোন একটি স্বাধীন দেশের শাসক কিংবা সাম্রাজ্যের অধীন কোন রাজ্যের পুংলিঙ্গধারী রাজা বা শাসনকর্তা। প্রাচীন ফরাসী এম্পারিয়র শব্দটি ল্যাটিন ইম্পারেটর শব্দ থেকে আহুত।
0.5
861.150505
20231101.bn_266097_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F
সম্রাট
সম্রাটের স্ত্রীলিঙ্গ হিসেবে মূলত সম্রাজ্ঞী রয়েছেন। অনেক সময় সম্রাটের অনুপস্থিতিতে সম্রাজ্ঞী নিজস্ব ক্ষমতাবলে শাসনকার্য পরিচালনা করে থাকেন। সাধারণতঃএকজন সম্রাটের অবস্থান রাজার তুলনায় অধিকতর মর্যাদাসম্পন্ন এবং শীর্ষস্থানীয়।
0.5
861.150505
20231101.bn_266097_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F
সম্রাট
রাজা এবং সম্রাট - উভয়েই নির্দিষ্ট কোন এলাকা বা রাজ্যের শাসনকর্তা হিসেবে ক্ষমতাসীন হন। কিন্তু ইউরোপীয় মানদণ্ডে সম্রাট এবং সম্রাজ্ঞী উচ্চপদস্থ ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হন। কিন্তু সাম্রাজ্যের অধীনস্থ রাজ্যের প্রধান হিসেবে সবসময় সম্রাট পদবি ব্যবহার করা হয় না। ব্রিটিশশাসিত অবিভক্ত ভারতে সম্রাট পদবির ব্যবহার হয়নি কিংবা যতটুকুই বা ব্যবহৃত হয়েছে তা সীমিত পর্যায় ও মানদণ্ডে অনুসরণপূর্বক ব্যবহার করা হয়েছে। সম্রাটগণ রাজাদেরকে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে ও কেবলমাত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের উদ্দেশ্যে ক্ষমতাভার অর্পণ করেছেন। বর্তমানে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে সম্রাট সরকার প্রধানের কর্মপরিধি ও সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
0.5
861.150505
20231101.bn_266097_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F
সম্রাট
ইউরোপের বাইরে সম্রাট পদবিধারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার লক্ষ্যে মনোনয়ন দেয়া হয়। পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে উভয় শাসকই নিজস্ব ভাষায় তাদের ইউরোপীয় সঙ্গীদের কাছে সমান মর্যাদাসম্পন্ন। কয়েক শতক ধরে চলে আসা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাদের অংশগ্রহণকে আধুনিক যুগে তৎকালীন প্রাধান্য বিস্তারকারী শাসক ও সম্রাট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
0.5
861.150505
20231101.bn_266097_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F
সম্রাট
কিছু সাম্রাজ্য বিশেষ করে পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য এবং রুশ সাম্রাজ্যে রোমান শাসক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সম্রাট মনোনীত করা হয়েছিল। এ পদবি প্রদানের ফলে ঐ সাম্রাজ্যের সাথে সংযোগ সাধনের চেষ্টা করা হয় যাতে রোমানদের চিন্তাধারার প্রসার ও বিস্তৃত করার প্রয়াস চালানো হয়। একই ধাঁচে অনেক প্রজাতন্ত্রের আইনসভার নামকরণও রোমান সিনেটের অনুসরণে সৃষ্টি হয়েছে।
1
861.150505
20231101.bn_266097_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F
সম্রাট
ইতিহাসবেত্তাগণ সম্রাট এবং সাম্রাজ্যের আনুমানিক তারিখ, সালের ব্যবহার স্বাধীনভাবে ঘটিয়েছেন তাদের বিষয়বস্তুতে। তাতে সুদূর অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত রোমান এবং ইউরোপীয়ানদের সুবিশাল সাম্রাজ্য ও তাদের শাসকদের কথকতা তুলে ধরেছেন তারা। অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত অধীনস্থ রাষ্ট্রে মনোনীত শাসকদের তুলনায় সাম্রাজ্যের অধিকর্তাকেই তুলে ধরা হয়েছে বেশি।
0.5
861.150505
20231101.bn_266097_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F
সম্রাট
প্রাচীন ভারতবর্ষের নৃপতিগণ সম্রাট হিসেবে পরিচিতি লাভ করতেন। তাদের স্ত্রীগণের পদবি ছিল সম্রাজ্ঞী। ঋগ্বেদে সম্রাট বরুণের কথা উল্লেখ আছে। প্রচলিত আছে যে, বৈদিক যুগের পরবর্তী সময়ে হিন্দু রাজা-মহারাজাগণ বৈদিক রাজসূয় যজ্ঞাদি সমাপান্তে সম্রাট নামে অভিহিত হতেন। সেজন্যে তাদেরকে ধর্মীয় রীতি-নীতি পালনের জন্য অন্য রাজা এবং রাজপুত্রদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে হতো। সম্রাটের সমার্থক সার্বভৌম শব্দের প্রচলন রয়েছে।
0.5
861.150505
20231101.bn_266097_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F
সম্রাট
হিন্দু পৌরাণিক উপাখ্যান অনুযায়ী ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক শাসক সম্রাট পদবি ধারণ করেছিলেন। অধিকাংশ ঐতিহাসিকগণ নির্ভুলভাবে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যকে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সম্রাট হিসেবে উল্লেখ করেছেন; কেননা তিনি বিরাট ও বিস্তৃত সাম্রাজ্যের শাসনকর্তা ছিলেন। মৌর্য্য সম্রাট মহামতি অশোকও বিস্তৃত সাম্রাজ্য পরিচালনায় অংশ নিয়ে সম্রাট অশোক নামে সর্বসমক্ষে পরিচিত হয়ে আছেন স্ব-মহিমায়।
0.5
861.150505
20231101.bn_266097_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9F
সম্রাট
১৫৫৬ সালে সম্রাট আকবর হিমুর হেমচন্দ্র বিক্রমাদিত্য বাহিনীকে আগ্রা ও দিল্লীতে পরাভূত করেন। ভাগ্যলক্ষ্মীর সহায়তা নিয়ে তিনি ধারাবাহিকভাবে ২২টি যুদ্ধে জয়ী হয়ে পুরো উত্তর ভারত বিশেষ করে পাঞ্জাব থেকে বাংলা পর্যন্ত শাসনকার্য্য পরিচালনা করেন। এরফলে তিনি সম্রাট পদবিতে পরিচিত হন।
0.5
861.150505
20231101.bn_803086_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AE
তৎসম
বাঙালির অভিধান প্রায় ৪০% তৎসম (প্রায় ৫৮% তদ্ভব শব্দভাণ্ডার পুরানো ইন্দো-আর্য থেকে অপভ্রংশ এবং অবহট্‌ঠের মতো প্রাকৃত ভাষার মাধ্যমে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রামরাম বসু, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো লেখকরা প্রচুর পরিমাণে তৎসমের বাংলা ভাষায় পরিচয় করিয়েছিলেন। বলা হয় বাংলায় বিশ্ববিশ্রুত কবি-সাহিত্যিকদের সাধারণ লেখায় ব্যবহৃত শব্দের শতকরা ২৫ টি ছিল তৎসম ।
0.5
859.934568
20231101.bn_803086_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AE
তৎসম
বাংলায় তৎসম শব্দগুলো সাধারণত সংস্কৃত ভাষার অনুরূপ বানানে লেখা হয়। কিন্তু অধিকাংশ উচ্চারণ সংস্কৃত ভাষার মতো না হয়ে অনেক শব্দই পালি ভাষার অনুরূপ হয়। যেমন: তৎসম শব্দ "অক্ষয়" এর বানান সংস্কৃতের অনুরূপ অথচ উচ্চারণ "অক্খয়" যা পালি শব্দের সঙ্গে উচ্চারণ ও বানান উভয়দিক দিয়েই সাদৃশ্যপূর্ণ।
0.5
859.934568
20231101.bn_803086_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AE
তৎসম
বাংলা ভাষার মতো উত্তরভারতীয় অন্যান্য ভাষাগুলো যেমন হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটি ইত্যাদিতে বহু সংস্কৃত শব্দ অবিকৃত রয়েছে। এগুলো সংস্কৃতের অনুরূপ বানানে লেখা হয়। বাংলা ভাষার চেয়ে উত্তরভারতীয় এই ভাষাগুলোর উচ্চারণ সংস্কৃত ভাষার অনেক কাছাকাছি।
0.5
859.934568
20231101.bn_803086_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AE
তৎসম
হিন্দিতে তৎসম শব্দগুলো শেষে স্বরধ্বনি ব্যতীত উচ্চারিত হয়ে থাকে যেখানে অধিকাংশ সংস্কৃত শব্দ একটি স্বরধ্বনির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। যেমন:"ধর্ম" শব্দের সংস্কৃত উচ্চারণ "[dʱɐrmɐ]" কিন্তু হিন্দিতে শেষে কোনো হ্রস্ব-অ উচ্চারিত হয় না। মারাঠি ভাষার তৎসম শব্দগুলোর উচ্চারণরীতি সংস্কৃত উচ্চারণকে হিন্দির চেয়েও অধিক অক্ষুণ্ন ও শুদ্ধ রেখেছে। মারাঠি ভাষায় সংস্কৃত শব্দের উচ্চারণ প্রায় অক্ষুণ্নই রয়েছে।
0.5
859.934568
20231101.bn_803086_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AE
তৎসম
আবার এই ভাষাগুলোতে তৎসম শব্দগুলো প্রায় একই অর্থ বহন করে কিন্তু নতুন পরিভাষা সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই ভাষাগুলো নিজস্ব স্বকীয়তা প্রদর্শন করে। তেমন: ইংরেজি "gravity" শব্দের বাংলা পরিভাষা "মহাকর্ষ" কিন্তু হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটিতে প্রতিশব্দ "গুরুত্বাকর্ষণ"। এক্ষেত্রে উভয়ই সংস্কৃত শব্দের সমন্বয়ে শব্দ সৃষ্টি করেছে কিন্তু নিজস্বতা প্রদর্শন করেছে।
1
859.934568
20231101.bn_803086_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AE
তৎসম
গীতবিধান (১৭ শতক), শব্দতত্ত্ব অভিধান (১৯১৬), পূর্ণচন্দ্র ওড়িয়া ভাষাকোষ (১৯১১) এবং প্রমোদ অভিধান (১৯৪২) সংস্কৃত তৎসম শব্দভাণ্ডারের তালিকার প্রাথমিক ওড়িয়া অভিধান।
0.5
859.934568
20231101.bn_803086_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AE
তৎসম
যেভাবে সিংহলি ভাষায় তৎসম শব্দ প্রবেশ করেছে তা বাংলা ভাষায় প্রবেশের সঙ্গে তুলনা করা যায় তারা পণ্ডিতগণ কর্তৃক পালি অথবা সংস্কৃত থেকে আনীত শব্দ। সিংহলি ভাষায় তৎসম শব্দ সমূহকে তাদের শেষে -ায়া বা -ভা প্রত্যয় দ্বারা চিহ্নিত করা যেতে পারে, যেখানে দেশীয় সিংহল শব্দগুলির শেষের একটি বৃহত্তর অ্যারে দেখায়। অনেক বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় তৎসম ব্যবহার করে থাকে, যেমন গ্রহণ তবে এগুলি প্রতিদিনের ব্যবহারে এবং কথোপকথনের জন্যও পাওয়া যায়।
0.5
859.934568
20231101.bn_803086_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AE
তৎসম
সংস্কৃত ভাষা প্রায় ৫০০ বছর ধরে তেলুগু ভাষাকে প্রভাবিত করেছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১০০০-১০০ অব্দে মহাভারতে নান্নয়ের তেলুগু, উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শিলালিপির তেলুগু, কবিতায় শিলালিপিতে তেলুগু পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং রাজকীয় ভাষা সংস্কৃতের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিল। তেলুগু সংস্কৃত থেকে তৎসম শব্দসমূহ গ্রহণ করেছিল।
0.5
859.934568
20231101.bn_803086_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A4%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AE
তৎসম
তেলুগুতে মাত্রিক কবিতা ('চান্দাস্সু') উৎপলমালা, চম্পকমালা, মত্তেভম, শার্দূল, স্রগ্ধরা, ভুজঙ্গপ্রয়াত ইত্যাদি মাত্রা ব্যবহার করে যা খাঁটি সংস্কৃত মাত্রা।
0.5
859.934568
20231101.bn_777950_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A8
আর্গন
আর্গন একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস হলেও বিভিন্ন চরম পরিস্থিতিতে কিছু যৌগ গঠন করতে পারে। আর্গন ফ্লুরোহাইড্রাইড (HArF) হল ফ্লোরিন, হাইড্রোজেন ও আর্গনের একটি যৌগ যা তাপমাত্রার নিচে স্থিতিশীল। এছাড়াও পানির আণবিক ল্যাটিসে আর্গন পরমাণু আটকা পড়ে জলের সঙ্গে ক্ল্যাথরেট গঠন করতে পারে। আর্গনযুক্ত আয়ন, যেমনঃ , এবং উদ্দীপ্ত-দশার যৌগ, যেমন ArF, এর উপস্থিতি প্রদর্শিত হয়েছে। তাত্ত্বিক পর্যালোচনা থেকে আর্গনের আরও কিছু স্থিতিশীল যৌগের পূর্বাভাস পাওয়া গেছে তবে এখনও সংশ্লেষিত করা যায়নি।
0.5
857.645634
20231101.bn_777950_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A8
আর্গন
গ্রীক , যার অর্থ "অলস" বা "নিষ্ক্রিয়", শব্দ থেকে আর্গন নামটি আগত। রাসায়নিক নিষ্ক্রিয়তার কারণে এটি এমন নাম পেয়েছে। আর্গনই ছিল প্রথম আবিষ্কৃত নিষ্ক্রিয় গ্যাস।
0.5
857.645634
20231101.bn_777950_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A8
আর্গন
১৭৮৫ সালে হেনরি ক্যাভেন্ডিশ ধারণা করেছিলেন একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস বায়ুর একটি উপাদান হতে পারে। পরে ১৮৯৪ সালে লর্ড রেলি এবং স্যার উইলিয়াম র‍্যামজি ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে পরিষ্কার বাতাসের নমুনা থেকে অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, জল এবং নাইট্রোজেনকে সরিয়ে সর্বপ্রথম আর্গনকে পৃথক করেছিলেন। তারা নির্ধারণ করেছিলেন যে রাসায়নিকভাবে উৎপাদিত নাইট্রোজেন, বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেনের তুলনায় ০.৫% হালকা। পার্থক্যটি সামান্য হলেও বেশ কয়েক মাস ধরে তাদের মনোযোগ লাভের মত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারা উপসংহারে পৌঁছেছিলেন যে নাইট্রোজেনের সাথে মিশ্রিত বাতাসে আরও একটি গ্যাস রয়েছে।
0.5
857.645634
20231101.bn_777950_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A8
আর্গন
এরও আগে ১৮৮২ সালে এইচ এফ নিউয়াল এবং ডব্লিউ এন হার্টলি স্বতন্ত্র গবেষণার মাধ্যমে আর্গনের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তারা বায়ুর নির্গমন বর্ণালীতে নতুন কিছু রেখা লক্ষ্য করেছিলেন যা তৎকালে পরিচিত মৌলগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূ্র্ণ ছিল না।
0.5
857.645634
20231101.bn_777950_9
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A8
আর্গন
আর্গন আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ০.৯৩৪% এবং ভরের দিক থেকে ১.২৮৮% অংশ গঠন করে।। বিশুদ্ধ আর্গনের প্রধান উৎস হচ্ছে বায়ু। আর্গনকে বাতাস থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় সাধারণত ক্রায়োজেনিক ভগ্নাংশিক পাতন দ্বারা (একই পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, নিয়ন, ক্রিপ্টন এবং জেননও উৎপাদন করা হয়)। পৃথিবীর ভূত্বকে এবং সমুদ্রে যথাক্রমে ১.২ ppm এবং ০.৪৫ ppm আর্গন উপস্থিত।
1
857.645634
20231101.bn_777950_10
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A8
আর্গন
পৃথিবীতে প্রাপ্ত আর্গনের প্রধান আইসোটোপগুলি হল (৯৯.৬%), (০.৩৪%), এবং (০.০৬%)। এছাড়া প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত এর ইলেকট্রন সংযোজন বা পজিট্রন বিকিরণ জনিত ক্ষয় থেকে (১১.২%) তৈরি হয়। এই বৈশিষ্ট্য এবং অনুপাতগুলো পটাশিয়াম-আর্গন ডেটিং পদ্ধতিতে শিলার বয়স নির্ধারণ করতে সহায়তা করে।
0.5
857.645634
20231101.bn_777950_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A8
আর্গন
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পাওয়া যায়, যা মহাজাগতিক রশ্মির ক্রিয়াকলাপ থেকে উদ্ভূত, মূলত এর দ্বি-নিউট্রন বিকিরণ এবং এবং একক-নিউট্রন সংযোজন দ্বারা। ভূ-অভ্যন্তরে এর নিউট্রন সংযোজন এবং প্রোটন বিকিরণ দ্বারাও তৈরি হয়। এছাড়া ভূ-গর্ভস্থ পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে এর নিউট্রন সংযোজন এবং আলফা কণা নি:সরণের মাধ্যমে তৈরি হয়, যার অর্ধায়ু ৩৫ দিন।
0.5
857.645634
20231101.bn_777950_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A8
আর্গন
সৌরজগৎের বিভিন্ন স্থানে আর্গনের উপস্থিতির হারে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। যেসব স্থানে আর্গনের প্রধান উৎস এর ক্ষয়, সেখানে প্রধানত পাওয়া যায় (যেমন পৃথিবীতে)। নাক্ষত্রিক কেন্দ্রীন সংশ্লেষে উৎপাদিত আর্গনের মধ্যে আলফা-প্রক্রিয়াজাত নিউক্লাইডের আধিপত্য রয়েছে। সৌর আর্গনে রয়েছে ৮৪.৬% (সৌর বায়ুর পরিমাপ অনুযায়ী)। বাহ্যিক গ্রহগুলোতে তিনটি আইসোটোপের অনুপাত হল 36Ar : 38Ar : 40Ar = ৮৪০০ : ১৬০০ : ১। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আদিম এর স্বল্পতা এই অনুপাতের বিপরীতমুখী; বায়ুমণ্ডলে এর পরিমাণ মাত্র ৩১.৫ ppmv (৯৩৪০ ppmv × ০.৩৩৭%), যা পৃথিবীতে এবং আন্তগ্রহ গ্যাসে নিয়নের পরিমাণের (১৮.১৮ ppmv) সঙ্গে তুলনীয়।
0.5
857.645634
20231101.bn_777950_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A8
আর্গন
মঙ্গল, বুধ এবং টাইটান (শনির বৃহত্তম চাঁদ) এর বায়ুমণ্ডলেও আর্গন রয়েছে (প্রধানত হিসাবে)। এর পরিমাণ ১.৯৩% (মঙ্গল) পর্যন্তও উঠতে পারে।
0.5
857.645634
20231101.bn_267405_0
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C
ডুবোজাহাজ
ডুবোজাহাজ হচ্ছে জলের নিচে চলাচলে সক্ষম ও স্বাধীনভাবে বিচরণকারী নৌযানবিশেষ। সচরাচর ডুবোজাহাজে অনেক নাবিক অবস্থান করে থাকেন। ডুবোজাহাজকে প্রায়শঃই তার বিভিন্ন আকার-আকৃতি এবং জাহাজের সাথে তুলনা করে একে নৌকা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আদিকাল থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে ডুবোজাহাজ নির্মাণ করা হয়েছে এবং ঊনবিংশ শতকে বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীতে এর ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।
0.5
852.146473
20231101.bn_267405_1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C
ডুবোজাহাজ
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ডুবোজাহাজ ব্যবহারের ব্যাপকতা বিস্তৃতভাবে লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে অনেক বৃহৎ আকারের নৌবাহিনীতে এর অনেক সংগ্রহ রয়েছে। শত্রুবাহিনীর জাহাজ কিংবা ডুবোজাহাজ আক্রমণ মোকাবেলায় এর ভূমিকা ব্যাপক। এছাড়াও, বিমানবাহী জাহাজ বহরকে রক্ষা করা, অবরোধ দূরীকরণ, প্রচলিত স্থল আক্রমণ ও বিশেষ বাহিনীকে গুপ্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণে ডুবোজাহাজর কার্যকারিতা অপরিসীম।
0.5
852.146473
20231101.bn_267405_2
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C
ডুবোজাহাজ
সাধারণভাবেও ডুবোজাহাজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তন্মধ্যে - সমুদ্র বিজ্ঞান, উদ্ধার তৎপরতা, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসন্ধান কার্যক্রম, পরিদর্শন এবং রক্ষণাবেক্ষন সুবিধার জন্যও ডুবোজাহাজ ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, ডুবোজাহাজকে ব্যবহারের লক্ষ্যে বিশেষায়িত কার্যক্রম হিসেবে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতাসহ সাগরতলে অবস্থিত ক্যাবল মেরামতেও সম্পৃক্ত করা হয়। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সাগরতলে নিমজ্জিত প্রত্নতত্ত্ব পরিদর্শনেও ডুবোজাহাজ ব্যবহৃত হয়।
0.5
852.146473
20231101.bn_267405_3
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C
ডুবোজাহাজ
অধিকাংশ বৃহদাকৃতির ডুবোজাহাজগুলো নল আকৃতির অবকাঠামো নিয়ে গঠিত। এর অভ্যন্তরভাগে কেন্দ্রস্থলে যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকে এবং পেরিস্কোপকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আধুনিক ডুবোজাহাজ ব্যবহৃত এ অবকাঠামোকে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে সেইল বা পাল এবং ইউরোপে ফিন নামে অভিহিত করে থাকে। প্রথমদিকের ডুবোজাহাজ কনিং টাওয়ার বা জাহাজ চালানো ও পর্যবেক্ষণ স্থান ছিল, যেখান থেকে ক্ষুদ্রাকৃতি পেরিস্কোপকে চাপ প্রয়োগপূর্বক প্রধান কাঠামো উন্মুক্ত করে ব্যবহারের উপযোগী করা হতো। প্রোপেলার বা পাম্প জেট পশ্চাৎবর্তী দিকে থাকে এবং অনেক ধরনের তরল পদার্থের গতিবিজ্ঞান ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভারসাম্য রক্ষা করা হয়। তবে ক্ষুদ্রাকৃতি, গভীর পানিতে ভাসমান এবং বিশেষ ধরনের ডুবোজাহাজের ক্ষেত্রে এ ধারার অবকাঠামো থেকে ভিন্নতর হতে পারে।
0.5
852.146473
20231101.bn_267405_4
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C
ডুবোজাহাজ
খুবই বড় পরিসরে ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন নৌযানের মধ্যে সাডুবোজাহাজ অন্যতম। এক থেকে দুই জন ব্যক্তি নিয়ে যেমন স্বল্প সময় পরিচালনা করা যায়; ঠিক তেমনি পানির নিচে ছয় মাস মেয়াদের জন্যেও অবস্থান করা যায়। রাশিয়ার টাইফুন ক্লাস ডুবোজাহাজ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ডুবোজাহাজ হিসেবে অদ্যাবধি বিবেচিত হয়ে আসছে।
1
852.146473
20231101.bn_267405_5
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C
ডুবোজাহাজ
১৬২০ সালে কর্নেলিয়াস জ্যাকবসজুন ড্রেবেল নামীয় একজন ডাচ কর্তৃক প্রথম নৌযানবাহন হিসেবে ডুবোজাহাজ আবিষ্কার করেন বলে জানা যায়। তিনি ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমসের অধীনে রাজকীয় নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ইংরেজ গণিতজ্ঞ উইলিয়াম বোর্ন কর্তৃক ১৫৭৮ সালে সূচিত ধারণা ও কাঠামোকে পুঁজি করে ডুবোজাহাজ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন তিনি। তাঁর আবিস্কৃত ডুবোজাহাজটি ড্রেবেলীয় ডুবোজাহাজ নামে পরিচিত হয়ে আছে। যন্ত্রটিকে দাঁড় টেনে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হতো। এজাতীয় ডুবোজাহাজর আবিষ্কার নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ দাবী করেন যে, অন্য কোন নৌকা দ্বারা এটিকে টেনে নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৬২০ থেকে ১৬২৪ সালের মধ্যে টেমস নদীতে আরও দু'টো উন্নতমানের সংস্করণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল। প্রত্যেকটিই পূর্বের তুলনায় বড় ছিল।
0.5
852.146473
20231101.bn_267405_6
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C
ডুবোজাহাজ
৩য় ও সর্বশেষ সংস্করণের সাডুবোজাহাজতে ৬টি দাঁড় ছিল এবং ১৬জন যাত্রী বহনে সক্ষম ছিল। এ মডেলটি রাজা ১ম জেমসের নির্দেশনায় তৈরী করা হয়েছিল এবং কয়েক হাজার লন্ডনবাসী এটি পরিদর্শন করেছিলেন। ডুবোজাহাজ তিন ঘণ্টাব্যাপী পানিতে নিমজ্জিত থাকতে সক্ষম হয়েছিল। ওয়েস্টমিনিস্টার থেকে গ্রীনিচ পর্যন্ত আসা-যাওয়ায় সক্ষমতাসহ ১২ থেকে ১৫ ফুট (৪ থেকে ৫ মিটার) পানির নিচে অবস্থান করতে সক্ষম ছিল ডুবোজাহাজ। ড্রেবেল, রাজা জেমসকে এ ডুবোজাহাজ পরীক্ষামূলকভাবে চলাচলের জন্য অনুরোধ জানান। রাজা তাঁর অনুরোধে সম্মতি জানান। টেমসের পানির তলে ডুবোজাহাজ আরোহণের ফলে প্রথম ভ্রমণকারী রাজা হিসেবে ইতিহাসের পর্দায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। পরবর্তীতে ডুবোজাহাজকে টেমস নদীতে অনেকবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। কিন্তু নৌবাহিনীর কোন ব্যক্তির পক্ষ থেকেই পর্যাপ্ত মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়নি এটি। বলাবাহুল্য যুদ্ধক্ষেত্রেও কখনো এর প্রচলন ঘটানো হয়নি।
0.5
852.146473
20231101.bn_267405_7
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C
ডুবোজাহাজ
২০০২ সালে উইলিয়াম বোর্নের সূচিত ধারণা ও নকশাকে উপজীব্য করে দুইজন আরোহীর উপযোগী ডুবোজাহাজ তৈরী করা হয়। বিবিসি টেলিভিশন প্রোগ্রাম বিল্ডিং দি ইম্পসিবল শিরোনামের প্রামাণ্যচিত্রের জন্য মার্ক এডওয়ার্ডস এটি তৈরী করেছিলেন। পরবর্তীতে বার্কশায়ারের এটন এলাকায় অবস্থিত ডোর্নি হ্রদে এটি সফলভাবে চালনা করা হয়েছিল।
0.5
852.146473
20231101.bn_267405_8
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C
ডুবোজাহাজ
প্রথম আবিস্কৃত পানির অভ্যন্তরে চলাচলযোগ্য যানবাহন হিসেবে ডুবোজাহাজ আবিস্কৃত হবার অল্প কিছুদিন পরেই বিশেষজ্ঞরা এর সামরিক উপযোগিতা সমন্ধে অবগত হন। ডুবোজাহাজর কৌশলগত সুবিধাদি সম্পর্কে ইংল্যান্ডের চেস্টার এলাকার বিশপ জন উইলিকন্স ১৬৪৮ সালে ম্যাথমেটিক্যাল ম্যাজিক গ্রন্থে তুলে ধরেন -
0.5
852.146473
20231101.bn_83948_11
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BF
পারসি
১৭ শতকের গোড়ার দিকে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর এবং ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমস এর মধ্যে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়।এই চুক্তি দ্বারা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সুরাট ও অন্যান্য অঞ্চলে বসবাস করার ও কলকারখানা স্থাপনার একচ্ছত্র অধিকার হাসিল করে। ফলে ঐ অঞ্চলগুলিতে নতুন কর্মসংস্থান তৈরী হয় । সেই সময় পার্সিরা গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন এবং মূলত কৃষির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্ত এই চুক্তি ইংরেজ পরিচালিত সুরাট ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে । জীবিকার সন্ধানে বহু পার্সি পূর্বের জীবন ছেড়ে সুরাট ও সংলগ্ন অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন।বহু বছর পর, ১৬৬৮ সালে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লসের কাছ থেকে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বোম্বের সাতটি দ্বীপ ইজারা হিসেবে নেয় । দ্বীপগুলোর পূর্ব তটে তাঁরা একটি পোতাশ্রয়ের সন্ধানও পায়, যা নৌ বন্দর গড়বার জন্য উপযুক্ত। উপমহাদেশে নিজেদের প্রথম সমুদ্র বন্দর স্থাপনার জন্য তাই বোম্বেকেই মনোনীত করে তাঁরা।পরিণামে ১৬৮৭ সালে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাঁদের সদর দফতর সুরাট থেকে বোম্বে্তে স্থানান্তর করে। সদর দফতর স্থানান্তরের সাথে সাথে সুরাট ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কর্মরত পার্সিরা সুরাট ছেড়ে বোম্বে চলে আসতে শুরু করেন ।অচিরেই তারা শাসকদের আস্থা অর্জন করে সরকা্র ও জনসেবা সংশ্লিষ্ট বিশ্বস্ত পদেগুলোতে নিয়োগ পেতে শুরু করেন।
0.5
850.498847
20231101.bn_83948_12
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BF
পারসি
একসময় পার্সি সমাজে শিক্ষা গ্রহণ ও জ্ঞান চর্চা শুধুমাত্র পুরোহিত ও ধর্মযাজক শ্রেণীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনামলে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। ব্রিটিশ পরিচালিত স্কুলগুলোতে প্রথমবারের মত পার্সি সমাজের সাধারণ তরুণরাও শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পান। লিখতে ও পড়তে শেখার পাশাপাশি তাঁরা সত্যিকার অর্থে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পান।ব্রিটিশ সভত্যা ও সংস্কৃতির সাথেও তাঁদের পরিচয় ঘটে। ফলে তাঁরা নিজেদের আধুনিক ও ‘ব্রিটিশ’ ঢঙে গড়ে তুলতে শুরু করেন। নিজেদেরকে তাঁরা “ব্রিটিশদের মতই একটি জাতি” হিসেবে উপস্থাপন করতে শুরু করেন, এবং নিঃসন্দেহে ব্রিটিশদের অনুসরণ ও অনুকরনে তাঁরা “উপমহাদেশের অন্যান্য সকল জাতির চেয়ে বেশি সফল ছিলেন।“।এর সুফলও তাঁরা পেয়েছিলেন। উপমহাদেশের অন্যান্য জাতিগুলোকে যেখানে ব্রিটিশরা অনেকটাই অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখতেন ও তাঁদের সমন্ধে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন, সেখানে পার্সিদের প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ভিন্ন। বিট্রিশদের মতে সাধারণ ভারতীয়রা ছিলেন, “অলস, অজ্ঞ, অযৌক্তিক, ও নতমস্তক তবে অন্তরে স্পর্ধা পোষণকারী”। কিন্তপারসিদের সাথে নিজদের সাদৃশ্য লক্ষ্য করেন তাঁরা । তাঁদের ভেতরে এমন কিছু গুনাবলী খুঁজে পান যা নিজেদের ভেতরেও বিদ্যমান।
0.5
850.498847
20231101.bn_83948_13
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BF
পারসি
জোহান অ্যালব্রেক্ট ডি ম্যান্ডেলস্লো পার্সিদের আখ্যায়িত করেন পরিশ্রমী “নিষ্ঠাবান”, বিবেকসম্পন্ন ও তুখোড় ব্যাবসায়ী” একটি জাতি হিসেবে যারা বাণিজ্যে অগ্রগতি করার ব্যাপারে সদা তৎপর। জেমস ম্যকিন্টশের পর্যবেক্ষণেও ফুটে উঠে একই সুর, “ভারতের পার্সি সম্প্রদায় পৃথিবীর একদা পরাক্রমশালী একটি জাতির বংশধর যারা হাজার বছর পূর্বে নিষ্পেষণ ও অত্যাচার থেকে পালিয়ে ভারতবর্ষে এসে বসতি গেড়েছিলেন । বহু শতাব্দী দারিদ্রতা আর অবহেলার চাদরে ঢাকা পড়ে থাকার পর অবশেষে তাঁরা নিজেদের যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ন পেয়েছেন বর্তমান শাসকদের দ্বারা। কাছে। এই শাসক দের অধীনে তাঁরা দ্রুত এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যবসায়ী শ্রেণীর একটি হয়ে উঠতে পেরেছেন।"
0.5
850.498847